নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

াহো

াহো › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭২ সালের সাময়িক সংবিধান আদেশ-এর বাংলা ভাষ্য ছিল এরূপ:

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:৩৯

১৯৭২ সালের সাময়িক সংবিধান আদেশ-এর বাংলা ভাষ্য ছিল এরূপ:



যেহেতু ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিলের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র আদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের শাসন পরিচালনার নিমিত্ত সাময়িক ব্যবস্থাবলী গ্রহণ করা হইয়াছে এবং যেহেতু উক্ত ঘোষণায় রাষ্ট্রপতির উপর অর্পিত হইয়াছে সকল প্রকার নির্বাহী ও আইন প্রণয়নের কর্তৃত্ব এবং একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষমতা এবং যেহেতু উক্ত ঘোষণায় উল্লেখিত অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ এখন সমাপ্ত হইয়াছে; এবং যেহেতু বাংলাদেশের জনসাধারণের অভিব্যক্তি এবং প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা এই যে, বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র কার্যকর হইবে এবং যেহেতু উক্ত প্রত্যাশা পরিপূরণার্থে সেই লক্ষ্যে তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু কিছু পদক্ষেপ/ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক;



সেহেতু ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিলের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র অনুসরণে এবং সেই লক্ষ্যে প্রদত্ত, অপর সকল ক্ষমতা বলে এখন রাষ্ট্রপতি নিম্নবর্ণিত আদেশ প্রস্তুত ও জারি করিতেছেন :



এই আদেশটিকে বাংলাদেশের সাময়িক সংবিধান আদেশ, ১৯৭২ বলা হইবে।



ইহা সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী কার্যকর হইবে।



ইহা এখন হইতে বলবত্ হইবে।



সংজ্ঞা : এই আদেশে উল্লেখকৃত গণপরিষদ বলিতে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের, ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে ও মার্চ মাসে জাতীয় নির্বাচনী আসনসমূহে বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দের সমাবেশ (body) কে বুঝাইবে এবং যাহারা অবশ্যই অপর কোনোভাবে বা আইন দ্বারা অযোগ্য ঘোষিত হন নাই।



প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিপরিষদ থাকিবে।



প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি তাহার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করিবেন।



গণপরিষদের কোনো একজন সদস্যকে, যিনি গণপরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যবৃন্দের আস্থাভাজন, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করিবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি অপর সকল মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীকে নিয়োগ করিবেন।



গণপরিষদ কর্তৃক সংবিধান প্রণীত ও গৃহীত হওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইলে মন্ত্রিপরিষদ বাংলাদেশের কোনো একজন নাগরিককে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করিবেন, যিনি গণপরিষদ প্রণীত সংবিধান অনুসারে অপর একজন রাষ্ট্রপতি নিয়োগপ্রাপ্ত ও দায়িত্ব গ্রহণ করিবার পূর্ব পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।



বাংলাদেশে একটি হাইকোর্ট থাকিবে, যাহাতে একজন প্রধান বিচারপতি এবং প্রয়োজন অনুসারে সময় সময় নিযুক্ত অপর কয়েকজন বিচারপতি থাকিবেন।



বাংলাদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতিকে এবং রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করাইবেন। উক্ত শপথের ধরন/প্রকৃতি মন্ত্রিপরিষদ নির্ধারণ করিবেন।



তারিখ : ১১ জানুয়ারি, ১৯৭২

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৫

পংবাড়ী বলেছেন: ওকে

২| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:২২

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: এগুলো দেখেন:
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.