![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ হিসেবে একটু ভাবুক টাইপের , যেসব ভাবনার সমাধান আগে হয়নি আর সামনেও হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই ।
কোন এক বিকেলে রাখি পা এ পথে
হাসিভরা মুখ নিয়ে বসি সব একসাথে।
কে কোন ঠিকানার তা মনে রাখিনি,
দিন-ক্ষণ ঠিক করে সে বাঁধন বাঁধিনি।
ছিলনাতো জাত-ভেদ, বংশীয় ব্যবধান,
একসাথে গাইতাম মুখে মুখে একই গান।
মইনুল ভাল ছেলে হাসে যে ঠোট মেলে,
টাকা জমা আগে দিয়ে, ছিল সে এক-রোলে।
মাসুদ তো লম্বা, লজ্জায় মরে যায়!
বিয়ে-থা করেছে আম-দেশে চাঁ-পাই।
মাসুদ-২ ফুটফুটে কি যে মধু মুখখান,
অকালে বিয়ে করে আজ মাথা চুলকান।
নাজমুল বেশ ‘জোশ’ বান্ধবী সবে বলে,
আজও তার স্মৃতি জেগে, ফোরামের দেয়ালে।
জাহিদ তো নম্র, ইয়া বড় দেহ তার,
যে কোন আয়োজনে, সেই বড় ভূমিকার।
ইবলিশ ও শয়তান, ফাজিল সে বড্ড,
সরলতা মাখা মন মায়া-ধনে ধনাঢ্য।
নাম তার ‘বাবু’ ঠিক, নয় মোটে শান্ত,
সবাইকে জ্বালিয়েও হত না সে ক্ষান্ত।
‘বর’ ছিল ‘আফতাব’ বেশ মাথা তপ্ত,
চুল ছিল আধপাকা, মনটা যে ক্ষিপ্ত!
যুবরাজ ‘সৌরভ’ আমুদে ছিল খুব,
শেষকালে ছ্যাকা খেয়ে হারালো যে সেই রূপ।
আয়নাল নাহিদা রিকশায় খেত পাক,
ফুট করে শাদী সেরে লাগিয়ে দিল তাক!
‘সুজাউল’ হিসেবী জীবনের সবখানে,
সফলতা বরাবরই মিলে তাই তার পানে।
দু’ ‘হাসান’ দু’ জেলার তবু মিল ছিল ঢের,
ফর্সা দুজনই, হ্যাংলা শরীরের।
জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব নিয়ে ‘আশা’ কথা বলত,
ক্লাসে বসে চুপচাপ লেকচার শুনত।
‘কলি’ আর ‘লুৎফর’ রোমিও-জুলিয়েট
বন্ধু হতে তাই করেনিতো কোন লেট।
একসাথে সারাক্ষণ অযথাও যদি তা,
দু’ জনের হাতে মুখে ঝরত যে কবিতা
কেন জানি ‘খাদেমুল’ হয়ে গেল বেশ মোটা,
তবুও তো সবখানে লেগে ছিল তার ছটা।
লিকলিকে আজও আছে আমাদের ‘শাহাদাত’,
পিকনিকে নেচে গেয়ে করত যে পুরো মাত।
নাম দেয় ওকে সব আমাদের ‘জ্যাকসন’,
কোন মেয়ে তবু ওকে দেয়নিতো আজও মন।
প্রাণ-দিল সব ছাফ, ছিল সে ‘ইমদাদ’,
নোটগুলো করতো খেটে খুটে দিন রাত।
মেয়েগুলো নিতে নোট তার কাছে ভিড়ত,
শেষ হলে এক্সাম, ব্যস্ সরে পড়ত !
খুব খুব সরলা ‘খালকীন জা-দীদ’,
স্যারদের মন জয়ে সে ছিল মনোবিদ।
ত্রিভুজের তিন বাহু ছিল তিনজনা,
‘শান্তা’, ‘শম্পা’, ‘রুনি’ ছাড়া কেউনা।
‘সাফি মামা’ পড়ুয়া হয়ে থাকে ন্যাঅ্যাড়া,
ভিনদেশ ঘুরে তার চোখ ছানাবড়া।
‘মাহবুব’ স্টাইলিশ, হাটে তাই হেলেদুলে,
চাকমা পটাতে সে রঙ করে চুলে।
তবুও সে মেধাবী, করি তাকে সম্মান,
রপ্ত সে করেছিল ছোট খাটো অভিধান।
‘নাহারুল’ যেন ফুল শুভ্রো চেহারা,
হালকা দুষ্টুমি করতো যে বেচারা।
আরেকটা ছিল বদ, বসত যে পেছনে,
‘বিড়ালের ডাক’ দিত মোবাইল টিউনে।
কত মেয়ে পটাত যে এই ঝানু মিয়া,
ফুটফুটে মুখ তার নাম ‘কিবরিয়া’।
‘শ্রাবনী’ ফার্স্ট গার্ল পুরোপুরি আলাদা,
তার থেকে দূরে তাই সব শাহাজাদা।
দু,বছরে সব ছেড়ে চলে গেছে ‘জহুরুল’,
মাফ করে দিস্ ভাই, যদি থাকে কোন ভুল।
‘মুক্তার’ কথাতে যেন ঢালে মুক্তা,
নোট নিয়ে ছুটত সে, জুড়ে পুরো সপ্তাহ।
‘লিটনের’ যে হাসির নেই কোন তুলনা,
হেসে হেসে অস্থির তবু সে তো থামেনা।
‘ঐ মিয়া’ বলে স্যার, দিত যবে গালি,
হাসিতে হাসিতে তার পেট আরও খালি।
পাশ ফিরে সেই সব যতবারই খুঁজি,
দীর্ঘ নিঃশ্বাসে চোখ দুটো বুঁজি।
একসাথে ছুটে চলে সবখানে যারা,
একা একা আজ তারা যেন দিশেহারা!
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১১
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আমারও যে সে রকমই খারাপ লেগেছিল !
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৭
মো: ইমরান আল হাদী বলেছেন: আপনার লস্বা কবিতার মতই লম্বা ভাললাগা, শুভেচ্ছা রইল।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১১
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৭
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: অসাধারণ!! আমার বন্ধুদের কথা মনে পড়লো।।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১২
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৭
কল্লোল পথিক বলেছেন:
অসাধারন কবিতা।
১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪১
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগলো !
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
সুমন কর বলেছেন: মজার হয়েছে। বন্ধুদের কথা মনে পড়ল।
১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪১
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ!
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৮
বিজন রয় বলেছেন: বাহ! অসাম।
আপনি সহ আপনার সব বন্ধুদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪২
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার বন্ধুদের কাছে আপনার শুভেচ্ছা পৌছে দিব!
৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: অসাধারন কবিতা। ধন্যবাদ
১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ !
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৬
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: 'একসাথে ছুটে চলে সবখানে যারা,

একা একা আজ তারা যেন দিশেহারা!'
মনটা খারাপ করে দিলেন। ভার্সিটি লাইফের চতুর্থ বর্ষে পড়ছি। আর মাত্র কয়েকটা মাস। তারপরেই সব বন্ধুরা আলাদা হয়ে যাব। ভাবতেই কেমন যেন গলায় দলাপাকানো একটা অনুভূতি হয়