নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাততঃ ঢাকা থেকে

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

ফেরদাউস আল আমিন

সুন্দর এই পৃথিবীতে আগমন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। স্কুল ........... সে অনেক.. মিশনারি স্কুল, ডি এন হাই স্কুল চাঁদপুর, চাকলালা বাংলা মিডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি, ইংলিশ মিডিয়াম মুযাফ্ফরাবাদ, ক্লাশ সিক্স বাদ শেষমেষ এবোটাবাদ পাবলিক স্কুল। চিটগাং কলেজ ও বুয়েট

ফেরদাউস আল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবসা করার সহজতা সূচক

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

"ব্যবসা করার সহজতা সূচক"
Ease of doing business index
গুগল এর আনুবাদ
তবে আমি মনে করি এটি হওয়া উচিতঃ-
"সহজে ব্যবসা করার সূচক"

বিশ্ব ব্যংক প্রতি বছর ই এটি নিরুপন করে এবং তার তালিকা প্রকাশ করে।
গত বছর তথা ২০১৮খৃঃ সালে বাংলাদেশের এই প্রতিবেদনে স্থান ছিল ১৭৭ এবং এক বছরের ব্যবধানে তা এক পয়েন্ট উন্নিত হয়েছে।

একটি জাতির ড়্যার্ঙ্কিং সূচক ১০ টি উপসূচক বা বিষয়ের গড়ের উপর নির্ভর করে বিশ্বব্যংক তার তালিকা প্রনয়ন করে। সেগুলো হোলঃ-
Classification Jurisdiction ২০১৯খৃঃ ২০১৮খৃঃ ২০১৭খৃঃ ২০১৬খৃঃ ২০১৫খৃঃ
Below Average Bangladesh ১৭৬ ১৭৭ ১৭৬ ১৭৪ ১৭৩

এটি করা হয়েছে সর্বমোট ১৯০ দেশের জন্য। ১৯০ এর নিচ থেকে আমাদের স্থান ১৭৬ এ
ছক ছবি আকারে নিচে দেয়ার চেষ্টা করছি


সূত্রঃ- Click This Link
উইকিপিডিয়া

দক্ষিন এশিয়ার সব দেশ বাংলাদেশ থেকে সূচকে ওপরে আছে। অর্থাৎ ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল সব দেশেই বাংলাদেশ থেকে সহজে ব্যবসা করা যায়। অন্যভাবে চিন্তা করলে বলা যাবে বাংলাদেশে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ব্যবসার কাজ সমাধা করতে হয় অনেক বেশি।

১। একটি ব্যবসা শুরু করা - একটি নতুন ব্যবসা খুলতে যে পদ্ধতি অনুসরন করা হয়, যে সময় লাগে , কি রকম ব্যয় হয় এবং সর্বনিম্ন কত মূলধন লাগে।
২। নির্মাণ পারমিট এর আনুসংগিক কাজ - যে কোন ভারী ব্যবসায় কিছু না কছু নির্মান বা নির্মান বিষয়ক কিছু কাজ করতেই হয়। আর সে যদি একটি গুদামঘর হয়, যেখানে মালামাল সাময়িক গুদামজাত করে ব্যবসা পরিচালনা করা হবে, তার নির্মাণ প্রক্রিয়া, সময় এবং ব্যয় কত হবে, এটি ও সূচকে অনতর্ভুক্ত।
৩। বিদ্যুৎ প্রাপ্তি - একটি নতুন নির্মিত স্টোর বা গুদামের জন্য স্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তির জন্য কি পদ্ধতি, কত সময় ও ব্যয়।
৪। সম্পত্তি নিবন্ধন - বাণিজ্যিক স্থান নির্ধারন, চুক্তি, বা রিয়েল এস্টেট নিবন্ধন এর পদ্ধতি, সময় ও ব্যয় কত হয়।
৫। ক্রেডিট পাচ্ছেন কি ভাবে - এটি মুলত ব্যংক থেকে লোন পেতে কত সময় লাগে আইনি অধিকারের সূচক, ব্যবসায়ীর ক্রেডিট তথ্যের সূচক বা রেটিং যা ব্যংক এর প্রতিষ্ঠান সন্মন্ধে জানা উচিত।
৬। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রক্ষা - প্রকাশের পরিমাণের সূচক, পরিচালক এর দায়ের পরিমাণ এবং শেয়ারধারীর মামলাগুলির সরলতা
৭। কর প্রদান করা - প্রদেয় করের সংখ্যা, প্রতি বছর ঘন্টার ট্যাক্স আয় এবং মোট মুনাফা ভাগ হিসাবে প্রদেয় মোট কর প্রস্তুতি ব্যয়
৮। সীমান্ত বর্তী ব্যবসা - রপ্তানি এবং আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি, নথি বা কাগজ প্রক্রিয়াকরন, তাতে ব্যয় ও কি পরিমান সময় লাগে
৯। চুক্তি সম্পাদন - একটি ঋণ চুক্তি কার্যকর করার পদ্ধতি, সময় এবং ব্যয়
১০। দেউলিয়া অবস্থা - প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষনা করত হলে কি সময়ে লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলি তথা ব্যংক দেউলিয়া অবস্থাকালীন সময়ে তার মূলধনের পরিমান করতে পারে, সেই পুনরুদ্ধারের হার (%)

এ বিষয়ে ডঃ এম এস সিদ্দিকী র একটি বই সম্প্রতি স্ক্রাইবডি ডট কম এ দেখতে পেরেছি। তার থেকে কিছু উদ্ধৃতি নিচে দেয়া হোলঃ-
বাংলাদেশে ব্যবসা করন
(ডঃ এম। এস। সিদ্দিকী, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর প্রকাশিত স্ক্রাইডি ডট কমের একটি বই থেকে উদ্ধৃতি)

ব্যবসায় সূচী অনুসারে সিঙ্গাপুর ব্যবসা করতে সবচেয়ে সহজ এবং এশিয়ার নির্বাচিত অর্থনীতির মধ্যে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সেরা নিয়ন্ত্রক কর্মক্ষমতা রয়েছে এবং বাংলাদেশ ডিবিআই(সহজে ব্যবসা করার সূচক)-তে আরও খারাপ হয়েছে। সিঙ্গাপুরে এবং বাংলাদেশের তুলনায় অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা উন্নততর। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এলডিসি বিষয়ক উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হতে এটি ভাল সূচক নহে।
এখন দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলোর(সহজে ব্যবসা করার সূচক) সূচক দেখা যাকঃ-
গত বছর বিশ্বব্যাংকের 'ডুইং বিজনেস ইনডেক্স' বাংলাদেশকে ১৭৬ নম্বরে দিয়েছে। অন্যান্য দেশ
শ্রীলঙ্কার (১১০),
ভারত (১৩০)
এবং
পাকিস্তান (১৪৪)

ইরাক (১৬৫) এবং সিরিয়া (১৭৩) মত যুদ্ধবিদ্ধস্ত অর্থনীতিগুলি আমাদের চেয়ে আরও ভালো দেখাচ্ছে ; এটি অবাক করার বিষয় নয় কি?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অপর্যাপ্ত অবকাঠামো নিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘণ বসতির দেশ।
জমি পাওয়া, ট্রান্সপোর্টেশন, ঢিলা বুরোক্রেসি, স্থাপনা তৈরি জটিলতা, ইউটিলিটি কানেক্সন অনেক ডিলে হয় সংগত কারনেই।

এত বাধা এরপরও বর্তমান দেশজ উৎপাদনের ভিত্তিতে ২৭৫ দেশের ভেতর বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির ৪২তম বৃহৎ দেশ।
যা একসময় ২০০ নিচে ছিল।
এইচএসবিসি (ব্যাঙ্ক) গ্লোবাল রিসার্চের হালনাগাদ একটি প্রতিবেদনে জানা যায় এই গতিতে চললে আগামী ২০ বছর প্রবৃদ্ধি একটানা ৭ এর উপর থাকার জোরালো সম্ভাবনা। এর ফলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬তম বড় অর্থনীতির দেশ, এখন যে অবস্থানে আছে ইওরোপের অস্ট্রিয়া।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: পরজীবী লাশ ভাবে না তার পুব জনমের কথা

চোখের অন্তর্বাসে সেই উদম শরীরের রিদম

আজ খুলে ক্ষয়ে যায়

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩১

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: শৃংখলা, কাজে সততা আর নিয়মানুবর্তিতা সরকারী কার্যক্রমে থাকলে দেশ আর ও এগুতে পারত। দুঃৎজমক হলেও সত্যি, দক্ষিন এশিয়ার সকল দেশই আমাদের থেকে এগিয়ে।

আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, প্রবৃদ্ধি ৭%, সেই খুশিতে সন্তুষ্ট থাকলে আমাদের জানা অদক্ষতা গুলো কখনই সাড়াতে পারব না।
এর বিশাল উদাহরন, দেশের ট্র্যফিক ব্যবস্থাপনার করুন অবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.