নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় স্বল্প। জীবনটা সব বুঝে শুনে বলার জন্যে অনেক ছোট ... তবুও , আধবোজা চোখ নিয়ে লিখে যাই। মহাকালের খাতায় খুব সামান্য কিছু লিখে যাবার চেষ্টায় আছি। খুব সামান্য কিছু... অতি ক্ষুদ্র কিছু। ইমেইল- [email protected] / ফেসবুক- www.facebook.com/fkrocky
ইতিহাস থেকে সব সময় শিক্ষা নিতে হয়। শাহবাগের প্রতিটা তরুণকে জানতে হবে
" কিভাবে একটা বিপ্লব সফল হয়"
"কিভাবে বিপ্লব সংঘাতের পথে যায়"
"কিভাবে বিপ্লব ভেস্তে যায়"
এসব জানতে হলে অবশ্যই আমাদের পূর্ববর্তীদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।আর,
★—▀▀দেয়াল হতে পারে সেই হাতিয়ার▀▀—★
দেয়াল।বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে লিখিত একটি অসামান্য বই।এ উপন্যাসের পটভূমি ১৯৭৫ সালে ঘটা বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং তার পরবর্তী সহিংসতা।এটি, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক হুমায়ূন আহমেদের শেষ উপন্যাস।আজকের তরুন প্রজন্মরা জানে না সেদিন কি হয়েছিলো।বাংলার ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সেই দুঃস্বপ্নের ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা অনেকেই জানে না।তরুণ প্রজন্মের কাছে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে তাঁর অসামান্য কলমের লেখনীতে। "ইতিহাসের দায়মুক্তি" হিসেবে বইটিকে আখ্যা দেয়া হয়। এই পোস্টে তুলে ধরা হলো বইটির সংক্ষিপ্ত রিভিউ(ডাউনলোড লিঙ্ক সহ)।
উপন্যাসটি প্রায় ২০০ পাতার।দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এই বইটি পড়া অতি আবশ্যক।সেসময় যুদ্ধপরবর্তী দেশ পার করছিলো এক চরম ক্রান্তিকাল।দেশের কোন দায়িত্ববান নাগরিক সেই দুঃসহ দিনগুলোর কথা না জেনে থাকতে পারে না।তোমরাও থাকতে পা্রো না।
বিতর্কঃ
প্রথমেই বলে নিই।এটি একটি অসমাপ্ত উপন্যাস।হুমায়ূন আহমেদ এর ভূমিকাটাও লিখে যেতে পারেন নি। তাছাড়া প্রথম আলো পত্রিকায় দুই অনুচ্ছেদ প্রকাশিত হবার পর ব্যাপারটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।এছাড়াও এটি বহু বিতর্কের জন্ম দেয়। এসব দিক বিবেচনা করে বলা যায় " এটি একটি বিতর্কিত উপন্যাস " ।
বিতর্কের জবাবে বলতে চাই > "পৃথিবীতে কেউ সাধু নয় , তবে সবাই সাধু সাজতে চায় " দেয়ালের কথা গুলো আওয়ামীলীগের বিপক্ষে গেলে আওয়ামীলীগ মামলা ঠুকবে, আর বিএনপির বিপক্ষে গেলে বিএনপি মামলা ঠুকবে।
আর একটা কথা বলি > দেয়ালে হুমায়ূন আহমেদ যেমনি প্রচ্ছন্ন ভাবে বঙ্গবন্ধুর বাকশাল এর সমালোচনা করেছ্নি,তেমনি জিয়াউর রহমানের তাহের হত্যার কথাও বলেছেন ।
আবার বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ ব্যক্তিত্যের কথা বলে যেমন তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন,তেমনি জিয়াউর রহমানের অসাধারণ সততার কথাও উল্লেখ করেছেন।
এককথায়,আমি বলতে চাই" হুমায়ূন আহমেদ যথাসম্ভব নিরপেক্ষ থেকে চেষ্টা করে গেছেন।কিন্তু,সেটাও হয়ত পুরাপুরি সম্ভব হয়নি।তিনি খন্দকার মোস্তাককে প্রায় নির্দোষী ভাবে উপস্থাপন করেছেন। যাই হোক,সত্যের সাথেই তো মিথ্যা থাকে।অসুন্দরকে না দেখলে কখনো সুন্দরকে চেনা যায় না।
ঘটনাঃ
উপন্যাসের ঘটনা শুরু হয় শফিক আর অবন্তীকে নিয়ে।অবন্তী ঢাকায় তার দাদা সরফরাজ খানের সাথে থাকেন। খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল তাহের তাদের পারিবারিক বন্ধু।অবন্তীর মা স্পেনে থাকেন।তিনি একজন নর্তকী।তার বাবা নিরুদ্দেশ থাকলেও শেষ দিকে এসে তার খোঁজ পাওয়া যায় । গল্পের নায়ক শফিক একজন ভবঘুরে যুবক।মানে, হিমু নীতি আর কি।ঢাকা শহরে টিওশনি করে। সে অবন্তীর বাসায় প্রাইভেট পড়ায় ।এছাড়া চরিত্র হিসেবে আসে রাধানাথ বাবু।শফিক রাধানাথ বাবুর বিশেষ স্নেহভাজন ছিল।রাধানাথ বাবু আদর্শ লিপি প্রেসের মালিক ছিলেন।তার, ইন্ডিয়ান কূটনৈতিকদের সাথে ভাল পরিচয় ছিল।মৃত্যুর পর তিনি তার সব সম্পত্তি গল্পের নায়ক শফিককে দিয়ে যান।তিনি খন্দকার মোশতাক কে একটা একটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন যার শেষ বাক্য ছিল "সকলকে তাঁর মুদ্রায় হিসাব দিতে হয়"।আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল "হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখায় আস্তিকতার পরিচয় রেখেছেন।"হুমায়ূন আহমেদের প্রায় প্রতিটা উপন্যাসে এমন একটা চরিত্র থাকে ,যে কিনা নাস্তিক জাতীয়।ধর্মের বিপরীতে কিছু যুক্তি দাড়া করায়।কিন্তু এই উপন্যাসে তিনি হাফেজ জাহাঙ্গীর নামে একজনকে প্রায় মহামানব পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।এছাড়াও, তিনি ধর্ম নিয়ে একটু বেশিই লিখেছেন(অন্যান্যগুলোর তুলনায়)। উপন্যাসের একমাত্র নাস্তিক চরিত্র অবন্তীর বাবাকেও শেষমুহুর্তে দেখা যায় আস্তিক হয়ে যেতে।মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে লিখছিলেন দেখে হয়তো তাঁর এই পরিবর্তন।
উপরের কিছু চরিত্র বাস্তব।এমনকি, অবন্তী আর শফিকও।শফিক হুমায়ূন আহমেদের পূর্ব পরিচিত।আর শফিকের হাত ধরেই হুমায়ূন আহমেদের সাথে অবন্তীর পরিচয়।রাধানাথ বাবুও বাস্তব।
তিনি তার রাজনৈতিক এই উপন্যাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন।যেমন বঙ্গবন্ধুর হাতে সবসময় পাইপ থাকতো।তার সবচেয়ে প্রিয় তামাক ছিল এরিন মোর।তাঁর আশ্চর্য রকমের মিশুক স্বভাব ছিল।তিনি যে কার সঙ্গে, যে কোন পরিস্থিতিতে মিশতে পারতেন।তিনি আশ্চর্য রকমের সহজ সরল ছিলেন। RAW এর কাও বারবার তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলো যে আপনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে ।কিন্তু , তিনি তা কোনমতেই বিশ্বাস করেননি। তিনি উল্টো বলেছিলেন, তারা আমার সন্তানসম।উল্টো তিনি তাদের উপরই বিরক্ত হয়েছিলেন।
তবে ,তিনি তাঁর আওয়ামীলীগ কর্মীদের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন।উপন্যাসের একটি কথোপকথনে এর প্রমাণ দেখা যায়।
বঙ্গবন্ধু তাঁর এক আওয়ামীলীগ কর্মীকে বলছেনঃ
"রিলিফের কম্বল কি পেয়েছিস?
জে-না।
কোটি কোটি রিলিফের কম্বল এসেছে, আর তুই পাস নাই! আমার চারপাশে আছে চাইট্যা খাওয়ার দল।রিলিফের সব কম্বল এরাই চেটে খেয়ে ফেলেছে।তুই আর কি পাবি?যাই হোক,আমি বলে দিচ্ছি দুটো ভাল কম্বল যেন পাস।"
আবার উপন্যাসের একটা অংশতে দেখা যায় রাধানাথ বাবুর সাথে বঙ্গবন্ধুর কথোপকথন,যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুকে খন্দকার মোশতাক সম্পর্কে সাবধান করছেনঃ
"খন্দকার মোশতাক বিষয়ে আপনাকে সাবধান করতে এসেছি।ইনি চেষ্টায় আছেন আপনাকে সরিয়ে পাকিস্তানের সাথে ফেডারেশন জাতীয় কিছু করার।
বঙ্গবন্ধু বিরক্ত গলায় বললেন, খন্দকার মোশতাককে আপনি চিনেন না। আমি চিনি ।আমি যদি তাকে বলি, একমাস ঘাস খেতে হবে, সে দুমাস ঘাস খাবে।"
কিন্তু ,এরাই করেছিল বিশ্বাসঘাতকতা।কি আজব মানুষ। মানুষ কিভাবে পারে এত নিষ্ঠুর হতে।বঙ্গবন্ধু আর খন্দকার মোশতাককে নিয়ে একটা গল্প আছে যেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন "আল্লাহ্ যদি আমাকে সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কে কুরবানি দিতে বলতো তাহলে আমি মোশতাককে কোরবানি দিতাম"। সেই খন্দকার মোশতাক ,১৫ই আগস্ট ১১.৪০ মিনিটে ক্ষমতা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশের সূর্য সন্তান হিসেবে আখ্যায়িত করেন।কি সেলুকাস!
বঙ্গবন্ধুর একটা রাজনৈতিক ভুল ছিল । সেটি হল বাকশাল।দেয়ালে হুমায়ূন আহমেদ নিজে বাকশালে যোগদান না করার কথা বলছেন।তাছাড়া ,শেখ মুজিব সেনাবাহিনী কে ব্যাক ফুটে রাখতে চাইতেন।সেজন্য গঠন করেছিলেন রক্ষীবাহিনী ।দেয়ালে হুমায়ূন আহমেদ রক্ষীবাহিনীর চরম নির্যাতনের কথাও বলেছেন। রক্ষীবাহিনীর লোকজন হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ এর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের সপরিবারে রাতের বেলা বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার কথা বলেছেন্।১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষও জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ জন্ম দিয়েছিলো।আর,সবার উপরে বড় কথা "একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের লক্ষ সমস্যা থাকবেই"।
মুজিব হত্যা দেশের জন্য একটি অভিশাপ।১৫ই আগস্ট মেজর ফারুকের জন্মদিন ছিল তাই সেইদিনকেই তারা বেছে নিয়েছিলো।এরপর, খন্দকার মোশতাক দেশের প্রেসিডেন্ট হন।মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন।কিন্তু এরই মাঝে তিনি জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেন। এরপর তাকে উৎখাত করে খালেদ মোশাররফ।কিন্তু বীরউত্তম খালেদ মোশাররফও মাত্র তিনদিন ক্ষমতায় থেকে ৭ই নভেম্বর কর্নেল তাহেরের নেতৃতে সিপাহি বিপ্লব আন্দোলনে নির্মম মৃত্যুর শিকার হন। সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়।কর্নেল তাহের জিয়াউর রহমানের বন্ধু ছিলেন।কিন্তু সেই কর্নেল তাহেরকেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে জিয়া হত্যা করেন।
দেয়ালে কর্নেল তাহেরর ফাঁসির আবেগ ঘন বর্ণনা দেয়া হয়।সে জায়গায় বলা হয় এই অংশটুকু পড়লে কোনো বাংলাদেশির পক্ষে অশ্রু রোধ করা সম্ভব হবে না। সে চিঠিতে দেখা যায় ফাঁসির আগে মৌলভী তাকে তওবা পড়াতে আসলে তিনি বলেন
" তোমাদের সমাজের পাপাচার আমাকে স্পর্শ করতে পারে নি।আমি কখনো পাপকর্মের সাথে জড়িত ছিলাম না।আমি নিষ্পাপ।"
জিয়াউর রহমান কর্নেল ফারুক এর ঘটাতে চাওয়া পরবর্তী অভ্যুথান সফলভাবে প্রতিরোধ করেন।কিন্তু এরজন্য কঠোর নীতি অনুসরণ করেন।সরকারি হিসাব মতে তিনি ১১৪৩ জন সৈনিক ও অফিসারকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলান। হায় রে হায় ...। তিনি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকেও দেশে ফিরিয়ে আনেন।
তবে জিয়াউর রহমানের সফলতাও অনেক ছিল।তিনি দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরেন।দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।বহুদলীয় রাজনীতি চালু করেছিলেন।বিখ্যাত খাল কাটা প্রকল্প হাতে নিয়ে জন মানুষের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন অসম্ভব সৎ। দেয়ালে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেনঃ
''জিয়া মানুষটা সৎ ছিলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। লোক দেখানো সৎ না।আসলেই সৎ।তাঁর মৃত্যুর পর দেখা গেল জিয়া পরিবারের কোনো সঞ্চয় নেই।''
জিয়াউর রহমানের অনেক সততার গল্পও তিনি দেয়ালে উল্লেখ করেছেন।বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
৩০শে মে রাতে তিনি তাঁর বিশ্বস্ত জেনারেল এম এ মঞ্জুর এর পরিকল্পনায় নিহত হন।সেইসময় তিনি চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে অবস্থান করছিলেন ।তাঁর মৃত্যুর পর দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জানাজা পড়ানো হয়।
যাই হোক, দেয়াল দেশের ইতিহাসকে যতটা সম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।প্রত্যেক সচেতন মানুষেরই দেশের ইতিহাস জানতে হয়।আপনারাও তার ব্যাতিক্রম হতে পারেন না।আমি যতটা সম্ভব গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।জানি না কতটুকু সফল হয়েছি।তবে এইটুকুই জানি এই পোস্টের জন্য আমাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে।আপনাদের পূর্ণতায়ই আমার সার্থকতা।নিচে ডাউনলোড লিঙ্ক দেয়া হল।
দেয়াল ডাউনলোড ▀▀▀ডাউনলোড▀
বিডি আইডল এর আপলোডেড মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্কঃ ▀ডাউনলোড▀
সম্ভব হলে বইটি কিনে পড়ুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃউপরের সকল তথ্যই দেয়াল থেকে নেয়া হয়েছে , লেখকের ব্যক্তিগত কোন মতামত দেয়া হয় নাই।কোন তথ্যের জন্য লেখক কোনোঅবস্থাতেই দায়ী থাকবেন না।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: ধন্যবাদ।আমার বিবেচনায় এটি একটি সাড়া জাগানো উপন্যাস।
আপনার মতো লাখো পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে এই বই।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
অদৃশ্য বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ... বইটির কিছুটা এখানে শেয়ার করবার জন্য...
বইটি অবশ্যই সংগ্রহে রাখবো... বইটা আস্তে ধীরে পড়তে হবে..
দেয়ালে হুমায়ূন আহমেদ যা যা লিখেছিলেন সবই ছাপানো হয়েছে নাকি কিছুটা বাদ ছাদ দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে ?... এ ব্যপারে কিছু জানেন কি ?
শুভকামনা...
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। বইটি পড়া খুবই জরুরী। তবে বইটি ২ বার পড়া উচিৎ। প্রথম বার রস আস্বাদন করতে।পরের বার ঘটনাকে ভাল ভাবে বুঝতে।
আর আমার জানা মতে, বইটির সম্পূর্ণ অংশই ছাপানো হয়েছে।অন্তত ,ভূমিকা তো তাই বলে।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
রাজীব বলেছেন: সবটুকু পড়ার আগেই কমেন্ট করলাম।
আপনি লিখেছেন
তিনি খন্দকার মোস্তাককে প্রায় নির্দোষী ভাবে উপস্থাপন করেছেন
তিনি কিন্তু কোথাও তাকে নির্দোশ বলেন নি। বরং তার অনেক দোষ বুঝাতে চেয়েছে। উপন্যাসটি আবার পড়েন একটু খেয়াল করে।
অনেক অনেক রক্তারক্তির পিছনের লোক এই মোস্তাক।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: পুরো টুকু পড়লে হয়ত ব্যাপারটা ক্লিয়ার হতো।
আমি প্রথম দিকে ওইটা লিখলেও পড়ে ঘটনা ঘুরিয়েছি।আপনার কাছে ইবুক ভার্সন থাকলে...৬২ ও ৬৩ পাতাটা পড়ে দেখুন।
ওই পাতায় মেজর রশিদ বলছেন"দেশের মহা বিপদে কি আমরা আপনাকে পাবো।" ওইখানে্,দেখা যায় খন্দকার মোশতাক প্রশ্ন টাকে এড়িয়ে যায়।
কিন্তু,ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে।
আবার, ১০৯ পাতার এই স্ক্রীনশট দেখেন>
ভাবটা এমন যে খন্দকার মোশতাক হত্যার কিছুই জানেন না।
এরপর আরেক জায়গায় তিনি নিজেকে অক্ষম হিসেবে পরিচয় দেন(শফিকের কাছ থেকে চিঠি নেবার সময়) ।
তবে পোস্ট টা পুরো পড়লে দেখতে পাবেন্, , হুমায়ূন আহমেদ তার দোষও তুলে ধরেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
প্যাপিলন বলেছেন: প্রিন্টেড ইতিহাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্যপ্রোনদিত হয়ে থাকে, কাজেই সময়ে অবস্থাকালীন মানুষের অভিজ্ঞতাই বিশ্বস্ত ইতিহাস। সে হিসেবে দেয়াল উপন্যাসের সময়কালীন জীবিত যেসব মানুষের কাছ থেকে সেসময়ের ঘটনা জেনেছি তার সাথে দেয়ালে বর্ণিত কাহীনির ১০০ ভাগ মিল আছে। তবে সুনীলের সেইসময়, প্রথম আলো বা পুর্ব পশ্চিমের মতোই দেয়াল বৃহত আকারের হতে পারতো। এখন দেয়ালকে অসম্পূর্ণ মনে হয়। পরীক্ষার শেষ দশমিনিটে যেমন কোন রকমে সব কিছু ঠিক রেখে লেখা শেষ করতে হয় হুমায়ুন তেমনি দ্রুত শেষ করে ফেলেছেন। আর আদালতের নির্দেশনায় একজন লেখকের লেখা নির্ধারন করে দেয়াটাও দেয়ালে মনে হয় প্রভাব ফেলেছে। একজন লেখক যদি মনে করে তিনি সত্য যা দেখেছেন জেনেছেন তাই লিখবেন তবে তাই লেখা উচিত। পাঠকের কাছে তা গ্রহনযোগ্য হলে গ্রহণ করবে, বা অগ্রহণযোগ্য হলে তা প্রত্যাখ্যান করবে, আদালতের কাছে তা অগ্রহনযোগ্য হলে বাজেয়াপ্ত করবে বা লেখককে শাস্তি দিবে। আমার কাছে মনে হয় স্বাধীনভাবে হুমায়ুন আহমেদ দেয়াল শেষ করতে পারেননি।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আমিও আপনার সাথে শতভাগ একমত।আদালতের জবরদস্তি লেখাতে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে।
আর,বড় দুঃখের বিষয় বইটা লেখা শেষ হয় নাই।অসমাপ্ত ,বই থেকে কিছু বিচার বিবেচনা করাও কঠিন।
আপনাকে ধন্যবাদ- আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
রাজীব বলেছেন: বইটি পড়ে আমার প্রথম যে অনুভুতি হয়েছে সেটি হলো:
"মাঝে মাঝে হিন্দি সিনেমার হল প্রিন্ট দেখা যায়, যেটি হল থেকে ভিডিও করা। সেসব সিনেমায় কোন ছবি স্পস্ট দেখা যায় না। আবার ৩ ঘন্টার সিনেমা ২ ঘন্টায় শেষ হয়ে যায়।"
দেয়াল উপন্যাসটিও সেরকম। আমার মনে হয় এটি অসমাপ্ত এবং সেন্সরড ভার্সন।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আসলেই।আপনার উপমাটা সুন্দর হইছে।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: অসাধারণ একটা উপন্যাস 'দেয়াল'। আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদের অন্যতম সেরা উপন্যাস এটি.
অনেক কিছু জানার আছে।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: অবশ্যই, ইতিহাস থেকে সব সময় শিক্ষা নিতে হয়। শাহবাগের প্রতিটা তরুণকে জানতে হবে
" কিভাবে একটা বিপ্লব সফল হয়"
"কিভাবে বিপ্লব সংঘাতের পথে যায়"
"কিভাবে বিপ্লব ভেস্তে যায়"
এসব জানতে হলে অবশ্যই আমাদের পূর্ববর্তীদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।আর,
দেয়াল হতে পারে সেই হাতিয়ার
৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
মাইরের উপ্রে ঔষধ নাই বলেছেন: লোড কইরা লইলাম
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: লোড করে নেন।কারন_ জানার উপ্রে কোনো ওষুধ নাই।
৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
টুনা বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০১
আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: দেয়ালের খন্ডাংশ প্রকাশ পাওয়ার পরই পড়ে ফেলি। অবশেষে সম্পুর্ণ দেয়াল পাওয়ার পর পরই অনলাইন টা দ্রুতই পড়ে ফেলেছি।
হুমায়ুন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসের মত এটিও ভাল লেগেছে যথেস্ট।
রিভিউ লেখার চিন্তাও করেছিলাম। সময়ের অভাবে হয়ে ওঠেনি।
অনেক ভালো লিখেছেন।
কর্ণেল তাহের এর ফাঁসিতে অনেক কস্ট পেয়েছি। বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াকে মুক্ত করে আবার তার হুকুমেই মৃত্যু। আফসোস!
অনেক আগের ইতিহাস থেকেই দেখছি ক্ষমতাবানরা বিপ্লবীদের কখনই শান্তিতে থাকতে দেয়নি।
বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।
কাউকে ভালবাসার অপরাধে যত মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে, ঘৃণা করার জন্যও তা হয়নি। বিশেষ করে দেশকে ভালবাসার জন্য।
দেয়ালে আরও একটা জিনিস দেখলাম। সোনার বাংলার ক্ষমতা যার হাতেই পরেছে সেই আইনকে নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করেছে।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আপনার কথা গুলো আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেলো।
রিভিউ লেখতে আসলে আমার ভয়ানক কষ্ট হয়েছে...
কালকে রাত ৩টা পর্যন্ত লিখেছি ...।।
তবে আপনাদের ভাল লাগাতেই আমার সার্থকতা।
কাউকে ভালবাসার অপরাধে যত মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে, ঘৃণা করার জন্যও তা হয়নি।>আপনার এই কথাটি আমার মারাত্মক ভাল লেগেছে।
রাজনীতির মুদ্রার অপর পৃষ্ঠে থাকে বিশ্বাসঘাতকতা।ক্ষমতার জন্য মানুষ কিনা করতে পারে। তার উদাহরণ রাজনীতি।
যা হোক, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১০| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
অপু তানভীর বলেছেন: বলতে পারেন স্যারের লেখার একজন ভক্ত আমি ! বড় একজন ভক্ত !! তার প্রতিটা লেখা আমার পড়া ! একবার করে না ! কয়েকবার করে ! স্যারের লেখা প্রতিটা উপন্যাসের প্রতিটা লাইনের সাথে আমি পরিচিত ! যদিও স্যারের সমালোচনা করার যোগ্যতা আমার নাই তবুও তার অন্যান্য পড়ার আলোকে বলতেছি যে নিঃসন্দেহে দেয়াল ভাল উপন্যাস কিন্তু তার অন্যান্য লেখার তুলনায় সেটা আমার কাছে ততটা মনপূতঃ হয় নি ! অন্যান্য লেখা গুলোর তুলনায় মনে হয় নি যে দেয়াল সেরা উপন্যাস !
সব চেয়ে যেটা খারাপ লেগেছে তাড়াহুড়া ভাব টা ! ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে আরো বিস্তারিত বর্ননার প্রযোজন ! না হলে কেমন একটা ঘোলাটে ভাব থেকে যায় !
আর সব থেকে বড় কথা হল শেষের দিকে কেন জানি মনে হয় নি এটা স্যারের লেখা ! মনে হয়েছে যেন অন্য কেউ লিখে দিয়েছে !
আমার নিজেরও এমন একটা রিভিও লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আপনি লিখে দিয়েছেন তাই আর লিখলাম না !
ভাল থাকবেন !!
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: লেখাটাতে আধাখাচড়া একটা ভাব আছে......যেটা অনেক পাঠকেরই ভাল লাগার কথা না।
শেষ দিকের লেখার মধ্যে একটা কাঁটা কাঁটা ভাব আছে। ওইটুকুতে আমারও আপনার মতো সন্দেহ হইছে যে লেখাটা হিমু স্রষ্টার না।
১১| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
নস্টালজিক বলেছেন: দেয়াল আশাহত করসে!
আমার মনে হইসে আদালতের নির্দেশে লেখা কাটছাট করার ব্যপারটায় শেষপর্যন্ত আগ্রহ হারিয়ে ফেলসিলেন প্রিয় লেখক! শেষটা বিস্ময়করভাবে বাজে! এই জায়গায় একজন নভিশ গল্পকারও শেষ করে না!
শুভেচ্ছা আপনাকে!
১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: ফিনিশিং ইজ ফিনিশিং।
সব ভাল তার , শেষ ভাল যার।
আসলে, তাঁর মনের অবস্থাটাও দেখতে হবে।মনের ভিতর সর্বদা মৃত্যু চিন্তা থাকলে , যে কার পক্ষেই যে কোন কিছু করাই কষ্টকর।
১২| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
M R Rana বলেছেন: "রিলিফের কম্বল কি পেয়েছিস?
জে-না।
কোটি কোটি রিলিফের কম্বল এসেছে, আর তুই পাস নাই! আমার চারপাশে আছে চাইট্যা খাওয়ার দল।রিলিফের সব কম্বল এরাই চেটে খেয়ে ফেলেছে।তুই আর কি পাবি?যাই হোক,আমি বলে দিচ্ছি দুটো ভাল কম্বল যেন পাস।"
১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: ওরাই ডুবাইছে মুজিবকে...
১৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: মুজিব হত্যার কাহিনি নিয়ে নির্মিত এই মুভিটি দেখছেন নাকি কেউ?
http://www.youtube.com/watch?v=OlAvECgckEo
১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: না তো !!!!
দেখতে হবে তো। লিঙ্কের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: ভাল লাগলো.....পোষ্টে প্লাস+++++
উপস্থাপনা প্রশংসনীয়....।
ধন্যবাদ
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনাদের ভাল লাগলেই আমার সার্থকতা।
১৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৭
দুঃখ বিলাসি বলেছেন: পোষ্টে প্লাস
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
১৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৪
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আমি অপু তানভীরের সাথে সম্পূর্ণ একমত। যদি আরও বিস্তারিত হত মধ্যাহ্ন কিংবা বাদশাহ নামদারের মত তাহলে অনেক ভাল হত।
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: মধ্যাহ্ন কিংবা বাদশাহ নামদার...... যেসব প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে। তার চাইতে এটা আরও জরুরী এবং সংবেদনশীল। তাই, আমরা এগুলোর চাইতে আরও ভাল লেখা আশা করেছিলাম। কিন্তু, হল বিপরীত।
যা হোক, আপনার বিশ্লেষণের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
১৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৫
কাউসার রুশো বলেছেন: বইটা ভালো তবে হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে আরো বেশি কিছূ প্রত্যাশা ছিলো
আপনার রিভিউ ভালো হয়েছে
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১০
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: প্রত্যাশা আকাশচুম্বী করে কি করবেন। তিনিও তো একজন মানুষ । জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বসে তিনি তাঁর লেখার স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি একজায়গায় লিখেছিলেন " গোদের উপর ক্যানসার"।মানে,তার মাথায় সর্বক্ষণ মৃত্যু চিন্তা। তিনি তাঁর স্বভাবের বিপরীতে যেয়ে অতিরিক্ত আস্তিকতার প্রদর্শন করেছেন। আরও বড় কথা বইটি শেষও করতে পারেন নি।সব মিলিয়ে প্রত্যাশার কাঁটা ১০০ ছুতে পারেনি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
রাজীব বলেছেন: ৭৫ এর পরবর্তী ঘটনাগুলো উনি একটি লাইনে খুব ভাল ভাবে লিখেছেন;
"দুখীনি বাংলার প্রদ্বীপসম সন্তানগুলো একে একে নিভে যেতে লাগলো"
আসলেই যারা ছিল দেশের শ্রে্ষ্ঠ সন্তান তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে একে একে চলে গেলো। অথচ এরা একসাথে চেস্টা করলে আমাদের দেশটি আজকে হয়ত অন্যরকম হতো।
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: ওই লাইনটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।পুরো , বইয়ের সারাংশ হল এই লাইন।
আপনি দেখবেন খালেদ মোশাররফ একজন বীর উত্তম । কর্নেল তাহেরও একজন বীর উত্তম।কর্নেল তাহেরের সার্টিফিকেটে লেখা ছিল এই যোদ্ধা পৃথিবীর যেকোনো যুদ্ধের জন্য উপযোগী। এই অসাধারণ ব্যক্তিত্যের মানুষটাকে হুমায়ূন আহমেদ মহাবীর আখ্যায়িত করেছেন।তাদের মেধা, বুদ্ধি ,সাহস সবই ছিল। কিন্তু তারা চলে গেলেন অসময়ে, অযাচিতভাবে।
দুখিনী বাংলা আরও দুখিনী হবে, এ যেন
নিয়তির মত নির্ভুল ।
১৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার রিভিউ ভালো হয়েছে
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম।আপনাদের ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ, আপনাকে।
২০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৩
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: পোস্টে প্লাস।
লিন্ত এখনি ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে দেয়ার জন্য মাইনাস।
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২১
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: প্লাস এর জন্য ধন্যবাদ......
লিঙ্ক দিলাম যাতে সবাই পড়তে পারে।লিঙ্ক না দিলে পোস্টই অসমাপ্ত থেকে যেত।
ভাল থাকবেন।
২১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩১
কোমলমতি বলেছেন: এইটা অসম্পূর্ণ উপন্যাস। তাই শেষ টা হয়ত খাপ ছাড়া লাগছে । আর খোন্দকার মস্তাক কে কখনই নির্দোষ বলার চেষ্টা করা হয়নাই। বইটা আরেক বার পড়ুন, না বুঝতে পারলে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের লিখা ভুমিকা টা পড়ুন
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আমি বইটি বারবার পড়েছি ।
আপনি হয়ত পুরো পোস্ট পড়েননি।
আপনার প্রশ্নের উত্তর ৩ নং কমেন্টের জবাবে দেওয়া আছে ...
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: অসাধারণ একটা উপন্যাস 'দেয়াল'। আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদের অন্যতম সেরা উপন্যাস এটি.