নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
এক. দারিদ্র্য, অতিদারিদ্র্য, কর্মহীনতা বাড়বে, দরকার হবে নতুন খানা ও শ্রমশক্তি জরিপ :
করোনা, ডেঙ্গু, নিউমোনিয়া এবং জ্বর-শ্বাসকষ্ট-সর্দি-গলাব্যথা-কাশি রোগব্যাধি ইত্যাদির কারণে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিসহ অন্যদের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে গেলে, সঞ্চয় কমবে, ঋণ বাড়াবে। একই সঙ্গে উপার্জনক্ষম ব্যক্তির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেলে অথবা তাদের শ্রমঘণ্টা অপচয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের দারিদ্র্য (২০.৫%) এবং অতিদারিদ্র্য (১০.৫%) হারের সংখ্যাগুলোর ঋণাত্মক পরিবর্তন হতে বাধ্য। অর্থাৎ সুনির্দিষ্টভাবে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল, অর্থাৎ এসডিজি’র টার্গেট থেকে বাংলাদেশ দূরে সরে যাবে। ঠিক কতটা তা আমরা জানি না, এটা নির্ভর করে করোনার বিস্তার ও প্রস্তুতির ওপর। বিবিএসের সর্বশেষ খানার আয় ও ব্যয় নির্ধারণ জরিপের উপাত্ত ব্যবহার করে সানেমের গবেষণার প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, এ রকম অর্থনৈতিক সংকটে পরিবারের আয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রভাব পড়লে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৪০ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাবে। অর্থাৎ দরিদ্র্য ও অতি দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ থেকে বেড়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ সাড়ে সাত কোটিতে পৌঁছাবে যাদের দৈনিক আয় মাত্র ১,৯ ডলারের কম।
সম্প্রতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনা পরিস্থিতিতে শহরাঞ্চলে কর্মজীবী মানুষের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ। গ্রামে এটা ৭৯ শতাংশ। আর নতুন সৃষ্ট দরিদ্র শ্রেণির ৭১ শতাংশ আয় কমে গেছে। ব্র্যাক জরিপে উঠে এসেছে, করোনায় চরম দারিদ্র্য বেড়েছে ৬০ শতাংশ। সানেমের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল নির্দেশ করছে, চলমান সংকটের কারণে দেড় দশক জুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ যে সাফল্য দেখিয়েছে, তা নিষ্ফল হয়ে যেতে পারে। অনেক সময়, একটা ভিত্তিমান সংখ্যাকে প্রবৃদ্ধি কিংবা হ্রাসের হার দিয়ে গুণন (ফ্যাক্টরাইজ) করে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনমিতির বিভিন্ন সূচকের পরিসংখ্যান বের করা হয়, তাই একটা মহামারীর পরে এই সংখ্যাগুলোর একই ধরনের ডিরাইভেশান সঠিক ফল দেবে না। অর্থাৎ করোনা, ডেঙ্গু, নিউমোনিয়া এবং জ্বর-শ্বাসকষ্ট-সর্দি-গলাব্যথা-কাশি রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের ক্যালরি গ্রহণ, চিকিৎসা ব্যয়, পরিবার বা খানাভিত্তিক আয় এবং কর্মসংস্থানের হিসাব বের করার জন্য নতুন জরিপ লাগবে। অর্থাৎ সুস্পষ্টভাবে নতুন করে আয়-ব্যয়-খানা জরিপ এবং শ্রমশক্তি জরিপ করতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের চিকিৎসা খাতের মৌলিক প্রস্তুতির জন্য স্যাম্পল ভাইরাল সমীক্ষাকে হালনাগাদ করতে হবে। একটা মহামারী যে, কত ধরনের স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সমস্যা নিয়ে আসে তা অকল্পনীয়।
দুই. পুষ্টিহীনতা বাড়বে :
খাদ্য সংকটে সরকার ও মহানুভব নাগরিকরা এগিয়ে এসে যে সাহায্য দেবে তা নিতান্তই ন্যূনতম ক্যালরি (চাল-ডাল)। কিন্তু এতে বাদ পড়বে অতি গুরুত্বপূর্ণ অনেক পুষ্টি উপাদান। ফলে তিন বা ছয় মাসের পুষ্টিহীনতার পরে দেশের প্রান্তিক ও ভাসমান অর্থনৈতিক শ্রেণিগুলোর পরিবারের সন্তানদের ব্যাপক পুষ্টিহীনতা (ম্যাল নিউট্রিশান) দেখা দিতে পারে। জনস্বাস্থ্য ব্যয়ে দীর্ঘ মেয়াদে কী কী ম্যাসিভ সমস্যা তৈরি করে সেটা আমরা জানি না, এটা গবেষণার দাবি রাখে। আশা করব সরকার এই কাজে দেশের স্বনামধন্য পাবলিক হেলথ এক্সপার্ট এবং দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি গবেষকদের অভিজ্ঞতা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাকে কাজে লাগাবেন।
তিন. শিক্ষায় ঝরে পড়া বাড়বে :
চিকিৎসা ব্যয়বৃদ্ধি, পরিবারের সঞ্চয় কমা, উপর্জনক্ষম সদস্যের অসুস্থতা কিংবা বেকারত্বজনিত কর্মহীনতা এবং সেই সঙ্গে খাদ্য সংকট ও পুষ্টিহীনতার করাল ছোবল পড়বে আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায়। অর্থাৎ আয়হীনতায় পড়ে শিক্ষায় ঝরে পড়া বাড়বে, কৃষি ও ভাসমান কাজে শিশুশ্রম বাড়বে। একই সঙ্গে প্রাইমারি, জুনিয়র স্কুল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ঝরে পড়া বাড়বে এবং পাসের হারও কমে আসতে পারে। সুতরাং এই কঠিন সময়ে শিক্ষা উপবৃত্তির ও কৃষি ভর্তুকির দিকে নজর দেওয়ার জোর দাবি জানাই। বর্তমানের শিক্ষা উপবৃত্তি খুবই নগণ্য। এর তুলনায় শিশুশ্রমের মজুরি অন্তত কুড়ি গুণ বেশি। এখানে একটা ভারসাম্য আনতে হবে, যেতে উপবৃত্তি প্রণোদনা হিসেবে শিশুশ্রমের চাইতে বেশি আকর্ষণীয়।
সুতরাং এই কঠিন সময়ে শিক্ষা উপবৃত্তির ও কৃষি ভর্তুকির দিকে নজর দেয়ার জোর পরামর্শ দেই।
ক। বর্তমানের শিক্ষা উপবৃত্তি খুবই নগণ্য। এর তুলনায় শিশু শ্রমের মজুরি অন্তত কুড়ি গুণ বেশি। এখানে একটা ভারসাম্য আনতে হবে, যেতে উপবৃত্তি প্রণোদনা হিসেবে শিশু শ্রমের চাইতে বেশি আকর্ষনীয়।
খ। শিক্ষা উপবৃত্তিকে অন্তত ১৬ বা ১৮ বছরের সমসাময়িক শ্রেণী পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। শিক্ষার শ্রেণী হিসেবে এটা উচ্চ মাধ্যমিক।
গ। জেএসসি, এস এস সি এবং এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশান এবং পরীক্ষা ফি সরকার উঠিয়ে নিক। এতে করে ঝরে পড়া বন্ধে একটা জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ঘ। কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ কোন ভাবেই কমানো যাবে না, বরং সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বীজ কীটনাশক বালাইনাশক যাতে পাওয়া যায় তার তদারকি চালাতে হবে। মহামারির সময়ের কৃষি ও খাদ্য সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা অন্য বহু সমস্যার সূত্রপাত করতে পারে।
ঙ। করোনার পরপরই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের পুষ্টিহীনতা রোধে সারাদেশে একযোগে স্কুলমিল চালুর উদ্যোগ নেয়া হোক।
চার. মনস্তাত্ত্বিক বাধা :
খাদ্য সংকটে পড়া শিশু ও কিশোর দীর্ঘ সময়ে ক্ষুধা তাড়নায় থাকলে দূরারোগ্য ব্যাধি এবং মনস্তাত্ত্বিক আঘাতে পড়ে পিছিয়ে পড়বে। স্বাভাবিক বিকাশ ও শিক্ষা পদ্ধতি এই শিশু-কিশোরদের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এই বিশেষ শিশু-কিশোরদের বিকাশে বিশেষায়িত স্কুলিং ব্যবস্থাপনা লাগবে। সিডর আইলার মতো প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে পড়া, পিতা-মাতা ও পারিবারিক সহিংসতায় পড়া, সামাজিক অপরাধ ও সড়ক দুর্ঘটনায় ভোগা এবং নদী ভাঙার মতো পরিস্থতিতে বাংলাদেশে এমন শিশু-কিশোর শ্রেণি ইতিমধ্যেই রয়েছে। সরকারকে এই মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাগুলোর স্বীকৃতি দিতে হবে। এর জন্য বিশেষায়িত স্কুল করতে হবে। নামমাত্র প্রতিবন্ধীভাতার নাম করে এই গভীর সমস্যাকে উড়িয়ে দেওয়া চলবে না।
পাঁচ. অলস শ্রমের ঘনীভবন ও নতুন শ্রমবাজার :
১৯৭৪-এর মার্চ থেকে ডিসেম্বরে এক মর্মন্তুদ দুর্ভিক্ষে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গণ্য করা হয়। ৭৪-এর এই দুর্ভিক্ষের কারণে গ্রামের মানুষ দলে দলে খাদ্যের জন্য শহরে ছুটে আসে, লঙ্গরখানায় ভিড় করে। গ্রামীণ শ্রমের শহরে ঘনীভূত হওয়ার এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার শেষে বাংলাদেশে অন্তত দুটি নতুন শ্রমবাজারের যাত্রা শুরু হয়, মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক অদক্ষ প্রবাসী শ্রম এবং তৈরি পোশাকের স্বল্প দক্ষ শ্রমবাজার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশে অতি সস্তায় অদক্ষ শ্রম বিক্রি শুরু করেন এবং দেশেও তৈরি পোশাকের একটা সস্তা শ্রমবাজারও তৈরির পদক্ষেপ নেন।
ঠিক এরকম আরেকটি নতুন শ্রমবাজারের সূচনা করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামীণ নারী ব্যাপকভাবে কৃষি ও কুটির শিল্পে জড়িত ছিলেন। পরে ক্ষুদ্রঋণের আগমনে গ্রামীণ নারী ছোট ছোট উদ্যোক্তার ভূমিকা নিয়েছেন। কৃষি বহুলাংশে কায়িক শ্রম কেন্দ্রিক থেকে যাওয়ায় এবং বছর বছর উৎপাদন মূল্য না মেলায় এই যুগে লোকে কৃষিশ্রমে আগ্রহ হারিয়েছে, কৃষিশ্রমের আবেদনও কমছে। আর্থিক প্রাপ্তির আবেদন বেশ ফুরিয়ে, আবাসন ও শিল্পের চাপে কৃষিজমির সঙ্গে সঙ্গে কৃষিতে শ্রমের জোগানও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ফলে নারী শ্রমিকের বেকারত্ব একটা বড় আর্থসামাজিক বিষয় হয়েছে। অর্থাৎ শিল্পের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে দেশজ উৎপাদনে কৃষির হিস্যা কমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ কুটির শিল্প সংকূচিত হয়। এমতাবস্থায় ব্যাপক সংখ্যক গ্রামীণ নারী শ্রমিক অলস হয়ে পড়েন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে গৃহকর্মীর একটি অদক্ষ শ্রমবাজার তৈরিতে সক্ষম হন।
বর্তমানে একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনগত প্রভাব, বৈশ্বিক মন্দা, করোনা এবং সম্ভাব্য একটি পঙ্গপাল আক্রমণের বিপদ আমাদের সামনে। আগেই ছিল চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অটোমেশনের প্রভাব। প্যানডেমিক হিসেবে করোনা ভাইরাস বা এ জাতীয় সম্ভাব্য সংক্রমণের ফলে বিশ্বজুড়ে মানব সংস্পর্শ বিহীন অটোমেশন কর্মসূচিতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গতি আসার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গেছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক করোনাজনিত প্রাক্কলনে আনুষ্ঠানিক খাতের অন্তত নয় লাখ লোকের কাজহীনতার শঙ্কা জানিয়েছে। পাশাপাশি শ্রমশক্তির ৮৫ দশমিক ১ শতাংশ বা ৫ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার মানুষের শ্রমবাজারের অধিকাংশই কাজ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। বিজিএমইএ সূত্রমতে ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তৈরি পোশাকশিল্পের ৯৩৬টি কারখানার ৮০০ দশমিক ১৮ মিলিয়ন পোশাক পণ্যের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে, যার মূল্য ২ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা)। এসব কারখানায় প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক রয়েছেন।
বিশ্বমন্দার স্থায়িত্ব, তৈরি পোশাকের প্রতিযোগী দেশগুলোর করোনার নিয়ন্ত্রণে সাফল্য, অটোমেশান, মূল্য প্রতিযোগিতা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করবে তৈরি পোশাক শিল্পের অর্ডার কতটা ফিরে আসবে কিংবা আদৌ ফিরবে কি না! বলা হচ্ছে, এই মহামারী বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তন করে দিতে পারে। মহামারী ঠেকানোর সক্ষমতা, বীমা কোম্পানির আচরণ, সরকারের প্রণোদনা, অর্থনৈতিক সংস্কারের সাফল্য এবং শ্রমদক্ষতা ইত্যাদির ওপর আমাদের কর্মসংস্থানের বাজার নির্ভর করবে। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য অলস ও কর্মহীন শ্রমের একটি নতুন আর্থসামাজিক ভিত্তি তৈরি হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশকে নতুনভাবে একাধিক স্বল্প দক্ষ এবং দক্ষ শ্রমবাজার খুঁজতে হবে, এবার আর অদক্ষ শ্রমবাজারের নতুন সুযোগ বাংলাদেশ নাও পেতে পারে!
অর্থাৎ করোনার পরেই ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচি শেষে অলস শ্রমের যে ঘনীভবন হবে, তার টেকসই শ্রমবাজারের গন্তব্য ও প্রস্তুতি নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৪৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সরকার পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই কিছু চাকুরি রক্ষা হবে, তবে দীর্ঘ মেয়াদে-
১। আমদানি কমিয়ে অভ্যন্তরীণ ভোক্তার বাজারে নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে,
২। বিদেশে নতুন পণ্যবাজার খুঁজতে হবে
৩। বিদেশে দক্ষ শ্রম বাজার খুঁজতে হবে।
সরকার পোশাক শ্রমিকদের ৩ মাসের বেতন বাবদ ৫ হাজার কোটি সহজ শর্তের (২% সুদে) ঋণ ঘোষণা করেছে। কিন্তু পোশাক মালিকেরা এটা নিয়ে টালবাহানা করছে, এবং সফলও হয়ে গেছে। এখন বলছে ৬০% বেতন দিবে। অনেকেই মার্চের বেতন দেয়নি যদিও মার্চে শ্রমিকরা কাজ করেছে।উপরন্তু সরকারের বেতন বাবদ প্রণোদনার পরেও প্রায় ৯০০ টি কারখানা তিন মাস শেষ হবার আগেই লে অফ শুরু করে দিয়েছে। এখানে সরকারকে শক্ত হতে হবে।
কৃষি ঋণের প্রণোদনা কর্পোরেট কৃষি গ্রাহক পাবে, কোলেটারাল দরকার পড়বে যা প্রান্তিক কৃষক জোগাড় করতে পারবে না। দরকার জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি'র বিপরীতে মাথা পিছু কৃষি ঋণ দেয়া। পোলট্রি, হ্যাচারি, মাছ চাষী, সবজি উৎপাদন কারীদের সমিতি আছে দেশে, এই সমিতি গুলোর সদস্যদের গড়পড়তা তিন বছর মেয়াদি মাথাপিছু ঋণ দিলে তারা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে।
অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে দেশের ৮৫% জনশক্তি কজা করে, এরা বর্তমানে বেকার। এই খাতের ঋণে কোলেটারাল উঠাতে হবে, এন আইডিকে ঋণের বেইজ বানাতে হবে। এসএমই খাতে ২০ হাজার কোটি ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা আছে, কিন্তু পণ্য ও ব্যবসার ক্যাটাগরি নির্দিস্ট না থাকায় এগুলা প্রভাবশালী রা পাবে। এইখানে ভালো পরিকল্পনার দরকার আছে।
কর্পোরেট ও রপ্তানি খাতে তিনটা প্যাকেজ দেয়া আছে সেগুলা ভালো, ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের বর্ধিত আকার এবং প্রি শিপমেন্ট সুদ ছাড়। কিন্তু এগুলা এখনই কাজে লাগবে না, কারণ বিদেশী অর্ডার এখনই আসতে শুরু করবে না।
দরকার ছিল খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ঘরে ঘরে (ক্যালরি ও পুষ্টি ভিত্তিক) সমন্বিত রেশন কিংবা হাতে হাতে টাকা। দলীয় লোকেদের মাধ্যমে যে চাল দেয়া হচ্ছে তা চুরি হচ্ছে এবং মানুষের কাছে পৌছাচ্ছে না।
পাশাপাশি জ্বলানির দাম কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানো, বাড়িভাড়া বাড়ানোর মত উদ্যোগ নেয়ার দরকার। লে অফ না করার শর্ত রেখে উদ্যোগ নিলে করলে অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের চাকুরি রক্ষা পাবে।
২| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: শ্রম মন্ত্রনালয়, কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় এরা সারা বছর কি কি কাজ করে?
০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৪৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শ্রম মন্ত্রনালয়, কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় অনেক কাজ করে, তবে তারা কর্মসংস্থান তৈরি করে না।
৩| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন , "
৩) বিদেশে দক্ষ শ্রম বাজার খুঁজতে হবে "
-বিদেশে কি নতুন করে শ্রম বাজার থাকবে? আমেরিকায় ৩ কোটীর চাকুরী গেছে; ইউরোপে কি মানুষের চাকুরী আছে? তেলের দাম ১৫/২০ ডলার, সৌদী ও অন্য আরবেরা কি মানুষ রাখতে পারবে?
আপনারা নিজের থালিতে ভাত দেখেন না, আকাশের বিমান দেখেন কেন? নিজ দেশে কি কাজের সৃষ্টি সম্ভব নয়?
০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৫৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কারণ আমি সমগ্রিক বিষয় গুলা দেখি, সমাজের সব শ্রেনীর জন্য চাকুরি খুঁজতে হবে। বিদেশী কোম্পানির জন্য আপনি ডেটা সায়েন্টিস্ট, রোবটিক্স এক্সপার্ট, বায়ো টেক সহ নতুন শিল্পের চাহিদা ভিত্তিক এক্সপার্ট্রেইট তৈরি করবেন।
নিজ দেশে কাজ তৈরির জন্য ১ং পয়েন্টেই বলেছি-
আমদানি কমিয়ে অভ্যন্তরীণ ভোক্তার বাজারে নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে,
না বুঝলে প্রশ্ন করেন। স্বভবাসুলভ ব্যক্তি আক্রমণ করেন কেন?
৪| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১০:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, " নিজ দেশে কাজ তৈরির জন্য ১ং পয়েন্টেই বলেছি-
আমদানি কমিয়ে অভ্যন্তরীণ ভোক্তার বাজারে নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে,
না বুঝলে প্রশ্ন করেন। স্বভবাসুলভ ব্যক্তি আক্রমণ করেন কেন? "
-আপনি ব্যক্তি আক্রমণ কোথায় দেখছেন? স্বভাব মতো কথা বলতে থাকেন? আপনি যা লিখেছেন, কথা নিয়ে আলাপ হচ্ছে! আপনি নিজদেশে চাকুরী সৃষ্টির কথা বলে, বিদেশে শ্রম বাজার খুঁজতে বলেছেন।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ১১:১৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: নিজের থালিতে ভাত দেখেন না, আকাশের বিমান দেখেন কেন?
এই ধরণের বক্র মন্তব্যকে বলেছি, স্বভবাসুলভ ব্যক্তি আক্রমণ। এটা আপনার গতানুগতিক ভঙ্গি।
শ্রমবাজার বলতে আপনি যদি শুধু বিদেশী শ্রমবাজার বুঝেন আমার কি করার আছে?
৫| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৩:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: যারা আছে তারাই মরবে নতুন গিয়ে কি করবে। বিদেশে সব এমবাসির লোক ভিসার দালালি করে । তারা বসে আছে ভিসা খোজে।
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ২:১১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যারা গিয়েছেন তারা মরছে, ঠিক আছে তবে দক্ষ্ শ্রমিক মরবে না। মিড স্কিল, হাই স্কিল শ্রমিক মরবে না। মরবে অদক্ষ শ্রমিক।
দেশে ও দেশের বাইরে নতুন শ্রমবাজার তৈরি কঠিন কাজ, এই কঠিন কাজই করতে হবে। কেননা প্রতিবছর শিশু শ্রম সব প্রায় ২৬ লক্ষ শ্রমিক শ্রমবাজারে আসে। বিবিএস এর হিসাবে মাত্র সাড় তিন লাখের চাকরি হয়, বাকীদের কিছু অনানুষ্ঠানিক শ্রম খাত ও কৃষিতে যায়। বৃহৎ অংশ বেকার থাকে। প্রায় ৪ কোটি ৮১ লক্ষ লোক চাকুরি, শিক্ষায় নেই, কোন কাজে নেই। এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। তাই কাজটা কঠিন।
মাঝারি পর্যায়ে দক্ষ এবং পুরো দক্ষ শ্রমিক তৈরির পথে না গেলে বিপদ সমূহ!
৬| ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ৮:৩৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: করোনা পরবর্তী মহামন্দা ও তার পরিণতি নিয়ে সবাই শংকিত।যেভাবে সারা বিশ্বে মহামন্দা শুরু হয়েছে এবং উৎপাদন হ্রাস ও চাকুরি ছাঁটাই হচ্ছে তাতে কি আপনার মনে হয় নতুন শ্রমবাজার খুঁজে পাওয়া আদৌ সম্ভব হবে?
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ২:০৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দেশে ও দেশের বাইরে নতুন শ্রমবাজার তৈরি কঠিন কাজ, এই কঠিন কাজই করতে হবে। কেননা প্রতিবছর শিশু শ্রম সব প্রায় ২৬ লক্ষ শ্রমিক শ্রমবাজারে আসে। বিবিএস এর হিসাবে মাত্র সাড় তিন লাখের চাকরি হয়, বাকীদের কিছু অনানুষ্ঠানিক শ্রম খাত ও কৃষিতে যায়। বৃহৎ অংশ বেকার থাকে। প্রায় ৪ কোটি ৮১ লক্ষ লোক চাকুরি, শিক্ষায় নেই, কোন কাজে নেই। এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
তাই কাজটা কঠিন।
মাঝারি পর্যায়ে দক্ষ এবং পুরো দক্ষ শ্রমিক তৈরির পথে না গেলে বিপদ সমূহ!
৭| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:১২
পলাতক মুর্গ বলেছেন: ডেটা সাইন্টিস্ট হতে হলে কি সব লেভেলে কম্পিউটার গ্রাজুয়েট দরকার?
রবোটিক্স এক্সপার্ট, বায়োটেক সহ "নতুন শিল্প" - এখানে নতুন শিল্প কি কি থাকতে পারে?
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যদি অটোমেশন কেন্দ্রিক হয়, তাহলে এই ধরণের শিল্পের পরিপুরক সাইডজবে কাজ করার জন্য জেনারেল লাইনের লোকেদের (এক্সপার্ট না) কিভাবে প্রস্তুত করা দরকার?
আরেকটা বিষয় হল, আমরা এখানে শুধু চাকরির বাজার তৈরীর কথা বলছি, হোয়াট এবাউট এন্টারপ্রেনারশিপ?
আরও বিষয় আছে, আপনার এই লেখায় শান্তিকালীন অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, হোয়াট এবাউট আ ডিফারেন্ট সিনারিও? যদি কোন কারণে অবসথা ক্রমান্বয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির দিকে যেতে থাকে, তার জন্য আমাদের কি কোন ব্যাকআপ প্লান থাকা উচিৎ না? এট লিষ্ট থিওরিটিক্যালি?
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ২:৩০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। ডেটা সাইন্টিস্ট হতে হলে কি সব লেভেলে কম্পিউটার গ্রাজুয়েট দরকার?
না, প্রফেশনাল সার্টিফিকেট এবং ইন্ডাস্ট্রি এক্সপেরিয়েন্স এনাফ। আইটিতে কম্পিউটার গ্রাজুয়েট খোঁজার চল বাংলাদেশে, এই জন্য আমাদের কষ্ট অফ আইটি প্রডাক্ট হাই। বিদেশে এই ধরনরের স্টিকিনেস কম। দক্ষতায় প্রধান।
২। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যদি অটোমেশন কেন্দ্রিক হয়, তাহলে এই ধরণের শিল্পের পরিপুরক সাইডজবে কাজ করার জন্য জেনারেল লাইনের লোকেদের (এক্সপার্ট না) কিভাবে প্রস্তুত করা দরকার?
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ বইতে এই নিয়ে আলাপ আছে।
জেনারেল শিক্ষার বিষয় গুলোকে পঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা এবং ছাত্র সংখ্যায় একেবারেই সীমিত করে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ চাহিদা না থাকা বিষয় গুলোকে এপ্লাইড কলেজ/ইউনিভার্সিটি বানিয়ে ফেলতে হবে। যেখানে গণহারে স্বল্প, মধ্য ও লং কোর্সে ইন্ডাস্ট্রি ফোর স্কিল গুলো তৈরি হবে। আকর্ষণ করার জন্য এখানে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা ঋণ দিতে হবে। ভালো রেজাল্ট সাপেক্ষে, কোর্স পূর্ণ করা সাপেক্ষে এই ঋণ ওয়েইভ হবে। এটা কারিগরি শিক্ষার এনট্রান্স এট্রাকশান।
৩। আমরা এখানে শুধু চাকরির বাজার তৈরীর কথা বলছি, হোয়াট এবাউট এন্টারপ্রেনারশিপ?
পোষ্টে এসএমই খাতের ঋণ নিয়ে বলেছি। বৃহৎ অর্থে এটাই এন্টারপ্রেনারশিপ, এই ঋণ গুলো কোলেটারেল ছাড়া সহজ শর্তে দিতে হবে, শুধু ক্রেডিট রেটিং অবকাঠামোর ভিত্তিতে। পেমেন্ট সিস্টেম মেকানিজম ঠিক করে ঋণ ফেরত নতে হবে। ডিজিটাল সিস্টেমে লোকে কোন ভাবেই ঋণ নিয়ে পালাতে পারে না। তাই ব্যক্তির ক্রেডিট রেটিং ভালো হলে, তার লেনদেন ক্লিয়ার হলে তাকে ঋণ নতুন উদ্যোগের জন্য ঋণ দানের নামে হয়রানি নিউ বিজনেস ও নিউ এমপ্লয়েমেন্টের জন্য হুমকি স্বরূপ।
(ক্রেডিট রেটিং সহ এই ধরণের ইন্টারেস্টিং আলাপ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ বইতে আছে )
সরকার এসএমই ঋণ দিবার কথা বলেছে, সেটা গতানুগতি পেপারোয়ার্ক বাধ্যতামূলক রেখে, আগে যারা ঋণ নিয়েছে তাদের জন্য। মানে নতুনরা ঋণ নিতে গেলে সে পুরানো কাসুন্দি। উপরন্তু এটা মূলধনী ঋণ নয়, পরিচালনা ঋণ। যেসব প্রতিষ্ঠান ঋণসুবিধা পাবে, তারা ওই প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তা ব্যবহার করবে। ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন কোনো ব্যবসার জন্য এই ঋণ ব্যবহার করা যাবে না। কর্মসংস্থান বাঁচানোর চেষ্টা থেকে এমনটা করা হয়েছে হয়তো। আসলে ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন কোনো ব্যবসার জন্য নতুন ঋণ প্রণোদনার দরকার হবে।
কেননা করোনায় বর্তমান রপ্তানিমূখী পণ্য ও ব্যবসার বর্তমান ধারায় আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। বহু মালিক করোনা পরবর্তি অর্থিনীতির গতি বুঝে নতুন পণ্য ও খাতে বিনিয়োগ করতে চাইবেন, সেটাই বোধগম্য। দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে চাহিদা না থাকা পণ্যের গতানুগতিক ব্যবসা চালিয়ে নিবে কে!সবমিলিয়ে কম সুদে বৃহৎ শিল্পকে দেয়া ঋণের এই প্যাকেজ মূলত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের একটা ভালো চেষ্টা। এর সাথে কোরোনায় ক্ষতি পোষানোর সম্পর্ক কিছুটা কম, কেননা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ এতই সংকুচিত হয়েছিল যে, এটা বাড়াতে বিশেষ কিছু দরকার ছিল। তাই করোনার ক্ষতি সত্যিকার অর্থে মেটাতে হলে বৃহৎ শিল্প বাঁচানোর জন্য নিশ্চিতভাবে নতুন প্যাকেজ লাগবে।
৪। যদি কোন কারণে অবসথা ক্রমান্বয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির দিকে যেতে থাকে, তার জন্য আমাদের কি কোন ব্যাকআপ প্লান থাকা উচিৎ না? এট লিষ্ট থিওরিটিক্যালি?
আসলে ইকোনোমি কিভাবে রিকভার করবে তা আমরা জানি না। ভি, ইউ এগুলা আমরা জানি না। তবে যে কোন আন সীন সমস্যার জন্য, তার প্রস্তুতি হিসেবে থোক বরাদ্দ রাখা চাই। সরকার কোন আন সীন ফান্ড রাইজে যায়নি, এজ ইফ তাদের প্যাকেজেই সব সমস্যার সমাধান হবে এবং নতুন ধরণের সমস্যা হবে না বলে তারা কনফার্ম।
খুব ভালো ভালো প্রশ্ন করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ।
সামু ব্লগ ব্লগার নামক একদল দুর্বিত্তের কবলে আছে। এখানে চিন্তার চর্চা সীমিত হয়ে গেছে।
৮| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেই অধিকার নষ্ট হয়ে গেছে বা সহনশীল সংস্কৃতিতে পচন ধরেছে বহু অাগে থেকেই।
৯| ০২ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার পোস্ট মানেই গঠনমূলক কিছু। পড়তেই ভাল লাগে। আগামী দিনের কান্ডারী এমনই চাই। বাংলাদেশে সামু ব্লকড উঠে যাবার পর থেকে ব্লগটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাবিযাবি ব্লগারদের উৎপাতে। সেখানে আপনি ব্যতিক্রমের অগ্রদূত।
চাই নতুন শ্রমবাজার! পূর্ণসহমত।
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কি আর বলবো? দেখতেই তো পাচ্ছেন!
সামু ব্লগ ব্লগার নামক একদল দুর্বিত্তের কবলে আছে। এখানে চিন্তার চর্চা নাই হয়ে গেছে। ক্যাচাল আর দলবদ্ধ ব্যক্তি আক্রমণ। পোষ্ট না পড়ে গাঁজাখোরই কমেন্ট। অনেকেই পালের গোদাকে দেখে বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্ক হীন মন্তব্য করে।
১০| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল কথার দাম কে কবে দেয়?
যেখানে ত্রানের চাল চুরি করে বঙ্গপালেরা!!!
দারুন সব পরামর্শ এবং পথ পদ্ধতি বাতলেছেন।
কিন্তু শোনার মানার মানুষ নাই।
আর এসএসসি এইচএসসিতে ফি বাদ দেবে কি? সরকারী ফির বাইরে বাড়তি যে টাকা নেয়
তারজন্য এবার কম যুদ্ধ করিনি। কিন্তু কম হলেও কিছু বেশি দিতেই হয়েছে!
এইতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের বানিজ্যিক গলাকাটাদের বাস্তবতা।
সব দুর্যোগ কেটে যাক।
আমরা যেন দেশপ্রেম আর কর্ম দিয়ে সব রিকভার করতে পারি
সেই ইউটোপিয়ান স্বপ্নেই আশায় বুক বাঁধি।
+++
০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যেহেতু দারিদ্র্য বেড়ে গেছে তাই পরবর্তি এসএসসি ও এইচএসসি ফি গুলো তুলে দিতে হবে।
শিক্ষা উপবৃত্তি না বাড়ালে শিশুরা বিদ্যালয় বহির্ভূত শ্রমে জড়াবে দারিদ্র্য মোকাবেলায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকার কি পদক্ষেপ নিলে চাকরী রক্ষা হবে, ও বেকারত্ব কমে যাবে?