![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কিছু অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের নাড়া দেয়, রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার বিশ্বজিৎ, আততায়ীর হাতে নিহত অভিজিৎ আর লাঙলবন্দের পদদলিত হিন্দু ধর্মালম্বীদের মৃত্যুর কারনগুলো খুবই করুন। একটি শিক্ষিত সভ্য দেশের নাগরিকদের মাঝে হরহমেশাই কেউ না কেউ আগুনে পুড়ে বা আততায়ীর হাতে মৃত্যুবরণ করছে, কিন্তু কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, প্রতিবাদ নেই, সবাই যে যার মত করে চলছে ফিরছে, ঘর সংসার করছে, খেলা দেখছে সিনেমাতে যাচ্ছে। অথচ মৃত্যু অপেক্ষা করে আছে সবার নাকের ডগায়, এইসব মিছে হাসি খেলা বন্ধ করতে একটু অসতর্ক মূহুর্তই যথেষ্ট
যেহেতু মানব জীবন নিয়ে জন্মেছি, মৃত্যু একদিন না একদিন হবেই। সেটাই আমাদের ভবিতব্য। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু আমাদের নাড়া দেয়, প্রতিবাদ, মানববন্ধন, শোক সভা করতে উদ্বুদ্ধ করে, আর কিছু কিছু মৃত্যুকে আমরা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাই। কেন এমন হয়? যার যাবার, সে তো চলেই যায়, স্বাভাবিক মৃত্যু বা অস্বাভাবিক মৃত্যু যাই ঘটুক না কেন। ফেলে রাখা স্বজনদের কেউ কেউ হাহাকার করে। বাকিরা এক দুই দিন হা হুতাশ করে চুপ করে যায়। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুতে যখন কেউ পতিত হয়, তখন কেন আমাদের মনন সব সময়ে আক্রোসী হয় না? সালাম রফিক জব্বার, নুর হোসেন, কিশোর আসাদ , এদের মৃত্যুতে গনরোষ হয়েছিল, মানুষ রাস্তায় বের হয়েছিল। বিশ্বজিৎ এর খুনের পরে মিছিল বের হয়নি, অভিজিৎ রয় এর খুন নিয়ে নাস্তিকেরা বুলি কপচে এখন ইউরোপ আমেরিকায় অভিবাসন খুজে নিচ্ছে। কিন্তু বাংলার মানুষ নির্বিকার।
লাঙলবন্দে মৃতদের জীবনের দাম কি অভিজিৎ রায়ের চেয়ে কম? তাদের জন্য কেন প্রতিবাদ সভা হবে না? আগুনে পুড়ে মরা বাসযাত্রী অথবা সাগর রুনির হত্যার জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আমরা কেন আমাদের দায়িত্ব শেষ করে দেব? কবে আমাদের দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি আসবে??
©somewhere in net ltd.