নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার জন্য ভালোবাসা।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি হিন্দুদের নির্বোধ/মালাউন ভাবেন তাদের ধর্মবিশ্বাসের কারনে ? তাহলে এই ব্লগটি ঠিক আপনারই জন্য লেখা।দেখুন তো আপনি নিজেই নির্বোধ কিনা !

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৩


দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণই কি মহাভারত ?

মহাভারত কি ? মহাভারত কি নিছকই এক গল্প ? যুদ্ধের কাহিনী ? নারীর বস্ত্রহরণের কাহিনী ? পৃথিবীর ডজন ডজন দেশের, ডজন ডজন মহাকাব্য আছে। সেখানে যুদ্ধও আছে। যদুর বৌকে, মধু নিয়ে পালালো ; তারও গল্প আছে। এদের মধ্যে ইলিয়াড-ওডিসির মতো রত্ন আছে। কিন্তু কি এমন জিনিস যা মহাভারতে আছে, কিন্তু অন্য কোন মহাকাব্যে নেই ?
-
সাধুরও যন্ত্রণা আছে, পাপীরও যন্ত্রণা আছে। ধনীরও যন্ত্রণা আছে, গরীবেরও যন্ত্রণা আছে। মালবিকার যন্ত্রণা আছে, অমলেরও যন্ত্রণা আছে। সব জীবেরই যন্ত্রণা আছে।
-
শুধু জীব কেন ? জ্বলন্ত সূর্যের যন্ত্রণা নেই ? খসে পড়া উল্কার যন্ত্রণা নেই ? পরিত্যক্ত নদীর যন্ত্রণা নেই ?
-
আমার পাড়ার পেন্তীর মা- আমেরিকা কখনো দেখেনি। তাই বলে কি, আমেরিকা বলে দেশটার কোন অস্তিত্ব নেই ? সূর্যের যন্ত্রণা আমি বুঝতে পারি না। তাই বলে কি, সূর্যের কোন যন্ত্রণা থাকতে নেই ? মালবিকার বুকে অমলের চড়ার সৌভাগ্য হয় নি। তাই বলে কি, মালবিকার বুকে সুগন্ধ থাকতে নেই ? আমি কোন একটা বিশেষ কিছু জানি না, মানে এই নয় যে- সেই জিনিসটার কোন অস্তিত্ব নেই !
-
মহাভারতের গল্প কি নিছকই এক গল্প ? কুরুক্ষেত্র কি ? কুরুক্ষেত্র কি, কেবল ফাঁকা এক মাঠ ? পান্ডব কে ? দুর্যোধন কে ? ভীষ্ম কে ? শ্রীকৃষ্ণ কে ?
-
মানুষের জীবনের ঘাত প্রতিঘাত, আশা হতাশা, ধর্ম অধর্ম- সেই সব কিছুর চরিত্রায়নই হলো মহাভারত।
-
১. কুরুক্ষেত্র কি ? মানুষের চিন্তার চারণভূমি। সেই চিন্তার চারণভূমিতে, প্রতিদিন- লোভের সঙ্গে ত্যাগের সংঘাত, সত্যের সঙ্গে মিথ্যের সংঘাত ইত্যাদি ঘটছে।

২. কৌরব কারা ? মানুষের যত ধ্বংসাত্মক গুণাবলী।

৩. পান্ডব কারা ? মানুষের যত গঠনাত্মক গুণাবলী।

কৌরব শক্তি :
১. দুর্যোধন কে ? আমাদের লোভ আর দম্ভ

২. দুঃশাসন কে ? কামনা আর লাম্পট্য

৩. ধৃতরাষ্ট্র কে ? আমাদের অন্ধ স্নেহ / অন্ধ ভালোবাসা

৪. শকুনি কে ? আমাদের কুটিলতা

৫. কর্ণ কে ? আমাদের অভিমান

৬. ভীষ্ম কে ? আমাদের গর্ব আর প্রতিজ্ঞা

৭. দ্রোণাচার্য্য কে ? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

৮. শিখন্ডি কে ? আমাদের দুর্বলতা

৯. কর্ণের রথের "চাকা" বসে যাওয়া কি ? আমাদের দুর্ভাগ্য

পান্ডব শক্তি :
১. যুধিষ্ঠির কে ?আমাদের সত্য, ধর্ম আর ত্যাগ

২. ভীম কে ? আমাদের পৌরুষত্ব আর বীরত্ব

৩. অর্জুন কে ? আমাদের নিষ্ঠা আর শ্রম

৪. অভিমন্যু কে ? আমাদের যৌবন শক্তি

বিদূর কে ? আমাদের বিবেক

কৃষ্ণ কে - আমাদের আত্মা। যা পরমাত্মার অংশ। যা আমাদেরকে আলোর পথে চালিত করে।

দ্রৌপদী কে ? আমাদের আত্মার সন্মান।
দ্রৌপদী একসাথে পাঁচ ভাইয়ের স্ত্রী কেন ? কারন যারা ধর্ম আর পৌরুষত্বের পূজা করে, তাদের সকলেরই আত্মার সম্মান থাকে। আত্মার সম্মান সব বীরেরই প্রিয়তমা। পান্ডবরা ধার্মিক আর বীর, তাই তাদের সকলেরই আত্মার সম্মান বা দ্রৌপদী আছে।

দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ কি ? আমাদের আত্মার লাঞ্ছনা।

কুন্তীর কুমারী মাতৃত্ব কি ? সমাজের প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
-
কি দেখছো তাহলে ? মহাভারতে, মানুষের সব দোষ আর গুনগুলোকে, এক একটা চরিত্র বানিয়ে গল্পের আকার দেওয়া হয়েছে।
-
তারপর অর্জুনের উদ্দেশ্যে শ্রীকৃষ্ণের সেই বাণী। যাতে জীবনের দর্শনকে, টুকরো টুকরো করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
সব মানুষই জন্মগতভাবে পশু। তাকে যদি মনুষত্বে উত্তীর্ণ হতে হয়- তাহলে তাকে পান্ডব হয়ে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। সেই যুদ্ধে তুমি জয়ী হবে কি করে ? মহাভারতের এই দর্শন তোমাকে শিখতে হবে, আর জীবনে তা প্রয়োগ করতে হবে। জীবনে যদি যন্ত্রণা মুক্ত হতে চাও, তাহলে হিন্দু দর্শন পড়তে তোমাকে হবেই।
-
খুবই দুর্ভাগ্যের- হিন্দুরাই জানে না ; হিন্দু ধর্ম কি ? আজকাল কিছু শিক্ষিত মানুষ, নিজেদেরকে লিবারেল বলে পরিচয় দেয়। তারা তাদের হিন্দুত্বকে ঘৃণা করে। নিজ সংস্কৃতি আর ইতিহাসকে ঘৃণার মধ্য দিয়ে, তারা তাদের উদারতা জাহির করে। অথচ যে পাশ্চাত্য সভ্যতা- উদারতার জন্ম দিয়েছে, বিজ্ঞানের ৯০% নোবেল প্রাইজ যাদের পকেটে ভরা ; তারাই কিন্তু হিন্দু দর্শনকে সব চেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করে। জার্মানীতে, সরকারীভাবে হিন্দু দর্শন পড়ানো হয়। আমেরিকার শিক্ষিত জনগণ, হিন্দু দর্শনের মধ্যে, তাদের জীবন যন্ত্রণার উপশম খুঁজছে। কেন ? তারা কি নির্বোধ ?
কূতজ্ঞতা.... Samik Das

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তেমন ধারনা না থাকায় শুধু বলবো ব্যখ্যাগুলি সব কিন্তু মানুষ এবং তার দোষ-গুন নিয়েই।।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

গেছো দাদা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ব্যাখ্যা গুলি ভালো লাগলো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

গেছো দাদা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমি নিজেও নির্বোধ নই এবং কাউকে নির্বোধও মনে করি না। আপনি যখন মহাভারত সম্পর্কে জানেন তখন আমার একটি জিজ্ঞাসার উপরে আলোকপাত করুন। দ্রৌপদীর পাচ জন স্বামী থাকতে পারলে সাধারন হিন্দু মেয়েদের কেন তা বারন?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

গেছো দাদা বলেছেন: ব্লগটি আরেকবার পড়ুন উত্তর পেয়ে যাবেন । পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

মোহাম্মদ জন চক্রবর্ত্তী বলেছেন: উঃ । অসাধারন সুন্দর ব্যাখ্যা। সংগ্রহে রাখার মতন। ধন্যবাদ দাদা। @ উম্মু আবদুল্লাহ , ভাইজান, যদি বই পড়ার আগ্রহ থাকে, তবে আগে পড়ুন, সেটা যে ধর্মের ই হোক, শুধু শুধু হাওয়াতে প্রশ্ন করে কোন লাভ নেই। মহাভারত একটা দর্শন। " আপনার প্রশ্ন দ্রৌপদীর পাচ জন স্বামী থাকতে পারলে সাধারন হিন্দু মেয়েদের কেন তা বারন? " । উঃ- এটা গুরুজনদের প্রতি অগাধ সন্মান প্রদর্শন, মায়ের কথাই শেষ কথা মনে করা। ভাইয়েদের প্রতি অগাধ ভালবাসা, বিশ্বাস, আস্থা প্রদর্শন। দ্রৌপদীর আসল স্বামী শুধু অর্জুন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২

গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১

শামচুল হক বলেছেন: ব্রাহ্মণ ছাড়া হিন্দু ধর্মের বেদ গ্রন্থ পড়া নিষেধ। ইহা কেন?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮

গেছো দাদা বলেছেন: আপনি না জেনে একথা বলেছেন । এক্ষেত্রে অধিকারীর কথা বলা হয়েছে । যেমন আপনি নাপিত দিয়ে আপনার জামা সেলাই করাতে পারবেন কি ? কিছু অব্রাহ্মণ ঋষির( বেদ তত্ত্ব বিদ) উদাহরন : বাল্মীকি , বিশ্বামিত্র, রবিদাস ইত্যাদি । এনারা কেউ কেউ শুদ্রবর্নেরও ছিলেন । পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১

আমার আব্বা বলেছেন: আমি নিজেই নির্বোধ, মালাউনদের বিশ্বাস করিনা তাদের ধর্মওনা ,মুসলিম জাতিকে ইহুদী এবং বাঙ্গালী জাতীকে ধ্বং করার জন্য হিন্দু যথেষ্ট। বিশ্নেষণ অসাধারন হয়েছে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জটিলস ! সবকিছুই রূপক?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

গেছো দাদা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: @ উম্মু আবদুল্লাহ ,ভাইজান, যদি বই পড়ার আগ্রহ থাকে, তবে আগে পড়ুন, সেটা যে ধর্মের ই হোক, শুধু শুধু হাওয়াতে প্রশ্ন করে কোন লাভ নেই। মহাভারত একটা দর্শন

ধর্ম গ্রন্থ কোন গল্পের বই নয় যে পড়তে চাইলেই পড়া হয়ে যায়। আপনারা যারা শাস্ত্র বিশেষজ্ঞ তারা সহজ উপায়ে ব্যখা করে দিলেই তো আমার মত অধমদের জ্ঞানলাভ হয়ে থাকে। যাক, জানা হল।

" আপনার প্রশ্ন দ্রৌপদীর পাচ জন স্বামী থাকতে পারলে সাধারন হিন্দু মেয়েদের কেন তা বারন? " । উঃ- এটা গুরুজনদের প্রতি অগাধ সন্মান প্রদর্শন, মায়ের কথাই শেষ কথা মনে করা। ভাইয়েদের প্রতি অগাধ ভালবাসা, বিশ্বাস, আস্থা প্রদর্শন। দ্রৌপদীর আসল স্বামী শুধু অর্জুন।

তার মানে দ্রৌপদীর পাচ স্বামীর বিষয়টি শুধুই রূপক! জানা হল। ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: দ্রৌপদীর পাচ জন স্বামী থাকতে পারলে সাধারন হিন্দু মেয়েদের কেন তা বারন?

গেছো দাদা আপনি খুব বিনয়ী মানুষ বলে পাল্টা কড়া উত্তর দিলেন না এবং এই ভদ্রলোক বারবার একই কথা টেনে এনে আপনাকে উক্তাক্ত করার চেষ্ঠা করছে এবং আপনি ধৈর্য ধরে চুপ করে আছেন ।

আমি উম্মু আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করছি ;;; নবী ( সা: ) যদি ১৩টা ব্উ রাখতে পারে তাহোলে একজন মুসলমান কেন তা পারে না এবং একজন মুসলমান সর্বচ্চো কত জন স্ত্রী রাখতে পারে কোরানের নির্দেশ অনুযায়ি ।

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

গরল বলেছেন: স্কুলে থাকতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে বই পেতাম, তখন মহাভারত পড়েছিলাম। এটা একটা মহাকাব্য হিসাবেই জানতাম। এইটা যে ধর্মগ্রন্থ তা জানা ছিল না। আসলেই কি এটা কোন ধর্মগ্রন্থ? কেউ কেউ আবার এটাকে বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করে যেমন সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুকে কলসিতে বড় করাকে ইনকিউবেটরের সাথে তুলনা করে, ব্রন্মাস্ত্রকে অ্যাটম বোম আবার নাকি মিসাইলেরও ব্যাবহার হয়েছিল ইত্যাদি। আর মহাভারত যদি ধর্মগ্রন্থ হয় তবে বেদ কি?

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মোহাম্মদ জন চক্রবর্ত্তী বলেছেন: @গড়ল -- বেদ হল প্রাচীন ভারতে লিপিবদ্ধ তত্ত্বজ্ঞান-সংক্রান্ত একাধিক গ্রন্থের একটি বৃহৎ সংকলন। বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদই সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং হিন্দুধর্মের সর্বপ্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। হিন্দুরা বেদকে "অপৌরুষেয়" ("পুরুষ" দ্বারা কৃত নয়, অলৌকিক) এবং "নৈর্বক্তিক ও রচয়িতা-শূন্য" (যা নিরাকার নির্গুণ ঈশ্বর-সম্বন্ধীয় এবং যার কোনও রচয়িতা নেই) মনে করেন।
বেদকে শ্রুতি (যা শ্রুত হয়েছে) সাহিত্যও বলা হয়। এইখানেই হিন্দুধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলির সঙ্গে বেদের পার্থক্য। কারণ, হিন্দুধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় স্মৃতি (যা স্মরণধৃত হয়েছে) সাহিত্য। প্রচলিত মতে বিশ্বাসী হিন্দু ধর্মতত্ত্ববিদদের মতে, বেদ প্রাচীন ঋষিদের গভীর ধ্যানে প্রকাশিত হয়েছিল এবং প্রাচীনকাল থেকেই এই শাস্ত্র অধিকতর যত্নসহকারে রক্ষিত হয়ে আসছে। হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতে ব্রহ্মাকে বেদের স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।যদিও বৈদিক স্তোত্রগুলিতে বলা হয়েছে, একজন সূত্রধর যেমন নিপূণভাবে রথ নির্মাণ করেন, ঠিক তেমনই ঋষিগণ দক্ষতার সঙ্গে বেদ গ্রন্থনা করেছেন।

১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "গেছো দাদা আপনি খুব বিনয়ী মানুষ বলে পাল্টা কড়া উত্তর দিলেন না এবং এই ভদ্রলোক বারবার একই কথা টেনে এনে আপনাকে উক্তাক্ত করার চেষ্ঠা করছে এবং আপনি ধৈর্য ধরে চুপ করে আছেন । "

আরে, আমি কোথায় উত্যক্ত করলাম। আমি তো শুধু জানতে চাইলাম। তাতেই আপনার এত বিরক্তি!! গেছো দাদা মহাভারতের দর্শন নিয়ে পোস্ট দেবেন তাতে দোষ নেই, আর আমি ব্যখা জানতে চাইলাম তাতেই দোষ হয়ে গেল।

"আমি উম্মু আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করছি ;;; নবী ( সা: ) যদি ১৩টা ব্উ রাখতে পারে তাহোলে একজন মুসলমান কেন তা পারে না এবং একজন মুসলমান সর্বচ্চো কত জন স্ত্রী রাখতে পারে কোরানের নির্দেশ অনুযায়ি । "

সেই প্রশ্নের জবাবও দেয়া রয়েছে সেখানেই। সাধারন মুসলমানরা সর্বোচ্চ চার জন স্ত্রী রাখতে পারে এবং সেটাও কঠিন শর্তের বেড়াজালে ঘেরা। একজন সাধারন মুসলমানকে এই অধিকার দেয়া হয় নি কারন তারা নবী রাসুল নন কিংবা নবী মুহাম্মদের (সা) নৈতিক গুনাবলীও ধারন করে না। শুধু স্ত্রীর সংখ্যা নয়, বরং আরো অনেক কয়টি বিষয়ে নবী মুহাম্মদ (সা) যে সুবিধা পেয়েছেন তা সাধারন মুসলমানরা পাননি। নবী মুহাম্মদের (সা) স্ত্রীরা দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি প্রাপ্ত ছিল না।

যুগে যুগে সমস্ত নবী রাসুল কিংবা ভগবানের অবতারবৃন্দ কিছু বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন। সেইটা সনাতনী ধর্মের জন্য যেমন সত্য, তেমনি সত্য আব্রাহামিক ধর্মের জন্য। এই হল ব্যখা। এই ব্যখা কারো পছন্দ হওয়া বা না হওয়াটা তার নিজস্ব বিষয়। সেই কারনেই "কৃষ্ণ করলে লীলা আর আমি করলে বিলা" জাতীয় প্রবাদ বাক্যের প্রচলন হয়েছে। দ্রৌপদী কি সেইরকম সুবিধা পেয়েছিলেন কিনা সেইটাই ছিল আমার প্রশ্ন। সেইটা হয়ে থাকলে তার পেছনের দর্শন কি ছিল সেইটা জানতে চাইছিলাম। এতটুকুতে বিরক্ত হওয়ার কি আছে আপনার।

১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

এ আর ১৫ বলেছেন: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সাধারন মুসলমানরা সর্বোচ্চ চার জন স্ত্রী রাখতে পারে এবং সেটাও কঠিন শর্তের বেড়াজালে ঘেরা
সেই বেড়াজালটা কি ? তেতুল হুজুরের তো তিনটা বউ এবং যে কেউ ইচ্ছা করলে যদি সমর্থ থাকে চারটা বিয়ে করতে পারে তাহোলে শর্তের বেড়াজাল কি খোলাসা করে বলবেন কি ?

দ্রৌপদী কি সেইরকম সুবিধা পেয়েছিলেন কিনা সেইটাই ছিল আমার প্রশ্ন।

আপনার প্রশ্নের ধরন কিন্তু তা বলে না ---- আপনার প্রশ্ন --- দ্রৌপদীর পাচ জন স্বামী থাকতে পারলে সাধারন হিন্দু মেয়েদের কেন তা বারন?
এটাতো অতি সহজ জিনিস যেমন আপনি বলেছেন --- একজন সাধারন মুসলমানকে এই অধিকার দেয়া হয় নি কারন তারা নবী রাসুল নন কিংবা নবী মুহাম্মদের (সা) নৈতিক গুনাবলীও ধারন করে না।
একজন সাধারন হিন্দু মেয়েকে এই অধিকার দেয়া হয় নি কারন তারা দ্রোপদী নন কিংবা দ্রোপদীর নৈতিক গুনাবলীও ধারন করে না।

১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

কাউয়ার জাত বলেছেন: জনাব ১৫,
একজন মুসলিম নারীতো তার স্বামী মারা গেলে বা বিবাহ ভেঙে গেলে আরেকজন স্বামী গ্রহণ করতে পারে।
একজন হিন্দু নারী কেন ১৫ বছর বয়সে বিধবা হলেও আর স্বামী গ্রহণ করতে পারেনা?
সতীদাহ এর প্রশ্নে গেলাম না।
মাঝে মধ্যেই প্রশ্ন জাগে আপনি কেন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করছেন না?

১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

কানিজ রিনা বলেছেন: যে নিজের ধর্ম বিশ্বাস করে সে কখনও
অন্য ধর্মকে অপমান করেনা। আসলে আমরা
কি নিজের ধর্ম পুস্তক পড়ে শিক্ষা গ্রহন করি?
শুনে শুনে ধার্মীক হওয়া সে কখনও ধার্মীক
নয়।
হিন্দুদের জাতের বৈসম্য ভিষন মানবতা লঙ্ঘন।
বেদ গ্রন্থ চারখানা ঋগবেদ জজুরবেদ সামবেদ
অথর্বেদ। সব জাতের হিন্দুই পড়ে দেখা উচিৎ।
নাপিত,চন্ডাল,জেলে,মুচির ছেলে মেয়েরা
এখন অনেক শিক্ষিত। তারা ইচ্ছা করলেই
পড়ে দেখতে পারে।
হিন্দুদের চট্টপধ্যায় বন্দোপধ্যায় জাতী পূজা
করেনা। নিচু জাতী পূজা করে।
এটা নিয়ে প্রশ্ন জাগে পুজার দেবতা ভজলে
স্বর্গ পাওয়া যায় তাহলে বন্দোপধ্যায় জাতীর
কি হয়। বেশ ভালই লিখেছেন তবে একথাই
সত্য যার যার নিজের ধর্ম বিশ্বাস আছে তারা
কখনও অপর ধর্ম অপমান করেনা। ধন্যবাদ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৬

গেছো দাদা বলেছেন: আপনাকে তো বিরাট হিন্দু শাস্ত্রবিদ বলে মনে হচ্ছে ।

১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

এ আর ১৫ বলেছেন: কাউয়ার জাত বলেছেন: জনাব ১৫,
একজন মুসলিম নারীতো তার স্বামী মারা গেলে বা বিবাহ ভেঙে গেলে আরেকজন স্বামী গ্রহণ করতে পারে।
একজন হিন্দু নারী কেন ১৫ বছর বয়সে বিধবা হলেও আর স্বামী গ্রহণ করতে পারেনা?


আপনার প্রশ্নের ধরন দেখে তো মনে আপনি চন্দ্র দেশে অবস্থান করতেছেন . প্রসংগ দ্রোপদীর যদি ৫টা স্বামী থাকতে পারে তাহোলে সাধারন হিন্দু মেয়ে রা পারে না কেন ??
কে কইছে হিন্দু মেয়েরা ডিভোর্স হলে বা বিধবা হলে বিবাহ করতে পারে না ?ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর তার পুত্রকে বিধবা নারীর সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন এই রকম ভুরি ভুরি উদাহরন খুজে পাওয়া যাবে ।
অভিনেত্রী অপর্ণা সেন এখন তিন নম্বর স্বামীর সাথে সংসার করতেছেন , কে কইছে হিন্দু মেয়েরা ডিভোর্সী হলে বিবাহ করতে পারে না !!!!
মাঝে মধ্যেই প্রশ্ন জাগে আপনি কেন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করছেন না?

কারন আমি মনে করি আই এস আই , তালেবানরা আসল মুসলমান তাই , আপনার মত তাদের দলে যোগ দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করতেছি । আপনি তো ঐ দলের ভালো পজিশনে আছেন , আমার জন্য একটু সুপারিশ করিয়েন !!!!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৪

গেছো দাদা বলেছেন: কেউ জেগে ঘুমালে তাকে কি জাগানো যায় ?

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫২

কাউয়ার জাত বলেছেন:
কে কইছে হিন্দু মেয়েরা ডিভোর্স হলে বা বিধবা হলে বিবাহ করতে পারে না ?ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর তার পুত্রকে বিধবা নারীর সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন এই রকম ভুরি ভুরি উদাহরন খুজে পাওয়া যাবে।

এইখানে এসে গোঁজামিল দিয়ে পার পেতে চাচ্ছেন কেন পণ্ডিত মশাই? অমুক অমুক বিখ্যাত মুসলিম মদ পান করত এতে কি প্রমাণ হয় ইসলামে মদপান হালাল?

ইসলামের বিধানের বিরোধিতার সময় দেখি যাত্রাপালার কুশীলবদের থেকে ধার করে স্ক্যান কপি পর্যন্ত তুলে দেন। আর হিন্দু ধর্মে সতীদাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এসবের বিধান বলার সময় বিদ্যাসাগর আর অর্পণা সেনকে নিয়ে এসে পার পেতে চান কেন? মূল টেক্সটে কি আছে তা খুঁজে পাননা?
নাকি গোপন হিন্দুত্বের ভালোবাসায় সত্য জেনেও লুকানোর প্রচেষ্টা?

আশ্চর্য এক জাতের মুসলিম দাবীদার আপনি। যার ঘৃণা ও আক্রোশ সর্বদাইই প্রকাশ পায় ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি। আর ভালোবাসা এবং সমর্থন প্রকাশ পায় মূর্তি, গো দেবতা আর মহাভারতীয় কল্পকাহিনীর প্রতি।

এজন্যই আপনার প্রতি পরামর্শ হিন্দু হয়ে যান। আমাদের মুসলিমদের জন্যও ভালো হবে। আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্যও ভালো হবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩২

গেছো দাদা বলেছেন: হিন্দুর প্রতি বিরাগ আপনার লেখায় দেখতে পাচ্ছি । আপনি কি তবে ....

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:







@কাউয়ার জাত,
ক্ষমা করবেন। কাকে আপনি কি বলছেন? ভদ্রলোককে চিনেন না! ইনিতো পুরাতন মাল! দুনিয়ার সব দলিল একদিকে আর ইনি, মানে এই মহাপন্ডিত(!) একদিকে। ইনি পাঁচ সের চাল দিয়ে হলেও নিজের পক্ষে বাতচিত করেই যাবেন, তা যতই অযৌক্তিক, যতই উদ্ভট, যতই ধর্ম কিংবা কুরআন হাদিস বিরোধী হোক না কেন।

কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যায় বর্তমান যুগে আমার জানামতে এর অবস্থান নাম্বার ওয়ান। 'ছবি মূর্তি জায়েয' থেকে শুরু করে কত ইস্যুতে যে তার কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা দেখেছি তার ইয়ত্তা নেই। তাকে যদি বলেন, 'মদ্যপান সওয়াবের কাম' এটা কুরআন হাদিস দিয়ে প্রমান করে দিন তো। ধারনা করছি, এ কাজের জন্য কয়েক মিনিটের বেশি সময় তিনি নিবেন না। কয়েক মিনিটের মাথায় হয়তো দেখবেন, কয়েক গন্ডা মনগড়া হাদিস আর কুরআনের কিছু আয়াতের উল্টা পাল্টা ব্যাখ্যাসহ তার মনের মাধুরী মিশিয়ে 'যুগোপযোগী, সায়েন্টিফিক মতলবী ফয়সালা' নিয়ে হাজির হয়েছেন এবং দুনিয়া একদিকে আর তিনি একদিকে লড়তে থাকবেন। হাড়ভাঙ্গা কসরত চালাতে থাকবেন, মদ্যপান জায়েযের জন্য!

দু:খিত! না বলে পারছি না, যেখানে বিতর্ক আছে সেখানে ইনি আছেন। ফেতনা ছড়িয়ে দেয়ায় তিনি আনন্দিত বোধ করেন কি না কে জানে! বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে তার অন্তহীন ফালতু কাজ-কারবার, কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা, বিভ্রান্তি প্রচার এগুলো তার চেয়ে বেশি কাউকে করতে দেখি নি। বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এখানেই দেখুন তার নমুনা। এই পোস্টের ৯ নং কমেন্টটি লক্ষ্য করুন। পোস্টদাতা গেছোদাদাকে 'উম্মু আবদুল্লাহ' এর প্রতি ক্ষেপিয়ে তুলতে কী উস্কানি দিচ্ছেন! একজনের প্রতি আরেকজনকে ক্ষেপিয়ে তোলার এই মহান(!) আদর্শ তিনি কোত্থেকে যে রপ্ত করলেন! তুলনাহীন!!! অসাধারন!!!!!

কথায় কথায় আইএস ফাইএস যাদের মুখে অহরহ শোভা পায়, তাদের কানেকশন যে কোথায়, কাদের সাথে তা কি ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানোর প্রয়োজন আছে?

যদিও ক্ষোভ থেকে বলেছেন, তবু আপনার শেষের পরামর্শটার সাথে কেন যেন একমত হতে পারছি না। দু:খিত!

এ আর ১৫ কে পূর্বেও অনেকবার অনুরোধ-উপরোধ করেছি। এখনও করছি। ভাই, আসুন, বিভ্রান্তি-বিচ্যুতি পরিহার করি। সঠিক বিশ্বাস লালন করি। ধর্মের বিকৃতি ঘটানোর মানসিকতা থেকে ফিরে আসি। আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন।

ধন্যবাদ মোহাম্মদ জন চক্রবর্ত্তীকে। তার প্রতিমন্তব্যগুলো সুন্দর ব্যাখ্যামূলক।
পোস্টদাতা গেছোদাদা ভদ্রব্যক্তি। অভিনন্দন তাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.