নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় স্বল্প। জীবনটা সব বুঝে শুনে বলার জন্যে অনেক ছোট ... তবুও , আধবোজা চোখ নিয়ে লিখে যাই। মহাকালের খাতায় খুব সামান্য কিছু লিখে যাবার চেষ্টায় আছি। খুব সামান্য কিছু... অতি ক্ষুদ্র কিছু। ইমেইল- [email protected] / ফেসবুক- www.facebook.com/fkrocky
আচ্ছা , আমাদের জীবনের মূল্য কতটুকু।৭০০ কোটি মানুষের একটা ক্ষুদ্র গ্রহের প্রাণী । আপনার অস্তিত্ব কত কত ক্ষুদ্র আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।সামান্য একটা সূর্যের নিচে থাকা প্রাণী।মিলিওন মিলিওন সূর্যের মতো সূর্য আছে।সে তুলনায় তো সূর্য নিছক একটা চিনির দানার মতো।আরও , শুনলাম – মহাবিশ্ব নাকি একটা না , অগণিত।পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ এসেছে ( সম্ভবত ১৫ হাজার কোটি -শুরু থেকে)।তাদের কয়জনের কথা আমরা জানি।আপনি যতই বিখ্যাত কিংবা যতই অখ্যাত হোন না কেন – আপনার পরিণতি সুনির্দিষ্ট।নিয়তির মতো নির্ভুল – যা আপনি খণ্ডাতে পারেন না।
মহাবিশ্বের তুলনায় আমরা অতন্ত্য ক্ষুদ্র।আপনার আমার মৃত্যুতে কিছু আসে যায় না।একটা পিঁপড়া যেমন পায়ের তলায় পিষে যায় , আপনার মৃত্যুর দাম তার চাইতে খুব একটা বেশি হবার কথা না। আপনি মারা যেতে পারেন – কোন সুন্দর বিকেলে কিংবা ঘুটঘুটে অন্ধকার অ্যামবুলেন্স এর ভিতরে।কার কিছু এসে যায় না।আপনার বাবা-মা অনেক কাঁদবে।আপনার বউটিও অনেক কাঁদবে।১/২ বছর পর সব শেষ।আপনার বউ ব্যাঙ্কের ফর্মে অবলীলায় আপনার নামের আগে মরহুম লিখবে।ক্লাসটিচার যখন আপনার ছেলেকে বলবে , তোমার বাবার নাম কি।ছেলে কপট দুঃখের সাথে উত্তর দিবে- আমার বাবা নেই।স্যার দুঃখিত হওয়ার ভান করে – ও আচ্ছা ঠিক আছে।ছেলেও একটা করুন মুখের অভিনয় করবে এবং বসে পড়বে।শেষ।সব শেষ।
জীবন আসলে কিছুই না। যতদিন বেঁচে আছেন , থাকুন । নাস্তিক হলেই তো কথাই নেই।আর আস্তিক হলেও এক জীবনে যত অপরাধ করেছেন – জান্নাতে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।দোজখের লেলিহান আগুন আপনার অপেক্ষায় ব্যস্ত হয়ে বসে আছে।উচ্চাশার আগুনে পুড়ে ছারখার হয়েছেন – এ জীবনে।পরবর্তী জীবনটাই বা বাদ যাবে কেন?
তবুও আমরা বেঁচে আছি।কিভাবে কিভাবে যেন টিকে আছি।হয়ত , ঘরের মধ্যে শিশুটির নিরর্থক দৌড়াদৌড়ি দেখে , পার্থিব সফলতায় মায়ের হাসিমুখ দেখে , বাবার গোপনে চোখের পানি ফেলা দেখে , প্রেমিকার উচ্ছল কালো চুল দেখে কিংবা সকালের সেই শান্ত চেহারা , জোছনার অলৌকিক আলো দেখে।
অথবা মরে যেতে ইচ্ছে করে , নেশাগ্রস্থ ভায়ের টাকার জন্য পাতা দুটি হাত দেখে , বোনকে অন্য ছেলের হাত ধরে রমনা পার্কে দেখে , মায়ের অবিরাম কান্না , বাবার পেনশনের টাকা পাওয়ার জন্য শহরের নির্মম পিচডালা দুপুরের পথে হাঁটতে দেখে , প্রেমিকার বিয়ের বিশাল তোরণদ্বার দেখে।
তবু উজবুকের মতো বেঁচে থাকি আমরা।হাতঘড়িটা অবিরাম টিকটিক করে জানিয়ে দেয় – যে তোমার সময় শেষ হয়ে আসছে।হাতের জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে সবকিছু মুছে ফেলতে চাই , কিন্তু মুছে না।তাসের প্যাকেটে শান্তি খুঁজতে যাই – কিন্তু...
অবিশ্বাস্যভাবে যদিও টিকে যান।অনেক কষ্ট , অনেক কষ্ট পার করে বৃদ্ধ বয়সের সন্ধ্যাকালে এসে পৌঁছুবেন।ঠিকানা আপনার হতে পারে ওল্ডহোম।নিরন্তর , ওল্ডহোমের জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকবেন।সবুজ প্রকৃতি না, শহরের কৃপণ বিল্ডিং গুলির রংচঙে দেয়াল দেখবেন।তবুও তাকিয়ে থাকবেন।কিছু খুঁজবেন।আয়া এসে আপনার লবণাক্ত বালিশ নিয়ে যাবে।নির্বোধ আয়া, কখনই জানবে না , যে তার হাতের শত শত বালিশগুলি অগণিতবার চোখের পানিতে ধোওয়া।কিংবা আপনার জায়গা হতে পারে , ছেলের বাড়ি।বউমার প্রছন্ন চেহারা আপনি ধরতে পারবেন।রাতের বেলায় ছেলের সাথে ঝগড়া করবে –ঝগড়ার মাঝে আপনার নামও কয়েকবার শুনতে পাবেন।নপুংসক ছেলে এসে আপনার পেনশনের সব টাকা চাইবে- কিছুদিন পরে।এতকিছুর পরেও , খুঁজে খুঁজে পত্রিকার স্বাস্থ্য অংশ পড়বেন- কিভাবে শতবর্ষী হওয়া যায়।সিগারেট,চা কম কম খাবেন অনেকদিন বাঁচার জন্য।সকালবেলা পার্কে বাচ্চা ছেলে মেয়ের মতো দৌড়াদৌড়ি করবেন।যাতে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকেন।কি অপরিসীম নির্লজ্জতা!ছিঃ!
এত চেষ্টা করার পরও - কিছুদিন পর , সস্তামার্কিন কাপড়ে বেরিয়ে যাবেন ঘর থেকে।সকালে মৃত্যু , বিকালে অন্ধকার দরজা-জানালা বিহীন চিরস্থায়ী আবাসে।এরপর, কি হবে বলতে পারিনা।তবে, বলতে পারি কবরের উপর কিছুদিনপর নতুন কবর উঠবে। আপনার-আমার মতো , আরেক পরাজিত আহত যোদ্ধার।
এই হতে পারে আপনার , আমার জীবনের সাদা-কালো পেন্সিলে আঁকা নির্মম স্কেচ।নিয়তির মতো নির্ভুল হয়ে ফলে যেতে পারে আপনার-আমার জীবনে।এরই নাম জীবন।হতাশাবাদীর চোখের জীবন।অনেকেই এ জীবনে কোন আশার আলো খুঁজে পায় না।তবুও বাঁচতে চায়।প্রকৃতির কি নির্মম খেলা।কি অপরিসীম নির্লজ্জতা!ছিঃ!
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আসলেই দুখের ...
২| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
গান পাগলা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, চিন্তাও হচ্ছে।
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: চিন্তা না করে উপায় আছে...
৩| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
মেলবোর্ন বলেছেন: তবুও বাঁচতে চায়।প্রকৃতির কি নির্মম খেলা।কি অপরিসীম নির্লজ্জতা!ছিঃ!
এ নিলজ্জতা তাদের জন্য যারা বেচে থাকার অর্থ জানেনা আর যারা অর্থটা জানে তারা মরার আগে মরে না জীবনটাকে অন্যর মাঝে বিলিয়ে দেয় অন্যের সুখে মানুষের কল্যানে সে যা করছে বা করেগেছে সেটাই তার বাচার বা আরো বেচে থাকার উৎসাহ প্রেরনা কারন সে মুত্যকে ভয় পায় না মৃতুকে সে হাতে নিয়ে ঘুমায়। এরা আশাবাদীি এরা জানে
"যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়। "(67) সূরা আল মুলক (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত ২)
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আসলেই এই বোধটা জানানোর জন্যই লিখেছিলাম...
আল্লাহ্ এর রাস্তায় না থাকলে , হতাশাবোধ ই আমাদের সম্বল...
জীবন খুব ছোট।।
অপরের জন্য নিজেকে উৎসর্গ না করলে , আপনার জীবনটাই বৃথা...
কমেন্টে কুরআন শরিফের আয়াত দেখ খুবই ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ- আপনাকে।
৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: মৃত্যু- অমোঘ নিয়তি ।
অথচ এটা নিয়ে আমাদের ভাবনা সবচেয়ে কম ।
লেখা ভালো লাগলো++
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: এক মহিলা মারা গিয়েছে বিকাল ৫টায় , মাইকিং করে কবর দেওয়া হচ্ছে সন্ধ্যা ৭টায়।মানে কি?
২ ঘণ্টা আগেও আপনি থাকতে পারেন রঙের দুনিয়ায় এরপর যেতে পারেন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ...
ব্যবধান মাত্র দু ঘণ্টা।
আর এই জীবন নিয়েই আমাদের বড়াই...
হায়রে মানুষ , রঙ্গিন ফানুশ
দম ফুরাইলে ঠুস ...
৫| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ম্যাসেজটা আমরা সবাই ভুলে যাই তবে এটাই নিয়তি।
২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: খুব সত্যি কথা বললেন...
৬| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তু খুব ভাল।
২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: মৃত্যু নিয়ে যদি চিন্তা ভাবনা করেন - তাহলে দেখবেন অনেক কিছুই সহজ হয়ে আসছে।
----আমরা মৃত্যু নিয়ে ভাবিনা... ঘটনা এমন যে , খরগোশ যখন শিকারির হাতে ধরা পড়ে যাচ্ছে - তখন চোখ বন্ধ করে বসে খরগোশ ভাবল " আমাকে তো কেউ দেখছে না" ।
আমাদের অবস্থাও তেমন।মৃত্যু আমাদের নিয়তি - নির্ভুল নিয়তি।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন: