নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আস্তিক : ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। এই বিশ্বব্রহ্মান্ড তাঁর ইচ্ছের অধীন।
নাস্তিক : ও তার মানে, আমি যা করছি ঈশ্বরের ইচ্ছেতেই করছি, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতাই আমার নেই। সুতরাং আমার পাপ পূন্য বলে কিছু নেই।
আস্তিক : না না, ঠিক তা নয়। ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হলেও, তিনি তোমাকে তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী কর্ম করার অধিকার দিয়েছেন। সুতরাং তোমার কর্মের ফল তোমার ওপরেই বর্তায়।
নাস্তিক : ঈশ্বর আমার থেকে ঠিক কি চান? উনি কি চান আমি পাপের কাজ করি?
আস্তিক : অবশ্যই না। উনি চান তুমি সবসময় পূন্যের কাজ কর।
নাস্তিক : কিন্তু আমার যেহেতু ইচ্ছা অনুযায়ী কর্ম করার অধিকার আছে, সুতরাং ঈশ্বর না চাইলেও আমার পাপ কাজ করতে কোন বাধা নেই? তাই তো?
আস্তিক : না আপাততঃ নেই। কিন্তু পরকালে এর বিচারের জন্য প্রস্তুত থেকো।
নাস্তিক : সে পরকালের কথা পরে দেখা যাবেখন। আপাততঃ ইহকালে ঈশ্বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। তাহলে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান কি করে হলেন? যাব্বাবা!
আস্তিক : মূর্খ! তোমার কাজে বাধা দেবার ক্ষমতা ঈশ্বরের অবশ্যই আছে, কিন্তু তিনি বাধা না দিয়ে তোমাকে পরীক্ষা করছেন।
নাস্তিক : ধরুন আমার ইচ্ছে হল গুলি করে কিছু নিরীহ লোকের খুলি উড়িয়ে দিই। তো আপনি বলছেন ঈশ্বর ইচ্ছে করলেই বাধা দিতে পারেন, নিরীহ লোকগুলোকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন, কিন্তু উনি তা করবেন না। আমাকে পরীক্ষা করার জন্য নিরীহ লোকগুলোর প্রান নেবেন। এই ঈশ্বর কে আপনি মঙ্গলময় বলেন?
আস্তিক : ঈশ্বর মঙ্গলময় কি না, সে নিয়ে কিন্তু তর্ক হচ্ছে না। হচ্ছে ঈশ্বরের সর্বশক্তিমান হওয়া আর মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী কর্ম করার মধ্যে বিরোধিতা নিয়ে। দয়া করে টপিক চেঞ্জ কোর না।
নাস্তিক : ওহ আচ্ছা। তাইতো! ভুল হয়ে গেছে! ... আচ্ছা ঈশ্বর তো সর্বশক্তিমান। সুতরাং তিনি সর্বজ্ঞও বটে। বিশ্বসংসারে কি ঘটেছিল, কি ঘটছে, কি ঘটবে সব তিনি জানেন।
আস্তিক : অবশ্যই।
নাস্তিক : তাহলে উনি আমাকে যে পরীক্ষার মুখে ফেলেছেন, সেই পরীক্ষার ফলাফলও তিনি জানেন। মানে বলতে চাইছি, আমাকে যে উনি ইচ্ছে অনুযায়ী কর্ম করার অধিকার দিয়েছেন, সেই অধিকারকে কাজে লাগিয়ে আমি পাপের কাজ করব, না পূন্যের কাজ করব সেটা ঈশ্বর আগে থেকেই জানেন।
আস্তিক : তা হয়তো জানেন।
নাস্তিক : হয়তো না, অবশ্যই জানেন, নাহলে আর সর্বজ্ঞ কিসের?
আস্তিক : কি বলতে চাইছো স্পষ্ট করে বল।
নাস্তিক : যে পরীক্ষার ফল ঈশ্বরের পূর্বনির্ধারিত, সে পরীক্ষায় আমার স্বাধীন ইচ্ছা-অনিচ্ছার মূল্য কি? আমি যাই করি না কেন, পরীক্ষার আউটকাম তো ঈশ্বরের পূর্বনির্ধারিত আউটকামের থেকে ভিন্ন হতে পারবে না। তার মানে আমার স্বাধীন ইচ্ছা-অনিচ্ছা বলে কিছু নেই।
আস্তিক : শালা নাস্তিক! তখন থেকে ত্যানা প্যাঁচাচ্ছিস!! তোর কল্লা ফেলব!
০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:২৯
গেছো দাদা বলেছেন: হে হে হে .... ।
২| ০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪
শহীদ আম্মার বলেছেন: এই আধুনিক বিশ্বে স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক একেবারে অবান্তর। মনে রাখবেন একটি আদর্শিক বিতর্কে একই ব্যক্তি দুইজনের ভুমিকা পালন করতে পারেনা। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের আদর্শেরই প্রতিনিধিত্ব করে। সুতরাং নিজের মত করে সাজানে প্রশ্ন-উত্তরগুলোকে কাল্পনিক আস্তিক-নাস্তিক এর নামে চালিয়ে কোন মতাদর্শ কে ভূল বা সঠিক কোনটাই প্রমাণ করা যায়না।
প্রত্যেক আদর্শের চিন্তাধারার শিকড় অনেক গভীরে। সুতরাং যে কোন আদর্শের ভূল বা শুদ্ধতা নির্ণয়ে প্রয়োজন গভীর জ্ঞান-নির্ভর গঠনমূলক পর্যালোচনা বা বিতর্ক।
সুনির্দিষ্ট টপিক নিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করুন স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে কি নেই। অযথা এসব কাঁচা কাজ করে বিতর্ক তৈরী কলে লাভ নেই্।
০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
গেছো দাদা বলেছেন: আরে ভাইসাব ... এটা মজার ছলে লেখা । এটা উল্টোভাবেও লিখে দিতে পারি । এখানে আদর্শ খুঁজে লাভ নেই । জাস্ট ফর ফান । ধন্যবাদ ।
৩| ০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: কোন ধর্মের ঈশ্বর নিয়ে কথাবার্তা চলিতেছে?
০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৪
গেছো দাদা বলেছেন: হে হে হে ... আমার কল্লা কাটতে চান নাকি !!
৪| ০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: স্রষ্টা সর্বশক্তিমান হওয়ার পরও মানুষকে যে তার ইচ্ছানুযায়ী কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছে এর একটা প্রাসঙ্গিক উদাহরন দেইঃ আপনি লেখাটা লেখার আগে তার ফিনিশিংটা কিভাবে দিবেন সেটা নির্দিষ্ট করে নিয়েছিলেন। যার জন্য আপনি প্রথম থেকেই লেখাটা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আপনি যদি চাইতেন তাহলে কিন্তু লেখাটার পরিণতি ভিন্ন ভাবেও দিতে পারতেন।
যাইহোক সেটা আপনার পার্সোনাল ব্যপার। তবে আমি একটা কথাই বলবঃ যেভাবেই হোক প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ (লেখকঃ আরিফ আজাদ) বইটা পড়ে দেখবেন।
বেস্ট অফ লাক।
০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
গেছো দাদা বলেছেন: আপনিই মনে হচ্ছে ব্লগ টির এসেস ঠিকমতো ধরতে পেরেছেন । ধন্যবাদ ।
৫| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্যাঙ এর কাছে কুয়ো হচ্ছে সমুদ্র
কুয়ার ব্যঙকে সমু্দ্রের প্রবল ঢেউ
বুঝাতে গেলে সমস্যা এমনই হয়।
নাস্তিককে থাকতে দিন তার মতো।
০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
গেছো দাদা বলেছেন: কে কুয়ার ব্যঙ আর কেই বা সমু্দ্রের ব্যঙ...একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো । ধন্যবাদ ।
৬| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮
শামচুল হক বলেছেন: গেছো দাদা কোন দলে?
০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:২৭
গেছো দাদা বলেছেন: যে দল কল্লা কাটতে আসবে , তার দলে । হা হা হা ...
৭| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:১৬
শহীদ আম্মার বলেছেন: ফান করবেন তো ওবায়দুুল আর ফখরুল রে নিয়ে করেন। আস্তিক-নাস্তিক শব্দগুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কোন সময় আবার পাকা চুলে আগুন লাইগা যায়।
৮| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
মো: মাসুদ রানা (এম আর) বলেছেন: এইসব স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মোটেই ফান করা উচিত নয়। যার যার ধর্ম তাকে পালন করতে দেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
কানিজ রিনা বলেছেন: আস্তিক। এই নরাধম তুই তোর পায়খানা
খাওয়ার খমতাও আল্লাহ্ তোকে দিয়েছে
তয় পায়খানা খাস না কন?
নাস্তিক। না আমি পায়খানা খাইনা।
আস্তিক। নরাধম তুইত বুড়ো হচ্ছিস ক্ষমতা
থাকলে জোয়ান হয়ে থাকতে পারছিস না কেন?
নাস্তিক। এইটা প্রকৃতির নিয়ম।
আস্তিক। এই প্রকৃতির ক্ষমতাই তো অাল্লাহর
ক্ষমতা।
নাস্তিক। না আমি প্রকৃতির শক্তি আল্লাহর
বিশ্বাস করিনা।
আস্তিক। তাহলে তুই এক কাজ কর আগুনে
ঝাপ দে দেখ তুই পুড়িস কিনা। আল্লাহ্
তোকে ক্ষমতা দিয়েছে।
নাস্তিক। আগুন তো আগুন আমি গুর পূরীতে
ডুব দিতে পারব না।
আস্তিক। নরাধম এইখানেই তুই আল্লাহর
কাছে পরাজিত। নরাধম এওকি জানিস
আল্লাহর পূর্ব নির্ধারিত স্বর্গ নরক বেহেস্ত
দজোক। সব ধর্মেই আছে। তুই কোনও
ধর্ম বিশ্বাস করিস না। তাহলে তোর কোন
নরকে বাস হবে।
নাস্তিক। আমি স্বর্গ নরক বিশ্বাস করিনা।
আমি পৃথিবীতে এসেছি এখানেই আমার শেষ।
ধন্যবাদ আস্তিক নাস্তিকে কথপকতনে আপনার
উপস্থাপনে।