নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমারে বাঁচান ( ছেপ করেন)

আমি খুব ভালো মানুষ

নীল জানালা

আমি খুব ভালো মানুষ।

নীল জানালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিতাবৎ পুত্র নাকি পুত্রবৎ পিতা

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১৮

মুক্তমনাদের পয়গম্বর দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে নিহত আমেরিকান শ্রীযুক্ত স্বর্গীয় অভিজিৎ রায়ের পিতা বলেছেন যে বুয়েটের শিক্ষক ফারসীম মান্নানকে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি নিজেও একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক। তাঁর দীর্ঘ পেশাগত জীবনে তিনি কি অনেক খুনী দস্যুদের সাথে ওঠাবসা করেছেন যে বুয়েটের একজন বিজ্ঞানপ্রেমী শিক্ষককে তাঁর কাছে খুনীদের দোসর বলে মনে হচ্ছে? ফারসীম মান্নান কর্তৃক আয়োজিত একটি বিজ্ঞান আলোচনা চক্রের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন যে অভিজিৎকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে ঐ আলোচনা চক্রে আমন্ত্রন জানানো হয়। সবাই হয়তো জানেন যে উল্লেখ্য আলোচনাচক্রটি ঘটনাক্রমে খুনের দিনই আয়োজিট হয়েছিল। আমরা জানি যে ঐদিন এবং ঐ মুহুর্ত ছারাও স্বর্গীয় অভিজিৎ বই মেলায় যাতায়াত করেছেন এবং খুন না হলে তিনি নিশ্চয়ই সেখানে যাতায়াত অব্যাহত রাখতেন। সবাই জানেন যে তিনি বই মেলায় উপস্থিত থাকার জন্যই আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তবে কি অভিজিৎকে খুনের উদ্দেশ্যেই বাংলাএকাডেমী বইমেলার আয়োজন করেছিল? কিন্তু বইমেলাতো প্রতি বছরই হয়! ফারসীম মান্নানরাওতো প্রায়ই এমন বিজ্ঞান আলোচনাচক্রের আয়োজন করে থাকেন! জানা গেছে যে অভিজিৎ রায় প্রায় দিনই বই মেলায় যেতেন, স্টলে বসতেন এবং বিক্রিত বইয়ে স্বাক্ষরও করতেন। এখন ধরুন এমন যেকোন একদিন উনি খুন হলে কি দায়টা স্টল মালিকের উপর বর্তাতো। অভিজিতের পিতার এটা একটা পুরাপুরি অযৌক্তিক আক্রমন শুধুমাত্র এজন্য যে লোকটার নাম ফারসীম মান্নান এবং তারে উপর মোহাম্মদী। যা বুঝতেসি, মোসলমানের ঘরে জন্মায়া বিরাট পাপ কৈরা ফালাইসে এই জনাব ফারসিম। নামের কারনেই তথাকথিত মুক্তমনা (আসলে ক্লেদাক্তমনারা) লোকটারে শিবিরের রগকাটা খুনী সন্দেহ করে বসলো। হায় বাংলাদেশ, হায় বাংলাদেশি মানুষের হাঁটুবুদ্ধি!!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফারসীম মান্নানের বিপক্ষে এ বক্তব্য দেয়ার পর, ফারসীম মান্নান কি বললেন?

২১ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নীল জানালা বলেছেন: জানিনা। আমি ফারসিম মান্নানরে চিনিনা। অভিজিতের পিতাও চিনতেননা। আমি অভিজিতের পিতার বক্তব্যটা দেখেছি অনলাইনে। উনি বলেছেন ফারসিমের সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
ব্যাক্তগতভাবে আমার মতামত হৈল এই, শিবির বা ধর্মীয় রাজনিতি যতদিন নিষিদ্ধ না হৈসে ততদিন কেউ না কেউ শিবিরের ফাঁদে পা দিতেই পারে। পতিতালয় খুলবেন আর পতিতালয়ে গমন করতে সবাইরে না করবেন, এইটা কোন যুক্তির মইধ্যে পরেনা। এখনকার ট্রেন্ডটা কি? একজন শান্ত ভদ্র ধার্মিক মুসলিম পোলা দেখলেই মানুষ কি বলে? বলে, শালায় মিরমিরা শয়তান, নিশ্চয়ই শিবির করে।
আমি বিশ্বাস করতে চাইনা যে বাংলাদেশের সব মানুষ হাসিনা খালেদা বা তারেক জয় বা শামিম ওসমান সাকা চোদ্রির মতন খারাপ হয়ে গেছে। দেশে প্রচুর খারাপ মানুষ-এইটা সত্যি। অন্যথায় খারাপেরা আমাদের নেতা-নেত্রী হইতে পারতোনা। কিন্তু তাই বৈলা বুয়েটের মতন একটা শীর্ষ বিদ্যাপীঠের একজন প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষককেও ঐ একি কাতারে ফেলে দিতে মন সায় দেয়না। তাই বলেছি, অজয় রায় কি তাঁর শিক্ষকতা জীবনে অনেক খুন করিয়েছেন যে অবলীলায় আরেকজন শিক্ষককে (কোন অজ পাড়াগাঁয়ের প্রাইমারি শিক্ষক নন) খুনের সাথে সম্পৃক্ত ভাবতে তার কোন কস্ট হচ্ছেনা?
আমি মনে করি, স্পটে উপস্থিত ঠোলাগুলিকে ধরে ফাঁসি দেওয়া উচিত। ঐ শালারা খুনে বাধা না দিয়ে পরোক্ষভাবে নিজেরাই খুন করেছে।

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

ব্লগিং'এর বিপক্ষে অনেকেই কথা বলবে এ দেশে।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: যা বুঝতেসি, মোসলমানের ঘরে জন্মায়া বিরাট পাপ কৈরা ফালাইসে এই জনাব ফারসিম। নামের কারনেই তথাকথিত মুক্তমনা (আসলে ক্লেদাক্তমনারা) লোকটারে শিবিরের রগকাটা খুনী সন্দেহ করে বসলো। হায় বাংলাদেশ, হায় বাংলাদেশি মানুষের হাঁটুবুদ্ধি!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.