নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিরোনামের গল্প হয়তো অনেকেই জানেন, যারা জানেন না তাদের জন্য পোস্টের শেষে দিয়ে দিলাম। তবে শিরোনাম হিসাবে আমার লেখা পুরোপুরি রঙিন না, আংশিক সাদা-কালো।
সেই ছোটবেলায় রাত ১টা মানে গভীর রাত। রোজার মাসে ৫/৭ মাইল দূর থেকে একটা ছেলে রাত ১টা / ১.৩০ টার দিকে রিক্সায় মাইক নিয়ে বের হতো গজল গাইতে গাইতে। পুরো রোজার মাস সে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গজল গাইতো। তার কয়েক বছর পর দেখা গেল ২৬/২৭ রোজার সময় থেকে সে ভ্যান নিয়ে বের হতো টাকা তুলতে। পরবর্তী সময়ে এটা ভাইরাসের মতো আক্রান্ত করলো আমাদের এলাকার ছেলেদের। এরা কয়েকজন মিলে একটা রিক্সায় মাইক নিয়ে শেষরাতে ওঠো ওঠো করতে বের হতো। এরা গজল গাইতে পারতো না তাই টেপ রেকর্ডারে গজল বাজাতো। তারপর ২৬/২৭ রোজার সময় ভ্যান নিয়ে বের হতো টাকা তুলতে। টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় ২/১ বছর পরে এরা ভাগ হয়ে আলাদা আলাদা বের হওয়া শুরু করলো। পরিস্থিতি এমন হলো যে একজন ডেকে যাওয়ার পর অন্যজন ডাকতে আসে। একটা সময় এরা চালাক হয়ে গেল, তখন এলাকা বড় করার জন্য আজ এই এলাকা তো কাল অন্য এলাকা আবার পরশু আরেক এলাকায় মাইক নিয়ে ডাকতে চলে যেতো। এভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন গ্রুপ ওঠো ওঠো ভাইরাসে আক্রান্ত হলো। টাকা তোলা নিয়ে আবার মারপিটও শুরু হয়ে গেল। পরিস্থিতি যখন এমন তখন প্রশাসন থেকে একেবারে এটা বন্ধ করে দেয়া হলো। তখন থেকে অনেক বছর যাবৎ সুখে শান্তিতেই ছিলাম। কিন্তু ভাইরাসটা এখন হুজুরদের আক্রান্ত করেছে। হুজুরদের হাতে এখন মসজিদের মাইক। এরা সারাদিন পুণ্য কামাই করে, এমনকি ঘুমালেও পুণ্য তারপরেও রোজাদারদের ডেকে পুণ্য কামানোর লোভ সামলাতে পারছে না।
আগে মোবাইল ছিল না, ডিসের লাইন ছিল না, লোকজনের মনে শান্তি ছিল আরামে ঘুমাতো। এলার্ম দেয়া ঘড়ি ছিল দামি তাই সেসময় মাইক নিয়ে ডাকলেও একটা লজিক ছিল। এখন একটা ফ্যামিলিতে যতজন সদস্য তারচেয়ে অন্তত ১টা বেশি মোবাইল আছে। যার যখন খুশি তখন এলার্ম দিয়ে ঘুম থেকে উঠতে পারে।
গল্প
এক শিক্ষক ছাত্রের দিকে দুই হাত মুঠো করে বাড়িয়ে দিয়ে ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলো মনে করো একহাতে বিদ্যা আর অন্য হাতে ধন আছে তুমি কোনটা নিবে ? ছাত্র বলে আমি ধন নিবো। তাই শুনে শিক্ষক বলে তুমি কতো বোকা আমি হলে বিদ্যা নিতাম। শিক্ষকের কথা শুনে ছাত্র বলে যার যেটার অভাব সেতো সেটাই নিবে।
তাহলে কি হুজুরদেরও একই অবস্থা ?
ছবি
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২০
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: কখনোই মসজিদে মাইক নিষিদ্ধ হবে না। তবে শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ প্রয়োজন।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একেক মৌসুমে একেক ব্যবসা।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২০
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: হুজুরদের মৌসুমের শেষ নেই, খেয়াল করলে দেখবেন প্রতিটা আরবী মাস ফজিলতের।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৫
নিমো বলেছেন: সত্যিকারের ধর্মগুলো ধর্মপ্রবর্তকদের মৃত্যুর সাথে সাথেই ধরাধাম ত্যাগ করেছে। এখন যা আছে, এগুলো ধর্মের বিষবৃক্ষ, যা বিশ্ব ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত বিকাশমান। এই ব্লগেই দেখুন না ইষলামের অবস্থা মহাজাগতিক রূপ, মডারেট রূপ, জা-শি রূপ, হেফাজত রূপ, কুরআন রূপ,হাদিস রূপ তালিকা এতই লম্বা যে বলে শেষ হবে না। অবশ্যই হওয়ার কথা যেহেতু এখন ব্যবসা, তাই এর হাজার হাজার ধরণ থাকবে। টেকা-টুকা বলে কথা।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২১
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: ধর্ম পালন বা ধর্মের বিপক্ষে আমি না কিন্তু অহেতুক বাড়াবাড়ি আমার পছন্দ না।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫০
ধুলো মেঘ বলেছেন: হুজুরদেরকে কেউ কিছু বলেনা বলে এরা মাইক হাতে পেয়ে যা খুশী তাই করে। আমি একবার এক হুজুরকে মসজিদের মাইকে গজল গাওয়ার সময় জনা বিশেক মুসল্লীর সামনে ইচ্ছেমত সান্টিং দিয়েছিলেম। তার পর থেকে ঐ হুজুর সাইজ হয়ে গিয়েছিল। মাইকের অপব্যবহার করলে যে মানুষ বিরক্ত হয় - এর ফলে যে তার পূণ্যের বদলে পাপ হয় - এই মিনিমাম সেন্স এদের নেই।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: আপনি বললেন “মিনিমাম সেন্স এদের নেই।” এটা কিন্তু একেবারেই সত্যি কথা।
সমাজে সাধারণত ঘুষখোর বা অবৈধ কারবারীরা প্রতাপ খাটায়। এরা আবার হুজুরদের খুব ভক্ত হয়। অপরদিকে হুজুররা এই সুবিধা খুব ভালোভাবে উসুল করে।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমাদের এলাকায় এই ডাকাডাকি মসজিদের মাইকে হয়। যদিও এর কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না আমার।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: বর্তমান সময়ে ডাকাডাকিরই কোন প্রয়োজন নাই, সবার মোবাইল আছে। সেখানে রাত্রিতে মাইক ব্যবহার রীতিমত শব্দ সন্ত্রাস।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতে যত ব্যবসা আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কুৎসিত ব্যবসা হচ্ছে ধর্ম ব্যবসা।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫২
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: রাইট
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মসজিদে মাইক নিষিদ্ধ করতে হবে, ইহা ভয়ঙ্কর শব্দদূষনের কারণ।