নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ: গ্রন্থ পরিচিতি

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৭


চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ: গ্রন্থ পরিচিতি
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ছোঁয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন ও যে কোন ব্যবস্থাপনাকে মানুষ সবসময়ই একটা ক্রমাগত রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই রূপান্তরে ব্যাপকতা এসেছে। অভাবিত গতিতে আমরা চতুর্থ শিল্পবিল্পব নামক একটা প্রযুক্তিগত বিপ্লবের দিকে যাচ্ছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের জীবনযাত্রা, কাজ করার এবং একের সঙ্গে অপরের সম্পর্কিত হওয়ার মৌলিক পদ্ধতিগুলো আমূল পরিবর্তন করে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা গত দিক থেকে এটি মানব বিকাশের একটি নতুন অধ্যায় যেখানে পণ্য ও সেবার চাহিদা-নকশা, শিল্প উৎপাদন ও বাজারজাতকরণকে সংজ্ঞায়িত ও নিয়ন্ত্রিত করবে তথ্য, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক অটোমেশন। বহু ধারার ফিউশন প্রযুক্তির সমন্বয়ে ঘটমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বৈশিষ্ট্যগতভাবে জীবন ও ব্যবসার শারীরিক, ডিজিটাল ও জৈবিক ক্ষেত্র গুলোর মধ্যে আশ্চর্যজনক সমন্বয় করবে, এদের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনবে কিংবা কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পর্কগুলো আরও জটিল ও অনিয়ন্ত্রিত করে তুলবে।

বাংলাদেশ মূলত কৃষি শ্রমিক, তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিক ও প্রবাসী শ্রমিক-এই তিন ধরনের স্বল্প দক্ষ মানবসম্পদ দ্বারা চালিত অর্থনীতির দেশ। আমাদের অবকাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা, বৈদেশিক শ্রম বাজার ও সার্বিক কর্মসংস্থান- চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অটোমেশনে পড়ে কি ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, এই উপলব্ধি গুলোই এই পুস্তকের মূল আলোচ্য বিষয়। আমাদের অদক্ষ-স্বল্প দক্ষ শ্রমবাজারকে রূপান্তরিত করে যুগপোযুগি ও কারিগরিভাবে দক্ষ করা, বর্তমানের অর্জনগুলোর চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি নির্ণয়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নতুন কর্মসংস্থান সম্ভাবনা আবিষ্কার, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল তৈরি, অবকাঠামো তৈরির চ্যালেঞ্জ নেয়া এবং একটা কর্মসংস্থান মূখী টেকসই শিক্ষাব্যবস্থা গড়া- এই পুস্তকের পর্যালোচনার বিষয়।

একটা শিল্প বিপ্লবের গতি, পরিসর এবং গভীরতা ঠিক কীভাবে বিকশিত করা উচিত, তা নিয়ে বিশ্বের দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ দরকার। নতুন প্রযুক্তিগুলোর প্রয়োগ কীভাবে শ্রম বৈষম্য ও আর্থ-সামাজিক ঝুঁকি হ্রাস করবে, মানবিক মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করবে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন উপলব্ধি তৈরির গুরুত্বও দেয়া হয়েছে এই পুস্তকে।



চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ: মূল আলোচ্য বিষয়
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রধান প্রধান যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বাংলাদেশ। টেকসই মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান তৈরি ও টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নের প্ররিপ্রেক্ষিতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা।
 চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কি ও কেন?
 পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম
 ব্যাংকিং ও পেমেন্ট অবকাঠামো
 মোবাইল ব্যাংকিং অবকাঠামো
 ফিনটেক, ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টো মুদ্রা
 ভ্যাট সংগ্রহ ও ভাতা বরাদ্দ অবকাঠামো
 পরিসংখ্যান প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান
 বাংলাদেশের শিক্ষা সংস্কারের যোগসূত্র সমূহ!


চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ: উলভদ্ধির গভীরে পৌঁছা
একটি নতুন শিল্প বিপ্লবের নতুন নতুন কারিগরি সক্ষমতা, অভাবিত সব অটোমেশন, দুর নিয়ন্ত্রিত কিংবা স্মার্ট ফোন ও স্মার্ট ডিভাইস কেন্দ্রিক সহজিয়া ব্যবস্থাপনা ও অত্যাধুনিক শিল্প উৎপাদন সক্ষমতার বিপরীতে আমাদের কৃষি উৎপাদন, শিল্প উৎপাদন, বিপণন ও টান্সপোর্টেশন ব্যবস্থাপনা, অদক্ষ ও স্বল্পদক্ষ শ্রমবাজার অর্থাৎ অটেকসই উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ গুলো আগাম জানা চাই। আমাদের অটেকসই রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের প্রক্রিয়া, অটেকসই ব্যাংকিং ও বন্দর ব্যবস্থাপনা, আমদানি রপ্তানির গতানুগতিক ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি আমাদের অটেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা নতুন শিল্প বিপ্লবে ঠিক কি কি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তার উপ্লভদ্ধি গুলোকে শাণিত করা চাই।

পাশাপাশি এই পণ্য ও সেবা ব্যবস্থাপনার খাতগুলোতে কি কি সম্ভাবনার দুয়ার অবারিত হবে তা আবিষ্কার করা দরাকার। অর্থাৎ আমাদের মানব ও শিল্প সম্পদ সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা ও উপলভদ্ধির স্তর উন্নত করা চাই। সুবিশাল একটি অদক্ষ ও স্বল্প দক্ষ শ্রমবাজারের ভিত্তির উপর দেশের বৈদেশিক মূদ্রা আহরণের মূল বুনিয়াদ গড়ে উঠেছে বলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব জাত অত্যাধুনিক কারিগরি উৎকর্ষ ও রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে গেলে এই বিশাল শ্রমবাজার ঠিক কি কি ঝুঁকি, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনার মুখোমুখি হবে সেসবের নিরন্তর গবেষণা প্রয়োজন।

অর্থাৎ আমাদের এই উপ্লভদ্ধিগুলোকে শাণিত করতে হবে কোথায় কোথায় আমাদের সম্ভাবনা বাড়বে এবং কোথায় কোথায় আমাদের বর্তমানের অর্জনগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের অবকাঠামগত ও কৌশলগত পরিকল্পনা, শিক্ষা, শিল্প উৎপাদন ও বাজার বিকাশের দিক থেকে আমাদের প্রস্তুতিগুলোই বা কেমন হওয়া দরকার, তা নিয়ে গবেষণা করা। এই উপ্লভদ্ধি ও প্রয়োজন গুলোর প্রেক্ষাপটেই ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ’ নামক এই পুস্তক রচনার অবকাশ পাচ্ছি।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
'চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ' বইটির জন্য অপেক্ষায়।

আগামি দশক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের দশক।
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা, আইডিবি, ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ও এইচএসবিসি (ব্যাঙ্ক) বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের একটানা উত্থানের ব্যাপারে সবাই মোটামোটি একমত।

'আগামী দশ বছর এই গতিতেই চলবে বংলাদেশ'। (ওরা ধরেই নিছে হাসিনা থাকবে) আগামী ১০ বছর দেসজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি একটানা ৭-৮ এর উপর থাকার জোরালো সম্ভাবনা। রেলওয়ে কানেক্টেড সহ দুটি গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা অলরেডি চালু, রেল সহ পদ্মা সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে। মংলাও রেল কানেক্টেড হয়ে যাচ্ছে।
এর ফলে মাত্র ১০ বছরেই ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬-২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ, এখন যে অবস্থানে আছে ইওরোপের অস্ট্রিয়া আয়ারল্যান্ড। (বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৯নং। যা একসময় ১০০র নীচে ছিল)

তবে অটোমোশন রোবোটিক্সের কারনে ম্যানুফেকচারিং খাতে কিছু গার্মেন্টস কর্মি চাকুরি হারালেও এদিকে পিপড়ার মত আরেকটি সম্ভাবনাময় খাত মাথাচাড়া দিচ্ছে। সেটি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আইটি কর্মী সরবরাহে সারা পৃথিবীতে ২য় পজিশনে বাংলাদেশ।
ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এখানে নিয়মিত কাজ করছে ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার। আর মোট নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬ লাখ ৫০ হাজার। প্রতি বছর দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপুল সংখক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার গ্রাজুয়েটের দল বিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ জুটিয়ে নিচ্ছে। নৈরাজ্যবাদি সিপিডি-কুজন- ফুজনদের অনেক বাধার পরও ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে প্রতিবছর দেশে ১০ কোটি ডলার প্রবেশ করছে।

আপনার 'চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ' বইটি দেখা যাক কতটুকু পথ দেখাতে পারে দুর্ভাগা বাংলাদেশের

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশে সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও সফটওয়্যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্র বলছে, দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে রপ্তানি ২০১৮ সালে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা টাকার হিসেবে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।পাশাপাশি দেশের বাজার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই আবার দেশি সফটওয়্যার নির্মাতারা দখল করেছেন। তবে বড় প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোর ক্ষেত্রে এখনো বিদেশি সফটওয়্যারের ওপর নির্ভরতা থেকে গেছে। দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৭টি ব্যাংকেই দেশি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের সফটওয়্যার খাতে বেশি চাহিদা রয়েছে ইআরপি, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরিসহ, ডিজিটালাইজেশনের কাজে ব্যবহৃত সফটওয়্যার।

০২ মার্চ ২০১৯ বেসিসের সভাপতি আলমাস কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এখন আমাদের সফটওয়্যার নির্মাতারা বিদেশেও রপ্তানি করছে। তবে আমাদের দেশ থেকে বড় ধরনের একক সফটওয়্যার রপ্তানি হাতে গোনা। এখন পর্যন্ত আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপিও, সার্ভিস রপ্তানি করছি বেশি। বিপিওর ক্ষেত্রে ব্যাংকের নানা কাজ, নানা রকম সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে গ্রাফিকস, ওয়েবের কাজ হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে সফটওয়্যার এখনো রপ্তানির সব অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে আসেনা বলেন প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন। তা ছাড়া সফটওয়্যার খাতের প্রকৃত আয় নিয়ে কোনো জরিপ নেই। এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।‘

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের টার্গেট বা লক্ষ্য ছিল, ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন রপ্তানি আয় করা। এ ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার ও সেবাপণ্য রপ্তানি করা। সফটওয়্যার রপ্তানিতে ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়াসহ, এখাতের উন্নয়নের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে ২০১৮ সালে সফটওয়্যার রপ্তানি বেড়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, সফটওয়্যার রপ্তানিতে ক্যাশ ইনসেনটিভের আবেদন স্বয়ংক্রিয় করা হয়নি বলে আবেদন পত্র তৈরি, বাছবিচার, নিরীক্ষা, তদবির ইত্যাদিতে বহুবার সরকারি অফিসে ধর্ণা দিতে হচ্ছে। এর ফলে ছোট নির্মাতাদের শ্রম ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে এবং রপ্তানি প্রণোদনার মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় ১৫টি রপ্তানি খাতের একটি। আইটি ও আইটি সক্ষম সেবা (আইটি-আইটিইএস) শিল্পের ‘বেটিং অন দ্য ফিউচার-দ্য বাংলাদেশ আইটি-আইটিইএস ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক শ্বেতপত্রে ২০১৭ সালে স্থানীয় আইটি ও আইটিইএস শিল্পের রাজস্ব উৎপাদন ০.৯-১. ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালে তা পাঁচ গুন বেড়ে ৪.৬-৪. ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। (সূত্র, দৈনিক প্রথম আলো, ০২ মার্চ ২০১৯)

বর্তমানে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার তথ্য প্রযুক্তির বিবিধ খাতে কাজ করছেন। তবে রপ্তানি আয়ের টেকসই খাত ফ্রি ল্যান্সিং কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দরকার প্রতিষ্ঠানিক আউট সোর্সিং এর জন্য উচ্চ সক্ষমতা তৈরি। এরজন্য ট্রেনিং ইন্সটিটিউশন, কারিগরি শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। পিএইচপি, ওয়েব মার্কেটিং, গ্রাফিকস, ওয়েব ডেভেলপমেন্টের পুরানো ও নতুন নতুন বিভিন্ন কাজে ফ্রিল্যান্সিং ব্যক্তি উদ্যোগে এগিয়ে যাবে। তবে কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার, ফিনটেক সল্যুশন, ব্লকচেইন টেকনোলোজি, এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার, বিজনেস সল্যুশন সফটওয়্যার, বিপিও সার্ভিস সফটওয়্যার, লার্জ স্কেইল কর্পোরেট আইটি সার্ভিস সাপোর্ট, টেলিকম ও আইটি ভেন্ডরের টেকনোলোজি ও ফিচার ডেভেলপমেন্ট, বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি গুলোর বর্তমান সার্ভিসে বিগ ডেটা ও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর স্বয়ংক্রিয় এপ্লিকেশন তৈরি, বড় বড় কোম্পানির সার্ভিস প্রভিশনিং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বহুবিধ কর্পোরেইট এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ইত্যাদি বড় বড় খাতের তথ্য প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা পণ্য তৈরির ব্যাপক সক্ষমতা অর্জন করতে গেলে উচ্চ শিক্ষায় সরকারকে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে হবে। দেশীয় তথ্য প্রযুক্তির সক্ষমতাকে প্রতিযোগী দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে নিতে দরকার ইন্ডাস্ট্রি,সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সমন্বিত মহাপরিকল্পনা। ক্ষুদ্র সফটওয়্যার খাত ও ফ্রিল্যান্সিং আয় নির্ভর থাকা মোটেই সাস্টেইনেবল নয়।

বেসিস সহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বেসরকারি শীর্ষ সংগঠনগুলোর হিসাবে দেশে দেড় হাজার আইটি ও আইটিইএস কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের পাঁচশ কোম্পানি রপ্তানিতে রয়েছে। শুধু বেসিসে এক হাজারের বেশি সদস্য কোম্পানি রয়েছে। এই কোম্পানি গুলোতে কিভাবে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চ মান সম্পন্ন মানবসম্পদ আসবে তার একটা হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট চেইন তৈরিতে সরকারকে এখনই ভাবতে হবে। ইতিমধ্যেই কৃত্তিম বুদ্ধিমতার প্রয়োগিক ব্যাপকতা, অটোমেশন পণ্য তৈরির উচ্চ সক্ষমতা, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের সঙ্গে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকার জন্য বহু চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়ে গেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো যেমন হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্ক, সবখানে উচ্চগতির ইন্টারনেট-সংযোগ নিশ্চিত করা এবং দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে পারলে আরও দ্রুত সফটওয়্যার খাতের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব। দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে সরকারকে এখনই শিক্ষা বিনিয়োগ বহুগুণ বাড়াতে হবে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হাসান ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: এই সব কঠিন বিষয় বুঝি না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শুরু করেছি যখন, আস্তে আস্তে কোন কিছুই কারো বুঝার বাইরে রাখা হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.