নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাততঃ ঢাকা থেকে

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

ফেরদাউস আল আমিন

সুন্দর এই পৃথিবীতে আগমন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। স্কুল ........... সে অনেক.. মিশনারি স্কুল, ডি এন হাই স্কুল চাঁদপুর, চাকলালা বাংলা মিডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি, ইংলিশ মিডিয়াম মুযাফ্ফরাবাদ, ক্লাশ সিক্স বাদ শেষমেষ এবোটাবাদ পাবলিক স্কুল। চিটগাং কলেজ ও বুয়েট

ফেরদাউস আল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরুনাচল প্রদেশ নিয়ে চীন - ভারত স্নায়ুযুদ্ধ!! (শেষ পর্ব)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৩

অরুনাচল নিয়ে চীন-ভারত স্নায়ুযুদ্ধ!! পর্ব-৮



অরুনাচল নিয়ে ভারত ও চীনের এই স্নায়ু যুদ্ধ কত বছর পরে আসল যুদ্ধের রুপ নেবে বা অদৌ কোন যুদ্ধ হবে না, সেই সন্মন্ধে আমার ব্যক্তিগত কোন বিবেচনা বা গবেষনা বা ভবিষ্যত বানী বা চিন্তা ধারা নেই।



ব্যক্তিগত ভাবে আমি চাই ঐ অঞ্চল তথা অরুনাচল তাদের লোকবল, বিভিন্ন জাতি ও জনগনের সমাগমে উত্তরোত্তর ক্রমাগত উন্নতি ও সুখে শান্তিতে থাকুক। এমনকি স্নায়ুযুদ্ধেরও অবসান চাইছি। যদি অবস্থা ভালর দিকে না যায়, আমার মতামত হবে ঐ অঞ্চলের জনগনের মতামত নেবার জন্য ইউনাইটেড নেশানের তথা জাতিসংঘের তত্বাবধানে নির্বাচন করত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। তবে ইতিহাস বলে অন্য কথা; দেশ যত শক্তিশালি, ঐ সকল দেশের কোন অঞ্চলে জাতিসংঘের তত্বাবধানে নির্বাচন করা বাতুলতা মাত্র। খোদ ভারত নিয়ন্তৃত কাশ্মীরে এটি সম্ভব হচ্ছে না, চীন নিয়ন্তৃত তিব্বতেও একই প্রতিবন্ধকতা।



কিন্তু আমার বিচারে তো চীন ও ভারতের নেতা নেতৃরা চলবেন না। বড় বড় দেশের ও বিশেষ করে পরমাণু শক্তিধর দেশের পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কৌশলগত চালন একান্তই তাদের নিজস্ব। এই কারনে যুদ্ধ যদি সংগঠিতই হয় তাতে আমি দুঃখিত হওয়া ছাড়া কিছু করতে পারব বলে মনে হয় না।



কারন, আমি চাই এবং আশা করি বাংলাদেশী হিসেবে আমরা যেন আগামি পাঁচ থেকে দশ বছরে অরুনাচল ও আসামে নিজের গাড়ি নিয়ে বেড়াতে যেতে পারি। কারন জনবহুল বাংলাদেশে আমাদের বেড়ানোর স্থান খুবই নগন্ন।



কক্সবাজার আমাদের বেড়ানোর স্থান হলেও, শহরটির অপরিকল্পিত উন্নয়নে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধ্বংসের পথে রয়েছে। কক্সবাজারে তিন তারা, পাঁচ তারা মানের হোটেল হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু যাবার যোগাযোগ ব্যবস্থা, শহরের অপ্রতুল ও অপ্রস্থ রাস্তা ঘাটের অবকাঠামো এই ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়াবে।



সিলেটে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু কিছু স্থানে বেড়ানোর সুযোগ হলেও চাকমা অধ্যুশিত পাহাড়ি অঞ্চলে বেড়ানো রিস্কি। একমাত্র নিরাপদ পাহাড়ি পার্বত্য অঞ্চলটি এখন যেটিকে মনে করা হয়, তা হোল বান্দরবন। কিন্তু যাবার যোগাযোগ ব্যবস্থা, শহরের অপ্রতুল ও অপ্রস্থ রাস্তা ঘাটের অবকাঠামো এই শিল্প বিকাশের প্রধান অন্তরায়।

বাংলাদেশে চার বা ছয় লেন এর আন্তশহরের দূরপাল্লা যোগাযোগের কোন হাইওয়শে বা ফৃ ওয়ে নেই।



ঢাকা চট্টগ্রাম ২৫০কিমি রাস্তা অতিক্রম করতে ৮~১০ ঘন্টা লেগে যায়, তাও আবার এই লম্বা সময়েরও নিশ্চয়তা নেই। অবরোধ, হরতাল, রাস্তায় বাজার ইত্যাদির কারনে ব‌ভ্রমন সময় শুধু দীর্ঘায়িতই হচ্ছে।

দেশে হাই স্পীড (ঘন্টা প্রতি ১৫০ থেকে ২০০কিমি বেগে ছুটে চলা দূরপাল্লা কোন রেল ব্যবস্থা নেই, যা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে নুন্যতম কক্সবাজার পর্যন্ত প্রসারিত ও চলমান থাকবে।)



সিলেট থেকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে নুন্যতম কক্সবাজার পর্যন্ত চার বা ছয় লেন এর আন্তশহরের দূরপাল্লা যোগাযোগ হাইওয়শে বা ফৃওয়ে এবং একই সাথে হাই স্পীড (ঘন্টা প্রতি ১৫০ থেকে ২০০কিমি বেগে ছুটে চলা দূরপাল্লা রেল ব্যবস্থা থাকলে শুধু আমরাই উপকৃত হতাম না, তৃপুরা(ত্রিপুরা), আসাম, অরুনাচল, মেঘালয়, নাগাল্যন্ড, মিজোরাম থেকে ঐ সকল অঞ্চলের ভ্রমন পিয়াসু জনগনও নিশ্চয়ই সী বীচ ও সমুদ্র স্থানে অবকাশ যাপনে আসতেন। যেমনটি বাংলাদেশিরা করতে পারতেন পাহাড়ি অঞ্চলে অবকাশ যাপনের জন্য। অর্থাৎ আমরা তৃপুরা(ত্রিপুরা), আসাম, অরুনাচল, মেঘালয়, নাগাল্যন্ড, মিজোরাম যেতাম বেড়ানোর জন্য।



সিলেট টু ইটানগর, অরুনাচলঃ-

এতটুকুই যদি আসলেন, এখন দেরি করে সিলেট টু ইটানগর, অরুনাচল একটা ভ্রমন করেই আসি না কেন।

গওহাটি দিয়ে যাওয়াটা সবচেয়ে উত্তম ও স্বল্প সময়ের হবে বলে আশা করছি(ম্যপ দেখুন)।



কার হলে চলবে তবে জীপ হলে ভাল হয়। কার নিলে পুরানো টা না নিয়ে ২০০৬সালের পরবর্তী পর্যায়ে প্রস্তুতকৃত জাপানী বা জার্মানী বা আমেরিকান গাড়ি হলে ভাল হয়। দূর পাল্লা ভ্রমনে এসকল দেশের গাড়ির কর্মক্ষমতার ওপর নিরভর করা যায়। ১৫০০সিসির নিচে হলে চলবে না, প্রতি গাড়িতে চারজনের বেশি নয়। শুধু একটি গাড়ি নিয়ে ভ্রমন করা নিরাপদ নয়। নুন্যতম দুটি তবে তিনটি হলে ভাল হয়।



সংগে নিতে হবে ওয়াকি টকি সেট, যার রেঞ্জ হবে কমপক্ষে পাঁচ কিমি। কারন এই সকল পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক স্থানেই আপনারা সেল ফোন বা মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন না। তিনটি গাড়ির মাঝে নিরাপত্তার জন্য ও যোগাযোগের জন্য এই ওয়াকি টকি লাগবে। কারন যত উত্তর ও উত্তর পূবে যাবেন, এলাকা শুধু পাহাড়ি ই হবে না জনসংখ্যা ও বসতি ক্রমেই কমতে থাকবে। অরুনাচলের বর্তমান জনসংখ্যা ২০লাখ বলে অনুমান করা হয়। অঞ্চলটি কম জনসংখ্যা নিয়েও স্থল এলাকার পরিমান বাংলাদশের স্থল পরিমাপের চেয়ে অধিক।



আপনারা যদি “ইটানগর” ছাড়িয়ে আরও কিছু উত্তর – পূবে যান (প্রায় ৫০কিমি), যিরো নামের উপত্যকায় নিচের নাকে কাঠের গোলাকার অলংকার পরিহিত মেয়েদের সন্ধান পেয়েও যেতে পারেন।









তবে যতদিন না ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে চুক্তির মাধ্যমে নিজের গাড়ি নিয়ে একের অন্য দেশে ভ্রমনের প্রথা চালু হয়, ততদিন, বাসে করে ঠনঠনিয়েই অরুনাচল যেতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.