![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যায় সহ্য করা খুব কঠিন।। কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।
[সন্ত্রাসী ও রাজাকার চেলাদের প্রবেশ নিষেধ]
প্রথম পর্ব দেখুন।
ইসলামে জঙ্গিবাদ(সন্ত্রাসবাদ) সম্পূর্ন নাজায়িজ ও হারাম।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কুফল সম্পর্কে জেনে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎখাত করতে পারে সে লক্ষ্যেই ব্লগে জিহাদ সম্পর্কিত বিষয়ে তুলে ধরার এবং বিভ্রান্ত নিরসনের লক্ষে এ প্রয়াস।
জিহাদ অস্বীকারকারীদের ব্যাপারে শরীয়তের ফায়সালা :
যে ব্যক্তি জিহাদকে অস্বীকার করে কিংবা জিহাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তার শরয়ী ফায়ছালা সম্পর্কে ফতহুল ক্বাদীর কিতাবের ৫ম খ-, ১৯১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত ইমাম সারাখসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, জিহাদ আল্লাহ পাক উনার একটি মুহকাম বা অকাট্য ফরয বিধান, যা অবশ্য পালনীয়। জিহাদকে অস্বীকারকারী এবং জিহাদের সাথে বিদ্বেষ পোষণকারী কাফির।
কুরআন শরীফ-এ জিহাদের বর্ণনা:
মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানগণের ওপর জিহাদের হুকুম ২য় হিজরী সনের ১২ই সফর অবতীর্ণ করেন।
সর্বপ্রথম জিহাদের হুকুম প্রদানকারী আয়াত শরীফখানা হচ্ছে, সূরা হজ্জ-এর ৩৯ নম্বর আয়াত শরীফ।
কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক প্রায় তিনি ৪১১টি আয়াত শরীফ-এর মধ্যে জিহাদের কথা উল্লেখ করেছেন। যার কারণে মুহাক্কিক্বীনগণ উনাদের অভিমত হলো, জিহাদ সম্পর্কে কুরআন শরীফ-এ যতটুকু স্পষ্ট ও বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে, অন্য কোন আমলের ক্ষেত্রে ততটুকু বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়নি।
হাদীছ শরীফ-এ জিহাদের বর্ণনা:
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি উনার প্রিয় হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সশস্ত্র যুদ্ধ ও তার প্রতি আহ্বান করার হুকুম দিয়েছেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে উভয় হুকুমের উপর পুরোপরি আমল করেছেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিহাদের প্রতি আহ্বানকারী হাজারও ফরমান হাদীছ শরীফ-এর কিতাব যেমন, বুখারী শরীফ-এ জিহাদের শিরোনামে ২৪১টি বাব বা পরিচ্ছেদ রয়েছে। মুসলিম শরীফ-এ জিহাদের শিরোনামে ১০০টি বাব বা পরিচ্ছেদ রয়েছে। তিরমিযী শরীফ-এ জিহাদের শিরোনামে ১৫৫টি পরিচ্ছেদ রয়েছে। আবু দাউদ শরীফ-এ জিহাদের শিরোনামে ৭৬টি বাব বা পরিচ্ছেদ রয়েছে। নাসায়ী শরীফ-এ জিহাদের শিরোনামে ৪৮টি বাব বা পরিচ্ছেদ রয়েছে। ইবনে মাজাহ শরীফ-এ জিহাদের শিরোনামে ৪৬টি বাব বা পরিচ্ছেদ রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
হারবুল ফিজার বা ফিজার জিহাদ :
হারবুল ফিজার-এর পটভূমি সম্পর্কে বলা হয় যে, আরর দেশে অনেকদিন পূর্ব থেকেই লড়াই চলে আসছিলো। আছহাবে ফীল বা হস্তিবাহিনীর পর প্রসিদ্ধ যে জিহাদটি সংঘটিত হয়, তা মারেকায়ে হারবুল ফিজার নামে প্রসিদ্ধ। এই জিহাদটি কুরাইশ এবং কাইস গোত্রের মধ্যে সংঘটিত হয়। শুরুর দিকে কাইস গোত্র কুরাইশদের উপর বিজয় লাভ করে। পরবর্তীতে কুরাইশ কাইসের উপর বিজয়ী হয়। পরিশেষে সন্ধির মাধ্যমে জিহাদ সমাপ্ত হয়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার চাচাগণের পীড়াপীড়িতে ওই জিহাদে কিছুদিন শরিক ছিলেন, তবে কাউকে হত্যা করেননি।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিহাদের সরঞ্জামাদি ও প্রশিক্ষণ:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রথম ফিজার জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। এটিই ছিলো উনার প্রথম জিহাদ। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রথম ফিজার জিহাদে তীর নিক্ষেপ করেন। ফিজার জিহাদে চার বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়। ছয় বছর বয়স মুবারক-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সাঁতার মুবারক দেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মদীনা শরীফ-এর আদি বিন নাজ্জার গোত্রের পুকুরে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সাঁতার মুবারক দেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৭
ঢাকা থেকে বলেছেন: শুকরিয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৫
দুর্ধর্ষ বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট