নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
বাংলাদেশের জিডীপি যে চুড়ান্ত মানে কর্মহীন, আমাদের পাচাটা কিংবা ভীত কিংবা নিরীহ বুদ্ধিজীবী মহল বুঝতে শুরু করা বা বলতে শুরু করার বহু বছর আগেই আমরা এগুলা সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্লগে বলে আসছি। যে কোন উন্নয়ন কাজে, নির্মাণ কিংবা উৎপাদন কাজের দুরদর্শী ডিজাইন, মান্সম্পন্ন ও সময় নিয়ন্ত্রিত বাস্তবায়ন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, প্রসেস ফ্লো ঠিক রাখা, নিয়মিত ফলো আপ, ঝুকি ও নিরাপত্তার দিক আমলে নেয়া, পরিবেশ গত সমীক্ষা এবং দীর্ঘ মেয়াদে মেইন্তেনেন্সের জন্য বহুবিধ ডোমেইনের স্কিল্ড এক্সপার্ট ও সেমি স্কিল্ড হিউম্যান রিসোর্স দরকার পড়ে। বাংলাদেশে এই কর্ম যজ্ঞ গুলো কর্মসংস্থান ফেইজের ভিতর দিয়ে না গিয়ে শর্টকাট মারে, অর্থাৎ লাখ ও কোটি পর্যায়ের ঘুষের আদান প্রদানের ভিতর দিয়ে হয়। ফলে টাকার প্রবাহ ঠিকই হচ্ছে, প্রবৃদ্ধি ঠিকই বাড়ছে কিন্তু কর্মের যোগান বাড়ছে না, বাড়ছে শুধু ক্ষমতার পয়েন্টে ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরি করে রাখা কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টের পয়েন্টে পয়েন্টে পুঁজির জোগান। ফলে শীর্ষ ৫% ধনীর সম্পদ বানের জলের মত স্রোতের বেগে বাড়ছে।
ভেজাল বিরোধী অভিযানের পর, দেখা যাচ্ছে নামী দামী দেশীয় সব কোম্পানীও এই একই প্রকৃয়ায় ঢুকে গেছে। সবাই চুরি ও শর্টকাটে নেমে গেছে। ইনভেস্ট করে, কর্ম ক্ষেত্রের পরিসর বাড়িয়ে, দক্ষ কর্মী তৈরির প্রক্রিয়ায় গিয়ে কেউ সৎ ভাবে হালাল ভাবে ব্যবসা করতে চায় না। এই পথ বড় কষ্টের, বড় শ্রমের। বিপরীতে সবাই শর্টকাট টাকা বানানোর মেশিন চায়।
স্ট্যাব্লিশড ব্রান্ডের ইমেজে এক পাঞ্জাবী বেচে যদি ১০ পাঞ্চাবীর লাভ উঠানো যায় কে যাবে ১০ পাঞ্জাবী বেঁচে ব্যবসা করতে? দশ পাঞ্চাবি করতে তো বেশি মজুরি দিতে লাগবে না! বেশি লিজিস্টিক্স লাগবে না! আর ব্রান্ডও জানে যে কিনতে আসে তারও উল্লেখযোগ্য একটা অংশ চুরিতে লিপ্ত, হয় সে সরকারি অফিসের ঘুষ খোর, না হয় ব্যাংক ডাকাত, নয় ঋন খেলাপী, নয় ভেজাল সাপ্লাইয়ার। শুধু গ্যাঁড়াকলে, সেই সব কর্পোরেইট শ্রমিক, সোশ্যাল স্ট্যাটাসের জাঁতায় পড়ে যার ব্র্যান্ডের দোকানে যাওয়া লাগে। যে দেশে ব্যাংক মেরে বড় লোক হওয়া যায়, সে দেশে কষ্ট করে কেন লোকে কেষ্ট মিলাবে, সে তো চুরিতেই নামবে, প্রয়োজনে ডাকাতি করবে!
একটা কোম্পানীর বাৎসরিক টার্ণোভারের ভলিউমের বিপরীতে তার ব্যাবসায়িক কর্মকান্ডের বাস্তব উপস্থিতির পরিসর ও কর্মসংস্থান ভলিউম যাচাইয়ের কোন প্রসেস নেই, বাধ্যবাধকতা নেই। সে কিভাবে টাকা বানায়, ব্যাংকে কিভাবে তার টাকা আসে তা বিবেচ্য না। ফলে অতি স্বল্প সংখ্যক কর্মচারীকে জানোয়ারের মত খাটিয়ে আনলিমিটেড লাভ আসলেও কোন শ্যোশাল ইকনোমিক চেকপয়েন্ট নাই। নাই ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স যাচাই বা কাজের পরিবেশের মান যাচাইয়ের প্রক্রিয়া।
একদিকে ঋন নির্ভর বিদেশী প্রকল্পে শর্ত মোতাবেক বিদেশী শ্রমিক কাজ করে, অন্যদিকে দেশীয় শিল্পে চেষ্টা থাকে ১৪ থেক ১৬ ঘন্টা খাটিয়ে ওভারটাইমের প্রলোভনে স্বল্প শ্রমিকে জানোয়ারের মত শ্রমে কাজ সারানো। অর্থাৎ সরকারি খাত তো বটেই, বেসরকারি খাতও হয়ে উঠেছে কর্মহীন প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র।
আড়ং সম্পর্কে মানুষ জানে যে, গ্রাম থেকে নিজের ডিজাইন দিয়ে পণ্য বানিয়ে আনে, ফলে গ্রামের মানুষের শ্রমের উপর সে নিজের ডিজাইন ভ্যালূ এড করে উচ্চ মূল্যে বিক্রির একটা ভ্যালিডিটি তৈরি করেছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আসলে সব ডিজাইন আড়ং করে না, সে বাইরে থেকে সরাসরি কিনে এনে মানুষকে প্রতারিত করছে। নকশী কাঁথা সহ আরো বেশ কিছু গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গেছে যে অতি নিন্ম মূল্যে কিনে প্রায় ৫ থেকে ১০ গুণের মত দামে বিক্রি করছে যেখানে তার কোন ডিজাইন নেই, ডিজাইন মূলত গ্রামীণ শিল্পী ও মহিলাদের। বাস্তবেই দেখা যায় আড়ং দেশীয় সংস্কৃতির সাথে যায় এমন বহু পণ্যের স্বত্ব আসলেই তার নয়। ফলে এসব পণ্যের উৎপাদন খরচের ৫ থেকে ১০ গুণে পণ্য বিক্রির বৈধতা আসলে তার নয়, কেননা ডিজাইন তার নয়। সাধারণ ভাবে পণ্যের মূল্য কত হবে এটা বাজার উপর ছেড়ে দেয়া চাই। তবে গ্রামীণ শিল্পীর ইনোভেশন ও ডিজাইন ভ্যালূ কেউ মেরে দিতে পারবে না। এখানে গ্রামীণ শিল্পকে সুরক্ষা দিবার প্রয়োজন আছে। গ্রামীণ ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী ও তার মূল স্যাম্পল সাপ্লাইয়ার কিংবা মূল শিল্পীর ডিজাইনের ন্যায্য মূল্য দেয়ার পর পণ্য মূল যা ইচ্ছা তাই একটা ব্রান্ড রাখতে পারে তাতে বাজার অর্থনীতিতে আপত্তি করা যায় না।
অভিযোগ আছে বহু পণ্যের ডিজাইন তারা জেনারেট করে না, বরং স্যাম্পল থেকে আইডিয়া নেয়, বরং এক এলাকার পণ্য থেকে, এক সাপ্লাইয়ার থেকে ডিজাইনের আইডিয়া নিয়ে (পড়ুন চুরি) অন্য এলাকার সাপ্লায়ারকে সেটা নিজেদের ডিজাইন বলে চালিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে নেয়। ডিজাইন নিজস্ব স্বত্ত্বে হলে পণ্যে প্রাইস ভ্যালু বাজার চাহিদামত এড করা যায়, তা মার্কেট ডায়নামিক্স। কিন্তু অন্যের পণ্যের ডিজাইন থেকে আইডিয়া চুরি করলে বা এক অঞ্চলের পণ্যের অবিকল করে পণ্য অন্য অঞ্চলের সাপ্লাইয়ার থেকে বানিয়ে নিয়ে ডিজাইন ভ্যালু এডের নাম করে দাম বাড়ানোটা সাক্ষাৎ প্রতারণা। এই প্রতারণা জাত অর্থে সে ব্যবসা সম্প্রসারণ করলে এটা তার পকেটে যায়, গ্রামীণ যে লোকটা হস্ত শিল্প তৈরির পিছনে বহু সময় আর শ্রম বিনিয়োগ করেছেন তার পেটে সে আসলে লাথি খায়! এটা গ্রামীণ হস্ত ও কুটির শিল্পের স্বাভাবিক বিকাশে বাঁধা। মনে রাখতে হবে, ঢাকার অফিসে এসির বাতাস খেয়ে হস্ত ও কুটির শিল্পের আইডিয়া জেনারেট হয় না। এটা গ্রামীণ পরিবেশের প্রাকৃতিক জ্ঞান লভদ্ধ জীবন যাত্রার বিষয়। বলা যেতে পারে, কেউ কেউ কিছু কিছু পণ্যে আধুনিকতার দিক মূল ডিজাইনে এড করেন। ফলে তা কিন্তু মূল ডিজাইন নয়। আর আড়ং বা এধরনের ব্রান্ড গুলোর রিসার্চ এন্ড ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট উইং কত বড়? এই উইং এর মানবসম্পদ বিভাগের সাইজ তার পণ্য বিক্রির ভলিউমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সেটা যাচাই করলেই ডিজাইন চুরির বিষয় বেরিয়ে আসবে।
বড়ই দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, যেখানে ঐতিয্য ও লোকজ সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল উৎপাদনকারীকে সুরক্ষা দিতে আমাদের "এথিক্যাল প্রাইসিং" এ উৎসাহ দেয়া নিয়ে আলাপ করার কথা সেখানে কিনা আমরা কথা বলছি প্রতারণা ও অস্বচ্চতা নিয়ে!
আমরা প্রায়ই দেশীয় শিল্প পণ্য ব্যবহারের কথা বলি, ভারতীয় ও চাইনিজ পণ্যের অতি ব্যবহারে দেশিয় শিল্প নিয়ে শংকা বোধ করি। কিন্তু নিরেট বাস্তবতা হচ্ছে আড়ং ক্যাটস আই তাঞ্জিম এরা উচ্চ মুল্যের কাপড়ের নামে যা দেয় তা প্রচন্ড বড় প্রতারণা। এর চেয়ে ভারতীয় শাড়ী পাকিস্তানী সালোয়ার চাইনিজ শার্ট প্যান্ট আরো বেশি টেকসই এবং সস্তা বলেই লোকে সেখানে ঝুঁকছে। ফাঁকে দেশীয় শিল্পের ব্র্যান্ডের দোহাই দিয়ে দেশী সংস্কৃতি চেতনার ঘ্রাণ উড়িয়ে এই দেশীয় কোম্পানী গুলো কিছু কামাই করে নিচ্ছে। দেখাবেন এরা বাংলাদেশী পতাকার আদলে পাঞ্জাবী বানায়, নবর্ষের আলপনার ডিজাইনের পণ্য তৈরি করে। অভিজাত পাড়ার মনোরম শোরুমে মনোরোম নারী সজ্জ্বিত পরিবেশ আছে কিন্তু মান্সম্পন পোশাক নেই। উৎপাদনে এরা খরচ করে না করে দোকান সজ্জ্বায় আর রমনীয়তায়। ভাবতে অবাক লাগে ইউরোপের শীর্ষ ব্র্যান্ডের শার্টের চেয়েই দেশীয় ব্র্যান্ডের শার্টের দাম বেশি, কিছু ক্ষেত্রে প্রায় দ্বিগুণ। দেশীয় পণ্য কিভাবে বিকশিত হবে?? লোকে কি সাধে সাধে কলকাতায় শপিং এ যায়?
বাংলাদেশের ব্রান্ড গুলোর আরেকটা বড় ধোঁকাবাজির যায়গা হচ্ছে বিক্রিত পণ্য ফেরত না নেয়া। অথচ ভোক্তা অধিকারের বেসিক হচ্ছে ক্রেতাকে অন্তত ১ সপ্তাহ (ইউরোপে ২ সপ্তাহ) সময় দেয়া যাতে সে পণ্য ফেরত দিয়ে সম্পূর্ণ রূপে টাকা ফেরত পায়। যেসব শোরুমে ট্রায়াল রুম আছে সেখানে পুরো টাকা ফেরত না দিয়ে বিকল্প পণ্য ক্রয়ের শিথিলতা শুধু দেয়া যায়। অথচ আড়ং এর ক্ষেত্রে দেখা গেল সাইজ পাল্টাতে গিয়ে পণ্যের দাম মাত্র কয়েক দিনে দ্বিগুণ হয়ে গেল! এখন তারা বলছে একই পণ্য দুটা সাল্পায়ারের কাছ থেকে ভিন্ন প্রাইস ট্যাগে এসেছে, এটা ডাহা মিথ্যা। কেননা কোন ব্রান্ড একই ডিজাইন একাধিক সাপ্লাইয়ারকে দেয় না। আর অফিসাররের বদলী এবং সমলোচনার মুখে তার প্রত্যাহারের ঘটনা বুঝা গেল যে ব্রান্ড ইমেজ রাখতে এরা যায়গা মত মোটা অংকের ঘুষের আদানপ্রদান করেছে এই স্বল্প সময়েও। ফলে এটাও অনুমিত যে এদের ব্যবসার অনেক কিছুই প্রতারণা ও মিথ্যার সাথে মিত্রতা করেই হয়।
তথাপি বলতে চাই, দেশীয় শিল্প টিকে থাকুক। তাই আড়ং এর পণ্য বয়কটের আত্মঘাতী ডাকের বিরুদ্ধে দাঁড়াই। সাময়িক হলেও শোরুম বন্ধের চেস্টাও স্থানীয় শিল্প ও কর্মসংস্থানের দিক থেকে আত্মঘাতী, তারও প্রতিবাদ করি। আর শুধরানোর সময় না দিয়ে প্রথম আর্থিক পেনাল্টিকে পাব্লিক ও মিডিয়া করার চেষ্টাও বেঠিক। এতে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যদি কোন ব্র্যান্ড শোধরানর একাধিক নোটিশকে অবজ্ঞা করে তবেই এমটা করা যায়।
শুধু বলতে চাই, আড়ং সহ অন্যরা ঠিক যে যে পয়েন্টে প্রতারণা করছে, ঠিক যেখানে যেখানে গ্রামীণ উৎপাদনকারীকে ঠকাচ্ছে সেখানে সেখানে গ্রামীণ শিল্প ও ভোক্তা অধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে জোরালো একশন নেয়া হোক। তার মোট বিক্রির বিপরীতে গ্রামীণ উৎপাদনকারীর সাপ্লাই চেইন মিলিয়ে দেখা হোক। দেখা হোক কোথায় কোথায় ও কত সংখ্যায় সে নিজিস্ব ডিজাইন জমা দিয়েছে, কোথায় স্থানীয় ডিজাইনের পণ্য কিনে ডিজাইন ভ্যালুর টাকা নিজে মেরে দিচ্ছে কিনা! কিংবা এক শিল্পীর বা এক অঞ্চলের ডিজাইন আইডিয়া চুরি করে ভিন্ন সাপ্লায়ার থেকে পণ্য বানিয়ে নিচ্ছে কিনা সেসব যাচাই করা হোক। আমরা যা আলোচনা করছি এগুলো গ্রাহক ও স্থানীয় উৎপাদনকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে, এর সব কিছুই চূড়ান্ত কিংবা প্রমাণিত সত্য নাও হতে পারে, তাই এখানে মানসম্পন্ন তদন্ত করে বোধগম্য আর্থিক জরিমানার আওতায় আনা হোক এবং সেই সাথে টার্গেট টাইম লাইন সহ শুধারানোর সময় দেয়া হোক আড়ং এবং অন্যান্য দেশী শিল্প ব্রান্ড গুলোকে। এই ব্যবস্থাপনা স্বচ্চ ও সেন্সিবল প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে যাক! ভুল ব্যবস্থায় দাম বৃদ্ধি বা উচ্চমূল্যের কথা বলে একটি প্রতিষ্ঠিত দেশীয় ব্র্যান্ডের ক্ষতি না করা হোক।
দেশীয় শিল্প রক্ষা পাক! রক্ষা পাক গ্রামীণ ক্ষুদ্র শিল্প ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান। যুতটুইবা বাকি আছে, ততটুকুতেই গ্রামীণ কর্মীর হস্ত গুলো যেন কর্ম খালি না হয়! এমনিতেই ধানের দাম না পেয়ে গ্রামীণ অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মরার উপর যেন নতুন ঘা না আসে আর!
০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:০৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব সম্ভব। শ্রীলংকার একটা আন্তর্যাতিক ভাবে জনপ্রিয় চা ব্রান্ড ডিলমাহ। প্যাকেটের গায়ে লিখে রাখে আমরা এথিক্যাল প্রাসিং করি, আমাদের উৎপাদনকারীদের ঠকাই না।
বাংলাদেশের কোন কোম্পানি, এরকম সৎ ভাবে ব্যবসা করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেছে। ভেজাল বিরোধী অভিযান গুলো ফলো করলে বুঝবেন পচন মাথায়!
২| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনার পোস্টগুলি বরাবরই কার্যকরী পোস্ট,মানে উপকারী!
০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:০৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! ঈদ মোবারক!
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটি দেশী ব্র্যান্ড যদি ১০০ টাকার একটি সস্তা দেশী সুতি কাপড়কে মামুলি ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং ও দক্ষ মার্কেটিংএর মাধ্যমে এর মুল্য সর্বচ্চ .. অসীম পর্যায়ে নিতে পারে, এটাকে আমি অন্যায় না বরং সাফল্য বলে মনে করি।
এটা অন্যায় তখনই হবে যদি সেই কম্পানী মনোপলি ব্যাবসা করে বা দুর্বৃত্তপনা করে অন্য কম্পানীগুলোকে কোনঠাসা করে, বা সরকারি কর্তাদের হাত করে একচেটিয়া ব্যাবসা করে।
কথায় আছে সখের দাম লাখ টাকা। বিলাস পন্যের মুল্য অসীম, কখনো নির্দিষ্ট থাকে না।
যেমন মিনারেল ওয়াটার বোতলের পানি, ৩৫ সেন্ট, ব্রান্ডের মিনারেল ওয়াটার চাইলে ১ ডলার, বিলাসবহুল ব্রান্ড চাইলে ১৫০ ডলারের আইসবার্গ ব্রান্ডের।
সরকার বিলাস পন্যের মুল্য নির্দিষ্ট করে দেয়া বা হস্তক্ষেপ করা অন্যায় হবে। বরং সরকার এদের উপর উচ্চ কর ধার্য করতে পারে।
০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:৩৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ""আড়ং এর পণ্য বয়কটের আত্মঘাতী ডাকের বিরুদ্ধে দাঁড়াই। সাময়িক হলেও শোরুম বন্ধের চেস্টাও স্থানীয় শিল্প ও কর্মসংস্থানের দিক থেকে আত্মঘাতী, তারও প্রতিবাদ করি। আর শুধরানোর সময় না দিয়ে প্রথম আর্থিক পেনাল্টিকে পাব্লিক ও মিডিয়া করার চেষ্টাও বেঠিক। এতে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যদি কোন ব্র্যান্ড শোধরানর একাধিক নোটিশকে অবজ্ঞা করে তবেই এমটা করা যায়। ভুল ব্যবস্থায় দাম বৃদ্ধি বা উচ্চমূল্যের কথা বলে একটি প্রতিষ্ঠিত দেশীয় ব্র্যান্ডের ক্ষতি না করা হোক। দেশীয় শিল্প রক্ষা পাক! রক্ষা পাক গ্রামীণ ক্ষুদ্র শিল্প ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান। যুতটুইবা বাকি আছে, ততটুকুতেই গ্রামীণ কর্মীর হস্ত গুলো যেন কর্ম খালি না হয়! এমনিতেই ধানের দাম না পেয়ে গ্রামীণ অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মরার উপর যেন নতুন ঘা না আসে আর! ""
কথা গুলো আমার আগের পোষ্টে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে (দেশীয় পণ্য বয়কট নয়, বরং প্রতারণার যায়গা গুলোতে শুধরানোর জোরালো আওয়াজ তুলুন, লিংক কমেন্টে)। সুতরাং ব্র্যান্ড ভ্যালূ জনিত উচ্চ মূল্যকে আমি ডিলেজিটিমেইট করিনি, বাজার অর্থনীতিতে এটা সরাসরি করা বিপদ ডেকে আনে কিছু। তার মানে এই না যে,
১। কেউ ঐতিয্য বিষয়ক পণ্যের শিল্প মানের মূল্য পরিশোধ করবে না। ছোট সাপ্লাইয়ারের পণ্য থেকে আইডিয়া মেরে দিবে। এক অঞ্চলের আইডিয়া মেরে দিয়ে বছরের পর বছর বিকল্প অঞ্চল বা সাপ্লাইয়ার থেকে পণ্য বানিয়ে নিবে। কিংবা সরাসরি পণ্য কিনে এসি দোকানে নিজের ট্যাগ লাগিয়ে ঐতিয্য পণ্য বলে চালিয়ে দিবে।
আমি বলেছি, এগুলা ধরা চাই। আবার তাকে শোধ্রানোর সুযোগ দিয়ে পরে ধরা চাই। প্রথম ধাপেই মিডিয়া করে হই চৈ করা পছন্দ হয়নি। দরকার একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস ডেভেলপমেন্ট যা ব্যক্তি শিল্পী, ছোট উৎপাদনকারী ছোট সাপ্লাইয়ার থেকে শুরু করে বড় সাপ্লাইয়ার, বিপননকারী পর্যন্ত এন্ড টু এন্ড সবাইকে সুরক্ষা দিবে।
কাউকে না বুঝাতে পারলে, কিছু করার নাই। আমি দুঃখিত!
২। উন্নত দেশে বছরে সামার, উইন্টার ও মিড এই তিন সিজন এবং এই তিন সিজনের প্রত্যেক সিজনের ডিস্কাউন্ট সিজন থাকে। পণ্যের দাম একই সিজনের ভিতরে বাড়ে না, ব্রং আর্টিফিশিয়াল বা সাইকোলজিক্যাল প্রাইসিং করা হয় বলে শুধু কমে, বিক্রয়ে মন্দা সাপেক্ষেও কমে। অন্য সিজনে গেলে বাড়তে পারে, কত বাড়বে সেটা ডিমান্ড বলে দিবে, আমরা বলার কেউ না। তবে দেখা যায় সময়ের সাথে কাপড় ও হোম ডেকোরের পণ্যের দাম কমে, বাড়ে না। কেননা নতুন ডিজাইনের পণ্যকে যায়গা দিতে হয়। আর স্পেইস ও স্টোরেজের মূল্য অনেক বেশি বলে পুরানো মাল ছেড়ে দিতে পারাই পলিসি।
কথা হচ্ছে একই সিজনের ভিতরে কিংবা মাত্র ১-২ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার অর্থনীতির কথা বলে ডিমান্ড থাকলেই দাম দ্বিগুণ করে ফেলা বিশ্বের কোথাও কোন ধরণের বিজনেস এথিক্সে পড়ে না। বাংলাদেশ ছাড়া এমন দুর্বিত্তপণা কোথাও দেখিনি।
আমি বলছি এই জালিয়াতিরও সমাধান হইচই করে হবে না। নিয়মিত প্রসেসে এনে এগুলা ঠিক করতে হবে। না হয় গোল্ডফিস জাতি হৈচৈয়ের পরে ক্লান্ত হয়ে নতুন বিনোদনে মগ্ন হবে। আর প্রশাসনের লোকেরাও কিছু কামাইয়ের পরে উইন উইন পরিস্থিতি তৈরি করতে ভুলে যাবে না।
৩। "ভোক্তা অধিকারের বেসিক হচ্ছে ক্রেতাকে অন্তত ১ সপ্তাহ (ইউরোপে ২ সপ্তাহ) সময় দেয়া যাতে সে পণ্য ফেরত দিয়ে সম্পূর্ণ রূপে টাকা ফেরত পায়। যেসব শোরুমে ট্রায়াল রুম আছে সেখানে পুরো টাকা ফেরত না দিয়ে বিকল্প পণ্য ক্রয়ের শিথিলতা শুধু দেয়া যায়। "
ভোক্তা অধিকার নিয়ে বেশি কিছু বলব না, ভোক্তা অধিকারের স্বচ্চ কোন ধারণাই আমাদের সমাজে নেই। শুধু বলতে চাই কিনার আগে এরা স্যার স্যার বলে, কিনার পরে চেঞ্জ বা ফেরত দিতে গেলে বা সাইজ চেঞ্জ করতে গেলে এদের মাথায় বাজ পড়ে, এক্টাই ছিল, এই সমস্যা করেছেন, হেন তেন, পারলে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে। আপনার অভিজ্ঞতা ভিন্ন কিছু হলে ভেবে নিবেন আপনি যে কোন কারণে এলিট (ক্ষমতার কিংবা ব্যবসার প্রভাবে)।
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:১৭
গরল বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে আড়ং মনোপলি করছে, মানসম্পন্ন বিকল্প ব্রান্ড না দাড়ানোয় ক্রেতারা বাধ্য হয়ে আড়ং এর দিকে ঝুঁকছে। তাও ভালো যে ভারতীয় পণ্যকে টেক্কা দিয়ে আড়ং তার স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। সর্বপরি আপনার সাথে একমত।
০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:০৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিদেশী পণ্যকে টেক্কা দিয়ে আড়ং তার স্বকীয়তা বজায় রেখেছে, এটা একটা বড় অর্জন। এই অর্জনকে টেকসই করার উদ্যোগ চাই।
৫| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন!! অসংখ্য ধন্যবাদ।
পণ্যের উৎপাদন খরচের দশ গুন বেশি দামে আড়ং পণ্য বিপণন করছে- এমন খবর আগেও প্রকাশিত হয়েছে, কিছুদিন আগেই দেখছিলাম চারশত টাকা দামের চাদর কিনে আড়ং বিক্রি করে তিন হাজার টাকায়। তারা এটা করতে পারছে কারণ, ব্র্যান্ড ভ্যালু। আমাদের দেশে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা সবকিছু মূল্যায়ন করেন এই ব্র্যান্ড ভ্যালুর ভিত্তিতে। পণ্যের মান দামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা আড়ং এর অনেক ক্রেতা একেবারে ভাবেন না। কেন? কারণ, যে কিনতে আসে তারও উল্লেখযোগ্য একটা অংশ চুরিতে লিপ্ত, হয় সে সরকারি অফিসের ঘুষ খোর, না হয় ব্যাংক ডাকাত, নয় ঋন খেলাপী, নয় ভেজাল সাপ্লাইয়ার। শুধু গ্যাঁড়াকলে, সেই সব কর্পোরেইট শ্রমিক, সোশ্যাল স্ট্যাটাসের জাঁতায় পড়ে যার ব্র্যান্ডের দোকানে যাওয়া লাগে। এই মানুষেরা কখনোই আড়ংকে বয়কট করবেন না।
আর বাকি যে সব পদক্ষেপ নেবার কথা বলেছেন, তা আদৌ নেয়া সম্ভব হবে বলে আমার মনে হয় না। সব জায়গাতেই যখন দুর্নীতি হচ্ছে, তখন এই ব্যাপারে সুষ্ঠু সৎ উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আমি মনে করি না; তবে আমি খুবই চাই, আপনি যে পদক্ষেপগুলো নেবার কথা বলছেন সেগুলো যেন নেয়া হয়।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু ভাবার খোরাক পেলাম, করে সেজন্য আরেকবার ধন্যবাদ জানাই।
০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:৩৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:
সেই সব কর্পোরেইট শ্রমিক, সোশ্যাল স্ট্যাটাসের জাঁতায় পড়ে যার ব্র্যান্ডের দোকানে যাওয়া লাগে।
এই ফাঁকে নিজের কথাটা একটু বলে দিলাম আরকি!
ভালো থাকবেন, আপনারা অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যান বলেই মাঝে মাঝে লিখতে পারি!
৬| ০৭ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ক্রেতা ঠকানো কোন ব্যবসায়ের নীতি হতে পারে না।
তাদের নিয়মনীতি মেনে চলা উচিত।
ফটকা কারবারী আর ব্যবসায়ী এক হতে পারে না।
সুনাম বেচে যারা খায় তাদের এক সময় খারাপ দিন আসতে পারে।
৭| ০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আড়ং বা পারসোনা এরা মানুষকে ঠকায়। খুব বেশী ঠকায়।
৫০০ টাকার জিনিস, দাম লিখে রাখে ২৫০০ টাকা।
আড়ং তিন শ' টাকার সার্ভিস দিয়ে ৩০০০ টাকা নেয়।
০৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, যেটা আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য দামের মনে হবে, সেটা আমি কিনবো না সেটাই স্বাভাবিক। কথা হচ্ছে, সমাজের আয় বৈষম্য অসামাঞ্জস্যপূর্ণ থাকায়, আমার আপনার কাছে দাম কিছু বেশি ঠেকলেও অন্য শ্রেণীর কাছে কিন্তু সেটা মনে হয় না। ফলে আড়ংও হাই এন্ড কাস্টমার সেগমেন্ট কে টার্গেট করে।
৮| ০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমরা হলাম হুজুগে জাতি। ফেসবুক সংস্কৃতি আমাদের আরো বেশি করে হুজুগে বানিয়েছে।আড়ং কে যেই কারনে জড়িমানা করা হয়েছে সেটা আসলে কোন অভিযোগই নয়। পন্যের দাম নির্ধারন সম্পুর্নভাবে যে কোন প্রতিষ্ঠানের ওপড় নির্ভরশীল। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিৎ না যে ভারতীয় পন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করে আড়ংসহ অল্প যে কয়টি দেশীয় ব্র্যন্ড সাফল্য পেয়েছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে নিজ দেশের বিরুদ্ধেই অবস্থান নেয়া।এটাতো সহজ হিসাব যে দাম না পোষালে আপনি কিনবেন না। আড়ংতো আপনাকে বাধ্য করছে না তাদের পন্য কিনতে।এইখানে প্রতারনার কোন প্রশ্নই উঠে না। আড়ং এর মুল কাস্টমার টারগেট হচ্ছে বিদেশী , প্রবাসী বাংলাদেশী এবং সামর্থবান স্বদেশি। ডলার যখন টাকায় কনভার্ট করা হয় তখন সেই কাস্টমারদের কাছে আড়ং এর পন্য ততটা দামী বলে মনে হয় না। বিদেশে যেই টি শার্ট সাধারন দোকানে ৫ ডলার সেই একই মানের টি শার্ট ব্র্যন্ডেড শপে ৫০ ডলার। মানুষ জেনেশুনেই সেটা কিনছে। কারন যাদের সামর্থ আছে তারা ব্র্যন্ডেড জিনিষটাই কিনবে তা যত দামীও হোক না কেন। যেই অফিসার আড়ংকে জড়িমানা করেছেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বরং প্রশ্নসাপেক্ষ । উনার হিরোগিরি ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে হলে মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হত।
ঈদের সিজনে আড়ং বয়কটের স্ট্যটাস ভাইরালের কারনে আড়ং এর বিজনেসে দারুন ধস নেমেছে। এর প্রভাব গিয়ে পড়বে সেখানে চাকুরি রত মানূষদের ওপড়। তাদের বেতন, ভাতা, বোনাস সবই আটকে যেতে পারে। এই ধরনের স্ট্যটাস যারা দিয়েছে তারা কি আড়ং এর কর্মচারিদের মুখে খাবার তুলে দিবে?
পোস্টটা স্টিকি করার অনুরোধ জানালাম। মানুষের সচেতনতার প্রয়োজন আছে। ফেসবুক , ব্লগ ব্যবহ্রত হোক মানুষের কল্যানে, অকল্যানে নয়।
০৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পন্যের দাম নির্ধারন সম্পুর্নভাবে যে কোন প্রতিষ্ঠানের ওপড় নির্ভরশীল। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিৎ না যে ভারতীয় পন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করে আড়ংসহ অল্প যে কয়টি দেশীয় ব্র্যন্ড সাফল্য পেয়েছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে নিজ দেশের বিরুদ্ধেই অবস্থান নেয়া।এটাতো সহজ হিসাব যে দাম না পোষালে আপনি কিনবেন না। আড়ংতো আপনাকে বাধ্য করছে না তাদের পন্য কিনতে
ভাল বলেছেন।
৯| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ঈদ এর এক অনুষ্ঠানে কোলকাতার এক বাঙ্গালীর সাথে দেখা হল। কথাপ্রসঙ্গে তিনি বললেন ''আমাদের কোল্কাতার শপিং মলে এখন খোদ কোলকাতার চাইতে বাংলাদেশী কাস্টোমার বেশি''।পত্রিকায় পড়লাম যে ঈদ উপলক্ষে কয়েক লাখ বাংলাদেশী কোলকাতায় মার্কেটিং করতে গেছে। প্লেন ফেয়ার, হোটেলে থাকা খাওয়া বাবদ যে কত টাকা এই মার্কেটিং করতে গিয়ে সেইখানে খরচ করেছে সেই হিসাব বাঙ্গালী করে না। আড়ং কেন বেশি দামে জিনিষ বিক্রি করছে সেইটা হয়ে যাচ্ছে বিড়াট অপরাধ। এই হচ্ছে আমাদের দেশপ্রেম!!!আরে সবাই মিলে দেশিয় পন্য কিনতে শুরু করলে আড়ং এর পাশাপাশি আরো অনেক দেসীয় ব্র্যন্ড দাড়িয়ে যাবে এবং পন্যের দামও অটোমেটিক্যালি কমে আসবে।
ইন্ডিয়ান পন্য বয়কটের ঘোষনা যেদিন আসবে সেইদিন বুঝব আমরা জাতি হিসেবে সচেতন ও দেশপ্রেমিক একটি জাতি এবং দেশপ্রেম কেবল আমাদের মুখে নয় অন্তরে।
১০| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইয়া, যেটা আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য দামের মনে হবে, সেটা আমি কিনবো না সেটাই স্বাভাবিক। কথা হচ্ছে, সমাজের আয় বৈষম্য অসামাঞ্জস্যপূর্ণ থাকায়, আমার আপনার কাছে দাম কিছু বেশি ঠেকলেও অন্য শ্রেণীর কাছে কিন্তু সেটা মনে হয় না। ফলে আড়ংও হাই এন্ড কাস্টমার সেগমেন্ট কে টার্গেট করে।
এই দেশের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র।
সরকারের উচিত এদিকে মনোযোগ দেওয়া।
আড়ং এর জিনিস এর মান ভালো না। অথচ দাম খুব বেশি।
ভোক্তা অধিকার বলে কি এদেশে কিছু নেই?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
গ্রামীন মানুষেরা, যারা শ্রম দিয়ে বাহারী ডিজাইন করেন, প্রস্তুত করেন, তাঁদেরকে তাঁদের প্রাপ্য দেয়া সম্ভব কিনা?