![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ সব সংস্কৃতি দিয়ে কি হবে?
===>>>==>===========
আমার সংস্কৃতি পালন যদি আমার পারিবারিক সুখ- দুঃখ কেড়ে নেয়,
আমার সংস্কৃতি পালন যদি আমার সামাজিক জীবনের ভারসাম্যতাকে বিনষ্ট করে ফেলে,
আমার সংস্কৃতি পালন যদি আমার গর্বিত যুবসমাজকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়,
আমার সংস্কৃতি পালন যদি আমার কলিজার টুকরাতুল্য মেয়েদেরকে ধর্ষিতা বানায়,
আমার সংস্কৃতি পালন যদি খোঁড়া যুক্তির খপ্পরে ফেলে আমাকে বোকা বানিয়ে একাশ্বরবাদ থেকে নাস্তিক্যবাদের দিকে টেনে নিয়ে যায়,
তাহলে এ সব সংস্কৃতি পালন করে কি হবে?
আজকে এ সব ভন্ড সংস্কৃতিমনাদের জন্যই আমাদের সমাজের, আমাদের দেশের এ বাজে অবস্থা।
বর্তমানে সংস্কৃতির নামে আমাদের দেশে যা শুরু হয়েছে এটা দিয়ে কোন ভাবেই একটা জাতির মৌলিক আদর্শ টিকে থাকতে পারে না।
সংস্কৃতির নামে এর মধ্যে রয়েছে সমাজ বিধ্বংশী উগ্রতা। চরিত্র বিনষ্টকারী নগ্নতা বেহায়াপনা।
আজকে যারা এ সব সংস্কৃতি দিয়ে সমাজকে বদলে ফেলতে চায় তাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তাদের পারিবারিক অবস্থার খবর নিয়ে দেখুন। তাদের সাংসারিক জীবনটার একটু খুঁজ নিয়ে দেখুন। তাদের অধিকাংশদের বৈবাহিক লাইফটা কত বছরের টেকশই হয় একটু জেনে নিন। তাদের ব্যক্তি জীবনটা কতটা নোংরামীতে ভরপুর দয়া করে মিডিয়া পারাতে একটু খবর লাগিয়ে দেখুন।
এ সব লোকগুলো যখন সংস্কৃতি পালনের নামে কোন দিবসকে কেন্দ্র করে ভাড়া করা একটা উৎসব আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চায় তখন তাদের ভিতরের কুৎষিত চেহারাগুলোই আমাদের চোখের সামনে ভেষে উঠে। এ সব লোকগুলোদিয়ে বাঁশতলা আর গাছতলার গাজাখুরী গালগল্প চল্লেও সংস্কৃতি চর্চা চলে না। এ দের সবায়কেই আদর্শহীন ভাড়াটে মাস্তান মনে হয়।
তাই এ দের ভাড়া করা বৈশাখী উৎসবের নামে অন্য ধর্মের কৃষ্টি কালচারকে একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের নাগরিকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া দেশ ও জনগনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।
এদের ভাবনাটা চার দেওয়ালের সার্থের মধ্যেই সিমাবদ্ধ। এদের চিন্তা চেতনা এদের রুটি রুজীর মধ্যেই নিহীত।
৫৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের এ দেশটা নিয়ে এদের কোন ভাবনা নেই। এর জনসাধারণ নিয়ে এ দের কোন চিন্তা নেই। এরা নিজেই নিজের পায়ে দাড়াতে শিখেছে। এরা রাষ্ট্রের পায়ে দাড়াতে শিখেনি। অন্যদেরকেও দাড়া করাতে শিখেনি। এ দের মন মানষিকতা যেমন সংকীর্ণ তেমনি চিন্তা চেতনাও অনেক সিমাবদ্ধ।
©somewhere in net ltd.