নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেমিটেন্স, ফরেন কারেন্সি ডেবট ও রিজার্ভ!

০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৫

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের স্থিতি ৩৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে।

১। আমদানি একেবারেই কমে গেছে। মেগা প্রকল্প গুলোর গতি একেবারেই বন্ধ বা ধীর হয়ে গেছে।শিল্পের ক্যাপিটাল মেশিনারি ইম্পোর্ট কমতে শুরু করেছে করোনার আগেই। সুতরাং ফরেন কারেন্সি কম খরচ হয়ে রিজার্ভ স্থিতি বেড়েছে। ইউরোপ ও এমেরিকায় লকডাউন ধীরে ধীরে উঠে যাওয়ায় রপ্তানিও পিক করছে আস্তে আস্তে।

২। সরকার অনেক বেশি বৈদেশিক ঋণ নেয়া শুরু করেছে। নতুন বাজেটে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ নেয়ার রেকর্ড টার্গেট সেট করা হয়েছে। এর বিপরীতে নতুন টাকা ছাপানোর একটা যজ্ঞ (টাকশাল পেপার, কালি ইত্যাদি কেনাতেও) শুরু হয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ, আইডিবি, জাইকা, চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার তোড়ঝোড় শুরু হয়েছে। ওয়ার্ড ব্যাংক ও এডিবি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ঋণ ছাড় করেছে। এতে রিজার্ভে প্রভাব পজিটিভ পড়েছে। কথা হচ্ছে আপনি বৈদেশিক ঋণ রেকর্ড বাড়ালে আপনাকে তো রিজার্ভের স্থিতিও রেকর্ড বাড়াতে হবে, নাইলে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করবেন!

৩। এখানে আরো একটা ট্রিক আছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাইজের পাওনা ডলার রিলিজ করার ঠিক আগেই রিজার্ভ স্থিতির সংবাদ সম্মেলন করা হয় বলে এতে কয়েক বিলিয়ন ডলার বেশি দেখায়, এটা একটা চর্চা, এতে সমস্যা দেখি না।

৪। কয়েক মাস পরে ধীরে ধীরে আমদানি,এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাউজের ফরেন কারেন্সি, বৈদেশিক ঋণের কিস্তি নিয়মিত দেয়া শুরু করলে রিজার্ভ কিছুটা কমে আবার ৩০-৩২ এর সেটেল হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার কতটা পিক করে, তার উপর আমদানি পিকের অবস্থা নির্ভর করবে। আমদানী পিক না করলে, মেগা প্রকল্প গুলোর কাজ আবার পুরোদমে শুরু হতে দেরি হলে রিজার্ভ বেশ কয়েক মাস ভালই থাকবে। এই ভালো থাকার সাথে দেশের প্রায় দ্বিগুণ হয়ে পড়া দারিদ্র্য এবং প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া বেকারত্বে উন্নতির কোন সম্পর্ক কি টানা হবে?

৫। অনেকেই বলছেন সরকার ঘোষিত রেমিটেন্স প্রণোদনা হাতিয়ে নিতে, ব্যবসায়ীরা অলস টাকা বাইরে হুন্ডিতে পাচার করে তারপর রেমিটেন্ট হিসেবে দেশে ঢুকানোর একটা চল শুরু করেছে। বাংলাদেশে চুরিতে ইনোভেশনের যে মাত্রা, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক দুর্বিত্তপণার যে গভিরতা তাতে অতি উর্বর মস্তিকের পাচারকারী দল এবং কালো টাকার মালিকরা এটা করে থাকলে আমি খুব অবাক হব না। এটার গভীর তদন্ত দরকার।

তবে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, টাকা দেশ থেকে হুন্ডি করে বাইরে নিয়ে আবার রেমিটেন্স হিসেবে ব্যাংকে আসার পরে যে ২% প্রনোদনা পাওয়া যাবে তা দুটি কনভার্শন লসের রেইটের প্রায় সমান হবার কথা। একটি কনভার্শনে ১% লস হবার কথা। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের নিজস্ব পাচারকারী ও হুন্ডি ব্যবসা থাকলে কনভার্শন লসের হিসাব ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশে বহু নামী দামি ব্যবসায়ী গ্রুপ হুন্ডি, মানব পাচার সহ অভ্যন্তরীণ শিল্পে একযোগে জড়িত। তাই এটা অমূলক নয়।

তদন্তে যদি দেখা যায় প্রণোদনার ২%, ২টি কনভার্শন রেটের যোগফল থেকে বেশি বা সমান হয় তাইলে আমি বলবো রেমিটেন্স প্রণোদনা কিছুটা কমানো হোক, যাতে এই চক্রাকার টাকা পাচার+ ডলার রেমিটেন্স আনার কাজে সিগ্নিফিক্যান্ট এমাউন্ট লস হয়। যদিও এতে প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

তবে ফরেন ব্যাংকিং ট্রাঞ্জেকশান, রেমিটেন্স এবং এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ডেটার সমন্বয় ঘটানো এনালাইসিস, অটোমেটেড সিস্টেম করে, কার্ব মার্কেট মনিটরিং করে, হুন্ডি চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর একশন নিয়ে এই দুর্বিত্তপনা বন্ধ করাই স্থায়ী সমাধান, সাময়িক রেমিটেন্স প্রনোদনাও কালো টাকার মালিকদের থামাতে পারবে না।

মোটকথা রেমিটেন্স প্রণোদনার কারণে ব্যক্তি পর্যায়ে হুন্ডি কমে গেছে বটে, তবে কালো টাকার মালিক রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের চক্রাকার হুন্ডি বেড়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

৬। এখানে আরো কথা আছে, কালো টাকাকে একেবারে ফকফকে সাদা এবং ভবিষ্যতে বৈধভাবে আবারো বিদেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরির জন্য, পদ্ধতিগত সুবিধা নিবে। এক্ষেত্রে অবৈধ আয়কারী রাজনীতিবিদরা, কালো টাকার মালিকরা কনভার্শন লসেও রেমিটন্স প্রণোদনার সুযোগ নিয়ে থাকবে। যেহেতু নতুন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সব বাঁধা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে, আবারো বলছি এই দিকটা, তদন্ত সাপেক্ষ। তবে অলস কালো টাকা যদি -১-১+২=০% এ, কিংবা কিছু লসেও বিনিয়োগ উপযোগী ফরেন কারেন্সি কিংবা ফকফকে সাদা বাংলা টাকা হয়ে যায় তাতেও ব্যবসায়ীরা কখনই আপত্তি করবে না।


৭। ফেব্রুয়ারি থেকে টানা রেমিটেন্স কমে হঠাত গত মাসে বাড়ার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, তা হচ্ছে লকডাউন আফটার ইফেক্ট। লকডাউন অনিশ্চয়তায় প্রবাসিরা না পাঠিয়ে কিছু সঞ্চয় রেখে দিয়েছেন চলার জন্য, অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। যেহেতু বিদেশে লকডাউন খুলতে শুরু করেছে, কাজ শুরু হয়েছে, তাই উনারা টাকা পাঠানো শুরু করেছেন। এতে হঠাত রেমিটেন্স বেড়েছে।

৮। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এখন অসুখ বিশুখ লেগে আছে। পরিবারের অনেকেই অসুস্থ, চিকিৎসার বেশি টাকা দরকার খুব। তাই প্রবাসীরা ধার দেনা করেও কিছু টাকা বেশি পাঠাতে শুরু করেছেন। পরিচিত অনেকের ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটেছে।

৯। জুনে রেমিতেন্স বাড়ায় রমজান ও রোজার ঈদের প্রভাব ছিল।গতমাসে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির মূল কারণ হলো রমজান মাসে প্রায় প্রতিজন প্রবাসী চেষ্টা করে দেশে টাকা পাঠানো জন্য, এটা বছরের পিক মাস। রেমিট্যান্স ফ্লো স্বাভাবিক থেকে কমবে ব্যাপকভাবে কারণ লকডাউন উঠে গেলেও চাকরীর পরিস্থিতি ঠিক হয় নাই,সৌদি আরবে হজ্জ্ব কেন্দ্রিক কর্মসংস্থানও প্রায় বন্ধ,তাই প্রবাহে ব্যাপক পরিবর্তন হবে নিশ্চিত।।

কয়েক মাসের মধ্যেই ধীরে ধীরে আমদানি আর এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাউজের ডলার, বিদেশ নির্ভর মেগা প্রকল্প শুরু, আমদানি বৃদ্ধি, বৈদেশিক ঋণের কিস্তি নিয়মিত দেয়া শুরু করলে রিজার্ভ কিছুটা কমে আবার ৩০-৩২ এর সেটেল হবে। প্রায় ৫০ থেকে ৫৭ বিলিয়ন ফরেন কারেন্সি ডেবট এর বিপরীতে ৩২-৩৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ স্থিতির রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্থিতি থাকা খুবই দরকার। যেহেতু বৈদেশিক ঋণের আউট স্ট্যান্ডিং বেড়েছে তাই আপানকে আনুপাতিক হারে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভের স্থিতিকে বাড়াতে হবে।

ঠিক একবছর আগে, জুন ২০১৯ এ বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ ৬৭ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু গত একবছরে রেকর্ড প্রায় ৭১ হাজার টাকা অভ্যন্তরীণ ঋণ করেছে সরকার, যা বিগত ৪৭ বছরের মোট ঋণের সমান। পাশাপাশি ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ করেছে সরকার। ফলে বর্তমানে মাথাপিছু ঋণ ৮০-৯০ হাজারের মধ্যে বলেই মনে করি। আওয়ামীলীগ সরকারের বিগত ১২ বছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণ অন্তত ১১ গুণ বেড়েছে। এইসময়ে ঋণের সুদ প্রদান কথিত মেগা বাজেটের ৩য় সর্বোচ্চ একক (১১%+) খাত হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।

তাই বলছি, করোনা লকডাউন উন্মুক্ত হওয়া, আমদানি প্রায় বন্ধ থাকা, পারিবারিক অসুস্থতা জনিত বাস্তবতার মধ্যে রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে, রিজার্ভের রেকর্ড স্থিতিতে লাফালাফির কিছু নেই। বরং সেন্সিবল ঋণ ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছ খরচের পরিকল্পনা চাই। এই পরিকল্পনার সাথে করোনার কারণে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে পড়া দারিদ্র্য এবং প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া বেকারত্বে উন্নতির সম্পর্ক টানা হোক।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে রিজার্ভ এর অবস্থা মাশাল্লাহ ভালো।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আর ঋণ?

কয়েক মাসের মধ্যেই ধীরে ধীরে আমদানি আর এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাউজের ডলার, বিদেশ নির্ভর মেগা প্রকল্প শুরু, আমদানি বৃদ্ধি, বৈদেশিক ঋণের কিস্তি নিয়মিত দেয়া শুরু করলে রিজার্ভ কিছুটা কমে আবার ৩০-৩২ এর সেটেল হবে। প্রায় ৫০ থেকে ৫৭ বিলিয়ন ফরেন কারেন্সি ডেবট এর বিপরীতে ৩২-৩৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ স্থিতির রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্থিতি থাকা খুবই দরকার। যেহেতু বৈদেশিক ঋণের আউট স্ট্যান্ডিং বেড়েছে তাই আপানকে আনুপাতিক হারে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভের স্থিতিকে বাড়াতে হবে।

ঠিক একবছর আগে, জুন ২০১৯ এ বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ ৬৭ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু গত একবছরে রেকর্ড প্রায় ৭১ হাজার টাকা অভ্যন্তরীণ ঋণ করেছে সরকার, যা বিগত ৪৭ বছরের মোট ঋণের সমান। পাশাপাশি ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ করেছে সরকার। ফলে বর্তমানে মাথাপিছু ঋণ ৮০-৯০ হাজারের মধ্যে বলেই মনে করি। আওয়ামীলীগ সরকারের বিগত ১২ বছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণ অন্তত ১১ গুণ বেড়েছে। এইসময়ে ঋণের সুদ প্রদান কথিত মেগা বাজেটের ৩য় সর্বোচ্চ একক (১১%+) খাত হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গুগলে যান, বাংলাদেশ ব্যাংক লিখে সার্চ দেন। প্রতিটি লোগোর লিংক চেক করেন। কনটেন্ট নিয়ে আলাপ নাই। আসছে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে লেখায় ব্যাংকের লোগো ব্যবহার নিয়ে।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন, " চাঁদগাজী, তার ছদ্ম নিক আর তার পোষা পঙ্গপাল হানা দিচ্ছে। এদের মুখোশ উন্মোচনে এদের কমেন্টই যথেষ্ট। "

-আপনি খুবই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপুর্ণ ব্যাপারগুলো নিয়ে লেখেন; কিন্তু আপনার ভুল ধারণার কারণে এগুলো সঠিকভাবে উঠে আসে না; বরং বিভ্রান্তকর ধারণা দেয়।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সঠিকভাবে উপস্থানের জন্য আপনি লিখছেন না কেন? আমার এখানে এসে, যুক্তি, তথ্য, উপাত্ত দিয়ে মন্তব্য খণ্ডন না করে উটকো মন্তব্য করেন কেন?

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি যেসব বিষয়ে লিখি সেসব বিষয়ে আপনার জ্ঞান কতটুকু? না থাকলে জ্ঞান অর্জন করে যুক্তি, তথ্য, উপাত্ত দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন না কেন?

আমি পয়েন্ট ধরে, উপাত্ত দিয়ে বক্তব্য দেই। আপনার যোগ্যতা থাকলে প্রতি পয়েন্টের বিপরীতে পাল্টা বক্তব্য নিয়ে আসেন।
যুক্তির বিপরীতে যুক্তিই ব্লগিং।

আপনি এই ব্লগে মাফিয়া সেজেছেন।

উপরের কমেন্ট গুলো দেখে আসেন, আপনার প্রথমটা সহ, নিজেই কি দিয়ে শুরু করেছেন।

"আপনার পোষ্ট পড়ে সময় নষ্ট" যদি তাই হয়, আর যদি পাল্টা যুক্তি না থাকে তাইলে, .।.।.।.।.।বারবার আসেন, কেন আসেন?

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " সঠিকভাবে উপস্থানের জন্য আপনি লিখছেন না কেন? আমার এখানে এসে, যুক্তি, তথ্য, উপাত্ত দিয়ে মন্তব্য খণ্ডন না করে উটকো মন্তব্য করেন কেন? "

-এসব বিষয়গুলো অনেক বড় ও কমপ্লেক্স, এগুলোকে মন্তব্য করে ঠিক করতে হলে, আপনার পোষ্ট থেকে ৪ গুণ বেশী লাইন টাইপ করতে হবে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনার পোষ্ট থেকে ৪ গুণ বেশী লাইন টাইপ করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চার গুণ কেন দরকার হলে আট গুণ করবেন।

দেশের উপকারে আসলে ১৬ গুণ করবেন।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩১

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @লেখক, চাঁদগাজী সম্ভবত কোনো মানুষ নয়, ব্লগের হিট ও কমেন্ট বাড়ানোর জন্য একটি রবোট, তবে খুবই নিম্নশ্রেণীর রবোট, অনেক আপডেট বাকি আছে তার, নিজের সাধারণ প্যারাডক্সগুলোই এখনও ধরতে পারে না এ। এর মন্তব্য পড়া ও তার জবাব দেয়া মানবজীবনের বড় অপচয়। একে ব্লক করে দেখতে পারেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এর মন্তব্য পড়া ও তার জবাব দেয়া মানবজীবনের বড় অপচয় হয়ত ঠিক বলেছেন।

একে ব্লক করে দেখতে পারেন। কাউকে ব্লক করতে চাই না।

আমার বক্তব্য এত স্পষ্ট আর যুক্তি এত প্রখর যে কাউকে ব্লক করার প্রয়োজন মনে করি না।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "আপনি এই ব্লগে মাফিয়া সেজেছেন। উপরের কমেন্ট গুলো দেখে আসেন, আপনার প্রথমটা সহ, নিজেই কি দিয়ে শুরু করেছেন। "আপনার পোষ্ট পড়ে সময় নষ্ট" যদি তাই হয়, আর যদি পাল্টা যুক্তি না থাকে তাইলে, .।.।.।.।.।বারবার আসেন, কেন আসেন? "

-আমি যদি ব্লগে মাফিয়াগিরি করি, হাজার ব্লগার মুখ বন্ধ উহা করে সহ্য করবেন? আপনি স্কুলের বাচ্চার মতো অভিযোগ করছেন। বারবার আসি, কারণ দেখতে চাই, আপনি কি উত্তর দিচ্ছেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কমেন্টে কি লিখেছি সেটা পড়ার আগে পোষ্ট খানা ভালোভাবে পড়ে নিয়েন।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দরকারের চেয়ে বেশী রিজার্ভ থাকলে কোনও লাভ নাই। আমাদের ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি কমে গেছে। এটাও রিসার্ভ বারার একটা কারণ। কিন্তু এর মানে হল দেশে শিল্পায়ন কমে গেছে। এটা ভালো লক্ষণ না। এই রিজার্ভ থেকে আমদানিকারকদের তার ডকুমেন্ট নিষ্পত্তির জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া উচিত (Export development fund এর মত)।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ২:১০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এড করে নিলাম।

আমি গতবছর একটা এনালাইসিসে এটা বলেছি। আনুমানিক মার্চ-এপ্রিল ২০১৯ থেকেই ক্যাপিটাল মেশিনারির আমদানি কমতে শুরু করেছে।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৪

মানতাশা বলেছেন: @এক নিরুদ্দেশ পথিক পঙ্গপাল আসিবেই ।উহাদের স্বভাব এমন।উহারা মূল বচন বাদ দিয়া তুচ্ছ বিষয় লইয়া কামড়ানো আরম্ভ করিবে । তাহারা ক্ষতিকর ।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩১

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার পোষ্ট মনে হচ্ছে অনেক পর্যবেক্ষনের ফসল। আমি অর্থনীতির কিছুই বুঝিনা। কিন্তু আপনার পোষ্ট পড়ে ২% রেমিটেন্স প্রনোদনা আসলে কালো টাকাকে সাদা করার পদ্ধতি বলে মনে হলো জানিনা আমার ধারনা ঠিক কিনা।
রিজার্ভ বেশী এটা মনে হয় রাজনৈতিক স্টান্টবাজী। রিজার্ভ বৃদ্ধিকে কি অর্থনৈতিক স্থবিরতা বলা যায় ? আমি জানিনা জানাবেন নিশ্চয়ই।
এত রিজার্ভ যদি বেকারত্ব দুর করতো খুশী হতাম। মাথাপিছু ঋণ কমাতো খুশী হতাম। বড় বড় উচ্চাকাংখী প্রকল্পে সরকারী বিনিয়োগে কর্মসংস্থান বাড়ছে কি ? মুদ্রাস্ফিতি তো বাড়ছে এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
একসাথে অনেক প্রকল্প না নিয়ে যদি পর্যায়ক্রমে নেওয়া হতো যেমন পদ্মা সেতুর কাজ ৮০% শেষ হওয়ার পর মেট্রোরেলের কাজ শুরু হতো তাহলে সেটা অর্থনীতিতে কি কোন ইতিবাচক বা নেতিবাচক ফল আনতো জানতে ইচ্ছে করে, কারন আমার মনে হয় প্রকল্প গ্রহনের ক্ষেত্রে সাধারন মানুষের স্বার্থের চেয়েও কোন কোন ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত স্বার্থ বেশী প্রভাব ফেলে আপনার ধারনা কি ?
একটা উদাহরন : সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সাহেব ঢাকা সিলেট লাইনে বাইপাস তৈরী করেছেন কিন্তু আমার মনে হয় রাষ্ট্রের প্রয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রাম লাই ডবল করাটার প্রায়োরিটি বেশী ছিল যাতে দেশের দুর-দুরান্তের এক্সপোর্ট/ইম্পোর্ট পন্য কন্টেনার ট্রেনে করে বন্দরনগরীতে তাড়াতাড়ী পাঠানো যায় এবং আমদানী পন্যও তাড়াতাড়ী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো যায়,একই সাথে বিদেশী জাহাজের স্টে-টাইম কমিয়ে (ডলারে জরিমানা এড়িয়ে) আমদানী-রফতানীর গতিবৃদ্ধি করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অর্থনীতির বিস্তৃতি ঘটানো যেত।
এটা খুব সামান্য একটা উদাহরন কিন্তু আপনারা যারা এ বিষয়ে বোদ্ধা তারা নিশ্চয়ই আরো অসংখ্য উদাহরন দিতে পারবেন।
আপনার পোষ্টটি পড়ে ভাল লাগলো (যদিও অর্থনীতির 'অ' জ্ঞানও নেই :D )
ভাল থাকুন নিরুদ্দেশ ভাই।

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: অর্থনীতি ভালো বুঝিনা। কিন্তু তখন খবরে দেখলাম রেমিটেন্সের রেকর্ড হয়েছে, রিজার্ভ বেড়ে গেছে, তখন হিসাব মিলছিল না। আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক কিছু ক্লিয়ার হলো!!

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: রেকর্ড় পরিমান রেমিট্রান্স এসেছে । রিজার্ভ ভালো

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি অর্থনীতি বুঝি না। অর্থনীতির সুত্র গুলোও বুঝি না। আমি বুঝি- আমি আমাদের দেশটাকে ভালোবাসি। দেশের ভালো চাই। দেশের সব মানুষ যেন ভালো থাকে।

১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫১

রাতুল_শাহ বলেছেন: অর্থনীতি কম বুঝি, তবে এটা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, মাথা নষ্ট হয়ে যায়। নীতি নির্ধারক, অনেক মেগা প্রজেক্ট করছেন, যেগুলোর মধ্যে কিছু্র কোন প্রয়োজনীয়তা দেখি না।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তরা ঋণ সুবিধা কেমন পায় জানিনা, তবে শুনে থাকি তারা ঋণ পায় না। বড় উদ্যোক্তরা তো বড় ঋণ নিয়ে খেলাফি হয়ে বিদেশ যাচ্ছে, ছোট উদ্যোক্ততাদের কেন সুবিধা দেয় না বুঝি না।

চীন আর ভারত ছাড়া আমরা আর কারো সাথে মেগা প্রজেক্টের কাজ করছি না। নিজেদের কর্মীদের দক্ষ করার কোন উদ্যোগ দেখি না। খুব হতাশ লাগে।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: নিজেদের কর্মীদের দক্ষ করার কোন উদ্যোগ দেখি না। খুব হতাশ লাগে।

আমারও!

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১২

সোনালি কাবিন বলেছেন: মানতাশা বলেছেন: @এক নিরুদ্দেশ পথিক পঙ্গপাল আসিবেই ।উহাদের স্বভাব এমন।উহারা মূল বচন বাদ দিয়া তুচ্ছ বিষয় লইয়া কামড়ানো আরম্ভ করিবে । তাহারা ক্ষতিকর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.