নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গন্তব্যহীন সোশিওপ্যাথের পরিচয় দিয়ে কি হবে?

মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার

আইম ব্যাড এন্ড দ্যাটস গুড

মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গোপসাগরে বুকে জগেে উঠছে বাংলাদশেরে এক নতুন মানচিত্র

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০২

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠছে এক বিশাল ভূখন্ড। হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপের দক্ষিনে মেঘনার মোহনায় বঙ্গোপসাগরের বুকে ধমারচর। এ ধমারচরের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভেসে উঠছে বঙ্গোপসাগরে শত কিলোমিটার নতুন চর। জোয়ারের সময় ডুবে যায়, ভাটার সময় মাছের পিঠের মত এ চর ভাসতে থাকে। বঙ্গোপসাগরের স্বাভাবিক পানির স্তর থেকে এ চর উঁচু। দিন দিন পলি মাটি ভরাট হয়ে চরের আয়তন বাড়ছে। ধমারচর থেকে ৪০-৫০ কিঃ মিঃ দূরে ভাটার সময় জেলেদের নৌকা আটকে যায়। স্থানীয় লোকজনের মতে এ চরের সীমানা এক থেকে দেড়শ কিলোমিটার হবে। এ চর পরিপূর্ণতা লাভ করলে বাংলাদেশের নতুন মানচিত্রে যোগ হবে এক বিশাল ভূখন্ড।

নিঝুম দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ উদ্দিন জানিয়েছেন, নিঝুম দ্বীপের তীর ঘেঁষে গত তিন দশক ধরে বঙ্গোপসাগরের বুকে ধমারচরের আয়তনের পরিধি বাড়তে থাকে। চার বছর এ চরের কিছু অংশ ভূমি আবাদি হয় এবং জনবসতি গড়ে উঠে। এর সাথে বাড়ছে চরের পরিধিও। গত দুই বছর ধরে বঙ্গোপসাগরের বুকে যে চর উঠছে, বঙ্গোপসাগরের স্বাভাবিক পানির স্তরের কাছে ট্রলারযোগে যেতে এক দিন সময় লাগে। নতুন যে চর জাগছে তার পূর্ব পার্শ্বে ভেসে উঠছে আরেকটি চর। ধমারচরের পাশে বলে স্থানীয়রা তার নাম দিয়েছে ‘বে ধমারচর’। পলি মাটি জমছে আর ভূমির বিস্তৃতি ঘটছে। সরকারী কোন সংস্থা এখনো এ জেগে উঠা চরের জরিপে আসেনি। কয়েক বছরের মধ্যে এ বিশাল চর পূর্ণতা লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

৮১.৭৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চর নিঝুম দ্বীপ ৫০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় ভেসে উঠে। এখন এ নিঝুম দ্বীপে ৭০ হাজার মানুষের বসবাস। এই নিঝুম দ্বীপ হরিণ ও নানা জাতের পাখির কলতানে প্রকৃতির এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে লীলা ভূমিতে পরিণত হয়েছে। যা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁর পাশে রয়েছে বন্দরটিলা নামে আরেকটি চর। এ চরটি নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত।

৬৫ সাল থেকে মেঘনার ত্রিমূখী ভাঙ্গনে হাতিয়ার অনেক ভূখন্ড নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। একদিকে হাতিয়া ভূখন্ড ভেঙ্গেছে, অন্যদিকে আবার নতুন নতুন চর জেগে উঠেছে। দীর্ঘ সময়ে হাতিয়ার সীমানায় যে সব চর জেগে উঠেছে সে গুলোর মধ্যে- বয়ারচর, কেরিং চর, ডাল চর, পাতার চর, চর নুরুল ইসলাম, নলের চর, নঙ্গলিয়া, চর ওসমান, ধমারচর, মৌলভীর চর, জাহাইজ্যার চর, চর বাসার, কমলার চর ও ঠেঙারচর সহ আরও অনেক চর। হাতিয়ার মূল ভূখন্ডের আয়তন এক হাজার বর্গকিলোমিটার। আর জলসীমায় রয়েছে আরো দুই হাজারের অধিক সীমানা। মেঘনার শাখা নদীর পাড়ে এসব চর। এসব চর হাতিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। নদীপাড়ে জেগে উঠা অনেক চর গুলো দুর্গম এলাকায়। এসব চরের পার্শ্বে নদীর পানির স্তর খুবই কম। চরগুলোর পাশে শাখা নদীতে ক্রসড্যাম নির্মান অথবা বাঁধ দিলে নিঝুম দ্বীপ সহ বিস্তৃর্ণ ভূমি জেগে উঠবে এবং যা বর্তমান হাতিয়ার মূল ভূখন্ড ও জলসীমার দ্বিগুনের চেয়ে বেশী হবে।

হাতিয়ার নদী ভাঙ্গা হাজার হাজার মানুষ বাড়ী ঘর ও সহায় সম্বল হারিয়ে ছিন্নমূল, গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়েছে। বহু আশ্রয়হীন মানুষ নদীর পাড়ে, বেড়ী বাঁধের পাশে খোলা আকাশের নীচে ও বনদস্যু কবলিত চরগুলোতে নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে। দস্যুদের চাঁদা দিতে না পারায় বহু ভূমিহীনকে প্রাণ দিতে হয়েছে এবং এলাকা ছাড়তে হয়েছে অনেক ভূমিহীন পরিবারকে। উজাড় করা হয়েছে হাজার হাজার একর রিজার্ভ ফরেষ্ট। চরগুলোর অধিকাংশই প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে বলে বিচ্ছিন্ন চর ও নদীতে বন ও জলে দস্যুদের রাজত্ব চলছে। নতুন বিস্তৃর্ণ চর জেগে উঠছে। ভূমি দস্যু, জল ও বন দস্যুর লোলুপ দৃষ্টি এখন জেগে উঠা চরের দিকে। (researched by:Alamgir Yousuf, District Correnpondent,Daily Ittefaq)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.