নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহু পথ পারি দেবার পর বুঝেছি, বহু জীবনের সাথে পথচলে বুঝেছি,\"হৃদয় থাকা একটা পাপ।\"

ফেরেশতা বলছি

সাধারন

ফেরেশতা বলছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাই হিরোইন নং-২

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

প্রাইভেট শেষ করে সন্ধ্যায় হেঁটে হেঁটে বাসায় আসছিলাম!!
ঔষধের দোকানে একটা কাজে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন একটা ছেলে বাজে ভাবে আমার দিকে তাকায় ছিল!!
যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণই বারবার বুক থেকে মাথা পর্যন্ত দেখতেছিল!!
কয়েকবার চোখাচোখি হওয়ার পরও কোনো ভাবান্তর নাই ঐ ছেলের!!
তো আমি বললাম, "ভাই আমি তো দেখতে এত সুন্দর না!! এইভাবে অভদ্রদের মত তাকায় থাকার তো মানে নাই!! "
ঐ ছেলে বলে, "অসুন্দর তো!! তাই দেখতেছি!!"
দোকানদারও ব্যাপারটা দেখতেছিল!!
আমি দোকান থেকে আসার সময় বলছি, "রাস্তা ঘাটে দৃষ্টি টা একটু সংযত রাখার চেষ্টা করেন!! সবাই তো একরকম না!! অনেকেই ছেড়ে দিবে না!! "
বেয়াদপ টা মুখটাকে বাজে রকমের করে আমাকে বলে, "পক পক পক "
মেজাজ টা গেছে আরো খারাপ হয়ে!!
বের হওয়ার সময় আমি বলছি, "পক পক একদম বের করে দিব!!"
বলে চলে আসতেছিলাম!!
ও আমাকে বলে, "দেখি আসেন না সাহস থাকলে!! "
আমি ফিরে গিয়ে হাত ধরে একটা টান দিয়ে কলার টা ধরে বলছি "হুম,আসছি!! কি করবি তুই?? দেখি কর যা পারোছ কর!! "
ওই ছেলে প্রথমে পুরা থ হয়ে গেছিল!!
পরে চিৎকার করে শাসানো শুরু করছে!!
আশে পাশে মানুষ জমে গেছে!!
সবাই এসে আমাকে ব্লেইম করা শুরু করছে!!
একজন বলতেছিল, আমি ভালো মেয়ে হলে নাকি ঐদিক থেকে মাথা নামায় চলে আসতাম!!
আমি ঐ লোককে বললাম আজকে যদি আমার জায়গায় আপনার মেয়ে থাকতো তাহলে আপনার বুঝি ব্যাপারটা খারাপ লাগতো না যে ছেলেটা এইভাবে তাকায় ছিল!!
উনি আমাকে বললো, "তোমার সমান আমার একটা মেয়ে আছে!! ও এত টা অভদ্র না যে রাস্তায় মানুষের সাথে ঝগড়া করবে!! "
আমি বললাম,"আমি যে কাজটা করলাম সেটা তো আপনার মেয়ের জন্যই করলাম!! আমি যযদি আআজকে আপনার চচোখে সত্যিই খারাপ হই তাহলে সেটা আপনার মেয়ের জন্য! দেখা যাবে এই ছেলে টাই একদিন আপনার মেয়ের ওড়না ধরে টানলো!! তখন?? এর চেয়ে ভালো না আজকেই শায়েস্তা হয়ে যাক?? "
তখন সবাই বলা শুরু করলো "মেয়ে মানুষের এত জিদ থাকা ভালো না!! "
আর ঐ ছেলে চিৎকার করে বলতেছিল, "তোমার গায়ে কি লিখা আছে যে তোমার দিকে তাকানো যাবে না??"
এই লাইনটা শুনার পরও সবাই ছেলেটার হয়েই সাফাই গাচ্ছিল!!
আমি অবাক হয়ে গেছিলাম!!
আমার পুরা শরীর জিদে কাঁপছিল!!
তারপর দোকানদার একটা বলতেছিল,"উনার পক্ষ থেকে আমি স্যরি বললাম!!
আপনি যান!! আর আপা, ব্যাপারটা কিন্তু আপনিই ঘাটালেন!! "
আর ঐ ছেলেও বারবার সবাইকে শুনিয়ে বলতে লাগলো, "দোকানের সবাই দেখছে,আমার পাশের আঙ্কেল টা দেখছে আমি কিছু করি নাই!! "
সবার কথা শুনে মেজাজও খারাপ হচ্ছিল,মনটাও হঠাৎ করে খারাপ হয়ে গেলো!!
জিদে ঐ ছেলেকে প্রায় দিচ্ছিলাম কষিয়ে এক!!
কিন্তু পাশে আমার একটা ফ্রেন্ড ছিল, ও আমার হাত ধরে ঐ দিক থেকে নিয়ে আসছে!!
আর আমি চাইলেও কিছু করতে পারতাম না সেটা খুব ভালোই বুঝতে পারছিলাম!!
কারণ ওখানে এত মানুষ ছিল যারা সবাই.... সবাই ঐ ছেলের পক্ষে ছিল!!
পুরা লেখাটা আমার ফেসবুক বন্ধু " তানহা সামাদ রিধিতা'র। আমাকে করা ইনবক্স থেকে। https://www.facebook.com/tanha.samad.79
এটা হচ্ছে ধর্ষণের প্রথম ধাপ। এভাবেই এরা ছাড় পেয়ে পেয়ে সাহস পেয়ে ধর্ষণের মত কাজে উতসাহী হয়।
এভাবেই ছাড় দেয়ার কারণে এরা প্রকাশ্যে জামা খুলে নেয়ে।
রিধি কাওকে পায়নি সেদিন।

রিধি কার জন্য করলো এই প্রতিবাদ!
রিধি কি তার এভাবে ফোষে ওঠা কন্টিনিউ করে যাবে?
কাকে এভাবে আশকারা দিয়ে সাহস জোগিয়ে যাচ্ছেন !
যে একদিন নির্জন রাস্তায় আপনার বোন, পত্নী, ভালোবাসার মানুষ্টাকে খুব সহজেই বিনা বাধায় ভোগ করে নিবে!
আমার আরা আপনার কি এইসব মুখুশধারী ,ভোল পরা জানোয়ারদের প্রতিহত করতে এগিয়ে আসা উচিত?
আমাদের কি এই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলা উচিত?

এই ব্লগটা যারা পড়েছেন আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে যাই, রিধির মত এমন সাহসী কোনো বোনকে যখন দেখবেন প্রতিবাদ করেছে তখন আপনি আওয়াজ তোলবেন???
রাখবেন রিধির হাতে হাত???
আওয়াজ তোলবেন রিধির সাথে " এই জানোয়ার ! চামড়া তুলে নিবো !"

আই লাভ ইউ আপু।
[উল্লেখ্য, ঘটণাটি কমিল্লার রানীরবাজার নামক এলাকায় ঘটে।]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রিধির মত এমন সাহসী কোনো বোনকে যখন দেখবেন প্রতিবাদ করেছে তখন আপনি আওয়াজ তোলবেন???
রাখবেন রিধির হাতে হাত???

নিশ্চয়ই! তাতে কোন সন্দেহ নেই। সব মেয়েরাই এমন সাহসী হয়ে উঠুক।


১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ফেরেশতা বলছি বলেছেন: আপনার ফিডব্যাক পেয়ে এতো খুশি হচ্ছে যে,বুঝানো যাবেনা ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমার ধারনা একজন প্রতিবাদ করলে সেই সাহসে চেইন রিএকশনের মতো আরো অনেকে প্রতিবাদী হয়। নিজের উপর আঘাত অথবা অপমানজনক কিছু আসলে নিজেকেই আগে প্রতিবাদী হতে হবে, আর সেটা দেখে অনেকেই এগিয়ে আসবে সাহায্যে, প্রতিবাদী হয়ে। নিজেই যদি ভয়ে চুপসে যায়, তাহলে অন্যরাও আগাবেনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৮

ফেরেশতা বলছি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামরা কি এই সাহসী নারী চেয়েছিলাম?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৯

ফেরেশতা বলছি বলেছেন: আপনার মন্তব্যের মর্মারথ বুঝতে পারলাম না ভাই :)

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মেয়েটা প্রতিবাদ করলো, অথচ উপস্থিত জনতা ওকেই অপদস্থ করলো । ব্যপারটা আমাদের সমাজের নীচ মানসিকতার পরিচায়ক ।
উক্ত লাইনটা দিয়ে তীর্যক অর্থে সমাজের মানুষের অভিব্যক্তিকেই বুঝিয়েছি! এই কীটগুলো নারীকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে শেখেনি ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২১

ফেরেশতা বলছি বলেছেন: গ্রেট :) চিন্তা করেন.।।এমন হলে কিভাবে আমাদের মা বোনেরা বাইরে বের হবে :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.