নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাস্তা থেকে গরু ধরে আনা হয়েছে, বিফ উৎসবের জন্য। চাপাতি হাতে এক উৎফুল্ল কমরেড গান ধরেছে, "ওরা আমাদের ভয় পায়...রবসন"। গরুটা সত্যিই ভয় পাচ্ছে। বুঝে উঠতে পারছে না নিজের অপরাধ! কই, গত কয়েকদিনের মধ্যে তো সে কোনো বাগানে ঢোকেনি! কারও শখের গাছ নষ্ট করেনি, শুধু রাস্তার ধারে ঘাস খেয়ে বেড়াচ্ছিল। এদিকে ক্যামেরা নিয়ে হাজির মিডিয়া। বুদ্ধিজীবীরা কলম পেতে দিয়েছে রাস্তায়, যাতে জবাই করা গরুর রক্তে তাদের কলম ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে উঠতে পারে। এমন সময় এক কমরেড চাপাতিওয়ালা কমরেডকে জিজ্ঞেস করল, এটা কাদের গরু জানো? প্রত্যুত্তরে সে জানায়, এ বিপ্লব সবার বিপ্লব, এ যে গনবিপ্লব। এই বিপ্লব মানুষের বিপ্লব। তাই গরুটা হল পাবলিক প্রোপার্টি, যা নিজের আত্মবলিদান দেবে প্রলেতারিয়েতের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। মানুষের জন্য সস্তা প্রোটিন যোগার করতেই এই গরু চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখানে তৈরী হবে শহীদ বেদী। এক সাংবাদিক তখন জিজ্ঞেস করল, গরুটার দোষ কি? কমরেড উত্তর দিল, নকশাল আন্দোলনের হুজুগে যারা আত্মবলিদান দিয়েছিল তারা কি জানত তাদের দোষ কি? সেই সাংবাদিক বলল, সে তো তারা জেনেই আন্দোলনে নেমেছিল, কিন্তু এই গরুটা কি নিজেই আত্মবলিদান দিতে চায়? "চুপ করে থাক বুর্জোয়ার দালাল", গর্জে উঠল সেই কমরেড। নকশাল আন্দোলনের কি জানিস তুই? কেউ নিজে থেকে আত্মবলিদান দেয়নি। পার্টি মগজ ধোলাই করতে পেরেছিল বলেই তারা শহীদ হতে পেরেছে। সবার ওপরে পার্টি সত্য তাহার ওপরে নাই। এখানে ব্যক্তি কিছুই না, সব কিছুই এক মহান পরিবর্তনের জন্য।
এতো কথার কচকচানিতে বুদ্ধিজীবীরা অস্থির হয়ে বলল, আর কত দেরী কমরেড? খিদে পেয়েছে যে! সাথে সাথে ধ্বনি উঠল, "ইনকিলাব জিন্দাবাদ, মাংস দে, মাংস দে, মাংস দে"!
গরুটা কেঁদেছিল, শেষ মুহুর্তে। সে আত্মবলিদান দিতে চায়নি। সে চায়নি শহীদ হতে। শেষ সময়ে সে দেখেছিল, রাস্তাটা লাল হয়ে যেতে। মনে পড়েছিল তার পূর্ব জন্মের কথা, সাইবেরিয়ার বধ্যভূমিতে যেমন সন্তান পেটে নিয়েই মরতে হয়েছিল, এবারো তাকে মরতে হলো। মনে পড়েছিল তার নকশাল আন্দোলনের কথা, মনে পড়েছিল সেই রক্ত ঝরানো দিনগুলোর গল্প, যা প্রলেতারিয়েতদের অধিকার দিতে তৈরী করেছিল বুর্জোয়া কমিউনিস্ট পার্টি। তার মনে আছে, পার্টির নেতার ক্ষণিক সুখের জন্য তার গর্ভে প্রোথিত বীজটিকে নিয়েই তার আত্মহত্যার গল্প। বার বার জন্ম নিয়েও সে মা হতে পারল না, এই দুঃখ নিয়েই সে বিদায় নিল নিজের রক্ত গায়ে মেখে।
এমন সময় হরিপদ এলো, বলল, একি করলেন বাবুরা! আমার ছয় মাসের গর্ভবতী গরুটাকে এভাবে মেরে ফেললেন! এই গরীবের শেষ সম্বলটা নষ্ট করে দিলেন!
উত্তরে কমরেড বলল, এই বিপ্লব তোমাদেরই বিপ্লব। এই সামান্য উৎসর্গ করে দুঃখ করা তোমার শোভা পায় না কমরেড। তাছাড়া মাংসের ভাগ তো পাবেই।
বুদ্ধিজীবীরা একসাথে বলে উঠল, "সাথে মদ থাকবে তো?"
ইনকিলাব জিন্দাবাদ! লাল সেলাম!
কৃতজ্ঞতা: rahul naskar ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২১
গেছো দাদা বলেছেন: না এখনো শেষ হয়নি । ভারতের ঝাড়খন্ড ওড়িষা মধ্যপ্রদেশ ছত্রিশগড় বস্তার পশ্চিমবাংলার জঙ্গলমহল এইসব জায়গায় এই আন্দোলন এখনো জোরদার রয়েছে । মাঝেমাঝেই পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বহু প্রানহানির খবর পাওয়া যায় । আপনাকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই ।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পার্টি মগজ ধোলাই করতে পেরেছিল বলেই তারা শহীদ হতে পেরেছে। সবার ওপরে পার্টি সত্য তাহার ওপরে নাই। এখানে ব্যক্তি কিছুই না, সব কিছুই এক মহান পরিবর্তনের জন্য। শুধু নক্সাল অনুসারী কেন বাংলাদেশের সর্বহারারাও এক পথে পথ হারিয়েছিল।। এখন এখন তো আছে শুধু "ভাড়াটিয়া"!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৩
গেছো দাদা বলেছেন: সহমত ।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
জেন রসি বলেছেন:
রম্য পড়ে এই আন্দোলন সম্পর্কে অাপনার ধারনা কি তা জানা গেল।
১। বুর্জোয়া কম্যুনিস্ট পার্টি ।
২। পার্টি মগজ ধোলাই করেছিল।
৩। এই লাইন আপনার পছন্দ না।
আপনার পছন্দের লাইন কোনটা।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
গেছো দাদা বলেছেন: আপনি লেখককে নিয়ে নয় , লেখা টাকে নিয়ে প্রশ্ন করুন ....উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো ।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১০
মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: তার মনে আছে, পার্টির নেতার ক্ষণিক সুখের জন্য তার গর্ভে প্রোথিত বীজটিকে নিয়েই তার আত্মহত্যার গল্প।sb]বার বার জন্ম নিয়েও সে মা হতে পারল না, এই দুঃখ নিয়েই সে বিদায় নিল নিজের রক্ত গায়ে মেখে।
কিভাবে সম্ভব??
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
গেছো দাদা বলেছেন: হা হা হা হা ..... জানেন না গল্পের গরু গাছে ওঠে ??
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১১
মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: বার বার জন্ম!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২০
গেছো দাদা বলেছেন: হ্যাঁ, হিন্দু দর্শন অনুসারে বার বার জন্ম সম্ভব ।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার সৃজনশক্তির তারিফ করতে হয়, এযুগেও আবোল তাবোল কিছু বলার মতো, ভাবার মতো লোকজন আছেন!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
গেছো দাদা বলেছেন: আবোল তাবোল ভেবেও অনেকে বিখ্যাত লেখক হয়ে যেতে পারে ...উদাহরন : সুকুমার রায়(হযবরল) লুইস ক্যারোল(অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড) এযুগের ম্যাডাম রাওলিং(হ্যারি পটার) । আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪
যূথচ্যুত বলেছেন: আমি মুগ্ধ! অলমোস্ট বাকরুদ্ধ!
মুজতবা-উত্তর যুগে এমন সুস্বাদু 'রম্য'... উমহুঁ একদমই মনে করতে পারছি না।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১
গেছো দাদা বলেছেন: স্তুতি নাকি ব্যাজস্তুতি ... ঠিক বুঝতে পারলাম না । আপনাকে স্বাগত জানাই ।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
টারজান০০০০৭ বলেছেন: বুদ্ধিজীবীরা একসাথে বলে উঠল, "সাথে মদ থাকবে তো?"
আমার মনে হয় নারী বাদ পড়িয়াছে !!!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১২
গেছো দাদা বলেছেন: হা হা হা হা .....
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নকশাল-আন্দোলন তো শেষ। এটা নিয়ে তেনা প্যাচানোর হেতু কি?