নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ferdous

ferdous

::: I am not what happened to me... I am what I choose to become...

ferdous › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনাকে কর্মক্ষেত্রে খুব দ্রুত সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গাইডলাইন...... বন্ধুরা আপনারা জব করেন আর নাই করেন এই লেখা আপনাদের সকলকেই পড়া উচিত ...

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

এখানে দেওয়া গাইড়লাইনগুলো বর্তমানে কাজে না লাগলে ও ভবিষ্যতে ১০০% কাজে লাগবে ... তখন হয়ত আমাকে একবার হলেও স্বরন করবেন ...

আর মন থেকে একটা থ্যাংকস দিবেন আজকের এই শেয়ারের জন্য ......

অনেক চেষ্টার পর আপনি একটা চাকরি পেয়েছেন। আপনার সামনে এখন এক নতুন জগৎ। এ সময়ে নানারকম অনুভূতি আপনার ভেতর কাজ করবে। নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করবেন। অস্থির মন শান্ত হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, চাকরি পাওয়ার যে দুশ্চিন্তা ছিল, সেটা এখন আর নেই। শুধু আছে অজানা ভয়। অনেক অপরিচিত মানুষের সাথে আপনার দেখা হবে। তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা আপনি জানেন না। আপনার বস কেমন হবে, এটা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা হচ্ছে। সময়মতো কাজে যেতে পারবেন কিনা, এটাও কম চিন্তার বিষয় নয়। তাই নিম্নে প্রদান করা হলো প্রয়োজনীয় কিছু গাইডলাইন যা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে টিকে থাকতে সাহায্য করবে।



1) প্রথমেই আপনার সহকর্মীদের সাথে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন। কিন্তু কারো সাথেই প্রথমেই বেশি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবেন না। প্রায় সব সহকর্মীর সাথে খোলামেলা আচরণ করুন। তাদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন। তারপর সময়ের পরিক্রমায় কারো সাথে যদি বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তখন তার কাছ থেকে কোম্পানি সম্পর্কে যা জানার জেনে নিন।

2) প্রথম ইম্প্রেশন মানুষ সারাজীবন মনে রাখে। কর্মজীবনেও ব্যাপারটা সত্যি। এই সময়ে আপনার সবচেয়ে ভালো গুণগুলো বিনিয়োগ করুন। অমায়িকতা, আত্মবিশ্বাস, অপরকে সাহায্য করার মানসিকতা, অপরের মতামতকে মূল্যায়ন করা ইত্যাদি ভালো গুণগুলো আপনাকে কর্মজীবনের প্রথম একশ দিন সাফল্যের সাথে পাড়ি দিতে সাহায্য করবে।

3) আপনার কোম্পানি কিংবা ফার্ম যাই হোক না কেন, আপনার দায়িত্ব হবে কোম্পানি সম্পর্কে বিশদভাবে জানা। কোম্পানি কিভাবে কাজ করে, কোম্পানিতে কারা গুরুত্বপূর্ণ লোক, এখানে কিসের মূল্য সবচেয়ে বেশি দেয়া হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করুন।

4) আপনি একজনকে বাছাই করুন যে আপনাকে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দিয়ে সাহায্য করতে পারে। এটা করতে গিয়ে কাউকে যেন ক্ষেপিয়ে না তোলেন। প্রথম একশ দিনে আপনার কাজ হবে সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করা এবং সেটা বজায় রাখা। অন্যের কাজে নাক গলাবেন না, সে যদি সাহায্য চায়, তখনই কেবল আপনার সাধ্যমতো তাকে সাহায্য করুন।

5) সহকর্মীদের আচরণ বিশেষভাবে খেয়াল করুন। তারা কিভাবে পোশাক পড়েছে, তারা কিভাবে কথা বলে, একে অপরের সাথে তারা কিভাবে সম্পর্ক বজায় রাখছে, এসব খুব মনোযোগের সাথে পর্যবেক্ষণ করুন। কারণ ভবিষ্যতে আপনি কোম্পানির একজন স্থায়ী সদস্য হতে যাচ্ছেন।

6) কর্মজীবনের কোনো অবস্থায় কারো সাথে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করবেন না। এটা করলে প্রথমেই আপনি একজন শত্রু সৃষ্টি করলেন যে আপনাকে নানাভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।

7) আপনি একজন পন্ডিত লোক, এ রকম ভান করার কোনো প্রয়োজন নেই। এটা করলে আপনি সবার কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন। সবাইকে কাছে টানার চেষ্টা করুন। আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকুন। প্রয়োজনে সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করুন। সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে সবাই কমবেশি দ্বিধাদ্বনেদ্ব ভোগেন। আপনার বেলায়ও সেটা প্রযোজ্য। কাজেই অহেতুক ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

9)

কোম্পানির ইমেজ বা গুডউইল হলো কোম্পানির সবচেয়ে বড় সম্পদ। কোম্পানির একজন কর্মচারী হয়ে সেটা আপনাকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। তাহলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আপনাকে সুনজরে দেখবে।

কোম্পানির বস বা মালিককে খুশী করবেন যেভাবে



কোম্পানির বস বা মালিক হচ্ছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাই বসের সাথে সুসম্পর্ক গড়ার উপর আপনার সাফল্য নির্ভর করছে। আপনার কাজ যদি বসের পছন্দ হয়, আপনার কাজকে যদি বস মূল্যবান মনে করেন, তাহলে মনে করবেন আপনি প্রথমেই সাফল্যের সিঁড়িতে পা দিয়েছেন। আর আপনাকে যদি বস পছন্দ না করেন, তাহলে আপনি যতই ভালো কাজ করুন, সহকর্মীদের সাথে যতই ভালো সম্পর্ক থাকুক, আপনার ক্যারিয়ার বেশি দূর যেতে পারবে না। বসের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করা এক কঠিন কাজ। কিন্তু ব্যাপারটা সম্ভব। এ ব্যাপারে আপনাকে বেশ সিরিয়াস হতে হবে। সময়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বস যা পছন্দ করেন, সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।



বসের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হলে নিচের কাজগুলো করতে পারেন:

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

১. আপনার সাফল্য, ছোট হোক বা বড় হোক, সেটা বসকে জানাতে চেষ্টা করতে হবে। তাহলে বস আপনার কাজ সম্পর্কে নিয়মিতভাবে জানতে পারবেন।



২. বস সমস্যায় পড়বেন, আপনি সেটা সমাধানের চেষ্টা করবেন, নিজেকে এভাবে কল্পনা করুন।



৩. প্রাসঙ্গিক কোনো বিষয়ে আপনার মতামত বসকে জানাতে চেষ্টা করুন। সাথে আপনার মতামতের উপর যুক্তি প্রদর্শন করুন।



৪. বস সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এটা মেনে নিন। কারণ কোম্পানির মালিক যেহেতু তিনি হতে পেরেছেন, তাই কোম্পানির বস হওয়াটা কোনো আশ্চর্যের ঘটনা নয়, বরং এটাই স্বাভাবিক। কোম্পানি সম্পর্কে শেষ সিদ্ধান্ত আপনার বস নিবেন। এটাও আপনাকে মেনে নিতে হবে একই কারণে।



৫. কোনো ভালো কাজ করলে সেটার মর্যাদা দাবি করুন এবং কোনো ভুল হলে সেটার দায়িত্ব স্বীকার করে নিন।



৬. বসের সমালোচনা মেনে নিতে হবে। আপনি নতুন, তাই আপনার ভুল হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই বস আপনার সমালোচনা করতেই পারেন। সেটা মেনে নিন এবং একজন সত্যিকারের বস চাইবেন আপনি ভালোমতো কাজ শিখুন।



৭. বসের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ না হলেও চলবে। এক সাথে কাজ করার মানসিকতা আপনার থাকতেই হবে। এই কাজগুলো করতে হবে কর্মজীবনের প্রথম পুরোটা সময়েই।



কোনো কোম্পানিতে একজন বসকে সাধারণত রাগী মানুষ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু তার ভালোবাসা পেতে হলে তার অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থেকে আপনাকে শিখতে হবে। তাহলে দেখবেন বস কখনোই একজন রাগী মানুষ হতে পারে না।



কর্মক্ষেত্রে সফলতা

▬▬▬▬

কর্মব্যস্ত পৃথিবীতে সবারই প্রচেষ্টা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া। চাকরি নামক সোনার হরিণ পাওয়ার পরই সবাই চায় নিজেকে অনেক বেশি কর্মোপযোগী করে গড়ে তুলতে। কিন্তু তা কি সম্ভব? অনেকের হয়ত জানা নেই পরিবর্তনশীল বিশ্বে সবাইকে তাক লাগিয়ে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া যায়। এর জন্য প্রয়োজন কৌশলের সাথে চেষ্টার সমন্বয়র আপনাকে প্রথমেই বুঝতে হবে ওপরে উঠা সহজ নয়। এর জন্য ঘাবড়াবারও কিছু নেই, ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিজের মেধা ও বুদ্ধিকে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাতে হবে। কোনো কাজ হয়ত ভালো নাও লাগতে পারে, সেজন্য কাজটাকে ফেলে রাখা যাবে না। কেননা, কাজটা আপনার নিজস্ব ইচ্ছার নয়। সেক্ষেত্রে তা অবশ্যকরণীয় মনে করে অর্পিত দায়িত্ব বিধায় সংকোচহীনভাবে সাথে সাথে করে ফেলবেন। এতে দায়িত্ব সচেতনতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ ও সুনাম বৃদ্ধি পাবে। যা আপনার দ্রুত পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ-অপছন্দের ব্যবহারটাও কৌশলে কাজে লাগাতে হবে। মনে করুন, কোনো একটি বিশেষ কাজ কেউ করতে রাজি হচ্ছে না। আপনি সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজটি করে পুরো প্রতিষ্ঠানকে চমক লাগিয়ে দিন। মনে রাখবেন, সব প্রতিষ্ঠানই একটি গতিশীল সংগঠন। দিনে দিনে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিকাশমানতা বা গতিশীলতায় নিজেকে অংশগ্রহণ করে তাতে তাল মিলিয়ে চলুন। এ ক্ষেত্রে পুরনো ধ্যান-ধারণা ঝেড়ে ফেলুন।



সেই সাথে নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন—

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

1) আপনার পেশা যাই হোক না কেন তার জন্য কিছুটা প্রস্তুতি পূর্ব থেকেই রাখা উচিত। সব সময় আপনার পেশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বইপত্র, বিজনেস ম্যাগাজিন, ট্রেড জার্নাল, পত্র-পত্রিকা নিয়মিত পড়ুন। এতে নিত্য নতুন ও চমৎকার চমৎকার আইডিয়া পাবেন, যা কর্মক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

2) আপনার কোনো সহকর্মীই তার আগে আপনার উন্নতি চাইবে না। সে ক্ষেত্রে তাকে পাশ কেটে চলাই চমৎকারিত্ব, তবে তা হতে হবে কৌশলের মাধ্যমে। সে যে আপনার উন্নতি চায় না ব্যাপারটিকে বুঝতে না দিয়ে তার সাথে আন্তরিকভাবে মিশুনর এতে কাজে অসহযোগিতা বা ক্লান্তি কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

3) আপনি কতটুকু দক্ষ, জ্ঞানী বা আপনার মেধা ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো হয়ত প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিটি জানেন না। এক্ষেত্রে সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি আপনার কাজের স্পষ্ট ও উজ্জ্বল ধারণা কর্তা ব্যক্তিটিকে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, যা করতে হবে কর্মের মাধ্যমেই এবং কৌশলে।

4) নিজের সম্মান, ব্যক্তিত্ব, মর্যাদাবোধ অটুট রেখে সবার সাথে এমন ব্যবহার করুন যাতে আপনার সম্পর্কে কেউ খারাপ কোনো ধারণা পোষণ করার সুযোগ না পায়। মনে রাখবেন, সকল প্রকার হীনম্মন্যতা সব সময় পিছ পা টানে।

5) আপনি যদি নারী হন তবে পুরুষ সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে চাইলে নিজেকে কৌশলী ও সচেতনতায় কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে পুরুষ সহকর্মীটি হয়ত আপনার কাছে অনেক সময় অন্যায় আবদার করতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের সাথে এমন ব্যবহার করুন যে, তাতে তারা অভিভূত হয়ে আপনাকে স্নেহের বা শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখে।

6) আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তবে আপনার লক্ষ্য হবে সামনে এগিয়ে যাওয়া ও সে ক্ষেত্রে সফলকাম হওয়া। এ ক্ষেত্রে নিত্যনতুন আইডিয়া উদ্ভাবন ও প্রয়োগের মাধ্যমে তা সম্ভব হতে পারে।

7) যে কোনো ঝুঁকি গ্রহণের আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিভিন্ন পরিস্থিতিকে মেনে নিয়ে তা সামলে নিন। নিজেকে উদ্যমী, সাহসী ও উদারমনা হিসেবে গড়ে তুলুন। অন্যকে সাহায্য করা ও সাহায্য গ্রহণ করার পরিবেশ তৈরি করুন। আপনাকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন কৌশল গ্রহণ, সমাজ ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ জ্ঞান নিতে হবে।

9) একটি বিষয় মনে রাখবেন, নিজেকে সব সময় সবজান্তা ও পন্ডিত ভাববেন না। এ ক্ষেত্রে পাশের সহযোগীর সহযোগিতা নেবেন। তাতে আন্তরিকতা বাড়বে।

10) সকলের পরামর্শ গ্রহণ করবেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি। কারো মতামতকেই হেয় দৃষ্টিতে দেখবেন না। এতে লাভ তো হবেই না বরং শত্রুতা বৃদ্ধি পাবে।



মোটকথা কর্মক্ষেত্রে উত্তরোত্তর সাফল্য লাভ করার বাসনার সাথে, আপনার কাজের সাথে তার মিল প্রতিস্থাপন করে আপনিও পৌঁছে যান সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। হয়তো এমন একদিন আসবে যেদিন শুধু আপনি একজন সফল কর্মীই নন, কর্মদক্ষতা ও সফলতায় পৃথিবীতে আপনার আসনটি হবে বড়ই সম্মানের। সুতরাং সাফল্যের যাত্রাপথ বন্ধুর হলেও অন্তহীন প্রচেষ্টায় সব পেরিয়ে আপনি হতে পারেন আদর্শ উদাহরণ। দেখবেন আজ যারা আপনার উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে, আগামীতে তারাই আপনার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হবে। সুতরাং প্রয়োজন দ্ব্যর্থহীন আন্তরিকতায় প্রগতির পথে এগিয়ে চলা।

সংগ্রহীত

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

বিষন্ন একা বলেছেন: ++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.