নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মার অভিবাদনঃ সময় বিনির্মাণে!

কাব্য-দিনের কথাঃ স্পর্শের আগুনে! অন্যদিগন্ত: www.fazleelahi.com

ফজল

অন্য দিগন্ত- www.bishorgo.com

উষ্ণ রাত, শিশির ভোর

স্বপ্ন সকাল, ক্লান্ত দিন

জীবন ছন্দ, হিম শীতল

সাগর সোহাগ, ঢেউ মলিন ।

স্বাপ্নিকঃ

আমাকে এক ফোটা জল এনে দাও

আমি সমুদ্র বানাবো ।

পিয়াসীঃ

এক আকাশের মেঘ এনে দাও

তৃষ্ণা মেটাবো ।

উল্লাসীঃ

একটু খানি শিশু হাসি দাও

প্রশান্ত হব ।

বিদ্রোহীঃ

শুকনো শোণিতে স্পর্শ দাও

আগুন জ্বালাবো ।

ফজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

= আবর্জিত যৌবনের দায়

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৪৭

শৈলীর শুভ্রতার পিছু পিছু ছায়া হয়ে

ছুটে এসেছিল একটুকরো অন্ধকার

আমাদের যুবক রক্ত কণা বয়ে

আমরা তখনো ভেবে দেখিনি প্রতিকার।

অবোধের দিনপঞ্জিকার পৃষ্ঠা উল্টিয়ে শেষে

ফিডারের বোঁটা গুলো ভাত হয়ে গেল

পানিরা একদা লালপানি হলো আড্ডায় প্রদোষে

অথবা দুর্বোধ্য হবে সুবোধ; কে জানতো বলো?

কেউ জানতে না কি করে ঘুনে ধরে চৌকাঠ?

হাতের পরশে মনের হরষে পরায় স্নেহের মালিকা

যতনে পঠনে মুখস্থ করায় সারা জীবনের পাঠ

বিশ্বাস করবে কি তার কাছে নেই কোন তালিকা;

কি মাটিতে গড়াগড়ি দিল ধূসরিত শৈশব

কৈশর কোথা কোন পলি, বালি, দোআঁশ, এঁটেলের বনে

প্রতিবেলা রান্নার উনুনে কি রক্ত রেঁধেছিল বৈভব

কোন সে খেয়ালে ঘরের দুয়ার ভেঙ্গেছিল যৌবনে?



বলবে জানো না কিছুই? বলবে অন্ধ তুমি?

তোমার কোলেতে বড় হয়েছিল একদা স্বদেশ ভূমি।



কারা হে স্বদেশ? কারা নাগরিক, কারা ভূমি-অহংকার

তারাই আবার কলংক আনে পঞ্চায়েতের শালিশে

মাটির বুকের প্রতিটি মানুষ মাটির-ই অলংকার

অযতনে তুমি জঙ ধরিয়েছ যাবে না তা পালিশে।

যে অন্তর আজ মায়ের বুকেতে জ্বালায় আগুন

যে ভাইটি হেথা জগত বোনের আব্রু ছিঁড়ে ফেলে

মা তুমি সেথায় সাজাতে পারতে চির-ফাগুন

হেথায় হোথায় অঙ্গার দেখি তোমার স্নেহের আঁচলে

পিতৃ তুল্য গুরুজন পথে প্রান্তরে হয় অপমান

তবু কি বলো হে পিতঃ বলবো না কিছু আমি

তরুর ফলনে শেকড়েরা পায় নিন্দা বা গুণগান

তোমাদের গুণে লালনে পালনে সাজান অন্তর্যামী

তোমাদেরই উত্তরসূরী। কখনো যারা সন্ত্রাসী

কখনো ধর্ষক হয় কখনো বা হন্তারক নির্মম

বলবো নিঃসঙ্কোচে আমি: এ তোমাদের ব্যর্থতা বারমাসী

চৈতন্যে সত্য-ঘাটতি নিয়ে যা শেখাবে তাই হবে ভ্রম।

আমাদের যুবকেরা দোষারোপিত হয় 'আবর্জনা'

সমাজের, দেশের, জাতির; কারা এসবের স্তুপকার?

যারা রয়েছ তত্ত্বাবধানে, যারা জারি করো পরোয়ানা

তোমাদের শিক্ষায়, নীতিতে ও সেজে বসে গ্রন্থকার;

সকলল যুবকের মুখপাত্র হয়ে আমি দোষিছি তত্ত্বাবধায়কে

পরিবারে, সমাজে, মহল্লা-জেলায়, রাষ্ট্রে ও সারা বিশ্বে

অবহেলা, অন্ধত্ব অথবা তোমাদের স্বার্থেরা ভ্রান্ত বানিয়েছে আমাকে

যদি হই ত্রাস, তো সে তোমাদেরি অবদান, অতএব আমিই র'বো শীর্ষে!



আমায় স্নেহ কর, আদরে-চুম্বনে গড়ে তোল সুসন্তান চিরদিন

আমায় শিক্ষা দাও, যথার্থ মর্যাদা দাও; হবো সুনাগরিক নিশিদিন।



১৭.০২.২০০৮

মদীনা মুনাওয়ারা, সৌদি আরব।



ছবি: নিজস্ব। লোহিত সাগরে সৈকত থেকে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-৩

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৫৬

জেনারেল বলেছেন: কবিতার সাথে ছবির সম্পক্ক কি?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:২৩

ফজল বলেছেন: তেমন কোন সম্পর্ক নেই, একটা ছবি কবিতার সাথে দেই সাধারণত, তাই দিলাম।

গত বছরের শেষ দিকে ইয়ানবো সফরে গিয়েছিলাম একদিনের জন্য। সাগরতীর থেকে তুলেছিলাম ছবিটি।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:১৭

রাতুল২০০৮ বলেছেন: সম্পর্ক হীনতা সম্পর্ককে আরও সবল করে কি?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:০৫

ফজল বলেছেন: রাতুল২০০৮-
হয়ত, ঠিক যেরূপ সহজ করে বলতে গিয়ে বিরাট ও ব্যাপকার্থক একটি বাক্য বলে ফেললেন আপনিও।

তবে চেষ্টা করি কাছাকাছি ধারার কোন ছবি দিতে। আজকাল আর নেট খুঁজে দিতে ইচ্ছে করে না, কেননা প্রায়শঃই মুঠোফোনে ছবি সংগ্রহ করি। দৃষ্টিটাই এখন কেমন যেন দৃশ্যখোঁজা হয়ে পড়েছে।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আবূসামীহা বলেছেন: জোস্‌ কবিতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.