![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরআন বা সহীহ হাদিস এর কোথাও এবং বাইবেল এর কোথাও এরুপ কোন কথা নেই যে ‘টাই’ খ্রিস্টানদের প্রতীক। এমনকি খ্রিস্টানদের পাদ্রীরাও (ফাদার) ‘টাই’ পরিধান করে না। এতেই স্পষ্ট যে, ‘টাই’ খ্রিস্টানদের প্রতীক না। এছাড়াও ডাঃ যাকির নায়েক নিজেই বলেছেনঃ “কেও যদি প্রমান করতে পারেন যে ‘টাই’ খ্রিস্টানদের প্রতীক তাহলে আজকেই আমি ‘টাই’ পরা বন্ধ করে দিব” আর ‘টাই’ কে সোজা করে ধরে দেখুন ‘টাই’ ক্রুস এর মত নয়ে বরং সোজা লাঠির মত। কিন্তু একটি পাঞ্জাবী বা জুব্বা সোজা করে ধরে দেখুন
এটি ক্রুস এর মত। তাই বলে কি পাঞ্জাবী বা জুব্বা পরা হারাম? না, কখনোই না। আমি এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলি পারলে প্রমাণ করেন যে '"টাই খ্রিষ্টান দের প্রতীক" এ দাবীর পক্ষে কেউ কোন প্রমান দিতে পারেনি বরং উল্টো একজন আমাকে প্রশ্ন করেন "তাহলে কি ভাই ইসলামি পোশাক " আরেকজন প্রশ্ন করেন "মনে হয় ভাই সুন্নতি পোশাক "আরেকজন এক কথায় বলেন টাই পড়া যাবেনা!" আমি ভাবলাম একচেটিয়া আর একগুঁয়েভাবে মন্তব্য করা খুব সহজ আর অল্প সময়ই তা সম্ভব কিন্ত একটা বিষয়ে পড়াশোনা করে মন্তব্য করাটা একটু সময় সাপেক্ষ যে কষ্ট টা আমার বন্ধুরা করেছেন না আর গুগল মামা ও পর্যাপ্ত পরিমান তথ্যসহ কোন প্রবন্ধ বা ফিচার দিতে পারলনা যার ফলে আমিই উদ্দ্যোগ নিলাম
-শাব্দিক ও প্রচলিত অর্থে টাই, কেন ও কখন পড়া হয় টাই এর বাংলা আভিধানিক অর্থ যদিও গলা বন্ধনী। তথাপি এটাকে অনেকেই বিভিন্ন কিতাবি নামে ডাকে। টাই এর অন্যান্য বিভিন্ন অর্থ যেমনঃ বন্ধন, গিঁট, ফিতা, দড়ি, সরু দড়ি, সূত্র, ডোর, বন্ধনী, নিবন্ধ, নেকটাই,
কোঁচকা, পাশ, বাধ্যবাধকতা, নিবন্ধন, গ্রন্থি, খেলার পয়েন্ট অর্জন, নিয়ন্ত্রক বাধা! ইংরেজিতে Grade থেকে Graduate শব্দের উৎপত্তি,যার অর্থ হল ‘মানসম্মত’। সে অনুসারে যে ব্যক্তি ডিগ্রী পাস করবে, সে রাষ্ট্রের একটি মানসম্মত অবস্থানে পৌঁছুবে, যাকে বাহ্যিক
ভাবে নেক টাই পরিহিত অবস্থায় দেখেই চেনা যাবে। এই ছিল নেক টাইয়ের মুল রহস্য। যেমন একভাই ব্লগ লিখেছেন টাই পড়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য '( আজ আমার অনার্স এর রেজাল্ট প্রকাশ হইছে.. ডেসটিনি না কইরাও আজ থেকে আমি টাই পরার যোগ্যতা অর্জন কইরা ফালাইছি... Click This Link
বর্তমানে টাই হল আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিক শিক্ষা সনদের বাহ্যিক প্রকাশ। ইংরেজ-গন যখন এ দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন,
তখন থেকেই আমাদের উপমহাদেশে তাদের সকল পদ্ধতি অনুসরণ চলতে থাকে। আর তাদের শিক্ষার সনদের অনুসরনেই টাই ব্যবহার শুরু হয়; যদিও বর্তমানে টাই যেখানে- সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিগ্রী বা গ্র্যাজুয়েটের নিচে শিক্ষা অর্জন কারী ব্যক্তি কখনোই টাই পড়ার অধিকার রাখে না। যদিও বর্তমানে বাসার বা অফিসের দারোয়ানকেও টাই পড়া অবস্থায় দেখা যায়। এর পিছনে মূল কারণ হল,
কিছু লোক হটাৎ করে অর্থের মালিক হয়ে কোট-টাই ব্যবহার করা শুরু করে দেয়। তারা মনে করে যে, অর্থশালী হলেই কোট-টাই পরা লাগে, তাই স্ট্যাটাস মেইনটেন করতে টাই পরে। যেহেতু মালিকই জানে না টাইয়ের মর্যাদা, কাজেই তার গেটের দারোয়ান টাই পরলে দোষের কি? যাদের এ বিষয় গুলো নিয়ে বাদী হওয়ার কথা, তাদের চাকুরী দাতা বা মালিকই টাইয়ের যোগ্য না হয়েই টাই পরে, তাহলে সে জিজ্ঞাসা করবে কাকে? যার ফলে টাইয়ের ব্যবহার আজ যত্র- তত্র।
২/-টাইয়ের ইতিহাস বা উৎপত্তি নেকটাই বা গলাবন্ধনী, যাকে আমরা বলি 'টাই'। টাই কী? একটি লম্বা ও সরু কাপড় মাত্র। যা পৃথিবীর প্রায় দেশগুলোতে নেকটাই বা গলাবন্ধনীর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। এসব দেশে প্রতিদিনের দাফতরিক কাজ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও রয়েছে বিশেষ ধরনের টাই। তাহলে এবার দেখা যাক কীভাবে ছোট এই য় টুকরা কাপড়টি পুরুষ জাতির গলায় উড়ে এসে জুড়ে বসল। """ টাই এর প্রচলন অনেক পুরাতন সেই ষোলশ শতাব্দীর ও আগের কথা। সর্ব প্রথম টাই এর প্রচলন করে সামরিক ইউনিফর্ম এর
অংশ হিসেবে চীন ও রোমান সেনারা। এছাড়া প্রচলিত আছে যে ১৬১৮ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের বিজয়ের পর ক্রোয়েশিয়া (অস্ট্র- হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ) থেকে ক্র্যাক রেজিমেন্ট বা ক্রোয়েশিয়ান সামরিক ফ্রন্টিয়ার তারপর প্যারিস পরিদর্শনে রাজা লুই চতুর্দশ এর সামনে চকচকে গলা বন্ধনী পরে নিজেদের উপস্থাপন করেন। ক্রোয়েশিয়া থেকে ক্রোট এবং ক্রোট থেকে ক্রাভাট এবং এই ক্রাভাট থেকেই পরবর্তীতে টাই শব্দের প্রচলন। পৃথিবীতে নেকটাইয়ের ব্যবহার শুরু হয়েছিল সম্ভবত ২২১ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। চীন দেশের প্রথম সম্রাট শি হুয়াং তাইয়ের শাসন আমলে নেকটাই ব্যবহারের কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়। শি হুয়াং তাই ছিলেন একজন প্রতাপশালী সম্রাট।
কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রতাপশালী এই সম্রাটের মধ্যে মৃত্যুভয় প্রবলভাবে কাজ করতে থাকে। অমরত্ব লাভের আশায় প্রতিনিয়ত
তিনি সেবন করতেন জুড়িবুটি। কিন্তু বার্ধক্যকে ঠেকাতে পারেননি। তাই একদিন তার মন্ত্রিপরিষদকে আদেশ করেন তাকে যদি মরতেই হয় তবে তার সৈন্য-সামন্তসহই যেন তাকে সমাধিস্থ করা হয়। এতে চিন্তিত হয়ে পড়ে সম্রাটের মন্ত্রিপরিষদ। অবশেষে চিন্তা-ত ভাবনা করে সম্রাটকে তারা রাজি করান এই শর্তে যে, সম্রাটের মৃত্যুর পর তার সব সৈন্যকে পূর্ণাকার মূর্তি তৈরি করে তার সঙ্গে সমাধিস্থ করা হবে।সেই অনুযায়ী মৃত্যুর পর সম্রাটকে রাজধানী জিয়ান শহরের কাছাকাছি সমাধিস্থ করা হয়। বিস্ময়কর এই মৃত্যুতে সম্রাটের সঙ্গে সমাধিস্থ করা হয় ৭ হাজার ৫০০ পূর্ণাকার মূর্তি এবং প্রতিটি মূর্তিই ছিল একটি আরেকটি থেকে ভিন্ন। যে মূর্তিগুলো 'টেরাকোটা আর্মি বা পোড়ামাটি সেনা' নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, যেসব সৈন্যের মূর্তি সমাধিস্থ করা হয়েছিল তাদের প্রত্যেকের ইউনিফর্ম বা পোশাকে ছিল
গলাবন্ধনী। যদিও সেই সময় টাই বাঁধা হতো আজকের দিনে গলায় মাফলার পরার মতো। অষ্টাদশ শতাব্দীতে এসে গলাবন্ধনীতে গিঁট
বাঁধার প্রচলন হয়। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ গলাবন্ধনী বা স্কার্ফ বিভিন্ন ঢঙে এবং নকশায় পরিধান করে আসছে কখনও তাদের ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে অথবা নিজেদের বিত্তশালী হিসেবে আলাদা করে দেখাতে। এমনকি শীত থেকে রক্ষা পেতে অথবা শরীরের
ঘাম শুকিয়ে নেওয়ার কাজেও গলাবন্ধনী ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এবং অলঙ্কৃত গলাবন্ধনীর প্রবর্তন হয় সম্ভবত ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে, ক্রোয়েশীয়রা তখন টাইয়ের আদলে স্কার্ফ ব্যবহার করত, যা ছিল তাদের সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও
পোশাকের একটি অংশ। গলাবন্ধনীকে ক্রোয়েশীয় ভাষায় বলা হতো 'ক্রাভাট'। ফ্রান্সের রাজা লুইসের (১৪) সময়কালে এই
ক্রাভাট ব্যবহৃত হতো রাজা লুইসের আদালত কার্যালয়ে। এর ফরাসি নাম ছিল 'লা ক্রাভাট'। ১৯২৪ সালে জেসি ল্যাংসডোর্ফ নামে একজন আমেরিকান দর্জি টাইয়ের একটি পরিপূর্ণ রূপ দেন এবং তার ডিজাইন পেটেন্ট করিয়ে রাখেন। তখন বেশি মাত্রায়
চওড়া টাইয়ের ব্যবহার হতো। পরবর্তীকালে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত একটি প্রবাদ প্রচলিত ছিল, 'একজন মানুষ টাই পরিধান
না করলে তাকে পরিপূর্ণ পুরুষ মনে হয় না।' পাশাপাশি টাইয়ের নকশাতেও পরিবর্তন আসে।
টাইয়ের সাথে ক্রসের সাদৃশ্যতা
অনেকে নেক টাইকে মিলিয়ে দেয় ক্রুশের সাথে। যে কোন জিনিসকে ক্রুশের সাথে মিলানোর পূর্বে ক্রুশ সম্বদ্ধে প্রথমে জানতে হবে। ক্রুশ
প্রমাণিত হওয়ার জন্য কয়েকটি সর্ত আছে। যেমন: ১। সেটি অবশ্যই যোগ চিহ্নিত হতে হবে। ২। যোগ চিহ্নের উপরের অংশের চেয়ে নিচের অংশ লম্ব হতে হবে। ৩। যোগ চিহ্নের ডানে-বামের হাত সমান হতে হবে। ৪। চিহ্নটি ব্যবহারের সময় অবশ্যই বুকের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। আমার প্রশ্ন হল,নেক টাই এর সাথে উপরের কোন সর্তের মিল আছে কি? যারা আসলে টাই
সম্বন্ধে কথা বলেন,টাই কি এবং কেন ব্যবহার করা হয়,
তা কিন্তু তারা মোটেও জানেন না। টাইয়ের সাথে ক্রসের দুরতম কোন মিল খুজে পাইনি। কারন টাইয়ের জন্য
উল্লিখিত শর্ত গুলি অবশ্যই থাকতে হবে।টাইয়ের সাথে উল্লিখিত কথা গুলির কোন মিল নাই তারপর ও শুনতে হয়। "টাই খ্রিষ্টানদের ক্রসের প্রতিরূপ"। যা ভাবলাম একটা কথা কিন্তু প্রচলিত আছে। যতটা রটে তার কিছু তো অবশ্যই ঘটে কোন না কোন ক্লু তো অবশ্যই আছে। যার উপরে ভিত্তি করে বলা হয় যে, টাই খ্রিষ্টানদের প্রতীক। খুঁজতে লাগলাম সত্যিই কি তাই? কিভাবে খুজব আগে কি ওয়ার্ড
গুলি তৈরি করলাম।তার তালিকাটা আপনাদের ও দিলাম। (Tie in Christian, Christian scholar, askpope,tie
wearing in Christian, Christian scholars opinion about tie, Bibles verdict on tie,Christ view on tie,
what does Bible says about, wearing tie,is tie for rememberenc of chrusificason,is tie discovered
for rememberenc of chrusificason, Tie what and why,what's meaning of tie Arabic Bengali English accroading to dictionary. What'smeaning of tie accroading to Christ /charch,/
Bible)এই গুলি দিয়ে খুজে খুজে যখন হয়রান পেরেশান। তখনি কিছু ইসলামি তথ্য কোষে খুজলাম সেখানে ও পেলাম না নিচে তার
তালিকাটা ও দিলাম
• http://www.islampedia.info/
• http://lostislamichistory.com/
• http://www.askislampedia.com
• http://www.islaminfo.com
সব মিলিয়ে যদি এক কথায় বলি "টাই
ক্রসের প্রতীক "এই দাবীর
স্বপক্ষে একটা বই, ঐতিহাসিকদের
একটা লাইন, কোন লিংক,মন্তব্য,
খ্রীষ্টানদের কোন পোপের মন্তব্য,
বাইবেলের রেফারেন্স, চার্চের
বক্তব্য, কিছুই পেলামনা
বরং http://www.islamhelpline.net/node/8501
কি বলে পড়ুন
" Firstly, our Christian brethren falsely believe
that Jesus Christ (a.s.) was crucified, not
hanged!!! And a tie, if at all it resembles
anything, would resemble a noose, not a cross!
Secondly, if one studies the origin of the ‘tie’ as
a garment, its origin is loosely found in the
climatic category whereby it was used as an
outer garment to keep the cold away.
Thirdly, if the ‘tie’ as claimed is specific to the
Christian relgion, it would be worn by the Pope,
Bishops, and the Christian religious fraternity,
but obviously that is not so!"
কত অসাধারণ বক্তব্য!
অবশেষ বুঝলাম যারা টাইয়ের বিরোধী তাদের বক্তব্যর ভিত্তি
'"ওমকের কাছ থেকে শুনেছি "
ছাড়া কিছুই না।
অথচ দেখুন ইসলাম
কি বলে"
'" কাহাফের ২২ নম্বর আয়াতে মহান
আল্লাহ রাব্বুল
আলামীন বলেছেন-
ﺳَﻴَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﺛَﻠَﺎﺛَﺔٌ ﺭَﺍﺑِﻌُﻬُﻢْ ﻛَﻠْﺒُﻬُﻢْ ﻭَﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﺧَﻤْﺴَﺔٌ ﺳَﺎﺩِﺳُﻬُﻢْ
ﻛَﻠْﺒُﻬُﻢْ ﺭَﺟْﻤًﺎ ﺑِﺎﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﺳَﺒْﻌَﺔٌ
ﻭَﺛَﺎﻣِﻨُﻬُﻢْ ﻛَﻠْﺒُﻬُﻢْ ﻗُﻞْ ﺭَﺑِّﻲ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻌِﺪَّﺗِﻬِﻢْ ﻣَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻢْ ﺇِﻟَّﺎ ﻗَﻠِﻴﻞٌ
ﻓَﻠَﺎ ﺗُﻤَﺎﺭِ ﻓِﻴﻬِﻢْ ﺇِﻟَّﺎ ﻣِﺮَﺍﺀً ﻇَﺎﻫِﺮًﺍ ﻭَﻟَﺎ
ﺗَﺴْﺘَﻔْﺖِ ﻓِﻴﻬِﻢْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﺃَﺣَﺪًﺍ ( 22 )
“অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের ওপর
ভিত্তি করে এখন
তারা বলবে:আসহাবে কাহাফ ছিল
তিন জন; তাদের
চতুর্থটি ছিল তাদের কুকুর। আরেক দল
বলবে: তারা ছিল পাঁচ
জন।তাদের ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর।
কেউ কেউ বলবে:
তারা ছিল সাত জন। তাদের
অষ্টমটিছিল তাদের কুকুর।
(হে রাসূল! আপনি) বলুন: আমার
পালনকর্তা তাদের
সংখ্যা ভাল জানেন। তাদের
খবরঅল্প লোকই জানে।
সাধারণ
আলোচনা ছাড়া আপনি তাদের
সম্পর্কে বিতর্ক
করবেন নাএবং তাদের
অবস্থা সম্পর্কে তাদের
কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবেন
না।” (১৮:২২)
এ আয়াতের একটাই শিক্ষণীয় দিক
হচ্ছে :
যে বিষয়ে আমাদের কোনো জ্ঞান
নেই সে বিষয়
ধারনা করে কিছু বলব না, অহেতুক তর্ক-
বিতর্ক
করা থেকে দূরে থাকব।
আবু হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
ﻛَﻔَﻰ ﺑِﺎﻟْﻤَﺮْﺀِ ﺇِﺛْﻤًﺎ ﺃَﻥْ ﻳُﺤَﺪِّﺙَ ﺑِﻜُﻞِّ ﻣَﺎ ﺳَﻤِﻊَ .
“একজন মানুষের পাপী হওয়ার জন্য
এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই
বর্ণনা করবে।”
যে কোনো তথ্য বা বক্তব্য
গ্রহণের পূর্বে তা যাচাই করার
নির্দেশ
নিজে আল্লাহ বা তাঁর মহান রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের
নামে মিথ্যা বলা যেমন নিষিদ্ধ,
তেমনি অন্যের
কোনো অনির্ভরযোগ্য,
মিথ্যা বা অনুমান নির্ভর
বর্ণনা বা বক্তব্য গ্রহণ করাও নিষিদ্ধ।
যে কোনো সংবাদ বা বক্তব্য
গ্রহণে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক
থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কুরআন
কারীম। এরশাদ করা হয়েছে:
ﻳﺎ ﺃﻳﻬﺎ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺁﻣﻨﻮﺍ ﺇﻥ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻓﺎﺳﻖ ﺑﻨﺒﺄ ﻓﺘﺒﻴﻨﻮﺍ ﺃﻥ
ﺗﺼﻴﺒﻮﺍ ﻗﻮﻣﺎ ﺑﺠﻬﺎﻟﺔ ﻓﺘﺼﺒﺤﻮﺍ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﻓﻌﻠﺘﻢ ﻧﺎﺩﻣﻴﻦ .
“হে মুমিনগণ
যদি কোনো পাপী তোমাদের
নিকট কোনো বার্তা আনয়ন করে,
তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতাবশত
তোমরা কোনো সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্থ
না কর, এবং পরে তোমাদের
কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।”
এই নির্দেশের আলোকে, কেউ
কোনো সংবাদ, বক্তব্য, খবর, সাক্ষ্য
বা তথ্য প্রদান করলে তা গ্রহণের
পূর্বে সেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত সততা ও
তথ্য প্রদানে তার নির্ভুলতা যাচাই
করা মুসলিমের জন্য ফরয
বা অত্যাবশ্যক।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস
বা ওহীর জ্ঞানের
বিষয়ে অসতর্কতার পরিণতি ঈমানের
ক্ষতি ও আখেরাতের অনন্ত জীবনের
ধ্বংস। এজন্য মুসলিম উম্মাহর উচিৎ
সর্বদা সকল
বার্তা, হাদীস,
বর্ণনা পরীক্ষা করে গ্রহণ করা।
টাই নিয়ে উলামাদের মতামতের
আলোকে নিরপেক্ষ অবস্থান
টাইয়ের বিধান নিয়ে উলামাদের
মাঝে তিন ধরনের মতামত
পাওয়া যায়। প্রথমটি কঠোর,
দ্বিতীয়টি সোজাসাপ্টা,গ
তৃতীয়টি মধ্যমপন্থী
'কঠোরপন্থীদের মতামত"
. এক কথায় টাই হারাম।তাদের কথা হল
টাই খ্রীষ্টানদের
প্রতীক। অতএব টাই হারাম।
বিস্তারিত দেখতে এই
লিংকে ক্লিক করুন। Click This Link আরেকটা লিংক
( Click This Link
আরবকিছু আলেমদের ও এইমত
ﻻﻳﺠﻮﺯ ﻟﺒﺴﻬﺎ ﻷﻧﻬﺎ ﺗﺸﺒﻪ ﺑﺎﻟﻜﻔﺎﺭﻭﻓﻲ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ
ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ - ﻣﻦ ﺗﺸﺒﻪ ﺑﻘﻮﻡ ﻓﻬﻮ ﻣﻨﻬﻢ - ﻭﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﻋﺒﺪ
ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﺍﻟﻌﺎﺹ ﻓﻴﺎﻟﺼﺤﻴﺢ ﻟﻤﺎ ﺭﺃﻯ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺛﻮﺑﻴﻦ ﻣﻌﺼﻔﺮﻳﻦ ﻗﺎﻝ ﻟﻪ - ﺇﻥ ﻫﺬﻩ
ﻣﻨﺜﻴﺎﺏ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ﻓﻼ ﺗﻠﺒﺴﻬﺎ - ﻓﻌﻠﻞ ﺍﻟﻨﻬﻲ ﻋﻦ ﻟﺒﺴﻬﺎ ﺑﺄﻧﻬﺎ
ﻣﻦ ﺛﻴﺎﺏ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ، ﻭﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﺃﺑﻴﺄﻣﺎﻣﺔ ﻣﺮﻓﻮﻋﺎ -
ﺗﺴﺮﻭﻟﻮﺍ ﻭﺍﺗﺰﺭﻭﺍ ﺧﺎﻟﻔﻮﺍ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ - ﻓﻤﺨﺎﻟﻔﺘﻬﻢ ﻓﻲ
ﺍﻟﻠﺒﺲ ﻣﻄﻠﺐ ﻟﻠﺸﺎﺭﻉ،ﻭﻓﻲ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ
ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺃﻧﻪ ﻛﺘﺐ ﻟﻠﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻓﻲ ﺧﺮﺍﺳﺎﻥ - ﺇﻳﺎﻛﻢ
ﻭﺍﻟﺘﻨﻌﻢ ﻭﺯﻱ ﺃﻫﻼﻟﺸﺮﻙ - ﻭﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻛﺜﻴﺮﺓ ،
ﻭﻻ ﻋﺒﺮﺓ ﺑﺎﻧﺘﺸﺎﺭ ﻟﺒﺲ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻨﻠﻴﻘﺎﻝ ﺑﺄﻧﻪ ﻟﻢ
ﻳﻌﺪ ﺧﺎﺻﺎ ﺑﻬﻢ ﻓﻼ ﻳﻜﻮﻥ ﺗﺸﺒﻬﺎ ﺑﻬﻢ ﻷﺭﺑﻌﺔ ﺃﻣﻮﺭ
ﺃﻭﻻ: ﺇﻧﻪ ﻣﺎ ﺍﻧﺘﺸﺮ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻨﺈﻻ ﻋﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ،
ﻭﻟﻮ ﺳﺄﻟﺖ ﺃﻱ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻠﺒﺲ ﻟﺒﺴﻬﻢ ﻛﻴﻒ ﻛﺎﻥ ﻟﺒﺲ
ﺟﺪﻩ গভ
ﻟﻘﺎﻝ ﺇﻧﻪ ﻟﺒﺴﺎﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻻ ﻟﺒﺲ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ، ﻭﻟﻬﺬﺍ ﻳﺴﻤﻮﻥ ﻫﺬﺍ
-ﻟﺒﺴﺎ ﺇﻓﺮﻧﺠﻴﺎ ﻭﺑﺪﻟﺔ ﺇﻓﺮﻧﺠﻴﺔ ﻭﻧﺤﻮﺫﻟﻚ
ﺛﺎﻧﻴﺎ : ﺇﻧﻨﺎ ﻟﻮ ﻗﻠﻨﺎ ﺑﻬﺬﺍ ﻟﻌﻄﻠﻨﺎﺃﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﻨﻬﻲ ﻋﻦ ﺍﻟﺘﺸﺒﻪ
ﺑﺎﻟﻜﻔﺎﺭ ﻓﻲ ﻟﺒﺴﻬﻢ ﻭﺃﺻﺒﺤﺖ ﻣﻠﻐﺎﺓ ﻭﻫﺬﺍ ﻇﺎﻫﺮ ﺟﺪﺍ ﻷﻥ
ﺍﻟﻨﺎﺳﺎﻵﻥ ﺃﺻﺒﺤﻮﺍ ﻛﻠﻬﻢ ﺇﻻ ﻣﻦ ﺭﺣﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻠﺒﺴﻮﻥ ﻟﺒﺴﺔ
ﺍﻷﻭﺭﺑﻴﻴﻦ
ﺛﺎﻟﺜﺎ : ﺃﻥ
লিংক : Click This Link তাদের এই দাবিটির
স্বপক্ষে একটি বাংলায়
লিংক তা দেখতে এখানে ক্লিক করুন https://shobujbanglablog.net/32261.html ইংরেজিতে পড়তে এখানে ক্লিক করুন http://www.taajushshariah.com/Fatawa/tie.html
কঠোরপন্হীদের জবাব
প্রথমকথা, টাই খ্রীষ্টানদের প্রতীক এই
দাবীটি ভিত্তিহীন।
তার প্রমান ঊপরে দিয়েছি। নতুন
করে লিখে প্রবন্ধটির কলেবর
বাড়াতে চাইনা। এবার আসুন তাদের
দাবীর
ভিত্তিহিসেবে যে লিংক
দিয়েছেন তা নিয়ে ভাবি ।
অনেক খুঁজাখুঁজি করেছি। এই দাবির
সত্যতা নিশ্চিত করার মত
বা স্বপক্ষে কিছুই পাইনি।পৃথিবীর
কোন লিংক স্বয়ং গুগলসার্চ
ইঞ্জিন ব্যর্থ । এই লিংকের
লেখাটি সারাদুনিয়ায় একমাত্র
তাদের কাছেই এন্সাইক্লোপিডিয়
ার বহুপুরাতন একটা প্রিন্ট
ভার্সন আছে যা দুনিয়ার আর
কারো কিছে নাই ।এমন কি গুগল ও
জানেনা ।
আল্লামা তকী উসমানী নিজে টাই
নিয়ে গবেষনা করেছেন ।শেষ পর্যন্ত
তিনি স্বীকার করেছেন
যে টাই খ্রীষ্টানদের প্রতীক এই
ব্যপারে কোন প্রমান
তিনি পাননী। আশ্চর্য হলেও একমাত্র
তারা পেয়েছে ।
আরবীতে একটা নীতিমালা আছে ﻟﻸﻛﺜﺮ
ﺣﻜﻢ ﺍﻟﻜﻞ এর বাংলা হল"
অধিকাংশের ভিত্তিতে বিধান
সাব্যস্ত হয়।" এই
নীতিতে তাদের কথা বাতিল ।
তাদের এই প্রিন্ট ভার্সন,
যেহেতু আর কারো কাছে নাই। তাই
আমরা বলতে পারি যে, এঁই
প্রিন্ট ভার্সন যাদের কাছে আছে।
তারা যদি নিশ্চিত হয় যে,
এটা সত্যিই। তাহলে বিধান টাও শুধু
তাদের জন্য প্রযোজ্য যেমন
চাঁদের মাসয়ালায়
বলা আছে যে কোন এক এলাকার
মানুষ
যদি চাদ দেখে অন্য
এলাকাজুড়ে চাদের কোন প্রমাণ
না পাওয়া যায়। তাহলে সেই
এলাকাস্থিত সবার জন্য
রোযা বা ঈদের বিধান প্রযোজ্য
যেমন হাদিসে বলা হছছে
" কুরাইব তাবেঈ বলেছেন,
যে হারিসের কন্যা (লুবা-বা)
তাকে শাম প্রদেশে সম্রাট
মুআবিয়ার নিকট পাঠিয়ে দিলেন।
অতঃপর আমি শামে এসে তাঁর
প্রয়োজন সমাপন করলাম এবং আমার
শামে থাকা অবস্থায় রামাযানের
নতুন চাঁদ উদয় হল
এবং আমি বৃহস্পতিবারের দিবাগত
সন্ধ্যায় চাঁদ দেখলাম, তারপর
মদীনা আসলাম; অতঃপর
আমাকে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস
(রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন যে,
তোমরা (রামাযানের) চাঁদ
কবে দেখেছ? আমি বললাম, জুমুআ
রাত্রিতে; পুনরায় বললেন যে,
তুমি নিজে দেখেছ? আমি বললাম,
জি হ্যাঁ এবং অন্যান্য লোকেও
দেখেছে এবং মুআবিয়া ও
শামবাসীরা রোযা রেখেছেন।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন,
আমরা কিন্তু শুক্রবারের দিবাগত
সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি, অতএব
আমরা রোযা রাখতেই থাকব। ৩০-এ
পর্যন্ত কিংবা ৩০শের
পূর্বে ২৯শে চাঁদ দেখা পর্যন্ত।
আমি বললাম, আপনি কি মুআবিয়ার
চাঁদ দেখা ও তাঁর রোযা রাখার উপর
নির্ভর করতঃ রোযা ও ঈদ করবেন না?
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, না;
এটাই আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) আদেশ দিয়েছেন
যে আমরা আপন দেশের লোকের চাঁদ
দেখার উপর নির্ভর করব; অন্যান্য দূর
দেশবাসীদের চাঁদ
দেখাকে আমরা যথেষ্ট মান্য করব
না।”[মুসলিম শরিফ]
অতএব হারামের বিধান ও তাদের জন্য
প্রযোজ্য। অন্যদের জন্য নয়।
এবার আসুন।টাইয়ের ফতোয়ায়
সোজাসাপ্টাপন্থীদের কথা শুনি
তারা বলতে চান যেহেতু " টাই
খ্রীষটানদের প্রতীক" এ
ব্যপারে ইতিহাস, বাইবেল, পোপ,
বিশপ, বর্তমান খ্রীষটান স্কলার, চার্চ
একথা স্বীকার
করেনা আমরা জোড়করে চাপিয়ে দিচটছি,
যা এক ধরনের চরম বোকামি। এর কোন
ভিত্তি নাই বিধায়, টাই
খ্রীষ্টানদের প্রতীক। এ দাবীর
স্বপক্ষে কোন প্রমান না থাকায়
এটা হারাম নয়।বরং যতখন
শরীয়া বিরোধী হওয়ার প্রমান
না পাওয়া যাবে। তা অবশ্যই বৈধ।
একটা মুবাহ/বৈধ বিষয়কে হারাম
ফতোয়ার কোন মানে হয়না।এই
সোজাসাপ্টার তালিকায় আছেন।
মুফতী আবদুল্লাহ ( অনারবদের পোশাক
অনুকরণ —
মি’আর আল মু’রাব (১১শ খণ্ড,
পৃষ্ঠা ২৭-২৮)- আল
ওয়ানশারিসী (মৃত্যু ৯১৪)
"
অমুসলিমরা যা করে তার
সবকিছুই আমাদের জন্য নিষিদ্ধ
নয়। শুধুমাত্র সে ব্যাপারগুলোই
নিষিদ্ধ যা শরীয়াহ
থেকে নিষিদ্ধ প্রমাণিত
এবং যা ইসলামের মূলনীতির
সাথে সাংঘর্ষিক।
যে অনারবদের অনুকরণ
করা নিষিদ্ধ
করা হয়েছে তারা হচ্ছে সেই
সময়ের পারস্যের রাজারা—
তাদের অতিরিক্ত জাঁকজমক
প্রদর্শনের জন্য। এ
নিষেধাজ্ঞা শুধু তাদের
সে সমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য
যেগুলো ইসলামের বিধানের
সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
মুসলিমদের ফরজ, মুস্তাহাব
কাজসমূহ এবং অন্যান্য বৈধ
কাজসমূহ—শুধুমাত্র
অমুসলিমরা করে থাকে—এই
অজুহাতে নিষিদ্ধ হয়ে যায়
না।
এর পেছনে যুক্তি হচ্ছে,
শরীয়াহ থেকে এ ধরনের
কাজের বৈধতার প্রমাণতভ
পাওয়া যায়; তাই অনারবদের
করা সকল কাজ
সাধারণভাবে নিষিদ্ধ
হয়ে যায়নি। রসূলুল্লাহ (সাঃ)
মদীনার
চারপাশে অনারবদের
অনুকরণে পরিখা খনন
করেছিলেন যা মুশরিক
বাহিনীকে চমকে দিয়েছিল।
পরে তারা জানতে পেরেছিল
পরিখা খননের এ বুদ্ধিটি ছিল
সালমান আল ফারসি (রাঃ)-
এর। " এই লিঃকে দেখুন Click This Link
ডা যাকির নায়েক
"
প্রশ্নঃ আমরা জানি, টাই ক্রসের
প্রতীক, মুসলমানদের জন্য টাই পড়ার
অনুমতি আছে কি?
উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ
অনেক মুসলিম আছে যাদের
ধারনা টাই
হল ক্রসের প্রতীক। কিন্তু তুলনামূলক
ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করলে দেখা যায়
যে, খৃষ্টানদের কোন ধর্ম গ্রন্থেই
বলা নেই যে, টাই ক্রসের প্রতীক।
হাদীস অনুসারে মুসলমানরা এমন
কোন
পোশাক পরিধান
করতে পারবেনা যে পোশাক
অমুসলিমদের
কোন বিশেষ প্রতীকের মত হয়।
তবে বাইবেলে কোথাও বলা নেই
যে টাই
ক্রসের প্রতীক।
বরং এটি একটি কালচারাল
পোশাক।
বিশেষজ্ঞদের মতে,
ঠাণ্ডা হাওয়ার
দেশের লোকেরা টাই পরে তাদের
পোশাক
আটকে রাখত এবং সেখান থেকেই
টাইয়ের
উদ্ভব হয়।
একদল মুসলিম আছেন
যারা পশ্চিমা কালচার পছন্দ করেন
না এবং পশ্চিমাদের সবকিছুতেই
প্রতিবাদ করেন।
তবে আমার মতে, আমাদের উচিৎ
হবে পশ্চিমাদের
যে কাজগুলো খারাপ
সেগুলোর প্রতিবাদ করা।
যেগুলো নিরপেক্ষ
সেগুলোতে প্রতিবাদ
করার দরকার নেই।
কেউ যদি প্রমাণ
সহকারে এটা উপস্থাপন
করতে পারে যে টাই ক্রসের প্রতীক,
তাহলে সেটা পরিধান
করা যাবেনা।
শরিয়ত মুসলমানদের
অনুমতি দিয়েছে যে,
মুসলিমরা সে পোশাক
পরতে পারবে যেগুলো শরীয়ত
সীমার
বাইরে যায় না। কিন্তু
যেগুলো ইসলামী শরীয়তের
বিপরীতে যায়
সেগুলো পরা যাবে না।
যেমনঃ হাফপ্যান্ট,
শর্টস ইত্যাদি। এগুলো যদিও
পশ্চিমা সংস্কৃতির পোশাক, কিন্তু
শরিয়তের সীমালঙ্ঘন হওয়ায়
এগুলো পরার অনুমতি নেই।
খৃষ্টানরা গাড়ি আবিস্কার
করেছিল।
তাই বলে কি আমরা তাদের
আবিষ্কৃত
গাড়িতে চড়ব না?
সুতরাং টাই পড়ার অনুমতি আছে।
কারণ
এটা খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রতীক নয়।"
আরব আলেমদের মত
ﻭﻛﺬﻟﻚ، ﻓﺈﻥ ﻟﺒﺲ ﺭﺑﻄﺔ ﺍﻟﻌﻨﻖ ﻟﻢ ﻳﻌﺪ ﻣﻦ ﺧﺼﺎﺋﺺ
ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ، ﻓﻼ ﻳﺤﻜﻢ ﻋﻠﻰ ﻛﻞ ﻣﻦ ﻟﺒﺴﻬﺎ ﺃﻧﻪ
ﻣﺘﺸﺒﻪ ﺑﻬﻢ، ﻭﺍﻧﻈﺮ ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ ﺭﻗﻢ : লিংক Click This Link
কানাডার প্রখ্যাত আলেম শেখ
আহমেদ বলেন
ই Does Wearing a Necktie Represent the Cross?
Sheikh Ahmad Kutty , a senior lecturer and Islamic scholar at
the Islamic Institute of Toronto, Ontario,
Canada, states:
“In Islam we are free to wear anything so long it
does not fall into one of the following
categories:
1. It should not be transparent, revealing the
parts of body that ought to be covered.
2. It should not considered as specifically worn
by the opposite sex.
3. It should not be specifically a religious
symbol of another religion or ideology.
A tie does not fall into any of the above
categoryss
পশ্চিমারা পড়ে বলে আমরা পড়তে পারবনা এটা কোন
যুক্তি হতে পারেনা।
তাছাড়া পোশাকের
ইসলামি নীতিমালার গণ্ডি ও
তো টাই অতিক্রম করেনা।যেমন
নীতিমালানুযায়ী
অমুসলিমরা যা করে। তারসব কিছু
আমরা করতে পারবনা। তাদের
যে দিকগুলি শরিয়ার
সাথে সাংঘর্ষিক অবশ্যই তা হারাম।
তা হোক না যত সাধারন বা ছোট
বিষয়। কিন্তু যা শরীয়ার
সাথে সাংঘর্ষিক নয়। তা হারাম
বলা বোকামী বৈ কিছুই নয়।
বিধর্মিদের
সবকিছুই যে বর্জন করতে হবে এই ধরনের
কোন নিয়ম ইসলামে নেই, মুসলিম হোক
আর অমুসলিম হোক সবারই কিছু
ভালো দিক
আছে। সেগুলি আমরা অবশ্যই গ্রহন
করতে পারব। যেমন ধরেন আমাদের
পাশের দেশ
ভারতে ভাত এবং শুকুর দুইটাই খাদ্য
হিসেবে গ্রহন করা হয়।
সে ক্ষেত্রে এদেশিয়
মুসলমানরা অবশ্যই ভাত
না খেয়ে থাকেনা আবার শুকুরকেও
খাদ্য হিসেবে গ্রহন করেনা।
এই হল সোজাসাপ্টাপন্থীদের বক্তব্য
এবার আসুন যারা মধ্যমপন্থীদের
কথা শুনি তারা বলেন যে টাই
খ্রীষ্টানদের প্রতীক এ দাবীর
পক্ষে কোন প্রমান নাই।
অতএব,এটা বৈধ। কিন্তু যেহেতু টাই
সম্পর্কে অনেকের নেতিবাচক
দৃষ্টিভঙ্গি বা অভিযোগ
রয়েছে তাই ফতোয়ার
কাদাছুড়াছুড়ি আর ভিন্ন
দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাচতে বিতর্কে না জড়িয়ে পরিহার
করাটাই ভাল বা উত্তম
এটা বিধানের
ঊর্ধে গিয়ে তাকওয়ার স্তর
এটা পালন করতে কেউ বাধ্য নয়।
তবে ঊত্তম। যেমন আমার এক উস্তাদ
তিনি মাদ্রাসার
রান্নাঘরে গিয়ে তরকারির লবন
চাখতেন ।বের হওয়ার সময় মাদ্রাসার
দানবাক্সে পাচ টাকা বা দশ
টাকা ফেলতেন।তখন
তাকে আমরা প্রশ্ন করলাম যে হযরত
আপনি তো এই মাদ্রাসার উস্তাদ ।
আপনি তো তরকারি খাওয়ার জন্য
যান নি। আমাদের সবার
স্বার্থে তরকারির লবন
চাখতে গিয়েছেন ।আপনি তো এজন্য
টাকা দিতে বাধ্য নন।
বা এভাবে চাখা হারাম নয় ।
এটা তো বৈধ।তখন হযরত জবাব দিলেন।
ঠিক, বলেছ। এই
টাকাটা না দিলে হারাম হবেনা ।
তবে ।এটা আমার তাকওয়া ।
যা বিধানের
উর্ধে ,ঠিক একইভাবে টাই
নিয়ে মধ্যমপন্থীদের বক্তব্য হল, টাই
হারাম হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারন
না পাওয়ার কারনে তা অবশ্যই বৈধ।
তবু ও বিতর্ক এড়াতে পরিহার করাই
ঊত্তম।আসুন এবার দেখি মধ্যমপন্থীদের
তালিকায় কারা আছেন
দারুলউলুম দেওবন্দ এর বক্তব্য
Wearing tie with suit is haram or halal in
Islam?
Answer
(Fatwa: 210/114/H=1433
Some people of fatwa have the view that
tie is the religious sign of Christians, as per
them it is haram. And as per those who
have a different view it is makrooh.
However, it is better to avoid.
Allah (Subhana Wa Ta’ala) knows Best
Darul Ifta ,
Darul Uloom Deoband
লিংক :
http://islamqa.org/hanafi/darulifta-deoband/22962
আল্লামা ইবনে আদম কাউছারি দারুল
ইফতা ইউকে প্রধান
যিনি আল্লামা তকি উসমানীরর
ছাত্র
Therefore, it would be permissible to wear
ties, though better not to whenever
reasonably possible, as it is superior to avoid
the dress of the unbelievers even if there is
no imitation of them. One should avoid
wearing it in prayer and other times and
should only confine it work, as many
scholars have declared it to be
impermissible.
And Allah Knows Best
Muhammad ibn Adam
Darul Iftaa
Leicester, UK
Article taken (with Thanks) from Darul
লিংক : http://www.central-mosque.com/fiqh/tie.htm
সালেহ মুনাজ্জিদ
যিনি সালাফি হলেও বর্তমান
বিশ্বে যার
ফতোয়া ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি।
এবং গ্রহণযোগ্য
if a
person can do without them, this is better,
but if he has to wear them there is nothing
wrong with that, in sha Allaah – but he
should make sure that they are not made
of natural silk and that they do not have
crosses or pictures of animate creatures
on them. And Allaah knows best.
লিংক :
http://islamqa.com বর্তমান
সময়ের প্রখ্যাত আলেম শাইখ
মুফতি তাকি উসমানী(দা.বা.)
টাইয়ের
উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা করেন
এবং মত প্রকাশ করেন টাইয়ের
উৎপত্তি খ্রিষ্টানদের ক্রুশ
থেকে হয়নি।এটি কাফিরদের
অনুকরণ বলেও বিবেচিত
হবে না,এটি এমন কিছু নয়
যা এককভাবে তাদের চিহ্ন বহন
করে। ততক্ষণ পর্যন্ত
এটি কাফিরদের অনুকরণ
বিবেচিত হবে না যতক্ষণ কেউ
কাফিরদের সাদৃশ্য অর্জনের
উদ্যেশ্যে এটি পড়ে।
সুতরাং এটি পড়া জায়েজ
টাই সম্পর্কে আমাদের দেশে প্রসিদ্ধ একটি মত হল, এটি মূলত ক্রূশ। খ্রিস্টানরা তাদের বুকে ক্রূশের স্মৃতি ঝুলাত। কিন্তু আমি যথেষ্ট অনুসন্ধান করে এ কথার যৌক্তিকতা খুঁজে পাইনি। পোশাক সম্পর্কে ইতিহাস ভিত্তিক কিতাবাদিতে সব পোশাকের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে টাই সম্পর্কে কোন আলোচনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুতরাং যতদিন পর্যন্ত সত্য উদঘাটন না হবে, এটিকে খ্রিস্টানদের নিদর্শন আখ্যা দিয়ে হারাম বলা হতে বিরত থাকলাম। (সূত্রঃ সহজ দরসে তিরমিযী (বাংলা)- শাইখুল ইসলাম আল্লামা তকী উসমানী, আল কাউসার প্রকাশনী ২০০৭, ৫ম খণ্ড পৃষ্ঠা, ২৪৩ )
লিংক : Click This Link আলেমদের অনেকে
:
ﻓﺮﺑﻄﺔ ﺍﻟﻌﻨﻖ ﺃﺻﻞ ﻧﺸﺄﺗﻬﺎ ﺑﺄﻭﺭﺑﺎ، ﻭﻳﻘﺎﻝ ﺇﻧﻬﺎ ﻛﺎﻧﺖ ﻓﻲ
ﺍﻷﺻﻞ ﺭﻣﺰﺍً ﻟﻄﺎﻋﺔ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻟﺰﻭﺟﺘﻪ، ﺛﻢ ﺃﺧﺬﺕ ﻓﻲ
ﺍﻟﺘﻬﺬﻳﺐ ﺇﻟﻰ ﻣﺎ ﻫﻲ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻵﻥ، ﻭﻗﺪ ﺻﺎﺭﺕ ﻋﺎﺩﺓ ﻟﺪﻯ
ﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ، ﻭﺧﺮﺟﺖ ﻋﻦ ﺣﺪ ﺍﻟﺨﺼﻮﺻﻴﺔ
ﺑﺎﻟﻜﻔﺎﺭ ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺘﺸﺒﻪ ﺑﻬﻢ ﺇﻻ ﺇﺫﺍ ﻟﺒﺴﻬﺎ ﺍﻟﻤﺮﺀ ﻻ ﻳﻠﺒﺴﻬﺎ ﺇﻻ
ﻷﻥ ﺍﻟﻐﺮﺏ ﻳﻠﺒﺴﻮﻧﻬﺎ ﻓﻌﻨﺪﺋﺬ ﻳﺪﺧﻞ ﻫﺬﺍ ﻓﻲ ﻗﻮﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ: " ﻭﻣﻦ ﺗﺸﺒﻪ ﺑﻘﻮﻡ ﻓﻬﻮ ﻣﻨﻬﻢ "
ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ . ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﺍﻷﻭﻟﻰ ﻟﻠﻤﺴﻠﻢ ﺗﺮﻛﻬﺎ ﻋﻠﻰ
ﻛﻞ ﺣﺎﻝ .লিংকে Click This Link টাইয়ের ব্যপারে পৃথিবীর সব
আলেম দুটি ক্ষেত্রে একমত ১/টাই
মহিলাদের জন্য হারাম কারন তা পুরুষ
এর সাথে মিলে যায়। ২/পুরুষদের জন্য
টাই যদিও বৈধ।কিন্তু শর্ত হল
তাতে কোন
ছবি থাকতে পারবেনা এবং সিল্কের
তৈরি হতে পারবেনা
তাহলে প্রথম দলের কথা অর্থাৎ
যারা টাই হারাম বলেছেন। তাদের
দাবী আর ফতোয়ার ইতিহাস,
খ্রিষ্টানদের বক্তব্য, খ্রিষ্টান
স্কলারস, বিশপ,চার্চের, উদ্ধৃতি কোন
কিছুর সাথে মেলেনা তাই তাদের
ফতোয়া বাতিল। আর বাকি রইল
দ্বিতীয়, তৃতীয় দল ।তাদের
ফতোয়া ইতিহাস, খ্রিষ্টানদের
বক্তব্য, খ্রিষ্টান স্কলারস,
বিশপ,চার্চের, উদ্ধৃতিতে টাই
খ্রিষ্টানদের প্রতীক " এই দাবির
অনুপস্থিতির সাথে মেলে। তাই
তাদের অবস্থান সঠিকতর। তাদের
ফতোয়া ও সসঠিকতর। মাজার ব্যাপার
হল উভয়দল এখানে একমত যে টাই কখনওই
হারাম নয়।বরং বৈধ। তবে তৃতীয় দল
বিতর্কের ঊর্ধে গিয়ে বৈধ হলেও
এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তাহলে যদি কেউ টাই পড়ে।
তাকে ইহুদিকরণ বা খ্রিষ্টীয়করন
করা যাবেনা।
তাকে বলা যাবেনা যে সে হারাম
কাজ করেছে। তবে হ্যা,এতটুকু
বলা যায়। ভাই এই পোশাকপরা অবশ্যই
বৈধ। তবু না পড়াটাই ভাল।এ
নিয়ে কোন বিতর্কের সুযোগ নেই।
আমি এই প্রবন্ধে কারো দালালী নয়।
বরং নিজ থেকেই ভেবেছি আসলেই
কি টাই খ্রীষ্টানদের প্রতীক।একটু
পড়াশোনা করি তো।ব্যাস যেই
ভাবা সেই কাজ। তাই শুরু করলাম।টাই
নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই রেজাল্ট
পেলাম। যে টাই খ্রীষ্টানদের
প্রতীক প্রমানের নির্ভর যোগ্য কোন
প্রমান নেই।বরং টাই
নিয়ে সেরা ইসলামী স্কলারদের
মন্তব্য হল।টাই খ্রীষ্টানদের প্রতীক। এই
দাবীর পক্ষে কোন প্রমান না থাকায়
টাই অবশ্যই বৈধ।তবু ও বিতর্ক
এড়াতে না পড়াই ভাল।কিন্তু
যদি কেউ
পড়ে তাহলে তাকে কাফের ইহুদী-
খ্রীষ্টানদের পোশাক পড়েছে।
শুধুমাত্র টাইয়ের
কারনে তাকে শ্রদ্ধা করা যাবেনা।
এটা কোন কথা হতে পারেনা।
কাওকে শ্রদ্ধা করার বা সম্মানের
মাপকাঠি কি আগে তা জানা উচিৎ।
আল্লাহতায়ালা কিন্তু
পোষাককে মর্যাদার
মাপকাঠি বলেন নি।দেখুন ধন-
সম্পদ , গঠন- আকৃতি , বংশ- বর্ণ,পোশাক
এবং ভাষা ও দেশ ইত্যাদি কোন
বস্তুর দ্বারা কারো উপর অন্য কারোর
মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয় না। মর্যাদার
মাপকাঠি হচ্ছে কেবল তাকওয়া,
( অর্থাৎ, আল্লাহ্ তায়ালার ভয়
এবং এর ভিত্তিতে যে জীবন
গড়ে উঠে ) । তাই এ তাকওয়ায়
যে যতটুকু অগ্রগামী হবে , সে আল্লাহ
তায়ালার কাছেও ততটুকু উচ্চ
মর্যাদা লাভ করবে। এ বাস্তব
কথাটিই কুরআন
মাজীদে এভাবে বর্ণিত
হয়েছে ( অর্থ ) : নিশ্চই আল্লাহ
তায়ালার কাছে সে - ই সর্বাধিক
মর্যাদার অধিকারী, যে তোমাদের
মধ্যে সবচেয়ে বেশী খোদাভীরু।
সূরা হুজরাত: ১৩। এই আয়াত হাদীছ
গুলো কিন্তু প্রমান করে যে সম্মানের
মাপকাঠী তাকওয়া পোশাক নয়।তাই
নন্দঘোষ জাকির নায়েক
কে নিয়ে বলছি শুধুমাত্র স্যুট-টাই এর
কারনে যারা তার
বিরোধীতা করেন।তাদের
বলছী স্যুট-টাইয়ের
বিরোধীতা করে জাকির
নায়েকের
সমালোচনা ধোপে টিকবেনা।
গঠনমূলক সমালোচনা করেন।পাবলিক
গ্রহন করবে।আমি অসংখ্য
পোষ্টে বলেছি যে আমি গঠনমূলক
সমালোচনায় বিশ্বাসী।তা জাকির
নায়েক হোক আর যেই হোক।
আমি যেমন কারো অন্ধভক্ত নই আবার
তেমনি কারো অন্ধবিরোধী নই।ঠিক
চ্যালেন্জ করবনা পারলে আমার এই
গবেষনাধর্মী প্রবন্ধের মূল
সারাংশটা প্রমান করেন।যদি প্রমান
করতে পারেন।
আপোষে খুশি মনে মেনে নেব।অন্তত
নিজের ভূলতো ভাংবে ।
এটা যদি না পারেন অন্তত।
সত্যটা মেনে নেওয়ার আহবান
জানাচ্ছি। এই
নিবন্ধে নিরপেক্ষভাবে ইতিহাস,
বাস্তবতার, নিরীখে বের করার
সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
সফলতা ব্যর্থতা নির্ভর করছে ।
যারা টাই খ্রীষ্টানদের প্রতিক
বলে এতদিন দাবি করে এসেছেন।
তারা যদি বুঝেন যে তাদের অবস্থান
ভূল।এবং মুসলিম ঊম্মাহর
মাঝে হাজারো অনৈক্যের
বীজসমূহের মাঝে যদি অন্তত
একটা বীজ ও দাফন
করতে পারি তাহলেই প্রবন্ধের
স্বার্থকতা খুজে পাবো
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
এই প্রবন্ধটি তৈরি করতে অনেকের
মেসেজ, লাইক, কমেন্ট,, দিয়ে, উৎসাহ
যুগিয়েছেন তাদের কে ধন্যবাদ
এই প্রবন্ধটি লিখতে অনেকের
লেখা থেকে ও
সহযোগীতা নিয়েছি।তাদের
লিংকগুলি উল্লেখ
করে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি রেফারেন্সসমূহ:-
• http://islam-inlife.com/bangla/2011/10/22/
• https://www.amarblog.com/tusher445/posts/144924
• http://yournecktieshop.com/history-of-neckties
• Click This Link
•https://au.answers.yahoo.com/question/?qid=20070327195533AAQ0maQ
•http://www.theguardian.com/notesandqueries/query/0,5753,-26841,00.html• http://www.ties-necktie.com/ties-history.php
• http://www.abcneckties.com/necktiehistory.html
• Click This Link
•http://www.samakal.net/2014/04/09/51521/print
• http://assunnahtrust.com/site/?page_id=839
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২
আবু আঈমান বিন শাহাদাত বলেছেন: তালুকদার ভাই ধন্যবাদ। ভাল লাগল। আর আপনাকে মনে থাকবে কারন আপনি আমার প্রথম পোস্টের প্রথম কমেন্টার আবার ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৩
এম আর তালুকদার বলেছেন: লেখাটা অনেক দীঘ তবুও পড়লাম। ভাল লাগলো। অনেকটা আগে জানা থাকলেও নতুন কিছু তথ৽ পেলাম।লিখতে থাকুন।