নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গন্তব্যহীন সোশিওপ্যাথের পরিচয় দিয়ে কি হবে?

মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার

আইম ব্যাড এন্ড দ্যাটস গুড

মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ-১

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৩

Movie Name: Saving Private Ryan
Director: Steven Spielberg
Star Artist: Tom Hanks

যখন অসম্ভব ভালো অভিনেতা আর সর্বকালের সেরা চিত্র পরিচালকদের একজন একত্রে কাজ করে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে এই মুভির ক্ষেত্রে। বলছি টম হ্যাঙ্কস আর স্টিভেন স্পিলবার্গের কথা। টম হ্যাঙ্কস আমার অসম্ভব প্রিয় একজন অভিনেতা, এই ছবির মুল চরিত্র তিনিই। এবার মুল বক্তব্যে আসা যাক-

কাহিনীটি হচ্ছে বিখ্যাত D-Day যুদ্ধের সময়কালের ফ্রান্সের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে। আমেরিকান সৈন্য অনেকেই মারা গিয়েছিলো এই যুদ্ধে।কাহিনী শুরু হয় D-Day war এর তিন দিন পর US War Department এর জেনারেল তিনটি টেলিগ্রাম আসে যাতে সে জানতে পারে রায়ান পরিবারের ৪ ছেলে যারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো তাদের মধ্যে ৩ জনই মারা গিয়েছে। আর বাকি একজন এখনো বেঁচে আছে, তাই নিয়ম অনুসারে টেলিগ্রাম গুলো তাদের মায়ের নিকট পাঠানোর সময় সেগুলোর সাথে আরও একটি চিঠি যায় যা স্বয়ং ডিপার্টমেন্ট জেনারেল নিজেই লিখেছিলেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন যে রায়ান পরিবারের শেষ ছেলে অর্থাৎ প্রাইভেট রায়ানকে দেশে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনা হবে। এই টেলিগ্রামটি সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ফিল্ড কমান্ডারের কাছেও পাঠানো হয়, পরবর্তিতে ক্যাপ্টেন জন এইচ মিলার এর নেতৃত্বে একটি দল প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে সেই লাখো প্রতিকুলতার মধ্যে একজন প্রাইভেট রায়ানকে বাঁচাতে বের হয়।
বিভিন্ন নাটকিয়তার ভিত্তিতে ছবির কাহিনী এগিয়ে যায় যা ছবিকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছিলো। লাখ লাখ সৈন্যের মাঝে রায়ান নামের ছড়াছড়ি, জার্মানদের সাথে ক্ষনে ক্ষনে জীবন-মৃত্যু খেলা, প্লাটুন সদস্যদের মৃত্যু সবকিছুর মোকাবেলা করতে হয়েছে ক্যাপ্টেনকে। তারপর অবশেষে দেখা মিলল সেই প্রাইভেট রায়ানের যাকে বাড়ি পাঠাতে এত রক্তপাতের সৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু বিধিবাম! সে কাপুরুষের মত যুদ্ধ ময়দান ছেড়ে যাবে না, কারন সে তার চেকপয়েন্ট ছেড়ে গেলে জার্মান বাহিনী তা দখল করে নিবে। তাই একটি শেষ যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় মিলার বাহিনী। সেই যুদ্ধেই রায়ানকে বাঁচাতে গিয়ে প্রান হারান ক্যাপ্টেন মিলার, রায়ান পাগল প্রায় হয়ে কাঁদতে থাকে মিলারকে মরতে দেখে। জার্মানরা হারলে মিত্র বাহিনীর অন্য প্লাটুন এসে চেকপয়েন্ট দখলে আর রায়ানকে আমেরিকা পাঠিয়ে দেয়, সে সময় রায়ানের অসম্ভব কষ্ট খুব স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছিলো যা সবসময় মনে থাকার মতো। শেষে দেখা যায় রায়ান বৃদ্ধ বয়সে অবশেষে মিলারের সমাধিস্থল খুজে পায় এবং স্মৃতিকাতর হয়েই তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে সে কি একজন ভালো মানুষ যে মিলার ও তার বাহিনীর আত্মত্যাগের যোগ্য? তার স্ত্রী বলে, হ্যা তুমি যোগ্য। না হলে তুমি বাঁচতে পারতে না।
কাহিনী, ইতিহাস, সিনেমাটোগ্রাফি, শব্দ, ডায়ালগ সব মিলিয়েই ছবিটি অসাধারন। যারা একশন মুভি দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য যেমন মুভিটি শ্রেয় তেমনই যারা ড্রামা, ক্লাসিক বা কাহিনী নির্ভর ছবি পছন্দ করেন তাদেরও মুভিটা ভালো লাগবে। অস্কারে ৫টি পুরষ্কার ও ১১টি নমিনেশন প্রাপ্ত এই ছবিকে বলা হয় সর্বকালের সেরা যুদ্ধাবস্থার ছবি। তাই যদি না দেখা থাকে তবে মুভিটি দেখে নিতে ভুলবেন না!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৯

আরজু পনি বলেছেন:

একটা ছবি দিলেও পারতেন।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২১

আলুমিয়া বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি!!! :D
:D :D

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:০১

নিপু এ কে আজাদ বলেছেন: ‌আপনাদের সুবিধার জন্য মুভিটা দেখার সরাসরি লিঙ্ক দিলাম
http://putlocker.tn/saving-private-ryan/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.