নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন স্ট্যাটাস্কোতে বাংলাদেশের কৌশলগত ভূমিকা কি হবে?

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:১৩

তৃতীয় বিশ্ব, বানায় না অস্ত্র,
তবুও সসস্ত্র,
ওরা আজন্ম যুদ্ধ করতে চায়,
বৃহৎ শক্তি,
অস্ত্র বেচে যুদ্ধ থামাতে যায়!

আনন্দবাজার পত্রিকার একটা রিপোর্ট পড়ে আজ বহুদিন পরে এই অজনপ্রিয় গানের লাইনগুলো মনে পড়লো।

এক-

আনন্দবাজার লিখেছে 'পূর্ব লাদাখে ভারতের জমি ছেড়ে যাওয়ার কোনও লক্ষণ দেখায়নি চিনা সেনা। উল্টে দখল করা ভূখণ্ডে আজ নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি। ...এই অবস্থায় পাল্টা পেশিশক্তি দেখাতে আজ ১২টি সুখোই ও ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যা কিনতে খরচ হবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।...আগামী মাস থেকে অত্যাধুনিক রাফাল বিমানও আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা।'


সৌদি আরবকে পেছনে ফেলে মোদির ভারত পৃথিবীর সর্বোচ্চ অস্ত্র আমদানী কারক দেশ হয়ে উঠেছে। মোদির ভারত সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা চায়না ছাড়া পুর্ব-পশ্চিমের সব ব্লক থেকেই অস্ত্র কিনে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইজরায়েল, ব্রিটেন, জার্মানি সহ সবার কাছ থেকে অস্ত্র কিনে এই দেশ গুলার সাথে সম্পর্ক উষ্ণ রাখে। যদিও তার জন্য উন্নত ভারতীয় মেধা ও মানব সম্পদ ভিত্তিক সম্পর্কের কৌশলই যথেষ্ট ছিল। অস্ত্র কিনার মূল উদ্দেশ্য পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একঘরে করে দক্ষিন এশিয়ায় অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক মস্তানি করা।

বিশ্বব্যাংক ‘পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার প্রসপারিটি বা দারিদ্র্য ও সমৃদ্ধির অংশীদার-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি হতদরিদ্র মানুষ আছে, এমন ১০টি দেশের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত। সবচেয়ে বেশি ১৭ কোটি ৫৭ লাখ হতদরিদ্র আছে। তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০–এর অন্য দেশ গুলো হলো নাইজেরিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, মাদাগাস্কার, কেনিয়া, মোজাম্বিক,‌ বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া। ভারতের দারিদ্র্য ও ধনবৈষম্য এমন যে, এখানে মাত্র ৭০ জন শীর্ষ ধনীর সম্পদ দেশের ৭০ শতাংশ গরিবের মোট সম্পদের সমান বা বেশি। এমতাবস্থায়, সাড়ে ১৭ কোটি অতি দরিদ্র্য সহ প্রায় ৫০ কোটি দারিদ্র জনগোষ্ঠীর টেকসই আর্থিক উন্নতির দিকে মনোযোগ না দিয়ে দেশটি কাশ্মীর ও দিল্লিতে মুসলিম নিধন, কাশ্মীর লকডাউন, বাংলাদেশী তাড়ানো, নেপালে জ্বালানি ব্লক, পাকিস্তানে বিমান হামলা, অভ্যন্তরে নাগরিকত্ব বিলের উগ্র হিন্দুত্ববাদী পদক্ষেপ সহ আঞ্চলিক সমস্যাতে নিজেদের জড়িয়ে অস্ত্র কেনায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে। এককালের বিকাশমান ভারতের এমন উল্টা যাত্রা দক্ষিণ এশিয়ায় বহু ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

নির্বাচনের আগে আগে পুলোওমা হামলার অযুহাতে (ঘটাতে উৎসাহ দেয়া স্টিং অপারেশান) পাকিস্তানের সাথে গায়ে পড়া যুদ্ধের মাধ্যমে "আচ্ছে দিন আনতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ" মোদি উগ্র হিন্দুত্ববাদী আবেগের বন্যায় নির্বাচনী বৈতরণী পার পেয়েছে।

চায়না গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে চাইনিজ এক্সপার্টদের দেয়া মতামতের প্রতিফলন হচ্ছে- "কোরোনা ব্যবস্থাপনায় শোচনীয় ব্যর্থ মোদির, বেকারত্ব, খাদ্য সংকট, মৃত্যু মিছিল তৈরি হবার প্রেক্ষিতে মোদি সীমান্ত অস্থিরতার পুরানো কৌশলে জাতীয়তাবাদী আবেগ উস্কে দিয়ে নাগরিকের মনোভাব ঘুরাতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। এমতাবস্থায়, চীনের কৌশল হচ্ছে ভারতীয় ভূমি দখল ও পাল্টা কৌশলগত হামলা করে এমন শিক্ষা দেয়া যাতে ভারত ভবিষ্যৎ এ চীন ও নেপালের সাথে সীমান্ত বিরোধে না যায়।''

সব মিলে ঘরে ও ঘরের বাইরে ভারত বিপদে পড়েছে। প্রতিবেশীদের উপর প্রভুত্ব তৈরির চর্চিত সংস্কৃতি ভারতকে এশিয়ায় একা করে ফেলেছে। প্রায় চল্লিশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্ব, গাড়ি, স্টীল সহ অভ্যন্তরীণ পণ্য বাজারের ক্রমাগত সংকোচন, অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা এবং একই সাথে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ রাজনীতির কৌশলগত অবস্থা গুলোতে ভারত এখন ব্যাকফুটে। এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে, পাকিস্তান সম্ভবত প্রথমবারের মত নিজেদের এখনও পর্যন্ত ভারত-নেপাল-চীনের ত্রিমুখী সংকট থেকে দূরে রাখতে পেরেছে। পুলোওমা হামলার পরে ইমরান খান যে প্রখর কূটনীতির পরিচয় দিয়েছেন তা অব্যহত আছে। মাথা মোটা পাক আর্মি এই স্টাটাস্কো বজায় রাখতে পারলে ভালো, নতুবা মোদির পক্ষে (মোদির গেড়ুয়া ব্লক বলছি, ভারত বলছি না, ভারতীয় সমাজের সবাই যুদ্ধবাজ নয়) ব্লেইম গেইম তৈরির ক্ষেত্র বাড়বে।



দুই-
নতুন স্ট্যাটাস্কোতে বাংলাদেশের কৌশলগত ভূমিকা কি হবে?

ভারতের সহযোগীতায় ২০১৪ নির্বাচনে চুরি করে জিতার বদৌলতে বাংলাদেশ সরকার স্বেচ্চায় কিংবা আধিপত্যবাদী ভারতের চাপে পড়ে বহু কিছু হারিয়েছে-

১। নতজানু সরকার ভারত থেকে পানি হিস্যা আদায় করতে পারেনি। যৌথ নদী কমিশনের একাধিক বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন দাবী ও এজেন্ডা না থাকায় এই বৈঠক আর বসছে না বহু বছর। এদিকে শুষ্ক মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের মরুকায়ন তীব্রতর হয়েছে, তিস্তার পানি পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে। যমুনায় ইতিহাসের সর্ব নিন্ম পানি প্রবাহিত হয়েছে শুষ্ক মৌসুমে। বিগত বছরে ধীরে ধীরে গঙ্গা ব্যারেজের গেইট খোলার পরিবর্তে একযোগে ১১৯টি স্লুইস গেইট খুলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে হঠাত বন্যা তৈরি করে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত ক্ষতি করেছে ভারত। যদি বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কই থেকে থাকে ভারত কেন সম্ভাব্য বৃষ্টিপাতের পরিমাপ সাপেক্ষে গঙ্গা ব্যারেজের গেইট খোলে না। মেটেরিও স্যাটেলাইট দেখে বর্তমান সময়ে এই কাজটি এত সহজ হলেও কেন বার বার শুকনা মৌসুম না পেরুতেই বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ তলিয়ে যায়?

২। ভারতীয় চাপে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প বন্ধ হয়েছে। ভারত বিগত ১২ বছরে ধরে গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প বন্ধ রেখেছে, এতে করে ২০২৬ এ আসন্ন গঙ্গা পানি চুক্তির নেগোসিয়েশান কৌশলে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

৩। ভারত তেল উৎপাদনকারী না হয়েও বাংলাদেশে ডিজেল বিক্রি করছে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে উচ্চ দামে। অভিযোগ উঠেছে এই ডিজেল সঠিক মানে পরিশোধিত নয়, এতে উচ্চ পরিমাণ সালফার সহ পরিবেশ ধ্বংসকারী উপাদান আছে। তেল উৎপাদনকারী না হয়েও, পৃথিবীর এভারেজ থেকে নিচের মানের কয়লার মুজদদারী ভারত থেকে ঠিক কোন যুক্তিতে বাংলাদেশকে ভারত থেকে তেল ও কয়লা কিনতে হবে? যেখানে আমেরিকার ফ্রেকিং এবং রাশিয়ার ব্যাপক প্রডাকশনের পরে তেলের বাজারে সারপ্লাস বিরাজ করছে?

৪। চাহিদা না থাকা ভারতীয় কয়লা বিদ্যুৎ ক্রস বর্ডার বিদ্যুতের নামে বিক্রি করছে। বাংলাদেশ তার বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেকেরও কিছু বেশি বসিয়ে রাখলেও বর্তমানে ভারত থেকে দুটি হাব দিয়ে দিনে ৭৫০ মেগাওয়াটের মত বিদ্যুৎ কিনে লোকসান দিয়ে যাচ্ছে।

৫। ভারত নিজের অব্যবহৃত নিন্ম মান কয়লা দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং সুন্দরবন নষ্টের জন্য রাপমাল সহ একাধিক কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশে ব্যাপক নাগরিক অসন্তুষ্টিকে আমলে নেয়নি তারা। যৌথ বলা হলেও মাত্র ১৫% মালিকানা দিয়ে উল্টো রামপাল সহ কয়লা প্রকল্প গুলোতে বাংলাদেশকে ভারতীয় ঋণ নিতে হয়েছে।

৬। কভিড-১৯ এর আগেই বাংলাদেশের যেখানে নূন্যতম ৪ কোটি ৮২ লক্ষ লোক বেকার সেখানে বাংলাদেশের ভারতীয়দের ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। করোনা কালে ভারত তার শ্রমিকদের ফিরিয়ে নিতেও গড়িমসি করেছে।

৭। টোল না দিয়ে, রাস্তা নির্মাণ খরচ না দিয়ে, রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ না দিয়ে ভারত প্রায় ফ্রি স্থল ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করছে। উল্টো রাস্তা নির্মানে ভারত উচ্চ সুদে বাংলাদেশকে ঋণ নিতে বাধ্য করেছে।

৮। ড্রেজিং খরচ না জুগিয়ে ভারত প্রায় ফ্রি নৌ ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করছে।

৯। নিজস্ব দুটি সাবমেরিন ল্যান্ডীং স্টেশান থাকার পরেও, সরকারি খাতে অন্যায্য দাম, খুরুচে ট্রান্সমিশান পথ আর কুয়াকাটায় কারিগরি সমস্যা জিইয়ে রাখায়, বেসরকারি কোম্পানি সামিট ও ফাইবার এট হোম এর ক্রস বর্ডার ইন্টারনেট ব্যবসা চালু আছে।

১০। চট্রগ্রাম সমূদ্র বন্দর ক্যাপাসিটি স্বল্পতায় ভুগলেও ভারতীয় কোম্পানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্রগ্রাম সমূদ্র ব্যবহার করার চুক্তি করে নিয়েছে।

১১। বাংলাদেশের কমার্শিয়াল মেরিটাইম জোনে ভারতীয় রাড়ার বসার চুক্তি হয়েছে। ভারত নিজে সমরাস্র ক্রয়ের শীর্ষ দেশ হলেও বাংলাদেশকে ভারত থেকে নিন্ম মান সমরাস্র কিনতে হচ্ছে। সেখানেও বাংলদেশকে ভারতীয় ঋণ ধরিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় নৌ সেনা ও নৌ সেনা আশ্রিত দস্যুরা বাংলাদেশের পাথরঘাটা ও সুন্দরবনের উপকূলীয় জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে, মাছ ডাকাতি করে এবং ট্রলার ডুবিয়ে দেয় বলে বহু অভিযোগ আছে।

১২। বাংলাদেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরামর্শক হিসেবে ঢুকে গেছে ভারত সম্পূর্ণ অযাচিত ভাবে, যেখেন নির্মাণকারী দেশ প্রযুক্তির মূল স্বত্বাধিকারী রাশিয়া নিজেই।

১৩। বাংলাদেশের সংসদে উপস্থাপিত সরকারি তথ্য মতেই ভারত বিগত এক দশকে সীমান্তে ২৯৪ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। (সীমান্ত অপরাধ প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি)।

১৪। ভারতে বাংলাদেশের পণ্য বিক্রিতে পরোক্ষ শুল্কারোপ অব্যহত আছে। পাটের উপর এন্টি ডাম্পিং নীতিমালা বসিয়ে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত শিল্পকে ধ্বসিয়ে দিয়েছে।

১৫। বাংলাদেশ ভারতের শীর্ষ রেমিটেন্স সংগ্রহকারী দেশের অন্যতম হলেও ভারতে বাংলাদেশীদের ওয়ার্ক ভিসা এখনও প্রকৃতভাবে উন্মুক্ত হয়নি।

বাংলাদেশের প্রতিটি বোধ, বিবেক সম্পন্ন মানুষের এই বুঝাপড়া গুলো করে নিতে হবে। আমরা কেন সাময়িক দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থ্যের জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্পদ, অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ভারতের কাছে বর্গা দিয়ে রেখেছি। কে এই বর্গা ছুটাবে, কিভাবে?

এরকম আছে আরো বহু অর্থনৈইতিক ও কৌশলগত বিষয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্পদ, অর্থনীতি, অবকাঠামো ও সামরিক সকল কৌশলগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত ধুকে গেছে। এই থেকে বেরুবার পথ বড় কঠিন। পাশাপাশি বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক নেগোসিয়েশানের কৌশলগত সুবিধা গুলো হাতছাড়া করে দিয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে অভুতপূর্ব ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ যার কোনই প্রতিদান আসেনি। অনুপ চেটিয়া, পরেশ বড়ুয়াদের হস্তান্তর করে দিয়েছে, দশ ট্রাক অস্র মামলার নিষ্পত্তি করে ফেলেছে। তিস্তার পানি না পেয়েও ফেনী নদীর পানি দিয়ে দিয়েছে। ফলে ভারতের সাথে কৌশলগত নেগোসিয়েশানের ইন্সট্রুমেন্ট নাই বললেই চলে বাংলাদেশের হাতে। বাংলাদেশ নেপাল বাণিজ্য করিডোরের আলাপ তো ছাই! আমরা ভুলে যাব না যে, ভারত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে ছিল না।

ভারতীয় স্বার্থান্ধ্য ও আধিপত্যবাদী প্রভুত্ব কেন্দ্রিক আচরনে শেখ হাসিনা ইন্ডিয়া থেকে কিছুটা দুরুত্ব বজায় রেখেছেন সত্য, পুরাপুরি সরে আসেননি, কার্যত ভারত থেকে পানি হিস্যা সহ অন্য কোন দাবি আদায়ে শক্ত অবস্থানে যাননি। তবে যেহেতু উনি ইন্ডীয়ান বলয়ের বড় নেতাদের মন্ত্রীসভার বাইরে রেখে চাইনিজ বলয়ের জুনিয়রদের মন্ত্রী করেছেন তাই ইন্ডীয়ার জন্য এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ফাংশন করাটা কিছুটা টাফ। অন্য আলোচনাটা হচ্ছে বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রে ভারতীয় প্রভাব খুবই বেশি, তাই চায়নার জন্য ইকনোমিক ইন্টারফারেন্স এর বাইরে স্রেফ পলিটিক্যাল ইন্টারফারেন্স তৈরিও টাফ- অনেক কিছু ভারতের কাছে লীক হয়ে যায়। চায়না এন্ড মিজ হাসিনা প্লেইড স্মার্ট উইথ ইন্ডীয়া, এটা সত্য। তবে দুই নৌকায় পা রাখার বিপদ সম্পর্কে শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই অবগত আছেন!

এদিকে চীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যুদ্ধের, ভারত-চীন, ভারত-নেপাল বহুমুখী অস্থিরতার একটা মোক্ষম সময়ে বাংলাদেশকে ৫ হাজার ১৪১ টি পণ্যে শুল্ক মুক্ত ছাড় দিয়ে বসেছে। এটা গভীর তাতপর্যময় এবং ইঙ্গিত বাহী ঘটনা। চায়নায় বাংলাদেশী পণ্যের বাজার বাড়ছে। সেখানে তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট, পেট ফ্লেক্স, থেকে শুরু করে হিমায়িত চিংড়ি, কাকড়া ইত্যাদির বাজারও তৈরি হয়েছে।আদতে চায়নার কষ্ট অফ লেবার বাড়ায় চায়নিজ ব্যবসায়ীরা ভিয়েতনাম, মিয়ানমার,বাংলাদেশ,পাকিস্তানে আসার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখী করণ খুবই দরকার। এই স্ট্যাটাস্কো কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সুবিধা বিবদমান পক্ষ গুলোর কাছ থেকে আদায় করে নিতে হবে এটাই মূল কথা, তবে তা চীন থেকে শুধু নয়, ভারত থেকেও। কূটনীতির প্রখর উচ্চতায় এসে হীনমান্য গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর উর্বর ভূমি 'বাংলাদেশ সচিবালায়' নিয়ে শেখ হাসিনা সে উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবেন কি?

ভারতের সাথে হার্ড নেগোসিয়েয়াশানের আগে, অপচুক্তি থেকে বেরুনার আগে, ভারতকে দেয়া অন্যায় সুবিধা গুলো বন্ধের দফারফা না করে ভারতীয় বল্য থেকে বাংলাদেশের গায়ে পড়ে চাইনিজ ব্লকে একচেটিয়া ভাবে ঢুকা ঠিক হবে না, সেক্ষেত্রে দীর্ঘ্য শত্রুতার জন্ম হতে পারে। প্রতিবেশীর সাথে যে কোন ধরণের তিক্ততা ভালো না। বাংলাদেশের উচিৎ নিরপেক্ষ থেকে নেগসিয়েশন পাওয়ার তৈরির কৌশল নেয়া। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য তো বটেই চায়নাকে সমর্থনের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান। চীন তার শাবক মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিলে স্থায়ীভাবে চায়নাকে একক সমর্থন করা যায় না। হ্যাঁ কৌশলগত কারণে পরোক্ষ সমর্থন থাকতে পারে।

সবকিছুর পরেও পশ্চিমা ও ভারতীয় চাপে ভারত-চীন-নেপাল-পাকিস্তান সামরিক ও ভূরাজনৈতিক মারপ্যাঁচে বাংলাদেশ রাজনৈতিক ভাবে ভারতকে আবারো সমর্থন করে বসলে সেটা যাতে অন্তত শর্তহীন না হয়। আমাদের প্রত্যাশা যে বর্তমান স্টেটাস্কোর সর্বোচ্চ সদ্যবহার করে বাংলাদেশ হাতছাড়া হয়ে যাওয়া অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অবকাঠামোর ব্যাপারে ভারতীয় কব্জা থেকে বেরুবার চেষ্টা করবে। পানি হিস্যার জন্য চাপ দিবে, অবকাঠামো গুলো শুরু করে দিবে, বিদ্যুৎ ডীজেল আমদানি একেবারে কমিয়ে দিবে, ট্রানজিট মাসুল আদায় করবে, কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করবে। ভারতের ক্ষতি বাংলাদেশ করুক আমরা তা চাইনা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিও তা না। তবে ভারত যে বাংলাদেশের সমূহ অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে, বাংলাদেশ যে কোন ধরনের সমর্থনের বিপরীতে নিজের বুঝাপড়া করে নিবে, নিজের স্বার্থ্য গুলো ফিরিয়ে আনবে- এটাই সর্বজন স্বীকৃত নাগরিক প্রত্যাশা।

মন্তব্য ৯৯ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (৯৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ন লেখা। এই বিষয়ে ব্লগারদের আলোচনা হওয়া উচিত। আমি এই পোষ্টে ব্লগারদের আলোচনা চাই।

যদিও আমরা এমন একটি পরিস্থিতে আছি যেখানে দেশের জন্য যে কোন ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা ও সমালোচনাকে দেখা হয় সরকার বিরোধী চিন্তা ভাবনা কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে। যে কোন সৎ গণতান্ত্রিক সরকার সমালোচনা মেনে নিবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশে এই প্র্যাকটিস খুবই কম। আমি মনে করি, ভারতের কাছে এই নতুজান পররাষ্ট্রনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সেই জন্য চায়না ও অন্যান্য দেশের সাথে সঠিক কূটনৈতিক সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এটা অনেকটা চেক এন্ড ব্যালেন্সের মত। কারন এই দুইপার্টির কেউই কারো চেয়ে কম নয়। এদের ভেতরের আগ্রাসী মনোভাব প্রায় একই।

তবে জবাবদিহীতা করা উচিত - কেন আমরা অপরিশোধীত ডিজেল কিনব? কেন আমাদের নিজেদের সক্ষমতা রেখে অন্যদেশের বিদ্যুৎ কিনব? আপনি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবেন - সরকার কোন যুক্তিতে দেশের এতগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে বসিয়ে রেখেছে?

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যদিও আমরা এমন একটি পরিস্থিতে আছি যেখানে দেশের জন্য যে কোন ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা ও সমালোচনাকে দেখা হয় সরকার বিরোধী চিন্তা ভাবনা কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে। যে কোন সৎ গণতান্ত্রিক সরকার সমালোচনা মেনে নিবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশে এই প্র্যাকটিস খুবই কম। আমি মনে করি, ভারতের কাছে এই নতুজান পররাষ্ট্রনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সেই জন্য চায়না ও অন্যান্য দেশের সাথে সঠিক কূটনৈতিক সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এটা অনেকটা চেক এন্ড ব্যালেন্সের মত। কারন এই দুইপার্টির কেউই কারো চেয়ে কম নয়। এদের ভেতরের আগ্রাসী মনোভাব প্রায় একই।

তবে জবাবদিহীতা করা উচিত - কেন আমরা অপরিশোধীত ডিজেল কিনব? কেন আমাদের নিজেদের সক্ষমতা রেখে অন্যদেশের বিদ্যুৎ কিনব? আপনি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবেন - সরকার কোন যুক্তিতে দেশের এতগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে বসিয়ে রেখেছে?


কারো দোষ দেই না। নতুন শুরুর চিন্তা হোক। নিজেদের কথা বাদ দেই, আগামি প্রজন্মের কি কি সম্পদ, কি কি নিরাপত্তা হাতছাড়া করা হয়েছে তার পুনঃ আলোচনা শুরু হোক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের কতটুকু দায়বদ্ধ হওয়া দরকার তার পুনঃ পাঠ শুরু হোক।

নেপালে এই আলোচনা শুরু হয়েছে, শ্রীলংকা, ভুটানে হয়েছে, বাংলাদেশেও হোক।


পারস্পরিক বুঝাপড়া, উভয় পক্ষের যৌক্তিক ও ন্যায্য প্রাপ্তির ভিত্তিতে সম্পর্ক হোক। প্রভুত্ব, গোলামী আর অবৈধ নির্বাচনে সহায়তার আন্ডার টেবিল নেগোশিয়ানের ভিত্তিতে না হোক।




২| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য অপশন মনে হয় বন্ধ।
দুইবার মন্তব্য করেছি। হচ্ছে না।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

৩| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশ এবং ক্ষমতাসীন সরকার দুটো পুরোপুরি বীপরিত শব্দ। সরকার তাই করবে যেটাতে তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায় । বাংলাদেশের তাতে কি ক্ষতি হল সেটাতে তাদের কিছুই যায় আসে না।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, চিন্তার দৈন্যতা মুছার, সম্পদ ব্যবস্থাপনা টেকসই করার দীর্ঘমেয়াদী রডম্যাপ চাই। জাতীয় কৌশলগত নিরাপত্তা, অর্থনীতির কৌশলগত সুরক্ষার দিকে গুলো যা হাতছাড়া হয়েছে তার জোর আলোচনা উঠুক।

৪| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই পোষ্টে ব্লগারদের আলোচনা আশা করছি। আলোচনা হতে হবে যৌক্তিক এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ্যযোগ্য ভাষায়। কঠোর সমালোচনা হোক কিন্তু তা হতে হবে যৌক্তিক ও গ্রহনযোগ্য। পক্ষে বিপক্ষে সমালোচনা হোক, কিন্তু ব্যক্তি আক্রমন গ্রহনযোগ্য হবে না।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ। সামুকে লাল সালাম।

৫| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৫

নগর মানব বলেছেন: ভারত সরাসরি চায়নার ভূখণ্ডে হামলা চালাবে না। নেপাল শ্রীলংকা কিংবা বাংলাদেশে চায়নার প্রকল্পগুলোর উপর হামলা করবে ।
বাংলাদেশকে কাছে রাখার জন্য চীন অনেক জিনিসের শুল্কমুক্ত সুবিধা ঘোষণা করেছে । ভারত কোনভাবে বাংলাদেশ হাতছাড়া করবে না। বর্তমান সরকার যদি চীনের পক্ষে থাকে তবে সরকারের পরিবর্তন হবে আমাদের দেশে । সেনাবাহিনী পুনরায় মসনদে বসবে ।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমার বক্তব্য সিম্পল, যেহেতু আমরা অনেক হারিয়েছি, তাই হৃত বিষয়াদি ফিরে পাবার কৌশলে যাওয়া চাই। নিঃশর্ত সমর্থন চাই না। যা গেছে তা ফিরে পাবার শর্ত বরং বাংলাদেশ-নেপাল করিডোরের বিষয়ে নতুন আলোচনা তেবিলে উঠুক।

বাফার স্টেট হয়ে বারগেই পাওয়ার বাড়ানোর কৌশল নিক।

বর্তমান সরকার উভয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছে। কৌশল ঠিক না করে এটা করতে গেলেও বিপদ হবে। দরকার সুস্পষ্ট নেগোশিয়ানের সুকৌশল।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪০

করুণাধারা বলেছেন: সকাল ছয়টায় কখনো মন্তব্য করতে বসি না, কিন্তু এই পোস্ট পড়ে লেখার মতো অনেক কিছু মনে আসলো, প্রথমে লাইক দিয়ে নিয়ে মন্তব্য লেখা শুরু করলাম। মূল পোস্ট থেকে এক একটা উদ্ধৃতি দিয়ে সেটার উপর আমার মত দিতে লাগলাম। অনেক সময় লাগলো, কারণ পোস্টের থেকে কপি পেস্ট করা যায় না দেখে আমাকে সময় নিয়ে উদ্ধৃতি দিতে হয়েছে হয়েছে। মনের মতো মন্তব্য লিখে পোস্ট করলাম। দেখি একখান মেসেজ:

একটা ভুল পাওয়া গেছে।
লেখক এই পোস্টে কোনো মন্তব্য গ্রহণ করবেন না।


পন্ডশ্রমের জন্য দুঃখিত হলাম, এরপর We SYLHETis এ এই পোস্ট দেখতে পেয়ে ভাবলাম জানতে চাই, কী কারণে সামুতে মন্তব্য নিচ্ছিলেন না... জানিনা, কেন সকালে মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ রেখে এখন আবার খুললেন!!

আলোচনা করার ইচ্ছা আর হচ্ছে না, পোস্ট ভাল লেগেছে জানাতে লাইক দিয়েছি।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সামুর দোষ নেই, দোষ আমার।
আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। ইদানিং আমি পোষ্ট দিলেই পঙ্গপাল হানা দেয়, পোষ্ট না পড়েই বিষয় বস্তুর সাথে সম্পর্কহীন বিরক্তিকর কমেন্ট থ্রো করে। তাই কমেন্ট অপ্সহান বন্ধ করে দিয়েছিলাম।

বিজন রয় দাদা অন্য পোষ্টে জানানোয় ওপেন করলাম, প্লিজ মন্তব্য আবার করুন।

মাফ চাই। দোয়াও চাই।

৭| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথেই শত্রুতা না।যে নীতিতে সরকার এখন চলছে।এটাই উত্তম পথ।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এটা আশির দশকের আগের জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শ্লোগান। নিজের সব স্বার্থ্য জলাঞ্জলি দিয়ে পরে " সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথেই শত্রুতা না" এমন কথা বলা অক্ষমের আর্তনাদ।

অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচনের অন্যের সাহায্য নিতে গিয়ে নিজেদের স্বার্থ্য উদোম করে দেয়ার সংস্কৃতি থেকে সরতে হবে। এতে করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নেগোসিয়েশানের শক্তি আসবে।

পাশাপাশি সম্পদ প্রখর জ্ঞান লাগবে, কূটনীতির কৌশল লাগবে, লাগবে ভবিষ্যৎ রিড করার কৌশলগত জ্ঞান অর্জন।

প্রতিবেশীর সাথে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা ভিত্তিক নেগোসিয়েশানের উইন উইন সম্পর্ক চাই, যে সম্পর্ক মর্যাদার।

৮| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আনন্দবাজার পত্রিকার যে প্রতিবেদনটি আপনি শেয়ার করলেন, কলকাতা থেকে প্রকাশিত অন্য একটি দৈনিক 'এই সময়'পত্রিকায় আবার অন্য সুর দেখলাম। সেখানে পার্লামেন্টে সোনিয়ার অভিযোগ ওড়ালেন মোদি। এমনকি এদেশের মাটিতে ঢোকেনি চীন- একথা বলেও বিবৃতি দিলেন।

এখন প্রশ্ন তাহলে কিভাবে কুড়িজন জওয়ান শহীদ হলেন? যেখানে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি অনুযায়ী চীনের সৈন্য ভারতীয় ভূখণ্ড ঢোকেইনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নেপালের বর্তমান সরকার রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করায় ভারত খুব গোসা হয়। তাকে হাতে না মেরে ভাতে মারার পরিকল্পনা করে যাবতীয় সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে নেপালের সে কান্না প্রত্যক্ষ করেছে বহির্বিশ্ব । ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী চীন অপেক্ষা ভারত নেপালের সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় ভারতীয় নেতাদের একটা নাক উঁচু ভাব ছিল,তার উপর খবরদারি করার। এমতাবস্থায় চীন নেপালের সেই গ্যাপটিই পূর্ণ করে। অপেক্ষাকৃত দুর্গম হলেও বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত। নতুন বন্ধু পেয়ে নেপাল যেন এতদিনে মাথা তুলে দাঁড়ায়। নিন্দুকরা বাফার রাষ্ট্রের কথা বললেও পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয় তাদের দেশের নয়া মানচিত্র।যার তিনটি গ্রাম নাকি ভারতের অন্তর্ভুক্ত।
সঙ্গত কারণেই মনে প্রশ্ন জাগে, এতদিন পরে কেন নেপাল একথা মুখে আনলো? তাহলে কি সত্যিই পিছনে কেউ তাকে উস্কে দিচ্ছে?
আবার অন্যদিক থেকে বললে,
বড়দাদার সহযোগিতা পেয়ে কি এতদিন তার মুখের উপর কথা বলতে না পারায় তাদের অন্যায় আবদারকে মান্যতা দিয়েছিল? নতুবা ১৮১৫-১৬ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধ অনুযায়ী সগৌলির সন্ধিতে-দক্ষিণ সীমান্তে গোর্খা অধিকৃত স্থানগুলো ইংরেজদের ছেড়ে দিতে হবে। মূলত যেখানে কালিগঙ্গা নদী একটি বিভাজন রেখা হিসেবে কাজ করে। আর পশ্চিমে গাড়োয়াল ও কুমায়ুন জেলাদুটি ইংরেজদের অধিকারে থাকবে। পরবর্তীকালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ব্রিটিশ অধিকৃত স্থান ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয় ও কালীগঙ্গার ওপারটা নেপালের অধিকৃত থেকে যায়। যদিও সর্বত্র ভারত-নেপাল সীমান্তে কালিগঙ্গা বিভাজন রেখা হিসেবে কাজ করেনি। তিনটি গ্রাম অলিখিত ভাবে এতদিন ভারতের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও নেপাল এবারে সেই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

পাশাপাশি আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়। স্বাধীনতার পর ভারত সোভিয়েত গোষ্ঠী বা আমেরিকা গোষ্ঠী কোন গোষ্ঠীতে না গিয়ে পঞ্চশীল নীতি নিয়ে মার্শাল টিটো বা জেনারেল সুকর্ণের সঙ্গে মিলিতভাবে নির্জোট আন্দোলনের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সদ্য স্বাধীন প্রাপ্ত একটা দেশ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করলেও বর্তমান মোদিজি ভারত সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

ধর্ম বা হিন্দুত্ব ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতার মূল আদর্শ। মুসলিম ও পাকিস্তান শব্দদুটিকে সমার্থক করে প্রতিবার লোকসভা ভোটের আগে যেনতেন প্রকারে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে সুড়সুড়ি দিয়ে ক্ষমতায়ন বিজেপির ভোট বৈতরণী পার হওয়ার প্রধান মাধ্যম।ইতিমধ্যে তারা তাদের মত করে ছাঁচে ফেলে একটা জাতীয়তাবাদ তৈরি করেছে।সেই ছাঁচে যে পড়বে না তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার তকমা দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করছে না।
ধর্মীয় কারণেই অচ্ছুৎ হওয়ায় প্রতিবেশী পাকিস্তান আফগানিস্থান তার অন্যতম শত্রু। নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র হয়েও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষিত হওয়াতে শত্রুতে পরিণত হল। এহেন ভারতকে বাংলাদেশ যতই বন্ধু ভাবুন না কেন তার আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ আছে। অন্তত রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত তার যথাযথ পরিচয় দিয়েছে। যদিও মায়ানমায়ের কাছে ভারত অপেক্ষা চীন অনেক বেশি বন্ধুবৎসল। সুতরাং বিষয়টি স্পষ্ট এশিয়াতে ভারতের একমাত্র বন্ধু দেশ আশপাশে কেউ নেই।হুজুর পশ্চিম এশিয়ায় বলা যেতে পারে ইসরায়েলকে। কাজেই শুধুমাত্র ধর্ম ধর্ম করেই ভারত আজ নিজেকে এশিয়াতে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত করে ফেলেছে।

এমতাবস্থায় বাংলাদেশের কাছে ভারতের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা খুবই স্বাভাবিক। এখন দেখার তারা কি নেপালের মতো রাস্তা নেবে? নাকি ভৌগোলিক অবস্থান ও পূর্বের ঋনকে জন্মজন্মান্তর ধরে লালন করবে।


২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভালো মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য করা দরকারি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দীর্ঘ সময় দেয়ার জন্য।

নেপাল থেকে, শ্রিলংকা থেকে শিক্ষা নেয়া চাই। এমনকি নিজের পুর্বভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। যে আত্মঘাতী কূটনীতি প্রণব মুখার্জীর অভিভাবকত্বের বাংলাদেশ বিগত এক করে গেছে তার অবসান চাই। এমন মর্যাদাহীন, অর্থহীন সম্পর্ক, এমন গোলামীর সম্পর্ক যেন আওয়ামীলীগ সব কোন দলই সমানের দিনে পুনরাবৃত্তি না করে তার শপথ চাই।


পাশাপাশি দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনার সকল নিরাপত্তা গুলোকে কিভাবে ফিরিয়ে আনা যাবে তার কৌশল নিতে হবে। ভারতের সাথে গায়ে লাগা যাবে না, মাথা খাটাতে হবে।

শুষ্ক মৌশুমে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তায় পানি সঠিক মাপে আসলে, হঠাত বাঁধ ছেড়ে বন্যা তৈরি না করা মত নূন্যতম প্রতিবেশী সুলভ কাজ করলেই আমি ভারতকে বহু ছাড় দেয়ার পক্ষে। যদিও এটা দাবি না, বরং অধিকার।

আন্তর্জাতিক নদীর পানি পাওয়া ভাটির দেশের মানুষের অধিকার।

ভাটির মানুষের জীবন বাঁচানোর পানি বাদ দিলাম, নদী বাচাতেও অন্তত ২০% পানি লাগে। সেটা নদীর অধিকার, প্রান বৈচিত্রের দাবি।

ভারত তিস্তায় ১০০% পানি বন্ধ করেছে। অন্ধ অহমিকায় ভারত প্রাণ প্রকৃতি নষ্ট করছে, প্রতিবেশী নাগরিকদের দীর্ঘ অসন্তুষ্টি তৈরি করছে, যদিও আমাদের আছে সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক লেনদেন।

৯| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৫৬

রাকু হাসান বলেছেন:


প্রথমে বলি আপনার বিশ্লেষণ খুব ভালো লেগেছে। তাই নিকট এক বন্ধুর কাছে লিংকটি শেয়ার করলাম ।
বর্তমান মন্ত্রীরা অনেকটাই চীনপন্থী । আমার ধারণা বাংলাদেশ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে চীনের দিকে ঝুঁকছে। সেটার বড় প্রমাণ Dhaka Stock Exchange sells 25 pct stake to Chinese consortium এটি সাহসী একটি পদক্ষেপ ছিল । চাপ ছিল নিশ্চয়। তবু বাংলাদেশ করলো। বাংলাদেশ চাইলেও আরও করবে । আর ভারত প্রাপ্যতা বুঝিয়ে দিচ্ছে। ভারতের মোড়লগিরি করার অনেক দিনের সখ । কিন্তু সেটা মনে হচ্ছে তারা আগে শুরু করে ফেলেছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো থাকলে মোড়লগিরি সহজই বটে । যেটা চীন করছে। এভাবে কত দিন বাংলাদেশকে বাগে রাখবে জানি না । মোদি সরকারের ভুলের খেসরত দিতে হচ্ছে ভারতীয়দের । শ্রীলংকা ,মালদ্বীপ,নেপাল,পাকিস্থান,আফগানিস্থান আর চীন তো আছেই --এতগুলো প্রতিবেশীর সাথে ভালো সম্পর্ক নেই । আছে আঞ্চলিক সমস্যা । তাহলে বন্ধু বলতে গেলে শুধু কি বাংলাদেশই ? আমি মনে করি ভারতের বাংলাদেশকে খুব প্রয়োজন এবং বাংলাদেশেরও । ভারত তাদের বাংলাদেশের প্রতি নীতি না পাল্টালে তারা দীর্ঘমেয়াদী লাভবান হতে পারবে না ।
আর আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদের বাংলাদেশের কার্যক্রম অবশ্যই প্রসংশার দাবি রাখে। সেটির পুরষ্কার হিসাবে তিস্তার মত চুক্তি হতে পারে । এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে। আমি চাই বাংলাদেশ ভারত প্রকৃত ঐতিহাসিক বন্ধুতে পরিণত হোক । মুজিব-গান্ধী বন্ধুত্বের মত ।

বাংলাদেশ যে গেড়াকলে ঢুকছে তা থেকে সহজে বের হবার কোন সহজ পথ নেই। কার্যকরি কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে । ভুল করলে ভুলের মাশুল অনেক বড় হবে ।
সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথেই শত্রুতা না--- এই নীতিটি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না । কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সবার সাথে বন্ধুত্ব করে চলা সম্ভব কি ? ভারসাম্যপূর্ণ ,দেশীয় স্বার্থরক্ষার কথা স্পষ্ট হওয়া উচিত।ভারত যেভাবে চেপে ধরছে বাংলাদেশ ,সেভাবে চলতে থাকলে মনে হয় না বাংলাদেশ গুরু গুরু করে সব সময় চলবে। স্বাভাবিকভাবেই চীনও বাংলাদেশে তার অবস্থান শক্তিশালী করছে।

আমি মনে করি না ,বাংলাদেশে চীনের স্থাপনায় হামলা করার মত সাহস দেখাবে। এতে সমস্যা বেড়ে যাবে।

ব্লগে যারা পরিশ্রমী লেখা লিখে থাকেন ,অনন্ত তাদের পোস্টে গঠনমূলক একটু বড় মন্তব্য রাখতে । নিজের মতামতটা রেখে যেতে । এটা একটা সম্মান আমার পক্ষ থেকে । এই সম্মানের চেষ্টটা অকৃত্রিম । এখানেও তাই করলাম । যদি প্রতি মন্তব্যে কিছু বলার মত থাকে ,বলবেন । না ,হলেও সমস্যা নেই। ভালো থাকবেন । অভিনন্দন আপনাকে বিশ্লেষণের জন্য।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মোদি সরকারের ভুলের খেসরত দিতে হচ্ছে ভারতীয়দের । শ্রীলংকা ,মালদ্বীপ,নেপাল,পাকিস্থান,আফগানিস্থান আর চীন তো আছেই --এতগুলো প্রতিবেশীর সাথে ভালো সম্পর্ক নেই । আছে আঞ্চলিক সমস্যা । তাহলে বন্ধু বলতে গেলে শুধু কি বাংলাদেশই ? আমি মনে করি ভারতের বাংলাদেশকে খুব প্রয়োজন এবং বাংলাদেশেরও । ভারত তাদের বাংলাদেশের প্রতি নীতি না পাল্টালে তারা দীর্ঘমেয়াদী লাভবান হতে পারবে না ।

আর আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদের বাংলাদেশের কার্যক্রম অবশ্যই প্রসংশার দাবি রাখে। সেটির পুরষ্কার হিসাবে তিস্তার মত চুক্তি হতে পারে । এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে। আমি চাই বাংলাদেশ ভারত প্রকৃত ঐতিহাসিক বন্ধুতে পরিণত হোক । মুজিব-গান্ধী বন্ধুত্বের মত ।

বাংলাদেশ যে গেড়াকলে ঢুকছে তা থেকে সহজে বের হবার কোন সহজ পথ নেই। কার্যকরি কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে । ভুল করলে ভুলের মাশুল অনেক বড় হবে ।

সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথেই শত্রুতা না--- এই নীতিটি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না । কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সবার সাথে বন্ধুত্ব করে চলা সম্ভব কি ? ভারসাম্যপূর্ণ ,দেশীয় স্বার্থরক্ষার কথা স্পষ্ট হওয়া উচিত।ভারত যেভাবে চেপে ধরছে বাংলাদেশ ,সেভাবে চলতে থাকলে মনে হয় না বাংলাদেশ গুরু গুরু করে সব সময় চলবে। স্বাভাবিকভাবেই চীনও বাংলাদেশে তার অবস্থান শক্তিশালী করছে।


ভালো বলেছেন।
++++

১০| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:১৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: চীন-ভারত দুইটাই এ্যামেরিকার মতো বিশ্ব সেরা সন্ত্রাসী না হতে পারলেও আঞ্চলিক সন্ত্রাসী। জাপান,দক্ষিণ কোরিয়া,মালয়শিয়া,সিঙ্গাপুর,ভিয়েতনাম,ব্রুনেই-সব দেশের সাথে চীনের শত্রুতা।
বাংলাদেশ,ভারত,নেপাল,ভূটান,শ্রীলংকা,মালদ্বীপ-সব দেশের সাথে ভারত দাদাগিরি দেখায়।
ভারতের দাদাগিরি স্বভাবের কারণেই একই ধর্মের অনুসারী হওয়ার পরও নেপাল তাদের শত্রু।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল হলেও অবস্থানগত কারণে দুইদেশের মধ্যে ‍যুদ্ধ হলে গুরুত্বপূর্ণ।তাই সবাই বাংলাদেশকে হাতে রাখতে চায়।
চীন বড় ঘুষ দিয়েছে,যেটা ভারতের অনেক আগেই দেয়া উচিত ছিলো।
মনে হচ্ছে সন্ত্রাসী এ্যামেরিকার মতো ভারতও পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এরা অবশ্যই সন্ত্রাসী। তবে প্রতিবেশী বলে কথা। তাই উভয়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার যোগ্যতা দেখাতে হবে। এই যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে।

কৌশলগত নেগোশিয়েশানের মিটিং এ দিল্লি গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা দরকশাকশি, দাবি, এজেন্ডা ভুলে ভারতের সত্য মিথ্যা প্রশংশা করেই মিটিং শেষ করে। নেগোসিয়েশান জ্ঞান, প্রজ্ঞা ভিত্তিক যোগ্যতার বিষয়।

আমরা এমন স্তরে পৌছাব কবে? ঠিক কত জন বাংলাদেশী রাজনৈতিক আমাদের অবকাঠামো গত নিরাপত্তার, অর্থনৈইতিক কৌশলগত দিক গুলো নিয়ে ভাবেন?

১১| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:২১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চীন দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় তার আধিপত্য বিস্তার করছে তা আজ থেকে নয় ।
যেদিন তারা আমাদের কাছে গভীর সমুদ্রে বন্দর স্হাপনের প্রস্তাব দিয়ে ছিলো
তখন থেকে আমি চীনের বিভিন্ন পদক্ষেপ লক্ষ্য করে আসছি ।
আমি এটাও বিশ্বাস করি যে, তখন গভীর সমুদ্রে বন্দর স্হাপন করতে পারলে ,
রোহিঙ্গা সমস্যার উদ্ভব হতো না । আরাকান এলাকাটা চীনকে দেবার জন্য
রোহিঙ্গা সমস্যার চাপ আমাদের সহ্য করতে হচ্ছে ।
অন্যদিকে আরকান বন্দর নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে সামরিক ভাবে উন্নত ও সুসজ্জিতকরন
করা হয়েছে ।মিয়ানমার পরিক্লপনা সুন্দর ভাবে বাস্তবায়নের পর এখন নেপালকে শক্তিশালি করা
হচ্ছে । ভারত থেকে সরে আসার জন্য এখন বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়ছে ।
এরপর যদি দেখি, ভারতের সেভেন সিষ্টার স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু করেছে , তাতে
অবাক হবো না, মূল লক্ষ্যই হলো ভারতের সামরিক শক্তিকে দূর্বল করে দেয়া ।
..........................................................................................................................
ভারত নিজে সমরাস্ত্র ক্রয়ের শীর্ষ দেশ হলেও বাংলাদেশকে ভারত থেকে নিন্ম মান সমরাস্র কিনতে হচ্ছে।
অথবা ক্রয়ের জন্য ভারত থেকেই অনুদান পাচ্ছে ।তবে ভারত চীন যে যুদ্ধই করুক,
বাংলাদেশকে তার মাশুল গুন্তে হবে ।



২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব ভালো বক্তব্য।

যুদ্ধ যে ফ্রন্টেই হোক বাংলাদেশ ক্ষতি গ্রস্ত হবে।

বাংলাদেশ কি এমন মর্যাদার অবস্থানে পৌঁছাতে পারবে যেখানে সে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চাপ তৈরি যোগ্যতা দেখাতে পারবে? ভারতের কাছ থেকে দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনার আর্থিক ক্ষতি এবং জাতীয় সম্পদের কৌশলগত নিরাপত্তার দিক গুলো পুনরুদ্ধার করতে পারবে?

১২| ২১ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:২৫

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ব্যাপার হইল ভাই নিজেদের ঘর নিজে না সামলাইতে পেরে প্রতিবেশীর দোষ দেওয়া উচিত না।আমরা আমদের ঘরে তালা দেই না আর বলি চুরি কেন হল ঘরে, আমরা তো ভাল মানুষ।
আপনার দেওয়া এসব পয়েন্ট সেই যেদিন মনমোহন সিং আসছিল বাংলাদেশে তারপর থেকেই শুনে আসতেছি, আর লিস্ট খালি বড় হইতেছে। শুনতে শুনতে আর আলোচনা পড়তে পড়তে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যারা এই পরিবর্তনটা করতে পারে তারা যদি না করে তাহলে আসলে লিখে ব্লগ ভরায় ফেলা যাবে কিন্তু আদৌ কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না। পয়েন্ট যা বলছেন মোটামুটি ঠিক আছে, কিন্তু দোষ মনে হয় চোরের থেকে গৃহকর্তারই বেশি।
ভাল পোস্ট কিন্তু প্র্যাক্টিক্যাল কোন কাজ নাই।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনার দেওয়া এসব পয়েন্ট সেই যেদিন মনমোহন সিং আসছিল বাংলাদেশে তারপর থেকেই শুনে আসতেছি, আর লিস্ট খালি বড় হইতেছে। শুনতে শুনতে আর আলোচনা পড়তে পড়তে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যারা এই পরিবর্তনটা করতে পারে তারা যদি না করে তাহলে আসলে লিখে ব্লগ ভরায় ফেলা যাবে কিন্তু আদৌ কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না। পয়েন্ট যা বলছেন মোটামুটি ঠিক আছে, কিন্তু দোষ মনে হয় চোরের থেকে গৃহকর্তারই বেশি।

কঠিন কথা!
মতান্তরের সুযোগ দেখি না।

আমাদের উপ্লভদ্ধি আসুক।

১৩| ২১ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই সরকার এই দল প্রথম হতে ভারতের উপর নির্ভরশীল ক্ষমতায় থাকার উন্য । পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলে ছিল ভারতের সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আমাদের । তাই ভারতের শত চাওয়া পুরণ করে সরকার । এখন চীনও অনেক সুবিধার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমাদের জন্য। দেখার বিষয় সরকার কি করে। তবে ভারতকে একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার ।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলে ছিল ভারতের সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আমাদের । - এগুলা বকাওয়জা। এই লোককে আমি একটা চরম অপদার্থ মনে করি।

চীনের নতুন কৌশলের মুখে বাংলাদেশ ভারত নতুন সম্পর্ক কেমন হয় এটা গুরুত্বপুর্ণ। আমার বক্তব্য হচ্ছে- বাংলাদেশকে তার হারিয়ে ফেলা সম্পদ ব্যবস্থাপনার আর্থিক ক্ষতি এবং জাতীয় সম্পদের কৌশলগত নিরাপত্তার দিক গুলো ভেবে আগাতে হবে। নিজের হারিয়ে ফেলা স্বার্থ্য পুনরুদ্ধার করতে হবে।

ভারত বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি না করলে, অবকাঠামো ক্ষতি না করলে, প্রাণ-প্রক্রিতি-নদীর ক্ষতি না করলে, তাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। এই অবস্থান কৌশলগত ভাবে বুঝিয়ে দেয়া হোক।

গোলামীর সম্পর্ক চাই না। সম্পর্ক হতে হবে মর্যাদার।

১৪| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:১২

সত্যপীরবাবা বলেছেন: প্রথমেই বলি পোস্টে ++++++++

(সরকারের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব না, আমরা যতই দাবী করি না কেন। কি কারনে সম্ভব না সেটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম, ফলে কমেন্ট বড় হয়ে গেছে)

“America has no permanent friends or enemies, only interests” -- Henry Kissinger
এই উক্তি যে কোনো ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য -- সেটা ভারত, চীন, রাশিয়া, আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র যেটাই হোক। বৃহৎ রাষ্ট্র সবসময়ই প্রতিবেশি অপেক্ষাকৃত ছোট রাষ্ট্রসমুহকে চাপে রাখে, নজরদারী এবং নিজস্ব বলয়ের মধ্যে কুক্ষিগত রাখার চেষ্টা করে। আজকে চীন যতই আমাদের বন্ধুর ভাব ধরুক না কেন, তার বলয়ের মধ্যে আমাদের আনতে পারলে প্রভুর রুদ্রমুর্তি ধরবে। আমাদের চৈনিক বন্ধুরা কতোখানি নৃসংশ হতে পারে তৃতীয় বিশ্বের যে সব দেশে চৈনিক বিনিয়োগ/কোম্পানী/কর্মকান্ড আছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে পরিস্কার।

আমরা যতই দাবী করি না কেন আমরা ভৌগলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় আছি, আমরা আসলে তা নেই। আমাদের তিন দিকেই বৈরী প্রতিবেশী -- ভারত এবং মায়ানমার। এই দুই প্রতিবেশী আমাদের থোরাই কেয়ার করে, আমরা মনের আনন্দে ভাবলেও যে আমরা সমানে সমান বন্ধু। ভারত বিরোধীতায় আমরা চীনা বলয়ে প্রবেশ করে এই আশা যদি করি যে "বন্ধু" চীন আমাদের সর্বতভাবে (সামরিক এবং বেসামরিক) সাহায্য করবে তা ভুল। ১৯৬২ এর ভারত আর এখনকার ভারতে অনেক তফাৎ। ভারত জেতার মত শক্তি না হলেও কঠিন পাল্টা মার দিতে সক্ষম। তাই চীন-ভারত যুদ্ধ যদি সত্যি লাগে, চীনের আমাদের দিকে তাকানোর সময়ই হবে না। আর মায়ানমারের "বন্ধুর বন্ধু আমারো বন্ধু" এই রকম কোনো বালাই নাই, কাজেই সেদিক থেকেও কোনো সাহায্যের আশা নাই। এই অবস্থায় ভারত যদি আমাদের হাল্কা শিক্ষাও দিতে চায় আমাদের এককভাবে মোকাবেলা করতে হবে। সেটা মোকাবেলার সামর্থ কি আমাদের আছে সরকারিভাবে?

যতই অপছন্দ করি না কেন, দেশ হিসেবে পাকিস্তান, চীন-ভারত দ্বৈরথে আমাদের জন্য গুরুত্বপুর্ণ। পাকিস্তান এখন 'নিরপেক্ষ' ভাব ধরে থাকলেও, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে চীন পাকিস্তানের উপর চাপ দিবে পাক-ভারত সীমান্তে অস্থিরতা তৈরীতে। পাকিস্তান এমনিতেই নাচুনী বুড়ি ভারত বিষয়ে, ঢোলের বারির খুব একটা দরকার হবে না। ভারত বেকায়দায় আছে, এই বিষয়ে সামান্য ইঙ্গিত পেলেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের বীরত্ব দেখানোর জন্য উশখুশ করবে। চীন এবং পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় ভারত আমাদের সীমান্তে 'তৃতীয় ফ্রন্ট' খুলতে চাইবে না। আর ঠিক এই কারনেই ভারত আমাদের দেশে তাদের প্রতি 'বন্ধুত্বপূর্ণ' সরকার চায় (কুটনৈতিক শব্দ ব্যবহার করলাম ৫৭ ধারার ভয়ে, আসল শব্দ হবে, প্রয়াত নেলসন মান্ডেলা যে শব্দে বর্ণনা করেছিলেন টনি ব্লেয়ারের ভুমিকাকে ছোট বুশের প্রতি)।

আপাত 'চীনাপন্থি' যারা সরকারে আছে, ভারত চাপ বাড়ালেই হয় তারা কেবলা পরিবর্তন করবে না হয় তাদের ঝে্ঁটিয়ে বিদায় করা হবে। কোনো অনিচ্ছা বা গড়িমসি হলে পুরো সরকার উল্টে দেয়ার ক্ষমতা ভারত রাখে।

এত কথা বললাম এই দিকের প্রতি ইঙ্গিত করার জন্য যে ভারতের বলয় (পড়ুন আগ্রাসন) থেকে বের হওয়া আমাদের সরকারের পক্ষে 'প্রায়' অসম্ভব। বুদ্ধির খেলায় ভারতের কাছে আমরা অনেক আগেই হেরে গেছি -- বিশেষ করে শিক্ষা, ব্যবসা এবং কুটনীতিতে। এর জন্য একা সরকার দায়ী না, বরং বহুলাংশে আমরা, তথাকথিত 'শিক্ষিত' জনগন দায়ী।

আমাদের সরকার, পোস্টে এবং অনেক মন্তব্যে উল্লেখিত "নিরপেক্ষ থেকে নেগসিয়েশন পাওয়ার তৈরির কৌশল নেয়া" অথবা "কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দেয়া"র মত অবস্থানেও নেই, তা আমরা যতই জোর গলায় সরকারের কাছে দাবী করি না কেন।

একমাত্র আমরা, সাধারন মানুষরাই পারি এমন পরিস্থিতি তৈরী করতে যে ভারত বাধ্য হবে আমাদের মতামতের মুল্য দিতে। আমি শুধু তিনটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করব- ১)ভারতীয় পন্য বর্জন, ২) বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয়দের সাথে অসহযোগীতা, ৩)প্রবাসীদের দেশের পক্ষে জোর লবিং।

ব্লগাররা যথেষ্ঠ বুদ্ধি ধরেন, তাই বিস্তারিত ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই যার যার জায়গা থেকে উপরোক্ত তিনটি হয়ত চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যক্তি বিশেষের চেষ্টায় খুব একটা ফল হবে না। আমাদের দরকার প্রবল সামাজিক আন্দোলন । কিন্ত এই আন্দোলন তৈরী করার প্ল্যাটফর্ম কই?



২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: “America has no permanent friends or enemies, only interests” -- Henry Kissinger
এই উক্তি যে কোনো ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য -- সেটা ভারত, চীন, রাশিয়া, আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র যেটাই হোক। বৃহৎ রাষ্ট্র সবসময়ই প্রতিবেশি অপেক্ষাকৃত ছোট রাষ্ট্রসমুহকে চাপে রাখে, নজরদারী এবং নিজস্ব বলয়ের মধ্যে কুক্ষিগত রাখার চেষ্টা করে। আজকে চীন যতই আমাদের বন্ধুর ভাব ধরুক না কেন, তার বলয়ের মধ্যে আমাদের আনতে পারলে প্রভুর রুদ্রমুর্তি ধরবে। আমাদের চৈনিক বন্ধুরা কতোখানি নৃসংশ হতে পারে তৃতীয় বিশ্বের যে সব দেশে চৈনিক বিনিয়োগ/কোম্পানী/কর্মকান্ড আছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে পরিস্কার।

১। চায়নার ব্যাপার হচ্ছে সে অন্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলায় না, সমস্যায় না পড়লে অন্য দেশের ভিতর হামলা করে না। সে শুধু নিজের আর্থিক ইন্টারেস্ট দেখে, আর্থিক অবকাঠামোর ইন্টারেস্ট দেখে।

২। ভারতের ব্যাপার হচ্ছে- সে গাছের টা খাবে, তলার টা কুড়াবে। সিজিন শেষ হলে সে গাছ কেটে দিবে। আপনি কিছু বলার চেষ্টা করলে কাঠ নিয়ে যাবে। আবার আপনি যদি প্রতিবাদ করে বসেন তাইলে সে বলবে জমিও তার।

এখন কথা হচ্ছে, আমি যখন জানি তার সাথে গায়ে পারবো না, আমি তার সাথে নেগোসিয়েশান করার জন্য জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দুরদর্শিতা এবং কৌশল অবলম্বন করবো। বাংলাদেশের কোন সরকারই ভারতকে শত্রু জ্ঞান করেনি, সেভেন সিস্টার্স নিয়ে টুকটাক সমস্যা ছিল। সেটা আমি মনে করি সব সরকারই তাদের হেল্প করেছে, বলতে পারেন বিএনপি চাপে পড়ে, আওয়ামীলীগ বাধ্য হয়ে। কিন্তু সত্য হচ্ছে বাংলাদেশের সবাই ভারতকে হেল্প করেছে। বিএনপি আমলে অনুপ চেটিয়া, পরেশ বড়ুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ এসে তাদের হস্তান্তর করেছে।

কিন্তু দেখেন ভারত বাংলাদেশকে শুষ্ক মৌশুমে পানি দেয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। তিস্তায় পানি শতভাগ বন্ধ করে দিয়েছে। গনাগায় চুক্তি থাকার পরেও ৩১ হাজার কিউসেকের পরিবর্তে ৫ হাজারেরো কম পানি দিচ্ছে। এইদকে শিরে ধীরে গেইট না খুলে এক সাথে সব গেইট খুলে হাজার কোটি অবকাঠামো এবং ফসলের ক্ষতি করছে।

এভাবে কি সম্পর্ক হয়?

তাই বলছি, আরেকবার তাদের সমর্থন দিবার আগে বুঝা পড়া করে নিবেন প্লিজ। তাদের সমর্থন দিতে আমাদের সমস্যা নাই। শুধু ন্যায্য অধিকার ফিরে চাই। মর্যাদা চাই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ চাই। পানির অধিকার চাই।

১৫| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৯

হাবিব ইমরান বলেছেন:

পোস্টে ভারতের চতুর্মুখী সমস্যা এবং বাংলাদেশের অসহনীয় বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

বর্তমান সময়ে ভারত-চীন, ভারত-নেপাল সমস্যাটা একদিকে বলা যায় খুবই সাধারণ, আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব (যদিও তার কোন সম্ভাবনা দেখছিনা)। অন্যদিকে খুবই ভয়াবহ, ভারত-চীন, ভারত-নেপাল সমস্যা নিয়ে ভারত একটু ভুল করলেই ভারতের মানচিত্রের হিসেব পুরোপুরি বদলে যেতে পারে। তাই ভারতকে কোনভাবেই বাড়াবাড়ি করলে চলবে না। ভারতের সাথে মিত্র বাংলাদেশের কপালেও মারাত্মক খারাবি আছে। এতে সন্দেহ নেই, ভারত-চীন চূড়ান্ত বাড়াবাড়ির ফলে কোনভাবেই যুদ্ধের প্রয়োজন পড়লেই তাতে বাংলাদেশ অবশ্যই ভারতের পক্ষেই অবস্থান নিবে তা হলফ করেই বলা যায়। আর তাতেই ভারতের সাথে সাথে বাংলাদেশও যুদ্ধের সাথে সরাসরি জড়িয়ে যাবে। এটা বাংলাদেশের জন্য আজীবন ‘ভিক্ষার ঝুড়ি’ হাতে নেয়ার একটা মাধ্যম হবে। চীন-নেপাল একই সময়ে সীমান্ত নিয়ে কাজ করাটা কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। নিউজে দেখলাম ভূটানের অংশেও চীনারা ডোকলাম নিয়ে উৎপাত শুরু করে দিয়েছে। এভাবে বেশিদিন চললে মোদি হয় পাগল হয়ে রাস্তায় ঘুরবে, আর না হয় রাষ্ট্র ছেড়ে পালাবে, টেনশনে।

ভারতের অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতাকামীদের (ভারতের ভাষায়ঃ বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসী) নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিটি রাজ্যের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচা করতে হচ্ছে। ভারত অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে এমনিতেই সমস্যা আছে। ভারত অভ্যন্তরীণ সমস্যার দিকে দীর্ঘদিন নজর না দিলে অভ্যন্তরীণভাবে তাদের ভৌগোলিক কাঠামো ভেঙ্গে যেতে পারে। যেসব রাজ্য স্বাধীনতার জন্য ঘাপটি মেরে আছে, তারা যে সুযোগ বুঝে কাজ করবেনা সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।

তাই চীন যুদ্ধের দিকে যেতে চাইলেও ভারত আপাতত সে পথে যাবে না। তিন দিকের তিন শেয়ালের উৎপাতে ভারতের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠবে। ভারত তা স্পষ্ট বুঝতে পারছে। যদি কখনো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরিও হয়, তাহলে লেজে লেজে গিট্টু লেগে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও শুরু হতে পারে। কারণ চীনের শত্রু আমেরিকা, আমেরিকার বন্ধু ভারত। আমেরিকার কোন বন্ধুর সাথে চীনের সমস্যা হলে আমেরিকা বসে থাকবে বলে মনে হয় না।

মোটামুটি বলা যায়, একভাবে চিন্তা করলে ভারত-চীন সমস্যা খুবই সাধারণ সমস্যা। দুপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান সম্ভব। অন্যভাবে বলা যায়, এটার মতো দুর্বোধ্য সমস্যা আর হয় না। একটু ভুল হলেই বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র এদিক ওদিক হয়ে যাবে। মাঝখানে বাংলাদেশের হাতে ভিক্ষার থালা। ভারতও বাংলাদেশের বন্ধু, চীনও বাংলাদেশের বন্ধু, তাই লেজেগোবর করার জন্য বাংলাদেশের কিঞ্চিৎ ভূমিকা থাকবে।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমার কথা হইলো তারা যা করার করুক। কিন্তু যারা আমাদের কাছে টানতে আসবে, তার সাথে অতীতের বিষয় পুনঃ বুঝাপড়া তো আছেই বরং ভবিষ্যৎ ও ঠিক করে নেয়ার কৌশলে যাওয়া হোক।

১৬| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: লেখকের মন্তব্য- “কারো দোষ দেই না। নতুন শুরুর চিন্তা হোক। নিজেদের কথা বাদ দেই, আগামি প্রজন্মের কি কি সম্পদ, কি কি নিরাপত্তা হাতছাড়া করা হয়েছে তার পুনঃ আলোচনা শুরু হোক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের কতটুকু দায়বদ্ধ হওয়া দরকার তার পুনঃ পাঠ শুরু হোক।”
আমি একমত- খুব ভাল লাগলো মন্তব্যখানা।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৭| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৪

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: সামরিক-বেসামরিক কোন খাতেই ভারতের সাথে বৈরীতা সৃষ্টী করে আমাদের লাভ হবে না। চীন-ভারত উভয়ই আমাদের জন্য একইসাথে হুমকি এবং দরকারি। কোন একজনের সাথে বৈরীতায় আমাদের ক্ষতি বিনা লাভ হবে না। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবিদ্ধীর জন্য চৈনিক ইনভেস্টমেন্ট যেমন দরকার আছে তেমনি ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভারতের প্রয়োজনীয়তা অগ্রায্য করা অকল্পনীয়। চীনের উপর অর্থনীতি-অবকাঠামো ব্যতীত আর কোন সেক্টরে আমাদের দীর্ঘকাল নির্ভর করা যায় না। সুতরাং ভারত আমাদের সাথেই থাকুক। কিন্তু দাদাগিরি টা কমিয়ে করুক, এই একটাই চাওয়া।

মোদির ক্রমশ খামখেয়ালী পনায়- ভারত তার প্রতিবেশীদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেই সুযোগটি কম থাকায় তারা বাংলাদেশকেও হাতছাড়া করতে চাইবে না। আমাদের শুধু এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে হবে। সুযোগের সৎ ব্যবহারটা করতে হবে। ভুলগুলো সুধরে নিতে হবে।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: +++++++

অনেক ভালো বলেছেন।
এর পর বলার কিছুই থাকে না।

১৮| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: গতকাল খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চায়-এ অধ্যাপক আসিফ নজরুল যেমনটা বলেছেন এবং ভারতীয় আলোচক অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য খানিকটা মেনে নিয়েছেন যে- 'ভারত প্রতিবেশি দেশের জনগণকে নয়, শাসকবৃন্দকে কাছে টানতে চেয়েছে এবং তার পরিণাম কি হয় সেটা নেপালে দেখা যাচ্ছে' বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করলেই পরিষ্কার হবে বাংলাদেশের স্ট্যান্ডপয়েন্ট কি হওযা উচিৎ আর কি হবে।

তবে এক নম্বর মন্তব্যে যে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে, সে প্রেক্ষিতে আলোচনা খুব বেশি মাল্টি ডাইমেনশনাল হবে না বলেই প্রতীয়মান হয়।

১৯| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আরেকটা বিষয়, আমাদের কুটনীতি মোটামুটিভাবে ব্যর্থ কুটনীতি। কুটনৈতিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে 'আপার হ্যান্ড' থাকার কোনো পথই আমরা রাখিনি বা তৈরী করতে পারিনি। ফলে এই স্ট্যাটাসকোতে বাংলাদেশের কৌশলগত ভূমিকাও অতিতের ভূমিকার বিপরীতে কিছু হবে না, আমরা যাই চাই না কেনো...

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাস্তবিক কথা!
তার পরেও নাগরিক চাপ থাকলেও পরে সরকার নড়েচরে বসবে।

উপরন্তু বাংলাদেশের নাগরিক সমাজে চাপ থাকলে ভারতও অনেক কিছু পুনঃ বিবেচনা করবে। যেমনটা তাকে করতে হয়েছে নেপালে। নেপালে রাজনীতিই শুধু নয়, পুরো নাগরিক সমাজ ভারতের বিপক্ষে সোচ্চার। ফলে নেপাল ভারতে ফাংশন করতে পারছে না একেবারেই।

বাংলাদেশের সরকারের নেগোসিয়েশান পাওয়ার বাড়াতে নাগরিক চাপ ও ইস্যু ভিত্তিক নাগরিক আন্দোলন দরকার। সরকার বুঝদার হলে নিজেই এই কৌশলগত আন্দোলন জারি রাখতো। কিন্তু সে তো ভয় পায়। সামাজিক আন্দোলন আর রাজনৈতিক আন্দোলনের পার্থক্য সে করতে পারে না। মনে করে সব সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ পাবে। অবৈধ ভাবে রাতের ভোটের আয়োজন করলে যা হয়।

এখন দরকার ধীরে ধীর এইসব অবস্থান থেকে সরে এসে আত্মো উপ্লভদ্ধির পথ উন্মুক্ত করা।

২০| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটা ভারত নেপালের নিজস্ব সীমান্ত সমস্যা, রিসেন্টলি ভারত চীনের সীমান্ত সংঘাত হয়েছে। কিন্তু
এ নিয়ে এদেশী পাকিস্তান পন্থিরা লাফালাফি করছে কেন?
বাংলাদেশের সাথে ভারতের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সমস্যা 'চীন ভারত সীমান্ত সংঘাতের' সাথে মিলালে তালগোল পাকাবে। কাজের কিছুই হবেনা, শুধু বাংপাকিরা লাফাবে।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের বিমাতাসুলভ রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সমস্যা ভিন্ন পোষ্টে আলোচনা হওয়া উচিত।

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ‘লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোল’ (এলএসি) এর ভারতীয় অংশে বা নোম্যানস ল্যান্ডে চীনের সেনারা একটি কাঠামো নির্মাণের চেষ্টা চালানোর কারণে সহিংসতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
আমেরিকান পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট চিত্রেও এমনটা দেখা গেছে।

যদিও পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা এলএসি’র সীমানা ভালভাবে নির্দেশ করা নেই। উপরন্তু সেখানে নদী, হ্রদ এবং বরফে ঢাকা পর্বতের কারণে এর হেরফেরও ঘটে। ফলে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বার বার ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে।

এটা মোটেই যুদ্ধ ছিল না, আর গণপিটুনিতে উভয় পক্ষের ৫০ জন মানুষ মরার কথা না। নিজেদের সৈনিককে পিটিয়ে মারছে দেখলে যেকেউ গুলি করতো। যেহেতু গোলাগুলি হয় নি, অবস্যই অন্য কিছু হয়েছে। মিলিটারি সিক্রেটের কারনে প্রকৃত সত্য জানা যাচ্ছে না। আমার মনে হয় এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল।

কল্পনা করা যাক -
ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসলে বাকবিতন্ডা হট্টগোলের একটি পর্যায়ে ভারতীয় সেনা বোঝাই একটি ট্রাক পাহাড় থেকে নদিতে পড়ে যায়, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভারতীয় সৈনিকরা লাঠিসোটা নিয়ে চীনের সেনাদের ধাওয়া করে নদিতে ফেলে দেয় বা নদিতে পড়ে যায়। এটাই সত্যের কাছাকাছি হওয়ার সম্ভাবনা। কারন ভারতীয় পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল বেশিরভাগ লাশই খরশ্রোতা নদীর ভাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
কিন্তু আনন্দবাজার প্রথমআলোরা 'পাঠক হিট' বাড়ানোর জন্য মনগড়া লিখছে।


আমেরিকান পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট চিত্র

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হাসান ভাই,
ভারত ১০ বছরে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। এটা সংসদে প্রকাশিত সরকারি রিপোর্ট। বেসরকারি হিসেবে এটা প্রায় পৌনে এক হাজারের কাছাকাছি। পৃথিবীর অন্য কোন সীমান্ত এমনকি ইজ্রায়েল-ফিলিস্তিন সীমান্তরও এতটা রক্তাক্ত নয়।

এর বাইরেও ভারত গুম অপহরণ চুরি সহ প্রায় সাড়ে চার হাজার সীমান্ত অপরাধ করেছে।

কেন লাফায় তার উত্তর এর মধ্যে আছে। আপনাকে খুঁজে নিতে হবে। খুজলে আমি আপনাকে হেল্প করতে পারবো না।

তবে, আমার মূল বক্ততব্য ২য় চ্যাপ্টারে। দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনার আর্থিক ক্ষতি এবং জাতীয় সম্পদের কৌশলগত নিরাপত্তার দিক থেকে ১৫টি সুস্পষ্ট পয়েন্ট দিয়েছি। প্রতিটি পয়েন্টে আপনার বক্তব্য পেলে ভালো হত।

২১| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: তবে জবাবদিহীতা করা উচিত - কেন আমরা অপরিশোধীত ডিজেল কিনব? কেন আমাদের নিজেদের সক্ষমতা রেখে অন্যদেশের বিদ্যুৎ কিনব? আপনি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবেন - সরকার কোন যুক্তিতে দেশের এতগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে বসিয়ে রেখেছে?
এইসব প্রশ্ন নিয়ে নিউজ দেয়ার জন্য কয়েকটা নিউজ পেপার, টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এক সাংবাদিক দম্পত্তির খুন বিচার আজো হয় নি।
এইদেশে মিডিয়া অনেক আগেই মুখু কুলুপ এটেছে বাঁচার জন্য। ডিজিটাল আইন এর কারণে সবাই এই বিষয়ে কথাও বলতে চাইবে না।
দেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া কী সেটা এক প্রাক্তন নেতার করোনাতে আক্রান্ত হবার নিউজেই বুঝা গিয়েছিল।
নব্য বাকশালী শাষনকালে এই সব পোস্টের কোন মানে হয় না। কেউ মুখ খুলে কিছুই বলবে না।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব দুঃখ জনক।
মিডীয়ার উপর চাপ আছে সত্য। তবে কেউ কেউ বাৎসরিক ১৬ থেকে ২০ কোটি চাঁদা পাওয়ার ভাগ সামলাতে না পেরে সেলফ সেন্সরশীপও করে। আর সাংবাদিকদের কেউ কেউ নিজেদের শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামীলীগ মনে করে।

ফলে প্রশ্নগুলো আলোচনা নেই।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার খুব বেশি হচ্ছে এই করোনায়, এই কাল সাপ সাংবাদিকদেরও খেতে শুরু করেছেন।

নতুন শুরু না হলে কেউ রক্ষা পাবে না। দেশও।

চারদিকে শুভবধের জাগরণ হোক।

২২| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন আলোচনায় ধন্যবাদ।

কাকে বলবেন? যে বোঝে না তাকে বোঝানো যায়, যে বুঝে শুনে আত্মঘাতি হয় তাকে কে ঠেকাবে?

কারো সাথে শত্রুতা নয় সকলের সাথে বন্ধুত্ব শুধু বলাতেই, মানাতে নয়।
তাইতো মধ্যরাতের ভোটডাকাতির অনির্বাচিত সরকার সকল লাজ লজ্বা, ণীতি নৈতিকতার মাথা খেয়ে
দেশ, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সব ওরস্যালাইন বানিয়ে - আমার মাথা নত করে দা্ও হে ’ নীতিতেই সব দুয়ার খুলে দিয়েছে!

আপনার উল্লেখিত প্রতিটি বিষয়ে দেশবাসীর মতামত কিন্তু সরকারের অনুকুলে নয়।
ত্যাক্ত- বিরক্ত! কিন্তু স্বৈরাচারিতার মাৎসানায়ে শশ্মান নিরবতায় আমজনতা।
আজ নেপাল যেভাবে মেরুদন্ড সোজা করে চোখে চোখ রেখে কথা বলছে- বাংলাদেশ তো বলতেই পারবে না।
কারণ বাধ্য স্ত্রীরা স্বামীর চোখে চোখ রেখে কথা কয়না ;)

আপনার শেষ কথাতেই প্রকৃত সঠিক পথ পাবে বাংলাদেশ
কোন ব্লকে মাথা ঢুকিয়ে না দিয়ে, আত্মমর্যাদা, আর দারুন কুশলী কুটণীতির মাধ্যমে
বাংলাদেশ পন্থী হয়ে উইন উইন সিচুয়েশনে দাড়িয়ে থাকাই উত্তম হবে।







২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কোন ব্লকে মাথা ঢুকিয়ে না দিয়ে, আত্মমর্যাদা, আর দারুন কুশলী কুটণীতির মাধ্যমে
বাংলাদেশ পন্থী হয়ে উইন উইন সিচুয়েশনে দাড়িয়ে থাকাই উত্তম হবে।

২৩| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন দাওয়াতে শেষের দিকে আসলে যা হয়, গরম খাবার জোটে না; অলমোস্ট উচ্ছিস্টই জোটে। এখানেও অনেকটা তাই হয়েছে। আমার চিন্তা-ভাবনাগুলো কেউ না কেউ বলে দিয়েছেন, আমার জন্য কিছুই রাখেন নাই। আমার পরে যে বা যারা আসবেন, তাদেরও একই অবস্থা হবে! :(

তারপরেও কিছু বলি। আমাদের মূল সমস্যা হলো, পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা। এটা বর্তমান এবং পূর্বের সব সরকারের জন্যই প্রযোজ্য। ৫১ বছর আগে ভারত আমাদের স্বাধীনতাপ্রাপ্তিতে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিল, এটা যেমন সত্যি; তেমনি এটাও সত্যি যে, এটা নিঃস্বার্থ সাহায্য ছিল না। সেটা অন্য বিতর্ক। তবে কথা হলো, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ৫১ বছরের মতো দীর্ঘ সময় আগের কথা কেউ তেমন করে মনে রাখে না। দেশের স্বার্থে, জনগনের স্বার্থে এই মেরুকরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। সেজন্যেই জাপানে আমেরিকা লক্ষ লক্ষ সাধারন জনগন মারার পরেও আজ আমেরিকা জাপানের সবচেয়ে বড় মিত্র। ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর পরাজয়ের পরেও এরাই আজ আমেরিকার মিত্র, ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ন সদস্য। এমন বহু বহু উদাহরন দেয়া যায়। অথচ এই স্বাধীনতার ধুয়া তুলে আজও ভারত আমাদেরকে শোষণ করছে, আর আমাদের সরকারও এটার জন্য কোন উচ্চবাচ্চ্য করছে না। এটাকেই বলা হয়, নতজানু পররাস্ট্রনীতি।

বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, ভারত আর চীন কোনটাই সুবিধার না। ইংরেজীতে একটা কথা আছে, বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্স্ট। আমাদের দেশের জন্য এটা হলো চীন।

সরকারের নীতিতে যে কোনও পরিবর্তন আনার জন্য এক টার্ম যথেষ্ট না। এই সুযোগ বিএনপি পেয়েছিল, বেকুবীর কারনে কিছুই করতে পারে নাই। এরশাদ পেয়েছিল, রোমান্টিকতা করতে গিয়ে অন্যদিকে তেমন একটা নজর দিতে পারে নাই। এখন আওয়ামী লীগ কি করছে, তা এই পোষ্টেই আছে। চিত্রটা আসলেই ভয়াবহ। এভাবে সবকিছু কোন স্বাধীন দেশের সরকার খুলে দিতে পারে, আমার জানা নাই। তবে, এই চিত্রের পরিবর্তন আনতে এখন আওয়ামী লীগই পারে। তারা কি সেটা করবে? চীন ইতোমধ্যে কয়েক পা এগিয়েছে, ৯৭% শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে। শুল্কমুক্ত পন্যের সংখ্যা ৩,০৯৫ থেকে ৮,২৫৬তে উন্নীত করে, যেটা ভারত আজ অবধি করে নাই। চীনের বিশাল বিনিয়োগ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সরকার এটাকে ক্যাশ করে নতুন সম্পর্কের দিগন্ত প্রসারিত করতে পারবে? এখানেই সঠিক পররাষ্ট্রনীতি প্রয়োগের প্রশ্ন…...প্রফেশনালিজমের প্রশ্ন!

আমার এখানেও ভারতীয়দের চাল-চলন অসহ্য রকমের বড়ভাইসুলভ। যখনই শোনে আমি বাংলাদেশের, তাদের কথাবার্তার সুরই পাল্টে যায়। অনেকে হিন্দিতে কথা বলা শুরু করে। যখন বলি, আমি হিন্দি বলতে বা বুঝতে পারি না; এমনভাবে তাকায় যেন আমি একটা ক্রিমিন্যাল, কোন ফৌজদারী অপরাধ করে ফেলেছি হিন্দি বলতে আর বুঝতে না পারার কারনে। এই অবস্থার জন্য আমাদের সরকারই দায়ী। এটা থেকে বের হবার রাস্তাও উনাদেরকেই বের করতে হবে। বেটার লেইট দ্যান নেভার!!! X(

আসলে লিখতে গেলে অনেক কিছুই চলে আসে। একটা সম্পূর্ণ পোষ্ট লিখলেও বলা শেষ হবে না। তাই এখানেই থামছি।

আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটা পোষ্ট দেয়ার জন্যে। :)

২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সরকারের নীতিতে যে কোনও পরিবর্তন আনার জন্য এক টার্ম যথেষ্ট না। এই সুযোগ বিএনপি পেয়েছিল, বেকুবীর কারনে কিছুই করতে পারে নাই। এরশাদ পেয়েছিল, রোমান্টিকতা করতে গিয়ে অন্যদিকে তেমন একটা নজর দিতে পারে নাই। এখন আওয়ামী লীগ কি করছে, তা এই পোষ্টেই আছে। চিত্রটা আসলেই ভয়াবহ। এভাবে সবকিছু কোন স্বাধীন দেশের সরকার খুলে দিতে পারে, আমার জানা নাই। তবে, এই চিত্রের পরিবর্তন আনতে এখন আওয়ামী লীগই পারে। তারা কি সেটা করবে? চীন ইতোমধ্যে কয়েক পা এগিয়েছে, ৯৭% শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে। শুল্কমুক্ত পন্যের সংখ্যা ৩,০৯৫ থেকে ৮,২৫৬তে উন্নীত করে, যেটা ভারত আজ অবধি করে নাই। চীনের বিশাল বিনিয়োগ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সরকার এটাকে ক্যাশ করে নতুন সম্পর্কের দিগন্ত প্রসারিত করতে পারবে? এখানেই সঠিক পররাষ্ট্রনীতি প্রয়োগের প্রশ্ন…...প্রফেশনালিজমের প্রশ্ন!

আমার এখানেও ভারতীয়দের চাল-চলন অসহ্য রকমের বড়ভাইসুলভ। যখনই শোনে আমি বাংলাদেশের, তাদের কথাবার্তার সুরই পাল্টে যায়। অনেকে হিন্দিতে কথা বলা শুরু করে। যখন বলি, আমি হিন্দি বলতে বা বুঝতে পারি না; এমনভাবে তাকায় যেন আমি একটা ক্রিমিন্যাল, কোন ফৌজদারী অপরাধ করে ফেলেছি হিন্দি বলতে আর বুঝতে না পারার কারনে। এই অবস্থার জন্য আমাদের সরকারই দায়ী। এটা থেকে বের হবার রাস্তাও উনাদেরকেই বের করতে হবে। বেটার লেইট দ্যান নেভার!!!


খুব সুন্দর করে বলেছেন। ব্যক্তিগত আচরণের বিষয়ে মন্তব্য করবো না। যেমনটা আপনি বলছিলেন,

"সঠিক পররাষ্ট্রনীতি প্রয়োগের প্রশ্ন…...প্রফেশনালিজমের প্রশ্ন" এটাই মহা গুরুত্বপূর্ণ।

২৪| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

জুন বলেছেন: এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক হিসাব নিকাশ করে পা ফেলতে হবে যাতে সাপও না মরে লাঠিও না ভানংগে। দুজনার কেউই তেমন নয় যার উপরে সব কিছু ছেড়ে নির্ভার হয়ে থাকা যায়। ভারত যা করছে তাতো সবাই জানে, চীন নিজ উদ্দেশ্য স্বাধনে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে টু শব্দটিও করছেনা। সুতরাং এর মাঝ থেকে নিজেদের স্বার্থ যতটুকু আদায় করে নেয়া যায় এই আরকি।

বেশি লিখলাম না পাছে করুনাধারার মত অবস্থা হয় নিরুদ্দেশ। থাকেন কই বেশিরভাগ সময় নিরুদ্দেশ হয়ে :-*

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপু, এটা ঠিক যে আমি অনিয়মিত। তবে ব্লগ আমি ভালোবাসি। এখানে গঠন মূলক আলোচনার সুযোগ বেশি, শিখার সুযোগ বেশি। মন্তব্য গুলো গভীর।

আপনার সাথে সহমত যে-
বাংলাদেশকে অনেক হিসাব নিকাশ করে পা ফেলতে হবে যাতে সাপও না মরে লাঠিও না ভানংগে। দুজনার কেউই তেমন নয় যার উপরে সব কিছু ছেড়ে নির্ভার হয়ে থাকা যায়। ভারত যা করছে তাতো সবাই জানে, চীন নিজ উদ্দেশ্য স্বাধনে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে টু শব্দটিও করছেনা। সুতরাং এর মাঝ থেকে নিজেদের স্বার্থ যতটুকু আদায় করে নেয়া যায় এই আরকি।

যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন একটা ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করা সহ আমাদের অর্থনৈতিক শক্তি গুলোকে, পটেনশিয়াল গুলোকে সুরক্ষা দেয়া দরকার, এবং কৌশলগত অবকাঠামো গুলোকে এগিয়ে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুঃখিত, আপনার মন্তব্যের বিপরীতে আমার উত্তরটা মিস প্লেইস হয়ে গেছিল।

২৫| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২০

জেন রসি বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

তবে ২০১৪ সালের পরেই যে শুধু ভারতের উপর আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমনটা নয়। সেটা সবসময়ই ছিল। এবং যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে সে দলই কোন না কোন ভাবে ভারত কি চায় তার উপর নির্ভরশীল ছিল। এটা একটা দিক। আরেকটা দিক হচ্ছে কেউ কেউ ভারতের বদলে পাকিস্তানকেও রিপ্লেস করতে চেয়েছে। অর্থাৎ ভারত পাকিস্তান দুদেশের গোয়েন্দা বাহিনীই সক্রিয় এদেশে। অন্য দেশের কথা আপাতত বাদ দিলাম। এখান থেকে মূল যে সমস্যাটা দেখা যায় তা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আসলে কি চায়? রাষ্ট্র নিয়ে তাদের কি কোন ভাবনা আছে? নাকি যেভাবেই হোক ক্ষমতায় যাওয়া বা টিকে থাকাটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য? যদি তাই হয় তবে এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষমতায় বসিয়ে কোন রকম গবেষণা, পর্যালোচনা, স্বদিচ্ছাই কাজ করবেনা। আমার মনে হয় আগে ঘর সাফ করেই উঠোনে যাওয়া ছাড়া আর কোন অপশন নেই এখন।

২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এখান থেকে মূল যে সমস্যাটা দেখা যায় তা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আসলে কি চায়? রাষ্ট্র নিয়ে তাদের কি কোন ভাবনা আছে? নাকি যেভাবেই হোক ক্ষমতায় যাওয়া বা টিকে থাকাটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য? যদি তাই হয় তবে এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষমতায় বসিয়ে কোন রকম গবেষণা, পর্যালোচনা, স্বদিচ্ছাই কাজ করবেনা।

সহমত।

২৬| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৪

আল ইফরান বলেছেন: এই মুহুর্তে আমাদের জাতীয় রাজনীতির জন্য গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ে লিখেছেন, ফয়েজ ভাই।
মোবাইলে পড়া শেষ করে পিসিতে লগইন করলাম মন্তব্য করা ও পড়ার জন্য।
আমার কিছু অবজার্ভেশান আছেঃ

১। দূর্ভাগ্যজনক কারনে আমাদের দেশে দলীয় নীতি ও পররাস্ট্র নীতির মধ্যে কোন দেয়াল টেনে দেয়া যায় নি। যার দায় আমাদের সামনের দিনগুলোতে বহন করতে হবে। উন্নত বিশ্বে রাস্ট্রীয় নীতি দলীয় নীতি অথবা দলীয় নৈতিকতার কম্পাসের উপর নির্ভরশীল নয়। এর একটা কারন হতে পারে আমাদের এখানে চেক এন্ড ব্যালান্সের কোন অপশন সাংবিধানিকভাবে রাখা হয় নি।

২। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি জোট নিরপেক্ষ পররাস্ট্র নীতি থেকে ঘোষণা দিয়ে সরে আসার সময় আমাদের অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। কয়েক দশকের নতজানু পররাস্ট্র নীতির কারনে এখন নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্যারিয়ার ডিপ্লোমেট হওয়ার দক্ষতা, আগ্রহ এবং ইচ্ছে- সবকিছুতেই ভাটা পড়েছে (বিগত কয়েক ব্যাচের অফিসারদের সাথে প্রপার কমিউনিকেশন হলে এটা আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে)। অধিকন্তু মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে জুটেছে পুলিশ আর সামরিক কর্তাদের দুতাবাসে পোস্টিং।

৩। ভারতের সাথে কৌশলগত অনেকগুলো ইস্যু আমরা এমনি এমনি ছেড়ে দিয়েছি যেগুলোর একটা বড় তালিকা আপনি দিয়েছেন। কিন্তু আরো কিছু বিষয় যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ, কিন্তু আমাদের সারভাইভালের জন্য ক্রিটিক্যাল ছিল, তা বিনা বাক্যব্যয়ে ক্ষমতার খুদ-কুড়ার বিনিময়ে হ্যান্ডওভার করে দেয়া হয়েছে। এতটুকুই বলি যে শিলিগুড়ি করিডোর হচ্ছে পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকটা হেভিলি মিলিটারি ফর্টিফাইড এরিয়ার একটা।

৪। আর সিটিজেনদের এখন কোন রোল প্লে করার সুযোগ আর নেই বলেই আমার ধারনা, ম্যাস আপরাইজিং ছাড়া। হ্যান্স কেলসেনের ডকট্রিন অফ নেসেসিটি এখানে আবার চলে আসবে। সেইদিকে আর না যাই, তবে আমজনতার লিগ্যাল পার্টিসিপেশানের রাস্তা গণভোট এখন আর সংবিধানে নেই। যেহেতু আমার ভোটের অধিকার (এবং টু সার্টেন এক্সটেন্ট, কথা বলার অধিকারও) নেই, সেহেতু সেইখানে সিটিজেন প্রেসার তৈরি করার মানে রাস্ট্রদ্রোহিতার দায় মেনে নিয়ে মাঠে নামা।

২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। দূর্ভাগ্যজনক কারনে আমাদের দেশে দলীয় নীতি ও পররাস্ট্র নীতির মধ্যে কোন দেয়াল টেনে দেয়া যায় নি।
২। কয়েক দশকের নতজানু পররাস্ট্র নীতির কারনে এখন নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্যারিয়ার ডিপ্লোমেট হওয়ার দক্ষতা, আগ্রহ এবং ইচ্ছে- সবকিছুতেই ভাটা পড়েছে।
৩। আরো কিছু বিষয় যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ, কিন্তু আমাদের সারভাইভালের জন্য ক্রিটিক্যাল ছিল, তা বিনা বাক্যব্যয়ে ক্ষমতার খুদ-কুড়ার বিনিময়ে হ্যান্ডওভার করে দেয়া হয়েছে। এতটুকুই বলি যে শিলিগুড়ি করিডোর হচ্ছে পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকটা হেভিলি মিলিটারি ফর্টিফাইড এরিয়ার একটা।
৪। আমজনতার লিগ্যাল পার্টিসিপেশানের রাস্তা গণভোট এখন আর সংবিধানে নেই। সিটিজেন প্রেসার তৈরি করার মানে রাস্ট্রদ্রোহিতার দায় মেনে নিয়ে মাঠে নামা।

অতি গুরুত্বপুর্ন সামারি। বিন্দুমাত্র দ্বিমত করার সুযোগ নেই।
তারপরেও পথ বের করতেই হবে।

২৭| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক,




অফলাইনে পড়েছিলুম, এখন মন্তব্য করছি।
যে চিত্রটা তুলে ধরেছেন আসলেই তা ভয়াবহ।
সরকারের নীতিতে যে কোনও পরিবর্তন আনার জন্য এক টার্ম যথেষ্ট না। এই সুযোগ বিএনপি পেয়েছিল, বেকুবীর কারনে কিছুই করতে পারে নাই। এরশাদ পেয়েছিল, রোমান্টিকতা করতে গিয়ে অন্যদিকে তেমন একটা নজর দিতে পারে নাই। এখন আওয়ামী লীগ কি করছে, তা এই পোষ্টেই আছে।
আসলে, যে নীতিবোধটুকু থাকলে একটি রাষ্ট্রযন্ত্রের চালকেরা সাবধানে থেকে মেরুদন্ড সোজা করে গাড়ীর ষ্টিয়ারিং ঘোরাবেন তা এদেশে অনুপস্থিত। কারন লাইসেন্স নিয়ে প্রশিক্ষিত চালক এরা কেউই নন। গরুছাগল চিনলেই যথেষ্ট।

তাই -

অতীত বর্তমান মিলিয়ে সব পরিবেশেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে নীতিবান সৎ মানুষের কার্যকর ভূমিকা পালনের সুযোগ নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতায় প্রভাবশালী, দূর্নীতিবাজ প্রার্থীকেই নির্বাচনে জয়ী হতে দেখা যায় এমনকি অবাধ নির্বাচন হলেও।’ আর একারনেই গত ত্রিশ পয়ত্রিশ বছর ধরে রাষ্ট্র এবং সামাজিক পরিমন্ডলের প্রতিটি স্তরে যে “আতঙ্কিত” হবার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রেণী স্বার্থে যাতে করে ‘ ফর মি ’ র গণতন্ত্রে পৌঁছানোর প্রতিটি পথ কায়েমী ভাবে নিরঙ্কুশ হয়। এতে যে ‘গেল গেল’ রব ওঠেনা, তা নয়। তবে তারা বেঁচে যায় একটি খুটির জোরে। সে খুটিটিই হলো ‘ভোট’। এবং এই জোরেই শোষন নিপীড়নের যাবতীয় হাতিয়ার ও সংগঠনের তারাই একমাত্র নিয়ন্ত্রক হয়। সেটিই তাদের রক্ষা কবচ। এবং এভাবেই তারা সেক্ষেত্রে রক্ষা পায় আর যতোদিন সম্ভব ক্ষমতার গদি আঁকড়ে রাখে। এরকম (যা আমরা এতোদিন দেখে এসেছি) চিরস্থায়ী একটি কায়েমী সুবিধা বজায় রাখতে শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তাকে তো পাশ করতেই হবে। সে কারনে জনগণের দোহাই দিয়ে একটি আবহাওয়া তৈরীর মধ্যে দিয়েই তারা নেমে পড়েন ভোট যুদ্ধে। আর আমরা জনগণই সে ভোট যুদ্ধের আয়োজক এবং অংশগ্রহনকারী। নিজের পায়ে কুড়াল মারার এমন নজির আর দ্বিতীয়টি নেই।

দূরদর্শীতা আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবিহীন লোকগুলোকে এই যে এভাবেই লাইসেন্সটি আমরা দিয়ে দিয়েছি তা আজীবন কুক্ষিগত করে রাখতে যা যা করার তারা তাই-ই করে থাকেন। আর এসব করতে গিয়ে তাদের কোনও হুশজ্ঞান থাকেনা। সবাই ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে ওঠেন ফলে সামগ্রিক চিন্তাভাবনা তাদের মাথায় ঠাঁই পায়না কখনও। "দেশাত্ববোধ" নয় এরা "নিজস্ববোধ" এর পুজারী হয়ে ওঠেন পৃথিবীর সব একদিকে ফেলে। নিজের গদী অক্ষত রাখতে নতজানু হতেও তাদের বাঁধেনা মেটেও।
যার কারনে আপনাকে এই এতো নির্মম সত্য কথা বলতে হলো।

আমাদেরই অজান্তে, আমাদেরই অজ্ঞতায়, আমাদেরই অসচেতনতায় -অবহেলায় সবকালেই মনে হয় আমরা তৈরী করেছি এক একটি মেরুদন্ডহীন রাষ্ট্র কাঠামো। এর থেকে পরিত্রান মিলবে কি ? মনে হয় না কারন, আপনি যখন নিজিকে বিকিয়ে দেন তখন আর পুনরায় নিজেকে ফিরতি কিনে নেয়ার ক্ষমতা আপনার থাকেনা।

২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমাদেরই অজান্তে, আমাদেরই অজ্ঞতায়, আমাদেরই অসচেতনতায় -অবহেলায় সবকালেই মনে হয় আমরা তৈরী করেছি এক একটি মেরুদন্ডহীন রাষ্ট্র কাঠামো। এর থেকে পরিত্রান মিলবে কি ?

আমাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। বিকিয়ে না দিয়ে। আমি আশাবাদী যে একদিন ফিনিক্স পাখির মত না জাগলেও অন্তত নেপালের মত হলেও জাগব, সব অচলায়তন ভেঙে।

২৮| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১০

প্রবালরক বলেছেন: পোষ্টে একজন দেশপ্রেমিকের মর্মস্পর্শ্বী আকুতির কথা জানা হল

ফরুদ্দীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা একবার বলেছিলেন – ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এমন এক উচ্চতায় আমি তৈরী করে দিয়ে যেতে চাই যে ভবিষ্যতে কারো পক্ষে সেখান থেকে যেন ফিরে আসা সম্ভব না হয়। তিনি তাঁর কথা রেখেছেন।

উপরের মন্তব্যসমুহ পড়ে আমার যা মনে হল –

সীমিত শক্তিসামর্থ্য আর দূর্বল চরিত্র নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয় বর্তমান ষ্টাটাস্কোতে উল্লেখযোগ্য কোন সুবিধা অর্জন করে নেয়া। চীনের ঘোষিত শুল্বমুক্ত পন্য রফতানীর সুবিধা গ্রহনে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত ও সমর্থ তা বোঝা যাবে অদুর ভবিষ্যতে। তেমন বড় কিছু আশা করা হয়ত যুক্তিযুক্ত হবে না।

বৈশ্বিক পুঁজি – চীনা পুঁজি থেকে যতই দান-অনুদান-লোন আসুক তারা সবসময় এদেশের কিছু ব্যাক্তি-গোষ্ঠীকে হাতে রাখবে। যারা লগ্নির স্বার্থ দেখেশুনে রাখবে। তারপর দেশীয় গোষ্ঠীর সাথে লাভের অন্ক ভাগ-বাটোয়ারা করে নেবে।

আমাদের নিজেদের পরিবর্তন প্রয়োজন সবার আগে।

রাজনীতি পূনর্গঠনের মাধ্যমে জনগনকে সম্পৃক্ত করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্ত ভিত্তির উপর গড়ে তুলে জবাবদিহিতা আদায় করা ছাড়া আমাদের সামনে মুক্তির আর পথ নাই।

কুটনৈতিক মোকাবেলায় যেমন দক্ষ জনবল দরকার তেমন আলোচনার টেবিলে তাদের একটা শক্ত ভিত্তিরও প্রয়োজন। সেরকম রিসোর্স যোগাতে বাংলাদেশ ব্যার্থ হয়েছে বার বার।

ভয় হয় কখন না আবার পার্বত্য এলাকায় অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যায়।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সীমিত শক্তিসামর্থ্য আর দূর্বল চরিত্র নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয় বর্তমান ষ্টাটাস্কোতে উল্লেখযোগ্য কোন সুবিধা অর্জন করে নেয়া। চীনের ঘোষিত শুল্বমুক্ত পন্য রফতানীর সুবিধা গ্রহনে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত ও সমর্থ তা বোঝা যাবে অদুর ভবিষ্যতে। তেমন বড় কিছু আশা করা হয়ত যুক্তিযুক্ত হবে না। বৈশ্বিক পুঁজি – চীনা পুঁজি থেকে যতই দান-অনুদান-লোন আসুক তারা সবসময় এদেশের কিছু ব্যাক্তি-গোষ্ঠীকে হাতে রাখবে। যারা লগ্নির স্বার্থ দেখেশুনে রাখবে। তারপর দেশীয় গোষ্ঠীর সাথে লাভের অন্ক ভাগ-বাটোয়ারা করে নেবে।

আমাদের নিজেদের পরিবর্তন প্রয়োজন সবার আগে।

রাজনীতি পূনর্গঠনের মাধ্যমে জনগনকে সম্পৃক্ত করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্ত ভিত্তির উপর গড়ে তুলে জবাবদিহিতা আদায় করা ছাড়া আমাদের সামনে মুক্তির আর পথ নাই।কুটনৈতিক মোকাবেলায় যেমন দক্ষ জনবল দরকার তেমন আলোচনার টেবিলে তাদের একটা শক্ত ভিত্তিরও প্রয়োজন। সেরকম রিসোর্স যোগাতে বাংলাদেশ ব্যার্থ হয়েছে বার বার

ভালো বলেছেন।

২৯| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৬

ঊণকৌটী বলেছেন: অনেক মন্ত্যব্য এর মাজে একটাই কথা যে কারাকোরাম পাসে যাবার জন্য মানে নিচের অংশে যে খন দিয়ে চীন পাকির bussiness করিডর, সে জায়গাটা নিয়ে বিরোদ সেটা কিন্তু ইন্ডিয়ার 3 বাহেনি উপস্তিতি তে জোর কদমে কাজ প্রায় শেষ হবার পথে।

৩০| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রতিবেশীর সবকিছুই বেশি, ঘেঁষাঘেষিও বেশি রেশারেশিও বেশি। ভারতের সাথে আমাদের কিছু ইনসাফের সমস্যা আছে। অভিন্ন নদীগুলোর উজানে বাঁধ, সীমান্ত হত্যা, আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অতিরিক্ত নাক গালানো, উন্নাসিকতা ইত্যাদির সাথে বর্তমানে এনআরসি ইস্যুটাও যোগ হয়েছে বলা যায়। ইজরায়েলের পর ভারতকে একমাত্র দেশ বলা যায় যার কোন প্রতিবেশীর সাথেই সম্পর্ক ভালো নয়। চাণক্য চলে গেছেন এরপর রাজনীতিতে অনেকে অনেক চাণক্য এসেছেন বিশ্বায়নের যুগে রাজনীতি পরিবর্তিত হয়েছে নানারূপে. কিন্তু ভারত মধ্য যুগ থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। বিশ্ববাজারে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই। বাংলাদেশকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে অনেক ভেবে। উনুন থেকে চুল্লিতে পড়ে না যায় আবার! কিন্তু সমস্যা হল গরিবের বউ সবার ভাবী! সুতরাং এসব আলোচনা একান্তই স্ট্রেস রিলিফ ছাড়া কিছু না! দাদাদের যার শক্তি সামর্থ বেশি তার হুকুম পালন করা আমাদের মতো প্রায় মানুষের মতো দেখতে প্রাণীদের একমাত্র নিয়তি!

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিশ্ববাজারে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই।
আমি যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে লোকে সমীহ না কলেও কিছুটা সম্মান অন্তত করবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত, আঞ্চলিক সম্পর্কের বিন্যাস এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় অন্যকে না গলাতে না দিবার মত যোগ্যতা অর্জন করুক, এটাই চাই।

৩১| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩২

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক
"এখন কথা হচ্ছে, আমি যখন জানি তার সাথে গায়ে পারবো না, আমি তার সাথে নেগোসিয়েশান করার জন্য জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দুরদর্শিতা এবং কৌশল অবলম্বন করবো। "
আপনি কি সত্যি ধারনা করেন সরকারের সেই জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দুরদর্শিতা আছে?

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সরকারের অনভিজ্ঞ মন্ত্রীসভার সেই যোগ্যতা একেবারেই নাই। এই প্রশাসনও জ্ঞান ও সুকৌশল দ্বারা চালিত সরকার নয়। এখানে মেগা প্রকল্প থেকে যে কোন ছোট খাট প্রকল্প পর্যন্ত সবখানেই দুর্বিত্তায়ন, ব্যাংক লুটের ধান্দা প্রবল। যে কোন ছোট কাজকে বড় করে মানহীন কাজ করে লুটই তাদের মূল ধান্ধা। তাই তারা বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্পদ ব্যবস্থাপনার টেকসই কাজে মনোযোগ দিতে পারছে না। বর্তমানে স্বাস্থ্য খাত ব্যবস্থাপনাতেও অযোগ্যতা, রিসার্সের সংস্লিস্টহীনতা, টেকসই জ্ঞানের অভাব আর লূটের ধান্ধা কারণে লেজেগোবরে করে ফেলেছে।

তবে অর্থনীতি, অবকাঠামো, কর্ম সংস্থান, শিল্প কিংবা বিদেশ নীতির প্রশ্ন যখন আসে, তখন দলের উর্ধ্বে উঠে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মেধাকে কাজে লাগানো উচিৎ।

৩২| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪৪

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক
তাই বলছি, আরেকবার তাদের সমর্থন দিবার আগে বুঝা পড়া করে নিবেন প্লিজ। তাদের সমর্থন দিতে আমাদের সমস্যা নাই। শুধু ন্যায্য অধিকার ফিরে চাই। মর্যাদা চাই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ চাই। পানির অধিকার চাই।

অধিকার কেউ আমাদের হাতে তুলে দিবে না, আমাদেরই আদায় করতে হবে। কিভাবে সেটা সম্ভব এই নি্য়ে একটা আলাদা পো্স্ট দিয়েন অনুগ্রহ করে (শুধু আপনার প্রতি না, অনুরোধ সব ব্লগারের প্রতি)। এই পোস্টে একসাথে অনেক বিষয় চলে এসেছে, আলোচনা নির্দিষ্ট হলে ভালো হয়।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আশা করি লিখবো, আপনিও লিখবেন। সহব্লগারগণ লিখবেন।

৩৩| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৩০

নতুন বলেছেন: ভারতের এতো সুবিধা কি বাংলাদেশের সরকারকে চাপে ফেলে নিয়েছে?

না ।

এটা আমাদের সরকার ইচ্ছা করে দিয়েছে। তাই এই প্রশ্নগুলি সরকারের মানুষের কারুরই ভালো লাগবেনা।

চীন, ভারত কখনোই বাংলাদেশে আক্রমন করবেনা। আমার ধারনা এখন যুদ্ধ অথ`নৈতিক ভাবে হবে বুলেট দিয়ে না।

বাংলাদেশে মতন বাজার দখল করতে পারলে কেন দখল করতে যাবে কেউ?

নেতাদের মাঝে দেশপ্রেম নাই তাই সরকারে ভারত পন্হি, চীন পন্হী, পাকি দালাল আছে কিন্তু সম্ভবত বাংলাদেশী দেশপ্রমী নাই।

তাই দেশের যেটায় ভালো হয় সেই যুক্তিগুলি হয় না। বরং ভারত,চীনের পক্ষেই যায় চুক্তির শত`গুলি।

আমাদের ক্রয় ক্ষমতা অনেক বড় একটা সম্পদ যেটা ভারত,চীন সবার দরকার তাই এই বাজারের সুবিধা নিতে দুজনই আগ্রহী। তাই আমাদের উচিত হবে ব্যাবসায়ীক ভাবে চীন এবং ভারতকে সুবিধা দিয়ে এবং নিজেদের আঠারো আনা বুঝে নিতে হবে।

শক্ত হয়ে নেগোসিয়েসন করলে আমাদের ১৮ আনা বুঝে নিয়েও দুজনের সাথে ব্যবসায়ীক বন্ধন রাখা সম্ভব।

আমাদের সরকারে যারা থাকেন তারা কি দেশের ১৮ আনা বুঝে নিতে যতটুকু দেশপ্রেম দরকার ততটুকু আছে কি?

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শক্ত হয়ে নেগোসিয়েসন করলে আমাদের ১৮ আনা বুঝে নিয়েও দুজনের সাথে ব্যবসায়ীক বন্ধন রাখা সম্ভব।

অবশ্যই।

তবে সে জন্য নেগসিয়েশান পাওয়ার তৈরির পথ করতে হবে।
১। রাষ্ট্রীয় নীতি কৌশলের সাথে গবেষণা, স্ট্রাটেজি, আন্তর্জাতিক জ্ঞান, ভবিষ্যৎ ফোরকাস্ট, সম্পদ ব্যবথস্পনার আধুনিক তম কৌশল গুলো জানতে হবে।
২। অর্থনীতি এবং অবকাঠামোর কৌশলগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাকে জড়িয়ে দিতে হবে।
৩। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে প্রতিবেশী ও বাইরের দেশে গোলামী করা যাবে না।
৪। নির্বাচন ও রাজনৈতিক ক্ষমতা হস্তান্তর, পলিটিক্যাল ট্রাঞ্জেকশানে বাইরের দেশের নাক গলানোর সুযোগ তৈরি করা যাবে না।
৫। নিজ দেশে অস্থিরতা তৈরিতে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে বাইরের দেশের গোয়ান্দাদের ব্যবহার করা যাবে না। এই ব্যাপারে আমাদের দলগুলোর অবস্থান খুবই নিকৃষ্ট, ঘৃণ্য বলা চলে।
৬। বৈদেশিক নেগোসিয়েশানের জন্য কিছু এলিমেন্ট জিইয়ে রাখা চাই।

৩৪| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

সাসুম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! প্রথম পয়েন্ট টার ব্যাপারে আপত্তি আছেঃ ২০১৪ তে ভারত এর সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসার! আওয়ামী লিগ সরকার , অন্য বিরোধী দলগুলোর চুপ থাকার সুবাধে যেরকম অবস্থার সৃষ্টি করেছে, তাতে আর কারো সহযোগিতার দরকার নাই তাদের সারাজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য।

ভারত এর প্রতি আমাদের এত দূর্বলতা, এটার জন্য কি ভারত আমাদের চাপ দিচ্ছে নাকি আমরা গিয়ে তাদের কে উপহার হিসেবে দিয়ে আসছি সেতা বুঝতে হবে। গরিবের বউ সবার ভাবী, আমার গরিবের বউ দের মধ্যে এমন ও আছে সবার ঘরেই দু চার রাত করে কাটায় আবার কোন এক ভাতারের ঘরে বেশি কাটায়, ভারত আমাদের কাছে সেই বেশি রাত কাটানো ভাতার।

এখনো, অভিন্ন নদী গুলার পানি হিস্যার একটা কুল কিনারা করতে পারিনাই, আমাদের নদী গুলা শুকিয়ে মরছে আর ওইদিকে তাদের মরু অঞ্চল পানিতে উর্বরা হচ্ছে- তারপরেও দেখবেন কিছু ভাংদেশী ( বাংলাদেশে জন্ম কিন্তু ভারতীয় ডি এন এ ) লাফাবে আপ্নাকে মারার জন্য এসব নিয়ে কিছু বললে।
সীমান্ত হত্য থেকে শুরু করে পানি বন্টন, বিনা শুল্কে বা নাম্মাত্র শুল্কে করিডর দেয়া- এসব আমাদের নাই বললে চ্চলে এমন নীতি আর গরিবের বউ হয়ে ভাতারের ঘরে রাত কাটানোর জন্যই হচ্ছে।

আমরা যারা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করছি, আমরা জানি, বন্দরে বাংলাদেশের কি অবস্থা। ঠাই নাই, ঠাই নাই অবস্থা। মাল নিয়ে বহিনোংগরে দিনে পর দিন জাহাজ দাঁড়িয়ে থাকছে, সেখানে ভারতীয় মাল খালাস প্রায়োরিটি ভিত্তিতে দেয়া কতটুকু সুইসাইড সেটা আপাত দৃষ্টিতে বোঝা না গেলেও আখেরে ভোগাবে সব চেয়ে মারত্মক ভাবেই।

আমার দেশে ক্যাপাসিটি থাকার পরেও বসাই বসাই কেন্দ্র ভাড়া দিচ্ছি, তারপরেও ইন্ডিয়ান ইলেক্ট্রিসিটি কেন কিনছি সেটার জবাব কে দিবে? জবাব দেয়ার কেউ নাই
বাজে ডিজেল কেন কিন্তাছি, সেয়াটার জবাব কে দিবে? কেউ নাই ! কিংবা তারা যা বলে বাধ্যগত বউর মত মেনে নিয়ে মারা খাচ্ছি কেন, সেটার জবাব কে দিবে? কেউ নাই

আসল জবাব লুকিয়ে আছে- সাধারণ জনগনের কাছে। দুইটা উপায়-
১. নিজেদের সার্থ বুঝে, এমন লোককে ক্ষমতায় আনা, রাতের ভোটে নির্বাচিত লোক ক্ষমতায় এলে জনগনের প্রতি কোন দায় থাকেনা, তখন যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। তখন তাদের যদি মনে হয়, দাদা দের ঘরে গিয়ে রাত কাটালে পরেও বার ক্ষমতায় আসার সুযোগ বাড়বে তখন দাদারা না চাইলেও চলে যায়। যদিও দেশের মানুষের মন জয় করে এর চেয়ে ভাল ভাবে ক্ষমতায় থাকা যায়। সো, আসল কথা হল- ক্ষমতাইয় যারা আছে, তারা যদি নিজেরা ঠিক না হয়, কেউ আমাদের গরিবের বউ কে ধর্ষিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবেনা।
২. ভারতীয় পন্য বর্জনঃ ট্রাস্ট করেন আর না করে, এই জাতীয়তাবাদ ই পারে, আপনাকে আমাকে বাচাতে! দিন শেষে, ইকোনমি ম্যাটারস। আমরা স্টার প্লাস ছাড়া খেতে পারিনা, ঘুমাতে পারিনা। আমরা ইন্ডিয়া শাড়ি ছাড়া পরতে পারিনা, আমরা ইন্ডিয়ান তেল ছাড়া রান্তে পারিনা। আমাদের মার্কেট তাদের কত বড় সেটার আইডিয়া আমাদের থাকলে আমরা বহুত আগেই কন্ট্রোল করতে পারতাম।

সংযুক্তিঃ ৩. ইন্ডিয়ান দের ট্যাক্স বিহীন ভাবে এই দেশে কাজ করার সুবিধাঃ প্রতি বছর ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায় তারা তাদের দেশে,আমাদের দেশ থেকে ! চিন্তা করতে পারেন, আমরা তাদের দেশের ৩য় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এর জোগানদাতা!

এই যায়গা টা ঠিক করেন, ( এটা সরকার আর বিজনেস ম্যান দের দুইজনের ই কাজ) দেখবেন, তার কতটা ইম্প্যাক্ট পরে।

দিন শেষে, আমাদের নাই বললেই চলে পররাস্ট্র নীতি আর জি হুজুর জি হুজুর নীতি নিয়ে চললে, কামের কাম কিছুই হবেনা, অই যে অই একটা আইন আছেনা, সেই আইনে এসব লিখার জন্য জেলে যেতে হবে।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব ভালো মন্তব্য করেছেন।
১। প্রণব মূখার্জীরা নির্বাচনের আগেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার মারফতে (বাংলাদেশ ইন্ডীয়ার ব্যাক ইয়ার্ড, এখানে তার পছদের সরকারই সে বসাবে) আওয়ামীলীগের অনুকূলে সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেয় নির্বাচন প্রতিহতের জন্য বিএনপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আমি মনে করি জালিয়াতির সুযোগ থাকলেও নির্বাচনে যাওয়া চাই। কারণ মানুষ জালিয়াতির কথা ভুলে না। সে সুযোগ পেলে এগুলার প্রতিদান ফেরত দেয়। নির্বাচনে গেলও বিএনপিকে সেই ২০-২৫ টা আসন দেয়া হত। তবে বিএনপি অন্য জায়গায় ভুল করেছে, তাদের জাতীয় সরকারে যাওয়া দরকার ছিল। সেখানে গিয়ে ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতিবাদ করার দরকার ছিল। যাই হোক এই কোন কিছুতেই ভারতের অবস্থা চেঞ্জ হত না। ভারত যতদিন দরকার মনে করবে ততদিন এখানে তার পুতুল সরকার বসানোর সব আয়োজন করবে। ১/১১ এর আগে পরে এবং গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের রাজনৈতিক সক্ষমতা পুরোপুরি ভেঙে গেছে এবং ভারত এটাকে কব্জা করে নিয়েছে আওয়ামীলীগের হাত ধরে। এখন আওয়ামীলীগ এই থেকে বেরুবার কিছুটা চেষ্টা করছে। তবে তার তার হাত পা বাঁধা.।.।। সে নিজেই সব কিছু উদোম করে দিয়েছে।


মন্তবের বাকি অংশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এখনো, অভিন্ন নদী গুলার পানি হিস্যার একটা কুল কিনারা করতে পারিনাই, আমাদের নদী গুলা শুকিয়ে মরছে আর ওইদিকে তাদের মরু অঞ্চল পানিতে উর্বরা হচ্ছে।
আমরা যারা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করছি, আমরা জানি, বন্দরে বাংলাদেশের কি অবস্থা। ঠাই নাই, ঠাই নাই অবস্থা। মাল নিয়ে বহিনোংগরে দিনে পর দিন জাহাজ দাঁড়িয়ে থাকছে, সেখানে ভারতীয় মাল খালাস প্রায়োরিটি ভিত্তিতে দেয়া কতটুকু সুইসাইড সেটা আপাত দৃষ্টিতে বোঝা না গেলেও আখেরে ভোগাবে সব চেয়ে মারত্মক ভাবেই।

আমার দেশে ক্যাপাসিটি থাকার পরেও বসাই বসাই কেন্দ্র ভাড়া দিচ্ছি, তারপরেও ইন্ডিয়ান ইলেক্ট্রিসিটি কেন কিনছি সেটার জবাব কে দিবে? জবাব দেয়ার কেউ নাই!

বাজে ডিজেল কেন কিন্তাছি, সেয়াটার জবাব কে দিবে? কেউ নাই ! কিংবা তারা যা বলে বাধ্যগত বউর মত মেনে নিয়ে মারা খাচ্ছি কেন, সেটার জবাব কে দিবে? কেউ নাই!

আসল জবাব লুকিয়ে আছে- সাধারণ জনগনের কাছে। দুইটা উপায়-
১. নিজেদের সার্থ বুঝে, এমন লোককে ক্ষমতায় আনা, রাতের ভোটে নির্বাচিত লোক ক্ষমতায় এলে জনগনের প্রতি কোন দায় থাকেনা, তখন যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। তখন তাদের যদি মনে হয়, দাদা দের ঘরে গিয়ে রাত কাটালে পরেও বার ক্ষমতায় আসার সুযোগ বাড়বে তখন দাদারা না চাইলেও চলে যায়। যদিও দেশের মানুষের মন জয় করে এর চেয়ে ভাল ভাবে ক্ষমতায় থাকা যায়। সো, আসল কথা হল- ক্ষমতাইয় যারা আছে, তারা যদি নিজেরা ঠিক না হয়, কেউ আমাদের গরিবের বউ কে ধর্ষিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবেনা।

২. ভারতীয় পন্য বর্জনঃ ট্রাস্ট করেন আর না করে, এই জাতীয়তাবাদ ই পারে, আপনাকে আমাকে বাচাতে! দিন শেষে, ইকোনমি ম্যাটারস। আমরা স্টার প্লাস ছাড়া খেতে পারিনা, ঘুমাতে পারিনা। আমরা ইন্ডিয়া শাড়ি ছাড়া পরতে পারিনা, আমরা ইন্ডিয়ান তেল ছাড়া রান্তে পারিনা। আমাদের মার্কেট তাদের কত বড় সেটার আইডিয়া আমাদের থাকলে আমরা বহুত আগেই কন্ট্রোল করতে পারতাম।

সংযুক্তিঃ ৩. ইন্ডিয়ান দের ট্যাক্স বিহীন ভাবে এই দেশে কাজ করার সুবিধাঃ প্রতি বছর ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায় তারা তাদের দেশে,আমাদের দেশ থেকে ! চিন্তা করতে পারেন, আমরা তাদের দেশের ৩য় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এর জোগানদাতা!


২।

৩৫| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে শুধু একটি কথাই মনে হচ্ছে সেটা হলো নিজের বুঝ নিজে বুঝতে না পারা, সুতরাং অন্যরা তো তাদের সুবিধা আদায় করে নেবেই। আমার তো মনে হচ্ছে ১৪ ডিসেম্বর ৭১ এর নীল নকশা অনুযায়ী জাতীকে বুদ্ধিহীন মেধাহীন করে রাখার প্রক্রিয়া এখনও চলমান আছে ভিন্ন উপায়ে (মানহীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখে)।
আপনার পয়েন্ট গুলোর ভয়াবহ ফলাফল দেখে আতঙ্কিত। কিন্তু সমাধানের জন্য আপনিও মেধার অন্বেষন করছেন কিন্তু তা আসবে কি করে কোথা থেকে?
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কেমন উপযুক্ততা নিয়ে আমাদের সন্তানরা বের হচ্ছে?
কেন অন্য দেশের CEO আমদানী করা হয়? বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবার আগেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের ছেলেদের বুকিং হয়ে যাওয়ার কথা। দুঃখের সাথে দেখি তারা একটা কেরানীর চাকুরীর জন্য জুতা ক্ষয় করছে। এর জন্য কি বিশ্ববিদ্যালয় দায়ী নয়? এদেশের সনদপত্রের কোন মূল্য নেই বিদেশে চাকুরীর ক্ষেত্রে, শুধু মূল্য আছে ওদেশে পড়াশুনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে,তাতে আমাদের ডলার খরচ আর ওদেশের লাভ।
সঠিক পরিকল্পনাহীন রাজনৈতিক সরকারও দায়ী। সবাই সব যায়গায় রাজনীতি দলাদলী আর পদ পদবী নিয়ে ব্যাস্ত দেশের কথা কে ভাবছে?
(কাভা ভাই তো একদম মোক্ষম কথা বলেছেন, দেশের মঙ্গলের কথা যদি পক্ষে না যায় আপনি দেশোদ্রহীতা দোষে দোষী হবেন। এদেশে নিরপেক্ষতা নির্বাসনে আছে। হয় আপনি এ পক্ষ না হয় আপনি ও পক্ষ, মধ্যবর্তী বলতে কিছু নেই। এর জন্য আমি বর্তমানকে দায়ী করতে পারছিনা। সঠিক রাজনৈতিক পন্থাকে ব্যাহত আয়ুবখান ইয়াহিয়া খানের পদাঙ্ক অনুসরন করে যারা এসেছেন তারা দেশ আর জনগনের কথা ভাবেন নি ভাবার কথাও নয় তাদের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা ধরে রাখা তাই যুবচরিত্র নষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বর্তমানে পৌছেছি রাজনৈতিক স্বার্থে আঁতাত করে সিলেবাস প্রনয়ন করছি।)

বিদেশী CEO রা বেতনের বাহিরে এদেশের জন্য কি কমিটেড অবশ্যই নয় তারা তাদের দেশের জন্য কমিটেড।

প্রতিটা পয়েন্টে দেশাত্ববোধের ঘাটতিও আছে। এ সকল অসম,আত্নঘাতী চুক্তি থেকে বের হতে গেলে মেধা সম্পন্ন,দেশকে ভালবাসে এবং সব কিছুতে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় এরকম মানুষের দরকার তা আমরা কোথায় পাবো জানিনা।

আপনার পোষ্টের জন্য শুধু ধন্যবাদ বললে মনে হচ্ছে কিছুই বলা হয়নি। ভাল থাকুন।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্রতিটা পয়েন্টে দেশাত্ববোধের ঘাটতিও আছে। এ সকল অসম,আত্নঘাতী চুক্তি থেকে বের হতে গেলে মেধা সম্পন্ন,দেশকে ভালবাসে এবং সব কিছুতে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় এরকম মানুষের দরকার তা আমরা কোথায় পাবো জানিনা।

আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩৬| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

হাবিব ইমরান বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আমার কথা হইলো তারা যা করার করুক। কিন্তু যারা আমাদের কাছে টানতে আসবে, তার সাথে অতীতের বিষয় পুনঃ বুঝাপড়া তো আছেই বরং ভবিষ্যৎ ও ঠিক করে নেয়ার কৌশলে যাওয়া হোক।

_____ তা তো অবশ্যই। দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ‘ভবিষ্যৎ ঠিক করার’ প্রতি স্পেশাল নজর না দেয়ায় আজ আমাদের এই দুর্গতি। যখন তখন অন্নদাতা কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দিকে তাচ্ছিল্যের ভাব নিয়ে তাকায়। সীমান্তে কয়েকজন ঝুলিয়ে দেয় যখন মন চায় তখন। বাধা দেয়া দূরে থাক, আমরা সাধারণ ভাবে তার প্রতিবাদ করারও সাহস করি না। মন চাইলে তারা বিনা নোটিশে আমদানি পণ্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়। তারা মনে করে, তারা এসব আমাদের ভিক্ষা দেয়। তাই মন চাইলে দেয়, মন চাইলে বন্ধ করে দেয়। এরকম হাজারো কাহিনী লিখে দেয়া যাবে অন্নদাতা কর্তাব্যক্তিদের সম্পর্কে।
প্রবাদ অনুযায়ী বলতে গেলে ব্যাপারটা একদম ঠিক আছে। দুধ দেয়া গরুর লাথি খাওয়াও ভালো। আমরা সেটাই মেনে নিয়েছি স্বাধীনতা পরবর্তী অর্ধশত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও।

এখন প্রশ্ন হলো, ____ প্রতিবেশী অন্নদাতাদের আগ্রাসন থেকে মুক্তির উপায় কী? তাদের সাথে কিভাবে বুঝাপড়া করা উচিত?

আমার মতে, কয়েকটা সেক্টরে আমাদের দেশকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। অন্যথায় আজীবন প্রতিবেশীদের পদলেহন ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

রাজনীতি কমিয়ে দিয়ে উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে প্রথমেই। চিন্তাভাবনা পরিবর্তন না করতে পারলে অভাব এক সময়ে স্বভাবে পরিণত হয়। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমরা এখনো বৈদেশিক ঋণ এবং বৈদেশিক অনুদানের দিকে তাকিয়ে থাকি। বৈদেশিক অনুদানের দিকে তাকিয়ে থাকাও একরকম ভিক্ষাবৃত্তি। আধুনিক মালেশিয়ার সফল জননেতা ড. মাহাথির মোহাম্মদ সাহেব একবার বলেছিলেন, “বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নের চেয়ে রাজনীতির প্রতি বেশি আগ্রহী”। কথাটা তিনি মন্দ বলেননি। কথাটা শতভাগ সত্য।

১. পরনির্ভরশীল চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে প্রথমেই। ভারত-চীন বলয় থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করতে হবে। সম্পর্ক ছিন্ন নয়, ভাসাভাসা বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর চুক্তি হওয়া উচিত। দেশের অভ্যন্তরীণ কোন কিছুই সেসব দেশকে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলে কিছু কিছু নেতাকর্মী আছেন, যারা সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতেই পছন্দ করেন, পদলেহন আর তৈলমর্দন যাদের একমাত্র কাজ, এরকম চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চিন্তা করতে হবে তাদের। তারা ক্ষমতার জন্য জনগণকে বাদ দিয়ে বিদেশিদের দিকে বেশি ঝুঁকে যায়। আর এ সুযোগে বিদেশিরাও তাদের ইচ্ছামত চুক্তি করে নেয়।

২. বিশাল এ জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। যে দেশের নিজস্ব ভূমি রয়েছে, বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যা রয়েছে সে দেশ কিভাবে অভাবী থাকে তা বুঝে আসে না।
৩. আমদানি পণ্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে বরং যেসব পণ্য আমদানি হয় সেগুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে হবে। যাতে পরবর্তীতে আমরাই সেসব পণ্য নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করতে পারি।
৪. অযথা অবকাঠামোগত উন্নয়নের পিছনে না দৌড়ে, ঋণের টাকা অপচয় না করে, দু একটা লোক দেখানো মেগা প্রকল্প হাতে না নিয়ে, রাজনীতির পিছে না দৌড়ে___ কৃষি খাত, পোশাক খাত, প্রযুক্তি খাত সহ রপ্তানিযোগ্য খাতসমূহের উন্নয়ন করা জরুরী।
৫. কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একেবারে শিশু। এজন্য বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রভাব একেবারেই নেই। তাই কূটনৈতিক মহলকে সেভাবে তৈরি করতে হবে।
৬. পররাষ্ট্র নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রচলিত পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য কোন সফলতা নেই। বরং ‘গোলামী নীতিতে’ আমাদের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন হয়েছে।
৭. প্রত্যেকটা দলের উচিৎ ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে নিজের দেশের __ বন্দর, রাস্তাঘাট, নদী-সমুদ্র এসব প্রতিবেশীদের ব্যবহারের জন্য না দেয়া। এসব নিজেদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি, তা সিরিয়াসলি মেনে নেয়া উচিৎ সকলকে। নির্বাচন আসলে দেখা যায় কার থেকে কে বেশি দেয়।

৮. শিক্ষা, গবেষণা ও দেশপ্রেম, এসবের উন্নয়ন জরুরী।

প্রতিটি খাতই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিৎ প্রতিটি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা। রাজনীতি যথেষ্ট হয়েছে। যে দেশের মানুষের পেটে ভাত নেই, পরনে কাপড় নেই, সে দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করাটা বিলাসীতা।

মোটকথা, ‘রাজনীতি কম, উন্নয়ন বেশি’ এ ভাবনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে নতুনভাবে। করোনা না আসলে বুঝতেই পারতাম না, আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা উন্নত। নেতারা সিঙ্গাপুরও যেতে পারছেন না এখন, তেনারা এ শিক্ষা থেকে যদি কিছুটা শিক্ষা লাভ করেন তাহলে দেশের খুবই উপকার হয়।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১. পরনির্ভরশীল চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে প্রথমেই। ভারত-চীন বলয় থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করতে হবে। সম্পর্ক ছিন্ন নয়, ভাসাভাসা বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর চুক্তি হওয়া উচিত। দেশের অভ্যন্তরীণ কোন কিছুই সেসব দেশকে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলে কিছু কিছু নেতাকর্মী আছেন, যারা সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতেই পছন্দ করেন, পদলেহন আর তৈলমর্দন যাদের একমাত্র কাজ, এরকম চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চিন্তা করতে হবে তাদের। তারা ক্ষমতার জন্য জনগণকে বাদ দিয়ে বিদেশিদের দিকে বেশি ঝুঁকে যায়। আর এ সুযোগে বিদেশিরাও তাদের ইচ্ছামত চুক্তি করে নেয়।
২. বিশাল এ জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। যে দেশের নিজস্ব ভূমি রয়েছে, বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যা রয়েছে সে দেশ কিভাবে অভাবী থাকে তা বুঝে আসে না।
৩. আমদানি পণ্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে বরং যেসব পণ্য আমদানি হয় সেগুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে হবে। যাতে পরবর্তীতে আমরাই সেসব পণ্য নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করতে পারি।
৫. কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একেবারে শিশু। এজন্য বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রভাব একেবারেই নেই। তাই কূটনৈতিক মহলকে সেভাবে তৈরি করতে হবে।
৬. পররাষ্ট্র নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রচলিত পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য কোন সফলতা নেই। বরং ‘গোলামী নীতিতে’ আমাদের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন হয়েছে।
৮. শিক্ষা, গবেষণা ও দেশপ্রেম, এসবের উন্নয়ন জরুরী।

প্রতিটি খাতই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিৎ প্রতিটি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা। রাজনীতি যথেষ্ট হয়েছে। যে দেশের মানুষের পেটে ভাত নেই, পরনে কাপড় নেই, সে দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করাটা বিলাসীতা।

উপরে মন্তব্যে একমত। ৪ ও ৭ নং এর ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে-

৪. অযথা অবকাঠামোগত উন্নয়নের পিছনে না দৌড়ে, ঋণের টাকা অপচয় না করে, দু একটা লোক দেখানো মেগা প্রকল্প হাতে না নিয়ে, রাজনীতির পিছে না দৌড়ে___ কৃষি খাত, পোশাক খাত, প্রযুক্তি খাত সহ রপ্তানিযোগ্য খাতসমূহের উন্নয়ন করা জরুরী।

অবকাঠামোর ক্ষেত্রে আমাদের টেকসই হতে হবে। অবকাঠামোকে ফিউচার অরিয়েন্টেড করতে হবে। যেমন আন্তঃবিভাগীয় সড়ক একবারেই সার্ভিস ও স্লো মুভিং লেইন সহ ছয় লেইন না করে বারে বারে চুরির সুযোগ রাখে কাজ করা দেশের জন্য ক্ষতি। ঢাকা চট্রগ্রাম সরাসরি হাই স্পীড রেল, কার্গো রেল না করা ক্ষতি, চট্রগ্রামের বদরের ক্যাপাসিটি না বাড়ানো, বে পোর্ট না করা, ডীপ সি আটকে রাখা ক্ষতি।



৭. প্রত্যেকটা দলের উচিৎ ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে নিজের দেশের __ বন্দর, রাস্তাঘাট, নদী-সমুদ্র এসব প্রতিবেশীদের ব্যবহারের জন্য না দেয়া। এসব নিজেদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি, তা সিরিয়াসলি মেনে নেয়া উচিৎ সকলকে। নির্বাচন আসলে দেখা যায় কার থেকে কে বেশি দেয়।

আমার অবস্থান হচ্ছে ভারতকে ট্রানজিট দিতে হবে। তার তার জন্য উপযুক্ত মাশুলও নিতে হবে। মাশুলের কয়েটি স্তর-
১। রোড বিল্ডীং কষ্ট নিতে হবে, শেয়ার করতে হবে আরকি!
২। মেইন্তেনেন্স কষ্ট নিতে হবে, শেয়ার করতে হবে আরকি!
৩। ড্রেজিং কষ্ট নিতে হবে,শেয়ার করতে হবে আরকি!
৪। ব্রিজ গুলোর, সারফেইস পিচের, নদীর বাঁধের ডেপ্রেসিয়েশান কষ্ট নিতে হবে।
৫। ভারত ট্রানজিটের মাধ্যেম যা সেইভ করে তার ৫০% বাংলাদেশকে দিতে হবে।

এতে উইন উইন সম্পর্ক তৈরি হবে। নির্বাচনে জিতায়া দিসে তাই ফ্রি ট্রানজিট দেয়া ট্রাকে ১৯০০ টাকার মাশুলের পরিবর্তে ২৫ টাকায় ট্রানজিট দিতে হবে এটা গোলামী। দেখুন উত্তর বঙ্গ থেকে এক ট্রাক সবজি বা একটা গরুর ট্রাক চট্রগ্রাম যেতে প্রায় ২২ হাজার টাকা চাঁদা দেয়া লাগে আওয়ামীলগ নেতা ও পুলিশকে প্রায় ছয় থেকে ১৪ টা ঘাটে। (প্রথম আলোর ২০১২ এর রিপোর্ট)। অথচ ভারতীয় ট্রাক ২৫ টাকায় সীমান্ত পার হয়। রাস্তা নির্মান ও মেরামত করতে হয় আমাদের আবার তাদের কাছ থেকে ডলারে সুদ দিয়ে বৈদেশিক ঋণ দেয়া লাগে। এই গোলামী থেকে সরে ন্যায্যতার ভভিত্তিতে সম্পর্ক হোক।

৩৭| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৩

করুণাধারা বলেছেন:
১) বন্ধুত্বের (অথবা আনুগত্যের) নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ ভারতকে যেসব সুবিধা দিয়েছে আপনি তার একটা দীর্ঘ তালিকা দিয়েছেন, এতকিছু দেবার পর আর কিছু দেবার বাকি থাকে কি!!!

আপনার মতো দীর্ঘ তালিকা নয়, আবরারের তালিকায় ভারতকে দেয়া মাত্র তিনটা জিনিসের উল্লেখ ছিল, সে এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তাই তাকে চরম নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো। এটা সবচেয়ে সাম্প্রতিক, কিন্তু এর আগেও দেশের স্বার্থহানী হয় এমন প্রকল্প গড়ার প্রতিবাদ করা হয়েছে, কোন লাভ হয়নি।  রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে জানলাম, এরপর একেবারেই উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো ভারত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ঢুকে পড়ল। কথা হচ্ছে এইসব নিয়ে কথা বলার মতো নিরাপদ অবস্থাতে আমরা বাংলাদেশের নাগরিকেরা নেই। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি বোধ, বিবেক সম্পন্ন মানুষের এই বোঝাপড়া গুলো করে নিতে হবে, আপনার কথাটা খুবই যুক্তিপূর্ণ হলেও বোঝাপড়া করার কোন সাহস নাগরিকেরা করবে না।

২) নতুন স্ট্যাটাস্কোতে বাংলাদেশের কৌশলগত ভূমিকা কি হবে?

এখানে দেশের নাগরিকদের ভূমিকা গৌণ, এমনকি জাতির বিবেক বলে পরিচিত বুদ্ধিজীবিরাও এ ব্যাপারে কোনও দিশা দেখাতে আসছেন না, সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারে যারা আছেন তাদেরকেই। এক্ষেত্রে তারা ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কহানী হয় এমন কিছু করবেন বলে মনে হয়না। বস্তুত ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা মুখ্য, তাই ভারত যেমন নির্দেশ দেবে তেমনভাবেই বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কৌশল নির্ধারণ করবে বলে মনে হয়।

৩) জাতীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দেই এমন এক জাতি আমরা।

সবকিছুর পরেও পশ্চিমা ও ভারতীয় চাপে ভারত-চীন-নেপাল-পাকিস্তান সামরিক ও ভূরাজনৈতিক মারপ্যাচে বাংলাদেশ রাজনৈতিক ভাবে ভারতকে আবারো সমর্থন করে বসলেন সেটা অন্তত শর্তহীন না হয়... বাংলাদেশ মে কোন ধরনের সমর্থনের বিপরীতে নিজের বুঝাপড়া করে নিবে, নিজের স্বার্থগুলো ফিরিয়ে আনবে- এটাই সর্বজনস্বীকৃত নাগরিক প্রত্যাশা।

সময়ই বলে দেবে আপনার এ প্রত্যাশা কতটুকু পূর্ণ হবে।

আপনার আন্তরিক আহ্বানের পরেও মন্তব্য করতে এত দেরি হবার কারণ ব্যক্তিগত কিছু ঝামেলা। সামুতে আপনি আমার পছন্দের একজন লেখক, আপনার প্রতিটি পোস্ট সামুকে সমৃদ্ধ করছে। দোয়া রইল আপনার জন্য, শান্তিময় হোক এ জীবন আর পর জীবন।

২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আবরারের তালিকায় ভারতকে দেয়া মাত্র তিনটা জিনিসের উল্লেখ ছিল, সে এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তাই তাকে চরম নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো। আবরারের কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেসমসয়ে আমার একটা বক্তব্য ছিল এমন-

শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার চাই। আরো চাই, উনি যে আধিপত্যবাদের আগ্রাসনে খুন হয়েছেন, তাকে থামানো।

আপনার জন্যও শুভকামনা! ভালো থাকবেন।

৩৮| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: লেখককে অসংখ ধন্যবাদ এমন একটি লেখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য। এই ধরনের লেখার বড় প্রয়োজন এই অভাগা দেশে।

২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা সজাগ হতে শুরু করলে আমাদের মধ্য থেকেই লেখকও তৈরি হবে। অনেক অনেক গঠনমুলক বক্তব্য ও মন্তব্য এসেছে।

৩৯| ২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাশিয়া বলেছেন: লাদাখের সেই ভয়াল কালো রাত
☠️☠️☠️☠️☠️
গালওয়ান নদীর পাশের সকল হাইট (পাহাড়ের চূড়া) গুলো চীন মাস খানেক আগে দখলে নেয়। ভারত এর প্রতিবাদ করে, তবুও চীন পিছে হটেনি। এরিয়া কমান্ডার, মেজর সহ কয়েকটি মিটিং হল, কিন্তু চীন নিজ অবস্থানে অনড় থাকে। কনফ্লিক্ট বেড়ে চলল। ভারত সরকার এবং আর্মি পুরো বিষয়টি জনগণের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় সকল খবর হাইড করা পসিবল ছিল না। টুকরো টুকরো সত্য বের হতে লাগল। কিন্তু মোদি সরকারের প্রতি ভাক্ত দের অত্যাধিক বিশ্বাস থাকার কারনে সত্যকে মানতে চাইলো না তারা। ৬ জুন ভারতের অনুরোধে ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল লেভেলের মিটিং ডাকা হয়। চীন ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল এর পরিবর্তে মেজর জেনারেলকে পাঠায়। তাও সে আসে অতি বিলম্ব করে। মিটিং এ তার এটিটিউড দেখে ভারত চীনের উদ্দেশ্যকে ভালো ভাবেই বুঝতে পারে। মিটিং শেষে স্বাভাবিক ভাবে ভারতের গোয়েবলস মিডিয়া তাদের বিজয়ের কথা প্রকাশ করে। উভয় পক্ষ ব্যাপক মাত্রায় আর্মি মোতায়েন করতে থাকে। এর মাঝে চীন পাহাড়ি ঝরনা ধারা আটকে রাখে। এতে দুই সেনা শিবিরের মাঝে যে গালওয়ান নদী ছিল তার ফ্লো থেমে যায়। মিটিং ব্যর্থ হবার পর ভারত চীনকে হটাতে প্লান তৈরি করে।

১৬ জুনের রাত। ভারতের কয়েকশ সেনা চুপি চুপি চীনাদের অবস্থানের দিকে যাচ্ছিল। চীনারা আগে থেকে জানত, ভারতীয় সেনারা হামলা করবে। তাই এম্পটি হ্যান্ড কমবেট বা ক্লোজ কমবেট করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। লম্বা রডে কয়েকটি সরু ছোট ছোট রড ওয়েল্ডিং করে, এবং মোটা বাঁশে তারকাটা পেচিয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র তৈরি করে রাখে তারা। আকাশে চাইনিজ হেলিকপ্টার থেকে সারাক্ষণ নজরদারি চলছিল। এমন সময় রাতে চাইনিজরা ভারতীয় সেনাদের দেখতে পায়। নদীর ফ্লো না থাকায় ভারতীয়রা সহজে চীনা ক্যাম্পের দিকে এগোতে থাকে। চায়নিজরা প্রথমে পানির ফ্লো খুলে দেয়। ভারতীয় সেনারা আকস্মিক পানির চাপ দেখে কিছু বুঝে উঠতে পারে না। এরই মধ্যে চাইনিজরা ভারতীয় সেনাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভয়ঙ্কর অস্ত্র দিয়ে বেচারা! হিন্দুস্তানি সেনাদের উপর নির্মমভাবে আঘাতের পর আঘাত করতে থাকে। কে কর্নেল, কে অফিসার কে সিপাহী, কারোর দেখার সময় নেই। ভারতীয়রা পালাতে শুরু করে, জীবন বাঁচাতে কেউ পাহাড় থেকে পানিতে লাফ দেয়। শতাব্দীর সকল বর্বরতাকে হার মানিয়ে চীনারা নতুন ইতিহাস তৈরি করে। এই বর্বরতা ভাইকিংস, তাতারিদের বর্বতার কথা মনে করিয়ে দিল বিশ্ববাসীকে। প্রায় ৪০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। কারো কারো মুখ পুরো থেঁতলে যায়, কাপড়ে থাকা ন্যামপ্লেট দেখে তাদের সনাক্ত করা হয়। শতাধিক সেনা আহত হয়। ১০ জনকে চীন আটক করে। চীনারা তেমন হতাহত হয়নি, ৫-১০ জন আহত হয়েছিল কেবল।

ভারতীয় শিবিরে রক্ত কান্না মিলে একাকার হয়ে যায়। ১৭ হাজার ফুট উচু সীমান্তে, রক্ত জমানো শীতের রাতে, সেনাদের আর্তনাদ ও কান্নার আওয়াজ আকাশে বাতাসে গুঞ্জরিত হতে থাকে। চারদিকে এক আতংক ও বিভীষিকাময় পরিবেশ তৈরি হয়। আহতদের চিকিৎসা করার জন্য ছিল না তেমন ব্যবস্থা। যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল ভঙ্গুর। নিরস্ত্র সেনাদের শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত কাপড়ের ব্যবস্থাও ছিল না। ভোর থেকে সকাল, সকাল থেকে বেলা গড়িয়ে চলে। ভারতীয় প্রশাসন ও আর্মি ঘটনা জেনে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। সরকার ব্যস্ত হয়ে পড়ে সব লুকাতে। কিন্তু চীনারা আবার এক আঘাত করল, তারা সরাসরি রাতের ঘটনা বিশ্বকে জানিয় দিল। মোদির ব্লাড প্রেসার বেড়েই চলল। কী করবে কী বলবে, কিছু বুঝে উঠতে পারল না। ডিফেন্স চীফ বিপিন রাওয়াত ঘরে লুকিয়ে থাকল। বেচারা! নিহতদের পরিবারও কিছু জানল না। হাইড এন্ড সিক খেলা চলল দিনভর। চীনের নাম নিয়ে টুইট করার সাহসও হচ্ছিল না প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর। কেউ সারজিকাল স্ট্রাইকের কথা বলল না, এগিয়ে এল না বলিউড রেজিমেন্টের সেনারা। হতাহতের নসিব ভালো ছিল না। দেশবাসী তাদের খবর রাখল না। মোদী তাদেরকে চিনল না। নিহত কর্নেল, বা আটক কর্নেল কে তাও কেউ জানল না, সে তো আভিনন্দন ছিল না। বন্দিদের নসিবে এক কাপ চাও জুটল না। নেই নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা, দিল না কেও ফুল। হল না পুলওয়ামার মত লাইভ টেলিকাস্ট।

মান বাঁচাতে ভারত প্রথমে ৪৩ জন চীনা মারার কথা জানালো, কিন্তু তার পশ্চিমা মিত্র মিডিয়াগুলো তাতে কোন পাত্তা দেয়নি। দশ কয়েদীকে ছাড়ানো মোদীর জন্য সহজ ছিল না, চীনের মিত্র রাশিয়ার কাছে ৩৩ টি বিমানের মুক্তিপণ দিয়ে পরিশেষে ছাড়ানো হল। লিমিটেড যুদ্ধের কথাও ভাবলেন তিনি, সেনারা চেঁচিয়ে বলল ১০ দিন যুদ্ধ করার মত গোলাবারুদও নেই তাদের কাছে।

যাইহোক, মিলিটারিলি কিছু করতে না পারি অর্থনৈতিক ভাবে চীনকে শিক্ষা দেবার আহ্বান জানালো অর্থনীতি সম্পর্কে অজ্ঞ সাংবাদিকরা। আবেগের বশবর্তী হয়ে নিজের কষ্টের কামায়ের কেনা টিভি ফ্রিজ ভাঙ্গা শুরু করল জনগণ। বেচারারা ভাবল না, যে এক মাস পর আবার নিজের টাকা দিয়ে চীনা টিভি কিনতে হবে তাদের। চাইনিজ ফোন দিয়ে, চাইনিজ টিকটক ব্যবহার করে বয়কট চায়নার শ্লোগান উঠল। চাইনিজ প্রিন্টারে, চাইনিজ পেপারে, চাইনিজ কালারে প্রিন্ট করা হল বয়কট চায়নার প্ল্যাকার্ড। ক্ষোভে, আতঙ্কে ভক্তগন সি জিং পিং ও কিম জন উনের পার্থক্য ভুলে গেল।

ইজ্জত, সম্মান, সুপার পাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন সবই ভেঙে চুরে ছারখার হয়ে গেল নিমিষে। কাশ্মীরে যুলমের সময় যেভাবে পুরো বিশ্ব চুপ হয়ে থাকে, অন্ধ হয়ে যায়, একই ঘটনা ঘটল ভারতের সাথে। সবাই চুপ। যেন কিছুই হয় নি। কেউ জানালো না শোক। কেউ চীনকে দিল না থ্রেট। সকলকে আইসোলেট করে দেবার হুমকি দিত যারা তারাই আজ আইসোলেটেড। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ন্যাটো, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি বা রাশিয়া কেউ কিছু বলল না। ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্রাটেজির দেশ গুলো গুম হয়ে গেল। শোক জানালো না বাংলাদেশও। শোক তো দূরের কথা উল্টা থ্রেট দিল নেপাল। এত দুঃখ বয়ে বেরানো সহজ নয়। মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখা যায় না। এই সময় মানুষ আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পড়ে। আবোল তাবোল বলে, ঠিক একই ভাবে কাল সারান্ডার মোদি ভক্তদের বললেন, ''কিছুই হয়নি। সব কন্ট্রোলে আছে। যে যেখানে আছে সেটা তার ভূমি। দুর্বলকে মেরে ফেলা, সবলের পা ধরা হল আমাদের নীতি।"

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আসলে প্রকৃত ঘটনা কি হয়েছে, তাকে কে জিতলো, কে হারলো, কার কত মারা গেল তা নিয়ে আমার কিছুমাত্র আগ্রহ থাকলেও খুব গভীর আগ্রহ নেই। আমি সীমান্ত হত্যা দকেহতে চাই না। নিজের বা অন্যের কোথাও না। এখানে আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে লেখার দ্বিতীয় চ্যাপ্টারে। ১ম চ্যাপ্টারে আমি একটা ভূমিকা টেনেছি মাত্র, যেখানে বলতে চেয়েছি যেখানে ভারতে এখনও দারিদ্র্য এবং ধন বৈষম্য প্রকট সেখানে প্রতিবেশীদের সাথে সামরিক মাস্তানি করার সুফল ভাল না।

৪০| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৭

জুন বলেছেন: আমার মন্তব্যের জবাবে আপনার কবিতাটির অর্থ বুঝলাম না নিরুদ্দেশ তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি। নাকি প্রাসঙ্গিক হয় নি?? কাইন্ডলি একটু জানাবেন।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপু, পেস্ট করতে গিয়ে মিস্প্লেইস করেছি মন্তব্যটা। আমি রিপ্লাই করেছি। আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

৪১| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: শুল্কমুক্ত বাণিজ্য তো বটেই চায়নাকে সমর্থনের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান।
..............................................................................................................................
রাজনৈতিক চাপে বাংলাদেশ কখনো ভাল খেলতে পারে না, উপরন্ত আমাদের বিভক্তি বা জামাতি
কারজক্রম দুর্বল করে দেয়

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি একটু যোগ করি।
রাজনৈতিক চাপে বাংলাদেশ কখনো ভাল খেলতে পারে না, উপরন্ত আমাদের বিভক্তি বা জামাতি/আইএসাই কার্যক্রম বা র এর কিংবাসরকার ও প্রশাসনের ভারতীয় এজেন্টদের কার্যক্রম আমাদের বার বার দুর্বল করে দেয়।

এইসব দুর্বলতা গুলোকে ভেঙ্গে আমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।

৪২| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৪০

সোহানী বলেছেন: সেনসেটিভ একটি বিষয় নিয়ে এমন উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ করার জন্য ধন্যবাদ পথিক ভাই। আপনার প্রতিটি পয়েন্টই ভাবার সুযোগ আছে। সাথে সবার বিশদ আলোচনায় অনেক কিছুই সামনে এসেছে। তাই আমার এ ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিচর্যা আর নাই করি। শুধু একটিই কথা, কবে আমরা আমাদের ভালো বুঝবো? সীমান্ত হত্যা, চোরাচালানী, পাচার সহ সবকিছুতে নাকগলানো বন্ধ রাখার কি করা যায় সেটাই প্রধান্য দিতে হবে। আর ব্যাক্তিগতভাবে আমি চীনের সাথে সম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে সবসময়ই আগ্রহী। এতে আমাদেরই লাভ।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ছোট মন্তব্য কিন্তু এর গভীরতা অনেক বেশি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমাদেরকে সেনসেটিভ বিষয়গুলো নিয়ে এমন উন্মুক্ত আলোচনার আসর বসাতে হবে। সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে কাদা না জড়িয়েই, কোন পক্ষের পঙ্কিল স্বার্থ্যের ভিতর মাথা না ঢুকিয়েই নিজেদের সুরক্ষা গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। রিসার্স, স্ট্যাডী, ভবিষ্যৎ সম্পদ ব্যবস্থাপনার ট্রেন্ড গুলোকে আগেই বুঝে উঠার মত যোগ্য হতে হবে।

সাথে গঠনমূলক সরকারি ও বিরোধী কিছু রাজনীতিও থাকতে হবে, থাকতে হবে সামাজিক সংগঠন গুলোর ক্রম্বর্ধনশীল চাপ। এতে প্রতিবেশীর আগ্রাসী নীতির বিপরীতে দক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।

সীমান্ত হত্যা, চোরাচালানী, পাচার সহ সবকিছুতে নাকগলানো বন্ধ রাখার কি করা যায় সেটাই প্রধান্য দিতে হবে। আর ব্যাক্তিগতভাবে আমি চীনের সাথে সম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে সবসময়ই আগ্রহী। এতে আমাদেরই লাভ।

আমাদের চাওয়ার মধ্যে দুরুত্ব নেই। আমি চাই বহুপাক্ষিক ন্যায্যতার বিন্যাস।

আমরা প্রতিবেশী বলদ করতে পারবো না। তাদের সাথেই থাকতে হবে। এইজন্য নিজেদের কৌশলী করতে হবে। বুদ্ধিতে বলিয়ান হতে হবে। নিজেদের সম্পদ ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো বুঝতে হবে, নিজেদের যোগ্য করতে হবে।

৪৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাজনীতির কলা কৌশল (কুট কৌশল) আমার মাথায় খুব একটা কাজ করেনা
যে হেতু আমি রাজনৈতিক বিশ্লেষক নই। তবে স্টিকি পোস্ট এবং বিজ্ঞদের
বিশাল বিশাল মন্তব্য আমাকে একপ্রকার বাধ্য করেছে তাদের সাথে একাত্ততা
প্রকাশ করার। ভারত ও চীন উভয়েই আমাদের পরম বন্ধু। ভারত আমাদের
নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র আপদে বিপদে সহয়তা আমাদের স্মরণ রাখতে হবে।
তাছাড়া আমাদের তিন দিকেই ভারতের সীমান্ত। অর্থনীতির সাথে সাথে উন্নয়নের
সম্পর্কও রয়েছে ভারতের সাথে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সাথে চীনের অর্থনৈতিক,
রাজনৈতিক এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা ও বিনিয়োগ রয়েছে। তার পরেও ভারতের
সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কটা বেশি গভীর এবং প্রয়োজনীয়। তবে আমার ধারণা তৃতীয়
পক্ষ যারা ঘোলাপানিতে মৎস্য শিকার করতে চায় তাদের উস্কানীতেও চীনের সাথে
ভারত বড় ধরনের কোন যুদ্ধে জড়াবেনা। তবে যেসব দেশের সাথে আমেরিকার
মিত্র সম্পর্ক রয়েছে তাদের মাধ্যমে চীনকে চাপের মধ্যে রাখার চেষ্টার কুট
কৌশল রয়েছে আমেরিকার। তাই তারাও চাপে ফেলতে পারে বাংলাদেশকে
ভারতের পক্ষে থাকার। তবে বাংলাদেশের উচিৎ হবে কারো সাথে বৈরীতা
নয় সবার সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রেখেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। রাজনীদিতর
কুট কৌশলে পারদর্শীতা দেখাতে না পারলে সমস্যার জালে আটকে পড়বে
বাংলাদেশ। তবে আশঙ্কার কারন নাই কারন আমাদের রাজনীতিবীদরা
বিশ্বমানে কুট কৌশল জানে!

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪৪| ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৩

মোঃ মােজদুল ইসলাম বলেছেন: We have a special relationship (which was to be with Pakistan) with India. Our culture and color everything has a similarity with India, on the other hand political unrest, corruption or traitor of the upper level i.e minister(businessmen) do not let the Govt. In a fixed position or right decision. There is a proverb"jungle is better then other people or own people".Govt. When did not get anything from own people then they go to nearest people. Other proverb came true"barricade eats paddy" became true. We try to stand up through India and they took the chance as the chance asked by Pakistan after India separation .It is really true"unfortunate people looks whatever water becomes dry there".

৪৫| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লেখা। একেবারে নাড়িভুড়িসহ আদ্যপান্ত। :D


১২। ভারত আগে শুধু রূপপুরের পরামর্শক হিসেবে থাকলেও আরো শক্তিশালী লবিং-এর (হুমকি-ধামকিও দিতে পারে) মাধ্যমে এখন নির্মাণকারী হিসেবেও জড়িত। দেখে মনে হচ্ছে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশকে এক বিন্দুও বিশ্বাস করে না এবং বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতেও রাজি নয়। পারমানবিক প্লান্ট...যদি বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে...? বংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার ধ্বজ্জাধারীরা এসব টের পায় নি মনে হয়।

তবে এটা ঠিক যে পিএম ভারত-চীন দুটোর মাঝে কিছুটা হলেও ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করছেন। ভালো। ভারতের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও চীন থেকে সাবমেরিন কেনা এবং এই ক্ষোভে ভারতের মায়ানমারের কাছে সাবমেরিন বিক্রি পিএমকে কিছুটা আল্টিমেটাম দেওয়ারই মতো।

ভারতের এই আগ্রাসী নীতি ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নিজের গদির অস্তিত্বের জন্যে দেশের অনেক স্বার্থ জলাঞ্জলি হয়ে গেলেও কিছু করার নেই চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া। জনগণ বাটে পড়েছে। তেল-গ্যাসের দাম এখন থেকে বছরে একের অধিকবার পরিবর্তন করা যাবে সে বিষয়ে সংসদে বিল পাশ হল...বেচারা জনগণ। :((

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমাদেরকে সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে কাদা না জড়িয়েই, কোন পক্ষের পঙ্কিল স্বার্থ্যের ভিতর মাথা না ঢুকিয়েই নিজেদের সুরক্ষা গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। রিসার্স, স্ট্যাডী, ভবিষ্যৎ সম্পদ ব্যবস্থাপনার ট্রেন্ড গুলোকে আগেই বুঝে উঠার মত যোগ্য হতে হবে।

সাথে গঠনমূলক সরকারি বিরোধী কিছু রাজনীতিও থাকতে হবে, থাকতে হবে সামাজিক সংগঠন গুলোর ক্রম্বর্ধনশীল চাপ। এতে প্রতিবেশীর আগ্রাসী নীতির বিপরীতে দক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।

৪৬| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদেরকে সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে কাদা না জড়িয়েই, কোন পক্ষের পঙ্কিল স্বার্থ্যের ভিতর মাথা না ঢুকিয়েই নিজেদের সুরক্ষা গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। -- এতে একজন নাগরিকের যে পরিমাণ দেশপ্রেম থাকার দরকার তা কি উপরওয়ালা কারো মাঝে দেখা যায়। কিংবা যাদের রয়েছে তাদের কি পলিসি তৈরিতে দাওয়াত দেওয়া হয়। কী মনে হয় আপনার?

রিসার্স, স্ট্যাডী, ভবিষ্যৎ সম্পদ ব্যবস্থাপনার ট্রেন্ড গুলোকে আগেই বুঝে উঠার মত যোগ্য হতে হবে। -- আমি বিশ্বাস করি দেশে যোগ্য লোকের অভাব নেই। তারপরও না পেলে প্রবাসী যোগ্যদের ডেকে নিতে পারে। কিন্তু দেশের স্বার্থে কয়জনকে এভাবে ডেকে এনে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে দু-একজনকে আনা হয়েছিল সেটার অভিজ্ঞতাও সুখকর ছিল না সেই যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য। অধ্যাপক ড. মাকসুদুল আলম (পাটের জিনোম আবিষ্কার) এর উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ভদ্রলোক আক্ষেপ নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন।

সাথে গঠনমূলক সরকারি বিরোধী কিছু রাজনীতিও থাকতে হবে, থাকতে হবে সামাজিক সংগঠন গুলোর ক্রম্বর্ধনশীল চাপ। এতে প্রতিবেশীর আগ্রাসী নীতির বিপরীতে দক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে। -- ঠিক। যা পুচকে ২০ বিলিয়ন ডলার জিডিপির ল্যান্ডলক নেপাল করে দেখাল। আমাদের শেখার আছে।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। রিসার্স, স্ট্যাডী, ভবিষ্যৎ সম্পদ ব্যবস্থাপনার ট্রেন্ড গুলোকে আগেই বুঝে উঠার মত যোগ্য হতে হবে। -- আমি বিশ্বাস করি দেশে যোগ্য লোকের অভাব নেই। আমি এও বিশ্বাস করি বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে না, তবে নলেজ এন্ড টেকনোলোজি ট্রান্সফারের জন্য যা লাগে তা আনতে তো হবেই। দিনশেষে তো আমাদের একটা কানেক্টেড বিশ্ব। তবে এর মাধ্যমে নলেজ রিপ্রডিউস, নতুন নজেল প্রডিউস, এথিক্স ডিফাইনের চক্র গুলোকে সম্পূর্ণ করে যেতে হবে। আমরা চিরকাল বাইরে থেকে লোক ও নলেজ কিনে আনবো তা হতে পারে না।

২। সাথে গঠনমূলক সরকারি বিরোধী কিছু রাজনীতিও থাকতে হবে, থাকতে হবে সামাজিক সংগঠন গুলোর ক্রম্বর্ধনশীল চাপ। এতে প্রতিবেশীর আগ্রাসী নীতির বিপরীতে দক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে। -- ঠিক। যা পুচকে ২০ বিলিয়ন ডলার জিডিপির ল্যান্ডলক নেপাল করে দেখাল।

হ্যাঁ, ঠিক তাই। তবে আমি মনে করি নেপাল একটা অবস্থানে গিয়ে আর ভারতের সাথে সমস্যা করবে না। সে ভারতকে শুধু বুঝাতে যাচ্ছে "রিস্পেক্ট মি"। ভারত যদি প্রতিবেশীর সাথে উইন উইন প্রপোজাল নিয়ে আসতে শুরু করে তাইলে দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই উন্নয়ন এবং শান্তির সুবাতাস বইবে। এখানেও একটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি হওয়া সম্ভব। শুধু দরকার স্বার্থন্ধতা বাদ দেয়া।



৪৭| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: তবে এর মাধ্যমে নলেজ রিপ্রডিউস, নতুন নজেল প্রডিউস, এথিক্স ডিফাইনের চক্র গুলোকে সম্পূর্ণ করে যেতে হবে। আমরা চিরকাল বাইরে থেকে লোক ও নলেজ কিনে আনবো তা হতে পারে না। --- হুম; এবং এই কাজটায় দক্ষিণ কোরিয়া পরে চীন করেছে। প্রথমে টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি, পরে নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ।

অথচ এখানে দেখেন নিজেদের টাকায় সেতু বানাচ্ছি, হাজার হাজার ডলার ঢালছি অথচ টেক-ট্রান্সফারের কোনো বালাই নেই। কতটা অসাধু-অথর্ব-অযোগ্য হলে এতটা অদূরদর্শী আমলাতন্ত্র-প্রশাসন-শাসক হতে পারে। এগুলো নিয়ে দেশের মাথাওয়ালা বুদ্ধিজীবীদেরও হাউকাউ নেই। আমরা দূর-প্রাচ্য কিংবা সাউথ-ইস্ট-এশিয়ার দেশগুলো থেকে কিছু শিখছি না।

সে ভারতকে শুধু বুঝাতে যাচ্ছে "রিস্পেক্ট মি"। ভারত যদি প্রতিবেশীর সাথে উইন উইন প্রপোজাল নিয়ে আসতে শুরু করে তাইলে দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই উন্নয়ন এবং শান্তির সুবাতাস বইবে। এখানেও একটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি হওয়া সম্ভব। শুধু দরকার স্বার্থন্ধতা বাদ দেয়া। --- আমিও তাই মনে করি। এতবড় প্রায় হোমোজেনাস উপমহাদেশের একটি সমাজ-ব্যবস্থা। শুধুমাত্র পেটি স্বার্থের কারণে আমরা ক্যাশ করতে পারছি না।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এতবড় প্রায় হোমোজেনাস উপমহাদেশের একটি সমাজ-ব্যবস্থা। শুধুমাত্র পেটি স্বার্থের কারণে আমরা ক্যাশ করতে পারছি না।

৪৮| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৮

আবদুল মমিন বলেছেন: কিচু দিন আগেও রাস্তা ঘাতে গাইতাম ' গরু তুই মানুশ হলিনা ' সে গরু খাওয়া মানুশ গুলার অবস্থা দেখেই তো বুজা যায় গরুর গু খাওয়া মানুশ গুলা দুনিয়াতে আর কিইবা দিতে পারবে , লাদাখ সিমান্তে ভারতিয় আর্মি না পাঠিয়ে বলিউডের নায়কদের পাঠানো অনেক ভালো ছিল কল্পনায় ও যদি কিছু করা যায় , আমার কাছে মনে হয় দুনিয়ার সেরা বেকুব গুলাই মনে হয় হিন্দুত্ব বাদী হয়ে থাকে চায়ের দোকানদার তার প্রমান ।

২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পোষ্টে অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে কথা আছে। সহ ব্লগারগণ অনেক গঠনমূলক আলাপ করছেন।
এই লাইনে আলাপে অংশগ্রহণ না করে, বলিউডের বিষয় আনাকে ভালো মনে করছি না।

৪৯| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: চীন ও নেপালের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে ড্রাগনভূমি ভুটান ভারতকে সেচের পানি দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

৫০| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রথমে আমাদের জাতির অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড শক্ত করতে হবে। দুনিয়া হোল শক্তের ভক্ত নরমের জম। শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা ও কার্যকরী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনসমর্থন বিহীন সরকারের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের সরকারের কণ্ঠস্বর জোরালো নয়। ভারত বা চীন কাউকেই শত্রু বানানো যাবে না। কারণ এই অঞ্চলে এদের প্রভাব আরও বহুকাল থাকবে। আমাদের কূটনীতি শিখতে হবে। আমাদের কূটনৈতিকরা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও মেধাবী না। ভারত ও চীন আসলে সব কিছু মিটিয়ে ফেলবে। আমরা অকারণে এ ব্যাপারে উৎসাহ দেখাচ্ছি। চীন আর ভারতের মধ্যে, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে এই ধরণের ঘটনা সব সময় কম বেশী চলমান। তবে এবারেরটা ব্যতিক্রম। তবে দুইটি পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধা এত সহজ নয় বিশ্বের জন্যও ভালো নয়।

২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্রথমে আমাদের জাতির অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড শক্ত করতে হবে। দুনিয়া হোল শক্তের ভক্ত নরমের জম। শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা ও কার্যকরী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনসমর্থন বিহীন সরকারের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের সরকারের কণ্ঠস্বর জোরালো নয়। ভারত বা চীন কাউকেই শত্রু বানানো যাবে না।


খুব সেন্সিবল মতামত।
হাইলি এপ্রেশিয়েট!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.