![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ভাস্তি সুহাকে দেখা-শোনা করার জন্য অনেক দিন থেকেই একটা মেয়ে খোজা হচ্ছিল।একটা মেয়ের খোজ পাওয়া গেল। মেয়েটার বাবা-মা আমাদের বলেছিল-মেয়েটার বয়স এগার।কিন্তু মেয়েটাকে যখন আনা হল,তখন আমরা তাজ্জব!মেয়েটার বয়স খুব বেশী হলে আট বছর হতে পারে।এত ছোট মেয়েকে মা-বাবা কিভাবে ছাড়ল?
যাই হোক,প্রথম দুই দিন সে অনর্গল কান্না করল। খুব অল্প সময়ে মেয়েটা আমাদের একজন হয়ে গিয়েছে। এত ছোট একটা মেয়ে যে ওকে ভাল না বেসে উপায় নেই। প্রথম দুইদিন সে যত কান্নাকাটি করেছে,এখন সেই সব হাসি দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছে। তার হাসি আবার খুবই বিপজ্জনক।একবার হাসতে শুরু করলে সে থামতে পারেনা। আবার তার হাসি আসেও খুব আজগুবি কারণে।
সেদিন আমার ঘরে আমি তালা লাগিয়ে চাবি ভিতরে রেখে চলে এসেছিলাম।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য উপরে উঠব যখন তখন মনে হল যে চাবি ঘরের ভিতর রেখে তালা ঝুলিয়েছি।আমি ঘুমে ঢুলুঢুলি চোখে একটা হাতুড়ী দিয়ে তালায় বাড়ি মারছি,তখন দেখলাম সে আমার পাশে দাড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে।তার হাসি প্রকান্ড আকার ধারণ করল, যখন আমি কিছুতেই তালা ভাঙ্গতে পারছিলাম না। ওর হাসি দেখে আমার মেজাজ খারাপ লাগল। বললাম, "ঐ খাদিজা আর হাসলে কিন্তু হাতুড়ি দিয়া বাড়ী মেরে তোর দাত ভাইঙ্গা দিব!"
আমার কথা শুনে সাথে সাথে সে দাত ভিতরে ঢুকিয়ে মুখে হাত দিয়ে আরো ভয়াবহ ভাবে হাসতে শুরু করে দিল।একেবারে উথাল-পাথাল হাসি যাকে বলে! ওর হাসি দেখে আমিও কেন যেন তালা ভাঙ্গা বন্ধ করে হাসতে শুরু করলাম।তার হাসিটা এতই সংক্রামক!
খাদিজার প্রধান কাজ হল সুহার সাথে খেলা ধুলা করা।এছাড়া কোনো কাজ নেই তার।কাজ দিয়েও অবশ্য কোনো ফায়দা নাই।সে এতই ছোটো যে তার মশারী টানানো থেকে শুরু করে ওর জামার বোতাম আটকে দেয়ার কাজগুলো আমাকে করে দিতে হয়। তবে মাঝে মাঝে সুহার সাথে খেলার কাজটাও সে করতে পারেনা। বেশীরভাগ দিনই দেখা যায়,সুহার খেলনা দিয়ে সে গভীর মনোযোগ দিয়ে খেলছে,আর সুহা হামাগুড়ি দিয়ে অন্যদিকে চলে গিয়ে এক ধ্যানে জুতা খাচ্ছে!
ভাইয়ার বাসার সামনে একটা পার্ক আছে।ওখানে গিয়ে সে প্রতি বিকালে খুব খেলে।তার প্রিয় খেলা হল দোলনায় চড়া।সে দোলনাকে বলে "ডুল-ডুলানী চেয়ার"।সেদিন ওর মায়ের কাছে ফোনে খুব খুশি খুশি কণ্ঠে শুনি বলছে, "আম্মা আমি আইজ্জা ডুল-ডুলানী চেয়ারে ডুলডুলাইছি"। ওর কথা শুনলেই আমার হাসি আসে।
সবচেয়ে বড় কথা হল,ওর দিকে তাকালে সুহার কথা মনে হয়।আজকে যদি ওর জায়গায় সুহা থাকত! এত ছোট একটা বাচ্চা মায়ের কোলছাড়া তো হয়েছে দারিদ্রের কারণেই। আমরা যতই ওকে ভালবাসি,মায়ের ভালবাসা ওকে দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কোন শিশু যেন মায়ের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়!
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হ্যা,মায়ের ভালবাসা না হোক,অন্তত ভালবাসা থেকে যেনো শিশু কখনও বঞ্চিত হয় না।ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই!
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাসি দেখে আমিও কেন যেন তালা ভাঙ্গা বন্ধ করে হাসতে শুরু করলাম।তার হাসিটা এতই সংক্রামক!আমিও হেসে দিসি !
সবার ভাল থাকা হৌক ॥
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: পিচ্চি যে কিভাবে দাতগুলা বের করে হাসে তা যদি দেখাতে পারতাম!
যাই হোক,ভাল থাকবেন।
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
এটাই জীবন।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হ্যা,ভাই জীবন এরকমই!!!ভাল থাকবেন আমিনুর ভাই!
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
একজন আরমান বলেছেন:
মন খারাপ হয়ে গেলো।
ভাল থাকুক সবাই!
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এরপর ইনশাল্লাহ মন ভালো করা একটা লেখা দেব আরমান ভাই।ভাল থাকুন!!!!!!১
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, আমরা ওদেরকে মায়ের ভালবাসা দিতে না পারলেও যাতে ভালবাসা দিতে পারি সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন...
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ জহিরুল ভাই!!!!!
৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
আশিক মাসুম বলেছেন: এত ছোট একটা বাচ্চা মায়ের কোলছাড়া তো হয়েছে দারিদ্রের কারণেই।
কোন শিশু যেন মায়ের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়!
কিছুই বলার নেই।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: একটা ব্যাপার কি দারিদ্র আমাদের অনেক কঠিন কাজ করাতে বাধ্য করে।এর কারনেই কখনও কারো কাছে হাত পেতে ভিক্ষা নিতে হয়,নিজের শিশুকে কোলছাড়া করতে হয়,আরো কত কি!!!তাইনা?
৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: সবার আপনাদের পরিবারের মত সুমতি জন্মাক !
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হ্যা ভাই!শুধু শিশুদের জন্য না,পৃথিবীর সবার জন্য আমাদের সহানুভূতি জন্মাক!
৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
আদম_ বলেছেন: আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য কোটি টাকার পাজেরো কিনে দিতে পারলেও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে পারিনা।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: খাদিজার কথা পরে খারাপ লাগছে । ভাল থাকুক নিরাপদে থাকুক প্রতিটা শিশু ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: খাদিজা এখন আল্লাহর রহমতে বেশ ভাল আছে ভাইয়া।তবে ঐ যে বললাম,মায়ের ভালবাসা দেয়া কোনো ভাবেই সম্ভব না।তারপরেও আমরা আমাদের মত করেই তাকে ভালবাসবো!
১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১০
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: খাদিজাদের জন্য খু মায়া লাগে
কোন শিশু যেন মায়ের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত না হয় !
তয় বিদেশে বাচ্ছারা বাবা মা ছাড়া বড় হওয়াটা খুব ই কমন পিকচার। ৩ মাসের বাচ্ছাদের তারা বেবি কেয়ারে দিয়া দেয়। বাচ্ছারা বেবি কেয়ারে বড় হয়। এমনও হয় বেবি কেয়ারের মহিলা চাইনীজ বা স্পেনিস হলে বাচ্ছাও কথা বলা শুরুর সাথে সাথে চাইনীজ বা স্পেনিস বলা শুরু করে !
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই বিদেশে যাওয়ার কি দরকার?দেশে কি এমন উদাহরণ নাই নাকি? চাকরীজীবী মা-বাবারা ছেলেমেয়েদের গৃহপরিচারিকার কাছে রাইখা সারাদিন অফিস করে।সবই ঠিক থাকে।কিন্তু সমস্যা বাধে তখন যখন কড়া শুদ্ধভাষী মা-বাবার সন্তানেরা কথা শুরু করে খাইয়ুম-যাইয়ুম এই টাইপ কথা দিয়া!!!!!!!
১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
প্রতিটি শিশু বেড়ে উঠুক মমতায়, ভালোবাসায়।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: সেইই!!!কোনো শিশুই যেন স্নেহ বঞ্চিত না হয়!
১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৩
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ;(
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১২
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভকামনা রইল খাদিজার জন্য।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ শংকু ভাই!!!!!
১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
সুমন কর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার মহৎ চিন্তা এবং দায়িত্ব বোধের জন্য।
তবে এটাই বাস্তবতা
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আসলে মহৎ কিংবা দায়িত্ব বোধ থেকে কিছু হয়নি।মেয়েটা এত ছোট যে দেখলেই ভালবাসতে ইচ্ছা করে।ভাল থাকবেন সুমন দা!
১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
ডরোথী সুমী বলেছেন: ওদেরকে পেটের তাগিদে অন্যের বাসায় কাজ করতেই হবে। কিছু করার নেই এতে। কিন্তু আমরা ওদেরকে একটু ভালবাসতে ও আদর যত্ন দিতে পারি। ওরা তো আমাদের পরিবারেরই সদস্য।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপু সত্যি বলতে এদের আসলে আমাদেরই একজন ভাবতে আমাদের কষ্ট হয়।কোনোভাবে এদের আপন করতে আমাদের বড় কষ্ট!
১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
ভিয়েনাস বলেছেন: খাদিজার মতো শিশুরা যেন আমাদের পরিবারের একজন হতে পারে সে দিকে আমাদের সুনজর দেওয়া উচিত।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমাদের সবারই উচিত এদের পরিবারের একজন সদস্য ভাবা।কিন্তু আমাদের তো এদের পরগাছা ভাবতেই ভাল লাগে।তাইনা?
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
আদম_ বলেছেন: সরি ভুল জায়গায় ভুল কমেন্ট কইরালচি। মুইছা দিবেন।
খাদিজা ও সুহা কে আমার ঈদমোবারক ও ভালোবাসা দিবেন। আপনাকেও ঈদমোবারক।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হাহাহহা।বুঝতে পারছিলাম। খাদিজা,সুহা এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা!
১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
এম ই জাভেদ বলেছেন: আচ্ছা আপু , সব গরীব মেয়েদের নাম কেন একই ধাঁচের হয় - খাদিজা, জরিনা, কুলসুম .........আরও কত নাম !!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: চিন্তা নিয়েন না জাভেদ ভাই।অদূর ভবিষ্যতে তাদের অদ্বিতী,অনন্যা,শুচি,সুহা,শুভা আরো কত নামে পেয়ে যাবেন।নামগুলোকে একটু কমন হতে দেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আর যেন কোন মায়ের কাছ থেকে শিশুরা বঞ্চিত না হয়।
সুন্দর