![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলী মিয়াকে চিনেন? যদি না চেনেন। চিনে নিন আর আফসোস করুন!! হায় এতদিন কেন? জানতে পারিনি।উনিই সেই যার জীবদ্দশায়ই ২৫টি থিসিস বা পি.এইচ.ডি হয়েছে তাঁর জীবন ও কর্মের উপর। তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা । তাঁর জীবদ্দশায়ই রাসুলে আরাবীর শহর মদীনায় তাঁর নামে সড়কের নামকরণ করা হয় । তাঁর লিখিত দুই শতাধিক গ্রন্হ প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যে পৃথিবীর প্রধান প্রধান সকল ভাষায় অনুদিত হয়েছে । পবিত্র কাবা শরীফের চাবী তাঁর হাতে তুলে দিয়ে বিরল সম্মান জানানো হয়েছিল তাঁকে। নিজ হাতে দরজা খুলে এর ভিতরে প্রবেশ করে তিনি মহান রবের শুকুর আদায় করেছেন । একজন বিরল প্রাজ্ঞ শিক্ষাবিদ হিসাবে সারা পৃথিবীব্যাপী তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল ।
তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর চেয়ে বড় কোন পন্ডিতের নাম শুনা যায়নি পৃথিবীজুড়ে । ইউরোপের শ্রেষ্ট বিদ্যাপীট অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টারের তিনি প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান । ইসলামিক সেন্টার জেনেভা ,ইউ এস এ আরবী একাডেমি, লন্ডনের ইসলামিক সেন্টার সহ ইউরোপ আমেরিকা আফ্রিকা মধ্যপাচ্য ও দক্ষিন পূর্ব
এশিয়ার অসংখ্য প্রতিষ্টানের তিনি প্রাণ পুরুষ ছিলেন।ছিলেন ভিজিটিং প্রফেসার । রাবেতা আলমে ইসলামির পুরোধা । রাবেতা আল আদব আর ইসলামি বিশ্ব সাহিত্য পর্ষদের সভাপতি ।
একেবারে মামুলি বিছানায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর থেকে বাজপেয়ী পর্যন্ত বড় বড় প্রধানমন্ত্রী আর রাজনীতিবিদ তাঁর পাশে বসে পরামর্শ নিতেন। ভারত সরকারের সম্মান সুচক সবকটি পদক তিনি পেয়েছেন । ১৯৯৮ সালে শতাব্দির এই শেষ্ট ব্যক্তিত্বকে আরব আমিরাত সরকার রাজকীয় সংবর্ধনা প্রদান করে। তিনি যেতে অস্বীকার করলে তাঁকে জানানো হয় আরব প্রজন্মের বুদ্বিজীবী ছাত্র তরুণরা আপনাকে দেখতে চায় । ঐদিন হিন্দুস্থান টাইমস লিড নিউজ করে একজন ভারতীয় মনীষার জন্য বিমানের সিডিউল পরির্বতন , আকাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুন: বিন্যাস । এই মনীষাকে বহন করার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বিমান পাঠানো হয় সরাসরি উত্তর ভারতের লখনৌতে । সাথে আরো বহু ছোট বড় বিমান । সাজ সাজ রব পরে গোটা উপমহাদেশে।১৯৬২ সালে মক্কায়
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতী শায়খ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীমের অণুপস্থিতিতে আলী মিয়াঁ “রাবেতাতুল ইসলাম”এর উদ্বোধনী অণুষ্ঠান পরিচালনা করেন। উক্ত অণুষ্ঠানে সৌদি আরবের শাসক সাউদ বিন আবদুল আজীজ,লিবিয়ার শাসক ইদরীস সেনুসীসহ আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিরেন। এই অণুষ্ঠানেই তিনি “ সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে ইসলাম” শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ সালে সৌদী শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়াহ বিভাগের পাঠ্যসূচী প্রণয়নে পরামর্শ দেয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৯৮০ সালে জর্দান আরবি একাডেমির একজন সদস্য নির্বাচিত হন। এই বছরই তিনি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি "বিশ্ব ইসলামী সাহিত্য সংগঠন"এর মহাপরিচালক নির্বাচিত হন। [৫] ১৯৮৪ সালে এবং ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। [৪]
পুরস্কার ও সম্মাননা
১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে আলী নদভী তাঁর রচিত গ্রন্থ মা যা খাসিরাল 'আলামু বিনহিতাতিল মুসলিমীন (মুসলামানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?) -এর জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেল হিসেবে খ্যাত বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কারের নগদ দুই লাখ রিয়ালের অর্ধেক তিনি আফগান শরণার্থীদের জন্য এবং বাকী অর্ধেক মক্কার দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (একটি হিফজখানা এবং মাদরাসা আল-সাওলতিয়াহ)দান করে দেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে সাহিত্যে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ৭ খণ্ডে রচিত উর্দু ইতিহাস গ্রন্থ তারীখে দাওয়াত ওয়া আযীমত (সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস) -এর জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক সেন্টারের পক্ষ থেকে আলী নদভীকে সুলতান ব্রুনাই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। যার মূল্য ছিল বিশ লক্ষাধিক ভারতীয় রুপি। আলী নদভী পুরস্কারের সমস্ত অর্থ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করে দেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে আলী নদভী দুবাইয়ে তিনি বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হন। দুবাইয়ের যুবরাজ এবং আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ মুহাম্মাদ ইবনে রুশদের হাত থেকে গ্রহণ করা প্রায় এক কোটি পঁচিশ লক্ষ ভারতীয় রুপি সমমূল্যের এ পুরস্কারের পুরোটা তিনি বিভিন্ন দাতব্য কাজে ব্যয় করেন।
দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিসে শুরার আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি।
নদওয়াতুল উলামার প্রধান পরিচালক । দাওয়াত ও তাবলিগের অন্যতম মূরব্বী ছিলেন । তিনি আর কেউ নন ।তিনি হলেন আকাবিরে দেওবন্দের গত শতাব্দীর শেষ সাইয়্যেদ, মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নাদাবী ওরফে আলী মিয়া নাদাবী রহঃ।
মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা সাইয়্যেদ
আবুল হাসান আলী নাদাবী রহঃ-এর বাংলায় অনূদিত রচনাবলী।
১.আল্লামা আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ: জীবন ও কর্ম।
২.আল্লামা আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ: স্বারক গ্রন্থ।
৩.মুসলিম উম্মাহর পতনে বিশ্বের কী ক্ষতি হলো।
৪.তালিবে ইলমের জীবন পথের পাথেয়।
৫.সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস (৫ খন্ড।)
৬.খুতুবাতে আলী মিয়া নাদাবী রহ: (৫ খন্ড)।
৭.ঈমান যখন জাগলো ।
৮.ঈমানদীপ্ত কিশোর কাহিনী।
৯.সীরাতে রাসূলে আকরাম (সা।
১০.নবীয়ে রহমত।
১১.শাইখুল হাদীস যাকারিয়া রহ:।
১২.ইসলামী জীবন বিধান।
১৩.ইসলাম ধর্ম, সমাজ- সাংস্কৃতি।
১৪.নতুন পৃথিবীর জন্ম দিবস।
১৫.নয়া খুন।
১৬.ছোটদের আলী মিয়া।
১৭.কারওয়ানে মদীনা।
১৮.মদীনার পথে।
১৯.উলামা-তালাবা।
২০.দাওয়াত ও তাবলীগ।
২১.কুরআন অধ্যয়নের মূলনীতি।
২২.ইসলাম ও অন্যান্ন সাংস্কৃতি।
২৩.ইসলামের বৈপ্লবিক অবদান।
২৪.কে তুমি নারী কি তোমার পরিচয়?
২৫.কাবুল থেকে ইয়ারমুক।
২৬.দীপ্তিময় কুরআন।
২৭.ঈমানের দাবী।
©somewhere in net ltd.