নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তির মাঝেই সমাধান খুঁজি।

উড়ন্ত বাসনা

জীবন কে ভালবাসি।

উড়ন্ত বাসনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম পাকিস্তানী সমাচার

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

দেশ দ্রোহী ও দেশ প্রেমিক নিয়ে সঠিক সংজ্ঞা আজও অজানা । এর সঠিক উত্তর কী বাংলা অভিধানে আছে? বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহীতা প্রসঙ্গটি বেশ আলোচিত । বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে বেশ ঘটা করেই আর্টিকেল, নিবন্ধ, কলাম সহ নিউজ প্রকাশ করছে । “নিউইয়র্ক টাইমস” পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবাদপত্র, তারাও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্রোহের ওপর একটি নিবন্ধ ছেপেছে । ভারতের জনপ্রিয় প্রাচীন দৈনিক ইংরেজি ‘টেলিগ্রাফ’ রাষ্ট্রদ্রোহ নিয়ে লেখা ছাপা হয়েছে । আর বাংলাদেশে তো কথা-ই নেই । রাষ্ট্রদ্রোহী, পাকিস্তানের দালাল এবং রাজাকার বানানো হচ্ছে এখন পাইকারী হারে । দেশের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং ৯ নম্বরের সেক্টর অধিনায়ক মেজর জলিল তো বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাজাকার উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন । তারপর এলেন মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান । তাকেও পাকিস্তানের চর বানানো হয়েছে । বেগম জিয়াকে পাকিস্তানের দালাল বানানো হয়েছে । গয়েশর চন্দ্র নিজের হাতে অস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন । রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও সংবিধানের লেখক ড. কামাল হোসেন, প্রখ্যাত সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ও গণমাধ্যম ব্যক্তি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং সর্বশেষ মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টারের’ এডিটর এবং অন্যতম মালিক বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনাব,মাহফুজ আনাম । তার পত্রিকার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘এটিএন নিউজ’ মুন্নি সাহার কাছে একটি স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, সাথে সাথেই তাকে ধরলেন আওয়ামী লীগের এক শ্রেণীর সিনিয়র নেতাগণ। আর তারা সবাই ১/১১ এর দুর্নীতি মামলায় পালিয়ে বেড়িয়েছিলেন বা জেল খেটেছেন । মাহফুজ আনাম ঐ টিভি ইন্টারভিউয়ে একটি সরল স্বীকরোক্তি দিয়েছিলেন যে, সাংবাদিক জীবনে তার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে। ১/১১ অর্থাৎ মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের সরকারের সময় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বা ডিজিএফআই দেয়া খবর ছাপানো । আর তখন ঐ সংস্থাই নিজেরাই কিছু খবর পত্র-পত্রিকায় প্রেরণ করতো । ছাপানোর জন্যও বাধ্য করা হতো । এই ধরণের ঘটনা অতীতেও যেমন ঘটেছে আজও তেমনি ঘটছ এই ধরণের খবরের মধ্যে একটি ছিল শেখ হাসিনার দুর্নীতি সম্পর্কে । শেখ হাসিনার দুর্নীতি সম্পৃক্ততার ঐ রিপোর্টি তিনি কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশ করেছেন, আর অনেকটা নিরুপায় হয়েই । আর এটিই হয়েছে তার সুদীর্ঘ সাংবাদিক জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল । তার স্বীকরোক্তিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে তার বিরুদ্ধে অন্তত ৭৯টি মামলা বিভিন্ন জেলায় ও থানায় মামলা ঠেকানো হয়েছে। মাহফুজ আনামের সবগুলো মামলাই দায়ের করা হয়েছে হয় রাষ্ট্রদ্রোহ না হয় মানহানির অভিযোগের ভিত্তিতে ।

রাষ্ট্রদ্রোহীতা কী ? এ সংজ্ঞা এখন পরিবর্তন জরুরী । অভিযোগে মামলা হয়েছে অন্তত ১২টি আর বাকিগুলো মানহানি সংক্রান্ত । মাহফুজ আনামের ভাগ্য ভালোই বলতে হবে । কারণ ইতিপূর্বেও অনেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র্র্র্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে, এদের কারো কারো নামে মামলা হয়েছে আবার কেউ কেউ কোনো রূপ মামলা এবং চার্জশিট ছাড়াই মাসের পর মাস জেল খাটছেন । তার একমাত্র উদাহরণ আমার দেশ সম্পাদক দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ভাগ্যে । আবার কারো বিরুদ্ধে কিছুই করা হয়নি । অনেক আগে ডেইলি স্টারের ফ্রন্টপেজে হিজবুত তাহরীরের একটি পোস্টারের ছবি ছাপা হয়েছিল যেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়ালে সাটানো হয়েছিলো । সেটা নিয়েও এক শ্রেণীর সংবাদপত্রে তোলপাড় হয়েছিল এবং সরকারপন্থী পলিটিশিয়ানরা হৈ চৈ শুরু করেছিলেন । সরকারের তৎকালীন অবৈধ সন্তানেরা তথা শাহবাগিদের আন্দোলনের ফলস্বরুপ দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় । তাকে বহুবার রিমান্ডে নেয়া হয় । তখন পত্র-পত্রিকায় এই মর্মে খবর প্রকাশিত হয় যে, তাকে পুলিশ হেফাজতে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে । গত কয়েকদিন আগে সব মামলা হতে জামিন পেলেও শোনঅ্যারেস্ট দেখানো হয় । বিনা বিচারে এ মানুষটি বছরের পর বছর জেল খাটছেন, দেশে কী আইন নেই ? মূল্যবোধের অবক্ষয় দিন দিন বেড়েই চলেছে ।

সাংবাদিকরা খবর লিখলেই রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে গেলো ? কেউ কিছু বললেই যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতা হয়ে যায়, তাহলে তো কিছু করা যাবে না, লেখা যাবে না। মত প্রকাশেও বাঁধা ! আবার সংসদে জোর গলায় বলে আমরা মিডিয়া বান্ধব সরকার । মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা হয়েছে, তা আইনগতভাবেই ভিত্তিহীন। আর মাহ্ফুজ আনামের বক্তব্যে কীভাবে রাষ্ট্রদ্রোহ হয়েছে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না । আর এটা কেমন করে রাষ্ট্রের বিপক্ষে যায় ? এগুলো আসলে কাল্পনিক অভিযোগ। ভুল স্বীকার করাই মহা অন্যায় । একদিকে দেশদ্রোহিতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং অন্যদিকে পাকিস্তানের দালাল । ৬ বছর ধরে রাষ্ট্রপ্রধান জেনারেল জিয়া কিভাবে পাকিস্তানের চর হতে পারেন ? বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া কিভাবে দেশদ্রোহী হতে পারেন ? সাবেক ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত ভিপি এবং পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না কিভাবে রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারেন ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সর্বশেষ আজ যুক্ত হলে শফিক রেহমান!
সরকার কি এই ্ংগিত দিলেন- বুদ্ধিজিবিদের যে কলম বন্ধ করো.. নইলে কি হবে পরিণতি চেয়ে দেখৌ!!!!??

পাকিদের যে কারণে ঘৃনা করি- একই কারণ দেশী ভার্সন করলে কি চোখ বন্ধ করে থাকতে হবে?

গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে।
মিডিয়ার নিরবতা জাতিকে দমবন্ধ অবস্থায় আটকে রেখেছে! অথচ কতজনের কত চাপাবাজি- আমরা সত্যের কন্ঠ! আমরা সাহসী! আমরা জনতার কথা বলি!
এই মিথ্যা গুলো কি তাদের পীড়া দেয় না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: ইরানের কবি শেখ শাদী , তার একটা কবিতায় বলেছিলেন
গরবা মীর ও চাগ অজির ও মুস রা দরবা কুনাদ ; ই চুনি আরকানে দউলাত মুলক রা ওইরা কুনাদ

সোজা বাংলায় যাকে বলা যায়
বিড়াল মার্কা রাস্ত্র প্রধান কুকুর মার্কা মন্ত্রি আর ইদুর মার্কা বিচারালয় যদি কন দেশে হয় তা হলে এ ধরনের প্রশাসন বেবস্থা সে দেশ কে ধ্বংসস্তূপে পরিনত করে দেয় ।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: আর কত দেখুম।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: খন্দকার আঃ মোমিন (২নং মন্তব্যকারী), সেখ সাদীর কবিতাটি শুনে মহা সমর্থন পেলাম এবং খুশি হলাম। তবে আমরা বোধহয় আরও অনেক বড় সঙ্কটে পড়েছি, তাই আমার পেট থেকেও অমন কয়টা লাইন বেরিয়ে এসেছিল। কবিতাটি Click This Link পড়ার দাওয়াত দিলাম । ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.