নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফজলে এলাহী

বৃষ্টি যেরকম আসতে আসতে ফিরে যায়..তেমনি বৃষ্টির মতো আমিও ফিরেছি বহুবার...

ফজলে এলাহী

আমি পাহাড়ে থাকি,রাঙামাটিতে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতি এবং পরিবেশ রক্ষায় কিছু কাজ করছি,লেখালিখি নেশা এবং পেশা। স্বপ্নে-সম্ভাবনায়,আমার প্রিয় রাঙামাটি-পার্বত্য চট্টগ্রাম।পাহাড়ের মাটি এবং মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। সীমাবদ্ধতা অনেক,কিন্তু স্বপ্ন অফুরান।...নিজের সম্পাদনায় বের হয়-স্কুলপড়ুয়াদের পত্রিকা স্কুলবেলা,ছোট কাগজ পার্বত্য পুরাণ,পরিবেশ বিষয়ক প্রকাশনা পরিবেশ বীক্ষণ,আর অচিরেই বের হচ্ছে পাহাড়ের প্রথম মাসিক সংবাদ সাময়িকী-পার্বত্য সংবাদ..পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত যেকোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-----সাধ্যমত সহযোগিতা করব। ফোন-০১৫৫৪৩০৮৪৬২

ফজলে এলাহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা পাবেন নাতি-নাতনিরা

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৫৫

শরীফুল ইসলাম

সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধার

সন্তানদের পাশাপাশি তাদের নাতি-নাতনিদের নিয়োগ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দাবির প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে একটি বিধিমালা তৈরি করবে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। পরে এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমল থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় বেশিরভাগ পদ শূন্য থাকে। পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শূন্য পদ পূরণে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের সুবিধা দাবি করে আসছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। কিন্তু জোট সরকার তাদের দাবি বিবেচনা না করে গত ২০০৩ সালের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পেলে মেধা তালিকাক্রমে এই পদ পূরণ করা হবে বলে একটি পরিপত্র জারি করে। এরপর থেকে সরকারি-আধাসরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাক্রম অনুসারে এই কোটা পূরণ করা হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এ বিধির বিরোধিতা করে। পরে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ায়ি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু এই পরিপত্র জারির পর সরকারি-আধাসরকারি চাকরিতে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় পদ শূন্য থেকে যাচ্ছে। সরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে জনবল ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। পরে সরকার পদ সংরক্ষণ না করে এ কোটায় জাতীয় মেধাক্রম করে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এরপরও পদ পূরণ সম্ভব হয় না। বিশেষ করে টেকনিক্যাল ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া সম্ভব হয় না। গত জুলাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় দুই হাজার সহকারী সার্জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫৮২ জন। কিন্তু ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় পুরো পদ শূন্য থাকে। পরে আবারও সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের বিধিমালা শিথিল করে মেধা তালিকা অনুসারে এ পদ পূরণে একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিসভা থেকে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হলেও এ সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শূন্যপদ পূরণে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের সুবিধা দেওয়া যাই কি-না মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের এ প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

চলতি অর্থবছরে দেশের বিভিন্ন খাতের শূন্যপদে প্রায় ৭০ হাজার লোক নিয়োগ করা হবে। এর মধ্য ৩০ শতাংশ শূন্যপদই মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিক থেকে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্ধারিত মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী পাওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সন্তানদের পাশাপাশি নাতি-নাতনিদের সুবিধা দেওয়ার বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

Click This Link

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৬/-১

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:১১

মৃগরাজ বলেছেন: সরকারের উচিৎ পুরা ব্লাড লাইনেরই এই ব্যবস্হা করা, কি বলেন! একদিকে জামাতী কোটা (ইবনে সিনা, ইসলামী ব্যাংক, মানারাত, এইরকম আরও অনেক - সব মিলিয়ে গোটা জামাতী অর্থনীতি) এবং অন্যদিকে এই মুক্তিযোদ্বা কোটা। আমরা হলেন ধোপার কুকুর, না ঘরের না ঘাটের!

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:১৮

সাধারণমানুষ বলেছেন: এর পরে কি নাতি -পুতির পোলাপানরাও এই সুযোগ সুবিধা পাবে X(( X((

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২১

রাজীব দে সরকার বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার বংশধর কোটা থাকাটা তো খারাপ না (অবশ্য এটা আমি মনে করি)

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২৬

একলব্য১৯৭১ বলেছেন:
//মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শূন্য পদ পূরণে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের সুবিধা দাবি করে আসছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা//

খুব দুঃখের সাথে একটা কমেন্ট করতে বাধ্য হচ্ছি- আমার মনে হচ্ছে যেসব মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা এই দাবী করেছে হয় তারা ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেটধারী অথবা তারা তাদের পিতার প্রকৃত সন্তান নয়।মুক্তিযোদ্ধার রক্ত গায়ে থাকলে এধরণের অন্যায় দাবী করা এবং ভিক্ষাবৃত্তি করা তাদের পক্ষে সম্ভব হতনা।বর্তমানেই মেধা কোটা মাত্র ৪৫% এবং প্রাধিকার কোটা ৫৫% যা কিনা আমাদের সংবিধানের সাম্যের যে কথা বলা হয়েছে তার সরাসরি বিরোধী।পাকিস্তানিদের অন্যায় অবিচার এবং অসাম্যের প্রতিবাদে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র ধরেছিলেন তাঁদের সন্তানদের এমন অন্যায় দাবী এবং নির্লজ্জ্ব ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখে অত্যন্ত মর্মাহত হলাম।মুক্তিযুদ্ধ কোন ব্যবসা নয় যে এর বিনিময়ে সন্তান-নাতিপুতি সহ অন্যায়ভাবে সরকারি চাকুরিতে ভাগ বসাতে হবে।যে বীর যোদ্ধারা লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন,সেই বীরদের রক্ত গায়ে থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের উচিত অন্যায় সুবিধার পিছনে না ছুটে নিজ যোগ্যতা ও মেধার মাধ্যমে চাকুরি পাওয়ার চেষ্টা করা।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০০

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা প্রথা না হয় সমর্থন করা যায়, কিন্তু তাদের নাতি নাতনীদের কেন দিতে হবে? কোটা প্রথায় অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিও সরকারী চাকরি পাবে, আর অপেক্ষাকৃত বেশী যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি কেবল কোটা প্রথার কারণে সরকারী চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে, এ কোন মগের মুল্লুক? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি তো সন্ত্রাসীও হতে পারে। কোটা প্রথা বিলুপ্ত করা উচিৎ। উপজাতি কোটা প্রথাও বিলোপ করা উচিৎ। বর্তমানের প্রতিদ্বন্দিতার বিশ্বে কোটা প্রথা আমাদের শুধুই পিছিয়ে দিবে।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৬:১৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনারা কিভাবে নিবেন জানি না,,,আমি এটার তীব্র বিরধিতা করছি,,,,এবং মনে ভীষণ ক্ষোভ জন্মেছে। আমার দেখা অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আছেন,,,,তাদের কথা আমরা দেশকে ভালবেসে,,,দেশের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছি,,,কোন সুবিধা নেয়ার জন্য নয়,,,,
নাতি নাতনীগন সুবিধা পাবে,,,,তাহলে এটা ক্রমান্নয়ে চলতেই থাকবে এবং একটা সুবিধাপ্রাপ্তি গোষ্টি এটাকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।
এই অনৈতিক কোটার মাধ্যমে অনেক মেধাসম্পন্ন ছেলেমেয়েরা চাকরী পাবে না,,,,হয়ত সেটা পাবে কোন কমমেধা সম্পন্ন ছেলেমেয়ে। খুব কষ্ট পাচ্ছি। সব কিছুই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেই আসা উচিত।
ভাল পোস্ট
ধন্যবাদ

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৬:২৫

তাজ উদ্দীন সুমন বলেছেন: বুঝলেন না? মুজিব তারপর হাসিনা তারপর জয় তারপর হা হা হা

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

এনটনি বলেছেন: আমার বাপ মুক্তিযোদ্ধা হয়েই সুবিধা পেলনা কোন, চায় ও না এখন, আমরাও কিছু পাইনাই, এখন আবার আমার ছেলে পাবে?

অসম্ভব!!!!! কোনদিন ই পাবেনা ........ এটা হচ্ছে কিছু মাদারচোৎ এর তৃতীয় প্রজন্মকে সুবিধা হালাল করে দেয়ার একটা পায়তারা ....

বালের কোটা .......

(অত্যন্ত দু্‌ঃ‌খিত! কখনোই এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করিনা, তবে আজকে পারলাম না!!!)

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৩৪

একলব্য১৯৭১ বলেছেন: @এনটনি ভাই- আপনার বাপ তো আর সুবিধা পাওয়ার জন্যে যুদ্ধ করেন নাই,যুদ্ধ করেছেন দেশ স্বাধীন করতে।এই সুবিধা নিচ্ছে যারা বিজনেস করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙ্গাচ্ছে।নিজে,ছেলে,নাতি তিন প্রজন্মের ক্যারিয়ার নিশ্চিত-বিজনেসটা তো খারাপ হয়নাই-কি বলেন?

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৪৯

মোজাম্মেল বলেছেন: মৃগরাজ বলেছেন: সরকারের উচিৎ পুরা ব্লাড লাইনেরই এই ব্যবস্হা করা, কি বলেন! একদিকে জামাতী কোটা (ইবনে সিনা, ইসলামী ব্যাংক, মানারাত, এইরকম আরও অনেক - সব মিলিয়ে গোটা জামাতী অর্থনীতি) এবং অন্যদিকে এই মুক্তিযোদ্বা কোটা। আমরা হলেন ধোপার কুকুর, না ঘরের না ঘাটের!

সহমত।
আমার এক ব্ন্ধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কিন্তু কখনো এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে না।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৭

প্লাব২০১০ বলেছেন: নাতি মারা গেলে নাতির পোলাপান তার পোলাপান তার পোলাপান.......................................তার পোলাপান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.