নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাততঃ ঢাকা থেকে

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

ফেরদাউস আল আমিন

সুন্দর এই পৃথিবীতে আগমন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। স্কুল ........... সে অনেক.. মিশনারি স্কুল, ডি এন হাই স্কুল চাঁদপুর, চাকলালা বাংলা মিডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি, ইংলিশ মিডিয়াম মুযাফ্ফরাবাদ, ক্লাশ সিক্স বাদ শেষমেষ এবোটাবাদ পাবলিক স্কুল। চিটগাং কলেজ ও বুয়েট

ফেরদাউস আল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫ই জানুয়ারীর ২০১৫ এর যাতায়ত

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৯


শীতের সময় কামলা স্থলে(অনেকে "কর্ম স্থল" ও আখ্যায়িত করতে পারেন) যাবার সময় কিছুটা হেটে গিয়ে বাস ধরি উত্তরা ৪ নং সেক্টরের অলিখিত বাস স্টপ থেকে।
ওখানে দাঁড়ালে কাকলী যাবার একটি বাস এ উঠে কাকলী তে নেমে যাই, বাকী পথটা কিছুটা হেঁটে কিছুটা রিক্সায় করে "কামলা স্থল" মহাখালীতে পদধূলি ঝাড়তে পারি। শীতের সময়টা প্রায়ই এটা করে থাকি। ফেরার পথে কামলা স্থল কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত চার চাকার যান ব্যবহার করত ফিরে আসি।

আজ ৪ নং সেক্টরের অলিখিত বাস স্টপ এ সকাল নটায় এসে দেখি কাঙ্খিত বাসটি চলছে না, গতকাল থেকে সরকার দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন শহরের নিরাপত্তার জন্য শহরের জনগনের নিরাপত্তার জন্য ঢাকায় প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। সেই খবর শুনে গতকাল আমি কিছুটা নিশ্চিত ছিলাম যে, আজকে আরও সহজে "কামলা স্থলে" যেতে পারব। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আবদুল্লাপুর থেকে যে বাস এর রুট শুরু ও শেষ মিরপুরের কোন এক নম্বরে, সেই বাস কেমন করে "দূরপাল্লা" হয়ে গেল, আমার বোধগম্য হোল না।

দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে বুঝলাম ওটার জন্য এখানে অপেক্ষা করা বৃথা।
"প্ল্যান বি"
সব পরিকল্পনার একটি বিকল্প প্ল্যান থাকে।
বাংলাদেশের তথা ঢাকা শহরের সকল "কামলা কর্মীর" ও "প্ল্যান বি", "প্ল্যান সি",
"প্ল্যান ডি" থেকে শুরু করে
"প্ল্যান যেড"
ও রাখতে হয়।

প্ল্যান বি অনুসারে রিক্সা করে এয়ারপোর্টের মোড় পর্যন্ত যাবার জন্য রিক্সা দড়াদড়ি করা শুরু করি। সুযোগ বুঝে কেউ ৩০(তিরিশ) টাকার নিচে যাবে না(সারাদিন ভাড়া না হলেও)।

হাটা দিলাম, শীতের সকাল, কিছুটা হাটাই যায়। জসীমউদ্দিনের মোড়ে ২০(বিশ টাকায়) "রিক্সাওয়লা ভাই" রাজি হওয়াতে সেটার সদ ব্যবহার করলাম। এয়ারপোর্ট মোড় এসে দেখলাম, যাতায়ত ব্যবস্থা আরও শোচনীয়। ঝুলে গেলে যাওয়া যেতে পারে (আমার সে বয়স নেই তথা বাদুর ঝুলার)।

অগ্যতা "প্ল্যান সিঃ"
গত বছর সাফল্যজনক ভাবে এটি বাস্তবায়িত করা গেছিল, এবার এই প্ল্যান সি বাস্তবায়ন তো দূরের কথা শুরুই করা যাচ্ছে না। কারন এয়ারপোর্ট মোড়ের পূব দিকের ভেতরের রাস্তায় যে সকল "ইলেকটৃক ট্রাইক" চলতো, তার একটাও নেই। এটি যেত খিলক্ষেত পর্যন্ত; ওখান থেকে মেঠো পথে কুড়িল হয়ে ইউনািটেড হাসপাতালের ভেতরের রাস্তা দিয়ে, বনানী চেয়ারম্যান বাড়ির ভেতরের রাস্তা দিয়ে নির্ভিগ্নে কামলা স্থলে যাওয়া যেত। আজ নির্ঘাত তা হচ্ছে না।

আইডিয়া এবং "প্ল্যান ডি"
শুনেছি এয়ারপোর্ট স্টেশনের ট্রেন এ করে লোক জন বনানী ও ঢাকা মতিঝিল যায়।
গেলাম এয়ারপোর্ট স্টেশনে, ঢাকা গামী ট্রেনের টিকেট কোথা থেকে কিনব তার কোন নির্দেশনা নেই টিকেট কাউন্টারে, না আছে রেল কর্তৃপক্ষের কোন সাহায্য কারী কোন লোক । আছে শুধু দূরপাল্লা গামী ট্রেনের টিকেট কাউন্টার। না থাকলে আর কি করা, বিনা টিকেটেই ভ্রমন করতে হবে।
কিন্তু ঢাকাগামী ট্রেনতো পূব দিকের প্ল্যটফর্ম থেকে ছাড়বে, অগ্যতা ওভার বৃজ দিয়ে(আমি আবার এই নিয়ম মেনে চলার পক্ষ পাতি) ওপারে তথা পূবপারের প্ল্যটফর্মে। এখানে দেখলাম ৫'x৫' x৭' কক্ষে ঢাকা গামী টিকেট বিকৃ করছে(জনগন ঠেকে শিখবে, সরকারের দ্বায়িত্ব শুধু ট্রেন চালানো!!)
কিছু পুলিশ অলসভাবে বসে সেল ফোনে ব্যস্ত থাকার বৃথা চেষ্টা করতে দেখলাম, তাদের ইন-চার্জ স্মার্টফোন নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখলাম।

টিকেট বিক্রেতা জিজ্ঞেস করলাম, বনানীতে থামে এমন কোন ট্রেন এখন আছে কি না। বলল ১২ঃ৩০ মিনিটে একটা থাকতে পারে!
সামনে দিয়ে পরপর দুটো লোকাল ট্রেন যেতে দেখলাম, জিজ্ঞেস করলাম,
-- এ গুলো কোথায় যাবে?
-- এঘুলো ঢাকায় (মানে কমলাপুর)
-- রাস্তায় মহাখালী, ফার্মগেট থামবে?
-- মহাখালী, ফার্মগেট কি স্টেশন আছে, যে থামবে, (টিকেট বিক্রেতার বিরক্তি কন্ঠে উত্তর, অথচ চেন টানলেই থামানো যায়, বা নগরের ভেতরে চলাচলকারী ট্রেনের জন্য সাধারনতঃ আধা কিমি পরপর স্টপ থাকে, তা করা যেত।)

"প্ল্যন ই"
না সড়ক পথেই "কামলা স্থলে" যেতে হবে। আবারও এয়ারপোর্ট রাস্তার মোড়, এবার হঠাৎ করেই "লেগুনার" বাপকে(টয়োটা পিক আপ এর মনে হোল) পেয়ে গেলাম। যাবে ফার্মগেট হয়ে শাহবাগ। চার মহিলা যাত্রী সহ ঠাসাঠাসি করে উঠে গেলাম। আজকাল বাস্তবতার নিরিখে মহিলা যাত্রীরা এই ঠাসাঠাসি পরিবেশ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন, মনে হোল। গ্রামের রাস্তায় সিএনজি শেয়ার করার সময়ও একই পরিবেশ। টিকেটের পিচ্চিটা কিন্তু মাঝ বয়েসি ছিল, ছবির ন্যয় নয়।

রাত নটায়, ফেরার পথে চার চাকার লিফ্ট পাওয়াতে বেগ পেতে হয় নি আমার, কিন্তু পথে প্রচুর অসহায় যাতৃদের যান ববাহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম।
বাসের সংখ্যা ছিল নগন্য। জনগন ছোট এক টন ই ট্রাককে যাতৃবাহী ট্রাক হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।
এবং রাস্তায় যান বাহনের সংখ্যাও ছিল কম।
আজ বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ কর্মস্থলের গেটে পুলিশ তালা লাগিয়ে দিয়েছিল বিকেল বেলায়। কার "উর্বর" মস্তিস্কের ভাবনা এটা, বোঝা গেল না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: নিরাপত্তা জনিত অভিজ্ঞতা

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

অ্যানালগ বলেছেন: এইসব যন্ত্রনা থেকে বাচঁতে বহুদিন অফিস শেষে গুলশান থেকে মগবাজার হেটে ফিরেছি।

"উর্বর" মস্তিস্কটিতে ধুতরাফুলের মত আইডিয়ার ভালো ফলন হয়, এই মস্তিস্কধারীকে চ্যালেন্জ করার মত শিরদাড়া রাষ্ট্রযন্ত্র ও নিজ দলের কারো নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.