![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা সংক্রান্ত আমার অভিজ্ঞতাগুলো তেমন ভাল না। ক্লাস এইটে থাকতে একবার বাংলার হামিদা ম্যাডাম ক্লাসের মাঝে আমাকে ডেকে বললেন কবিতা আবৃত্তি করতে।হামিদা ম্যাডামকে আমরা সবাই অসম্ভব ভয় পেতাম।ম্যাডামকে পিছনে পিছনে আমরা কাউয়্যা-ম্যাডাম বলে ডাকতাম।এই মহিলার মত কর্কশ কন্ঠ আমি আর কোথাও শুনিনি। ম্যাডাম যখন তার বেটে-খাটো বিশাল শরীরটা নিয়ে স্কুলের ভিতর ঢুকতেন তখন আমরা সবাই দিগ্বিক পাগলের মত ছুটতাম। কারণ,ম্যাডামের সামনে পড়ে গেলে তিনি কখন যে কোন ইস্যু নিয়ে চড় মেরে বসবেন তা কেউ ধারণাও করতে পারবে না। আর সেটা শুধু চড় হলেও কথা ছিল,সাথে থাকবে অশ্রাব্য গালি! একজন স্কুল শিক্ষিকার মুখে সেইসব গালি মানায় না। তাও ম্যাডাম গালি দিয়ে আনন্দ পেতেন। একবার আমি চুলে সাদা ফিতা বেধে যাইনি দেখে ম্যাডামের হাতে পড়ে গেলাম। ম্যাডাম আমাকে সামনে পেয়ে কষিয়ে দুই গালে দুইটা থাপ্পর মেরে বললেন, “ঐ চুলে ফিতা না বাইন্দা স্টাইল মারাইয়া রাস্তা দিয়া হাইট্টা আইছিস ক্যান? রাস্তায় তোর নাগর খাড়াইয়া ছিল?”
আমি ম্যাডামের হাতে থাপ্পর খেয়ে যত না কষ্ট পেলাম,তার থেকে বেশী কষ্ট পেলাম ম্যাডামের মুখে ঐ জঘন্য কথা শুনে।যাই হোক,ধান ভানতে এসে শিবের গীত শুরু করলে হবে না।আমি বরং কবিতা নিয়ে আমার অরুচির কারণটা ব্যাখ্যা করি।
আমি এমনিতেই হামিদা ম্যাডামকে ভয় পেতাম।তার উপর তিনি যখন ক্লাসে কবিতা আবৃত্তি করতে বললেন-তখন আমার আত্মা খাচা ছাড়া হওয়ার অবস্থা।আমি তোতলাতে তোতলাতে কবিতা আবৃত্তি করা শুরু করলাম।আবৃত্তি করেছি বললে ভুল হবে।আমি রিডিং পড়ছিলাম।হঠাৎ মাঝপথে হামিদা ম্যাডাম আমাকে থামিয়ে দিয়ে কান আচ্ছা করে মলে দিয়ে বললেন-“তুই তোতলা নাকি? যাহ,তোর পড়া লাগবে না।”
ক্লাসে হাসির রোল পড়ে গেল।এর পর ক্লাসের সবাই আমাকে তোতলা-তিতির টাইটেল দিয়ে দিল।সেই টাইটেল সাথে নিয়েই আমাকে স্কুল ছাড়লাম। ওটাই যে আমার কবিতা পছন্দ না করার একমাত্র কারণ তা না।
ভারসিটির শুরুর দিকে আমার পিছনে আশিক নামে এক সিনিওর ঘুরতো। তিনি নাকি আবার কবিতা লেখেন। কোনো কিছু বলার সাহস পেত না। শুধু প্রতিদিন ফেসবুকে বসলেই কবিতা ইনবক্স করে। কবিতা না বলে সেগুলোকে আসলে গবিতা বলাই শ্রেয়। ভদ্রতার খাতিরে কবিতাগুলোর প্রশংসা করতে হত। দেখা যেত বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারছি,এমন সময় সেই কোথা থেকে সেই আশিক-কবি উপস্থিত হয়ে একটা কবিতা হাতে ধরিয়ে বলতেন, “তিতির,নতুন আরেকটা কবিতা লিখছি।একটু পইড়া দেইখো তো কেমন হইল!”
আমি পড়লাম এক মহাফ্যাসাদে!ভদ্রতার খাতিরে আমি সেই কবিকে না পারি কিছু বলতে, না পারি তার কবিতার যন্ত্রণা সহ্য করতে! আমার বন্ধুরাও আবার সেই কবির সাথে আমাকে জড়িয়ে নানা ধরনের ফাজলামী করে। আমি বলতে গেলে সেই কবির উপর ত্যাক্ত।
একদিন আমি আর আমার ক্লাসমেট সোয়েব সেমিনার রুমে বসে পড়ছিলাম। হঠাৎ কোথা থেকে আশিক-কবি এসে উপস্থিত। আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলল , “তিতির একটা কবিতা লিখছি।প্রেমের কবিতা। নাম পীড়িতের আগুন। কবিতাটা তোমারে উৎসর্গ করছি।পইড়ো।”
-কবিতা কাকে উৎসর্গ করছেন?
-তোমারে!
-ক্যান?আমারে ক্যান?
-এমনেই।
কথাটা বলেই আশিক কবি সেমিনার রুম থেকে বের হয়ে যাওয়া শুরু করল। আমি তাকে পিছন থেকে ডাক দিলাম।
-আশিক ভাই,দাড়ান।একটা কথা শুইনা যান।
-কি?
-আপনে কি জানেন যে আপনি যা লিখেন তা আসলে কিছুই হয় না?
-মানে?
-মানে কি আপনে বুঝেন না, না?কি সব অখাদ্য-কুখাদ্য লেখেন!সেইটা আবার আমারে দিয়া পড়ান। তাও না হয় এতদিন সহ্য করছি। এখন আবার আপনে এইসব অখাদ্য আমার নামে উৎসর্গ করা শুরু করছেন। খবরদার আর জীবনে কোনোদিন এইসব কবিতা নিয়া আসবেন না।
আমার কথায় অপমানিত হয়ে আশিক কবি চলে গেল। আমি নিজেও চরম রাগ-রাগ চেহারা নিয়ে বসে পড়লাম।
“বেচারাকে খুব বেশী অপমান করলিরে।এতটা অপমান না করলেও পারতি!”-পাশ থেকে শোয়েবের মুখে এই কথা শুনে আমার আরো রাগ লাগল।
আমি বললাম, “আমার জায়গায় থাকলে তুই বুঝতি। আর তোর এত মায়া মায়া থাকলে তুই গিয়ে ওর কবিতা শোন। আমার অত কবিতার জ্ঞান নাই।”
-মাথা গরম করিস না তিতির।বেচারা হয়তো তোকে পছন্দ করত বলেই তোকে কবিতা দিত।দেখ হয়তো ওর সব কবিতা তোকে নিয়েই লেখা।একজন মানুষ তোকে নিয়ে কবিতা লিখছে,তোকে উৎসর্গ করছে-এতে দোষের কি আছে?
-দেখ শোয়েব আমি অত কবিতা বুঝিনা।কবিদের দেখলেও আমার মেজাজ খারাপ হয়। যতসব অবাস্তব চিন্তা ভাবনার লোক!
-কে বলেছে তোকে এই সব কথা?
-কেউ বলেনাই।যুক্তিসম্পন্ন মানুষের পক্ষে কবি হওয়া যেমন শক্ত,কবিদের পক্ষে ততোধিক শক্ত যুক্তিসম্পন্ন মানুষ হওয়া!-এইটা সবাই জানে।
শোয়েব আর কোনো কথা বলল না। কেবল একটা কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর উঠে গেল। উঠে যাওয়ার সময় বলল, “ করুনা কর তোমাদের এই হতভাগ্য কবিকে।”
কবিতার লাইনটা শুনে আমি বুঝলাম আমি ধরা পড়ে গিয়েছি। আমি যতই বলি,আমি কবিতা ভালবাসিনা,আসলে যে আমি বেশ কবিতার খোজ রাখি তা শোয়েব কবিদের ব্যাপারে আমার শেষ মন্তব্যটা শুনেই বুঝে ফেলেছে। ঐ লাইনটা আসলে আমি পাবলো নেরুদার কাছ থেকে ধার করেছিলাম। পাবলো নেরুদাই বলেছিলেন কবিরা যুক্তির ধার ধারে না!
আমি সেমিনার রুম থেকে উঠে ক্লাসে যাই। ক্লাসে শোয়েব নেই। ও ক্লাস করতে আসেনি। ক্লাস শেষ করে শোয়েবের খোজ করতে গিয়ে দেখি ও লাইব্রেরীর পিছনের পুকুর পাড়ে বসে আছে।
আমি ওর পাশে গিয়ে বসলাম।আমার দিকে না তাকিয়ে শোয়েব বলল, “ তিতির, পাবলো নেরুদার কোন কথাটা তোর সবচেয়ে পছন্দের?”
আমি খানিকটা চুপ করে থেকে বললাম, “বিড়ালের জীবনের মতোই কঠিন প্রাণপ্রাচুর্যে পূর্ণ কবিতারও মৃত্যু নেই। কবিতাকে হয়রানী করে রাস্তায় টেনে নিয়ে আসে-থুতু ছিটিয়ে মশকরা করে-নির্বাসনে পাঠায়-জেলে ভরে রাখে-সিসার গুলি চালিয়ে জখম করে-তবু সে মরে না,সে তার সুন্দর মুখে দিগন্তজোড়া নবান্নের হাসি নিয়ে বেচে থাকে।”
শোয়েব আমার দিকে তাকিয়ে হাসল।
আমি শোয়েবকে জিজ্ঞাসা করলাম, “তুই কবিতা লিখিস?”
-যদি বলি হ্যা,তাহলে তো তুই বলবি আমার বাস্তব জ্ঞান নাই।”
-খোচা দিয়ে কথা বলিস কেন সব সময়?
-যাহ,আর তোকে কোনোদিন খোচা মারব না।এই ডায়রীটা রাখ।
কথাটা বলতে বলতে শোয়েব ওর ব্যাগ থেকে ছোট একটা বাদামী রঙের কভার দেয়া ডায়েরী বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দেয়।
-এটা তোর কবিতার খাতা নাকি?
-কবিতার খাতাও বলতে পারিস আবার এক কবিতা বিদ্বেষীর মুখোশের আড়ালে থাকা কবিতাপ্রেমীকে নিয়ে বন্দনাও বলতে পারিস।
আমি অবাক হয়ে শোয়েবের মুখের দিকে তাকাই। ও উঠে চলে যাচ্ছে। এই মানুষটা আমাকে নিয়ে কবিতা লিখেছে এ আমার কল্পনার বাইরে। কতদিন ধরে ভেবেছি শোয়েবকে আমার মনের কথাগুলো খুলে বলব। লজ্জায়-ভয়ে বলতে পারিনি। অথচ কি আশ্চর্য,একবারও বুঝতে পারিনি শোয়েব নিজেও তাই চেয়েছে!
আমি পিছন ফিরে দেখি শোয়েব অনেকখানি দূরে চলে গিয়েছে। আমি চটপট উঠে শোয়েবের কাছে ছুটতে শুরু করলাম। কবিতা নাহয় পরেও পড়া যাবে,আগে কবির আঙ্গুলটা গিয়ে ধরি যেন কবি হারিয়ে না যায়!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এই কথাটা আমার বেশ প্রিয়!!!!!!!!!!!!!
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শেষ পর্যন্ত কবির হাতটাই ধরতে হলো !
গল্প যথেষ্ট সুখপাঠ্য ছিল , কাহিনীর টার্ণ টা আন্দাজ করতে পারিনি ! অবশ্য মনের কথা আন্দাজ করা খুবই দুস্কর !
চমৎকার লেগেছে সব মিলিয়ে !
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এইটা একটা এক্সপেরিমেন্ট বলতে পারেন অভি ভাই।আমার ঠিক এই ধরনের গল্প আসে না। প্রেমের গল্প লিখতে গেলে বিরহের গল্প হয়ে যায়।তাই একটু চেষ্টা করলাম।
প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
ডট কম ০০৯ বলেছেন: আশিক কবির জন্য খুব মায়া হচ্ছে।
এভাবে অপমান না করলেঊ হইত।শুটকি মাছ। হাহহাহাহ
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আশিক কবির মত এক কবিকে আমি চিনি।সে অবশ্য প্রেম প্রীতির ধার ধারেনা।কিন্তু তার লেখা অখাদ্য সবাইকে পড়ানোর জন্য খুব বিরক্ত করে।আমার মাঝে মাঝে মনে হয় সেই কবিকে আচ্ছা করে ঝাড়ি মারি।তাই এখানে মারলাম!!!!
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: কবিতা নিয়ে আমার বিস্ময়ের কথা কালকেই এক মন্তব্যে বলেছিলাম । এই বিস্ময় হতে পারে কবিতার ঘরদোর বুঝতে না পারার হতাশা কিংবা বুঝতে চাওয়ার আকুতি- যা কিনা ভালোবাসারই নামান্তর ।
কবিতা সাথে নিয়ে, কবির হাত ধরে উড়ে দুরে ঘুরে বেড়ানোর গল্পে ভালোলাগা ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: সত্যি বলতে আমি নিজেও কবিতা তেমন বুঝিনা।তবে কবিতা পড়তে ভাল লাগে।এই কবিতা তেমন ভাল বুঝতে না পারাটা আমার নিজের একটা দুঃখও বলতে পারেন ভাইয়া। আপনার ভাষায় এটাও কবিতার প্রতি ভালবাসা এটা জেনে আসলেই ভাল লাগছে।
প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!!!
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কোমল একটা অনুভূতি রেখে গেলো মনের মধ্যে । +++
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনার কমেন্টগুলো আসলেই বেশ সুন্দর আদনান ভাই।প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন ভাইয়া!
৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পের শিরোনামটা ভালো লাগল- গল্পের মতই একটা রোমান্টিক ভাব আছে। শেষটা ইতিবাচক ভাবে শেষ করায় আনন্দ পেয়েছি। তবে পাঠক হিসেবে কেন যেন ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে, গল্পটার মাঝে কিঞ্চিত তাড়াহুড়ার ভাব ছিল। অনেক সময় নিজে নিজে কয়েকবার গল্পটাকে পড়লে হয়ত সেই ব্যাপারগুলো এড়ানো সম্ভব। যেহেতু আপনি নিয়মিত লিখছেন তাই পাঠক হিসেবে মনে হলো লেখকের কাছে নিজের চাহিদার কথাটি প্রকাশ করি। সেই হিসেবেই বলা- কোন প্রকার সাহিত্য বিশ্লেষন ক্যাটাগরীতে নয়।
অনেক শুভ কামনা রইল।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কাল্পনিক ভাই,আমি সব সময়ই চাই আমার লেখার ত্রুটিগুলো আমাকে ধরিয়ে দেয়া হোক। কারণ আমি একদমই নতুন। এখনও লেখালেখিতে তেমন পরিপক্ক হয়ে উঠিনি। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য। আমি আসলে ওভাবে প্রেমের গল্প লিখতে পারিনা।যতবারই চিন্তা করি একটা হ্যাপীএণ্ডিং-এর প্রেমের গল্প লিখব,ততবারই ওটা কিভাবে কিভাবে যেন অন্যরকম হয়ে যায়।এটাও অর্ধেক লেখার পর যখন মনে হয়েছে একটা উলটাপালটা পরিণতি হয়ে যেতে পারে তখন লেখাটা মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে আবার সপ্তাহ দুই পরে লেখা শুরু করেছি। এটাকে এক্সপেরিমেণ্টও বলতে পারেন। বিভিন্ন ভাবে লিখে বুঝতে চাইছি কোনটা আমি ভাল লিখতে পারি।
অনেক কথা বলে ফেললাম ভাই।ভাল থাকবেন!!!!!!
৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বেচারা আশিক কবি, ভাগ্যবান শোয়েব কবি
এনি হাউ - আপনার হন্তারক পড়ার পর আপানার গল্পের প্রতি আমার এক্সপেক্টেশনটা অনেকখানি বেড়ে গেছে। সো এই গপটা সেই তুলনায় অনেক সাদামাটা!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হন্তারক হল জ্বরের ভিতর লেখা গল্প!ওটা সম্ভবত আমার ভিতরের অন্য কারো লেখা ভাই!
মজা করলাম!
যাই হোক,আসলে একটা রোমান্টিক কিছু লেখার চেষ্টায় ছিলাম।কিন্তু বোঝা গেল অপদার্থরা প্রেমের গল্প লিখতে ওস্তাদ না!
ইনশাল্লাহ এরপর ভাল কিছু লেখার চেষ্টা করব মাসুম ভাই।
৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
তাহমিদুর রহমান বলেছেন: ভালো তো
View this link
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!!!!!
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ++++++++++++++
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা আপু!
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
বৃতি বলেছেন: রোম্যান্টিক, সুন্দর । ভাল লেগেছে ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৃতি আপু!
১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
ধূর্ত উঁই বলেছেন: কাবিতারা ভালবাসায় বেঁচে থাক।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!!
আপনার নামটা তো বেশ অদ্ভুত!!!!!!!!!
১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: রোমান্টিক গল্প ভালা পাই
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ রহস্যময়ী আপু!!!
১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভারসিটির শুরুর দিকে আমার পিছনে আশিক নামে এক সিনিওর ঘুরতো।
সিনিয়র হবে ।
নাম পীড়িতের আগুন।
- পিরিত হবে ।
কথাটা বলেই আশিক কবি সেমিনার রুম থেকে বের হয়ে যাওয়া শুরু করল।
- বার বার আশিক কবি শুনতে ভাল লাগছে না । শুধু আশিক দিলে মনে হয় এ লাইনে ভাল হয় । অবশ্য এটা আপনার ইচ্ছে ।
কথাটা বলেই আশিক কবি সেমিনার রুম থেকে বের হয়ে যাওয়া শুরু করল।
বের হয়ে যেতে শুরু করল - এভাবে লিখলে মনে হয় বাক্যটা আরো কোমল হয় ।
গল্প মোটামুটি ,
“বিড়ালের জীবনের মতোই কঠিন প্রাণপ্রাচুর্যে পূর্ণ কবিতারও মৃত্যু নেই। কবিতাকে হয়রানী করে রাস্তায় টেনে নিয়ে আসে-থুতু ছিটিয়ে মশকরা করে-নির্বাসনে পাঠায়-জেলে ভরে রাখে-সিসার গুলি চালিয়ে জখম করে-তবু সে মরে না,সে তার সুন্দর মুখে দিগন্তজোড়া নবান্নের হাসি নিয়ে বেচে থাকে।”
এই লাইন টা না থাকলে আপনার গল্পে সময় খরচ করাটা বেহুদা বলে মনে হইত - ধন্যবাদ প্রাপ্য এজন্যে আপনি । লাইন গুলা গল্পের ভার বাড়িয়ে দিয়েছে সন্দেহ নেই ।
মাসুম ভাইয়ের মত গুনি ব্লগার যখন আপনার হন্তারক গল্পের প্রশংসা করেছে - পড়ার ইচ্ছে রইল ।
আপনার প্রতি আন্তরিক শুভকামনা ।
আমার কোন কথা দৃষ্টিকটু মনে হলে আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে রাখছি । ভাল থাকুন ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনার কথাগুলো আমার মোটেও দৃষ্টিকটু লাগেনি ভাই।পরামর্শ আমি সব সময় সবার কাছেই চাই। অনেক ধন্যবাদ আমাকে আমার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দেয়ার জন্য। ভাল থাকবেন মাহমুদ ভাই!
১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন..... শুভকামনা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই!!!!!!!!!
১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: কবিতারা বেঁচে থাক ভালোবাসায়... ভালো লাগল গল্পটা,ধন্যবাদ
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শুকনোপাতা।বাইদাওয়ে,আপনাকে আপু ডাকব নাকি ভাইয়া ডাকব????????????????????
১৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: কবিতা ভালা লাগে না, কবিতারে ডরাই । গল্পে মাইনাস
।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অশ্রু ভাই,এম্নে মাইনাচ মারতে পারলেন?????????????????????
১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প লুতুপুতু হলেও মজা লাগসে পড়তে। শেষের লাইনটাই বাজিমাৎ করে দিলো।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: বহুদিনের শখ ছিল একটা পুতুপুতু প্রেমের গপ লিখব। কিন্তু আমার গল্পগুলা কেন জানি মাঝপথে ছ্যাড়াভ্যাড়া হইয়া যায়।এবার অনেক কষ্টে একখান পুতুপুতু গপ লেখলাম।
১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এই জায়গায় "কবিতা নাহয় পরেও পড়া যাবে,আগে কবির আঙ্গুলটা গিয়ে ধরি যেন কবি হারিয়ে না যায়!"।
ভালো থাকুন
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ মহা ভাই!!!!!!!!!!!!!!!ভাল থাকবেন!!!!
২০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ।
অনেক শুভকামনা রইল লেখকের প্রতি।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপনার একটা লেখা সেদিন পড়েছি।আপনার লেখাও অনেক সুন্দর।অনেক অনেক ধন্যবাদ বোকা ভাই!
২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মজা পেয়েছি পড়ে।
কবিতা নাহয় পরেও পড়া যাবে,আগে কবির আঙ্গুলটা গিয়ে ধরি যেন কবি হারিয়ে না যায়!
গল্পকারের আঙ্গুল কেউ ধরে না রে! কেবল গল্পই পড়ে!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হাহাহাহহা। আসলেই গল্পকারেরা খুব অচ্ছুৎ।কেউ তাদের আঙ্গুল ধরে না।
২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
চানাচুর বলেছেন: সারাজীবন কষ্ট করলো আশিক!! আর তুমি হাস ধরলা শোয়েবের!!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ফাজিল মাইয়া এইসব কয় কি!!!!!!তুমাকে তেব্র নিন্দে!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বিড়ালের জীবনের মতোই কঠিন প্রাণপ্রাচুর্যে পূর্ণ কবিতারও মৃত্যু নেই। কবিতাকে হয়রানী করে রাস্তায় টেনে নিয়ে আসে-থুতু ছিটিয়ে মশকরা করে-নির্বাসনে পাঠায়-জেলে ভরে রাখে-সিসার গুলি চালিয়ে জখম করে-তবু সে মরে না,সে তার সুন্দর মুখে দিগন্তজোড়া নবান্নের হাসি নিয়ে বেচে থাকে।