নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাততঃ ঢাকা থেকে

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

ফেরদাউস আল আমিন

সুন্দর এই পৃথিবীতে আগমন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। স্কুল ........... সে অনেক.. মিশনারি স্কুল, ডি এন হাই স্কুল চাঁদপুর, চাকলালা বাংলা মিডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি, ইংলিশ মিডিয়াম মুযাফ্ফরাবাদ, ক্লাশ সিক্স বাদ শেষমেষ এবোটাবাদ পাবলিক স্কুল। চিটগাং কলেজ ও বুয়েট

ফেরদাউস আল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরুনাচল প্রদেশ নিয়ে চীন - ভারত স্নায়ুযুদ্ধ!! পর্ব - ৪

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯





পর্ব - ৩



যেই প্রদেশটি নিয়ে দুটি পারমানবিক শক্তিধর দেশেরএত বড় স্নায়ুযুদ্ধ চলছে, এখন সেই প্রদেশটি সন্মন্ধে কিছু না উল্লেখ করলেই নয়।

অরুনাচল প্রদেশটি ভারতের উত্তর - পূর্বাঞ্চলিয় একটি প্রদেশ। আয়তনে বাংলাদেশ থেকে একটু ছোট হবে বা কিছু বড় ও হতে পারে।



বড় ছোট দুটিই বললাম কারন নির্ভর করে আপনি আপনার সীমানা কিভাবে দেখছেন। বাংলাদেশকে যদি সমুদ্র সহ আয়তন মাপতে বলেন, বাংলাদেশ অরুনাচল থেকে অনেক বড় (কারন আমরা তো বিনা যুদ্ধে সমুদ্র বিজয় করেছি!!)

আবার যদি কেউ স্থল সীমানা পরিমাপ করেন, তা হলে, বাংলাদেশ সম্ভবত অরুনাচল থেকে কিছুটা ছোটই হবে।



মানচিত্র থেকেই বুঝতে পারবেন অরুনাচল এর তিনটি আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে, সেগুলো হোল

পশ্চিমে --- ভুটান

দক্ষিনে -- মিয়ানমার

উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে --- চীন ও চীনের তিব্বত



আদি ইতিহাসঃ

আধুনিক অরুণাচল প্রদেশ এর ইতিহাস অনেকটা রহস্যের মধ্যে নিজ্জিত। তিব্বত-বর্মীয় আদি বাসী ও উপজাতিদের দ্বারা অরনাচলের মৌখিক ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। কিন্তু এই মোখিক ইতিহাসকে স্বীকৃতি দেবে কে? তবুও মৌখিক ইতিহাস বিশ্লেষন করলে সহজেই এই ফলাফল এ সকলে উপনিত হবে যে, অরুনাচলের আদি বাসিগনের অধিকাংশই তিব্বত থেকেই এসেছিলেন। আবার বস্তুগত সংস্কৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অধিকাংশ আদিবাসী দল বর্তমানে মায়ানমার - এলাকার পার্বত্য উপজাতি।



ম্যাকমাহন লাইনের অঙ্কন বা সৃষ্টিঃ

ভারত তিব্বতী ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত ১৯০৯সালে প্রনিত ও প্রকাশিত । ১৯১৩ - ১৪ সালে সিমলাতে বৃটিশ ভারত, তিব্বত ও চীন এর মাঝে ম্যকমোহনের উপস্থিতিতে দরকষাকষির মাধ্যমে একটি সীমানা চুক্তি হয়। এটিকে সিমলা চুক্তি হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।

এই চুক্তির আওতায় তিব্বতের ভেতর ও বাহিরের সীমান নির্ধারন করা হয়। বাইরের ৫৫০ কিমি সীমানা অংকন করত অরুনাচলে একটি লাইন অঙ্কন করা হয়। এটিকে ই ম্যকমেহন লাইন বলা হয়। সম্মেলনে তিব্বতী ও ব্রিটিশ প্রতিনিধিগন যেই লাইনে সম্মত হন, তাতে করে তিব্বত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে Tawang এবং অন্যান্য তিব্বতী এলাকায় সমর্পিত করা হয়। তবে বাইরের তিব্বত এবং ভেতরের মাঝে তিব্বত মধ্যে সীমানা বিষয়ে আলোচনা ভেঙ্গে যায়। যদিও চীনা প্রতিনিধি ব্রিটিশ ভারত ও বাইরের তিব্বত মধ্যে সীমানা নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল না, তথাপিও চীনা প্রতিনিধি চুক্তি অনুমোদন করতে অস্বীকার করে কিন্তু তিব্বতী সরকার ও ব্রিটিশ সরকার Simla চুক্তির সই করত এগিয়ে যান। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে চীন জানায় যে তিব্বত যেহেতু চীনের অংশ এবং স্বাধীনভাবে চুক্তি করার এখতিয়ার নেই, সুতরাং তিব্বত ও বৃটিশ ভারতের স্বাক্ষরিক্ত চুক্তি, Anglo-Chinese (1906) and Anglo-Russian (1907) convention বা সম্মেলন অনুসারে অবৈধ (এবং ম্যাকমোহন লাইন ও অবৈধ)।



............................................. ................... (চলবে)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: বাকী টুকুর অপেক্ষায় থাকলাম। অনুসরণ করলাম।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ, উৎসাহিত করার জন্য

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৬

রাখালছেলে বলেছেন: লেখাটা আরও বড় করা যেত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.