![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৩৪ বার
ষ বিএনপির শাসনামলেই বেড়েছে ৯ বার
স্বাধীনতার ৪০ বছরে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৩৪ বার। আর কমেছে মাত্র দুইবার ১৯৯০ সালে শুধু পেট্রলের দাম ১২ টাকা ৮৮ পয়সা থেকে কমে ৭ টাকা ৫১ পয়সা হয়েছে। ডিজেল কেরোসিনের দাম অপরিবর্তিত (৬ টাকা ৭১ পয়সা) ছিল। এছাড়াও ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ডিজেল ও কেরোসিন লিটার ৪৬ টাকা থেকে কমে ৪৪ টাকা হয়েছিল। ৩৪ দফা দাম বাড়ার মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়েছে ৯ বার। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি পায়। ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ছিল লিটার প্রতি ১৭ টাকা। ২০০৬ সালের জুন মাসে তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে মোট মূল্য হয় (বিক্রয়) লিটার ৩৩ টাকা। অন্যদিকে জ্বালানি ও খনিজসম্পাদ বিভাগের অপারেশন-১ শাখায়, অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিন এর মূল্যসংক্রান্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯৭২ সালের ৬ মে থেকে চলতি বছরের (২০১১) ১১ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৩৯ বছর ধরে দফায় দফায় সব সরকারের আমলে জ্বালানি তেলের মূল বেড়েছে। অর্থাৎ, পেট্রল ১ দশমিক ১৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৬ টাকা। ডিজেল ৬৯ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৬ টাকা। কেরোসিন ৪৮ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৬ টাকা। অকটেন (৯২ সালে ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৯ টাকা। গড়ে দাম বেড়েছে ৬৯ দশমিক ২৭ গুণ।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অপারেশন শাখা থেকে জানা গেছে, ২০০১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অকটেন লিটার ৩০ টাকা, পেট্রল-২৮ টাকা, ডিজেল ১৭ টাকা, কেরোসিন-১৭ টাকা।
২০০৩ সালের ৬ জানুয়ারি অকটেন লিটার ৩৫ টাকা, পেট্রল ৩৩ টাকা , ডিজেল ২০ টাকা, কেরোসিন-১৭ টাকা। ২০০৪ সালের ১ মে অকটেন ৩৫, পেট্রল-৩৩ টাকা, ডিজেল ২০ টাকা ও কেরোসিন ২০ টাকা।
২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর অকটেন ৩৫ টাকা, পেট্রল ৩৩ টাকা, ডিজেল ২৩ টাকা ও কেরোসিন ২৩ টাকা। ২০০৫ সালের ২৫ মে অকটেন ৩৫ টাকা, পেট্রল ৩৫ টাকা, ডিজেল ২৬ টাকা ও কেরোসিন ২৫ টাকা লিটার প্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৮ মে অকটেন ৩৫, পেট্রল ৩৫ টাকা, ডিজেল ২৬ টাকা ও কেরোসিন ২৬ টাকা। ২০০৫ সালের ২০ জুলাই অকটেন ৩৮ টাকা, পেট্রল ৩৬ টাকা, ডিজেল ২৬ টাকা কেরোসিন ২৬ টাকা। ২০০৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অকটেন ৪৫ টাকা, পেট্রল ৪২ টাকা, ডিজেল ৩০ ও কেরোসিন ৩০ টাকা। ২০০৬ সালের ৯ জুলাই অকটেন ৫৮, পেট্রল -৫৬ টাকা, ডিজেল ৩৩ টাকা ও কোরোসিন ৩৩ টাকা লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসছে তখন নানা অজুহাতে তারা শুধু দাম বাড়িয়েছে। ১৯৭২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত (২০১১) একই প্রক্রিয়ায় দাম বেড়েই চলছে। কোন সরকারের আমলে এমন কোন নজির পাওয়া যায়নি, যে দাম কমছে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের মূল্য ছিল ৫১ দশমিক ৫২ মার্কিন ডলার ব্যারেল। ২০১০ সালে অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের মূল্য ছিল ৯১ দশমিক ৭২ মার্কিন ডলার ব্যারেল। বর্তমান ডিজেলের আন্তর্জাতিক মূল্য হচ্ছে ব্যারেল ১২৪ দশমিক ০২ মার্কিন ডলার।
বিগত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চলতি অর্থবছরে অতিরিক্ত প্রায় ২০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করতে হচ্ছে। এছাড়াও মার্কিন ডলারের ভিত্তিতে টাকার মূল্যমান প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফলে এ অর্থ বছরে জ্বালানি তেল ক্রয়ে সরকারের আর্থিক লোকসান বেড়েছে বলে সূত্র জানায়। এ অবস্থায় জ্বালানি তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে হলে এ খাতে সরকারকে প্রচুর পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে। যা সরকারের বর্তমান আয় থেকে সংকুলান করা অসম্ভব বলে তাদের তথ্যে উল্লেখ্য রয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এক তথ্য থেকে জানা গেছে, ১৯৭২ সালের ৬ মে পেট্রল প্রতি লিটার ১ টাকা ১৬ পয়সা, ডিজেল ছিল ৬৯ পয়সা ও কেরোসিন ছিল ৪৮ পয়সা। ৩৯ বছর পর ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর সেই পেট্রল দাম বেড়ে হয়েছে প্রতিলিটার ৮৬ টাকা, ডিজেল ৫৬ টাকা ও কেরোসিন ৫৬ টাকা। এভাবে সব সরকারের আমলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলছে।
১৯৯৭ সাল ও ২০০০ সালে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালে ৯ আগস্ট জ্বালানি তেলের মূল্য অকটেন প্রতি লিটার ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা, পেট্রল- ১৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ২১ টাকা, ডিজেল ১২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ৯৫ পয়সা ও কেরোসিন ১২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ৯৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যতিক্রম ২০০৯ সালে ১৩ জানুয়ারি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, ৪৬ টাকার ডিজেল ৪৪ টাকা ও ৪৬ টাকার কেরোসিন ৪৪ টাকা হয়েছে। ২০১১ সালে নভেম্বর পর্যন্ত দাম বাড়ছে ৩ বার। এর ৬ মে ২০১১ অকটেন ৭৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৯ টাকা, ৭৪ টাকার পেট্রল ৭৬ টাকা ও ৪৪ টাকার ডিজেল ৪৬ টাকা ৪৪ টাকার কেরোসিন ৪৬ টাকা করা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মহাজোট সরকার অকটেন ৭৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৪ টাকা করেছে। পেট্রল ৭৬ টাকা থেকে ৮১ টাকা, আর ডিজেল ও কোরোসিন ৪৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫১ টাকা করেছে। এভাবে মহাজোট সরকারের আমলে ২০১১ সালে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ বার দাম বাড়ছে।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
াহো বলেছেন: বিএনপি আমলে জ্বালানি মূল্য বাড়ে ৯ বার
বিএনপি ক্ষমতায় আসার সময় কেরোসিনের মূল্য ছিল ১৫ টাকা রেখে যায় ৩৩ টাকা, পেট্রোল ছিল ২৩ টাকা রেখে যায় ৫৬ টাকায়
Click This Link
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
তিমিরবিদারী বলেছেন: চিন্তা করছিলাম তেলের কাজটা পানি দিয়ে সেরে নেব কিন্তু বাড়িওয়ালা বলল এক সপ্তাহ ভিতরে নাকি পানিও আসবেনা।এখন তেল ও পানির কাজটা যে কি দিয়ে করি?
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
শিক্ষক ৭১ বলেছেন: এ সরকার সব কিছুর দামই বাড়িয়েছে এমনকি দশ টাকার কনডম পনের টাকা করেছে |
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
গ্লাডিয়েটর রিট্রান্স বলেছেন: চোরদের সাথে কোন আপস নয় কোন তর্ক নয় লাগাতার হরতাল চাই জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবিতে।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
াহো বলেছেন: বিএনপি আমলে জ্বালানি মূল্য বাড়ে ৯ বার
বিএনপি ক্ষমতায় আসার সময় কেরোসিনের মূল্য ছিল ১৫ টাকা রেখে যায় ৩৩ টাকা, পেট্রোল ছিল ২৩ টাকা রেখে যায় ৫৬ টাকায়
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৭
মাথা খারপ মানুষ বলেছেন: এর পাশাপাশি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চলতি অর্থবছরে অতিরিক্ত প্রায় ২০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করতে হচ্ছে।
কুইক মেন্টাল করছে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখন এর দায়ভার কি জনগণরে নিতে হবে?
অর্থমন্ত্রীর জন্য ৪হাজার কোটি টাকা "কিছুই না" তাইলে জনগনের জন্য ভর্তুকি দিতে সমস্যা কি? ভর্তুকি কি ৪ হাজার কোটির বেশী দিতে হয়?
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩১
একা পথিক ০৭ বলেছেন: যা ই হোক, প্রত্যেক ক্ষমতাসীন সরকারের আবশ্যই নজর দেয়া উচিত যে যাতে তেলের দাম না বাড়ে। আমরা শুধু আওয়ামিলীগ বা বিএনপি এর মাঝে ফারাক খুজতেছি। বাট আলটিমেট লস্ আমাদের সাধারন জনতার।
আর তেলের দাম বাড়লে যাতে পরিবহন বা অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম না বাড়ে, তা খেয়াল রাখতে হবে। তাতেই সরকারের সফলতা। আশা করি সরকার এই দিকে দৃষ্টি দিবে।
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৩
লিন্কল্ন বলেছেন: এখন দামটা না বাড়াইলে হতো না? এমনিতে দেশের অবস্থা খারাপ। দামটা বাড়ালো, হরতাল দিল,জামাত শিবির রাস্তায় চরাগুপ্তা হামলা চালাইব। আর ভাল লাগে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
াহো বলেছেন: আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের কোলকাতায় ডিজেল ও পেট্রোলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় যথাক্রমে ১৫ টাকা ৪৭ পয়সা ও ২১ টাকা ৫৫ পয়সা বেশি। পাকিস্তানে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য যথাক্রমে ২২ ও ১৩ টাকা বেশি।