নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে টিকতে হলে

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭


মানবসভ্যতা দীর্ঘ যাত্রার ভেতর দিয়ে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দিকে এগিয়ে এসেছে। এই যাত্রায় মানুষ সব সময়ই কারিগরিভাবে উন্নত উপায়ে শিল্প উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাগত রূপান্তর ঘটিয়ে চলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই রূপান্তরের প্রস্তুতিতে ব্যাপকতা এসেছে এবং তা অভাবিত গতিতে একটা প্রযুক্তিগত বিপ্লবের দিকে যাচ্ছে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব কী?
এক-একটি শিল্পবিপ্লব পাল্টে দিয়েছে সারা বিশ্বের শিল্প উৎপাদন, বাজার ও ব্যবসার সমুদয় গতিপথ, পাল্টে দিয়েছে মানবসভ্যতার ইতিহাস ও মানুষের জীবনাচরণ। প্রথম শিল্পবিপ্লবটি হয়েছিল ১৭৮৪ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে। এরপর ১৮৭০ সালে বিদ্যুৎ ও ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেটের আবিষ্কার শিল্পবিপ্লবের গতিকে বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। বর্তমানে শুরু হওয়া আরেকটি শিল্পবিপ্লব ছাড়িয়ে যেতে পারে আগের তিনটি বিপ্লবকে। মোটাদাগে বলা চলে, এখন পর্যন্ত মানব জাতি চারটি শিল্পবিপ্লবের মধ্য দিয়ে হেঁটেছে।

প্রথম শিল্পবিপ্লব উৎপাদনের যান্ত্রিকীকরণে পানিপ্রবাহ এবং বাষ্পশক্তি ব্যবহার করে। দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবে বৃহত্তর উৎপাদনে বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহৃত হয়। তৃতীয়টি শিল্পবিপ্লবে উৎপাদনকে স্বয়ংক্রিয় করতে ইলেকট্রনিকস এবং তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগায়। তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের ভিত্তিমূলের সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হয়ে এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ঘটে চলছে। এটা অতিবর্ধিত পরিসরের শিল্পবিপ্লব এবং দ্রুত বিকাশমান ডিজিটাল বিপ্লব, যা গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকেই ঘটে চলেছে। বহু ধারার প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এই মিশ্রণ বা যোগফল (Fusion Technology) বৈশিষ্ট্যগতভাবে শারীরিক, ডিজিটাল ও জৈবিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে, এদের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনবে কিংবা কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পর্কগুলো আরও জটিল ও অনিয়ন্ত্রিত করে তুলবে।


আমরা একটি প্রযুক্তিগত বিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। এর মাধ্যমে আমাদের জীবনযাত্রার, কাজ করার এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সম্পর্কিত হওয়ার পথ ও পদ্ধতিগুলো মৌলিকভাবে বদলে যাব।

বহু উদীয়মান প্রযুক্তির সঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম প্রযুক্তি যুক্ত হয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফিউশন প্রযুক্তির দুয়ার খুলে যাচ্ছে। এ রকম কিছু প্রযুক্তির কথা বলতে গেলে চলে আসবে বহু নাম। যেমন এজাইল বিজনেস প্রসেস, রোবটিকস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন, ত্রি-ডি প্রোডাকশন, পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম, স্মার্টফোনের রিয়েল অ্যাপ্লিকেশন, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), ম্যাসিভ কানেকটিভিটি, ম্যাসিভ ট্র্যাকিং, দূর নিয়ন্ত্রণ, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট, ফাইভ-জি ড্রোন, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, বিগ ডেটা ও মেশিন লার্নিং, ক্লাউড ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, যন্ত্রপাতি পরিচালনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ব্যাপকতা, চালকবিহীন গাড়ি, ফিনটেক ফাইন্যান্স, ব্লকচেইন ও ভার্চ্যুয়াল কারেন্সি, পেমেন্ট সিস্টেম থেকে জৈবপ্রযুক্তি, রিমোট সার্জারি ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই সবকিছু মিলে নতুন এক শিল্পবিপ্লবের জয়যাত্রা শুরু হয়েছে সারা বিশ্বে। একেই বলা হচ্ছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব।

জনসংখ্যা-সুফলের সুযোগ ও শঙ্কা
বাংলাদেশে এখন জনসংখ্যার একটা বড় অংশ তরুণ ও কর্মক্ষম অর্থাৎ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পর্যায়ে। এর সুবাদে বাংলাদেশকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই চতুর্থ বিপ্লবের রূপান্তর প্রক্তিয়াগুলোর মধ্যে দিয়ে কিংবা এর প্রভাববলয়ের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হবে। এ জন্য দরকার বহুমুখী কৌশলগত, কারিগরি ও অবকাঠামোগত প্রস্তুতি। এ নতুন শিল্পবিপ্লব থেকে বাংলাদেশকে উৎপাদনশীলতার সুফল নিতে হবে, বৈদেশিক রপ্তানি আয় বাড়ানোর সুযোগ নিতে হবে, অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হবে। এসব দিকে পিছিয়ে পড়া মানে সুফলগুলোর বুমেরাং হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ সুযোগটা নিয়ে যাবে অন্য কোনো দেশ আর আমরাও হারাব আমাদের গতানুগতিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো। সুতরাং সুফল ঘরে নিতে চাইলে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে কৌশলগতভাবে এগিয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ বিদ্যমান স্বল্প দক্ষ শ্রমবাজারকে নতুন দক্ষতার শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থানের উপযোগী করে গড়ে নিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জে উতরাতে না পারলে নতুন শিল্পবিপ্লব আমাদের ফেলেই এগিয়ে যাবে।

শ্রম ও শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি তো?
বাংলাদেশ মূলত কৃষিশ্রমিক, তৈরি পোশাক শিল্পশ্রমিক ও প্রবাসী শ্রমিক—প্রধানত এই তিন খাতের স্বল্প দক্ষ শ্রমিকসর্বস্ব মানবসম্পদ দ্বারা চালিত অর্থনীতির দেশ। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা এখন পর্যন্ত টেকসই ও গুণগত ভিত পায়নি। ১৮ থেকে ১৯ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশে জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থান ব্যাপকমাত্রায় প্রতিযোগিতামূলক। ফলে সরকারের শিক্ষা-সংশ্লিষ্টতা যা-ই থাক না কেন, সরকারি-বেসরকারি-ব্যক্তি-আন্তর্জাতিক চতুর্মুখী উদ্যোগের মিশেলে স্বল্প দক্ষ ও মোটামুটি দক্ষ শিল্পশ্রমিক তৈরির প্রক্রিয়া যেনতেনভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের কৃষি অদক্ষ শ্রমিককেন্দ্রিক ও অনেকটাই অযান্ত্রিক থাকা সত্ত্বেও অনেকটাই উৎপাদনমুখী ধারায় উন্নীত হয়েছে। তাহলেও নতুন শিল্পবিপ্লবের নতুন নতুন কারিগরি সক্ষমতা থেকে আমরা দূরে।

দুনিয়ায় ঘটে চলেছে অভাবিত সব অটোমেশন, দূর নিয়ন্ত্রিত কিংবা স্মার্ট ফোন ও স্মার্ট ডিভাইস-কেন্দ্রিক সহজিয়া ব্যবস্থাপনা। এত সব উৎপাদন সক্ষমতা ও ব্যবস্থাপনাগত উন্নতির বিপরীতে আমাদের কৃষি, শিল্প, বিপণন ও পরিবহন ব্যবস্থা, শ্রমবাজার পিছিয়েই আছে।

এ ধরনের অ-টেকসই উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ, ব্যাংকিং, বন্দর ও রপ্তানি ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা এবং সর্বোপরি আমাদের অবিকশিত শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, এখনই তার উপলব্ধি শাণিত করা চাই। পাশাপাশি এই পণ্য ও সেবা ব্যবস্থাপনার খাতগুলোতে কী কী সম্ভাবনার দুয়ার অবারিত হবে, তা আবিষ্কার ও উপলব্ধির মধ্যে আনাও জরুরি। স্বল্প দক্ষ শ্রমবাজারের ভিত্তিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বনিয়াদ গড়ে উঠেছে বলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারিগরি উৎকর্ষ ও রূপান্তর থেকে আমরা অনেক দূরে। এই বিশাল শ্রমবাজার ঠিক কী কী ঝুঁকি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার মুখোমুখি হবে, সেসবের নিরন্তর গবেষণা এখন সময়েরই প্রয়োজন।

অর্থাৎ আমাদের স্পষ্ট করতে হবে যে কোথায় কোথায় আমাদের সম্ভাবনা বাড়বে এবং কোথায় কোথায় বর্তমানের অর্জনগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। আমাদের অবকাঠামোগত ও কৌশলগত পরিকল্পনা এবং শিক্ষা, শিল্প উৎপাদন ও বাজার বিকাশের দিক থেকে আমাদের প্রস্তুতিগুলোই বা কেমন হওয়া দরকার, তা জানা।

টিকতে হলে বদলাতে হবে
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের জীবনযাত্রা, কাজ করার এবং একের সঙ্গে অপরের সম্পর্কিত হওয়ার মৌলিক পদ্ধতিগুলো আমূল পরিবর্তন করে দেবে। শিল্প উৎপাদনগত দিক থেকে এটি মানব বিকাশের একটি নতুন অধ্যায়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে এটা শারীরিক, ডিজিটাল এবং জৈবিক জগৎকে এমনভাবে একাকার করবে, যা নতুন সম্ভাবনার পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত ভয়াবহ বিপদেরও জন্ম দিতে পারে। ফলে বিপ্লবের গতি, পরিসর এবং গভীরতা ঠিক কীভাবে বিকশিত করা উচিত, তা নিয়ে বিশ্বের দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ জরুরি। নতুন প্রযুক্তিগুলোর কাজ কীভাবে মানবিক মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করবে, জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ সমুন্নত রাখবে এবং রাষ্ট্রে, সমাজে ও ব্যবসায়ে মানবিকতা, দেশে দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধের সহনশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি নতুন মূল্যবোধ তৈরি করবে, তার পর্যালোচনাও চলছে বিশ্বজুড়ে। এমনকি মানুষ হওয়ার অর্থ ভবিষ্যতে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে; সে বিষয়ে বোঝাপড়াও দরকার। এ অবস্থায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানবিককেন্দ্রিক ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের সবাইকে কাজ করতে হবে।

০২ জানুয়ারি ২০২০, দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের মতো দরিদ্র দেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সম্ভব নহে।
আমাদের দেশে সব চোর।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিস্তারিত লিখেছি একুশে বই মেলায় প্রকাশিতব্য "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ" বইয়ে।।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক,




ভালো বিষয় নিয়ে লেখা তবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নতুন সম্ভাবনার পাশাপাশি যে সব অনিয়ন্ত্রিত ভয়াবহ বিপদের জন্ম হতে পারে তা নিয়ে কিন্তু কিছুই লেখেন নি। জানালে ভালো হতো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিস্তারিত লিখেছি একুশে বই মেলায় প্রকাশিতব্য "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ" বইয়ে।।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বেকারত্ব ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে - বিশেষত অদক্ষ ও আধাদক্ষ শ্রমিকদের অনেকেই অটোমেশনের কারণে কাজ হারাবেন | বাংলাদেশের শ্রমশক্তির অধিকাংশই অদক্ষ বা আধাদক্ষ - এর উপর মরার উপর খাড়ার ঘাঁড় মতো আছে ইংরেজি ভাষায় ভয়াবহ দুর্বলতা | এই দুটি বিষয়ে জনশক্তির উন্নয়নকল্পে কোনো দেশপ্রেমিক সরকার যদি অনতিবিলম্বে গুরুত্ব প্রদান না করে তবে সামনে অপেক্ষা করছে চরম দুর্দিন |

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বেকারত্ব ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে - বিশেষত অদক্ষ ও আধাদক্ষ শ্রমিকদের অনেকেই অটোমেশনের কারণে কাজ হারাবেন | বাংলাদেশের শ্রমশক্তির অধিকাংশই অদক্ষ বা আধাদক্ষ - এর উপর মরার উপর খাড়ার ঘাঁড় মতো আছে ইংরেজি ভাষায় ভয়াবহ দুর্বলতা | এই দুটি বিষয়ে জনশক্তির উন্নয়নকল্পে কোনো দেশপ্রেমিক সরকার যদি অনতিবিলম্বে গুরুত্ব প্রদান না করে তবে সামনে অপেক্ষা করছে চরম দুর্দিন |

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে এখন জনসংখ্যার একটা বড় অংশ তরুণ ও কর্মক্ষম অর্থাৎ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পর্যায়ে।
এর সুবাদে বাংলাদেশকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই চতুর্থ বিপ্লবের রূপান্তর প্রক্তিয়াগুলোর মধ্যে দিয়ে কিংবা এর প্রভাববলয়ের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হবে। এ জন্য দরকার বহুমুখী কৌশলগত, কারিগরি ও অবকাঠামোগত প্রস্তুতি। এ নতুন শিল্পবিপ্লব থেকে বাংলাদেশকে উৎপাদনশীলতার সুফল নিতে হবে, বৈদেশিক রপ্তানি আয় বাড়ানোর সুযোগ নিতে হবে, অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হবে। এসব দিকে পিছিয়ে পড়া মানে সুফলগুলোর বুমেরাং হয়ে যাওয়া।


এর জন্য দরকার নিরবিচ্ছিন্ন উচ্চগতি ব্রডব্যান্ড ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ।

বর্তমানে দেশে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে।
অবহেলায় ও বিভিন্ন কারনে ইন্টারনেট আন্ত মহাদেশীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনে ১৫ বছর পিছিয়ে যাওয়ার পরও বর্তমানে ২ টি আন্ত মহাদেশীয় সাবমেরিন ক্যাবল চালু আছে।
দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে আসছে ৮০০ জিবিপিএস
এছাড়া ভুগর্ভস্থ টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে ভারত থেকে আসছে ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ।
বিএনপি-জামাতের হরতালে সরচেয়ে বড় আক্রোশ ছিল কক্সবাজারের ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ঢাকার দিকের ফাইবারঅপটিক কেবল। প্রতি মাসেই কাটা পরতো।
দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা এক হাজার ৫০০ জিবিপিএস।
এছাড় ৩য় সাবমেরিন কেবলের কাজও সুরু হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা হবে ১০ হাজার জিবিপিএস। এই ব্যান্ডউইথ ক্যাবলের দুই প্রান্ত থেকে আসবে। কক্সবাজারের ল্যান্ডিং স্টেশনে ডালাস টোকিও সিঙ্গাপুর প্রান্ত থেকে ৫ হাজার এবং ডালাস নিউইয়র্ক ফ্রান্স প্রান্ত থেকে ৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসবে বলে জানা গেছে।

সব লাইন কাটা পড়লেও আছে বঙ্গবন্ধু স্যাট ১ মাধ্যমে ভি স্যাট।

ইতিমধ্যেই জেলা উপজেলা হয়ে ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতি ব্রডব্যান্ড লাইন গেছে।
গ্রাম পর্যন্ত যাওয়া উচিত। সাশ্রই মুল্যে প্রয়জনে বিনামুল্যে ওয়াইফাই দিতে হবে।



০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার ফাঁকে স্বভাব সুলভ বিএনপি-জামাত বিরোধী প্রপাগান্ডা ছাড়িয়ে গেলেন। এই সব সত্য মিথ্যার মিশেলে রাজনৈতিক বক্তব্য পরিহার করে আপনার উচিৎ তথ্য উপাত্ত এবং সমাধান ভিত্তিক লিখা। ক্যাপিটালাইজ ইউর গুড পটেনশিয়াল। আপনি একজন জ্ঞানী লোক। তবে সবকিছুতেই ব্যাংক শেয়ার বাজার লূটেরাদের, ভোট চোর এবং লক্ষ কোটি পাচারকারী দলের স্বার্থ্য দেখে না দেখার ভান করেন, দিনশেষে গালি দিয়ে যান যে শত কোটি চুরি করেছে। এটা পরিহার করুন প্লিজ। যে যা করাছে সবাইকে একই চোখে দেখেন।

১। ১ম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত না হওয়ার দায় এরশাদ ও বিএনপির উভয়ের। একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটাকে গালি দেয়া স্বভাবজাত বক্রতা। এই দল দুটির রাজনৈতিক দুরদর্শিতার সমালোচনা হয়, তবে তারা কেন না করেছে তার ব্যাকগ্রাউন্ডও জানা দরকার। বুয়েট এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে ওরা পরামর্শ ছেয়েছিল, উভয়েই না করেছে। দেশের অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে আলোচানায় না এনে এক্তরফা দলকানা বক্তব্য না দেয়াই সমীচীন। আমরা বলতে পারি, অযোগ্য প্রতিষ্ঠান গড়ার দায়ো তাদের।

২। আর বিএনপির সিদ্ধাহীনিতার জন্য চার থেকে সাড়ে চার বছর পিছিয়েছে, ১৫ বছর নয়। ১৯৯২-৯৩ থেকে ১৯৯৬-৯৭ ১৫ বছর হয় না।

৩। দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে আসছে ৮০০ জিবিপিএস। কেন?

(আপনার তথ্যে ভুল আছে যদিও, ৯০০ হবে এটা) যদিও ক্যাপাসিটি ২ হাজার ৮০০ জিবিপিএস।

বর্তমানে দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা ২ হাজার ৮০০ জিবিপিএস। তবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ঢাকা-কুয়াকাটা ট্রান্সমিশন লিংকের কারিগরি দুর্বলতার কারণে পূর্ণ সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দুটি সাবমেরিন ক্যাবল থেকে মাত্র ৯০০ জিবিপিএস পাওয়া যাচ্ছে।

এর কারণে ভারত থেকে ছয়টি টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে আরও প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ লীজ নেয়া লাগছে। এই দিকটায় আপনার কোন মাথা ব্যাথা নেই?

৪। বিটিয়ারসির সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় দেশের ইন্টারনেট বা ডেটা গ্রাহকদের মাত্র ৫,৮% ব্রডব্যান্ড গ্রাহক, বাকিরা মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক।

তাইলে এই যে হাজার হাজার কোটি টাকার ফাইবার বসানো হল, এর সুফল কি? এগুলা কারা খেয়ে ফেলল।

৫। শুধু একটা হিন্টস দেই, ফাইবার এট হোম আর সামিট মিলে ঢাকায় ৯ বছর আগে ডোর টু ডোর ফাইবার বসিয়েছে। এখন ৮০% গ্রাহক ওভার হেড ডিশ লাইন ব্যবহার করছে।

ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর ডিটিএস এসে গেছে, তাই এই ফাইবার অকেজোই থেক যাবে। সামিট বলছে বহু যায়গায় ফাইবার নষ্ট হয়ে গেছে রাজস্ব এবং মেইন্তেনেসের কারণে।

৬। বঙ্গবন্ধু স্যটেলাইট নিয়ে আর কত ফুলাবেন? ভি স্যাট নেট তো তার নেই ই। সেটা এখন পর্যন্ত ডিটিএস স্যাটেলাইট।
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1490151
সময় পেলে এটা পড়ে নিবেন প্লিজ।

যাই হোক, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে বিস্তারিত লিখেছি একুশে বই মেলায় প্রকাশিতব্য "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ" বইয়ে।। গাল গল্প কিংবা চুটকি নয়, বহু দরকারি বিষয় নিয়ে লিখেছি।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বঙ্গবন্ধু স্যটেলাইট ১ এ ভি-স্যাট আছে।
সেটা আপদ কালিন ব্যাবহারের জন্য, নর্মালি ব্রডব্যান্ড বা মোবাইল ইন্টারনেট।
দুর্যোগের সময় জিপের ছাদে ছোট ডিশ লাগিয়ে।
এ ছাড়া আগ্রহিরাও চাইলে ভি-স্যাট ইউজ করতে পারবে।

বাংলা ট্রিবিউনের একটি খবরের কিছু অংশ দিলাম।

বিসিএসসিএল দেশের তিন সেলস পার্টনার স্কয়ার, এডিএন ও ডিএনএস স্যাটকমের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান তিনটি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিভিন্ন সেবা বিক্রি ও বিপণনের কাজ করবে। তিন সেলস পার্টনারেরই ভি-স্যাট ও হাবের লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্সিং প্রতিবন্ধকতার কারণে সেবা দিতে না পেরে প্রতিষ্ঠান তিনটি প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর তাদের ভি-স্যাট ও হাব নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর অন্যতম সেলস পার্টনার ডিএনএস স্যাটকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফেল কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আবার সুফল পাওয়া যাবে। মার্কেট ওপেন হয়েছে।’ তিনি মনে করেন, ভি-স্যাট মানে যে অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) নয়, এই মাইন্ড সেটটার পরিবর্তন হবে। তিনি জানান, একটা সময় এটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল।

লিঙ্ক view this link

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভিস্যাট এর ট্রান্সপন্ডার আছে সেটা আমার প্রথম আলো আর্টিক্যালেই আছে। সেটা আপদ কালিন ব্যাবহারের জন্য হলেও আপনি চাইলেই সেটা ব্যবহার করতে পারবেন। তার জন্য বহু প্রস্তুতি দরকার। শত কোটি ইনভেস্টমেন্ট দরকার।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই। আপনার সব লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ি
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে একুশে বই মেলায় আপনার প্রকাশিতব্য "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ" বইটি নিয়ে অনেক আগ্রহ জন্মেছে।
বাংলাদেশে গেলে প্রথমেই বইটি সংগ্রহের চেষ্টা করবো, বা অনলাইনে বা অন্য কারো মাধ্যমে আনার চেষ্টা করবো।
দুটি সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.