![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম নিয়ে আঙ্গুল তুললে, প্রশ্ন করলে আরশ বা ঈমান কেপে উঠার চেয়ে বেশি যেটা হয় সেটা হচ্ছে ‘ আবেগে ‘ বা ‘ ভালোবাসা’ বা ‘ বিশ্বাসে’ আঘাত লাগা।
পয়েন্ট টু বি নোটেড, (১) কাদের কাছে বিজ্ঞানের তত্ত্বীয় হিসাব গুলা তুলে ধরছে আমাদের নাস্তিকেরা ! যে দেশের ৬০% মানুষ শুধু মাত্র স্বাক্ষর করতে পারে ! যে দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনো ৫০ উর্ধ এবং ৬০ দশকের !!! যারা ধর্ম ভীরু !!! যে দেশের তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া স্টুডেন্ট প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে আত্যহত্যা করে !!! ভালবেসে হেরে গেলে গোপন ভিডিও ছড়ায় !!! তাদের কাছে আমাদের নাস্তিকেরা বিজ্ঞানের তত্ত্বীয় মারপ্যাঁচ মেরে যখন বলে, মহাম্মদ লুচ্চা বা কৃষন লুচ্চা তখন সেই কুটি ধর্ম ভীরু , স্বাক্ষর জানা, ষাটের দশকের মানুষের আবেগে , ভালবাসায় যে লাতথিতা লাগে তাঁর প্রতিকৃয়ায় তারা আত্যহত্যা করেনা কিন্তু, বদলাটা নেয় ” রক্ত” । হ্যা, আমরা জানি, বদলাটা কোটি মানুষ নিচ্ছে না। কোটি মানুষের মাথায় কাঠাল রেখে একটা বিশেষ দল বা বিশেষ সঙ্গঠন নিচ্ছে বা ফায়দাটা লুটছে।
(২) পয়েন্ট টু বি নোটেড, এই যে কোটি মানুষের সেন্টু তারা কাজে লাগাতে পারছে, কারণ কি জানেন ?? উপরের এক এর বিষ্বোময়বোধক প্রশ্নগুলা।
(৩) আমি লিখে দিলাম, আমাদের দেশের নাস্তিকরা এই কোটি মানুষের সেন্টু কখোনো পাবেনা। আমাদের নাস্তিকেরা হয়তো ভাবে, মানূষ এক সময় রাস্তায় নামবে। ভুল। নামবেনা। ৭১-এ এই ধর্ম ভীরু মানুষেরা নেমেছিলো স্বাধিকার আন্দলনের জন্য, একটা ভূ-খন্ড, একটা ভাষা, একটা পরিচয়ের জন্য। আর কিছু দিন পূর্বে হওয়া শাহাবাগে ছিলো একটা বিশেষ দলের প্রত্যক্ষ সাহায্য
(৪) আমার আগে শুধু মনে হতো, কিন্তু এখন আমি বিশ্বাস করি, এই কোটি মানুষের আবেগ না বুঝে, ভালবাসা (হয়ত ভুল ভালবাসা) না বুঝে, জ্ঞান বা শিক্ষার স্তর না বুঝে , হাজার বছরের বিশ্বাস ‘মিথ্যা’ এই কথা হজম করার লেভেল না জেনে, দিনের পর দিন কৃষ্ণ লুচ্চা বা মুহাম্মদ লুচ্চা তা বলে যাওয়া ” আত্যহত্যার শামীল। আমি জোর গলায় বলবো আমাদের অতি জ্ঞানী নাস্তিক এবং মুক্তমনারা তাদের নিজেদের সেন্টু হারিয়ে ঐ বিশেষ দল বা সংগঠনের হাতে তুলে দিচ্ছে কোটি মানুষের সেন্টু । এবং যা কাজে লাগিয়ে ঐ বিশেষ দল বা সংগঠনটি তাদের কার্য হাসীল করে যাচ্ছে দিব্যি। যদি তাই না হতো তবে একের পর এক ব্লগার, প্রকাশক খুন হচ্ছে কেনো বাংলার হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান নিশ্চুপ!!!!
(৫) আমি অনুরোধ করবো আমাদের অসম্ভব মেধাবী মুক্তমনারা ওয়াজ করার স্ট্রাটেজী ফলো না করে ধ্যনে এবং সায়ানাইড গ্যাসের মতো আলোটা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে দিক। কারণ ওয়াজ শুনার মতো লেভেলের মানুষ ওই বিশেষ সংগঠনের বা দলটার আছে। এটা হাজার বছর ধরে তারা ধিরে ধীরে তৈরী করে নিছে। আমাদের মুক্তমনারাও মাইক নিয়ে ওয়াজ করতে পারবে, সে জন্য তাদের ঐ রকম একটা শিক্ষিত জনগুষ্ঠি লাগবে, ওই রকম বিজ্ঞান মনষ্ক শিক্ষিত জন গুষ্ঠি লাগবে। এখন কি তা আছে??? আমি আগেই বলেছি এখন দেশের বেশির ভাগ জীবীত মানুষ ৬০ এর দশকের। যারা শুধুই স্বাক্ষর করতে জানে। আর আমাদের মতো তথাকথিত নতুন প্রজন্ম আছি তারাও কি ততটা বিজ্ঞান মনষ্ক! তারা কতটা সাধণা করে বিজ্ঞান নিয়ে !! এদের কাছে বিজ্ঞানের দু লাইন বলে কিছু মিথকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আশা মানে জীবনের এবং জ্ঞানের অপচয়।
(৬) এতক্ষন যা বললাম, তা হচ্ছে ” পরিমিতিবোধ” ব্যাপারটা জানা। পরিমিতিবোধ হচ্ছে, ” কোথায় , কাকে, কখন, কিভাবে কি বলতে হবে তা বুঝা।
” ডঃ অভিজিৎ সহ সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্র অবশ্যি আমার চেয়ে কয়েক কুটি গুন জ্ঞানে এবং মানবিকতায় বড়। কিন্তু কমতি ছিলো একটা ব্যাপারে সেটা হচ্ছে , ” পরিমিতি বোধ”।
ভালবাসার কথা কানে কানে বলে প্রেয়ষিকে জানাতে হয় আগে। তারপর সম্মতি দিলে সারা দুনিয়াকে জানাবে। সম্মতি না নিয়ে যদি আগেই বলে দেই যে, আমি মাধুরীকে ভালবাসি এবং মাধুরি যদি রিফিউজ করে তবে মুখ লোকানুর জায়গা পাওয়া যাবেনা। যেমনটাঃ অভিজিৎ দের বেলায় হচ্ছে। তারা এই বিশাল জনগুষ্ঠিকে ভালবেসে তাদেরকে ভন্ডামীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই কিন্তু মুখ খুলেছিলো এবং কলম ধরেছিলো। কিন্তু, বিধিবাম! ঐ যে কোটি মানুষ তাদের এই ভালবাসা নিতে সম্মত কিনা তা না জেনেই ভালবাসা প্রকাশ করে বিপদে পরে গেছে।
( ৭) হ্যা, আমদের মুক্তমনারা অবশ্যই তাদের গবেষণালব্দ জ্ঞান এবং আলো মানুষের মাঝে ছড়াবে, কিন্তু ঐ যে, পরিমিতিবোধটা বজায় রেখে। কখন, কোথায়, কাকে, কিভাবে বলতে হবে এটা বুঝে বলা উচিত। তা না হলে আত্যহত্যা করা হবে বৈকি।
(৮) তবে আশায় আছি, আজকে থেকে ১০০ বছর পরে হলেও এমন একটা প্রজন্ম আসবে যাদের সাথে কথা বলা যাবে, তর্ক করা যাবে, আড্ডা দেয়া যাবে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে চিৎকার করা যাবে।
ততদিন আসেননা, সায়ানাইড গ্যাসের মতো নীরবে আমাদের ভালবাসার কথা , আমদের মুক্তির কথা আমাদের বন্ধু, স্ব-জনদের কানে কানে বলে যাই। আমি ভয় বা শংকিত হওয়ার কথা বলতেছিনা, শুধু বলতেছি, স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করে , “পরিমিতিবোধ বজায় রেখে” নীরবে, সায়ানাইডের মতো শিরায় শিরায় মিশে যেতে।
সাপকে মেরে ফেলতে হয় কিন্তু লেজে পারা দিয়ে আত্যহত্যা করতে হয় না।
[[ পয়েন্ট টু বি নোটেডঃ শেখ হাসিনা পলিটিকস করতে গদিতে বসেছেন সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে বসেননি। উনি ভালবাসা, ছলনা, ৫২,৬৯,৭১,৭৫ এবং মাঝেমাঝে কিছু লাশ বেচে পলিটিকস করবে এটাই স্বাভাবিক । ডোন্ট ওয়েস্ট ইউর টাইম বাই পুকিং হার। এখনো, যা নড়ন-চরন করতে পারি তা এই মহিলার জোরেই ]]
©somewhere in net ltd.