নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার জন্য ভালোবাসা।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্য্যরা কি ভারতবর্ষে(বাংলাদেশ সহ) বহিরাগত আক্রমনকারী ?” সত্য ? নাকি,কারো স্বার্থে এটি একটি বানানো ইতিহাস ?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৪

“আর্য্যরা কি বহিরা গত?”- The Aryans invaded India- একটি সর্বৈব মিথ্যা
মার্কসবাদি ইতিহাস।
.আগ্রহী দের পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো
.
ছোট বেলায় ইতিহাসের বই পড়ার সময় যে বিষয় টা আমাকে সর্বাধিক ভাবিয়ে তুলতো সেটা হলো “আর্য্যদের ভারত আক্রমন”। এই নিয়ে নাতিদীর্ঘ লেখা পড়েছি। যা পড়েছি, পরীক্ষার খাতায় সুন্দর করে লিখেও দিয়েছি। কিন্তু মনের মধ্যে ধন্দ রয়েই গেছে। সেই ধন্দ আজো যায়নি।
বলা হয়, আর্য্য একটি জাতি, যাদের মুল উৎপত্তিস্থল ককেশাস পর্বতের আশ পাস এবং ভোলগা নদীর তীরে। অর্থ্যৎ তারা রাশিয়ান। তারা যাযাবর ছিলো, ঘোড়া চরাতো, চাষ বাস জানতো না। ঘুরতে ঘুরতে তারা হিন্দুকুশ পেরিয়ে এসে পড়লো ভারতে। তারপর প্রচন্ড যুদ্ধ বিগ্রহ করে, স্থানীয় ভুমিপুত্রদের মেরে কেটে শেষ করে দিয়ে তাদের নিজেদের এক সভ্যতা তৈরী করলো যার নাম “আর্য্য সভ্যতা”। এরাই নাকি বেদের শ্রষ্টা, রামায়ন না হলেও (কারন রামায়ন নাকি পুরোপুরি কল্প কাহিনী) মহাভারতের যুদ্ধটাও এই বহিরাগত আর্য্যরাই করেছিলো। এদেশের স্থানীয় ভুমি পুত্রদের এরা অনার্য্য , দ্রাবিড়, ম্লেচ্ছ, যবন, দস্যু এং আরো নানা আকথা কু কথা বলে গালা গাল করতো। জাতি প্রথা সৃষ্টি করে, নিজেদের ব্রাহ্মন বলে জাহির করে, এই আর্য্যরাই ভারতের অন্ত্যজ শ্রেনীকে চিরদিনের মতো চাকর বানিয়ে রেখেছিলো, যার ফল বর্তমান প্রজন্ম অবধি ভুগতে হচ্ছে।
যাযাবর জাতি আগেও ছিলো, এখনো আছে। ইউরোপে ১২ মিলিয়ন ‘জিপসী’ (যাদের বলা হয় ‘রোমা’, কারন তারা রামের ভক্ত এবং মুসলমানি আমলে নিয়ে যাওয়া ভারতীয় দাসদের বংশধর) আছে। তারা তো আজ ১৫০০ বছরেও একটি পুস্তক লিখতে পারলো না। তা তারা না হয় ভারতীয়, তাই জ্ঞান গম্যি নেই, তা হুন রা কেনো বেদের মতো একটি দর্শন শাস্ত্র বানালো না ? হাল আমলের আরবী বেদুইন রা যুদ্ধ বাজ ছিলো, মারামারি হানা হানি করতে ওস্তাদ ছিলো, সারা দুনিয়া দখল করে ফেলেছে । তারা আজো একটি দর্শন শাস্ত্র তৈরী করতে পারলো না।
সত্যি বলতে কি, এই আর্য্যদের রক্ত মিশ্রিত হয়েও আমার গায়ে ৫% নিশ্চয়ই আছে, সেটা ভেবেও নিজের প্রতি ঘেন্না ধরে গিয়েছিলো। নিজেকে কিছু নৃশংষ বিদেশী আক্রমন কারীর বংশ ধর ভাবতেই শরীর গুলিয়ে ওঠে।
বড় হয়ে, ঈশ্বর প্রদত্ত নিজের মস্তিষ্ক দিয়ে ভাবতে শিখে বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরী হয়েছে, যার উত্তর খুজতে খুজতে বুড়ো হয়ে গেলাম।
আর্য্যরা এলো কবে ? বলা হয় বেদ লেখা হয়েছে ১৫০০ -৫০০ খ্রীষ্ট পুর্বাব্দে। সেটা হলো আজ থেকে ৩৫০০ – ২৫০০ বছর আগে (আলেকজান্ডার ভারতে আসেন ২৩২৭ বছর আগে, তাহলে তার সময়েই আর্য্করা বেদ লিখছিলো, তাই না)। আমার প্রশ্ন, ঋক বেদে সরস্বতী নদীর কথা অসংখ্য বার ঊল্লেখ আছে। সরস্বতী নদী একটি গল্প কথা (মিথ) বলে আর পার পাওয়া যাচ্ছে না, কারন স্যাটেলাইট ইমেজিং বলে, প্রায় ৪০০০—৫০০০ হাজার বছর আগেই ওই নদীটির উৎসস্থান এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে (ভুমিকম্পে) বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সরস্বতী নদী অল্প কালেই শুকিয়ে যায়। এই নদীর জলধারা ও স্যাটেলাইট ইমেজিং এ ধরা পড়েছে। তাহলে? ৩৫০০ হাজার বছর আগে এসে, ৪-৫ হাজার বছরের পুরানো বেদ কি করে লেখা হলো? সরস্বতী শুকিয়ে যেতে তো সময় লেগেছ খুব কম হলেও বেশ কয়েক শতাব্দী। আর শুকিয়ে যাবার পরে তো তারা সরস্বতী নদীর বন্দনা গীত গাইতে পারে না? তাকে নদীতমা বলতে পারে না। নিশ্চয়ই ওই যুদ্ধ বাজ গুলো সেই সরস্বতী নদীরে তীরে বেশ কিছু কাল বসবাস করেছে???? বাস করে , এক সভ্যতা সংষ্কৃতি তৈরী করেছে ? শুদ্ধ বুদ্ধ সংষ্কৃতি তৈরী করতে কতো সময় লাগে???
বেদ কে বলা হয় শ্রুতি। গুরু শিষ্য পরম্পরায় শুনে মনে রাখা হতো তাই শ্রুতি, লেখা হয়েছে ৩৫০০ বছর আগে। একটি যাযাবর জাতি, যারা ঘোড়াকে ঘাস খাওয়ানো ছাড়া আর কিছুই জানতো না, পারতো না, তারা এই দেশে এলো ঘোড়ার পিঠে চড়ে বরফে ঢাকা দুর্গম হিন্দুকুশ পেরিয়ে , যুদ্ধ বিগ্রহ করলো দেশ দখল করলো ইত্যাদি । এই সবের সংগে সংগে তারা বেদের সুক্তের মতো জ্ঞান গর্ভ দার্শনিক চিন্তা ভাবনা করলো, যা কিনা এখনো পৃথিবীর উন্নত শিক্ষিত বৈজ্ঞানিক মানুষ তৈরী করতে পারেনি। এ কি ভাবা যায়????? (অবশ্য ছাগলে কি না খায় আর পাগলে কিনা বলে?)
সিন্ধু নদীর তীরে যে অতি উন্নত সভ্যতার নিদর্শন মিলেছে, তাকে বহুদিন ধরে শুধু মাত্র “সিন্ধু সভ্যতা” নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তার কথাও ইতিহাসে পড়েছি। আমি যখন ইতিহাস পড়েছি বিদ্যালয়ে, পন্ডিতেরা ঐ হরপ্পা মহেঞ্জোদারো ছাড়া আর কোনো কিছুর সন্ধান পাননি। তাহলে অতি অবশ্যই আর কিছু নেই বা কোনোদিন ছিলো না। তা বেশ। কিন্তু এখন যে রাজস্থান এবং গুজরাটের বিস্তীর্ন অঞ্চল জুড়ে, যা কিনা দশটা হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদারোর সমান এবং সমসাময়িক সে গুলো কি???? এই পন্ডিতেরা তখন “লোথাল” নামে কোনো প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন খুজে পাওয়া যাবে তা তাদের উর্বর মস্তিষ্কে বুঝতে পারেন নি এবং অহংকারী মনে জায়গা দিতে পারেন নি। এখনকার পন্ডিতেরা বলছেন, এই গুজরাট এবং রাজস্থানের বিস্তীর্ন অঞ্চলে হরপ্পা –মহেঞ্জোদারোর সময়ে যে উন্নতা সভ্যতা ছিলো তা একই সভ্যতা এবং আজকের তুলনায় অতি উন্নত। সুইমিং পুল ও নাকি ছিলো তখন!
ক্যাম্বে উপসাগরের তীরে, গুজরাটে দ্বারকাধীশের মন্দিরের কিছু দূরে সমুদ্রের জলের নীচে ৩ মাইল চওড়া, ৭ মাইল লম্বা একটি শহরের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া গেছে এই মাত্র ক’মাস আগে। বলে হচ্ছে সেই শহরের পরিকল্পনা স্থাপত্য অতি উন্নত এবং বেশ কয়েক হাজার বছর আগেকার। শ্রী কৃষ্ণের দ্বারকা নগরী দ্বীপে ছিলো এবং তা জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছিলো। তা সে কথা কে স্বীকার করবে এখন, যে ওটাই সেই শ্রী কৃষ্ণের দ্বারকা??? স্বীকার করলেই বিপদ, কারন তাহলে ঐ আর্য্যরা বহিরাগত সেই তত্ত্বের কি হবে? সনাতনি হিন্দুরা যে শ্রী কৃষ্ণের কথা বলে ,ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করে সেই (লম্পট, নারী ভোগী, যুদ্ধবাজ,মিথ্যুক, অন্যকে মিথ্যা বলতে শেখানো) শ্রী কৃষ্ণকে তো স্বীকার করতে হবে। তাহলে, তিনি যে বহুবার বহু ভাবে বৈদিক দর্শনের কথা বলেছেন সেটাও মানতে হবে। দেখা যাক, পন্ডিতেরা হিসাব কষছেন, ঐ জলের তলার শহরটার বয়ষ কতো তাই ঠিক করতে। তখন দেখা যাবে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকার বয়ষ কতো। আমার তো মনে হয়, ৫০০০ বছরের ও অনেক বেশী হবে। তাহলে, কুরুক্ষেত্রে যোগ দেওয়া তাবৎ রাজ রাজড়ারা, রথী মহারথী ওই ৩০০০ বছরের পুরানো না তার বহু আগের তা বোঝা যাবে।
সমুদ্রের জলের পরিমান বেড়ে গিয়ে সারা পৃথিবীর উপকুল অঞ্চল জলের তলায় ধীরে ধীরে ডুবিয়ে দিয়েছিলো শেষ বরফ যুগের (last ice age) জমা বরফ যখন গলতে শুরু করেছিলো। শেষ বরফ যুগ শেষ হয়েছে প্রায় ১২০০০ বছর আগে। তা সেই বরফ তো একদিনে গলে যায়নি, সময় লেগেছিলো। ধীরে ধীরে গলেছে আর সমুদ্রের জল বেড়েছে, সেই সংগে সমুদ্রের উপকুল এবং বহু দ্বীপ জলের তলায় চলে গেছে। সেই মহা প্লাবন সারা পৃথিবীতে ঘটেছে, আর তার বিবরন লেখা আছে নানা পুথি পুস্তকে (যেমন বাইবেলে ‘নোয়া’র নৌকার কাহিনী—‘The ark of Noa)। কানাডার সমস্ত হ্রদের সৃষ্টি সেই বরফ গলা জল দিয়ে। আমাদের পুরানে আছে ঈশ্বর ‘কুর্ম অবতারে (কচ্ছপ অবতারে) বেদকে রক্ষা করেছিলেন প্লাবনের হাত থেকে । মনু সমহিতায় সেই একই কথা লেখা আছে।
প্রসংগত বলি, হিন্দুরা যাকে বলে “রাম সেতু”, যাকে সরকারী ভাষায় বলে “Adam’s Bridge” (আদমের সেতু—সেই সিমেটীক ধর্ম দুটির কথা), সেটা নাকি প্রকৃতি বানাই নি। সেটা নাকি “মানুষের বানানো”। আবার সেই স্যাটেলাইট ইমেজিং এই কথা বলেছে। পন্ডিতেরা কতো কষ্ট করে আর্য্যদের বহিরাগত , যুদ্ধবাজ কিন্তু যাযাবর এক জাতি বানিয়ে ফেলেছেন,যারা মাত্র হাজার তিনেকের একটু সময় আগে, ঘোড়া চরাতে চরাতে সেই ভোলগা নদীর কুল (রাহুল সাংকৃত্যায়নের=বামপন্থী লেখকের ‘ভোলগা থেকে গংগা’ পড়ুন) থেকে হিন্দুকুশ পেরিয়ে (তা ঐ উচু পর্বতের বরফের ওপরে ঘাস জন্মায়?) ভারতে এসেই যুদ্ধ করলো, বেদ লিখে ফেললো। এখন কিনা ঐ স্যাটেলাইট ইমেজিং সব তত্ত্ব (আর্য্যদের ভারত আক্রমন) মিথ্যে বলে প্রমানিত করছে, আর হিন্দুরা যে সব ভুল ভাল কথা লিখেছে (৫০০০ -৮০০০ বছর আগে) তাকে সত্য বলে প্রমানিত করছে, সেটা কি ঠিক করছে?????
আর্য্য কথাটার অর্থ ভদ্র, সভ্য, সংষ্কৃতি সম্পন্ন, জ্ঞানী, জ্ঞুনী, মার্জিত ইত্যাদি। আজ থেকে ৮০০০ থেকে ৫০০০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সরস্বতী নদীর অববাহিকা অঞ্চলে এবং বর্তমান সিন্ধু নদীর (যার নামে হিন্দু এবং যা আরবীরা/তুর্কীরা দখল করে রেখেছে পাকিস্তান নামে তাদের একটি উপনিবেশে) তীরে একটি সভ্যতা তৈরী হয়েছিলো। সেই সভ্যতা মানুষকে দিয়েছিলো, জীবন দর্শন (বেদ, উপনিষদ, ৬ টি দর্শন শাস্ত্র, ন্যায় শাস্ত্র ইত্যাদি)। সেই সভ্যতা মানুষকে দিয়েছিলো প্রাত্যহিক জীবন যাত্রার সংবিধান (মনু সমহিতা)। সেই সভ্যতার ধারক এবং বাহকেরা প্রাচীন যুগে ঘটে যাওয়া ইতিহাস লিখেছিলেন (১২০ খানা , রামায়ন এবং মহাভারত) । সে গুলো সবই আজো আছে। সেই সভ্যতার নাম ‘বৈদিক সভ্যতা’ বা ‘সনাতনী সভ্যতা’। সেই সভ্যতা মানুষকে মেরে দিতে, গলায় ছুরি দিয়ে কেটে দিতে শেখায় নি। শিখিয়েছিলো “ সর্বম খল্লিদং ব্রহ্ম= সব প্রানীর মধ্যেই ঈশ্বর=ব্রহ্ম আছেন, তাই সবাইকে ভালোবাসো, সবাইকে নিয়ে বেচে থাকো।
আজ থেকে প্রায় ৫০০০ বছর আগে হিমালয়ের অভ্যন্তরে , সরস্বতী নদীর উৎসে ঘটে এক প্রবল প্রাকৃতিক দুর্য্যোগ (খুব সম্ভবত প্রবল ভুমিকম্প)। তার ফলে সরস্বতী নদীর উৎস মুখ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় এবং তার ফলে উদ্ভুত প্রবল জলরাশি প্রায় সুনামীর আকারে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তার দক্ষিনের জনপদ গুলি ( ২০০৪ সালের আন্দামানের সুনামীর কথা স্মরন আছে????) । সেই সময়, সিন্ধু নদের দক্ষিনেও হয়ে যায় এক প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্য্যয় (ইন্দোনেশিয়ায় উৎপন্ন ভুমিকম্প জলোচ্ছ্বাস ঘটায় ভারতের আন্দামানে এবং সেই সুদুর আফ্রিকার পুর্ব উপকুলে—মনে রাখবেন)। তাহলে কি দাড়ালো ? বৈদিক সভ্যতার সুতিকাগার ধংস হয়ে গেলো, সরস্বতী নদী হয়ে গেলেন অন্তঃসলিলা, সিন্ধুর দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ অনেকে মারা গেলো , ধংস হলো। সেটাই হরপ্পা মহেঞ্জোদারো আর গুজরাটের কচ্ছের রান এলাকা, লোথাল ইত্যাদি।
উত্তরাখন্ডের শ্রীনগর এলাকায় গংগা নদীর ওপরে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে , যার ফলে ৩৫২ টি গ্রাম জলের তলায় তলিয়ে গিয়ে এক সুদৃশ্য হ্রদ তৈরী হয়েছে (না দেখে থাকলে দেখে আসুন—আমি দেখে নিয়েছি), সেই হ্রদের জলরাশি যেদিন প্রবল এক ভুমিকম্পের প্রভাবে (হিমালয় ভুমিকম্প প্রবন এলাকা) বাঁধ ভেংগে সন্তান হারা মায়ের মতো আলুথালু কেশে প্রবল বেগে ছুটে নীচে নেমে আসবে (কবে হবে জানি না ,তবে হবেই), সেদিন আজকের হরিদ্বার শুধু নয় দিল্লী অবধি ভেসে শেষ হয়ে যাবে, কলকাতায় এসে তার ধাক্কা পৌছবে। শেষ হয়ে যাবে এই বর্তমান গাঙ্গেয় (অ)সভ্যতা। ঐ বাঁধের ইঞ্জিনীয়াররা যাই বলুন আমি ওদের ওপরে যে ইঞ্জিনীয়ার আছেন তাকে বিশ্বাস করি।
বৈদিক সভ্যতার মানুষ গুলো, চলে এলো এবারে গংগা , যমুনার অববাহিকায়। সেখানে অনেক আদিবাসীরা বাস করতো ঘন জঙ্গলাকীর্ন অঞ্চল সমুহে। সংঘাত তো হবেই। সেই সংঘাত এক উদবাস্তু শ্রেনীর এবং আদিবাসীদের সংঘাত (মহাভারতের খান্ডব প্রস্থ পড়ূন,রামায়নে রামের দক্ষিন অভিযান পড়ুন। পুর্বপাকিস্তান আগত উদবাস্ত= বাঙ্গাল এবং পশ্চিমবঙ্গীয় =ঘটী= ইষ্টবেগল ভার্সাস মোহনবাগান, সংঘাত ভাবুন)।
ক্রমে বৈদিক সভ্যতার মানুষগুলো ,যারা নিজেদের আর্য্য বলতো ,তারাই প্রাধান্য স্থাপন করে। আদিবাসীদের নিজেদের কোলে টেনে নিয়ে এক নতুন সভ্যতার সৃষ্টি হয়। আজ আর তাকে পৃথক করা যাবে না, সেটাই ভারতীয় সভ্যতা, আর্য্য সভ্যতা।
হ্যা পৃথক করার চেষ্টা অবশ্যই হচ্ছে। পরবর্তিতে যে যে ঔপনিবেশিক শক্তি এই দেশে এসেছে, তারা উপনিবেশ তৈরী করেছে, তাদের নিজস্ব অপসংষ্কৃতি সেই আর্য্য সভ্যতার ওপরে চাপিয়ে দিয়েছে।
আলেকজান্ডার (যবন), আরবী/তুর্কি (ম্লেচ্ছ), শক, হুন, পাঠান এরা কেউই এক দেহে লীন হয়নি। যেটা হয়েছে সেটা হলো ডাল আর চালের খিচুড়ী। সেই খিচুড়ী খাওয়াই আজো চলছে।
সাম্প্রতিক কালে, ব্রিটিশ তাদের ঔপনিবেশিকতাকে মান্যতা দেবার জন্য এই আর্য্য অনার্য্য তত্ব খাড়া করেছে পরিকল্পনা মাফিক। অতি সম্প্রতি রাশিয়া এবং চীনে উদ্ভুত এক বামপন্থা চেষ্টা করছে তাদের বিকৃত মস্তিষ্কের ধারনা চাপিয়ে দিতে। এদের অর্থের অভাব নেই। সেই অর্থে ‘সোমরস পান করে একদল ভ্রান্ত যৌনকামী’ অল্প বয়ষ্ক ছেলে মেয়েরা রাস্তায় ধেই ধেই করে নেচে বেড়াচ্ছে।
এটাই “আর্যদের ভারত আক্রমনের’ আসল কথা।
************
সৌজন্যে ... ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১

গেছো দাদা বলেছেন: আমার এটি প্রথম পোষ্ট । সকল সহৃদয় পাঠককে আমন্ত্রন করছি আপনাদের মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাকে উৎসাহ যোগাতে । ধন্যবাদ ।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১

মানিজার বলেছেন: ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ কে উনি ?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭

গেছো দাদা বলেছেন: উনি একজন পঃবঃ নিবাসী ডাক্তার যিনি ইতিহাসবেত্তাও বটে । ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ভাল লিখেছেন। বই বের হয়েছে কি?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

গেছো দাদা বলেছেন: এটি বই হিসাবে নেই । তবে এই ব্যাপারে অন্য কারো লেখা বই থাকতে পারে । ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

গেছো দাদা বলেছেন: Click This Link একটি লিঙ্ক দিলাম ।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগে স্বাগতম।

গাছ থেকে নামলেন?

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ম পোস্ট ইতিহাস থেকে।

বর্তমান নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন। ৫১ বছর আগে ইতিহাস পড়েছেন; আপনার বয়স কত?

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৩০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হিটলার নিজেকে আর্য দাবী করতেন। এদিকে রাজপুতরা নিজেদের আর্য দাবী করেছিল।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

কাউয়ার জাত বলেছেন: প্রশ্ন: ১ - তাহলে এই উপমহাদেশে জাত প্রথা (বর্ণ বৈষম্য) কারা চালু করল?

প্রশ্ন: ২- এই প্রথা সমাজ এবং মানবতার জন্য অভিশাপ ছিলো? না আশীর্বাদ ছিলো?

প্রশ্ন: ৩- আপনি এবং এই পোস্টের মূল লেখক জাতে ব্রাহ্মণ কি না?

উত্তরগুলো পেলে খুশি হব। ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

কূকরা বলেছেন: কাউয়ার জাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন।

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: ডা: সাহেব যখন ডাক্তারির পাশাপাশি ইতিহাস লেখা শুরু করেছে তখন অার্য-অনার্যর পার্থক্য থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।

লিখতে থাকুক। আমরাও জানি জাতির রক্তে কার কার অবদান অাছে। নতুন ইতিহাস। নতুন হাউকাউ।

ব্লগে স্বাগতম।

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: ইতিহাস পড়তে বালবাসি।পোস্ট ভাল লাগলো। শুভ ব্লগিং।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: দাদা : এতো সুন্দর আর তথ্য বহুল (কিছু তথ্য অবশ্য আরো যাচাই বাছাই করা যে তে পারে !) একটা লেখায় এই আক্রমণাত্মক লাইনগুলোর মতো " যাযাবর জাতি আগেও ছিলো, এখনো আছে। ইউরোপে ১২ মিলিয়ন ‘জিপসী’ (যাদের বলা হয় ‘রোমা’, কারন তারা রামের ভক্ত এবং মুসলমানি আমলে নিয়ে যাওয়া ভারতীয় দাসদের বংশধর) আছে। তারা তো আজ ১৫০০ বছরেও একটি পুস্তক লিখতে পারলো না। তা তারা না হয় ভারতীয়, তাই জ্ঞান গম্যি নেই, তা হুন রা কেনো বেদের মতো একটি দর্শন শাস্ত্র বানালো না ? হাল আমলের আরবী বেদুইন রা যুদ্ধ বাজ ছিলো, মারামারি হানা হানি করতে ওস্তাদ ছিলো, সারা দুনিয়া দখল করে ফেলেছে । তারা আজো একটি দর্শন শাস্ত্র তৈরী করতে পারলো না" না থাকলে কিইবা ক্ষতি হতো ?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

গেছো দাদা বলেছেন: আমি সংকলক মাত্র । আপনার মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ জানাই ।

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উপমহাদেশে জাত প্রথা অর্থাৎ বর্ণ বৈষম্য কারা চালু করেছিল?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.