নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহুতল ভবনের অগ্নি নিরাপত্তাঃ সর্বেসর্বা দুর্নীতির বিপরীতে নিরাপদ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

রাজউকের হিসেবে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঢাকায় সাততলা বা তার চেয়ে উঁচু ভবন আছে ১৬ হাজার ৯৩০টি। ফায়ার সার্ভিস বলছে সারাদেশে ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ৫ হাজার ২৪টি ভবন ফায়ার সার্ভিস থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে। অর্থাৎ ১১ হাজার ৯০৬টি ভবনের অগ্নিপ্রতিরোধের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। যেসব বহুতল ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে বলা হয়,সেখানেও দেখা যায়, অগ্নিকান্ডে সেগুলোও কাজ করে না। বস্তাবতাও তাই বলছে (বসুন্ধরা সিটি অগ্নিকান্ড ২০০৯), আগুন লাগলে কোন ভবনেরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করছে না। কিন্তু কেন?

১। বাংলদেশের কমার্শিয়াল এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে যেসব অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নেয়া হয় তার প্রায় সবই পরোক্ষ (প্যাসিভ) এবং দুর্ঘটনা ঘটা সাপেক্ষে নেয়া হিউম্যান একশন কেন্দ্রিক অর্থাৎ রিয়েক্টিভ। অর্থাৎ এখানে স্মোক ডিটেক্সটর, ফায়ার ডিটেক্সটর, অগ্নির্বাপক সিলিন্ডার এবং অগ্নিনির্বাপক হোজ পাইপ ভিত্তিক। স্মোক ডিটেক্টর, ফায়ার ডিটেক্টর অগ্নি সতর্কতা তৈরি করে তথাপি প্রশিক্ষিত ব্যক্তিকে গিয়ে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে অগ্নির্বাপক সিলিন্ডার এবং অগ্নিনির্বাপক হোজ পাইপ ব্যবহার করতে হয়। দেরি হয়ে গেলে অনেকসময় তা আর কাজেই আসে না। বিপরীতে লার্জ স্কেইল, প্রপার্টি ভ্যালূ সেন্সিটিভ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও কমার্শিয়াল ভবন ও কমপ্লেক্সে দরকার প্রত্যক্ষ ও স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা যা নিজে থেকেই আগুণ সনাক্ত করে পরিমাণমত ওয়াটার এবং গ্যাস স্প্রে করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করবে।

সাধারণ ভাবে বলা যায়, Fire Sprinkler System FSS এর দুটি ইউনিট থেকে কনট্রোল বা নিয়ন্ত্রণকারী ইউনিট এবং ডিস্ট্রিবিউশন ইউনিট। তবে এই কারিগরি সলূশ্যন ও বাস্তবায়ন ব্যবস্থা অনেক বেশি খুরুচে। বাংলদেশের স্বল্প খুরুচে শিল্প উৎপাদন মডেলে কিংবা নিন্ম ফেসিলিটির অফিস বা কমার্সিয়াল স্পেইসে ফায়ার স্প্রিঙ্কলার ব্যবস্থাকে খরুচে হিসেবে বাতিল করা হলেও এটাই সবচেয়ে নিরাপদ কারিগরি সমাধান। এছাড়াও একটিভ অগ্নি নিরোধক হিসেবে বাজারে পাওয়া যায় অগ্নি নির্বাপক বল “একটিভ ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসার বল” যদিও তাদের কর্ম ক্ষমতার স্কোপ লার্জ নয় কিংবা সেগুলো খুব বেশি নির্ভরযোগ্য নয়।

২। ফ্লোর প্রতি একটি করে লোকদেখানো অগ্নির্বাপক সিলিন্ডার বসানো থাকে (ফ্লোর স্পেইস ও মাথাপিছু ক্যাপাসিটি অনুসারে তা একেবারেই অপর্যাপ্ত) , অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলা মেয়াউত্তীর্ণ থাকে। এইগুলা বছরে দু'বার পরিদর্শন করে তার উপর দিনক্ষণ উল্লেখ সহ যাচাইকারী কর্তৃপক্ষের স্টীকার থাকার কথা। অগ্নির্বাপক সিলিন্ডারের সংখ্যা ফ্লোর স্পেইস ও জনমিতিক হিসেবে মাথপিছু হারে এবং বিল্ডিং কোডের নাজুকতার দিক থেকে বিপদজনক মাত্রার বিপরীতে মজুদ থাকার কথা। আমরা দেখছি, ঢাকার কোন ভবনেই এমন মাথাপিছু সংখ্যায় ও হালনাগাদ তথ্যের সিলিন্ডার দেখা যায় না।

৩। বেশ কিছু নতুন ও পুরানো বহুতল ভাবনে ওয়াটার হোজপাইপ বসানো থাকে। অবাক করা ব্যাপার হল এটা পুরাপুরি লোক দেখানো এবং ধোকার জন্য। এই হোজপাইপের সাথে কোন পাম্পের সংযোগ থাকে না। এই ধোঁকাবাজি বাংলাদেশের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার সর্বত্র। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা এগুলা সবই জানেন। ঘুষ মারফত সব ঠিক ঠাক হয়। কথাপ্রসঙ্গে বলি, নতুন ভবনে সৌরবিদ্যুতের বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছিল। সেখানেও চলে এমন ধোকাবাজি। প্যানেল ভাড়া করে এনে ইন্সপেকশন করিয়ে ইউটিলিটি ছাড়পত্র নেয়া হয় যাতে কোন কানেক্টিভিটি থাকে না। সবই হয় জানাশুনা আর ঘুষ লেন্দেনের পরিধির মধ্যেই। এ যেন, দুর্বিত্তপনার এক স্বর্গ!

৪। ইমার্জেন্সি এক্সিট কিংবা ফায়ার এক্সিট এরিয়া, লিফট এরিয়া এবং বৈদ্যুতিক লাইনের যায়াগা এই তিন এরিয়া ফায়ার সেপারেশন দেয়াল দিয়ে আলাদা থাকার কথা। সেপারেশন দেয়াল না থাক্লেও অন্তত এদের মাঝে স্থানগত দূরত্ব থাকার কথা। কিন্তু একই সিঁড়ি ঘরেই পাশাপাশি ইমার্জেন্সি ও সাধারণ সিঁড়ি, লিফট এবং বৈদ্যুতিক কেবলওয়ে তৈরি হয় বাংলদেশে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্পেইস নষ্ট হবে বলে ইমার্জেন্সি সিঁড়ি থাকে না। অতি সংকীর্ণ সাধারণ সিঁড়ি থাকে তাও আবার বন্ধ থাকে। কিংবা লিফট ব্যবহারের পরিবেশ অবান্ধব চর্চার কারণে তা অব্যবহৃত থাকে। অন্য সমস্যা হচ্ছে ভবনের স্পেইস এবং লোক সংখ্যার অনুপাতে হলওয়ে, সিঁড়ির সামনের স্পেইস এবং সিঁড়ির স্পেইস নকশায় থাকে না। ফারুক রুপায়ন টাওয়ারে আগুনে সিঁড়ি এত উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল যে, অতি উচ্চ তাকে জুতা আটকে যাচ্ছিল। আর সব ধোঁয়া সিঁড়ি দিয়েই উদ্গরীত হচ্ছিল। ফলে সিঁড়ি কেউ ব্যবহার করতে পারেননি। লিফট, সিঁড়ি আর বৈদ্যুতিক হলয়ের মধ্যে কোনই সেপারেশন ছিল না।

ঢাকার বহুতল ভবনের আরেকটি সমস্যা সেন্টাল্র এসি কিংবা ডিস্ট্রিবিউটেড এসি। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ভবন গুলোতে সিঁড়ির আশেপাশেই জেনারেটর রুম থাকে। এর কোন নিরাপত্তা জনিত বাস্তবায়ন নেই। এক একটি ভবনের জেনারেটরের গরম বাতাস হুড বা চিমনি ছাড়াই সরাসরি রাস্তায় ছাড়া হয়, রাস্তার বাতাস এত গরম হয়ে ঊঠে যে পথচারী চলাচলে বেশ অসুবিধা হয়। অর্থাৎ এখানেও থাকে না মানসম্মত এক্সস্টেড হট এয়ার এক্সিট। আর ডিস্ট্রিবিউটেড এসি'র ভবন গুলো আরো জঞ্জাল পুর্ণ। এসির জন্য নির্ধারিত স্পেইস নাই, যেখানে সেখানে যে ভাবে পারা যায় যে কোন সংখ্যায় এসি বসানো হয়।অত্যন্ত ভয়ঙ্কর দিক হচ্ছে ভবনের বৈদ্যুতিক ড্রাফটিং এ ব্যবহৃত কেবল, সার্কিট ব্রেকার ও অন্যান্য সারঞ্জামের বৈদ্যুতিক লোড সক্ষমতার সাথে এসি সহ অন্য সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সংখ্যা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে দু ভাবে আগুন লাগে-ক। অতি লোডে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে। খ। এসি'র এক্সজস্ট থেকে। বুয়েটের গবেষণা বলছে, দেশের অন্তত ৭০ ভাগ অগ্নিকান্ড বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘটে।

৫। ভবনের বাইরে রাস্তার দিকে কোন ফায়ার এক্সিট বা সিঁড়ি বা অন্য ব্যবস্থা থাকে না। ভবনে কার্নিশ থাকে না। উচ্চ তাপমাত্রার দেশে কাঁচের দেয়াল বেষ্টিত বহুতল ভবন করা হয়, দেখতে সুন্দর লাগে কিন্তু এই ভবন গুলো টেকসই নয়, পরিবেশ বান্ধবও নয়। অন্যদিকে এগুলা একেবারেই নিরাপত্তা হীন। আগুনে কোথায় কাঁচ ভাংতে হবে কোন নির্দেশনা থাকে না, কাঁচ ভাঙ্গার টুল থাকে না। ফায়ার সার্ভিস এসে কোথায় সেইফ এক্সিটের জন্য ল্যাডার লাগাবে সেটাও কেউ জানে না। একেবারেই অপব্যবস্থা যাকে বলে।

৬। ভবনের উচ্চতা ফায়ার সার্ভিসের ওয়াটার স্প্রে সক্ষমতার সাথে সমন্বিত নয়। ফায়ার সার্ভিস সর্বোচ্চ ১০ তলায় পানি স্প্রে করতে পারে। অথচ ব্যাপারটা এরকম হওয়ার কথা, একটি শহরে ফায়ার সার্ভিসের কারিগরি সক্ষমতা যদি ১০ তলার উপরে পানি বা ক্যামিক্যাল কেন্দ্রিক অগ্নিনিরোধে অক্ষম হয়, তাহলে সেখানে ১০ তলার উপরে ভবন উঠাবে না। যদি উঠাতে হয় তা হলে আগে, অগ্নিনিরাপত্তার কারিগরি সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। যদি ভবনের অগ্নি নির্বাপণের জন্য একটি নির্দিস্ট দূরত্বে (ধরুন ৩০০-৪০০ মিটার) ওয়াসার ওয়াটার হাইড্র্যান্ট কিংবা জলাধার না থাকে তাহলে ভবন নির্মাণের অনুমতি মিলবে না। অর্থাৎ লার্জ স্কেইল ফায়ার ডিফেন্সের পানি না থাকলে ভবন উঠবে না। এমনই হবার কথা, এভাবে নির্মাণ করলে একদিকে নগর নান্দনিক হয়, হয় নিরাপদও। উল্টো আমাদের নগরে চলছে জলাধার ও খাল দখল ও ভরাটের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মাফিয়াগিরি। হতাশার ব্যাপার যে, উপর থেকে লাফ দিবার জন্য একটা বাতাস ভর্তি জাম্পিং প্যাডও থাকে না ফায়ার ডিফেন্স ও ভবন মালিকের।

চকবাজার আগুণের পরে এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় অগ্নিসনদ প্রণয়নকারী বিশেষজ্ঞ (বুয়েট অধ্যাপক) জানিয়েছেন, কোন কারণে ফায়ার কোড সংশ্লিষ্ট কমিটিতে উনি এখন আর নাই। জাতীয় বিল্ডীং কোডেরও এই অবস্থা, আপনি ন্যায্য নীতিমালার বাস্তবায়ন চাইলেই পদে থাকবেন না। অর্থাৎ আইন ও নিয়ম ফাইলবন্ধী। নয়তলার ওপর ভবন করতে গেলে রাজউকসহ কমপক্ষে দশটি সরকারি সংস্থার ছাড়পত্র লাগে- এই ছাড়পত্রের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রও আছে। রাজউকের দায়বদ্ধতা নেই, বরং রাজউক ঘুষ ও দুর্নীতির খনি। কোন নকশার ফাইল আটকালেই, বা যে কোন নোটিশের বিপরীতেই শুরু হয় ঘুষ, না হয় আসে উপরতলার ফোন।

দেশে স্থপতি ও প্রকৌশলীদের প্রতিষ্ঠান আছে। আছে ভবন নির্মাতাদের প্রতিষ্ঠান রিহাব। আছে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থাপত্য বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা। কিন্তু এদের কাজ দেখলে মনে নয়, পরিবেশ বান্ধব বা জলবায়ু নিরাপত্তা বা এমনকি নাগরিক নিরাপত্তার কোন বোধ এদের মাঝে প্রতিষ্ঠান গত ভাবে গড়ে উঠেনি। খেয়াল করবেন ঢাকায় রাস্তা, গণপরিবহন এমনকি বহুতল ভবন কোথাও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোন সুবিধা নেই। নেই রোগী ও পথচারী কিংবা বয়োবৃদ্ধদের জন্যও, পাখপখলি কিংবা প্রাণ ও প্রকৃতি বোধ তো দুরের কথা। ঢাকার ফুটপাথ দেখলে মনে হয় এই নির্বোধরা শুধু টাকার বিনিময়ে নিজের, সরকারি চোরের আর বেসরকারি মালিকের লোভাতুর পারপাজই শুধু সার্ভ করে।

মোটকথা ঢাকা শহরের অধিকাংশ হাইরাইজ বিল্ডিং নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়না। অথচ কারো কোন শাস্তি নেই কারণ আছে ঘুষের দফারফা। নিয়মবহির্ভূত ভবন নির্মাণ করলে ইউটিলিটিজ অর্থাৎ পানি, বিদ্যুৎ,পয়ঃনিষ্কাশনের সংযোগ পাওয়ার কথা নয়, আবার নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে কি না তা ইনস্পেকশন/তদন্ত করেই ইউটিলিটিজ সংযোগগুলো দেওয়ার কথা। এমনকি ভাড়াটিয়া পরিবর্তন হলেও নতুন ইন্সপেকশন হবার কথা। কিছুই হয় না, যেটা হয় সেটা হচ্ছে ঘুষ, উপরতলার ফোন আর তদবিরে দফারফা।

৭। ২০০৯ এ বসুন্ধরায় আগুন লেগেছে ৯ তলায়, ফায়ার সার্ভিসের পানি উঠেনি, ১০ বছর পরে ফারুক-রুপায়ন টাওয়ারে আগুন লেগেছে সেখানেও ১০ তলার উপরে পানি উঠেনি। বরং দেখা গেছে ফাটা পাইপের লীক সারাতে বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে এক ছোট্ট ছেলে পলিথিন মুড়িয়ে ধরে আছে। অন্যদিকে হেলিকপ্টারে লেকের পানি আনার উদ্যোগ বাবমি বাকেটের তলা ফুটার কারণে ভেস্তে গেছে। অর্থাৎ সক্ষমতা তো বড়েইনি বরং হাতে থাকা যন্ত্রপাতি কিংবা টুলগুলো কাজ করে কিনা তার তদারকিও ঠিক ঠাক নেই।

ফায়ার ডিফেন্স কাজের প্রকৃতির দিক থেকে খুব মানবিক কাজ হলেও কাজের প্রতিকূলতার দিক থেকে খুব বেশি শ্রমঘন, বিপদ্দজনক। তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আমরা প্রতিবারই স্যালুট জানাই। কিন্তু তাঁদের উপরস্তরের ব্যবস্থাপকেরা পদ পেলেই তেল্বাজিতে নেমে ব্যক্তি স্বার্থে নেমে পড়ে ফলে ফায়ার ডিফেন্সের কারিগরি সক্ষমতা আসে না। আর নূন্যতম নিরাপত্তা বোধ হীন ও কারিগারি জ্ঞানে অজ্ঞ লোকেরা রাজনীতি করে বলে (তাঁদের কোন মানসম্মত ট্রেনিং নেই) ফায়ার সার্ভিস সবসময়ই অবহেলিত। যাকিছু বাজেট তার সিংহভাগ খরচ হয় বেতন, ভ্রমণ, ভবন নির্মাণ, কর্তাদের ব্যক্তিগত টান্সপোর্ট সহ অকারিগরি খাতে। উচ্চ কারিগরি সক্ষমতা কিংবা কর্মী ট্রেনিং এ ব্যয় সীমিত। আঞ্চলিক দেশগুলোর দুর্ঘটনায় যেখানে আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারে অংশ নেয়, সেখানে শরিক হয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কারিগরি সক্ষমতা তৈরিরও কোন বোধ নেই রাজনৈতিক ব্যবস্থাপকদের। বিদেশ ভ্রমণ ও ট্রেনিং লুটে নেয় অকারিগরি ব্যবস্থাপকেরা।

ফলে নগর পরিকল্পনায় ফায়ার ডিফেন্সের নির্দেশনার সঠিক বোধ জন্মেনি, অন্যদিকে এই নির্দেশনা গুলোকে অসচেতন ও লোভী নাগরিকেরাও বাধ্যবাধকও মনে করে না। যা করে সবই না পারতে। নিরাপত্তার নূন্যতম বোধ তাড়িত হয়ে হয় না নির্মাণ। বলতে গেলে কোন বাসা বাড়িতেই নেয় ফায়ার ডিটেক্টর কিংবা কার্বণ মনোক্সাইড ডিটেক্টর। স্মোক বা ফায়ার ডিটেক্টর ও কার্বণ মনোক্সাইড ডিটেক্টর দেশে উৎপাদন করে সর্বত্র এর ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করারও কোন বোধ নেই। এ এক অদ্ভুত নাগরিক সমাজ, প্রশাসন ও সরকার ব্যবস্থা।


৮। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্যাপার হচ্ছে- অগ্নি নিরাপত্তার সমন্বিত পরিদর্শন এবং অগ্নি নিরাপত্তা অনুশীলন (ফায়ার ড্রীল)।

অগ্নি নিরাপত্তার সমন্বিত পরিদর্শন
প্রতিটা ভবনের ফায়ার এলার্ম সিস্টেম এবং ফায়ার ডিফেন্স প্রসেস ও টুলস কাজ করে কিনা তা বছরে দুবার পরিদর্শনে পড়ার কথা। বছরে দুবার ফায়ার ড্রিল হবার কথা। একটি ফায়ার পরিদর্শনে থাকবে রাজউক, ফায়ার ডিফেন্স, ওয়াসা, বিদ্যুৎ গ্যাস, মালিক ও ভাড়াটিয়া এমনকি ইনস্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিনিধি। এগুলো ডকুমেন্টেড হবে এবং ফলাফল অনলাইনে দেখা যাবে। এখানে ভবনের সমস্ত কারগিরি ও নিরাপত্তা ত্রুটি বেরিয়ে আসবে। এর বিস্তারিত অনলাইনে পাওয়া যাবে যাতে একজন ব্যক্তি ভাড়াটিয়া, সাধারণ ব্যবসায়ী বা কর্পোরেইট অফিসের ভাড়াটিয়া জেনে বুঝে ভাড়া নিতে পারেন। একজন চাকুরিজীবি তার কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন থাকতে পারেন।

আর অগ্নি নিরাপত্তা অনুশীলন (ফায়ার ড্রীল) উপরোক্ত বিষয়াদির মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন মনে করি। জনাকীর্ণ শহরে, যানজটের রাস্তায়, সর্বেসর্বা দুর্নীতির রাজনৈতিক প্রশাসনিক বহুমাত্রিক যোগসাজশে ফায়ার সার্ভিসের উচ্চ কারগরি সক্ষমতার কাঙ্ক্ষিত সেবা সঠিক সময়ে পৌঁছাবেনা জানার পরেও বছরে ২ বার ফায়ার ড্রীল না করা ভয়ঙ্কর পর্যায়ের উদাসীনতা ও চরম দায়িত্বহীনতা। ফায়ার ড্রিলের উদ্দেশ্য থাকে যে কোন অগ্নি দূর্বিপাকে ঠিক কত সময়ের মধ্যে একটি ভবনকে (সাধারণত ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট) জনশূন্য করা যাবে। এর জন্য আগে সুনির্দিস্ট নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং ট্রেনিং দেয়া হয়। পরে দৈবভাবে কৃত্তিক এলার্ম তৈরি করা হয়। ১৫ মিনিটের মধ্যে জনশূন্য না করা গেলে কারিগরি অসক্ষমতা, নিরাপত্তা ত্রুটির এবং ভীড় ও বহিরাগমন ব্যবস্থাপনার খত গুলো শুধারনো হয়। এভাবে ভবন ব্যবহারকারীরা এমার্জেন্সি এক্সিট নিয়ে সচেতন হতে পারেন এবং জরুরি সময়ে বিচার বুদ্ধি খাটাতে সক্ষম হন।

এক একটি বহুতল ভবন নির্মাণ বাংলাদেশে বহু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বৈধ ও অবৈধ উপার্যনের পথ খুলে দেয়। এরমধ্যে বাঁকা পথ গুলো বন্ধ হয়ে ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সেন্সিবল ও নিরাপদ হোক। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

গরল বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে আসলেন, সময়োপযগী ভাবনা। আমাদের এসব নিয়ে চিন্তা করার মানসিকতা নাই। সরকারের কথা বাদ দিলাম, আমরা নিজেদের বাসায় কয়জনের ফায়ার এক্সটিংগুইসার আছে বা অন্তত দুই বালতি পানি মজুদ রাখি সবসমর নিরাপত্তার জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সরকারের কথা বাদ দিলাম, আমরা নিজেদের বাসায় কয়জনের ফায়ার এক্সটিংগুইসার আছে বা অন্তত দুই বালতি পানি মজুদ রাখি সবসমর নিরাপত্তার জন্য

আমরা এমন কেন?

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য কথা হলো- ঢাকা'র যা অবস্থা, সেই তুলনায় দুর্ঘটনা (?) তো কমই ঘটে। আরও অনেক বেশী ঘটার কথা। আল্লাহর রহমত আছে বলতেই হবে!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ঢাকা'র যা অবস্থা, সেই তুলনায় দুর্ঘটনা তো কমই ঘটে!!!

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: তথ্য উপাত্তসহ ঢাকা নগরীড় সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্টটা পড়ে জঙ্গলে জানোয়ার ধরার জন্য পেতে রাখা মৃতূ্ফাদ্গুলোর কথা মনে পরছে। জানোয়ারেরাও যেমন জানে না কে কখন এই ফাদে পড়বে, এই ঢাকা নগরীর মানুষরাও জানে না কে কখন কোন মৃতু্ফাদে পড়তে যাচ্ছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: জানোয়ারেরাও যেমন জানে না কে কখন জঙ্গলর ফাদে পড়বে, এই ঢাকা নগরীর মানুষরাও জানে না কে কখন কোন মৃতু্ফাদে পড়তে যাচ্ছে।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার একটা লেখা।

আমাদের আইন, নীতি-নিয়মের কোন কমতি নাই। প্রচুর আছে....দরকারীও আছে, বেদরকারীও আছে।
যেটা নাই, সেটা হলো ঘুষ-দূর্ণীতি বন্ধের কোন উদ্যোগ। বন্ধ কে করবে? যারা করবে তাদেরই তো প্রধান আয়ের উৎস এইটা!! X(
এটা বন্ধ না হলে কিছুই কাজ করবে না। দু'দিন পর পর মানুষ মরবে। আমরা বুক, কপাল চাপড়াবো.....তারপর ভূলে যাবো।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দু'দিন পর পর মানুষ মরবে। আমরা বুক, কপাল চাপড়াবো.....তারপর ভূলে যাবো।

এমনই হয়ে আসছে, বরাবর!

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: বহুতল ভবনের অগ্নি নিরাপত্তাঃ সর্বেসর্বা দুর্নীতির বিপরীতে নিরাপদ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা! শিরোনাটাই সব কিছু বলে দেয়। এই চমৎকার পোস্ট নিয়ে অনেক কিছু বলার ছিল, কিন্তু চোখ আর মাথা কোনটাই ঠিক মতো কাজ করছে না, তাই হয়তো তেমন ভাবে বলতে পারব না।

নয় তালার চাইতে বেশি উঁচু যে কোন ভবন নির্মাণ করার আগে যে দশ জায়গা থেকে ছাড়পত্র নিতে হয় ফায়ার সার্ভিস তার একটি। অগ্নি বিভাগ ঠিক কি কি দেখে ছাড়পত্র দেবার কথা সেটা আমি জানি, তাই বহুতল ভবনে গেলেই লিফট, স্টেয়ার কেস, ইমারজেন্সি এক্সিট ঠিক আছে কিনা দেখি, নিছকই কৌতূহল; স্থপতি কেমন ডিজাইন করলেন সেটা দেখা এবং নির্মাতা কেমন নির্মাণ করলেন সেটা দেখাই উদ্দেশ্য। বিশ্বাস করুন শতকরা একশভাগ বাড়িতে আমি দেখেছি অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়টাকে পুরাপুরি অবহেলা করে নির্মাণ করা হয়েছে। সবচেয়ে হাস্যকর- যেটাকে ইমার্জেন্সি এক্সিট' বলে তৈরি করা হয়, সেটা একটা এমন সিঁড়ি, তিন তালা পর্যন্ত যার প্রস্থ সাড়ে তিন ফিট আর পাঁচ ছয় তলায় গিয়ে কমতে শুরু করে হয় দুই ফিট প্রস্থ! আমি যে বহুতল বাড়িতে থাকি, সেটার ইমারজেন্সি সিঁড়ির প্রস্থ দুই ফিট, মন্তব্যে ছবি দেয়া যাবে না বলে দেখাতে পারলাম না। প্রস্থ কমানোর মাধ্যমে নির্মাতা কিছু টাকা সাশ্রয় করলেন, কিন্তু অগ্নি নিরাপত্তার সার্টিফিকেট পেলেন কি করে? পুরোটাই দুর্নীতি। আমার ভবনে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও আছে, দু'বছর ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ।

কিন্তু সদিচ্ছা থাকলেই নিরাপদ ভবন তৈরি করা যায়। আমি একটি তরুণের সাথে আলাপ করছিলাম যে, আমি কোথাও পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখিনি। তখন সে জানালো, সে যে অফিসে কাজ করে সেখানে নিয়মিত অগ্নি নিরাপত্তা ড্রিল হয়। তাদেরকে প্রথমেই জানানো হয়েছে ফলে কিভাবে ইমার্জেন্সি এক্সিট' দিয়ে বের হতে হবে। এমনিতে অফিসে স্মোক ডিটেক্টর আছে, ধোঁয়া ডিটেক্ট করলেই ছাদের স্প্রিংক্লার থেকে পানি পড়া শুরু হয়। ফায়ার অ্যালার্ম বাজার সাথে সাথে ফ্লোরে লাইটের এ‍্যারো জ্বলতে শুরু করে, যেটা ইমার্জেন্সি এক্সিট 'নির্দেশ করে। সকলে ধীরে সুস্থে সেই পথ দিয়ে নেমে যায়, এবং নেমেই আগে শেখানো অনুযায়ী নিজের গ্রুপে ভাগ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, প্রত্যেক গ্রুপ মাথা গুনে দেখে সবাই আছে কিনা। এই পুরো কাজটা দশ মিনিটের মধ্যে হয়। কবে আগুন লাগবে, আদৌ লাগবে কিনা তার ঠিক নেই অথচ এই অফিস কর্তৃপক্ষ ( নির্মাতা?) অগ্নি নিরাপত্তার জন্য এত ব্যবস্থা নিল! খুবই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, অফিসটা কাদের? কোরিয়ানদের, স্যামসাং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, মোনেম বিজনেস লিমিটেডে অবস্থিত।

আপনার পোস্টটা খুব ভালো হয়েছে। এই এটা স্টিকি করলে ভালো হবে। ভালো থাকবেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সদিচ্ছা থাকলেই নিরাপদ ভবন তৈরি করা যায়। সঠিক বলেছেন।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

হাবিব বলেছেন: এই যে সমস্যার বেড়াজালে আমরা আটকে আছে এর থেকে বের হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। মাঝে মাঝে চিন্তা করি, কি অবস্থা ঢাকা শহরের!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বের হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়,
তাই বলে চেষ্টারও ত্রুটি নয়.।.।.। স্যার!

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

জুন বলেছেন: করুনাধারার প্রসংগ টেনে বলতে হয় যে সেই দুই ফিট সিড়ি আবার অনেকে মালপত্রের গোডাউন বানিয়ে রেখেছে। বিপদের সময় নামার কোন কায়দা নেই।
আমার জানা মতে ঢাকায় আরেকটি বিল্ডিং এ নিয়মিত ফায়ার ড্রিল হয় সেটা আইডিবি ভবন।
আমার ছেলে এ আই টি থেকে ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস মিটিগেশন এন্ড ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করা। তাকে জিজ্ঞেস করলাম এ বিষয় নিয়ে। সে বল্লো এর জন্য যে পরিমান খরচ করতে হয় তা করবে নাকি আমাদের দেশের মানুষ? আর করবেই বা কেনো যে দেশে অন্যায়ের শাস্তি নেই, আইন নেই কানুন নেই, মানুষের জীবনের মূল্য নেই। অপরাধীরা গুরুতর অন্যায় করেও ছাড়া পেয়ে যায়, তারা চাইবে কি করে অল্প খরচে বেশি টাকা আয় করতে। তারা ফায়ার সেফটির জন্য কি এত এত টাকা খরচ করবে নাকি!
আসলেও সত্যি নিরুদ্দেশ পথিক। তারপর ও কি কষ্ট আর মায়া লাগে নিরপরাধ / অসহায় মানুষগুলোর জন্য। যার যায় সে বোঝে, আমরাও বুঝি কিন্ত তারাই বোঝে না যাদের বোঝা দরকার।
+

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: করুনাধারার প্রসংগ টেনে বলতে হয় যে সেই দুই ফিট সিড়ি আবার অনেকে মালপত্রের গোডাউন বানিয়ে রেখেছে। বিপদের সময় নামার কোন কায়দা নেই।
এটাই বাস্তবতা জুন আপু!

কি ভয়ঙ্কর মানসিকতা আমাদের!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:০৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমার ছেলে এ আই টি থেকে ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস মিটিগেশন এন্ড ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করা। তাকে জিজ্ঞেস করলাম এ বিষয় নিয়ে। সে বল্লো এর জন্য যে পরিমান খরচ করতে হয় তা করবে নাকি আমাদের দেশের মানুষ?

উনি সম্ববত একটিভ ইন্সটল্মেন্ট নিয়ে কথা বলেছেন। মানে ফায়ার স্প্রিংক্ললার নিয়ে, এই টেকনোলোজি নিজেই আগুন সনাক্ত করে পরিমাণ মত পানি স্প্রে করে আগুন নিভিয়ে ফেলে স্ব্যংক্রিয়ভাবে। বাংলদেশে ঠিক কয়টা ভবনে এই একটিভ ফায়ার স্প্রিংক্ললার আছে আমার জানা নেই। এটা খরুচে হলেও বেশ নিরাপদ। এতে অপারেটর লাগে না।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই অসাধারন তথ্যপূর্ণ দারুন ভাবনায় সঠিক সমাধানের দিশা পূর্ণ লেখনি।

হা হতোম্যি। যারা নজর দেবার প্রয়োজন তারাই যে বিচারক!
আমজনতাকেই জাগতে হবে। নিজেদের প্রয়োজনে। ঘুষখোর যারা তারাতো এই মাটিরই সন্তান। কারো বাপ, কারো ছেলে কারো স্বামী!
সামাজিক সাংস্কৃতিন আন্দোলনে ঘুষকে ঘৃন্য অপরাধ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
জীবন বোধে 'আরো চাই আরো চাই' চেতনার নাশ করতে হবে।
স্বাভাবিক মৌলিক চাহিদা পূরনে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে।
তবেই বোধকরি এ্ প্রকোপ কমবে।

++++++++

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সামাজিক সাংস্কৃতিন আন্দোলনে ঘুষকে ঘৃন্য অপরাধ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক,



চরম বাস্তবতার ছবি একেছেন। আর কিছু বলার নেই। যে সব প্রতিষ্ঠানের মাথাওয়ালাদের কথা বলেছেন তাদের সম্পর্কে শুধু ব্লগার চাঁদগাজীর কথা ধার করে বলি - পিগমী মগজ। অথবা - প্রশ্নফাঁস জেনারেশন।

ব্লগার করুণাধারা আর জুন এর মন্তব্যেও বাস্তবতার ছাপ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আইন আছে, নীতিমালা আছে কিন্তু এর প্রয়োগই সব স্বার্থের সুযোগ তৈরি করে দেয় কারণ আইন ও নীতিমালা গুলো ইচ্ছাকৃত কনফ্লিট অফ ইন্টারেস্ট জিইয়ে রেখে করা।

তবে সৎ ভাবে চাইলে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট (ঘুষ ও দুর্নীতির পয়েন্ট) গুলো সরিয়ে হিউম্যান ইন্টারভেনশন হীন প্রসেস অটোমেশন এনে দুর্বিত্তপণা গুলোকে ওভারকাম করা যায়।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: এক একটি বহুতল ভবন নির্মাণ বাংলাদেশে বহু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বৈধ ও অবৈধ উপার্যনের পথ খুলে দেয়। -- এটাই হচ্ছে মূল কথা। এই অবৈধ পথের মুখটা পরিষ্কারভাবে সিলগালা করে দিতে পারলেই এই রকম দুর্ঘটনাও তখন বহুলাংশে কমে যাবে।

কিন্তু কথা হচ্ছে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? যাঁহারা ঘন্টা বাঁধবেন তাহারাই যদি... :(

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এক একটি বহুতল ভবন নির্মাণ বাংলাদেশে বহু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বৈধ ও অবৈধ উপার্যনের পথ খুলে দেয়। এরমধ্যে বাঁকা পথ গুলো বন্ধ হয়ে ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সেন্সিবল ও নিরাপদ হোক।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


৭ তলা, ও তার চেয়ে বেশী উঁচু বাড়িগুলো ও ৫০ জনের বেশী শ্রমিক কাজ করেন, সেই ধরণের কারখানাগুলো বছরে ১ বার ইনস্পেকশন সম্ভব কিনা?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব সম্ভব। ২ ভাবে-

১। থার্ড পার্টি ইন্সপেকশন হবে। ওদের কাজই হবে একটা মানসম্মত চেকলিস্ট ধরে ধরে ইন্সপেকশন করবে আর ইন্সপেকশন শেষে তারা আগে থেকেই স্টান্ডার্ড রিপোর্ট ফর্মেট পুরণ করে জমা দিবে, সাথে সাথে এই রিপোর্ট অনলাইনে আপ্লোড করে দিবে।

প্রতি রিপোর্টের বিপরীতে তারা টাকা পাবে- মালিক ও সরকারের উভয়ের কাছ থেকে। তাঁদের কাজই হিবে ইন্সপেকশন করা। জরিমানা বা লিগ্যাল নোটিশ দেয়া তাঁদের কাজ হবে না।

জরিমানার টাকা অটোমেটিক ভ্যাট নম্বরে বা ন্যাশনাল আইডি ডেটাবেজে ঢুকে যাবে। নতুন কোন সেবা নিতে গেলে সিস্টেমে তা উঠে আসবে। পরিশোধ শেষেই শুধু নতুন সার্ভিস পাবে। কার্পোরেট গ্রাহক বা বিজনেসের ক্ষেত্রে তা আরো সহজ, কেননা তার টিন আছে, ভ্যাট নম্বর আছে।

২। আইওটি ক্যাপাবল ডিভাইস দিয়ে কিছু ইন্সপেকশন রিমোট করা যায়। কিছুটা খুরুচে। বাংলদেশে যেহেতু বেকারের অভাব নাই তাই এটা পরে করলেও হয়। সমস্যা দেখি না।

বাংলদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে আমরা বলছি "কর্মহীন প্রবৃদ্ধি" বা জবলেস গ্রোথ। কেননা এখানে টাকা ইনকামের সাথে নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুমুন্নত রাখার, কর্মসংস্থান গত টার্গেট এচিভ করার চাপ নাই।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আরেকটা কথা-
বছরে একবার ইন্সপেকশন কিছুটা কম হয়ে যায় কারণ সমাজ ও ব্যবসা চূড়ান্ত ভাবে অপরাধ প্রবণ। ফলে দেখা যাবে সব আছে কিন্তু ইন্সপেকশনের পরেই আবার সেইফ এক্সিটের সিঁড়িকে গোডাউন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। কিংবা হোজ পাইপ ভাড়া করে এনে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

তাই ইন্সপেকশন নোটিস ছাড়াই র‍্যান্ডমলি করতে হবে, বেশি ফ্রিকুয়েন্সি (২ বার) করলে ধরা পড়ার সম্ভাবনাও বাড়াবে।

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

অন্তরা রহমান বলেছেন: দেশটাই যেন একটা জ্বলন্ত চুল্লী হয়ে উঠছে। সতর্ক হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। নিজেদেরটা নিজেদেরই দেখতে হবে। অলরেডি এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের কমিটিকে ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশারের কথা বলা হয়েছে। দেখা যাক। বাকিটা উপরওয়ালার হাতে।

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঢাকা'র যা অবস্থা, সেই তুলনায় দুর্ঘটনা তো কমই ঘটে!!!

ইয়েস।

১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:০৫

নাসির ইয়ামান বলেছেন: বাঙালীর দুইশ বছর গোলামীর রেশ আরো একশো বছরেও কাটবে না!

১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
আইওটি রিমোট কন্ট্রোল অবকাঠামো শুধু গ্রামীণফোন করছে দেখলাম। আপনার মতামত আশা করছি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আইওটি টেকনোলজিঃ
১। লিগেসি আইওটি - ২জি ও ৩জি র সীম দিয়ে এপ্লিকেশন ডিভাইস থেকে ডেটা নেয়া। বাংলাদেশে এটা ইমপ্লিমেন্ট করা যায়নি অর্থাৎ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির মিটার থেকে রিমোটলি মিটার রিডিং ক্যাপাবল মিটার বসানো হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোর অদুরদর্শিতা এবং কারিগরি অজ্ঞানতা আছে তবে মূলত এটা করা হয়নি মিটার রিডিংকে ঘুষ বান্ধব করে রাখার চক্রের কারণে।

২। একচুয়াল আইওটি টেকনোলজিঃ
ক। ন্যারো ব্যান্ড আইটি-সীমিত আকারে ৪জির ফ্রিকুয়েসি তেই একই নেটোয়ার্কে আইওটি সেল ডিফাইন করে আইওটি সেবা দেয়া। তবে সেবা নেয়ার মত ক্যাপাবল বিশেষ বিশেষ ডীভাইস ইমপ্লিমেন্ট না করলে এটা কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
খ। এল্টিই আইওটিঃ ৪জির গার্ড ফ্রিকুয়েসি তে করা হয়। বেশ সক্ষম আইওটি নেটোয়ার্ক। হিউজ কানেক্টিভিটি দিতে পারে। বর্তমানে মিলিয়ন মিলিয়ন পেমেন্ট মেশিন, বিদ্যুৎ গ্যাস পানির ইউটিলিটি মিটার, পিসি, যে কোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এপ্লিকেশন মিটার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেটা রিডার, ফায়ার ডিফেন্সের একটিভ এন্ড প্যাসিভ এক্সটিঙ্গুইসার এলিমেন্টস, স্ট্রীট সেন্সর, পার্কিং সেন্সর, সাইকেল-কার, যে কোন কমার্শিয়াল সেন্সর, এমনকি বৈদ্যুতিক লাইট ইত্যাদিকে এল্টিই আইওটিতে মাইগ্রেট করা হচ্ছে।
গ। এর বাইরে আছে স্ট্যান্ডন এলোন (৪জি ছাড়াই আলাদা) আইটির ফ্লোরা আইওটি নেটোয়ার্ক, তবে আই ট্রিপল ই মনোনীত নয় বলে সেটা খুব বেশি দূর আগাতে পারছে না।

জিপি তার নেটোয়ার্কে আইওটি অন করেছে ফিচার হিসেবে। কিন্তু তার ব্যবহারকারী কারা এবং সংখ্যায় কত সেটা আমাদের জানা নেই!

১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এনবি-আইওটি, ব্যবহারকারী কারা?
এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে সম্প্রতি চালু হয়েছে। আপাতত ব্যাবহারকারি হবে সরকারি ইউটিলিটি সমুহ বিদ্যুৎ গ্যাস, পানি।
বন্যা নিয়ন্ত্রন গেইটের সাটার, দুর্গম এলাকার পাওয়ার গ্রিড সার্কিট ব্রেকার নিয়ন্ত্রন, জরুরি অবস্থায় গ্যাস ট্রান্সমিশন লাইনের ভাল্ব বন্ধ করা। বেসরকারি ব্যাবহার এমনকি ব্যাক্তিগত ব্যাবহারও সম্ভব, কৃষকের ইরিগেশন পাম্প চালু/বন্ধ, বাসার দরজা লক, বাগানের পানি চালু/বন্ধ।
বিশ্বের মাত্র ৪৫টি উন্নত দেশ এই টেকনোলজি (এনবি-আইওটি বা এলটি নেটওয়ার্ক) ব্যাবহার করছে, ভারত পাকিস্তান এখনো শুরু করতে পারে নি। মধ্যপ্রাচ্যে শুধু সৌদিয়ারব আর আমিরাত।
দক্ষিণ এশিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।
আমেরিকায় সকল বিদ্যুৎ গ্যাস পানির ইউটিলিটি মিটার এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক মনিটর করছে।
বাংলাদেশে শুধু ইন্ডাস্ট্রির বিদ্যুৎ মিটার কেন্দ্রিয়ভাবে মনিটর সম্ভব হলে শতকোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল চুরি বন্ধ সম্ভব হবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:০৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপাতত ব্যাবহারকারি হবে সরকারি ইউটিলিটি সমুহ বিদ্যুৎ গ্যাস, পানি।

--তার আগে যাবতীয় বিদ্যুৎ গ্যাস, পানির মিটার পরিবর্তন করে আইওটি ক্যাপাবল মিটার ইন্সটল করতে হবে। বর্তমানে কোটি কোটি মিটারের মধ্যেও একটাও আইওটি ক্যাপাবল না। শুধু টেস্ট সেন্টারে কিছু ক্যাপাবল ডিভাইস আছে।

১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

ফেনা বলেছেন: সময় উপযোগী পোষ্ট। নিরাপত্তা সংক্রান্ত এত কিছু জানা ছিল না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

তবে কি জানেন আমাদের দেশের প্রশাসনের কিছু মানুষ দূর্নীতির পুজঁ খেয়ে পুষ্ট। যাদের কাজ দেশ এবং দেশের মানুষের বিপদ কামনায় ব্যস্ত। যেখানে যাই কিছু হোক না কেন তাদের টাকা দিলেই সব শেষ। কেউ মরলেই কি আর বাচঁলেই কি!! মাফি মুশকিল।
সর্ব প্রথম তাদেরকে যদি ওয়ার্কশপে দিয়ে হাতুরি পেটা করে তাদের কলকব্জা ঠিক করা যায় তাহলেই যদি দেশের এবং দেশের মানুষের কিছু মংগল হয়।

ভাল পোষ্টের জন্য শুভকামনা।

আপনার লেখাটি জানাও ডট কম এ দিবার অনুমতি চাইছি। জানাবেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:১০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সোর্স উল্লেখ করে লিখা নিতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.