![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১/সেখানে (বিশেষ করে বালুখালীতে) পানির কোন ব্যবস্থা নাই।নিজেরা খাবার জন্য কোন পানি পাবেন না।পানি নিয়ে যান।আর যাদের বাজেট বেশী তারা যদি নলকূপ বসাতে পারেন।এইটা অনেক বড় উপকার হবে।
২/সম্ভব হলে একটা হ্যান্ডমাইক নিয়ে যান। নয়তো চিল্লাতে চিল্লাতে আপনার গলা ভেঙে যাবে। মাইক নেয়ার পরেও আমাদের গলা বেশীররভাগের ঠিক ছিলনা
৩/মহাসড়কে কখনওই ত্রান দেবেন না।এতে মানুষ খুব ভিড়াভিড়ি হয়ে যায়।ত্রানদাতাকে পাগল বানিয়ে ফেলবে।আর ওরাও খুব ঝামেলা করবে। দু পাশে গাড়ি চলন্ত অবস্থায় থাকে যেকোনোভাবে এক্সিডেন্ট হতে পারে।
৪/ত্রান কখনওই গাড়ি থেকে ছুড়ে মারবেন না।এতে অনেকেই আহত হয়।একজন বারবার পায়। মারামারি হয়।আর যারা দুর্বল এরা পায়না।
৫/বেশিরভাগ ত্রান রাস্তার দু পাশে অথবা মুখে দেয়া হয়।যার ফলে পেছনের তাবুতে অথবা অনেক বয়স্ক তাবু থেকে বের না হওয়ায় ত্রান পায়না। আপনার গাড়িকে সবাই ঘিরে ধরবে।সবচেয়ে ভাল ওদের কারো হাতে ত্রান না দিয়ে। লোকবেশী করে নিয়ে যান। নিজেরা গিয়ে সবার তাবুতে তাবুতে দিয়ে আসেন।এতে আপনার কষ্ট হলে বেশি মানুষ কে দিতে পারবেন। আর সঠিক বন্টন হবে।
৬/বেশিরভাগ জায়গায় নামাজের ব্যবস্থা নাই।যাওয়ার সময় নিজেদের জন্য ওযুর পানি জায়নামাজ নিয়ে যান।
৭/একজায়গায় বেশীক্ষণ ত্রান দেবেন না।একটু পরপর গাড়ি সামনে নিন।দেখবেন অনেকে এইমাত্র এসেছে এরা দু তিনদিন হেটে এসেছে।ওদের ত্রান বেশি প্রয়োজন। ওদেরকে প্রধান সড়কের দু পাশেই পাবেন
#ত্রানের চেয়ে নগদ টাকা দেয়ার প্রতি বেশী গুরুত্ব দিন
#পরিমানে অল্প হলেও নতুন কাপড় দিন
#সীমান্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে ত্রান দিন
#ব্যাগে শুকনো খাবার রাখুন, যারা মাত্র বাংলাদেশে আসছেন তাদের যাতায়াতের জন্য নগদ টাকা দিন
#কখনোই লোকালয়ে পকেটে হাত বা টাকা বের করবেন না। এমন অবস্থা হবে যেন আপনাকে ছিড়ে খাবে(না খেয়ে থাকলে যা হয়)
#বাচ্চাদের জন্য আলাদা কাপড় নিন
#যারা ত্রান দিবেন তারা টোকেন সরবারহ করুন তা না হলে একজন বার বার পাবে
#গাড়ি থেকে ঢিল দিয়ে কোন খাবার দিবেন না
#ব্যাংক থেকে ১০০ টাকার নোট করে নিয়ে যাবেন
#মেডিকেল ক্যাম্প করলে মেয়ে ডাক্তার সাথে নিবেন
#যারা ঢাকা থেকে যাচ্ছেন তারা অব্যশই স্থানীয় যারা চাটগা ভাষা বোঝে তাদের সাথে রাখবেন
#পানি ও স্যালাইয়েনের ব্যাবস্থা করবেন
#কোন অবস্থাতেই লোকাল কোন লোকের হাতে টাকা দিবেন না
#রাস্তায় ত্রান দিবেন না কারন এর কারনে অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।আর রাস্তার সাথে হওয়ায় অনেকে রোড এক্সিডিন্টে মারা যাচ্ছে।
#রাতের বেলা বের হন।দেখবেন একা একা অনেক মহিলা ছোট বাচ্চা নিয়ে জঙ্গলের ধারে বসে আছে,তাদের হাতে কাপড়/টাকা/খাবার তুলে দিন
#ঘড় বানানোর জন্য ত্রিপল দিন
#টিওবওয়েল ও স্যানিটেশনের প্রতি গুরুত্ব দিন
ত্রাণসামগ্রীতে সাধারণত দুটি জিনিস বেশি থাকে।
১. কাপড়-চোপড়।
২. খাদ্যদ্রব্য।
আমাদের পরামর্শ হলো, কাপড়-চোপড় নিয়ে আপাতত শরণার্থী শিবিরে একেবারেই না যাওয়া উচিৎ। ছবিগুলি দেখুন যে, কিভাবে ৪৫ কি.মি. দীর্ঘ রাস্তার দু'পাশে কর্দমাক্ত কাপড়ের স্তুপ পড়ে আছে। আপাতত তাদের একেবারেই বস্ত্র-চাহিদা নেই। সুতরাং এগুলো অন্য কোথাও সংরক্ষণ করুন। মাস তিনেক পরে চাহিদা মুতাবিক তাদের মাঝেই আবার বিতরণ করা যাবে।প্লিজ কেউ আর পুরাতন কাপড় কালেক্ট করবেন না,কাউকে পাঠাবেন না।কারন কুতপালং এ গেলে দেখবেন ঢাকায় যেরকম ময়লার স্তুপ পরে থাকে ঠিক একই ভাবে পরে আছে পুরাতন ময়লার কাপড়ের স্তুপ।আর অনেকে এমন কাপড় দিচ্ছেন যে গুলো একেবারে অযোগ্য।চিন্তা করুন যে গুলো আপনি পরিধান করতে পারেন না নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমেরা সেগুলো কিভাবে পরিধান করবে।আর যারা কাপড় নিয়ে যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশ নিয়ে যাচ্ছে সালোয়ার, জিন্স প্যান্ট কিন্তু তারা সে গুলো পড়তে অভ্যস্ত না।
আপনারা মেয়েদের জন্য থামি(১১০ টাকা করে দাম পড়বে), ছেলেদের জন্য লুঙ্গি(১৮০-২২০ টাকার মাঝ পাবেন) নিবেন কারন তারা এগুলো পরিধান করে।ছোট বাচ্চাদের জন্য বেবি কাপড় নিন কারন ১ মাস থেকে ৫ বছরের বাচ্চা বেশী। তাই একটু কষ্ট হলেও নতুন কাপড় দেয়ার চেষ্টা করুন
যারা খাদ্য বিতরণ করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ হলো, মেহেরবানী করে শুকনো খাবার দিন। আপনি হয়তো ভাই-বোনদের রুচি-স্বাদের কথা চিন্তা করে পোলাও, বিরিয়ানী, কিংবা তেহারী বিতরণ করছেন। অথচ আপনার জানা নেই যে, তারা খিচুরী জাতীয় খাবার খেতে পারে না। হয়তো ক্ষুদার জ্বালায় কোন রকম গলধঃকরণ করলেও স্বাদ পায় না। তা ছাড়া অতিক্ষুধায় তৈলাক্ত ভারি খাবার মারাত্মক ক্ষতিকর। মেডিকেল ক্যাম্পগুলোতে গ্যাস্টিক রোগীদের লম্বা সিরিয়াল দেখলে এটি সহজেই বুঝা যায়।
তাহলে কি সমাধান 'সাদা ভাত'? না ভাই! তারা সাদা ভাত খেতে পছন্দ করলেও এই মূহুর্তে এটিও বিপজ্জনক। মৌলিক দু'টি কারণ হলোঃ
১. ভাতের 'ফ্যান' ফেলে দেওয়ার কারণে চালের খাদ্যগুণ আর অবশিষ্ট থাকে না। পেট ভরলেও শক্তি তেমন জোগায় না। অথচ তাদের এখন প্রচুর শক্তিশালী খাদ্য দরকার।
২. অপর্যাপ্ত টয়লেট ব্যবস্থা। ভাত ও এজাতীয় তরল খাদ্যে বারবার প্রাকৃতিক 'বেগ' আসা স্বাভাবিক। তখন কত বড় ধকল সামলিয়ে তারা চাঁপমুক্ত হোন সেটা ক্যাম্পের ভিতরে না গেলে বুঝবেন না। অনেকেই সহ্য করতে না পেরে যত্রতত্র পরিবেশ দূষিত করছেন।
তাই আমাদের পরামর্শ হলো, চিড়া-গুড়ের প্যাকেট বিতরণ করলে সর্বদিক থেকে সাশ্রয়ী ও উপকারী বেশি হয়। চিড়ার মধ্যে চালের পুরোপুরি খাদ্যগুণ বিদ্যমান থাকে। তাছাড়া সামান্য একটু চিড়া মুখে দিয়ে অল্প একটু পানি খেলে সেই চিড়া ফুলে-ফেঁপে পেট ভরে যায়। শক্ত খাবার হওয়ায় টয়লেটের চাঁপও কম আসে। সর্বোপরি সাশ্রয়ী হওয়ায় বেশি মানুষের উপকার করা যায়।
শুকনো খাবারের সবচে' বড় বৈশিষ্ট হলো, সহজে নষ্ট হয় না। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। অপরদিকে একবেলায় যদি একাধিক রান্নাখাদ্য আসে তাহলে একটি রেখে বাকীগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। ফলে আপনার পুরো অর্থ ও শ্রম বেকার নষ্ট হয়।
তাই ত্রাণ-প্রস্তুতির আগে দশবার ভাবুন। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন। ভেবে-চিনতে সিদ্ধান্ত নিন। যেন আপনার অর্থ ও শ্রমের সর্বোচ্চ মূল্যায়ণ হয়।
।আমার ,কাউসার আরিফ ভাই ও মাওলানা আল মুহাজির শাইখ সাহেবের অভিজ্ঞতা থেকে}
©somewhere in net ltd.