![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সালাফি আলেম শাইখ সালিহ আল উসাইমিন (রঃ) ‘আল উসুল মিন ইলমিল উসুল’ বই এ ‘তাকলীদ’ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেনঃ
ﻭﺍﺻﻄﻼﺣﺎً : ﺍﺗﺒﺎﻉ ﻣﻦ ﻟﻴﺲ ﻗﻮﻟﻪ ﺣﺠﺔ .
ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻓﻲ ﻣﻮﺿﻌﻴﻦ :
ﺍﻷﻭﻝ : ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﻘﻠِّﺪ ﻋﺎﻣﻴًّﺎ ﻻ ﻳﺴﺘﻄﻴﻊ ﻣﻌﺮﻓﺔ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﺑﻨﻔﺴﻪ ﻓﻔﺮﺿﻪ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ؛ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ) ﻓَﺎﺳْﺄَﻟﻮﺍ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ ﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﻻ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ) ( ﺍﻟﻨﺤﻞ : ﺍﻵﻳﺔ 43 ) ، ﻭﻳﻘﻠﺪ ﺃﻓﻀﻞ ﻣﻦ ﻳﺠﺪﻩ ﻋﻠﻤﺎً ﻭﻭﺭﻋﺎً، ﻓﺈﻥ ﺗﺴﺎﻭﻯ ﻋﻨﺪﻩ ﺍﺛﻨﺎﻥ ﺧﻴﺮ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ .
ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ : ﺃﻥ ﻳﻘﻊ ﻟﻠﻤﺠﺘﻬﺪ ﺣﺎﺩﺛﺔ ﺗﻘﺘﻀﻲ ﺍﻟﻔﻮﺭﻳﺔ، ﻭﻻ ﻳﺘﻤﻜﻦ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﻈﺮ ﻓﻴﻬﺎ ﻓﻴﺠﻮﺯ ﻟﻪ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﺣﻴﻨﺌﺬ، ﻭﺍﺷﺘﺮﻁ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﻟﺠﻮﺍﺯ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﺃﻥ ﻻ ﺗﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺴﺄﻟﺔ ﻣﻦ ﺃﺻﻮﻝ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺍﻟﺘﻲ ﻳﺠﺐ ﺍﻋﺘﻘﺎﺩﻫﺎ؛ ﻷﻥ ﺍﻟﻌﻘﺎﺋﺪ ﻳﺠﺐ ﺍﻟﺠﺰﻡ ﻓﻴﻬﺎ، ﻭﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻔﻴﺪ ﺍﻟﻈﻦ ﻓﻘﻂ .
অর্থাৎ, “তাকলীদ হচ্ছে এমন কারো অনুসরণ করা যার কথা হুজ্জত নয়। …
তাকলীদ দুইটি ক্ষেত্রে করা হয়ঃ
১। যখন মুকাল্লিদ হচ্ছেন একজন আ’ম (সাধারণ) ব্যক্তি যার নিজে নিজে শরীয়াতের হুকুম-আহকাম জানার সামর্থ নেই। এই ব্যক্তির উপর তাক্বলীদ ফরজ। … তাই এই ব্যক্তি এমন এক ব্যক্তির তাক্বলীদ করবে যাকে সে ইলম ও তাকওয়ার অধিকারী বলে জানে। …
২। মুজতাহিদ, যখন নতুন কোন বিষয়ের সম্মুখীন হন এবং এই ব্যাপারে তার সুযোগ হয়নি ইজতিহাদ করার, এই ক্ষেত্রে তার জন্য অনুমতি আছে তাকলীদ করার। …”
একই বই এ শাইখ উসাইমিন (রঃ) তাকলীদের প্রকারভেদ উল্লেখ করতে গিয়েঃ সেটাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। তিনি বলেনঃ
“প্রথম ভাগ হচ্ছেঃ সাধারণ তাক্বলিদ যা হচ্ছে দ্বীনের সকল ব্যাপারে যে কোন এক মাজহাবের সকল করণিয় ও বর্জনীয় মেনে চলা।
আলেমরা এই ব্যাপারে মতবিরোধ করেছেন। পরবর্তী যুগের আলেমদের কেউ কেউ এই ব্যক্তির উপর এটা ওয়াজিব বলেছেন কারণ সে ইজতিহাদ করতে অক্ষম (অনুবাদক নোটঃ এই ইজতিহাদ করতে যে কোন ইমাম কোন মাসয়ালায় উত্তম ফতোয়া দিয়েছেন)। অন্যরা এটা তার জন্য হারাম বলে উল্লেখ করেছেন কারণ এর মাধ্যমে রাসুল (সাঃ) ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তিকে সকল ক্ষেত্রে অনুসরণের জন্য নির্ধারিত করা হচ্ছে”।দেখা যাচ্ছেঃ শাইখ উসাইমিন (রঃ) সাধারণ মুসলমানদের জন্য তাকলীদ ওয়াজিব বলে উল্লেখ করেছেন।
শাইখ উসাইমিন (রঃ) এর উপরুক্ত কথার ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি হবে?
©somewhere in net ltd.