![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আড়াই বছর ধরে তসলিমা আক্তার অসুস্থ্য।এই আড়াই বছরে সে একবারও স্বামীর সাথে সহবাস করতে পারেন নি।এই নিয়ে তার দুঃখের শেষ নেই।একবার স্বামীকে আবার বিয়ে দেয়ার চিন্তাও মাথায় এসেছিল।কিন্তু নারীজাতি স্বামীর দখল সহ্য করতে পারেনা।ঘরে সতীন আসলে তার স্বামী তখন তাকে বাদ দিয়ে সতীনকে ভালবাসবে-এমনটা ভাবলেই তার চোখে জল জমে যায়।কোনোভাবেই সতীন আনা যাবে না।অথচ স্বামীর সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারটাও মাথায় না আনলে চলছেনা।যে স্বামী তার অসুস্থ্যতার সময় তার জন্য সেবা-যত্নের বিন্দুমাত্র কমতি করছে না,সেই মানুষটার সুবিধা-অসুবিধাও তো দেখতে হয়।এক সময় তসলিমা তার স্বামী নুরুল ইসলামকে বলল যৌনপল্লিতে যেতে।কিন্তু নুরুল ইসলাম সাবধানী মানুষ।যৌনপল্লীর মেয়েছেলেগুলোর শরীরের ভিতর নানান রোগের বসবাস।তাছাড়া গ্রামে নুরুল ইসলামের একটা আলাদা প্রভাব প্রতিপত্তি আছে।মানুষ যখন জানবে নুরুল ইসলাম খারাপ জায়গায় যায় তখন তার সম্মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
অনেক ভাবনা চিন্তার পর তসলিমাই বের করল-সতীন না এনে একটা রক্ষিতা রাখলে কেমন হয়?ঘরের কাজের লোকের মত থাকল।ঘরের কাজ করল।আবার তার স্বামীরও একটু সেবা-যত্ন করল!
এইসব চিন্তা ভাবনা থেকেই তসলিমা আর নুরুল ইসলাম জোবায়েদাকে আনল।বলতে গেলে,তারা জোবায়েদাকে কিনে ফেলল।জোবায়েদার বয়স ১৬ বছর।নীরিহ গোবেচারা ধরনের মেয়ে।
জোবায়েদা দিনেরবেলা ঘরের কাজ করতে লাগল।আর রাতে নুরুল ইসলামকে খুশি করতে শুরু করল।তসলিমা এতে যে কষ্ট পেত না-তা নয়।কিন্তু স্বামী-সংসারের দখল হাতে রাখতে হলে এইটুকু কষ্ট সহ্য করতেই হবে।
জোবায়েদার দিনকাল খারাপ যাচ্ছে না।সে জানে,সে যা করছে তা পাপ।কিন্তু এছাড়া তো তার কোনো উপায় নেই।তার মামা তাকে এদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।মামার সংসারে সে ঠিক মত খেতেও পেত না।এখানে খাবারের কোনো অভাব নেই।সেই সাথে নুরুল ইসলাম প্রায়ই তসলিমার অগোচরে তাকে চুড়ি-ফিতা কিনে দিয়ে যাচ্ছে।লোকটা তাকে ভালই বাসে।লোকটা তো একবার তাকে বলেওছিল যে তসলিমা যদি রাজী হত তাহলে সে জোবায়েদাকে ঘরের বউ বানিয়ে ফেলত।জোবায়েদার এখন আর বিয়ে শাদী নিয়ে কোনো স্বপ্ন নেই।সে জানে,বাকি জীবন তাকে এভাবে রক্ষিতা হয়ে পাপ কাজ করেই কাটিয়ে দিতে হবে।
এ বাড়িতে জোবায়েদার তেমন কোনো সমস্যা নাই।একটাই সমস্যা হল-তসলিমা।এই মহিলা তাকে বড় বেশী শাসনের মধ্যে রাখে।নুরুল ইসলাম বাড়িতে না থাকলেই তাকে উল্টা-পাল্টা কথা বলে।এই তো সেদিনো ডেকে বলল-ঐ ছেমড়ি,বড়ি ঠিকমত খাইতেছোস তো?
-জ্বি আফা,খাইতেছি।
-শোন একটা কথা বইলা রাখি,খবরদার কোনোভাবেই যেন পেটে বাচ্চা না আইসা পড়ে।
-আচ্ছা আফা।
-এখন তুই যা।
-আচ্ছা আফা যাই।
-ঐ ছেমড়ী,যাওয়ার আগে একটা কথা শুইনা যা।
-জ্বী আফা কন।
-আমার স্বামীর লগে ছলা-কলা একটু কম করবি।কি কইছি বুজছোস?
-জ্বি বুজছি।
জোবায়েদা নিয়মিত বার্থকন্ট্রোল পিল খায়।জোবায়েদা নিজেও চায় না তার পেটে বাচ্চা আসুক।পাপের ফসল দুনিয়াতে নিয়ে আসলে অশান্তিই বাড়বে।ঐসব অবৈধ ছেলেপুলেগুলোর উপর শয়তানের আছড় থাকে।ওগুলো ভালও হয়না।ছেলে হলে হয়তো বড় হয়ে চোর-ছ্যাচড় হবে।আর মেয়ে হলে হবে হয়তো বেশ্যা।তাছাড়া,সব চেয়ে বড় কথা হল,সন্তান একটা হলে সে কার পরিচয়ে মানুষ হবে?
জোবায়েদা পিল খাওয়া এক দিনের জন্যেও বন্ধ করেনা।নুরুল ইসলামও নিয়মিত জোবায়েদার কাছে আসে।এরই মধ্যে জোবায়েদা হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পরে।প্রথম প্রথম সে অসুস্থ্যতা লুকাতে চাইলেও তসলিমার চোখকে সে ফাকি দিতে পারেনা।তসলিমা তার ভাবে সাবে ঠিকই বুঝে ফেলে যে জোবায়েদার পেটে বাচ্চা এসেছে।সাথে সাথে তসলিমার মাথায় রক্ত চড়ে গেল।জোবায়েদাকে তার ঘরে ডেকে ঠাস-ঠাস করে কয়েকটা চড় লাগিয়ে দিল।তারপর চুলের মুঠি ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বলতে লাগলঃ-ঐ বেশ্যা,তোর বেশী সুখ হইছে না?তোরে না আমি পই পই কইরা কইছি বাচ্চা নিবি না?তোর ঘরের বউ হওয়ার শখ লাগছে নাকি?তুই ক্যান বাচ্চা নিলি?
জোবায়েদা কোনোভাবেই তসলিমাকে বোঝাতে পারেনা যে সে এই বাচ্চা ইচ্ছাকৃত ভাবে নেয়নি।তসলিমা তখন শোনার মত অবস্থায়ও নেই।সে অন্ধের মত জোবায়েদাকে মারতে লাগল।বেশ কিছুক্ষণ পর জোবায়েদা তসলিমার হাত থেকে ছাড়া পেল।
জোবায়েদার ভীষন রাগ হচ্ছে।রাগটা বিধাতার উপর লাগছে নাকি পেটের বাচ্চাটার উপর লাগছে সে তা বুঝতে পারছেনা।এই বাচ্চাকে কিছুতেই দুনিয়ার মুখ দেখানো যাবে না।এটা বাচ্চা না।এটা হল রাক্ষস।তার সুখ-শান্তি নষ্ট করার জন্য দুনিয়াতে আসতে চায়।এটাকে ধাত্রী ডাকিয়ে নষ্ট করে ফেলতে হবে।নিশ্চয়ই তসলিমা খুব তাড়াতাড়ি একটা ব্যবস্থা করে ফেলবে।
সন্ধ্যার দিকে নুরুল ইসলাম তার ঘরে ঢুকল।এসেই বলল-শুনলাম তুই নাকি পোয়াতি হইছিস?
নুরুল ইসলাম তাকে কখনই তুই করে বলেনা।সব-সময় তুমি করে ডাকে।আজকে তুই বলছে তার মানে আজকে জোবায়েদার কপালে দুঃখ আছে।জোবায়েদা মনে মনে আবার একবার পেটের ভিতরে থাকা রাক্ষসটাকে গালি দেয়।তারপর জবাব দেয়-হ।বুজবার পারলাম না ক্যামনে হইল!
-কি বুঝবার পারোস নাই?তুই কি আমারে বলদ ভাবছোস?তুই বাচ্চা হওয়াইয়া সমাজে আমার ইজ্জত মারতে চাস-এইটা আমি বুঝিনা ভাবছোস?
-এইডা আপ্নে কি কন?
হঠাৎ নুরুল ইসলাম জোবায়েদার গলা চেপে ধরে।আর বলে-শোন,আমার লগে চালাকি করবি না।কাইলকা খুব সকালে কামলার ব্যাটা লতিফের লগে শহরের ক্লিনিকে গিয়া বাচ্চা ফালায়ে আসবি।
নুরুল ইসলাম এই কথা বলেই জোবায়েদার ঘর থেকে বের হয়ে গেল।
জোবায়েদার প্রচন্ড কান্না আসল।এই লোকটাকে সে ভালবেসে ফেলেছিল।অথচ এই মানুষটাও বুঝল না যে সে ইচ্ছা করে গর্ভধারণ করেনি।সব দোষ এই পেটের ভিতরের রাক্ষসটার।আগামীকাল সকালেই সে এটাকে নষ্ট করে ফেলবে।
হঠাৎ জোবায়েদা শুনতে পেল কে যেন বলে উঠল-মা,আমারে খুন কইরো না!
আরে কে কথা বলে?
জোবায়েদা আবার শুনল-মা আমি তোমার মাইয়া।
সাথে সাথে জোবায়েদার মেরুদন্ডের ভিতর দিয়ে একটা শীতল বাতাস বয়ে গেল।এ নিশ্চয়ই শয়তানের কাজ।পাপের ফসল যখন একবার তার পেটে এসেছে,শয়তানও সেই সাথে তার উপর ভর করেছে।জোবায়েদা তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হয়ে রান্না ঘরে চলে আসে।রান্না ঘরে সুফিয়ার মা রান্না করছিল।সেখানে গিয়েও জোবায়েদা শুনল-মা,ভয় পাও ক্যান?আমি তো তোমার মাইয়া।আমি ক্যান রাক্ষস হমু?আমি ক্যান শয়তান হমু?
জোবায়েদা সুফিয়ার মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখল সুফিয়ার মা নির্বিকার ভাবে রান্না করছে।তার মানে যা শুনছে তা কেবল জোবায়েদা একাই শুনতে পাচ্ছে।জোবায়েদা আবার নিজের ঘরে ফিরে আসে।সে নিশ্চিত পাগল হয়ে যাচ্ছে।
-না মা,তুমি পাগল হওনাই।তুমি সত্য-সত্যই আমার কথা শুনতেছ।
-যাহ তুই শয়তান।তুই আমারে ভাও দিতাছোস।
-তুমি কেমন মা?তোমার মা কি তোমার লগে এমনে কথা কইতো?
জোবায়েদার বহুবছর আগের কথা মনে পড়ে গেল।প্রতিদিন সন্ধ্যায় এমন সময়ে তার মা তাকে চুলে তেল দিয়ে বেনী করে দিত।এখন জোবায়েদার সাথে যে কথা বলছে সেও দাবী করছে সে জোবায়েদার মেয়ে।জোবায়েদার হঠাৎ ইচ্ছা হল-সে এই মেয়েটার চুলে তেল দিয়ে একটু বেনী বেধে দেবে।
কন্ঠটা আবার বলে উঠল-মা,তুমি আমারে দুনিয়াতে আসতে দেও।আমারেও প্রতিদিন সন্ধ্যায় তুমি চুল বাইন্ধা দিও।মা দোহাই লাগে আমারে তুমি খুন কইরো না।
আরে এই বাচ্চাটা বলে কি?জোবায়েদা কেন খুন করবে?সে তো জীবনে কারো গায়েও হাত তোলেনি।সে কিভাবে খুন করবে?
কন্ঠটা আবার বলল-মা আমি জানি তুমি আমারে খুন করবা না।কিন্তু ওরা তো আমারে বাচতে দিব না।তুমি আমারে দুনিয়াতে খালি নিয়া আসো।আমি তোমার সব দুঃখ ভুলায়ে দিমু।
জোবায়েদা তার পেটে হাতটা বুলায়।এইখানটাতেই তো মনে হয় বাচ্চাটা আছে।কি সুন্দর মিষ্টি করে কথা বলছে!কি গভীরভাবে বেচে থাকার আকুতি জানাচ্ছে!এ কোনোভাবেই অশুভ কিছু হতে পারেনা।এটা তার সন্তান।তার সন্তান কোনোভাবেই খারাপ হতে পারেনা।জোবায়েদা আবার তার ঘর থেকে বের হয়।বাড়িতে তেমন কেউ নেই।তসলিমা আর নুরুল ইসলাম শোবার ঘরে।সুফিয়ার মা রান্না করছে।কামলারাও বাইরের বাড়িতে।
তসলিমা দরজা আস্তে করে সদর দরজাটা খুলে বাড়ির বাইরে বের হল।অন্ধকারে তাকে তেমন দেখা যাচ্ছে না।সে চলতে লাগল।কিছুদূর যেতেই লতিফ কামলার ছেলের কন্ঠ শুনতে পেল-ঐ কেডা যায় এই রাত্তিরে?
সাথে সাথে জোবায়েদা দৌড়াতে শুরু করল।লতিফ কামলার ছেলেও ‘ঐ কেডারে’ বলে জোবায়েদার পিছনে ছুটতে শুরু করল।জোবায়েদার এখন আর কোনো হুশ নেই।সে দিগবিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে ছুটছে।বাচ্চাটাকে বাচাতেই হবে।
জোবায়েদা পালাতে পেরেছিল কিনা সেটা জানা যায় নি।তবে সবচেয়ে বড় কথা,সে চেয়েছিল তার সন্তান এই পৃথিবীর মুখ দেখুক।এটাই ছিল তার জীবনের প্রধান চাওয়া!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: একাধিক চরিত্রের ক্ষেত্রে আমার এই সমস্যাটা খুব হয় ভাই!!!!!!
ভুলটা দেখিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।কষ্ট করে পড়ে উপরি প্রশংসার জন্যেও ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন ভাইয়া!!!!!
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লাইন গুলি দিতে ভুলে গেছি - '' জোবায়েদা পালাতে পেরেছিল কিনা সেটা জানা যায় নি।তবে সবচেয়ে বড় কথা,সে চেয়েছিল তার সন্তান এই পৃথিবীর মুখ দেখুক।এটাই ছিল তার জীবনের প্রধান চাওয়া!
''
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লেগেছে গল্পের আশাবাদ।
চমৎকার।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর ভাই!!!!!!!!!!!!
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
আম্মানসুরা বলেছেন: কান্না পেয়ে গেল।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনার অনুভূতি হয়তো খানিকটা ছুয়ে যেতে পেরেছি-এটা জেনে ভাল লাগছে।ভাল থাকবেন আপু!!!!!!
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
কঠিন ব্যাপার নিয়ে লিখসেন ! ভালৈ লাগসে।
তবে বাচ্চা হওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে ক্লিয়ার হয়নাই, হয়তোবা এ সম্পর্কে আমার জ্ঞান কম সে কারণে ||
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ও ভাই,বাচ্চা কোনে পাইলেন?বাচ্চা তো এখনও দুনিয়ার মুখই দেখে নাই!!!!!!!
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: স্বামীর জন্য রক্ষিতা রাখার ধারনাটা অবাস্তব । তবে গল্পের প্রাঞ্জল বর্ণনা ভাল লেগেছে ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাইয়া,মাথা থেকে যা বের হচ্ছে তার কিছুর সাথেই বাস্তবতার মিল নেই।সব চরিত্র,সব কাহিনীই কাল্পনিক।লেখকের কাজই তো সম্ভবত এমন-তাইনা?
বাস্তব কিংবা অবাস্তবে কি এসে যায়?
প্রশংসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।কেমন আছেন?
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
নতুন বলেছেন: চমতকার গল্প.. শেষটা খুবই ভালহইছে...
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য!!!!!!!!!!!!!!!!!ভাল থাকবেন!
৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
একজন আরমান বলেছেন:
গল্পের প্লটটা নিঃসন্দেহে চমৎকার। মন ছুঁয়ে যাওয়া একটা লেখা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরমান ভাই!!!!!!!!!!
৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
শীলা শিপা বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: স্বামীর জন্য রক্ষিতা রাখার ধারনাটা অবাস্তব ।
তবে আপনার লেখার ধরন টা ভাল লাগে
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপু আসলে লেখা যখন মাথায় আসে তখন সত্যি বলতে বাস্তবতা কিংবা অবাস্তব এসব চিন্তা মাথায় একদম কাজ করেনা।তবে,যে লেখে তার জন্য বাস্তবতা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করার দরকারও বোধহয় হয় না ।
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাই দা ওয়ে কেমন আছেন আপু?
১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কিছু কঠিন সত্যি কথা। স্বামীকে শারীরিক সুখ দিতে দ্বিতীয় বিয়ে বা পতিতালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়ার মানসিকতা অনেক মহিলারই আছে, বিশেষত গ্রামে। অবাস্তব কিছু মনে হয় নি।
আপনার প্রাঞ্জল ভাষা সুন্দর একটি গল্প দিয়েছে, তবে শেষ প্যারাটা না দিলেও বোধহয় হতো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আসলে আপু,আমার লেখার হাত এখনও তেমন পাকা হয়নি।মাঝে মাঝেই অনেক অবাঞ্চিত জিনিস চলে আসে।এটা একটা সমস্যা বটে!
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ আপু।ভাল থা।কবেন
১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মর্মান্তিক প্লট ! আগেই পড়েছি , সামুর দুষ্টামির জন্য কমেন্ট দিতে পারিনি !
শুভকামনা !
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হুম ভাই,ঠিক কইছেন!!!!!!!!!!ছামুটা ইদানীং বেশ দুষ্ট হইয়া গেছে!!!!!!!
বাই দা ওয়ে,আপ্নিও ভাল থাকবেন।শুভকামনা!!!!!!!
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কঠিন এক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন যা ভাবাতে বাধ্য করে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কঠিন কিনা জানিনা।তবে এমনটা একেবারে হয়তো অবাস্তব না ভাই!!!!
১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২
রুপ।ই বলেছেন: লেখাটা ভাল হয়েছে , অনাগত সন্তানের মায়া চীড়ে বের হওয়া অনেক
কষ্টের এক অনুভূতি । কারো কারো কাছে এবরেশন কোন ব্যাপার না কিন্তু কেউ কেউ আছেন আজো যাদের অনুভূতি গুলো এতটা ভোতা হয়ে যায়নি ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এবরশন ব্যাপারটা নিয়ে অনেক দিন ধরে কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল।প্রথমে প্রবন্ধ টাইপ কিছু লিখতে চেয়েছিলাম।পরে এটা লিখলাম।
এবরশনের সময় অনেকেই হয়তো ভাবে তারা কেবল একটা ভ্রুন নষ্ট করে ফেলছে।অনেকেই ভাবেনা,বস্তুত তারা একটা শিশুকে খুন করছে।
১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বাচ্চা হওয়া মানে পেটে বাচ্চা আসার ব্যাপারটা বুঝাইসিলাম আর কি !
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: বুইজবার পারছি!!!!!!!!!!!!!!!
১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব সুন্দর লেখনী ! স্বামীর অধিকার বা তাকে ভাগাভাগি করার ব্যাপার পাগলেও ছাড়ে না ! গ্রামে বা শহরে এভাবে স্বামীকে সতীনের সাথে ভাগ করা বা যৌন পল্লীতে যাবার অনুমোদন দিতে অনেক স্ত্রী বা পরিবারের পক্ষ থেকে এরকম অনেক শোনা যায় ।
শেষ অংশের বর্ণনাটা মনকে আর্দ্র করে দিলো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমি আপনার লেখার ভক্ত।সেক্ষেত্রে আপনার প্রশংসা পেয়ে অনেক খুশি হলাম আপু!!!!!ভাল থাকবেন!
১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
আপেক্ষিক বলেছেন: ভাল লেখছ। অতটা অশ্লিল না
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: :!> :!> :!> :!> :!> :!>
১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০
তাসজিদ বলেছেন: এত টপিক থাকতে এটি কেন।
তবে শেষ পার্ট টি ভাল লেগেছে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এই টপিকে কি সমস্যা ভাই??????
১৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০২
তাসজিদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই টপিকে কি সমস্যা ভাই?
আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় যৌনতার আগমন বলে মনে হয়েছে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কিছু মনে করবেন না ভাই!আমার আসলে যৌনতাকে মুখ্য বানিয়ে চটি লেখার ইচ্ছা ছিল না।এখানে যৌনতার ব্যাপারটাকে আমি মুখ্যভাবে ফুটিয়েও তুলিনি।আমি চেয়েছি,এবোরশন ব্যাপারটা কিংবা মাতৃত্বের ব্যাপারটা ফুটিয়ে তুলতে।আমার মনে হয় না আমার গল্পে কোনো চটুলতা ছিল।আমি এমন কোনো রগরগে চিত্রকল্পও ফুটিয়ে তুলিনি।এখানে যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে তা আমরা সবাই জানি কিংবা সবারই জানা উচিত।এসব বিষয় নিয়ে লুকোছাপার কিছু আছে বলে আমার মনে হয়না।
আপনি পাঠক!গল্প ভাল কিংবা খারাপ লাগাটা আপনার নিজস্ব বিষয়।তবে দয়া করে গল্পের বিষয়বস্তুকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা দেবেন না।এটা আসলেই যে লেখে তার জন্য কষ্টের ব্যাপার।
আর একটা ব্যাপার,হয়তো একটু বেশী বলে ফেলেছি।আমার কথায় ভুল থাকলে নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।
১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
ভয়াবহ কনসেপ্ট ! ভাল লাগল
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ লিঙ্কিন।অনেক দিন পর আপনার দেখা পেলাম।
২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লিখেছেন। পোস্টটা ভাবিয়েছে বেশ।
এবরশনের সময় অনেকেই হয়তো ভাবে তারা কেবল একটা ভ্রুন নষ্ট করে ফেলছে।অনেকেই ভাবেনা,বস্তুত তারা একটা শিশুকে খুন করছে।
খুব মূল্যবান একটা কথা বলেছেন। আশা করি আমাদের বোধদয় হবে।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ।তবে আপনি যেমন প্রশংসা করে গেলেন সাথে সাথে লেখাটা লিখে এমন অপবাদও শুনতে হল যে এটাতে নাকি অপ্রয়োজনীয় যৌনতার আগমন ঘটেছে।তবে আমার মনে হয় এটা নিইয়ে আমাদের চিন্তা করা দরকার।ভাল থাকবেন।
২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কি গভীরভাবে বেচে থাকার আকুতি জানাচ্ছে! - বেঁচে হবে ।
সে অসুস্থ্যতা লুকাতে চাইলেও তসলিমার চোখকে সে ফাকি দিতে পারেনা ফাঁকি হবে ।
গল্পে আপনার উদ্দেশ্যের প্রয়োগ বাক্যে সরাসরি পরিস্ফুট হয়েছে ।
ইঙ্গিত ধর্মী হলে আরো বেশি ভাল হত মনে হয় ।
যেমন - ইয়াং কাজের মহিলা
উনার স্বামীয়েই নিয়ে আসে , অথবা মহিলা কাজের জন্য আনলেও
স্বামীর মনোরঞ্জনই মূল উদ্দেশ্য ছিল । এবং পরবর্তীতে মহিলা
সব কিছু বুঝতে পেরেও কোন কিছুই জানেন না এমন একটা ভান করেন ,
পিল এর কথাটা মহিলা জিজ্ঞেস না করে সবসময় পুরুষ জিজ্ঞেস করে , এভাবে লিখলে মনে হয় ভাল হইত ।
এছাড়া ও এ গল্পটা আপনি যেভাবে লিখছেন আপনি আরেকবার
রিরাইট করলে আমার মনে হয় এই গল্পটা আরো অনেক ভাল হবে । চেষ্টা করেই দেখুন না ।
গল্পের প্রেক্ষাপট বাস্তব এবং আমরা কিন্তু সবসময় মুখোসের ভিতর আচরণ
করি । সব জানি কিন্তু কিছুই জানি না ।
।
জোবায়েদা পালাতে পেরেছিল কিনা সেটা জানা যায় নি।
এই লাইন টা ফিনিশিং এ খুব দারুণ হইছে ! ভাল লাগছে ।
আমার কথা কে যদি আপনার অযাচিত বলে মনে হয় তাহলে নিজ গুণে আমাকে
ক্ষমা করবেন ।
এখন বাজে রাতের সাড়ে তিন টা -
গল্পটা ভাল লাগছে বলেই এত কথা বললাম , নাইলে বহুত আগেই খেতা - বালিশ
নিয়া ঘুমাই যাইতাম ।
আপনি সবসময় এমন সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লিখবেন আপনার কাছে আমার এই অনুরোধ থাকবে ।
ভাল থাকুন ।
শুভকামনা রইল ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: মন খারাপ করিনি।বরং আমি সব সময়ই চাই আমার লেখাগুলোর ভুল ধরিয়ে দেয়া হোক।আমি একদম নতুন লিখি।তাছাড়া এরকম সিরিয়াস ব্যাপার নিয়ে কেন যেন লিখতেও পারিনা তেমন।তবে মৌলিক লেখা না লিখলে সে আবার কেমন লেখক-এই চিন্তা থেকেই সিরিয়াস বিষয়ে লিখতে শুরু করেছি।
ভাল থাকবেন।আর অবশ্যই লেখার ত্রুটি ধরিয়ে দেবেন।শুভ কামনা!
২২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: কিছু না লিখেই চলে গিয়েছিলাম। পরে আবার ফেরত আসলাম। লিখে যাওয়া দড়কার। গল্পটা ভালো লেগেছে। সরাসরি বলার কারণেই ভালো লেগেছে। মানুষ সরাসরি করতে পারবে আর আমরা লিখতে পারবো না?? ইনিয়ে বিনিয়ে বলে কি হবে???
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমার নিজের এই গল্পটা লিখে বেশ ভয় লাগছিল।প্রতিটা গল্প লেখার পর আমার কেনো জানি গল্পগুলোকে খুব অসহনীয় মনে হয়।প্রতিবারই ডিলিট করে দিতে ইচ্ছা করে।এটার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।কিন্তু আপনাদের সুন্দর সুন্দর কমেন্টগুলো দেখে সেই বিরক্তিটা কেটে যায়।
ভাল থাকবেন আপু।শুভকামনা!
২৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: কিছু না লিখেই চলে গিয়েছিলাম। পরে আবার ফেরত আসলাম। লিখে যাওয়া দড়কার। গল্পটা ভালো লেগেছে। সরাসরি বলার কারণেই ভালো লেগেছে। মানুষ সরাসরি করতে পারবে আর আমরা লিখতে পারবো না?? ইনিয়ে বিনিয়ে বলে কি হবে???
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
২৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৭
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: +++
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমি ধন্য অয়ন বাবা!!!!!!!
২৫| ০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পের প্লট অবাস্তব তবে লেখা ভাল লাগল। প্রাঞ্জল লেখা।
০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হাহাহহা!!!!!!
লেখার পর মনে হইছিল কাহিনীটা একটা হিন্দি সিনেমার সাথে মিল খাইছে!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ! অসাধারন !!
তসলিমার দিনকাল খারাপ যাচ্ছে না।সে জানে,সে যা করছে তা পাপ।কিন্তু এছাড়া তো তার কোনো উপায় নেই।
তসলিমার স্থলে জোবায়েদা হবে ।
আর এই লাইন গুলি না লিখলেও চলতো ।