![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোমা বানাতে গিয়ে নাটোর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল রানার (২২) হাত-মুখ ঝলসে গেছে। ঘটনার পরপরই তিনি পালিয়ে গেছেন। আজ বুধবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জুয়েল রানা নাটোর থানার হরিশপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাবি করেছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ চারটি গুলি ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
নাটোর থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জুয়েল রানা নাটোর থানার হালশা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রিকশাচালক আবুল কালামের বাসায় বেড়াতে যান। আবুল কালাম তাঁর খালা খোদেজা বেগমের স্বামী। বেলা তিনটার দিকে বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে জুয়েল রানার দুই হাত ও মুখমণ্ডল ঝলসে যায়। আহত অবস্থায় তিনি একটি অটোরিকশা ভাড়া করে ওই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব-৫-এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালান। এ সময় র্যাবের সদস্যরা আবুল কালামের ছেলে আরিফুল ইসলামের (২০) ঘর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি পিস্তল, চারটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন, ৫০ গ্রাম গান পাউডার, ২০টি খালি বোতল ও ১০টি মার্বেল উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে আরিফুল ও তাঁর বাবা আবুল কালাম পলাতক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাছান আলী বলেন, জুয়েল রানা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। আরিফুল ইসলাম যুবদলের কর্মী।
আবুল কালামের স্ত্রী খোদেজা বেগম এই প্রতিবেদককে জানান, তাঁর বোন মরিয়মের ছেলে জুয়েল সকালে তাঁর বাড়িতে আসেন। দুপুরের দিকে জুয়েল তাঁর কাছ থেকে পত্রিকার কাগজ চেয়ে নিয়ে তার ওপর সাদা পাউডার ও কিছু মার্বেল নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দ হয়। লোকজন ছুটে আসার আগেই জুয়েল ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যান। জুয়েল রাজনীতি করে, তবে কোন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তা তিনি জানেন না বলেও জানান।
আজ বিকেল পাঁচটায় ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উদ্ধার করা মালামালগুলো বাড়ির উঠানে রাখা হয়েছে। র্যাবের সদস্যরা যাওয়ার আগেই বিস্ফোরণ স্থল লেপেপুছে রাখা হয়েছিল। তখনও মাটির কাঁচা গন্ধ রয়েছে। চারিদিকে বারুদের গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল।
ঘটনাস্থলে থাকা র্যাবের এএসপি জামাল আল নাসের প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৭টি মামলা রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। জুয়েলকে এর আগেও অনেকবার গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠানো হয়েছিল। কয়েক মাস আগে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২১
দ্যা টাকলু বস বলেছেন: এটা স্বেচ্ছাসেবক লীগ হবে। এটা নিশ্চিত সরকাররের ষড়যন্ত্র। বিএনপি কে বদনাম করার চেষ্টা। বিএনপির শান্তিময় আন্দোলনকে অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
নিলু বলেছেন: লিখে যান
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৫
ডিজ৪০৩ বলেছেন: মারা গেলে খুব খুশি হতাম।