নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈষম্য সৃষ্টিকারী মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর বিসিএস প্রথা বাতিল কর, ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস চালু কর!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫


“ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস বা জাতীয় যুব সেবা” কি?
সরকারি (ক্যাডার, নন ক্যাডার যেখানে স্নাতক নুন্যতম যোগ্যতা) চাকুরিতে আগ্রহীদের জন্য বাধ্যতামূলক ২ বছর জাতীয় জুব সেবা চালু হবে। এই সময়ে যে কোন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করা যুবক “নগরে বাঁচার উপযোগী” মধ্যমান বেতন পাবেন। যেহেতু এখানে বেতন দেয়ার দায় থাকবে সরকারের তাই যেনতেন ভাবে পাশ করানোর সারকারি টেন্ডেন্সি কমে আসবে বরং শিক্ষা মান বৃদ্ধিতে সরকারের ঝোঁক আসবে। এর উদ্দেশ্য হবে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ডোমেইন গুলোর ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়নে ইন্ডাস্ট্রি স্টান্ডার্ড পর্যাপ্ত ট্রেনিং এর সুযোগ করা, কাগুজে কিংবা গল্প নির্ভর ট্রেনিং এর পরিবর্তে হাতে কলমে হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম চালু, ম্যানেজমেন্ট, রিসার্চ ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইমপ্লিমেন্টেশন সবগুলো ফ্লোরে উচ্চ মান ওয়ার্ক ফোর্স তৈরি, উচ্চ মান ডেটা এনালিস্ট ও ফোরকাস্ট মেকার্স তৈরি করা, হাজার বছর ধরে লালিত দেশজ কৃষি মৎস্য ও শিল্পের টেকসই প্রাকৃতিক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করা ও সামনে এগিয়ে নেয়া, সর্বোপরি দেশ সমাজ ও নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ পেশাদার নাগরিক তৈরি করা।

ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিসের ট্রেনিং স্কোপ এরকম হতে পারে (উদাহরণ)
১। প্রথম মাস সেনা নৌ বিমান বাহিনী, ডিক্টেটিভ ব্রাঞ্চ সমূহ ও সীমান্ত রক্ষা ফোর্স গুলুতে ট্রেনিং হবে।এখানে দেশের শৃঙ্খলা নিরাপত্তার কৌশগত দিকগুলো উঠে আসবে। ২য় মাসে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সমন্বয়ে সম্মিলিত আন্ত বাহিনী গুলোর অভ্যন্তরীণ মানব ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ, পরিচালনা ভিত্তিক ট্রেনিং দেয়া হবে। এখানে স্বাস্থ্য সম্মত দৈনন্দিন জীবন যাপনের শৃঙ্খলা দেয়া হবে।

২। ৩য় মাসে দেশের সবগুলো অঞ্চলের উৎপাদন অর্থণীতির উপর পড়ানো হবে। একেবারে গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দেশের সবগুলো এলাকার কৃষি মৎস্য শিল্প এবং অন্যান্য উৎপাদনের, সাপ্লাই চেইন, পণ্যের ট্রান্সপোর্টেশন ও বাজারজাত করণ সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান দেয়া হবে। এখানে কিছু লোকেশন বেইজড কেইস স্ট্যাডী (থিসিস টাইপ) দেয়া হবে।

৩। সরকারী আইন এবং ইন্টার ডিপার্টমেন্টাল ফাংশনালিটির উপর ট্রেনিং হবে- ৩ মাস (ইন্টার্ন শীপ-পরিকল্পনা, সংসদ,বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন ইমপ্লিম্নেটেশন প্রজেক্ট, একাডেমিক ফিল্ড রিলেটেড মন্ত্রণালয় এর আইন এবং ওয়ার্ক প্রসেস ফ্লো সম্পর্কিত জ্ঞান। এই তিন স্তরে ৬ মাসের ইনতেন্সিভ ট্রেনিং সমাপ্ত হবে।

৪। চতুর্থ ধাপে শুরু হবে সার্ভিস দেয়া। কালচারাল ডাইভার্সিটি জানা বুঝা ও এক্সেপ্টিবিলিটির জন্য নিজ জেলার বাইরে ভিন্ন জেলায় ৬ মাসের শিক্ষা এটাচমেন্ট, প্রাথমিক স্কুলে ৩ মাস, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা কারিগরি শিক্ষায় ৩ মাস।

৫। নিজ একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) এর রোলে ১ বছরের ন্যাশনাল জব সার্ভিস।

এই পুরো সময় (২ বছর ) সরকার একজন গ্রাডুয়েটকে বেতন দিতে বাধ্য থাকবে, একটি মানসম্পন্ন কিন্তু ফ্রেশারস স্কেলে।

এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা মানের সমন্বয় করতে হবে, মানে গ্রাডুয়েশন ডিগ্রির কি ধরনের শিক্ষা মান থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের গ্রাডুয়েট কে সরকার ঐ প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েটদের ইন্টার্ন হিসেবে এব্জরব করতে বাধ্য থাকিবে। এই স্ট্যান্ডার্ড সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত শিক্ষা মান নিশ্চিত করনে বাধ্য করবে। সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যাদের শিক্ষা মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, যাদের স্নাতকদের চাকরির বাজারে চাহিদা কম এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যাদের বিরুদ্ধে নাম সরবস্ব সার্টিফিকেট এডুকেশন দেয়ার অভিযোগ রেয়েছে, তাদের সবাইকে শিক্ষা স্টান্ডার্ডের মধ্যে আনতে হবে। ইউথ সার্ভিসের বিধান শিক্ষা জীবন কন্টিনিউ করা পোষ্ট গ্র্যাড শিক্ষার্থী দের বেলায় প্রযোজ্য হবে না বরং তাঁদের শিক্ষা সমাপনী সাপেক্ষে সরকারি চাকুরি কিংবা শিক্ষকতায় আগ্রহীদের বেলায় বাধ্যতামূলক। যুব সার্ভিসের কোন বয়স সীমা থাকবে না, থাকলেও তা ৫০ বছর অবদি হবে।

বর্তমানের মেডিক্যাল ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসবে। বর্তমানের ১ বছরী ইন্টার্ন ব্যবস্থাকে বাধ্যতামূলক একাডেমিক এটাচমেন্ট এর ৫ নং হিসেবে গণ্য করা হবে, যা সময়ের হিসেবে প্রথমে আসবে। সরকারি চাকুরী প্রার্থীদের জন্য ন্যাশনাল ইয়ুথ সার্ভিসের বাকি স্টেপের ১-৩ বাধ্যতামূলক থাকবে, ৪ নং এর শিক্ষা এটাচমেন্ট অপশনাল হবে।

সব ধারার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ন্যাশনাল সার্ভিসে চাইলে আসতে পারেন, সরকার তাঁদের “জুব সেবা কন্ট্রাক্ট” দিতে বাধ্য থাকবে। সরকারি জব এ ইন্টারেস্টেড না এমন স্নাতক শিক্ষার্থী ডিক্লেরেশন দিয়ে ন্যাশনাল ইয়ুথ সার্ভিসকে ডিনাই করে সরাসরি বেসরকারি জব করতে পারেন। সেক্ষেত্রে উনাকে একটি নির্দিস্ট সময়ের রি ডিসিশন টাইম দেয়া যেতে পারে (যেমন সর্বোচ্চ ৫ বসর)। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পর ডক্টরাল,পোস্ট ডক্টরাল করা কিংবা রিসার্চ ফেলো গণ ন্যাশনাল সার্ভিস এর ৪ ও ৫ নং আওতামূক্ত, উনারা শুধু ৬ মাসের ইনটেন্সিভ ট্রেনিং নিবেন। শিক্ষকতা, গবেষণা, উচ্চ শিক্ষার রিসার্চ ও রাষ্ট্রের যেকোন পর্যায়ের এনালাইসিস ও পরিকল্পনা কাজে ৬ মাসের ট্রেনিং সাপেক্ষে যে কোন বয়সে সিভিল সার্ভিসে ইন্টেলেকচুয়াল এসেট হিসেবে ডক্টরাল ও পোষ্ট ডক্টরাল নাগরিক ঢুকতে পারবেন।

ইউথ সার্ভিসের ১ম থেকে ৫ম সবগুলো স্তরে মেধা যাচাই ও এসেমেন্ট স্কোর থাকবে। যার সাপেক্ষে ক্যান্ডিডেইটকে সরকারি জবে পার্মানান্টলি রিক্রুট করা হবে সিরিয়াল ধরে, চয়েচ বেইজড অটোমেটেড সফটওয়্যার সিস্টেমে। এর বারে কোন ধরণের বৈষম্য সৃষ্টি করা লিখিত বা ভাইভা পরীক্ষা নেয়া যাবে না। বেসরকারি কোম্পানি রাও এই রিসোর্স রিক্রুট করতে পারবেন, তারা সরকারকে একটা মানব সম্পদ উন্নয়ন ফি দিলে ব্যাপারটা আর্থিক মডেলে টেকসই হবে।


BCS এবং আলাদা আলাদা ভাবে নিয়োগের সকল প্রথা বিলুপ্ত হবে

প্রাইমারী মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক সহ সকল সরকারি আধা সরকারি এই একই সিস্টেমে ব্যক্তির ঝোঁক, চাকুরির প্রাপ্যতা ইত্যাদি সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। সিভিল সার্ভিসে এর বাইরে কোন মান থাকবে না, কোন পরীক্ষা থাকবে না।
ন্যাশনাল ইয়ুথ সার্ভিস এর ৫টি ধাপ কঠোর ভাবে মান নিয়ন্ত্রিয়ত গ্রেডিং এর আওতায় আসবে (পরীক্ষা, প্রেজেন্টেশন, লিডারশীপ, ইন্নোভেশন এবং ক্রিয়েটিভিটি ইত্যাদির মানদণ্ডে)। এই গ্রেডিং এবং একাডেমিক রেজাল্ট সরকারি ক্যাডার জবের অন্তর্ভুক্তিতে সরাসরি বিবেচ্য হবে। অন্য কোন ধরেনের পরীক্ষা, ভাইভা, সুপারিশ, এপ্টিচুড টেস্ট নেয়া যাবে না। এই প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে আসা স্টুডেন্ট সক্ষম হতে বাধ্য। এই পুরো ধাপে রাজনৈতিক দুরবিত্তায়ন ঠেকিয়ে অটোমেটেড ও মেধা ভিত্তিক জন প্রশাসন গড়া সহজ হবে।
ন্যাশনাল সার্ভিস এর যে কোন ক্যাডার চাইলে বেসরকারি জব এ যেতে পারবেন। ন্যাশনাল সার্ভিসের ২ বছর প্রফেশনাল জব সার্ভিস হিসেবে গন্য হবে এবং এর স্বীকৃতি জব এক্সপেরিয়েন্স সার্টিকফিকেইট এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

কস্ট মডেলঃ
২৫ লক্ষ শিক্ষার্থী JSC এনরোল করছেন, ২০ লক্ষ শিক্ষার্থী SSC, ১৫ লক্ষ HSC। প্রায় ১০-১২ লক্ষ নিয়মিত পাশ করছেন। ফলে প্রায় আনুমানিক ১০ লক্ষ স্টুডেন্টকে ২ বছর বেতন দিতে হবে। ১৫ হাজার করে হলে ১টি ব্যাচে সরকারের মাত্র ১৫০০ কোটি খরচ করতে হবে। যেহেতু ২ বছর মেয়াদি সার্ভিস, তাই দুটি সমসাময়িক ব্যাচ থাকবে একসাথে, ফলে বছরে ৩ হাজার কোটি খরচ হবে। বর্তমানের ৪.৫ লক্ষ হাজার কোটির বাজেটে মাত্র ৩ হাজার কোটি কিছুই না। বরং উন্নয়ন প্রকল্প গুলোতে এই এমাউন্ট শুধু ব্যয় বৃদ্ধি হিসেবেই দেখানো হয়।

এক্সপেন্ড স্টেইট ফান্ড ফর এ পারপাজ!
ডোন্ট জাস্ট লুট ইট!!!

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া X((

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন জিনিশ আমরা আকড়ে ধরতে ভয় পাই।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার খোলস চেঞ্জ করে ফেলে একে কার্যকর করতে হবে।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: লোক সংখ্যা বেশী এটা সম্ভব নয়।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: লোক সংখ্যার হিসেব আলোচনার শেষে দিয়েছি। লোক সব ক্ষেত্রে সমস্যা নয়, সম্ভাবনাও।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

ইনাম আহমদ বলেছেন: আপনার মডেলটা যে প্রশংসনীয় সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
কিন্তু বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, শিক্ষাগত পরিবেশ, মানুষের মনোভাব ইত্যাদি সার্বিক পরিস্থিতি যদি বিবেচনা করেন. এটা একটা আষাঢ়ে গল্প বৈ কিছু নয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে জাতির যেই পরিমাণ উন্নয়ন ও মানসিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, তা অর্জন করতে অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় লাগতে আমাদের।
আমার ব্যক্তিগতভবে কোনও কোটা নেই। বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শিশুবাচ্চা ছিলেন, পরে ছ্যাঁচড়ামি মার্কা সার্টিফিকেট জোগাড় করতে চাননি। আমার মেধাই সম্বল।
তবে বিসিএসে যদি আপনার মনে হয় পুরোটা মুখস্তবিদ্যা, সেটাও ভুল কিন্তু।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রাষ্ট্র যখন একটা স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ছেলে মেয়েকে ২ বছর জুব সার্ভিসে পে করবে তখন তার সম্বিৎ ফিরবে, সে কি মানের শিক্ষা দিয়ে টাকা খরচ করছে। দায়বদ্ধ না করলে এখনকার মত বাল ছাল শিক্ষা দিয়েই হম্বি তম্বি করে যাবে।

বিসিএস প্রায় পুরাটাই মুখস্ত বিদ্যা। এই ব্যবস্থার সাথে আধুনিক শিক্ষা বোধ এবং আধুনিক সিভিল সার্ভিস ব্যবস্থাপনা সেন্সের কোন যগসুত্র নেই। উন্নত দেশ গুলোতে এই ধরণের সিস্টেম অবসোলিট।

আপনার বাবার জন্য একরাশ শ্রদ্ধা। মেধার তালাশ ও চর্চাই হোক এগিয়ে যাবার পথ নির্দেশক।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১৩ থেকে ১৫ হাজার মার্কের ছাত্র জীবন শেষ করার পর কাউকে ১০০ নম্বরের প্রিলি দিয়ে স্ক্রিন আউট করা হয়, এটা একদল মুর্খের ডেভেলপ করা সিস্টেম।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

করুণাধারা বলেছেন: ভালো বিষয়ে আলোকপাত করেছেন, কিন্তু আমাদের কোন ভালো জিনিস সহ্য হয় না। অতএব মুখস্তনির্ভর বিসিএস থাকবেই। নিজের পছন্দমত লোককে নিয়োগ দিতে বিসিএসের ভাইবার মাত্র কার্যকরী কোন উপায় হতেই পারে না।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কিন্তু আমাদের কোন ভালো জিনিস সহ্য হয় না। অতএব মুখস্তনির্ভর বিসিএস থাকবেই। নিজের পছন্দমত লোককে নিয়োগ দিতে বিসিএসের ভাইবার মাত্র কার্যকরী কোন উপায় হতেই পারে না।

আসল কথা বলে দিয়েছে।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ ধর্মী লেখাগুলো আমার ভালো লাগে। এতে যেমন সমস্যা চিহ্নিত হয় তেমনি সসমাধান উঠে আসে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবার কিঞ্চিৎ চেষ্টা করি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২০

আলআমিন১২৩ বলেছেন: জুব বানান টা সঠিক করে নিন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ, খালি বানান ভুল করি!!!

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক ,




আপনার এমন চমৎকার উপস্থাপনা এক নিরুদ্দেশ ঠিকানায় গিয়ে থামবে শেষ পর্যন্ত । উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর মতো ।

এতো সুবুদ্ধি যদি সংশ্লিষ্টদের মগজে থাকতো ( আছে শুধু কুবুদ্ধি ) তবে এতোদিনে দেশের প্রায় সব বেকারদের কিছু না কিছু হিল্লে হতো । বেকারের সংখ্যা ৫ কোটি হতোনা এবং মেধাহীন এক একটি প্রজন্ম তৈরী হতো না । শিক্ষা ব্যবস্থার লালবাত্তি জ্বালিয়ে সকল মেধাকে ধ্বংস করা হয়েছে বিগত ১৫ বছরে । সত্যজিৎ রায়ের ছবি " হীরক রাজার দেশে"তে একটি ডায়লগ আছে --" যে যতো বেশী জানে , সে ততো কম মানে " অর্থাৎ রাজাকে কম মানে । কম মানার ভয়ে রাজা প্রজাদের এমন ডায়লগ শিখিয়ে মগজ ধোলাই করতেন , নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ।
আমাদের প্রশাসন তেমন করেই নতুন প্রজন্মের মগজ ফকফকা করার সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন নিজেদের ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্যে । যাতে তরুণ-তরুণীরা চিরকালই আহাম্মক থেকে যায় আর নিজেদের মধ্যে কামড়া কামড়ি করে দিন পার করে । তাদের পারপাস একটাই - দে ডোন্ট জাষ্ট ওয়ান্ট টু ল্যুজ দ্য চান্স টু লুট ।

ভালো লেখা ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনার এমন চমৎকার উপস্থাপনা এক নিরুদ্দেশ ঠিকানায় গিয়ে থামবে শেষ পর্যন্ত । উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর মতো ।

এখনও আশা রাখি আমার ভাবনা গুলো একদিন পথ খুঁজে পাবে।
এখনও আশায় থাকি কোন নিবেদিত মহৎ প্রাণ আমার ভাবনা গুলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

যাতে তরুণ-তরুণীরা চিরকালই আহাম্মক থেকে যায় আর নিজেদের মধ্যে কামড়া কামড়ি করে দিন পার করে । তাদের পারপাস একটাই - দে ডোন্ট জাষ্ট ওয়ান্ট টু ল্যুজ দ্য চান্স টু লুট ।

এখনও আশা রাখি এই দিনের অবসান একদিন হবে।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খুবই সুন্দর। কিন্তু আমাদের চেতনা ব্যবসায়ীরা এসব করবে না। আসলে তারা নিজেরাই ঘুষ দিয়ে চাকুরিতে এসেছিলেন বলেই এসব ইমপ্লিমেন্ট করতে চান না। দুই পরিবার মুক্ত হলে কখনো সুদিন আসতে পারে...

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৪১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আসলে সুদিন এমনি এমনি আসবে না, যেহেতু অতীতের সুদিন গুলোকে আমরা হেলায় কাটিয়েছি।
ফলে সুদিন আনয়নের বিপ্লবেই নামতে হবে, আমাকে আপনাকেই।

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৩১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার এই চিন্তারা হয়তো এখনি ফলপ্রসু হবে না এমন স্বপ্ন একদিন ভাস্তবে দেখা যেতেও পারে সেই দিন হয়তো দেশ উন্নয়নে ভাসতে পারে। অনেক সুন্দর পোস্ট।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রস্তাবনা ভালো সন্দেহ নাই ! কিন্তু মোটিভেশান না থাকিলে কোনোকালেই কার্যকর হইবে না ! মোটিভেশনের ক্ষেত্রে হিটলার অনন্য ! যদিও তাহার উন্মাদ জাতীয়তাবাদী চেতনা বিশ্বের জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ হইয়াছে, কিন্তু মোটিভেশনে একটা জাতির কি করা যায় তাহা হিটলার প্রমান করিয়াছে !

হজরত মুহাম্মদ স. এর মোটিভেশন এমন শক্তিশালী ছিল যে মাত্র ২৩ বছরে জাতিকে একসূত্রে গাঁথিয়াছিলেন, অতঃপর ১৪ শত বছর পর্যন্ত জাতি তাহার সুফল ভোগ করিয়াছে। আজও তাহার মোটিভেশন এমন যে তাহার জন্য, তাহার প্রচারিত ধর্মের জন্য কোটি কোটি মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত।

আজ আমাদের মোটিভেশনের কেহ নাই ! কোন নেতা, কোন দল, কোন শাসক, কোন বুদ্ধিজীবী কোন তত্ত্ব, কেহ বা কোনকিছু আমাদের মোটিভেট করিতে পারিতেছে না ! আমাদের জাতির কর্ণধাররা জাতির মোটিভেশন বাদ দিয়া বরং হিংসা, মারামারি , দলাদলি করিয়া জাতিকে বিভক্ত, দুর্বল, অন্যের করুনার পাত্র, অন্যের নাক গলানোর সহজ ক্ষেত্র বানাইয়াছে ! আমি একজন প্রবল একনায়কের সন্ধান করিতেছি, যিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করিবেন, এমন মোটিভেশন দেবেন যে, জাতি খুঁড়িয়ে চলা হইতে দৌড়াইয়া চলিবে !

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। মটিভেশনকে যদি আপনি শুধু শীর্ষ নেতৃত্বের একক এলিমেন্ট দিয়ে ডিফাইন করেন, তাহলে আপনি এবসুলিউটলি রাইট।

আজ আমাদের মোটিভেশনের কেহ নাই ! কোন নেতা, কোন দল, কোন শাসক, কোন বুদ্ধিজীবী, কোন তত্ত্ব, কেহ বা কোনকিছু আমাদের মোটিভেট করিতে পারিতেছে না ! আমাদের জাতির কর্ণধাররা জাতির মোটিভেশন বাদ দিয়া বরং হিংসা, মারামারি , দলাদলি করিয়া জাতিকে বিভক্ত, দুর্বল, অন্যের করুনার পাত্র, অন্যের নাক গলানোর সহজ ক্ষেত্র বানাইয়াছে !

এই অংশটার জন্য একচেটিয়া ভোগ ও বস্তুবাদী নাগরিক এবং অদুরদর্শী ও কিছুই পরোয়া না করা নাগরিক সমাজও কিন্তু দায়ী। এই অবস্থায় মোটিভেশনে নেতৃত্ব দেয়া নেতা বা বুদ্ধিজীবীর বিকাশ প্রায় অসম্ভব। ফলে সমাজকে আরো ভঙ্গুরতার দিকে যেতে হবে, সাধারণ নাগরিক জীবন, বেকারত্ব ও কাজের পরিবেশ ও মানের আরো অধঃপতন হবে। ভোগান্তি চরমে পৌঁছালে হয়ত সমাজের ও নাগরিকের কিছুটা বোধ ফিরবে।

২। আমি একজন প্রবল একনায়কের সন্ধান করিতেছি, যিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করিবেন, এমন মোটিভেশন দেবেন যে, জাতি খুঁড়িয়ে চলা হইতে দৌড়াইয়া চলিবে !

এই অংশটা নিয়ে আমার আশংকা আছে। একনায়ক তো ভালো হয়না। হ্যাঁ অতীতে রাজা ও সম্রাটদের অনেকেই ন্যায়পরায়ন ছিলেন, কেননা তারা নিজ নিজ দেশ ও সম্রাজ্যকে নিজেরাই গড়েছেন এবং তাকে (নাগরিক ও সম্পদ সহ) ওউন করেছেন।

যেহেতু প্রবল একনায়ক দেশ ও নাগরিকের সম্পদ সহ সবকিছুকে এন্ড টু এন্ড ওউন করে না তাই সে স্বৈরাচার হয়ে পড়ে। লুট হয়ে পড়ে তার স্বাভাবিক চর্চা।

এখন আমরা যদি আমাদের শাসনের অতীতে তাকাই, প্রবল একনায়কের উপস্থিতি অনেক রয়েছে। আইয়ুব, মুজিব, জিয়া, এরশাদ সবাই প্রবল একনায়ক ছিলেন। মুজিব ও জিয়া কিছুটা আন লাকি বলবো, তারা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ও ভঙ্গুর কাঠামোর সামরিক প্রশাসন ও চোর নির্ভর সিভিল প্রশাসন পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে এরশাদ স্থিতিশীল দেশ পেয়েও ৯ বছরে বলতে গেলে ৩-৪টা ব্রিজ ও কয়েকটা দৃশ্যমান রাস্তা করা ছাড়া টেকসই কিছুই করেননি। অন্যদিকে আইয়ুব খান ছিলেন একাধারে অতি দক্ষ প্রশাসক ও রিয়েল ডেভেলপার। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আইয়ুব হটে গেলে তার রেখে যাওয়া ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ও কর্মসংস্থান মডেলকে কেউ এগিয়ে নিতে পারে নি। ফলে তার মডেল কোরিয়া ফলো করে উঠে গেছে, কিন্তু পাকিস্তানের পরবর্তি শাসকরা নিজেদের মডেল এগিয়ে নেয়নি। তার সামরিক শাসনের বিতর্ক ও ব্যাপক সমালোচনা আছে তথাপি ব্রিটিশের পরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মৌলিক অবকাঠামো্র প্রায় সকল পরিকল্পনা মডেল তার আমলেই তৈরি, পরিবর্তি শাসক গণ এর কিছু কিছু আংশিক বাস্তবায়ন করেছেন, বর্তমানে এসে ঐ পুরানো পরিকল্পনা গুলো ভ্যালূ হীন হয়ে পড়েছে।

এটাই মূল পয়েন্ট, সমাজ তৈরি না থাকলে, সমাজের কাঠামো যথেষ্ট জ্ঞান প্রজ্ঞা নির্ভর না হলে (অথবা প্রজ্ঞা নির্ভর হবার তাড়না না থাকলে), ইম্যাচিউর সমাজ ভালো কিছুকে এগিয়ে নিতে পারে না। কিংবা ভুল ভাল সমান্য ভালো কিছুকে অতি ভালোতে রূপান্তর করার যোগ্যতা দেখাতে পারে না। ফলে ইঙ্কলুসিভ সমাজ না হলে সম্পদ ব্যবস্থাপনা আদতে টেকসই কাঠামো হয় না। কেউ একজন কিছু করে যায়, পরবর্তিরা এর গুরুত্ব বুঝে না ফলে মৌলিক উদেশ্য কিংবা ভিশন ভেস্তে যায়। শুধু কিছু মিশন টিকে থাকে, যা থেকে চরেরা ফায়দা লুটে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলতে হয়, এই মুহুর্তে একজন ভালো শীর্ষ নেতৃত্ব অলৌকিক ভাবে খোদা তায়াল প্রদত্ত হয়ে আসলেও, আমাদের দুর্নীতি পরায়ণ আমলাতন্ত্র ও দুর্নীতি বান্ধব নাগরিক সমাজ তাকে ব্যর্থ করবে।

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভালো করে বুঝে আবারও পড়তে হবে। এইরকম বৈপ্লবিক পদক্ষেপ ছাড়া এইরকম জটিল ভূরাজনৈতিক পরিবেশে বৈরী প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ মর্যাদা থাকতে পারবে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এইরকম বৈপ্লবিক পদক্ষেপ ছাড়া এইরকম জটিল ভূরাজনৈতিক পরিবেশে বৈরী প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ মর্যাদা থাকতে পারবে না।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

গরল বলেছেন: প্রথমত ক্লাস মানে প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এসব শ্রেণী প্রথা বাদ দিতে হবে। সরকারী চাকুরীর রিক্রুটমেন্ট তিনটি ধাপে নিতে হবে যেমন এন্ট্রি লেভেল, প্রফেশনাল লেভেল ও ডিরেক্টর/হায়ার লেভেল। প্রত্যেক লেভেল এ চাকুরীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দশ বছর করতে হবে এবং লেভেল চেঞ্জ করতে হলে আবার উম্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে করতে হবে এবং প্রফেশনাল লেভেল এ আবেদনের জন্য সেই পেশাতে দশ বছর ও হায়ার লেভেল এ নুন্যত পনের বছরের অভেজ্ঞতা থাকতে হবে। তাতে করে প্রফেশনাল লেভেল এ বা হায়ার লেভেল এ সরকারী বা বেসরকারী চাকুরিরত সবাই একসাথে যোগ্যতা প্রমাণ করে চাকুরী পাবে। তাতে করে সব লেভেল এই যোগ্যতম লোক পাওয়া যাবে। জীবনের প্রথম চাকুরী হিসাবে সরকারী চাকুরীতে ঢুকে শিকড় গজিয়ে অথর্ব হয়ে যাওয়ার হাত থেকে জাতি রক্ষা পাবে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: চমৎকার বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.