![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মহাপরাক্রমশালী একক স্রষ্টার গোলাম ।সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমার সুদৃঢ় অবস্থান ।
১৭৯০ সালে ফ্রান্স তাদের সেনাবাহিনীর জন্য আলজেরিয়া থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই দেশের গম স্বাদে এবং পুষ্টিতে বিশ্বসেরা। তারা আলজেরিয়ান দুই ইহুদী ব্যবসায়ী বুসনাক এবং বাকরির সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি করে।
চুক্তি অনুযায়ী বুসনাক এবং বাকরি ফ্রান্সের চাহিদামতো গম রপ্তানি করতে থাকে। ফ্রান্স ক্রয়কৃত গমের মূল্যবাবদ অল্পকিছু দিয়ে বাকি টাকা বাকির খাতায় তুলে রাখে। এদিকে দুই ইহুদী ব্যবসায়ী গম রপ্তানি অব্যাহত রাখতে আলজেরীয় কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে ঋণ নেয়। ফ্রান্সের বাকি খাওয়ার বদ অভ্যাস বন্ধ না হওয়াই ব্যবসায়ীদের ঋণ নেওয়াও বন্ধ হয় নি। ১৭৯০ থেকে ১৮১৮, ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় মিলিয়ন মিলিয়ন ফ্রাঙ্কে।
১৮১৮ সালে ক্ষমতায় বসেন সুলতান হুসাইন দা'ঈ। শাসনভার বুঝে নেওয়ার প্রথম মুহূর্তেই তাঁর নজরে পড়ে সেই ঋণের পাহাড়। তিনি কাল বিলম্ব না করে বুসনাক এবং বাকরিকে দরবারে ডেকে আনেন।
ঋণ পরিশোধ করছো না কেন?
জাহাপনা! আমরা অপারগ। আমাদের কাছে সেই অর্থ নেই। ফ্রান্স আমাদের থেকে বাকিতে গম নেয়। বছরের পর বছর তারা গম আমদানি করলেও আমাদের টাকা পরিশোধ করে নি। বলেও লাভ হয় নি। যদি ফ্রান্স আমাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করে তবেই আমাদের রাষ্ট্রীয় ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব, অন্যথায় আমরা পারব না।
এরপর সুলতান রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে অনেক চেষ্টা তদবির করলেন ফ্রান্স থেকে বকেয়া তুলতে। ১৮২০ সালে ফ্রান্স আলজেরিয়ার সাথে একটি অর্থনৈতিক চুক্তিও স্বাক্ষর করে। তবে সেই চুক্তির সময় অপরিশোধিত ঋণের কথা তুললে তারা তা একবাক্যে নাকচ করে দেয়। বলে, সেই ঋণটা আমরা রাষ্ট্রের থেকে নিই নি। নিয়েছি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের থেকে। বোঝাপড়া তাদের সাথেই হবে, রাষ্ট্রের সাথে নয়।
এরপর কেটে গেল আরও ১০টি বছর। বিপুল পরিমাণ ঋণ আদায়ে হুসাইন দা'ঈ সবরকম প্রচেষ্টা চালান। কাজের কাম তেমন কিছুই হয় নি। তিনি বুঝতে পারলেন, আলজেরিয়া থেকে সম্পদ লুটপাটের এই ঋণ ফ্রান্সের হাতিয়ার মাত্র। আর সেই লুটপাটে তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করে দুই ইহুদী।
২৯ এপ্রিল, ১৮২৭। সুলতান হুসাইন দা'ঈ ফ্রান্সের দূত পিয়েরে ডেভালকে ডেকে চূড়ান্ত কিছু কথা বলতে চাইলেন। মিটিং শুরু হল। পিয়েরে ডেভাল সামনের চেয়ারে বসা। চলছিল কথাবার্তা। হুসাইন দা'ঈ সব ডকুমেন্ট পেশ করে বললেন, "এবার বলো, কোন যুক্তিতে তোমরা বকেয়া টাকা পরিশোধ করছো না?"
পিয়েরে ডেভাল লা-জবাব। উত্তর দেওয়ার মতো তেমন কিছুই নেই। তবে নতি স্বীকার করতেও অপ্রস্তুত। সেই অর্থনৈতিক বৈঠকে পিয়েরে ডেভাল সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম এবং মুহাম্মদ ﷺ-কে টেনে আনে। নবী মুহাম্মদ ﷺ-কে মারাত্মক বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেও বসে। সুলতান হুসানি দা'ঈ তা শুনে স্থির থাকতে পারলেন না। তাঁর ডান পার্শ্বে থাকা পাখপাখালির পালক দিয়ে তৈরী ঝাড়ু দিয়ে নাকেমুখে দিলেন বাড়ি। একটি নয়, দুটো নয়, পরপর তিনটি বাড়ি দিলেন। যেটি ইতিহাসে 'Fly whisk incident' নামে পরিচিত।
এই ঝাড়ুর বাড়ি খাওয়াকে ফ্রান্স সাংঘাতিক অবমাননাকর মনে করল। তারা আলজেরিয়া আক্রমণ এবং তা জয় করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সেখানে তারা গণহত্যা চালায়। ১.৫ মিলিয়ন মানুষ নির্বিচারে হত্যা করে। মাসজিদ, মাদ্রাসা, লাইব্রেরী পুড়ে ভস্মীভূত করে। স্কলার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে মরুভূমি অঞ্চলে নিয়ে গিয়ে লাইন ধরে শুইয়ে ধারালো ছুড়ি দিয়ে একের পর এক গলা কাটে৷ আর সেই মাথাগুলোই বিশেষ কায়দায় শুকিয়ে ফ্রান্সে নিয়ে যায়। এখনো ফ্রান্সের জাদুঘরে সেইসব মুক্তিকামী মানুষদের মাথার খুলি পাওয়া যায়।
এই ফ্রান্স হচ্ছে সেই ফ্রান্স যারা প্রথম থেকেই ডাকাতি করে মুসলিমদের সম্পত্তি ভাগিয়ে নিচ্ছে। এখনো সেই ডাকাতি চলমান। তাদের ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ এবং চুরিচামারির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা যখন আওয়াজ তুলে ঠিক তখনই তারা ইসলাম এবং নবী ﷺ-কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। এই জাত সন্ত্রাসীরাই ইসলামকে সন্ত্রাসবাদের ধর্ম বলে। তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণকারী কিছু উচ্ছৃঙ্খল দেশ, কিছু নরাধম ব্যক্তি তাদের পক্ষে থাকার ঘোষণা দেয়। একজোট হয়ে মুসলিদের বিরুদ্ধে লাগে। হ্যাশট্যাগ দিয়ে ম্যাক্রোঁর পাশে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে। এরা সবক'টি ডাকাত, ধর্ষক এবং সন্ত্রাসী। এদেরকে থামাতে পারলেই বিশ্বে শান্তি নেমে আসবে। শান্তির জন্য এদের টুঁটি চেপে ধরতেই হবে যদি আমরা সত্যিকার অর্থে শান্তিকামী হই।
এদের কপালে সকালবিকাল ঝাড়ুর বাড়ি না পড়লে এরা ঠিক হবে না। লাথি আর থুতুই ওরা ডিজার্ভ করে।
"হায়েনারা আসছে তেড়ে, পিছে ওদের চেলা
রক্ত নেয়ার মত্ত খেলায় কাটে যাদের বেলা !!
রক্ত নদে ভাসায় এরা খেল তামাশা ভেলা
মানব রুপি জানোয়ার সব ঐ পিশাচের চেলা !! "
#collected
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ওদের সবকিছু সভ্যতার দোহাই দিয়ে বৈধ হয়ে যায়, সাতখুন মাপ আর মুসলমান হলেই সব দোষ মুসলমানদের ।অথচ এই দুনিয়াতে যত বড় বড় অনাচার ও অবিচার হয়েছে তার বেশীরভাগগুলিই ই্উরোপিয়ানদের দ্বারাই সংগঠিত হয়েছে।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৭৯০ সালের দিকে ফ্রান্স আফ্রিকা চিনতো, আফ্রিকার অবস্হা বুঝে ওরা সেখানে কলোনী করেছিলো; একই সময়ে ইংরেজদের কলোনী ছিলো; আজকের ফ্রান্স, বৃটেন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: এতো বললেন,অতীতের কথা।
বর্তমান অবস্থা কি? অতীত নয় বর্তমান সময় টাই তো আসল।
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: /অর্থনৈতিক বৈঠকে ইসলাম এবং মুহাম্মদকে মারাত্মক বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করে বসে!
মিথ্যার সীমা থাকা দরকার।
ভুয়া বানোয়াট ছাগ-ফেবুকিও ল্যাবে তৈরি কাহিনী।
ইসলামের মহিমা বাড়াতে মিথ্যাও তৈরি করা লাগে?
ফ্রান্স ৩য় বিশ্বের কোন দেশ নহে।
ফ্রান্সের গম তেল সহ সব খাদ্য আনে/বেসরকারি আমদানি কারকরা, ফুড প্রসেসিং কোম্পানিরা। ব্যাংকের মাধ্যমে।
এসব রাষ্ট্রের কাজ না।
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪০
ফয়াদ খান বলেছেন: এটাতো বর্তমান সময়ের ঘটনা না!!১৮২৭ সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনা এটি!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
অধীতি বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম।