নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু কথা কিছু ব্যথা

ফেরদৌস প্রামানিক

আমি মানুষ হিসেবে একটু ভাবুক টাইপের , যেসব ভাবনার সমাধান আগে হয়নি আর সামনেও হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই ।

ফেরদৌস প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোকমান হাকীম ও জোড়া স্যান্ডেল ( ছোট গল্প )

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১


ফেরদৌস আলম
+++++++++++++++++++++++
দু’ তিনটে তালি দেয়ার পরেও স্পঞ্জের এই স্যান্ডেল দু’ খানি কেমন জানি ঘাড় মুখ দুটোই বাকা করে রাখে; বড্ড বিরক্ত লাগে ! গত মাসে পাঁচ কম একশো টাকা জুটিয়ে ছিলেম বটে কিন্তু অর্থবিনাশী কালাজ্বর যেন সতীনের মত পিছে লেগে গেল । মাঝে মধ্যে জ্বর হওয়া এই অকর্মা দেহটার জন্য ভালো, তবে এমন দুর্ভাগা দিনে না এলেই নয় কি ! শেষমেষ বিদেয় তো হল; সব উজার করে দিয়ে । অনেক সময় ধরে বেল গাছটার নিচে চোখ মুখ ভারী করে ভাবে লোকমান হাকীম । বেল গাছটার বয়স আনুমানিক তার বয়সের চেয়ে ঢের বেশী নয় । তবুও তার মুরুব্বি গোছের । আগে ভাবত, গাছ আবার কীসের মুরুব্বি ? প্রাণ আছে এটা বুঝার পর থেকে সে ভাবনা বদলে গেছে । অনেক ফুল হয় গাছটার কিন্তু মাথায় পড়ার মত দু’ একটা কঞ্জুস বেলও আজও তার চোখে পড়েনি । কুলক্ষ্মী গাছ ! তবুও কেও কাটে না । বড় রাস্তার গাছ । তার উপর সরকারী । এই চৈত বোশেখের দিনে কয়েক গজের ঠান্ডা ছায়া তো মিলে । বুড়ো থুরো লোকগুলোর হাটতে হাটতে পা লেগে গেলে এইখানটাই দু’ দণ্ড জুড়িয়ে নিতে পারে তো । ওরাই মনে হয় গাছটার জন্য দুয়া আশীর্বাদ করে, না হলে রূপ শ্রীহীন এই জ্যান্ত মুর্তিটার কোন কাজ তেমন একটা ছিল না । ও হ্যা, স্যান্ডেলটার দিকে আবার তাকায় । কিছুই করার নাই । মায়া জমে গেছে । এই কুলক্ষ্মী গাছটার মত । ক’ বছর হল জানি ? বানের জলে আব্বাস মুনশীর মস্ত বড় পুকুর যেবার উথলে গেল , সেইবারেই তো । নদীর পারে কচুরিপানার মাঝে পেয়েছিল । কপাল বলতে হবে আমার ! নইলে জোড়া স্যান্ডেল একসাথে পাওয়া যায় নাকি ! আমি পেয়েছিলুম । বাপজানরে অনেক বলেও তো একবার চান্দিপাড়ার হাট থেকে প্লাস্টিকের জুতো কেনাতে পারিনি । সেই কপাল হল বুড়ো বয়সে তাও আবার নদীর ঘাটের সখ্যতায় । অমন মোরগ-ডাকা ভোরে মোটা বালুর খরখরে ভিজে হাওয়ার জল পায়ে না ঠেকলে পা দু’খান স্বস্তি পায় না যে, যেন মোড়ল বাবুর সকাল বেলার জলপান ।
হালযুগে নামখানা বদলেছে । এখন মোড়ল বাবুর জায়গায় চেয়ারম্যান সাব । কী বিদঘুটে! ইংরেজ সাহেবদের মত। লাট সাব, মাস্টার, লর্ড, স্যার আরও কত্ত কী । লোকমান হাকীমের ওসব নাম মুখে নিতে কেমন ঘেন্না ঘেন্না লাগে । তবুও তো না বলে উপায় কী । গাছটার নিচে এখন দখিণা হাওয়া বইছে। হাওয়া দখিণা হোক আর উত্তরার হোক প্রাণ জুড়ানো হলেই হল । সে হাওয়াই চোখ বুঁজলেই যেন রাজ্যের ঘুম চোখে নেমে আসে। লোকমান হাকিমেরও ঘুমুতে ইচ্ছে করছে । কিন্তু তা হলে এখন চলবে না । স্যান্ডেল জোড়া বগল বন্দী করে বাড়ির পথে পা বাড়ায় সে ।
বাড়ির সামনে তার এক খণ্ড আগলে রাখার মত জমি আছে। রাস্তার মোড়ের উপর। তার বাবার হাতের শেষ অমূল্য স্মৃতি । ধরাধামে তার উত্তরাধিকারী বলতে কন্যার দিকের একমাত্র নাতনী । কলমিলতা । নামখানি লোকমান হাকীম নিজেই দিয়েছিল । কোন যত্ন আত্নি ছাড়াই কলমি গাছ যেমন নিজেকে সাদা সাদা ফুলে অপরূপা করে সাজিয়ে তুলে, তার নাতনী কলমিলতাও ঠিক তাই । চুলে সাদা ফিতে দিলে যেন সাক্ষাৎ কলমিফুল , আর লালফিতায় রক্তজবা । কলমিলতাই তার ইহকালের সবচেয়ে বড় মায়া । কলমিলতার জন্যই সে জমিটাকে নাত জামাইয়ের মত আদর করে । না হলে ফুটো পয়সার দামের লোকমান হাকীমের যাবার কালে জমি জিরেতের আর কীইবা দরকার ! কিন্তু সেটুকুর উপরেও মানুষের কুদৃষ্টি পড়েছে । ঐখনাটাতেই নাকি দোকানঘর ভালো জমবে। নানা জনে বেচতে তাগাদা দেয়। টাকাকড়ি, বদলাজমি আরও অনেক কিছুর । কিন্তু লোকমান হাকীম নাছোড়বান্দা । জমির বদলে জমি পাবে বটে, কাঁচা টাকাও পাবে কিন্তু তার মরা বাপের বুকের পাঁজর মেশানো মাটির গন্ধ তো আর সেগুলোয় পাওয়া যাবেনা । জমিটুকুন তাই তার জীবদ্দশায় বিক্রয়যোগ্য নয়- এই কথাই জোর গলায় বলে বেড়ায় সে । জমিটাতে সে ক’মুঠো লালশাঁকের বীজ ছিটিয়ে দিয়েছিল । সেগুলোই বেশ ঘন হয়ে গজিয়েছে, এখন যেমন দেশে দেশে মানুষ গজাচ্ছে । হু হু করে মানুষ বাড়ছে । সেই সাথে বাড়ছে মানুষের অমানুষিকতাও ! কিছু চারাগাছ পাতলা করে দিতে হবে, তাহলে বাকী লালশাঁকগুলো তর তর করে বেড়ে উঠবে। দু’ একটা লালশাক তার নাতনীর মুখে পুরে দিতে পারলেই কলিজেটুকুন শান্তি পাইতো- তাই ভাবে লোকমান হাকীম । রোজকার বিকেলটা তার এখানেই দিব্যি কেটে যায় । সেদিন বিকেলে হঠাৎ মোটা গলার আওয়াজে তার খেয়াল ভাঙ্গে ।
কেমন আছো, লোকমান ভাই ?
- আরে চেয়ারম্যান সাব যে ! ভালো । থতমত খেয়ে বলে লোকমান হাকীম । কোমরে পেচানো পাকা রঙের গামছায় হাতটা ডলতে ডলতে বলে সে ।
- চেয়ারম্যান চোখ দুটো বড় করে, যেন টেপা মাছের পেট ওগুলো, মুখের সাইজ কেমন জানি করে বলে, তা লোকমান ভাই, আমারে একটু ভালো থাকতে কি দিবেনা ?
- কপালে লোকমান হাকীমের মানচিত্রের মাঝখানের নদীর চিহ্নের মত গোটা কয়েক রেখার আবির্ভাব ঘটে, ঢোক গিলে গলার হারটা ফুলিয়ে তুলে বলে, আমার দ্বারা আপনার ভালো মন্দ হয়, এতো আমার বুঝের মধ্যে আসছেনা চেয়ারম্যান সাব! চেয়ারম্যান বলল,
-বুঝে বললেই তো বুঝবা লোকমান ভাই । আমার ভাতিজা ভালোভাবেই চিন ।
-জ্বে, চিনি ।
-কেমন মানুষ ?
- সে কথা বললে তো আপনি আমার উপর বেজার হবেন নিশ্চয় !
- পাক্কা বদমায়েশ পোলাপান ! মানুষের ক্ষতি না করলে তার আহারও গলা দিয়ে নামেনা আবার নিদ্রাও চোখে আসে না । আমি তার চাচা , কিন্তু আপদে বিপদে এ তল্লাটের অর্থাৎ তোমাদেরই তো এক নগন্য খাদেম ।
- জানি চেয়ারম্যান সাব ।
- তার একটা বন্দোবস্ত করব ভাবছি । দেখ, সময় আর ক্ষ্যাপা বাতাসের জোরে নদের পানি উত্তাল হলে তার দিক-বিদিক হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে তীর ভাঙ্গে বটে, কিন্তু খোদা তায়ালাই ক্ষ্যাপা বাতাস বন্ধ করে দিলে সেই পানিই কিন্তু জোয়ারে ফুলে ফেপে থাকলেও পলি মাটি পাহাড় থেকে নিয়ে এসে সোনার ফসল ফলানোর জন্য চর জেগে তুলে । বাচ্চুর ক্ষ্যাপা বাতাসের বন্ধের একটা উপায় করলে কেমন হয়- বলতো লোকমান ভাই ? মানুষ তো মানুষেরই জন্য, তাই না ?
- লোকমান হাকীম মনে মনে ভাবে, বাচ্চু যে ইবলিশ, তার পক্ষে পুনরায় ফেরেশতা হওয়া তো দূরে থাক, বাদর হয়ে বাদর সমাজেও তার স্থান হওয়ার কোনই আশা বাকী নাই – এটা দুধের বাচ্চাও বলে দিতে পারবে। সে আবার হবে ভালো ! তবুও সে খুশি হওয়ার ভান করেই বলে- না, ভাল তো হয়ই, কিন্তু আপনি যে ঠিক কী উপায়ে তার ক্ষ্যাপামি থামাবেন তাইতো মাথায় আমার আসেনা চেয়ারম্যান সাব ।
- সে নাকি কড়া নিয়ত করেছে, বাকী জীবনে কারো কোন অনিষ্ট করবেনা । জানো তো লোকমান ভাই, খাটি নিয়তই কাজের অর্ধেক , তার উপর যুবক ছাওয়ালের নিয়ত ; যেমন কথা তেমন কাজ ! খুশিতে চেয়ারম্যানের চোখ অজানা কারণে চকচক করে উঠে, বলে, সে রাজি হয়েছে, তবে দুটো শর্তে ।
- লোকমান ভাবে, এসব তাকে শুনানোর মানে কি ? সে তো ফুটো পয়সার আদম! মামলা মোকাদ্দমা, ইহকালের সমস্ত বিপদ আপদ, কলহ-বিবাদের উর্ধ্বে সে মাটির মত নিশ্চুপ ! চেয়ারম্যান কথা না থামিয়ে বলতে থাকে,
- শর্ত দু’খান হল তারে একটা ভালো দোকানঘর তুলে দিতে হবে ব্যবসা করার জন্য আর সেই সাথে সুন্দরী একখান মেয়ে দেখে একটা বিয়ে । এখন তুমি বল, কেউ ভালো হতে চাইলে তারে কি আটকানো উচিত? তোমার এই জমিটুকুন যে বাচ্চুর জন্য খুব দরকার লোকমান ভাই ! ভালো দাম তুমি পাবে, এ আমার মুখের পাক্কা কথা! তোমার মুখে এখন আমি আর কোন ‘না’ শুনতে চাই না । লোকমানের বুঝতে বাকী রয়না যে, কালাজ্বর বিদেয় হয়েছিল বটে, তবে যাওয়ার পথে আরেক সর্বনাশা বিপদের সাথে নিশ্চিত সাক্ষাৎ ঘটেছিল আর সেই তাকে নিরীহ লোকমান হাকীমের সন্ধান দিয়েছিল সর্বনাশ করার জন্য । না হলে তার কলিজা ধরে টান দেয়ার মত এহেন নিষ্ঠুর প্রস্তাব এই অমানুষ চেয়ারম্যান মুখে আনবেই বা কেন ? লোকমান হাকীম কাচুমাচু করে বলে, আমারে যে ক্ষমা করতে হয় চেয়ারম্যান সাব ! এ যে আমার বাপের ভিটে । শেষ চিহ্ন ! বাপের হাড়গোড় মিশে আছে তার বুকেই । এটা বেঁচে দেয়ার মত অলক্ষুণে কাজ আমার দ্বারা যে মোটেও সম্ভব নয় । এ যে সাক্ষাৎ পাপ !
চেয়ারম্যান কাষ্ঠ হাসি ছড়িয়ে বলে,
-বল কি লোকমান ভাই ? জমি বেচলে পাপ হয় এ তো আমার বাপের জন্মেও শুনিনি ! এসব কুসংস্কার ! এগুলো বিশ্বাস করতে হয় না । -উৎকণ্ঠা চোখে মুখে নিয়ে লোকমান হাকীম বলে, আমি মূর্খ মানুষ , অতসব বুঝিনা চেয়ারম্যান সাব , আমি এমন পাপ করে কবরে যেতে পারব না । পরকালটারে নিজের হাতে জাহান্নাম বানিয়ে দুনিয়ায় চোখ দুটো বন্ধ করতে চাইনা যে ! এই আপনার পায়ে আমার হাত রাখি, মাফ চাচ্ছি !
- চেয়ারম্যান এবার একটু গম্ভীর গলায় বলে, দেখো লোকমান ভাই, ছেলেটা ভালো হলে তোমার আমার সকলেরই উপকার হইত, অপকারটা বন্ধ হইতো । আর তোমার জমিটুকুন তার জন্যে এক্কেবারে খাপে খাপে মিলে যায় । এবার লোকমানের হাত ডলাডলি আরও বেড়ে যায় । আরও অধিক বিনয়ের সাথে বলে,
- সে আপনি অন্য কোথাও চাইলেই তো ব্যবস্থা করতে পারবেন । টাকাকড়ির কী কমতি আছে আপনার ! আমায় ক্ষমা করবেন বলছি ! আমি আমার মরা বাপকে বেঁচে দিতে পারব না চেয়ারম্যান সাব !
- মুখমন্ডল কালো করে চেয়ারম্যান বলে, ঠিক আছে । উপকার তো দেখছি কারোই করতে পারলাম না । না তোমার, না বাচ্চুর । যাইহোক, লালশাঁকে পানি ঢেলোনা শুধু, একটু বাঁশের কঞ্চির বেড়া দিও। নইলে বেয়ারা গরু-ছাগলের মুখে পুরতে বেশী বিলম্ব হবেনা । আবারও থতমত খেয়ে লোকমান হাকীম বলে,
- জ্বি আচ্ছা !
লোকমান ভাবে, সে আসলে কোন কথাই গুছিয়ে বলতে পারে না ! নিজের উপর রাগ হয় বেশী , রাগ হয় চেয়ারম্যানের উপরেও । আনমনে ভাবে, যার মধ্যে গুছিয়ে কথা বলার স্বভাব অনুপস্থিত তার অন্তত মায়াকান্নায় মানুষের মন গলানোর অভ্যেস থাকা অতি আবশ্যক ! হতভাগা লোকমান হাকীমের তাও যে নেই!
দিন কয়েক পরে লোকমান হাকীমের বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে । কার কান্না ? তার কন্যার, নাতনী কলমিলতার ! লোকমান হাকীম নিরুদ্দ্যেশ, কেউ কেউ বলছে গায়েব ! কেঁদে কেটে আরও দু’টো দিন পার হয় । লোকমান হাকীম নেই, নেই তার কোন সন্ধান বা চিহ্ন । সেদিন বিকেলেই কী মনে করে কলমিলতা নদীর ঘাটে যায় । তার নানা তাকে মাঝে মধ্যে সকাল বেলায় এই ঘাটটাতেই বেড়াতে নিয়ে আসত । হঠাৎ বেশ খানিকটা দূরে সে তার নানার পায়ের সেই স্যান্ডেল জোড়ার একটা দেখতে পায়, খানিক দূরে আরেকটা ! তাহলে কী নানা পানিতে ...............। চোখ জোড়া ছল ছল করে উঠে কলমিলতার । সপ্তাহ খানেক পরে এসে চেয়ারম্যান লোকমান হাকীমের টিপ সমেত একটা দলিল বের করে তার কন্যাকে দেখিয়ে বলে যে, তার বাপ ঐ মোড়ের জমিটুকুন তার কাছে মোটা টাকায় বেঁচে দিয়েছে । লোকমান হাকীমের কন্যা বাকরুদ্ধ হয়ে যায়! কিছু বুঝে পায়না লোকমান হাকীমের নিরীহ আর গোবেচারা মেয়ে, নাতনী ।দু জোড়া কান্না মিশ্রিত চোখে চেয়ারম্যানের দিকে বুকফাটা আর্তনাদ তুল্য কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ! চেয়ারম্যান মায়া দেখায়, লোকমানের জন্য , তার মেয়ে নাতনীর জন্য, শেষে দুশো টাকা বারান্দার চৌকির উপর রেখে বিদেয় হবার তাড়া দেয় ওদের। বাবাহারা মেয়েটা ভাবে, জগৎ সংসারে লোকমান হাকীমই ছিল তাদের জোর গলার দাবী শোনার হাকীম । তার আদালত ছাড়া অন্য যেকোন আদালতই তাদের দায়ের করা অভিযোগে তাদেরকেই উল্টো দোষী সাব্যস্ত করবে – আজ তা বুঝার আর বাকী থাকেনা । আর কারো সামনে তাদের চক্ষু জোড়ার নোনা পানির সমুদ্রের কোন তিল পরিমাণ দাম নেই- তারা তা হাড়ে হাড়েই টের পায় । ফিরে যায় সে, ফিরে যায় কলমিলতাও, শুকনো ঘাস মাড়ানো পথে । দিন কয়েক পরে ভাটিতে লোকমান হাকীমের গলাকাটা লাশের সন্ধান মিলে । লাশ যেহেতু গলাকাটা, তাই গ্রামের লোকের গলা থেকেও আর কোন শব্দই সশব্দে দিনের বেলায় বা রাতের আধারে কখনোই বেরুলনা ।বহুদিন পরে ভিন গাঁয়ের মানুষের মুখে শোনা যায়- লোকমান হাকীম স্যান্ডেল জোড়া ছাড়লো বটে, কিন্তু কলিজের মতন ঐ জমিটুকুন না !

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই !

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: বেশ লাগল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১১

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই !

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সুমন কর বলেছেন: শেষে ভালো লাগল। তবে বর্ণনা মোটামুটি !!

শুভ ব্লগিং........ !:#P

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: চেষ্টা করছি আরো ভালো করার । পাশে থাকবেন প্লিজ !

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফেরদৌস প্রামানিক ,



গতানুগতিক কাহিনী তবে লেখার ষ্টাইল পাঠক ধরে রাখার মতো ।

এটুকু ভালো লাগলো - লোকমান হাকীম স্যান্ডেল জোড়া ছাড়লো বটে, কিন্তু কলিজের মতন ঐ জমিটুকুন না !

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: অনুপ্রাণিত করলেন, সামনে আরো ভালো করার চেষ্টা করবো ।

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৬

আছলাম বলেছেন: ভালো লেগেছে ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনুপ্রাণিত করলেন ভাই । ধন্যবাদ !

৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

প্রামানিক বলেছেন: আপনিও প্রামানিক আমিও প্রামানিক, আপনার বাড়ি কোথায় ভাই?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আপাতত শুধু বলছি, যমুনার পাড়ে ।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৫

প্রামানিক বলেছেন: যামুনার পাড়ে হলে অসুবিধা নাই সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামের এক জায়গায় হলেই হলো।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৮

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: জ্বি ভাই , মাইন্ড করেন না !

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৭

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ রইলো !

৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভাল লেগেছে গল্পটা।

গ্রামের এইসব পলিটিক্স এখনো বজায় আছে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৩

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার ভালো লেগেছে জেনে !

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

বিজন রয় বলেছেন: বেশ ভাল লাগল গল্পটি।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রেক্ষাপট গুছিয়ে বর্ণনায় এনেছেন। এটা ভাল লাগল।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগলো অনেক ! ধন্যবাদ ।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

পুলহ বলেছেন: আপনার লেখার হাত খুব ভালো, কুশলী লেখকের ছাপ আছে তাতে।
গল্পের খুটিনাটি গুলো খুবই সুন্দর ফুটিয়েছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। উপমা নির্মাণেও ছিলেন তুলনামূলক দক্ষ ..
আন্তরিক শুভকামনা রইলো ভাই আপনার জন্য :)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২১

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ থাকলাম । কেননা গভীর দৃষ্টিতে আপনি আমার লেখাটা পড়েছেন এবং মূল্যায়ন করেছেন । দোয়া করবেন যাতে সামনে আরো ভালো লিখতে পারি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.