নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু কথা থেকে যায় পাতাতে, কিছু কথা রয়ে যায় মনেতে, লাভ কি বলো সব জানাতে ?

ফ্রেটবোর্ড

ফ্রেটবোর্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সোলার সিস্টেম হতে পারে সহজ অবলম্বন

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭



অতীত এবং বর্তমানে বিদ্যুৎ সমস্যায় আমরা বিভিন্নভাবে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে জনগনের সাথে সরকারের অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা হতে পারে একটি সঠিক পদক্ষেপ।
বর্তমান সময়ে যেসব গ্রামে বিদ্যুৎ অপ্রতুল, সেসব এলাকার অনেক কৃষক সোলার সিস্টেমের সাহায্যে উচ্চশক্তির সেচ পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করে।
আবার রাজধানীসহ বিভিন্ন শহর অঞ্চলে অনেক কলকারখানাতেও সোলার ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া অনেক বাসা বাড়ীতেও সোলার সিস্টেম আছে।
এখন প্রশ্ন হলো, কৃষক, কলকারখানা বা বাসা বাড়ীতে থাকলে দেশ বা সাধারণ জনগনের কী ?
শুধু কলকারখানা ছাড়া উল্লেখিত ৩ শ্রেণীর সোলার কিছু সময় বা কিছু দিন চলে। যেমন কৃষকের ৩০ দিন পানি তুলতে হয় না। আবার বাসা বাড়িতে ব্যাটারী চার্জ হওয়ার পর সোলারের তেমন প্রয়োজন নাই।
যা করা যেতে পারে
১। সরকারি উৎসাহে দেশের সব কলকারখানায় সোলার সিস্টেম ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা। এক্ষেত্রে মেইন গ্রীড থেকে তার যত এনার্জি লাগতো তার চেয়ে কম লাগবে।
২। সরকারি ভর্তুকি সাপেক্ষে দেশের সব হাইরাইজ বিল্ডিংসহ সাধারণ জনগনকে সোলার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা। ব্যবহারের পর অতিরিক্ত উৎপাদিত ডিসি বিদ্যুৎ মিটারের মাধ্যমে মেইন গ্রীডে যাবে। মাস শেষে বিদ্যুৎ গ্রহণ এবং মেইন গ্রীডে সরবরাহ করা বিদ্যুতের হিসাব যোগ-বিয়োগ করা হবে।
৩। জনগনের কাছ থেকে সরকার সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রহণের নীতিমালা তৈরী করতে হবে।

প্রতিটি সোলার প্যানেলের ওয়ারেন্টি থাকে ২৫ বছর। তারমানে শুধু প্রথমে সেটআপের সময় টাকা (সরকার+জনগন) খরচ করলে অনেকদিন পর্যন্ত ফ্রি বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটা সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে।

ছবি

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। এটাই হচ্ছে প্রকৃত ব্লগিং। বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবহার নিশ্চিত করতে একমাত্র সোলার ই ভরসা। তবে এ সেক্টর দুনীতিবাজদের দখলে চলে গেছে। সোলার প্যানেলের দাম নিয়ে চলে মারাত্মক দুনীতি। এসব পোষ্ট কেউ পড়ে না। শুভকামনা আপনার জন্য শুভ ব্লগিং।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪১

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। প্রকৃত অর্থে তেল বা কয়লা কিনে কতোদিন চলা সম্ভব, অথচ সোলার প্যানেল সহজে নষ্ট হয় না আর সকাল থেকে দিনের আলো থাকা পর্যন্ত ফ্রি বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
এর আগে বিদেশী এক ভিডিওতে দেখলাম নদী/সাগরের পানির উপর (অপ্রয়োজনীয় এরিয়া) প্রচুর সোলার প্যানেল সেট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: ভালো একটা বিষয়ে লিখেছেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৪

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: বর্তমানে বিদ্যুৎ যেভাবে যাচ্ছে আর আসছে, তারমধ্যে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ ছিল তাই মনে হলো সোলার বেস্ট অপশন। কারণ তেল বা কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে ফলাফল শূন্য, মানে রিয়েল টাইমে তেল, কয়লা পোড়ার পাশাপাশি উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে শেষ কিন্তু এককালীন সোলারের পিছনে খরচ করলে উৎপাদন হতেই থাকবে।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

রবিন_২০২০ বলেছেন: একমত। বাড়ি ঘরে এমন সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে যেটা ব্যাটারী চার্জ করার পর বাড়তি ইলেকট্রিসিটি গ্রিডে সাপ্লাই দিবে। সরকার চাইলেই মিটার রিভার্স সিস্টেম করে বাড়তি ইলেকট্রিসিটি কিনে নিবে। এটা পশ্চিমা দুনিয়ায় একটা জনপ্রিয় পদ্ধতি।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০১

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: আমার জানামতে গ্রামাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নির্দিষ্ট মিটারের সাহায্যে ডিসি বিদ্যুৎ ক্রয় করে থাকে। তবে গ্রামাঞ্চলে সোলার তারাই ব্যবহার করে যারা অর্থনৈতিকভাবে একটু সচ্ছল। সরকারি সহযোগিতায় যদি এই পরিধি বাড়ানো যায় তাহলে দুপক্ষই উপকৃত হবে। পাশাপাশি শহর অঞ্চলে ক্রয়নীতিমালা প্রণয়ন করে ডেসকো এবং নেসকো’কে এর আওতায় নিয়ে আসা দরকার।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা বিদ্যুৎ নিয়ে বাণিজ্যের কারণে সোলারের উপকারিতা আমরা ভুলে গেছি। সোলার প্যানেল জনপ্রিয় হলে বিদ্যুৎ নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। যদিও সোলার দিয়ে সব সমাধান করা যাবে এমন না। তবে বিদ্যুতের উপরে চাপ কমবে। দেশের ইঞ্জিনিয়াররা এগুলি তৈরি করতে পারলে বাইরে থেকে আমদানি করে আনতে হবে না।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১২

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: বিদ্যুৎ বাণিজ্যের কারণে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লাভবান হচ্ছে এবং দেশের ক্রান্তিলগ্নে তাদের কাছেই জিম্মি হতে হয়। পক্ষান্তরে সোলার সিস্টেম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তার সুফল লক্ষ জনগন ভোগ করবে। বর্তমানে বিদ্যুতের বড় একটা অংশ চলে হচ্ছে ব্যাটারী চালিত রিক্সায়, এক্ষেত্রে বিদ্যুতের মুল্য বাবদ সরকার কতো টাকা পায় সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যাটারী চালিত রিক্সার ক্ষেত্রে দেশের ইঞ্জিনিয়াররা যদি সোলারের সাহায্যে টেকসই উদ্ভাবন আনতে পারে তাহলে বিদ্যুৎ সমস্যা অনেক কমে যাবে।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১২

নতুন বলেছেন: রবিন_২০২০ বলেছেন: একমত। বাড়ি ঘরে এমন সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে যেটা ব্যাটারী চার্জ করার পর বাড়তি ইলেকট্রিসিটি গ্রিডে সাপ্লাই দিবে। সরকার চাইলেই মিটার রিভার্স সিস্টেম করে বাড়তি ইলেকট্রিসিটি কিনে নিবে। এটা পশ্চিমা দুনিয়ায় একটা জনপ্রিয় পদ্ধতি।

নিজের ছাদে সোলার সিসটেম লাগিয়ে দিনের বেলায় নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে গ্রীডে বিক্রি করে, রাতে গ্রীড থেকে কেনার ব্যবস্থা করা দরকার।

এটা বিদেশে খুব ভালো চললে, আমাদের দেশেও ৮-৯ মাস খুবই ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারবে সবাই।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রকৃত বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.