নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঋণ করে ঘি খাওয়ার অবিশ্বাস্য নজির

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৮


২০০৭ সালে সরকারের মোট ট্রেজারি বিল ঋণের আউটস্ট্যান্ডীং ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০১৯ এ এসে, ১২ বছরের মধ্যে এই ঋণ ৪৪ গুণ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। সোর্স- বাংলাদেশ ব্যাংক, গ্রাফ নিজের তৈরি। তবে জানুয়ারির হিসেব সহ ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে, বলা হয়েছে মোট ব্যাংক ঋণ ৫০ হাজার কোটি ছড়িয়েছে। সেটা বিবেচনা করলে দেখা যায় ১২ বছরে শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫৫ গুণ।

সরকারের বাজেট বৃদ্ধির সাথে আনুপাতিক হারে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি পেলে সেখানে আপত্তির কিছু থাকে না। কথা হচ্ছে, আপনি যখন দিন দিন এতই ধনী হচ্ছেন, আপনার ঋণ এম লাগামহীন ভাবে বাড়বে কেন?

এটা শুধু ট্রেজারি বিল স্থিতি, এর বাইরে সঞ্চয়পত্র ঋণ, প্রভিডেন্ড ফান্ড ঋণ, বৈদেশিক ঋণ আছে। ১২ বছরে বাজেট বেড়েছে ৬ গুণ, কিন্তু আপনার ঋণ বেড়েছে ৫৫ গুণের বেশি????

উল্লেখ্য, ২০০৭-০৮ এর বাজেট ছিল ৮৭ হজার ১৩২ কোটি টাকার তা বেড়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি হয়েছে।

বল্গাহীন ঋণ করে ঘি খাওয়ার এমন উন্নয়ন দেখানোর খেলা অবিশ্বাস্য ও নজির বিহীন।

উল্লেখ্য, বিগত ১০ বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ৭০ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে।

একটা সরকার সহনীয় বাজেট ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার সহনীয় হারে অভ্যন্তরীণ ঋণ নিতে পারে। যেহেতু বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতি সন্তোষ জনক তাই বৈদেশিক ঋণের উপর আপাতত চাপ নেই। তথাপি উন্নয়ন প্রকল্পে বাছ বিচার হীন বৈদেশিক ঋণ চলছে। এর মানে কাঁচামাল ও সেবার যা কিছু অভ্যন্তরীণ মুদ্রায় করা যায় তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বৈদেশিক খাতে, আমদানিতে। এমনকি মাঝারি বা বড় ভবনও করছে বিদেশিরা। কারন, অভ্যন্তরীণ মুদ্রা ও সরকারের রাজস্ব আয় সংকটে আছে বলে সরকার স্থানীয় মূদ্রায় বিল পরিশোধে ব্যর্থ।

দেশীয় কাঁচামাল ও সার্ভিসকে পাশ কাটিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পকে বৈদেশিক কারেন্সি নির্ভর করার একটা প্রভাবে পড়ছে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানে। তদুপুরি সরকারকে ঋণ দেয়া লাভজনক হওয়ায়, বেসরকারি ব্যাংক ব্যক্তি খাতে ঋণ দিতে উৎসাহহীন হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের একাডেমিক অর্থনীতিবিদদের মূল ব্যর্থতা হচ্ছে এখানে যে, উনারা জেনে বুঝেও এই প্রশ্নগুলো আলোচনার টেবিলেই তুলছেন না।

১। কেন একটা সক্ষম সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ ১১-১২ বছরে ৪৪ গুণ হবে? ১২ বছরে বাজেট বেড়েছে ৬ গুণ, কিন্তু আপনার ঋণ বেড়েছে ৫৫ গুণের বেশি। কেন?

২। কেনই বা বৈদেশিক ঋণ প্রায় তিন গুণ বাড়বে যেখানে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ খুব ভালো?

৩। কেন মোট মাথাপিছু ঋণ দশ বছরে সাত গুণ হবে?

৪। কেনই বা ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতির পরেও, সরকারের খরচ বাড়ানোর (পড়ুন জিডীপি) জন্য এভাবে দেড় লক্ষ কোটি ঘাটতির একটা ফালতু বাজেট করা হল?

৫। তারা কেউ সাহস করে বলতে পারছেন না, সরকার মহাশয়! সত্য সত্যই অভ্যন্তরীণ মূদ্রা ব্যবস্থাপনা সংকটে আছে!


আমাদের অর্থনীতিবিদেরা সবাই ব্যস্ত আছেন লো ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও নিয়ে। এতে করে সরকার রাজস্ব বড়াতে অতি উৎসাহী হয়েছে এবং ব্যর্থও হয়েছে। মাত্র ছয় মাসে সরকারের রাজস্ব টার্গেটে ৩০ হাজার কোটির টাকার বেশি ঘটতি হয়ে গেছে। যদিও আমাদের অর্থনীতিবিদগণ সবাই জানেন, দেশের ৮৫% কর্মসংস্থান অনানুষ্ঠানিক খাতে হচ্ছে এবং এটা এভাবেই চলে আসছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং ভারত সহ পুরা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি এটাই। এখানে জোর করে ট্যাক্স ভ্যাট আদায় করতে গেলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করে পাচারে লিপ্ত হয়, পারলে নিজেরাও পালায়। নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত শুধু খেলাপি ঋণ এর মোট পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। বাড়ছে পাল্লা দিয়ে পাচার। অর্থাৎ পুরো অর্থনীতি হয়ে উঠছে উৎপাদন হীন।

অর্থনীতিবিদেরা, কেউ জোর গলায় সরকারকে বলছেন না, সরকার! তোমার খরচ কমাও, লুট থামাও!

ব্যক্তি ও ব্যবসার উপর সরকারের কর ভ্যাটের অতিরিক্ত চাপের প্রভাবে সংকটে পড়েছে কর্মসংস্থান। এই যে দেশে কর্ম সংস্থানের এত আকাল, এটা মোটেই বিচ্ছিন্ন কিছু নয়।

ঋণ জিডিপি অনুপাত
অর্থনীতিবিদেরা একটা চরম মিথ্যাকে সমর্থন করছেন, ডেটা যাচাই বাছাই না করেই।বলছেন ডেবট-জিডিপি না ৫%?
জিডিপি'র বেইজলাইন একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে ২০০৯-১২ এর মধ্যে, এই সময় আয়ের পরিবর্তে ব্যয়কে প্রাধান্য করে জিডিপি ফর্মুলা তৈরি হয়েছে। এই মডেল নাইজেরিয়া প্রথম বাস্তবায়ন করে তাদের জিডিপি দ্বিগুণ করে ফেলেছে প্রায়। পরবর্তিতে বাংলাদেশও নতুন ইকুয়েশনে জিডীপি বেইজলাইন তৈরি করেছে, পরের বছর গুলতে এই ভিত্তিতে শুধু গ্রোথ এড করা হচ্ছে। ফলে সবকিছুকে জিডীপির কাছে তুচ্ছ মনে হচ্ছে।

ফর্মালি সংবাদ সম্মেলনে সরকার ফরেন ডেবট ৩৪ বিলিয়ন ডলার দেখায়, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ এনালিসিস হচ্ছে ফরেন ডেবট প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলারের মত। এভাবে সঞ্চয়পত্র ঋণের স্থিতিতে গরমিল আছে, সুদ মাইনাস করে নোট এমাউন্টকে ডেবট দেখানো হয় ফরেন এবং লোকাল সব ডেবট এ। অর্থাৎ এখানে পরিসংখ্যান গত জালিয়াতি আছে। তার পর আসেন খেলাপি ঋণে, বলা হয় ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি। কিন্তু আরো এক লক্ষ কোটির উপর মামলা চলছে বলে সেটাকে খালাপি হিসেবে দেখানো হচ্ছে না। আরো ৪৫ বা ৫০ হাজার কোটি আছে যেটাকে বিশ্বাসী ঋণ বলা হচ্ছে, কিন্তু এটা ফেরত আসার কোন নাম নাই। এভাবেই পরিসংখ্যান গত কৌশলে ডেটা ম্যানিপুলেশন হচ্ছে। সরকার নয় শুধু বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ ১৫ থেক ১৬ বিলিয়ন ডলার। কিভাবে ডেবট টু জিডিপি ৫% হয়?

বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ বাদও দেই, শুধু বৈদেশিক ঋণ ৬৫ বিলিয়ন, অভ্যন্তরীণ ঋণ ১৫ বিলিয়ন মোট ৮০ বিলিয়ন, জিডিপি ২৭৫ বিলিয়ন। ডেবট টু জিডীপি রেশিও এমনিতেই আসে ২৯,%, কারা ৫% বলে? কিভাবে বলে? যেহেতু বেসরকারি খাত জিডিপিতে ভূমিকা রাখছে, তাদের ঋণ বাদ যাবে কেন? সেটাও হিসেবে আনা উচিৎ। বাস্তবে ডেবট-জিডিপি রেশিও প্রায় ৩৫% এর কাছাকছি।


কর জিডিপি অনুপাত!

বলা হচ্ছে, ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত ছিল গড়ে ১০ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্বের উদীয়মান দেশ ও এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ হার বাংলাদেশের দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এমনকি সাব-সাহারা আফ্রিকার দেশগুলোর কর-জিডিপি হারও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আইএমএফের প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে নীতি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের গড় কর-জিডিপি অনুপাত নেপালের ২৩ দশমিক ৩, ভারতের ২০ দশমিক ৩, পাকিস্তানের ১৫ দশমিক ২ এবং শ্রীলঙ্কার ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

বলা হচ্ছে এটা বিশ্বের সর্বনিন্ম। তাই এটা বাড়াতে হবে অন্তত দ্বিগুণ। সরকারি বুদ্ধিজীবীরা হিসেব দিয়েছে, কর জিডীপি অনুপাত বাড়াতে পারলে বছরে অন্তত ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা বাড়তি পাওয়া যাবে যা যা জিডিপির ৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে। যা কথা তাই কাজ, সরকার এক রাজস্ব আয়ের টার্গেট বাড়িয়ে দিল হু হু করে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ যেভাবে সুদের উৎসে কর কাটে, ব্যাংকের বাৎসরিক স্থিতিতে কর কাটে নির্বিচারে তা বিশ্বের বহু দেশে হয়না। অনেক দেশে ব্যাংকের স্থিতিতে কর কাটে তবে তা একটা বিশাল অংকের স্থিতির উপর, যেমন- নেদারল্যান্ডসে ৪৫ হাজার ইউরোর উপরে। কিন্তু বাংলাদেশে লাখ টাকার স্থতিতেই, এবং যে কোন সুদের উৎসের উপরেই কর কাটা হয়।


এই একটিভ হিসেব গুলো আমলে নিলে দেখা যায়, কর-জিডিপির সরকারি আনুপাতের সংখ্যা আসলে মিথ্যা। এটা পরিসংখ্যান গত কারসাজি মনে করি। যেখানে টিন থাকুক না না থাকুক ব্যাংকের স্থিতি, সঞ্চয় পত্রের সুদ এবং এফডিয়ারের সুদের উৎসেই কর কাটা হয়, সেখানে শুধু টিন সংখ্যার বিপরীতে কর-জিডীপি অনুপাত বের করা, পাগলকে নৌকা দোলানর মত কাজ। যেখানে আমার একাউন্ট এর স্থিতির উপর বাৎসরিক কর কাটা হয়ে গেছে সেখানে কত জন বা কি পরিমাণে আয়কর রিটার্ণ জমা দিয়েছেন, শুধু তার হিসেবে কর জিডিপি অনুপাত সংখ্যা বের করা অর্থহীন। আবার যেহেতু জিডিপি'র ফর্মুলাই ব্যয় কেন্দ্রিক হয়ে গেছে, আর সরকার বছর বছর প্রায় ৫০ হাজার কোটি করে বাজেট ব্যয় বাড়িয়ে জিডীপির পালে একটা মিথ্যা হওয়া দিয়েছে তাই কর জিডিপি অনুপাত হিসেবে রাজস্ব টার্গেট বাড়ানো বাংলাদেশে অর্থহীন। দেখুন, আয়ের উৎস না থাকলেও বেশি ব্যয় কেন্দ্রিক বড় বাজেট জিডীপি বড় করে দেখাচ্ছে, কিন্তু বাজেটেরর এক চতুর্থাংশই যে ঘাটতি এটা জিডিপিতে কাউন্ট করা হচ্ছে না। এই ঘাটতি ঋণ প্রবাহকে একটা শোচনীয় অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। এই পরিসংখ্যান যে অর্থহীন তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। রাজস্ব বিভাগ নিন্ম কর জিডিপির অনুপাতের কথা বলে নতুন রাজস্ব টার্গেট সেট করে তা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। ছয় মাসে ৩০ হাজার কোটি রাজস্ব ঘাটতি, বছর শেষে এটা ৬০ হাজার কোটি ছড়াবে, যেহেতু রপ্তানি আয়ে ধ্বস এসেছে।

আইএমএফ আর অর্থনীতিবিদেরা মিলে কর-জিডীপি হিসেবের ফর্মুলা দিয়েছে, সরকার তা লুফেছে। এখন ফান্দে পইড়া কান্দে বগা। অর্থাৎ রাজস্ব বাড়ছে না, বাড়ছে না চাকরি। মাঝখানে বাড়ছে খেলাপি ঋণ আর পাচার। সবাই বুঝে গেছে এভাবে সরকার কর ভ্যাট কাটলে এই দেশে ব্যবসা করে ফায়দা নাই।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: কি ভয়াবহ!!!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কিছু সত্য, কিছু পরিসংখ্যানগত ম্যানিপুলেশন, বেশ কিছু মিথ্যা এবং কিছু দীর্ঘসূত্রী কিন্তু দৃশ্যমান প্রকল্পের উপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের উন্নয়নের গল্প।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩৬

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: সব কিছুর মূলে আছে দূর্নীতিএবং লুটপাট।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সব কিছুর মূলে আছে দূর্নীতি এবং লুটপাট।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদ্বের বেকার সমস্যার মুলে কি? ইহার সমাধান কি?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কর্মসংস্থান কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়!

কর্মহীন প্রবৃদ্ধি একটা জটিল সমস্যা, প্রত্যেকটা ছোট বড় যায়গায় কর্সংস্থানকে এগিয়ে নেয়ার কৌশলগত উদ্যোগ নিতে হবে।

১। সকল পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্পে বাছবিচারহীন ভাবে বিদেশীদের কাজ না দিয়ে যেখানে যেখানে দেশীয় কাঁচামাল, দেশীয় কোম্পানি দিয়ে চালান যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। পিজিসিবির দশ তলা বিল্ডিং, লাইব্রেরি ভবন করার কাজ বাইরের দেশের কম্পানিকে দিলে এদেশে কর্মসংস্থান আগাবে না। প্রত্যক্টা ছোট মাঝারি ও বড় প্রকল্পে কিভাবে দেশীয় সাপ্লাইচেইন, হিউম্যান রিসোর্স, যাবতীয় কাঁচামাল ইত্যাদি এগিয়ে নেয়া যায় তার একটিভ বন্দোবস্ত করতে হবে।

পিজা হাট, কে এফ সি'র আলু মুরগি ক্যাপ্সিকাম থেকে শুরু করে পদ্মা সেতুর সিমেন্ট পর্যন্ত সর্বত্রই দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারের একটা বাধ্যবাধকতা আনতে হবে। দেশী কাঁচামালের মান কম থাকলে, মান আনার টাইম প্ল্যান বেঁধে দিতে হবে। আনলিমিটেড টাইম কেউন বিদেশী কাঁচামালে দেশে বিজনেস করতে পারবে না। শুধু নতুন বিনিয়োগকারীরা প্রথম তিন থেকে ৫ বছর স্বাধীনতা পাবেন।

২। মাথাপিছু হারে শিক্ষক, ডাক্তার, নার্স, নগর পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ ইত্যাদি পেশার বাড়িয়ে কর্মসংস্থান ব্যাপক ভাবে এগিয়ে নেয়া যায়।

৩। শিল্প খাতের চাহিদা সার্ভে করে সেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়য়ে কোর্স ঠিক করা। আইটি সিকিউরিটি, সফটওয়্যার এপ্লিকেশন, এ আই, ডেটা সায়েন্সে, এপ্লাইড কম্পিউটার সায়েন্সে, কিংবা ফাইনান্সে, কিংবা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিক্সে পাঁচ হাজার করে লোকের চাহিদা থাকলে, সেখানে দুই ক্লাসে ১২০ বা তিন ক্লাসে ১৮০ জন পাড়ালে হবে না। বরং হাজারে হাজারে পড়ানর সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। এতে শিল্প খাতে দরকারি স্কিল সেট তৈরি হবে।

৪। ৮৫% চাকুরি অনানুষ্ঠানিক খাতে। তাই অনানুষ্ঠানিক খাতে কর ও ভ্যাটের চাপ সহনীয় করতে হবে। অনানুষ্ঠানিক খাতের ব্যবসাকে সহজ করতে হবে।

৫। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ ও অফিস অবকাঠামো সুবিধা দিতে হবে। সরকার শুধু বড় ব্যসায়ীদের এক অংকের সুদ নিয়ে ব্যস্ত।এই সুবিধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও দিতে হবে।

৬। পণ্য উৎপাদনের শ্রমিক শুধু না বাড়িয়ে, পণ্য ডিজাইনে সক্ষম দক্ষ রিসোর্স তৈরির উদ্যোগ।

৭। প্রবাসী শ্রম বাজারে সেমি স্কিল এবং স্কিল্ড শ্রমিক পাঠানোর জন্য এডভান্স ট্রেনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার খোলা, সেই অনুযায়ী বাজার বাড়ানো।

৮। কোম্পানি গুলোকে এনুয়াল টার্নওভারের বিপরীতে লোক নিয়োগ দিবার আইন করতে হবে। লোক নিয়োগে উৎসাহ দিতে এক বা আধা শতাংশ কর অবকাশ সুবিধা দেয়া যেতে পারে।

৯। কোন পোষ্টে বিদেশী নিয়েগের বিপরীতে ঐ কোম্পানিকে এক বছরের মধ্যে একই স্কিল সেটে দেশীয় রিসোর্স তৈরির শর্ত আনতে হবে। এমন শর্ত ওয়ার্ক ভিসার সাথে এটাচ করে দিতে হবে। এতে করে বিদেশী ম্যানেজাররা দেশীদের খেদিয়ে তার নিজের টীম সুবিধামত বিদেশীদের দিয়ে পুরো টীম সাজানোর কাজগুলো বন্ধ হবে।

১০। বেসরকারি খাতে ওভারটাইমের উপর একটা লিমিট আনতে হবে। ওয়ার্ক লাইফ ব্যাল্যান্স করে প্রোডাক্টিভিটি এবং এমপ্লয়মেন্ট বাড়াতে হবে। বেকারত্ব সমস্যার মোটামুটি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি কর্মঘন্টাকে সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টায় বেঁধে দিয়ে, ওভারটাইমে কালচারে লাগাম টেনে কর্মসংস্থানকে এগিয়ে নিতে হবে।

সবশেষে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, কৃষি পণ্যের বাজার মূল্য ঠিক করা, শ্যোশাল সেইফটি নেট বাড়ানো। এটা করলে ক্রয় ক্ষমতা বাড়াবে, এর ফলেও ব্যবসায় গতি আসবে। এর প্রভাব ধীরে ধীরে কর্মসংস্থানে পড়বে।

আমার প্রকাশিতব্য বই "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ" এর কর্মসংস্থান চ্যাপ্টার থেকে আংশিক কপি করা!

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়ের বক্তব্য পুরোপুরি বোগাস। দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে--এই আপ্তবাক্য আর বেশি দিন চলবে না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কিছু সত্য, বহু পরিসংখ্যানগত ম্যানিপুলেশন, অনেক মিথ্যা এবং দীর্ঘসূত্রী কিন্তু দৃশ্যমান প্রকল্পের উপর দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়নের গল্প!

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি নিজে লেখেন, নাকি অন্যদের লেখা দেন?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এজন্যই বলি,পোষ্ট পড়েই কমেন্ট দিয়েন।
আর যখন কমেন্ট দেন তখন কাইন্ডলি কনটেন্ট বেইজড কমেন্ট দিবেন। পোষ্ট না পড়ে জাস্ট একটা কমেন্ট থ্রো করবেন না। এটা ভালো কিছু না।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ। বেশি কিছু আশা করা ভুল হবে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, রাজস্ব সাড়ে তিল লাখ কোটি টাকা। লূটপাট থামানো আর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এই টাকার বাস্তবায়ন ভ্যালু বিশাল। সরকার সমর্থনের আড়ালে প্রশাসন ও ব্যাংক মালিকরা, লীগের লোকেদের সাথে পাল্লা দিয়ে লুটে লিপ্ত।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

আকন বিডি বলেছেন: যারা এই বিষয়ে কথা বলতেন টকশোতে, তারা আর আমন্ত্রন পান না সরকারের রোষানলের কারণে। আর যারা বাআলী করে তারা দেশের বারটা না বাজিয়ে ছাড়বে না। কেউ সত্য প্রকাশ করলেই সে রাজাকার, দেশ দ্রোহী, দেশের উন্নয়ন বিরোধী। কি দরকার নিজের খেয়ে দেশের কথা বলে নিজে বাশঁ খাও।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যারা এই বিষয়ে কথা বলতেন টকশোতে, তারা আর আমন্ত্রন পান না সরকারের রোষানলের কারণে

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশের সকল দুর্নিতির মুলে সরকারি আমলারা, বিসিএস কর্তারা।
হাসিনা মরার আগে একটা চান্স নিতে পারে। সকল আমলা বর্খাস্ত করে দিক।

আমলা সরকারি কর্তা বাদে একটি দেশ ৬ মাস চলতে পারে। বহু দেশে প্রমানিত।
আমেরিকায় ২০১৮ তে ৭ মাস 'গভর্মেন্ট শাট ডাউন' ছিল। প্রায় সব সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। কোন সমস্যা হয়নি।
৬ মাস পর নতুন বিসিএস পরিক্ষা দিয়ে পদের চেয়ে ৩ গুন বেশী রেখে একটি প্যানেল তৈরি।
এরপর তরুন মেধাবি আমলা নিয়োগ। ৪ বছর মেয়াদি আমলা। ৪ বছর পর অটো বর্খাস্ত। মেয়াদ উত্তিন্ন হলে প্যানেলে থাকতে পারে। আর দুর্নিতির অভিযোগ পাওয়া মাত্র বর্খাস্ত ও ব্ল্যাক লিষ্ট।

আর ক্যাশ টাকা উঠায়া দিয়া সব টাকা ইলেক্ট্রনিক মানি করে দিলে সকল বড় দুর্নিতি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। হবেই। নইলে ধরা পরবে। এই মুহুর্তে ভারতের মত ৫০০-১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দিলে এখনি প্রায় ৯০% দুর্নিতিবাজ পথে বসে যেত।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমলারা খুব বেশি বেড়ে গেছে, যেনতেন কাজে বাইরে যাবার, খরচ বাড়ানোর একটা মহামারি শুরু হয়েগেছে। এদের থামাতে না পারলে অর্থনীতি বিপদে পড়বে। পাশাপাশি ব্যাংক মালিক পরিচালকদের কিভাবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা তারাই জানে। তাদের যোগসাজশে সরকার কয়েকটা বিএনপি জামাত পন্থী ব্যাংক হাতিয়ে নিয়েছে। এখন তারাই সরকারকে ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছে।

এত এত সুবিধা দেবার পরেও খেলাপি ঋণ কমছে না বরং বাড়াছে। এখন এক অংকের সুদে টাকা দিলে এটাও তারা ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে হাতিয়ে নিবে।

সব মিলে পরিস্থিতিত মিস্টার লোটাস কামালের জন্য খুব সুখকর নয়। ইতিমধ্যেই ৩০ হাজার কোটি রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ছয় মাসে!

আমলাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা আমি দেখি, সেটা হচ্ছে প্রকল্প ডেলিভারির ব্যর্থতা, কোন প্রকল্পই তারা সময়মত ডেলিভারি দিতে পারছে না। এতে খচরও বাড়ছে। এটা অমূলক নয় যে, এই বাড়ন্ত খরচে তাদের কিছু পাবার যোগ আছে।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক,




শংকিত হবার কিছু নেই । বোঝা তো পাবলিকের ঘাড়ে তারা সেই বোঝা এতোদিন ধরে টেনে এসেছে, টানবে আগামী যুগ যুগ ধরে।

যাকগে, অর্থনীতি তেজী করা ও কর্মসংস্থানের জন্যে উচিৎ অবিলম্বে উৎসের খোঁজ না করে দেশে বিদেশে থাকা সব কালোটাকা হালাল করে দিয়ে কোনও ধরনের চাপ না দিয়ে কালো টাকাওয়ালাদের দেশের সবধরনের ইনফ্রাষ্ট্রাকচার ( যেখান থেকে বিনিয়োগকারীরাই টোল আদায় করবে), আমদানী ধীরে ধীরে বন্ধ করে সব ধরনের কলকারখানায় টাকা খাটানোর চান্স দেয়া। সরকার চাইলে মাত্র ২ থেকে ৩ % ট্যাক্স ধার্য্য করতে পারে কেবল মাত্র উৎপাদিত পন্য ও আদায়কৃত টোলের উপর । বিনিয়োগকৃত পুঁজির ব্যাপারে নো কোয়েশ্চেন, নো কোনও কিছু।

এটাকে মহাগর্দভের (?) সাজেশান বলে মনে হবে। কিন্তু বইপুস্তকের থিয়রী দিয়ে যে কোনও কাজ এদেশে হয়নি বা হবেও না এটাও মাথায় রাখতে হবে।

আর এই গর্দভীয় সাজেশনে যদি সব চালু করা যায় তবে কালোটাকা বিনিয়োগকারীরা নিজেদের বাঁচার স্বার্থেই আপনার ৩ নম্বর প্রতিমন্তব্যের বেশ কিছু সাজেশান মেনে চলবেই, তাদের কে চলতে হবেই।

এভাবে পাবলিক সেক্টরে সব ছেড়ে দিয়ে সরকারকে সকল উন্নয়নের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। তাতেই দুর্নীতি কমে যাবে আর এদেশে দুর্নীতি একেবারে না থাকলে কি হবে তা বোধহয় বুঝিয়ে বলতে হবেনা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কালো টাকা সাদা করার সুযোগ স্বাধীনতার পর থেকেই চলে আসছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, কালো টাকার তৈরি হবার পথ বন্ধ করা হচ্ছে না। এর সাস্টেইনেবল পথ হল ক্যাশ লেইস সোসাইটি, অটোমেশন এবং ডিজিটাইজেশন। আমাদের কয়েকটি খাতে অটোমেশন হয়েছে কিন্তু যেখানে যেখানে ঘুষ লেনদেন হয় সেই পয়েন্ট গুলাতে ম্যানুয়াল ইন্টারভেনশন এর সুযোগ আছে যথারীতি।

দুটো ইউজ কেইস আছে-
১। চট্রগ্রাম বন্দর অটোমেশন
২। বিয়ারটিএ অটোমেশন
দুটাতেই ঘুষ লেনদেন ও তদবিরের জায়গা গুলোকে যত্ন করে রেখে অটোমেশন হয়েছে। ফলে তদবির ও ঘুষ ভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিজে কালো টাকার উপার্জন বন্ধ করছে না, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদেরও কালো বন্ধ হচ্ছে না। এই তিন পক্ষ মিলে একটা উইন উইন অবস্থা তৈরি করেছেন

এবার আসুন কালো টাকার বিনিয়োগ। অদ্ভুত কারণে কালো টাকার বিনিয়োগের যে সুযোগ গুলো দেয়া হয় তার সবই অনুতপাদনশীল খাতে। যেমন জমি কিনা। কিন্ত অদ্ভুত। পরে দেয়া হল ফ্ল্যাট কেনা। এতে করে জমি ও ফ্ল্যাটের দাম বেরে গেল, কষ্ট অফ বিজনেসে উচ্চ খরচ যোগ হল।

কালো টাকার যেটা বিদেশে গেছে সেটা ফিরবে বলে মনে হয় না। যেটা দেশে আছে সেটা কিভাবে কর্মসংস্থান মূখী বিনিয়োগে ফিরানো যায় তার একটা সৎ চেষ্টা থাকা চাই। তবে কালো টাকা বন্ধের পথ খোঁজাও ইকুয়ালি ইম্পরট্যান্ট।

মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

মেটালক্সাইড বলেছেন: জার্নাল খুব ভাল হয়েছে। অনেক ব্লগারের ব্লগ বিষয়ের উপর মন্তব্যর মধ্য আমি দেশের সামনের ভবিষ্যতে কি ভয়াবহতা হতে পারে তা উল্লেখ করার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্লগাররা আমার মন্তব্যকে উদোর পিন্ডি ভূতোর ঘাড়ে বলে হেচকি তুলে। আপনার এই লেখাটা তাদের জন্য আজ চপেটাঘাত। আরো ভাল ভাল জার্নাল আশা করছি। শুভকামনা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সময়োপযোগী পোষ্ট।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন দেশের হালহকিকত। দেশের শিক্ষিত (কুশিক্ষিত নয়) সমাজের যারা মোটামুটি একটু সমাজনীতি, অর্থনীতি বোঝে তারা সকলেই জানে যে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনার দুর্বৃত্তায়নে অর্থনীতির হাল ভালো নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উচ্চসুদে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে আর বেসরকারী ব্যাংক থেকে ক্রেডিট নিয়ে বেশি দিন চলা সম্ভব নয়। একদিন মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। অনেক ব্যাংক নাকি কল মানির টাকা পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারছে না। কি হাল করেছে এগুলোর।

বড় প্রজেক্ট, বড় বাজেট, বড় লেনদেন, বড় লুটপাট। এই নীতিতে চলছে। যে প্রকল্প ৩ বছরে সম্পন্ন হওয়ার ক্থা, নানারকম অজুহাত, অদ্ক্ষতা, অসাধুতা ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ম সংশোধনী, ২য় সংশোধনী, ৩য় সংশোধনী... ও রি-কাস্টে... তা নেওয়া হচ্ছে ১০-১২ বছরে। প্রকল্প ব্যয় বাড়ছে দ্বিগুণ, তিনগুণ...। ফলে প্রকল্প থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাব্যতা তা কমে গিয়ে তলানিতে ঠেকছে। এগুলো নিয়ে দেশে আর ভাবারও লোক নেই। যারা এইসব মচ্ছব নিয়ে কথা বলছে তাদেরকে নানান রকম হয়রানির মাধ্যমে নিশ্চুপ করানো হচ্ছে। অদ্ভুত অবস্থা।

নন-সাসটেইনেবল এইসব উন্নয়নের কুফল ভোগ করছে গ্রামীণ সমাজ। ধানের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। কৃষকের হাতে টাকা না থাকায় মফস্বলের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল নিউজে দেখলাম দেশে নাকি মোটরসাইকেল বিক্রি কমে গেছে গতবছরের তুলনায় ড্রাস্টিকভাবে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। এটা শুধু মোটরসাইকেলে সীমাবদ্ধ নেই। কৃষকের হাতে টাকা না থাকলে সকল প্রকার ভোগ্যপন্যের বিক্রি কমতে বাধ্য। ফলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশনেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। অচিরেই আমরা দেখব কর্মসংস্থানের বদলে কর্মীদের চাকুরীচ্যুতি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশায় মানুষের আস্থা শুন্যের কোঠায় উঠেছে। এগুলো নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই বললেই চলে। অকর্মা বিরোধীদলও জনগণের দাবীদাওয়ার বদলে আছে তাদের নিজস্ব খায়েস পুরুণে।

যে স্ফিত প্রবৃদ্ধি আমাদেরকে দেখানো হচ্ছে তা অদূর ভবিষ্যতে ধপ করে পড়ে গেলে অবাক হব না। গার্মেন্টস সেক্টরেও ইতিমধ্যে নেগেটিভ ইম্পেক্ট পড়া শুরু করেছে। ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে এ বছরেই ওভারটেক করবে। ডলারের দাম জোর করে স্থিতিশীল রেখে বেশি দিন সুফল পাওয়া যাবে না। দেশের প্রকৃত মুদ্রস্ফীতি সরকারের দেওয়া তথ্যের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে কীভাবে ডলার এভাবে...। ফলে রপ্তানীতেও এর প্রভাব পড়ছে।

সামনের দিনগুলোতে হাজারো সমস্যা সরকারকে ফেস করতে হবে। এখন দেখার বিষয় এগুলো তারা কীভাবে মোকাবেলা করে। যত দ্রুত বুঝবে সমস্যা ইজ সমস্যা এবং এর সমাধান দরকার ততই জাতির মঙ্গল। যদিও বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। টাইম উইল টেল...।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উচ্চসুদে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে আর বেসরকারী ব্যাংক থেকে ক্রেডিট নিয়ে বেশি দিন চলা সম্ভব নয়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যে স্ফিত প্রবৃদ্ধি আমাদেরকে দেখানো হচ্ছে তা অদূর ভবিষ্যতে ধপ করে পড়ে গেলে অবাক হব না। গার্মেন্টস সেক্টরেও ইতিমধ্যে নেগেটিভ ইম্পেক্ট পড়া শুরু করেছে। ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে এ বছরেই ওভারটেক করবে। ডলারের দাম জোর করে স্থিতিশীল রেখে বেশি দিন সুফল পাওয়া যাবে না। দেশের প্রকৃত মুদ্রস্ফীতি সরকারের দেওয়া তথ্যের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে কীভাবে ডলার এভাবে...। ফলে রপ্তানীতেও এর প্রভাব পড়ছে।

সম্পূর্ণ সহমত!
ফরেন কারেন্সি সংকটে নেই। তবে লোকাল কারেন্সি একটা বড় সংকটের মূখে। আমরা ধ্বসের খুব নিকটে। সরকার লোকাল সাল্পাইয়ারদের পেমেন্ট করতে না পরের প্রায় সব কাজে বিদেশিদের ঢাকছে। রড সিমেন্ট লেদারের অভ্যন্তরীণ বিক্রয় কমেছে। ইনফ্লাশন ৬ থেকে সারে ছয়। মোট খেলাপি ঋণ পৌনে তিন লক্ষ কোটি। মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ সোয়া লক্ষ কোটি। এই লোকাল কারেন্সির সংকট নিকট ভবিশ্যেতে ফরেন কারেন্সি সংকটকেও প্রভাবিক করে ছাড়বে।

তাই এখনই সুমতি ফিরা দরকার, কিন্তু কাকে দিয়ে কাজ করবে সরকার। আমলাতন্ত্র যেভাবে লুটে ব্যস্ত, সরকারের ভালো উদ্যোগও ব্যর্থ হবে।

১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


৩ নং মন্তব্যের উত্তরে যা বলেছেন, এগুলো সাধারণ মানুষের ধারণা, এসব ধারণার ফলে, আমাদের বর্তমান অবস্হা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনি তো অসাধারন মানুষ, অসাধারন মানুষদের ধারণা পয়দার অপেক্ষা তো জাতি ১১ বছর কাটালো। নাকি মার্কিন মিডিয়া এই ব্যাপারে কিছু বলনি বলে আপনার সেসব লিখা হয়ে উঠছে না!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সাধারণ মানুষ নিয়েই দেশ। সাধারণের সমষ্টিগত প্রচেষ্টাই অর্থনীতি। যারা অসাধারণ তারা মেধাপাচার আর বাংলাদেশের অর্থ লুট করে বিদেশে বাড়ি গাড়ি করা ছাড়া আর কোন কাজে আসেনি।

প্রতি উত্তরে ১০ টি পয়েন্ট আলোচনা করেছি। আপনার সাধ্যে থাকলে প্রতিটি পয়েন্ট ধরে ধরে আলোচনা করেন। নাইলে জাস্ট ফুটেন।

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
ধন্যবাদ

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

১৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


৫ নং কমেনট করেছি এজন্য যে, আপনি " ট্যাক্স টু জিডিপি' নিয়ে কথা বলেছেন; কিন্তু উহা আপনি সঠিভাবে বুঝেন বলে মনে হয় না; অন্তত, লেখায় তা পরিস্কার হয়নি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনি যেহেতু ভালো বুঝেন, লিখছেন না কেন? কেউ অখুশি হবে বলে?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমার লিখা থেকে আপনি কি পিক করেছেন, সেটা একটু বুঝাইয়া কোন দেখি!
ব্লগারের মূল কাজ বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডানো।

অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ছোঁড়া, কনটেন্ট না পড়ে মন্তব্য করা, বক্তব্যের বিপরীতে বক্তব্য না দিয়ে, যুক্তির বিপরীতে যুক্তি না এনে- আপনি বুঝেন না, অন্যকে দিয়ে লেখান এমন ফফর দাদালি করা ব্লগারের কাজ নয়।

আর একটা কথা বলি, আপনি যা বলেন লিখেন তা হল সিএনএন আর বিবিসি নিউজের প্রতিক্রিয়া মাত্র! এদিক সেদিক টোকাইয়া টাকাইয়া কিছু কথা লেখা। নিজের কোন মৌলিক চিন্তা বা আছে বলে মনে হয় না।

যদি নিজের মৌলিক চিন্তা থাকে তাইলে বক্তব্যের বিপরীতে বক্তব্য নিয়ে আসেন।

ব্লগে আমি হাসান ভাইয়ের সাথে অনেক যুক্তি তর্ক করি। সেগুলা ফলো করেতে পারেন।

১৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইয়া, রাজস্ব সাড়ে তিল লাখ কোটি টাকা। লূটপাট থামানো আর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এই টাকার বাস্তবায়ন ভ্যালু বিশাল। সরকার সমর্থনের আড়ালে প্রশাসন ও ব্যাংক মালিকরা, লীগের লোকেদের সাথে পাল্লা দিয়ে লুটে লিপ্ত।


সাধারন মানুষ কোনো রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে।
লুটপাত করে প্রশাসন। রাজনীতিবিদ ও তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন। কিন্তু ভূগতে হয় দেশের সকল নাগরিককে।

১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বুঝে, কিংবা না বুঝে, আপনি বড় বড় বিষয়ে লিখেছেন; মন্তব্যে এগুলোর পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দেয়ার অর্থ নেই; কারণ, এগুলোর ব্যাখ্যা অনেক বড়।

১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৮

এ্যাক্সজাবিয়ান বলেছেন: আপনার ৩ নং প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন সবশেষে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, কৃষি পণ্যের বাজার মূল্য ঠিক করা, শ্যোশাল সেইফটি নেট বাড়ানো। এটা করলে ক্রয় ক্ষমতা বাড়াবে, এর ফলেও ব্যবসায় গতি আসবে। এর প্রভাব ধীরে ধীরে কর্মসংস্থানে পড়বে। এখানে সবশেষে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, কৃষি পণ্যের বাজার মূল্য ঠিক করা বলতে কি বুঝাতে চাইলেন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আসলে ব্যাপারটা বিস্তারিত এক্সপ্লেইন করলে ভালো হত। ভিন্ন যায়গায় এর কিছু আলোচনা আছে বটে!
https://www.facebook.com/notes/3463454540363855/

তবে সংক্ষেপে কিছু বলি-
আমাদের কৃষকদের মূল উৎপাদন ধান, ধানের দাম না পেলে কৃষক তার ঋণ বা ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি দিয়ে পারে না ঠিক সময়ে এতে করে সুদের পরিমাণ বাড়ে। আবার সঠিক সময়ে টাকাটা না পেলে পরবর্তী মৌসুমের ফলনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। পর পর কয়েক বছর উৎপাদিত ফলনের ন্যায্যমূল্য না পেলে অনেকে চাষাবাদে আগ্রহ হারান। এতে এতদিনের তৈরি কৃষি চক্রে ভাটা পড়ে। পরে চাইলে একটিভ প্যাসিভ খরচের কারণে আর চাষে ফিরা হয় না বা বা ফিরলেও দেখা যায় চাষাবাদ লাভজনক নয়। এইসব মিলে গ্রামীণ সমাজে ক্রয়ক্ষমতায় একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়।

এখন সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই ভর্তুকির মূল সুফল কিন্তু লীগের স্থানীয় নেতারা ডিলার সেজে হাতিয়ে নিচ্ছে, সরকার কেজি প্রতি ৫ টাকা ভর্তুকি দিলে ডিলাররা ৫ টাকা বাড়িয়ে সুফলটা চুরি করে।

গ্রামীণ ক্রয়ক্ষমতার অন্যদিক হচ্ছে মানসম্পন্ন কর্সসংস্থান, অর্থাৎ প্রেডিক্টেবল ইনকাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায়।
https://www.facebook.com/notes/2462402793802373/

এই দুটা নোট পড়ে দেখতে পারেন!

১৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ট্যাক্স টু জিডিপি অনুপাত অন্যান্ন দেশের চেয়ে কম হওয়ার কারন ত সবারই জানার কথা।
বাংলাদেশে ট্যাক্স কয়জনে দেয়?
গরিবরা সবাই দেয়। একজন দরিদ্র একটা রুটি কিনতে ৩ টাকা ভ্যাট দেয়। কিন্তু রুটি ওয়ালা টাকাটা সরকারকে দেয় না, সরকারি কর্তা ও রুটিওয়ালারা মিলে ভাগ করে খেয়ে ফেলে।
ঠিকভাবে কর পেতে হলে ক্রয়-বিক্রয় ব্যাবস্থাপনাকে ডিজিটাল করতে হবে। আয়কর সবাইকে দিতে না হলেও ইলেক্ট্রনিক আয়কর রিটার্ন সবাইকে বাধ্যতামুলক জমা দিতে হবে।
দেশের প্রতিটি বানিজ্জিক লেনদেন ইলেট্রনিক রেজিষ্টারের মাধ্যমে করা বাধ্যতামুলক করতে হবে। বিভিন্ন কর অটভাবেই তাৎক্ষনিক ট্রেজারিতে যাবে।
সেরকম সেটআপ করতেই হবে।

কিন্তু কি আর বলবো, এই সেটআপ থাকার পরও গ্রামিনফোন ও সরকারি কর্তারা যোগসাজস করে গ্রাহকের কলচার্জের ইলেকট্রনিক ভাবে দেয়া ভ্যাট/সরকারি আবগারি শুল্ক ট্রেজারিতে জমা দেয় নি। তুচ্ছ টেকনিক্যাল কারন দেখিয়ে পুরোটাকা নিয়ে গেছে গ্রামিন-রবি-বাংলালিঙ্ক। এখন দিতে গরিমসি।

এজন্যই বলছি উপরের কমেন্টে - দেশের সকল দুর্নিতির হোতা সরকারি আমলারা, বিসিএস কর্তারা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বেশি লোক আয়কর রিটার্ণ জমা দিলে ভালো। আমি এটা এগিয়ে নিতে উৎসাহ দেই। তবে এতে অতি চাপাচাপি বা বাড়াবাড়ি করা ঠিক না।

কারণ সরকার উৎসে কর দিচ্ছে। লাখ টাকার মত সামান্য বাৎসরিক ব্যাংক স্থিতিতেই কর কাটছে। ফলে আসলে কেউ এক্টিভ্লি কর না দিলেও আসলে প্যাসিভ্লি কেউ ই করের বাইরে নয়।

এমতাবস্থায় আয়কর রিটার্নে কর অবকাশ সুবিধা গুলো ল'ইয়ার দিয়ে বের করে সঠিক ভাবে জমা দিলে আসলে সরকারকে সিগ্নিফিকেন্ট প্যাসিভ করও ফেরত দিতে হবে।

উন্নত দেশে আয়কর রিটার্ণ জমা দেয়া ৩ বছরের মধ্যে বাধ্যতামূলক, এতে প্রায় সবাই কম বেশি ফেরত পায়। উৎস যখন কর কাটা হয় বলে আসলে রিটার্ণ না জমার উপর সরকারের আয় নির্ভর করে না।

বরং বাংলাদেশের সরকারের বাৎসরিক ব্যাংক স্থিতির উপর কর কাটার অতি নিন্ম এমাইউন্ট ব্যবসা বিকাশের অন্তরায়।

আমি বলছি, যেহেতু উৎসেই কর কাটা হচ্ছে। আবার ব্যাংক স্থিতিতেও কর কাটা হচ্ছে। তাই এখানে বাড়াবাড়ি করা কাম্য নয়। বাড়াবাড়ি করলেই মোট রাজস্ব টার্গেটে প্রভাব পড়বে। সরকার ইতিমধ্যেই তা টের পেয়েছে।

২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: ফরেন কারেন্সি সংকটে নেই। -- এই সংকট না থাকাটা আমাদের প্রবাসী ভাইয়ের অবদান। সেখানেও ভালো কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। পুরাতন বাজার চাঙ্গা ও নতুন বাজার সৃষ্টি করতে না পারলে এ খাতেও সমস্যা পুঞ্জিভূত হবে। দূতাবাসগুলোর অনৈতিক কার্যকলাপে এখানেও অরাজকতা বিরাজ করছে।

তাছাড়া গত দশবছর তেলের দাম মোটামুটি সহনশীল থাকায় আমদানী খাতে কয়েক বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে। কিন্তু সেই ফরেন কারেন্সি ব্যবস্থাপনাতেও যাচ্ছে-তাই অবস্থা। অভ্যন্তরীন সংকট ঘনীভূত হলে সেখানেও চাপ পড়বে অচিরেই। ইতোমধ্যেই সরকার টের পাচ্ছে।

সরকার ব্যবস্থাপনাগত নৈরাজ্যের সমাধান না করে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতে দাম বাড়িয়ে বাড়িয়ে সাধারণ মানুষদের জীবনযাত্রাকে কঠিন থেকে কঠিন করে তুলছে। এর ফলে মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এগুলোও একসময় সরকারের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে। ফলে সরকারকে এগুলো সামলাতে আরো বেশি অথোরিটারিয়ান ভূমিকাতে অবতীর্ণ হতে হবে। এতে সমাজে ধনী-গরীবের বৈষম্য আকাশসম হবে অদূর ভবিষ্যতে বলে মনে করি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। পুরাতন বাজার চাঙ্গা ও নতুন বাজার সৃষ্টি করতে না পারলে এ খাতেও সমস্যা পুঞ্জিভূত হবে।
২। দূতাবাসগুলোর অনৈতিক কার্যকলাপে অরাজকতা বিরাজ করছে।
৩। গত দশবছর তেলের দাম মোটামুটি সহনশীল থাকায় আমদানী খাতে কয়েক বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে।

কিন্তু সেই ফরেন কারেন্সি ব্যবস্থাপনাতেও যাচ্ছে-তাই অবস্থা। অভ্যন্তরীন সংকট ঘনীভূত হলে সেখানেও চাপ পড়বে অচিরেই। ইতোমধ্যেই সরকার টের পাচ্ছে।

সরকার ব্যবস্থাপনাগত নৈরাজ্যের সমাধান না করে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতে দাম বাড়িয়ে বাড়িয়ে সাধারণ মানুষদের জীবনযাত্রাকে কঠিন থেকে কঠিন করে তুলছে। এর ফলে মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এগুলোও একসময় সরকারের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে। ফলে সরকারকে এগুলো সামলাতে আরো বেশি অথোরিটারিয়ান ভূমিকাতে অবতীর্ণ হতে হবে। এতে সমাজে ধনী-গরীবের বৈষম্য আকাশসম হবে অদূর ভবিষ্যতে বলে মনে করি।

সহমত, অনেক ধন্যবাদ!

২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অটোমোশন রোবোটিক্সের কারনে ম্যানুফেকচারিং গার্মেন্টস খাত ধ্বসের দিকে, কর্মিরা চাকুরি হারাচ্ছে, রফতানি আয় দিন দিন কমছে।
বিদেশ থেকে 'আদমদের' পাঠানো রেমিট্যান্সও ডুবন্ত ...
দীর্ঘদিন ধরে দেশিবাসিকে ভিক্কুক বানিয়ে বাংলাদেশকে ডুবাতে চাওয়াদের উল্লাসও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ...

কিন্তু সবার মুখে ছাই দিয়ে পিপড়ার মত আরেকটি সম্ভাবনাময় খাত মাথাচাড়া দিচ্ছে।
সেটি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আইটি কর্মী সরবরাহে সারা পৃথিবীতে ২য় পজিশনে বাংলাদেশ।
ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এখানে নিয়মিত কাজ করছে ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার। আর মোট নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬ লাখ ৫০ হাজার। প্রতি বছর দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপুল সংখক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার গ্রাজুয়েটের দল বিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ জুটিয়ে নিচ্ছে। নৈরাজ্যবাদি সিপিডি-কুজন- ফুজনদের অনেক বাধার পরও অপেশাদার বেকার ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে প্রতিবছর দেশে ১০ কোটি ডলার প্রবেশ করছে। প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অপরদিকে পেশাদার সফটওয়্যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্র বলছে, দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে রপ্তানি ২০১৮ সালে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা টাকার হিসেবে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।
২০২০ এর লক্ষমাত্রা ৫ বিলিয়ন ডলার।

২০১২-১৩ অর্থবছরে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা রফতানি ছিল প্রায় ১০ কোটি ডলার।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল প্রায় ৩৫ কোটি ডলার।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি ছিল সাড়ে ৪৪ কোটি ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে রফতানি ছিল প্রায় ৭০ কোটি ডলার।

আরো ১২ টি হাইটেক পার্ক নির্মিত হচ্ছে।
প্রতি জেলায় হাইটেক পার্ক আকর্শন করতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে (আইনের আওতায়) বেসরকারি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ঘোষণার গাইডলাইনের আওতায় ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি ৯টি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
হাই-টেক পার্কে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ডেভেলপার বা আইটি কোম্পানিগুলোর জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১০ বছর পর্যন্ত ট্যাক্স মওকুফ,
পার্ক ডেভেলপারের জন্য ১২ বছর পর্যন্ত ট্যাক্স মওকুফ,
মূলধনী সম্পত্তি ও মেশিনারিজের ওপর আমদানি শুল্ক মওকুফ,
প্রতিটি হাই-টেকপার্ক ওয়্যার হাউজ স্টেশন হিসেবে বিবেচিত,
ইউটিলিটি (বিদ্যুত-পানি) সার্ভিসের ওপর ভ্যাট মওকুফ,
পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে লভ্যাংশের ওপর ট্যাক্স মওকুফ,
বিদেশি এক্সপার্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে আয়ের ওপর আয়কর মওকুফ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আইটি খাতে রপ্তানি আয় বাড়ছে, এটা আমরা অন্য পোষ্টে আলোচনা করেছি। তবে আমি চাই এই আয় ফ্রিল্যান্সিং এর উপর নির্ভরশীল না থাকুক। কেননা ফ্রি ল্যান্সিং সাস্তেইনেবল না। একটা ছেলে বা মেয়ে দীর্ঘ সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করেক্যারিয়ার গড়তে পারে না। দরকার লার্জ স্কেইলে অপারেবল আইটি সল্যুশন সক্ষমতা। অর্থাৎ বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানির টেকনোলোজি, মার্কেটিং, ফাইনান্স, প্রপার্টি, সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট টীমের জন্য কাস্টমাইজড, সিকিউরড আইটি প্রডাক্ট তৈরি করার যোগ্যতা।

এখন বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা পিএইচপি, ওয়েভ ডেভেলপিং, ডাটা এন্ট্রি সহ বেশ কিছু খুচরা কাজ করে উপার্যন করছেন। কিছু ছেলে গেইম ডেভেলপিং করছেন, এটা সাস্টেইনেবল খাত। (আমি নিজে এমন এটা গেইম ডেভেলপিং ফার্মের সাথে জড়িত)।

কিন্তু আপনি যদি দেখেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের সফটওয়্যার, কোর সফটওয়্যার এগুলাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা নেই। ৬০ টার মধ্যে ১৭টা ব্যাংক দেশী সফটওয়্যার ব্যহার করে। যারা ব্যবহার করছেন তারা প্রায় সবাই ঝামেলায় আছেন, এন্ড অফ লাইফ সাইকেলে চেঞ্জ করার উপায় খুঁজছেন যদিও বিদেশী ব্যাংকিং সফটওয়্যার সিকিউরিটি সমস্যা বাড়ায়। দেশী সফটওয়্যার দ্রুত নতুন প্রডাক্ট আনতে, ফ্লেক্সিব্লল প্রডাক্ট তৈরি করতে সক্ষম নয়। এখানে উন্নতি করতে হবে। ৫০০০ ছেলে ফ্রিল্যান্সিং করে যা আয় করবে একটা কর্পোরেট আইটি সল্যুশান তার চেয়ে কম ইফোর্টে বেশি রেভেনিউ আনবে।

২২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মেটালক্সাইড বলেছেন: ৫০০০ ছেলে ফ্রিল্যান্সিং করে যা আয় করবে একটা কর্পোরেট আইটি সল্যুশান তার চেয়ে কম ইফোর্টে বেশি রেভেনিউ আনবে

বেস এবং কোর প্রোগ্রামিং এ ইন্ডিয়ানরা এতটা এডভান্স যে বিশ্বে ফ্রি ল্যান্সিং এ ২য় ধাপ বাংলাদেশ, এই কথাটা ফপর দালালি ছাড়া আর কিছুই নয়। মন্তব্যকারীরা আপনার জার্নালের ভিজ্যুয়াল এনালাইসিসটা নিয়ে আলোচনা না করে ইনিয়ে বিনিয়ে এটা ওটা এমন তেমন করে চোদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে চাই। আপনার জার্নাল লেখার পরিশ্রমটাই বেকার হয়ে গেল।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন, এই আলোচনার স্থান এটা না। এই পোস্টের বক্তব্য এবং উলভদ্ধির সাথে আইটি বা ফ্রিল্যান্সিং আয়ের ব্যাপার নিয়ে আসাটা বেমানান।

এখানকার মূল বক্তব্য, রাষ্ট্রের বেপারোয়া ও লাগামহীন ঋণ এবং অভ্যন্তরীণ মুদ্রা ও রাজস্ব খাতের সংকট। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

তবে সহ ব্লগারদের অনেকেই কোর কনটেন্ট সংক্রান্ত আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ তাদের সবাইকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.