নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। তার লেখা বই ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ’ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। তরুণ এ লেখক বর্তমানে সিনিয়র সফটওয়্যার সল্যুশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডসে কর্মরত। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের নতুন বই ‘বাংলাদেশ অর্থনীতির ৫০ বছর’।
গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার শপথে ১৯৭১ সালে অর্থনৈতিক শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে চিরস্থায়ী মুক্তির এক আলোকযাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এবার বাংলাদেশের অর্থনীতিও সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্পণ করতে যাচ্ছে।
সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমাদের অবস্থান আজ ঠিক কোথায়, এ মূল্যায়ন একান্তই দরকার। সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ বছরের অর্জন ও ব্যর্থতাগুলোর পর্যালোচনা করা সময়ের দাবি। প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ, সরকারগুলোর সাফল্য ও ব্যর্থতার বিচার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব অর্জনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে আত্মজিজ্ঞাসার মাধ্যমে নতুন পথপরিক্রমার সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরি করাই এখন প্রধান কর্মপন্থা হওয়া উচিত।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন ধারণ করে বিগত একদশক পথ চলেছে বাংলাদেশ, সেই সঙ্গে একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে নিজেকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করার অঙ্গীকার করেছে। একসময়ে দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের এমন মর্যাদা নিশ্চয়ই একটা মহিমান্বিত বিষয়।
পাশাপাশি হীরক জয়ন্তী (৬০ বছর পূর্তি), প্লাটিনাম জয়ন্তী (৭৫) কিংবা শতবর্ষ জয়ন্তীতে আমাদের অর্থনীতি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যগুলো ঠিক কী হবে, তার আলোচনা এখনই শুরু হয়ে যাওয়া ভালো। অর্থনৈতিক, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা ও বাক-স্বাধীনতায় আগামী আমাদের গন্তব্য কোথায় হবে, তা নিয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষের বোঝাপড়া জরুরি বিষয়। তার জন্য চাই, দেশের নাগরিক সমাজ, প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্র, সরকার, রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের মধ্যে অতীত অর্থনীতির সাফল্য ও ব্যর্থতার ধারাগুলোকে উপলব্ধি করা, যার মধ্যমে নতুন বোঝাপড়াগুলো তৈরি হবে। এই উপলব্ধির ভিত্তিতেই তৈরি হবে রাষ্ট্রীয় অর্জনের নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপকল্প, লক্ষ্য ও অভিলক্ষ্য।
‘বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর’ স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক গ্রন্থ। এখানে অর্থনীতি শাস্ত্রের বিদ্যায়তনিক (একাডেমিক) ও তাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। বরং এটা বাংলাদেশের গত ৫০ বছরের চলমান অর্থনীতির চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য আলোচনার একটা সহজ ধারা বিবরণী। সাধারণ পাঠকের বোধগম্য করতে শ্রেণিকক্ষে পঠিত জটিল অর্থনৈতিক বিষয়কে আলোচনা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেসব প্রায়োগিক আর্থসামাজিক সূচক দিয়ে অর্থনীতির অবস্থা বা দেশের আর্থিক খাতের স্বাস্থ্যকে বোঝার চেষ্টা করা হয়, এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূচকের আলোচনা আনা হয়েছে। একেবারে শেষে গিয়ে সামান্য কিছু তাত্ত্বিক আলোচনা করা হয়েছে।
বইটিতে চারটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে দেখানো হয়েছে যে, বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিরই একটা বড় চরিত্রগত বাঁক তৈরির সময়ে, একটা বৈশ্বিক ক্রান্তিকালে। শীতল যুদ্ধকালীন বিশ্ব অর্থনিতির আচরণগত যেসব বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করেছে, তার একটা ছোট বিবরণ দেয়া হয়েছে এ অধ্যায়ে। এরপর বাংলাদেশের ৫০ বছরের শাসনকালকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। অর্থনৈতিক ধারার বিচারে সমজাতীয় শাসনকাল বা সরকারগুলোকে একই ভাগে রাখা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন ও ব্যর্থতা আলোচনার পাশাপাশি এই সময়ের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত কীভাবে বর্তমানকেও প্রভাবিত করছে, তার সীমিত কিছু বর্ণনা দেয়া আছে। উন্নয়ন অর্থনীতির ধারাবিবরণী উপস্থাপনে বইটিতে জিডিপিকেন্দ্রিক বিশ্লেষণ প্রাধান্য পেয়েছে ঠিক, তবে জিডিপি’র সঙ্গে অপরাপর কিছু সূচকের অসামঞ্জস্যকেও প্রশ্ন করা হয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে বর্তমান অর্থনীতির প্রধান খাতগুলো অতি সংক্ষেপে তুলে আনা হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থাকে (পারফরম্যান্স) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আর্থসামাজিক সূচকের মাধ্যমে উপস্থাপনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনীতিকে লেখকের সম্পাদকমণ্ডলীর ব্যক্তিগত বিবেচনায় না দেখে একটা বহুপক্ষীয় বিবেচনায় দেখার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার তথ্য-উপাত্ত ও অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে উদ্ধৃতি নিয়ে সেগুলোকে পরস্পর সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে দারিদ্র্য বিমোচন একটি প্রধানতম টাস্কফোর্স বলে এই বিষয়কে অতি সীমিত পরিসরে আলোচনার জন্য প্রাসঙ্গিক মনে করেছি। দারিদ্র্য বিমোচন স্বধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কার্যক্রম। বাংলাদেশের বেসরকারি দারিদ্র্য বিমোচন মডেল বিশ্বে প্রশংসিত। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা মহামারির প্রক্ষাপটে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের চলমান সরকারি ও বেসরকারি কৌশলের নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকে এই অধ্যায়ে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আলোচনায় আনা হয়েছে। অধ্যায় তিনে দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন কৌশলের দরকার কেন তার উপলব্ধি তৈরির সামান্য একটা চেষ্টা করা হয়েছে।
চতুর্থ অধ্যায়ে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি যে, ২০১৩-১৪ সালের পূর্বের অর্থনীতির চেয়ে বৈশিষ্ট্যগতভাবে কিছুটা ভিন্ন, তা আলোচনা করা হয়েছে। এখানে রাজস্ব আয়, আমদানি-রপ্তানি, বিদ্যুৎ ও ভোক্তা বাজার, প্রবাসী আয়, খেলাপি ঋণ, সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের ট্রেন্ডগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিশ্বব্যাংকের তথ্য ও উপাত্ত সহকারে পর্যবেক্ষণগুলো তুলে ধরা হয়েছে অধ্যায়ের শুরুর দিকে। পরের অংশে মূলত তিনটি মৌলিক প্রশ্ন এবং একটি সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরকে সামনে রেখে আলোচনা এগিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তি তৈরি করতে সীমিত পরসরে প্রাসঙ্গিক তাত্ত্বিক আলোচনাকে আনা হয়েছে। যেমন
এক. সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে অর্থনীতির সম্ভাব্য অবস্থান কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তরের পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করতে আধুনিকায়নের তত্ত্ব বা রস্ট থিউরি নিয়ে আলোচনা করে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। আলোচনা যাতে একদিকদর্শী (বায়াসড) হয়ে না যায়, সেজন্য উন্নয়ন আধুনিকায়ন তত্ত্বের সমালোচনাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে ঠিক এখানেই স্বাধীনতা-উত্তর উন্নয়ন দর্শন, রাজনৈতিক অর্থনীতির দর্শনের ক্ষতগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়াস লক্ষণীয়। দুই. গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অবনমনকালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ভঙ্গুরতার লক্ষণ আছে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডগলাস নর্থের লিমিটেড এক্সেস থিওরির আলোচনা করতে হয়েছে। তিন. অর্থনীতিতে মন্দার কোনো আশঙ্কা আছে কি? প্রফেসর হাইম্যান মিনিস্কির মডেল আলোচনা করে এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। চার. বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ব্যাখ্যা করা কঠিন কেন? অর্থাৎ প্রগতিশীল উদারনীতিবাদ কিংবা নয়া উদারনীতিবাদÑকোনোটিরই ন্যূনতম তাত্ত্বিক ‘উপযোগ’ প্রাপ্তির দিক থেকে সহজে আমাদের অর্থনীতিকে ব্যাখ্যা করা কঠিন কেন? এ সম্পূরক বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।
সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতির অতীতের মূল্যায়ন ও পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে মানুষের মাঝে রাষ্ট্র ভাবনার নতুন চিন্তার বিকাশ ও প্রকাশ ঘটে, মানুষের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী সাম্যচিন্তা প্রবল হয়ে ওঠে। নতুন আশা ও স্বপ্ন নিয়েই উদযাপিত হয় জয়ন্তী উৎসব। ঠিক এমন একটি মহৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখেই ‘বাংলাদেশ অর্থনীতির ৫০ বছর’ পুস্তক প্রকাশের আয়োজন। বইটি প্রকাশের জন্য এর সময় উত্তম সময় আর হয় না। তাই আশা করা বলা যায়, বইটি সুধী বিদগ্ধ পাঠকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
বইটির বিষয়ে প্রাজ্ঞজনের অভিমত ও মূল্যায়নও সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রিয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক আলোচনায় ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের এ বই নতুন মাত্রা যোগ করবে। অনুপুঙ্খ, তথ্য সমৃদ্ধ, বিশ্লেষণী এবং সহজবোধ্য এই বই পাঠকদের কেবল প্রচলিত ব্যাখ্যার বাইরে চিন্তা করতেই সাহায্য করবে তা নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ পথরেখা তৈরিতে উৎসাহীদের জন্যও সহায়ক হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরের অভিমত, বইটিতে বহু তথ্য-উপাত্তের সমাহার সত্ত্বেও প্রতিটি অধ্যায়ের আলোচনা সাধারণ পাঠকের জন্য সহজবোধ্য ও সাবলীল হয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। বইটির শেষ অধ্যায়ে অর্থশাস্ত্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বের আলোকে পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান বোঝার এবং সংক্ষেপে তত্ত্বগুলোর সীমাবদ্ধতা আলোচনার প্রয়াস লক্ষণীয়।
গবেষক, কলাম লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক বলেন, লেখক অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণের আলোকে পঞ্চাশ বছরের অর্থনীতিকে সাধারণের কাছে সুখপাঠ্য করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। নিও-লিবারেলিজমের পক্ষ-বিপক্ষের গতানুগতি আলোচনার বাইরে এসে উন্নয়ন দর্শনের যে চমৎকার বয়ান উপস্থাপন করেছেন লেখক, তা পাঠক আবেদন তৈরি করবে।
নেদারল্যান্ডস দ্য হেগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, গত ৫০ বছরের অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের বস্তুনিষ্ঠ, সাহসী ও সময়োপযোগী বিবরণ।
আমস্টারডম ও বস্টন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন গবেষক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষক সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র তুলে আনায় ‘বাংলাদেশ অর্থনীতির ৫০ বছর’ গ্রন্থটি একটি আকর গ্রন্থের মর্যাদা লাভে সক্ষম হবে।
বইটির প্রকাশক আদর্শ। প্রচ্ছদ: সব্যসাচী মিস্ত্রী। আমরা বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।
আবদুল মকিম চৌধুরী
২২ মার্চ ২০২০, দৈনিক শেয়ারবিজ
২৩ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
‘বাংলাদেশ অর্থনীতির ৫০ বছর’ বইটির পর্যালোচনা খুব ভাল লেগেছে ।
বইটির কনটেন্ট এর বিষয়ে একটি সার্বিক ধারনা পাওয়া গেল ।
বইটি সংগ্রহের জন্য প্রবল আগ্রহ জাগছে ।
অসুস্থতাহেতু নীজে বই মেলায় গিয়ে এই সময়ে বইটি সংগ্রহ করতে পারবনা ।
তাই আমার একজন প্রতিনিধিকে মেলায় পাঠাব বইটি সংগ্রহের জন্য ।
অনুগ্রহ করে বইটির দাম সম্পর্কে একটি ধারণা দিলে খুবই সুবিধা হয় ।
লেখাটিকে প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
বইটি সার্বিক সাফল্য কামনা করছি, সে সাথে লেখক হিসাবে
আপনার প্রতিউ রইল প্রাণডালা অভিনন্দন ।
২৩ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো প্রিয় গবেষক ডঃ এম এ আলী।
আমার অপার সৌভাগ্য!
বই সংগ্রহ করতে পারলে, একটা ভালো-মন্দ রিভিউ করে দিবার আবেদন জানাই।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫১
অক্পটে বলেছেন: পর্যালোচনা খুবই ভালো লেগেছে, বইটি সঙগ্রহ করতে হবে। সাধরণের জন্য জটিল বিষয়কে যদি সুখপাঠ্য করা যায় তবে সেই বই পড়ার মজাই আলাদা।
২৩ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সাধরণের জন্য জটিল বিষয়কে যদি সুখপাঠ্য করা যায় তবে সেই বই পড়ার মজাই আলাদা।
খুব সুন্দর করে বলেছেন।
বই সংগ্রহ করতে পারলে, একটা ভালো-মন্দ রিভিউ করে দিবার আবেদন জানাই।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সংগ্রহ করার মত বই। আপনিও সুন্দর আলোচনা করেছেন
২৩ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই বই লেখায় অভিনন্দন আপনাকে। শুভেচ্ছা আপনার ভবিষ্যৎ প্রকল্পসমূহে। সুযোগ হলে সংগ্রহ করবো।
২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ সাজিদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: বইটি সংগ্রহ করবো।