নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়সাল আই

ফয়সাল আই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার জীবনে প্রথম সেন্টমার্টিন দেখা

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

ছোট বেলা থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেখার একটা প্রবল ইচ্ছা ছিলো। একবার খুব কাছে যেয়েও মিস করে ফেলছিলাম। দীর্ঘদিন কোন সুযোগ আসছিলো নাহ অবশেষে সেই দিনটি এলো ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর।
আমার মধ্যে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেখার উত্তেজনা। কর্মজীবনে সোনালী অতীত হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শিক্ষা সফর।
এমনই একটি স্মৃতির অংশ হতে আমিও গিয়েছিলাম স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টের ২০১৮ সালের সেন্টমার্টিন ট্যুরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ শিক্ষা সফরে গিয়েছিল দ্বারুচিনি দ্বীপ খ্যাত সেন্টমার্টিনে।
৭ নভেম্বর ছিলো ঐদিন। দুইটি বাসে আমরা গিয়েছিলাম টেকনাফ। ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয় আমাদের যাত্রা।
অনেক মজা করতে করতে পথ চলতে চলতে কুমিল্লার নূরমহল হোটেলে থামলো আমাদের গাড়ি খাবার বিরতির জন্য । কিছুক্ষণ বিরতি দেয়ার পর আমাদের জাদুর গাড়ি মহাসড়ক ধরে চলছে সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশ্য।
অন্ধাকারের মধ্যে গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে, এভাবে চলতে চলতে আমরা কক্সবাজারের উখিয়াতে পৌঁছাই। চোঁখে পড়লো মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ক্যাম্প। অনেকে ক্যাম্পের ছবি তুলতে শুরু করলো। আস্তে আস্তে আমরা যাচ্ছি টেকনাফের দিকে। একটু করে সূর্যের আলো ফুটতে শুরু করেছে। কি সুন্দর স্নিগ্ধ সকাল! এমন সকাল দেখিনি কখনো।আঁকাবাকা রাস্তা, কখনো মাঠ,
কখনো পাহাড়ি টিলা।
টেকনাফ এসে পৌঁছুতে প্রায় ৮ টা বেজে গেলো। সকালের এক ভিন্ন সূর্য, অচেনা-অদেখা পরিবেশ। অন্যরকম ভালো লাগা অনুভব করতে লাগলাম আমি। নাফ নদীতে দাঁড়িয়ে আছে সিন্দাবাদ, অসীম কৌতূহল নিয়ে সবাই হেঁটে যাচ্ছি সিন্দাবাদের কাছে। এ এক অন্যরকম ভালো লাগা, অন্য রকম অনুভূতি!
আমি জীবনে প্রথম শিপে উঠতে যাচ্ছিলাম,চোখে মুখে রাজ্যের বিস্ময়, ডেকসহ পুরো জাহাজ কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আমরা সবাই উঠে পড়লাম।
নাফ নদীর পানি অনেক বেশি সচ্ছ, সাদা রং-এর গাঙচিল আর পরিষ্কার আকাশ। এমন অপূর্ব দৃশ্য জীবনে প্রথম। আমি পাখিদের ছবি তুলতে লাগলাম সেই মুহূর্তে আমি বেশি আনন্দিত ছিলাম। নিজেকে পৃথিবীর সেরা ও সুখী মানুষ মনে হচ্ছিলো।
আস্তে আস্তে নাফ ছেড়ে আমরা সাগরের মোহনায়। বিশাল জল রাশি বড় বড় ঢেউ কাটিয়ে জাহাজ যাচ্ছে সেন্টামার্টিনের দিকে। আমরা একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি নারিকেল জিঞ্জিরার দিকে। অবশেষে এসে পৌছালাম আমার সপ্নের দ্বীপে। আমার মধ্যে তখন অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করছিলো। চারিদিকে নীল সচ্ছ পানি একদম পানির নিচ পর্যন্ত পরিস্কার ভাবে দেখা যাচ্ছিলো। সপ্নের দ্বীপটিকে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। ক্যামেরায় ছবি ধারন করতে লাগলাম। জীবনে অনেক ছবি তুললেও এই মুহূর্তগুলো জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তের একটি হয়ে থাকবে আজীবন।
২য় দিনে আমরা সবাই ছেঁড়া দ্বীপে গেলাম। প্রথমে একটা গ্রুপ ছবি তুলি। এরপরে সবাই যে যারমতো ঘুরতে লাগলো। আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগলাম ছেঁড়া দ্বীপের সৌন্দর্য। কিছু সৌন্দর্য ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করে নিলাম। এর পরে ফিরে আসি ট্রলারে । তারপর সবাই মিলে দলবেঁধে যাই গোসলে। হই-হুল্লোড় করতে করতে সবাই মিলে গোসল করে আসি।
বিকেলের সূর্য অস্তটা খুব কাছ থেকে দেখলাম।
তারপর রাতে খাবারের পর র‌্যাফেল ড্র, কৌতুক, গান, ক্যাম্প ফায়ারে অসাধারণ কিছু সময় কাটল। যা জীবনের ফ্রেমে এক সোনালী সময় হয়ে থাকবে বহুযুগ পরেও। সবার মনে কিছুটা খারাপ লাগা কাজ করলেও ফিরে যেতেই হবে আবার সেই নগরে। আবারও সিন্দাবাদে উঠেছি আমরা। যাচ্ছি ছেড়ে এই যাদুর দ্বীপ। আবার কবে আসবো জানি না
পরিসমাপ্তি হলো ২০১৮ সালের বিভাগীয় আরো একটি শিক্ষা সফরের। স্মৃতির পাতায় জমা হলো আরো একটি সোনালী অধ্যায়ের

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা। আমি সেন্টমার্টিন গিয়েছিলাম ২০১৪ সালে।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রকৃতির কিছু ছবি দিলে ভালো হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.