![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যদিগন্ত: www.bishorgo.com ভালবাসতে চাই মানুষকে, পৃথিবীকে, ভালবাসিও, কিন্তু যখনি দেখি অপচ্ছায়া ঢেকে ফেলছে আমার ভালবাসাকে, তখনি যেন নিজেকে আর খুঁজে পাই না নিজের মাঝেই,,, এই না পাওয়ার প্রকাশই আমার কথা, কাজ, কাব্য, গদ্য, নীরবতা, আক্রোশ, এটাই পৃথিবীতে আমার প্রকাশ, আমার ভূমিকা। ভালবাসতে চাই মানুষকে, পৃথিবীকে, ভালবাসিও, কিন্তু যখনি দেখি অপচ্ছায়া ঢেকে ফেলছে আমার ভালবাসাকে, তখনি যেন নিজেকে আর খুঁজে পাই না নিজের মাঝেই,,, এই না পাওয়ার প্রকাশই আমার কথা, কাজ, কাব্য, গদ্য, নীরবতা, আক্রোশ, এটাই পৃথিবীতে আমার প্রকাশ, আমার ভূমিকা।
পূর্বে: @ সীরাতুন্নবী: প্রারম্ভ ও তথ্যাবলী...লিংক: Click This Link
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
সীরাতুন্ নববী সর্বশেষ নবীর বাস্তব প্রতিচ্ছবি, যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানব জাতির সম্মুখে উপস্থাপন করেছেন এবং এর মাধ্যমে মানুষকে মানুষের গোলামীর অন্ধকার থেকে আল্লাহর গোলামীর আলোকিত জগতে পৌঁছে দিয়েছেন।
আল্লাহর বাণী নাযিলের পূর্ব ও পরবর্তী সময়কার অবস্থা বর্ণনা করা ছাড়া সীরাতুন্নবী আলোচনা পরিপূর্ণ হবে না, তাই এর আলোচনা গুরুত্ববহ।
'আরব' অর্থ সাহারা, বিশুষ্ক প্রান্তর বা অনুর্বর যমীন। আরব্য উপদ্বীপ ও এর অধিবাসীদের জন্য 'আরব' শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
আরবের পশ্চিমে- লোহিত সাগর এবং সায়না উপদ্বীপ।
পূর্বে- আরব সাগর।
দক্ষিণে- ইরাকের বিরাট অংশ এবং আরো দক্ষিণে আরব সাগর যা ভারত মহাসাগরের বিস্তৃত অংশ।
উত্তরে- সিরিয়া ও উত্তর ইরাকের একাংশ।
সর্বমোট এলাকা- দশ থেকে তের লাখ বর্গমাইল।
জাজিরাতুল আরব বহু প্রান্তর ও মরুভূমির প্রতিরক্ষায় ঘেরা থাকার কারণে এর অধিবাসীরা প্রাচীনকাল থেকেই স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এ বাধার প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী বৃহৎ সাম্রাজ্যগুলো কখনোই তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি।
অবস্থানে- আরব উপদ্বীপ তৎকালীন সকল মহাদেশের মাঝখানে ছিল।
উত্তর-পশ্চিমে- আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার।
উত্তর-পূর্বে- ইউরোপ।
পূর্বে- ইরান, মধ্য এশিয়া ও দূর প্রাচ্যের প্রবেশ পথ, যে পথে ভারত ও চীন পর্যন্ত যাওয়া যায়।
ভৌগলিক অবস্থানের বিশেষত্বে আরব উপদ্বীপ তৎকালীন ব্যবসা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্ম ইত্যাদির যোগসূত্র ও মিলনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
সূত্র সমাহার: সীরাতুন্নবী: প্রারম্ভ ও তথ্যাবলী...লিংক: Click This Link
পরে: @ আরব জাতিসমূহ (১) লিংক: Click This Link
০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:২২
ফজলে এলাহি বলেছেন: মাইনুল-
জাযাকাল্লাহ।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৫:১৫
রাগিব বলেছেন: মিশর ও উত্তর আফ্রিকার অধিবাসীরাও তো নিজেদের আরব বলে, তাই না? এই ব্যাপারটা ১৪শত বছর আগে কেমন ছিলো? তখনো কি মিশরীয় ও অন্য উত্তর আফ্রিকীয় দেশের অধিবাসীরা নিজেদের আরব হিসাবে গণ্য করতো?
০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৪২
ফজলে এলাহি বলেছেন: রাগিব-
উপরোক্ত লেখাটিতে উঠে আসা আলোচনার পুরোটাই চৌদ্দশত বছর পূর্বেকার। কেননা, আমরা এখানে আলোচনা করছি প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়ত পূর্ব আরবের অবস্থার কথা।
এদিকে আফ্রিকায় আরবী ভাষার প্রচলন অনেক ভেতরেও আছে, যেমন সুদান। আর মিসর তো তৎকালীন হেজাজের পিঠেই ছিল। তারাও ভাষার দিক থেকে আরব হিসেবেই পরিচয় দেয়, কিন্তু ভৌগলিক অবস্থানের ক্ষেত্রে সম্ভবত নয়; ভূগোলবিদ ও ইতিহাসবিদরাই ভালো বলতে পারতেন।
কিন্তু উপরিউক্ত আলোচনায় শুধুমাত্র আরব উপদ্বীপ বা জাজিরাতুল আরবের অবস্থার বর্ণনা এসেছে আর সেটার সীমারেখা নির্ধারণ করতে গিয়ে আশপাশের অবস্থানগুলোর উল্লেখ এসেছে।
যাইহোক, আমি আপাতত একটি গ্রন্থ অনুসরণ করছি, পরে আরো সংগ্রহের পর এসব লেখাতে সংযোজন-বিয়োজন হবে ইনশাআল্লাহ্।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৬:২৩
নাজিম উদদীন বলেছেন: ইরাকীদের কি আরব বলা হয় না? তারা কোন জাতি?
বেদুইন কাদের বলত?
"প্রতিবেশী বৃহৎ সাম্রাজ্যগুলো কখনোই তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি।"
আগে কিছু ছিল না তাই কেউ যায় নাই, ওরাই উল্টা ভারতে ফেরি করতে আসত।
০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:৩২
ফজলে এলাহি বলেছেন: নাজিম উদ্দীন-
ভাষার দিক থেকে ইরাকীরা তো অবশ্যই আরবী ভাষাভাষী। তবে আমাদের আলোচনা চৌদ্দশত বছর পূর্বেকার আরব উপদ্বীপ বা জাজিরাতুল আরবের ভৌগলিক পরিচিতি। তবে তখকার সময়ে ইরাকে কারা বসবাস করতো তা পরের পোষ্টে কিছুটা এসেছে।
বেদুঈন বলা হয় আরবের গ্রামাঞ্চলের লোকদের, যারা মরুভূমিতে বসবাস করতো আবার অনেকেই যাযাবর জীবনযাপন করতো।
শেষের কথাগুলো সম্পদের জন্য আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে ঠিক। কিন্তু এ ছাড়াও বহু সাম্রাজ্যবাদী তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তারের জন্য আশপাশে হাত বাড়াতো। কিন্তু আরব উপদ্বীপের ভৌগলিক সুরক্ষার কারণেই মূলত আশপাশের বৃহৎ শক্তিগুলো সেদিকে যাবার সাহস করেনি।
অর্থনৈতিক ব্যাপার যে আরব্য উপদ্বীপে ছিল না, তা কিন্তু নয়। সূরা ফীল-এর তাফসীরে আব্রাহা কর্তৃক পবিত কা'বাঘর ধ্বংসের যে সাজানো ষড়যন্ত ও তার বাস্তবায়নের জন্য অভিযান পরিচালনার ইতিহাস পাওয়া যায়, তার নেপথ্যে কিন্তু ছিল কা'বা কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দখলদারিত্ব। তাই ভূ-সম্পদের মালিক তৎকালীন আরবরা তেমন না হলেও পবিত্র হজ্জ উপলক্ষে পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালামের যুগ থেকে নিয়ে বাণিজ্যিক যে ক্ষেত্র আরবদের কাছে ছিল, তার গুরুত্ব বিশ্বের কারো কাছেই কম ছিল না।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৭:২২
রাগিব বলেছেন: "প্রতিবেশী বৃহৎ সাম্রাজ্যগুলো কখনোই তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি।"
এটা তো সঠিক না ... বাদশাহ আবদুল আজিজ আল সউদ ক্ষমতা নেয়ার আগে তো তুর্কী ওসমানীয় সাম্রাজ্য পুরো আরব এলাকা দখলে রেখেছিলো। এর পরেও আরবের অনেক অংশ (যেমন ইয়েমেন, আরব আমিরাত) ছিলো ব্রিটিশ শাসনের অধীনে।
আরবদের কথা পড়তে গিয়ে এক রোমান সম্রাটের কথা পেলাম, যার জন্ম আরবে ... দামেস্কের কাছে। http://en.wikipedia.org/wiki/Philip_the_Arab ।
১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:২৯
ফজলে এলাহি বলেছেন: রাগিব-
আপনি বোধ হয় খেয়াল থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছেন যে, আমরা এখানে সমকালীন বা ইসলাম পরবর্তী আরবের অবস্থা নয়; বরং ইসলাম পূর্বকালীন আরবের অবস্থার আলোচনা করছি। যা চৌদ্দশত বছর পূর্বের সময়কার ইতিহাস-ঐতিহ্য।
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:১৬
BangladeshCiroJibiHok বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:১১
মাইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ।