নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাততঃ ঢাকা থেকে

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

ফেরদাউস আল আমিন

সুন্দর এই পৃথিবীতে আগমন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। স্কুল ........... সে অনেক.. মিশনারি স্কুল, ডি এন হাই স্কুল চাঁদপুর, চাকলালা বাংলা মিডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি, ইংলিশ মিডিয়াম মুযাফ্ফরাবাদ, ক্লাশ সিক্স বাদ শেষমেষ এবোটাবাদ পাবলিক স্কুল। চিটগাং কলেজ ও বুয়েট

ফেরদাউস আল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃদ্ধ বয়সে কে দেখবে আমাকে?

১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

প্রশ্নটি সকলের মনেই আসবে, যখন সময় হবে। কারন সরকারী কোন মাধ্যম নেই আপনাকে আমাকে দেখার সেই সময়ে যখন আমি, আপনি হয়তো হয়ে যাব অচল।



বৃদ্ধ বয়সে যখন আপনি, আমি কাজ করতে পারব না, তখন মসজিদ ও সিনিয়র সিটিজেন (বাংলাদেশের) বলবেন। ছেলে থাকলে এটি ছেলের বা ছেলের পরিবারের দায়িত্ব(আমাকে বা আপনাকে বৃদ্ধ বয়সে অচল অবস্থায় দেখাশুনা)।



মুসলিম সমাজে এটি এসছে ধর্মগ্রন্থ ও বিভিন্ন হাদিসের বয়ান থেকে। যখন ইসলামে এটি প্রবর্তিত হয়, তখন সরকার প্রথায় আয়কর বলে কোন কথা ছিল না।

ছিল না কোন ভ্যাট।

বাংলাদেশে এখন সরকার আয়কর নিয়ে থাকেন। এবং প্রতিটি নাগরিক কিন্তু সরকারকে কোন না কেন ভাবে ভ্যাটের মাধ্যমে সরকার নামক যন্ত্রটিকে কর দিয়ে যাচ্ছেন।



সকল নাগরিক যখন কোন না কোন ভাবে সরকার কে কর দেন, তখন সরকারের এটি পবিত্র দায়িত্ব (যদি তার সন্তান সন্ততিরা বাবা - মায়ের দেখাশুনা না করতে পারেন) সেই বৃদ্ধ নাগরিকে সম্পূর্ণ দেখভাল করা।

বাংলাদেশে সরকার তার এই পবিত্র দায়িত্বটি পালন করছেন না। যা করছেন তা একেবারেই নগন্য এবং লোক দেখানো।



মনে রাখতে হবে একজন ৬৫বয়সের বৃদ্ধ, যিনি এখন আর কর্মক্ষম নন, তিনি তার জীবনে নানা ভাবে দেশ কে সেবা করেছেন। হোক সে ব্যবসা বা চাকুরী (শুধু সামরিক বাহিনীই দেশ সেবা করেন না, একজন রিকসা চালক ও দেশ সেবা করছেন, কর দিচ্ছেন, পরোক্ষভাবে)।





একটি ব্লগে উপরোক্ত মন্তব্য করতে গিয়ে চিন্তা করলাম আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকেই এ বিষয়ে লিখা শুরু করি।



এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। শুধু মাত্র বললে হবে না এটা ওর বা তার দায়িত্ব। সরকারকে বাধ্য করতে হবে কিছু কিছু সামাজিক প্রথা বা ব্যবস্থা অতি শীঘ্রই প্রবর্তন করতে।



পতৃকায় লিখা দেয়া হলে, প্রকাশ করতে সম্পাদক সাহেবের অতি পরিচিত হতে হয়, না হলে সাংবাদিক সাহেব আপনার পরিচিত হতে হয়।

অধিকাংশ প্রগতিশীল সাংবাদিকরা হয়ে থাকেন বয়সে তরুন ও মেধাবী।

বয়সে তরুন ও মেধাবী হলে যেই দেশেই থাকেন না কেন ঐ মেধাবী তরুন বা তরুনীটি ঐ দেশের সম্পদ। এই কারনেই যুক্তরাষ্ট্র মেধাবী তরুন বা তরুনীদেরকে নানা ভাবে নিজের দেশে টেনে নিয়ে যায়।

মেধাবী তরুন বা তরুনী সবসময়ই নতুন কিছু করতে আগ্রহী বা নতুন চ্যলেঞ্জ নিতে সবসময় উৎসাহী। যার কারনেই প্রতিটি অগ্রসরমান দেশে নিত্য নতুন জিনিষ উদ্ভব হচ্ছে এবং বাজারে তা আসছে।



নানা কারনেই হোক বা ব্যস্ততার কারনেই হোক মেধাবী তরুন বা তরুনীদের কে বৃদ্ধ বয়সে তাদের কি হবে, কি ভাবে বৃদ্ধ বয়সে তাদের জীবন যাপন করতে হবে, তা নিয়ে সিরিয়াস কোন চিন্তা করতে বা ভাবতে দেখি বলে মনে হয় না।

এর কারন এদেরকে তো ঐ পরিবেশেই রাখান হয় না, চিন্তাকরবে কোত্থেকে।



তার ওপর রয়েছে ধর্মীয় অনুশাষন।

আমি ইসলাম ধর্মের অনুসারী বলে এটি কিছু জানি, তা মসজিদের বয়ান থেকে এবং আমার মুরুব্বীদের কাছ থেকে।



আমার নিজের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে। সুতরাং আমার মার বয়স কত হতে পারে, অনুমান সহজেই করতে পারেন। তিনি অধিকাংশ সময়ই শয্যাসায়ী এবং তিনি চান সবসময় তার কাছে নিকটজনের কেউ না কেউ থাকুক। বার্ধক্যজনিত কারনে তার রয়েছে ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরডিজ্ম, স্মৃতিশক্তি ক্রমশঃ লোপের দিকে

ইত্যাদি।

ইত্যাদি লক্ষন বহু সত্তুরোর্ধ বৃদ্ধের রয়েছে, আমি নিশ্চিত।

জীবিকার তাগিদে অনেকের ইচ্ছা থাকলেও বৃদ্ধ মা - বাবার নিকট থাকা সম্ভব নয়।



ধর্মীয় অনুশাষন ও আমাদের সংষ্কৃতির কারনে প্রতিবেশী বা নিকটাত্মীয়রা শহরের পরিবেশে খুব একটা এগিয়ে আসবেন না, আমি নিশ্চিত (কারন আমার প্রতিবেশীর সাথে আমার এখনও পরিচয় হয়ে ওঠেনিঃ হায়রে শহুরে জীবন)



এ ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মাবলী, পদ্ধতি ও এ বিষয়ে চলমান ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান থাকা উচিত। কোথা থেকে একজন নিবন্ধিত নার্স এর সেবা আমি বাসয় করতে পারব, তা এখনও ঠাউরে উঠতে পারিনি। অথচ ইংল্যান্ড, ফ্রান্স বা ক্যনাডা তে বসবাস করলে এ নিয়ে আমাকে এত বেগ পেতে হোত না।



প্রতি বছর সরকার শুধু ভ্যাট ও আয়কর থেকেই বহু অর্থ উপার্জন করে থাকেন।



সরকার কি ভাবে এটি আয়োজন করবেন বা প্রতিষ্ঠা করবেন তার উদাহরন খুবই সহজ।

প্রতি বছর সরকার শুধু ভ্যাট ও আয়কর থেকে যে অর্থ উপার্জন করে থাকেন,

1. তার ১০% এই খাতের লোকবল, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন ও বৃদ্ধ(৬৫বয়সের উর্ধে) ভাতার মাধ্যমে সরাসরি পরিশোধ করতে সরকারের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে।

2. বৃদ্ধ ভাতার পরিমান সঠিক সময়ে তার নিকট পরিশোধের নিশ্চিতকরন করতে হবে।বৃদ্ধ যখন তার ভাতার নিকট পাবেন, সমাজ তথা সন্তানগনও তাঁকে সন্মানে সংগে দেখবেন।

3. বয়সের সাথে সাথে চিকিৎসাটাও জরুরী হয়ে পরে।

4. সরকার বৃদ্ধ(৬৫বয়সের উর্ধে)দের জন্য সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা বিনামূল্যে করতে হবে।

5. আশ্রমে সরকারী খরচে ব্যবস্থা করতে হবে যদি বৃদ্ধে(৬৫বয়সের উর্ধে)র সন্তান সন্ততিরা তা করতে অপারগ হন বা পালন করতে সক্ষম না হন।



ধর্মীয় অনুশাষনের কথা শুনিয়ে সরকার তার পবিত্র দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।



আমাদের মনে রাখতে হবে ইসলামের ধর্মীয় অনুশাষনের সময় সরকার থেকে এমন উঁচু হারে কর বা ভ্যাট আদায় করা হোত না।



মানবাধিকারের সহজ সমিকরন হোলঃ সরকার যদি আয়কর নিয়ে থাকেন, তা হলে ঐ ব্যক্তির যখন আয় থাকবে না, সরকার তার আয়ের ব্যবস্থা করবেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

জাহিদ মজুমদার বলেছেন: সময়ের দাবী তো তাই।
কিন্তু যাদের হাতে সাধারণ মানুষের জীবনই নিরাপদ নয়, তাদের কাছে এ আশা করা আর ...। সরকারই যেখানে সবচেয়ে বড় ঘাতক।

১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: তবু ও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনে রেখে কাজ করে য়েতে হবে।

২| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন:
মানবাধিকারের সহজ সমিকরন হোলঃ সরকার যদি আয়কর নিয়ে থাকেন, তা হলে ঐ ব্যক্তির যখন আয় থাকবে না, সরকার তার আয়ের ব্যবস্থা করবেন।


লাইক ।

ধর্মীয় অনুশাষনের কথা শুনিয়ে সরকার তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না।

১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: সঠিক বলেছেন, ধর্মের নাম করে সরকার তার দায়িত্ব পালন করছে না মোটেই।

৩| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে এদেশের সরকার একমাত্র সরকার যে তার কোন দায়িত্ব পালন করেনা। আমাদের দেয়া করের টাকায় মন্ত্রীরা ফুর্তি করে ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ায় আর জনগন আঙুল চোষে।

১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: কোন পার্টি ক্ষমতায় এল, সঠিক পন্থায় এল কি না সেটা যেমন দেখার প্রয়োজন, তেমনি ক্ষমতায় এসে নুন্যতম সামাজিক দায়িত্ব গুলো পালন করছে কি না তা ও দেখতে হবে।

৪| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

rasel246 বলেছেন: যে পরিবারের জন্য তার এত ত্যাগ সেই পরিবারই তার খোঁজ রাখে না...............আর সরকার !!! নাই বা বলি

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১২

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: আপনার বক্তব্যটি র সংগে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না।

১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: পরিবার যখন খোঁজ রাখে না, তখনই সরকারের দায়িত্ব হয়ে যায়, সেই অচল, বয়সের ভারে নতজানু নাগরিককে দেখভাল করা। সেই কর্তব্যে সরকার কোন প্রকার নকর দিচ্ছে না।

৫| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

rasel246 বলেছেন: পারিবারিক অবক্ষয় এর কারনে আজ আমদের সমাজে বৃদ্ধ পিতা-মাতার শেষ ঠিকানা। একজন পিতা মাতা যখন তার সন্তান কে লালন পালন করেন তখন তারা দেখেন না সরকার তার সন্তান এর জন্য কি সুবিধা রেখেছে। চোখ বন্ধ করে সকল চাহিদা পুরন করে গেছে। আর সেই পিতা মাতা যখন বৃদ্ধ তখন তাদের জন্য সরকার, ভাতা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আশ্রম আরও কত কি প্রয়োজন।
হ্যাঁ, যে সকল বৃদ্ধ পিতা-মাতার সুযোগ্য সন্তান থাকা সত্তেও পৃথিবীর যারা অসহায়, শুধু কন্যা সন্তান এর জনক, অথবা অকালে সন্তান হারিয়ে সন্তানহীন তাদের জন্য আপনার পোস্টের যে সকল পরামর্শ দেয়া আছে তা ১০০% প্রয়োজন আছে।
কিন্তু আমরা যারা পিতা মাতা কে অসম্ভব ভালবাসি, আমাদের জন্য তাদের ত্যাগকে স্বীকার করি, তাদের জন্য কোন সরকার কেই প্রয়োজন নেই আমাদের বৃদ্ধ পিতা মাতার জন্য। আমরাই আমাদের বৃদ্ধ পিতা মাতার চলার পথের লাঠি। দু বেলা দু‘মুঠো ডাল ভাত খেয়ে তাদের দোয়া ও ভালসায় নিজেদের সিক্ত করতে চাই। আমরাই আমাদের বৃদ্ধ পিতা মাতার দেশ ও সরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.